Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪১ হিজরী # ০৮ই জুন, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪১ হিজরী # ০৮ই জুন, ২০২০ঈসায়ী।

    উন্নয়নের নামে ক্ষমতাসীনদের লুটপাট চলছেই



    উন্নয়ন প্রকল্পে কেনাকাটার মাধ্যমে জনগণের অর্থ লুটপাট চলছে। প্রকল্পের জন্য কেনা পণ্যের দামের সাথে বাজার দরের আকাশপাতাল ফারাক। এভাবে আকাশচুম্বি মূল্য দিয়ে লুটপাট করা হচ্ছে উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ। যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের প্রস্তাবনায় প্রতিটি লিফটের দাম প্রায় ২ কোটি টাকা, এসির দাম ৫২ লাখ টাকা, সিকিউরিটি ও গেট লাইট প্রতিটি সাড়ে ১২ লাখ টাকা ও সভা কক্ষের টেবিল ১২ লাখ টাকা দাম ধরা হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ ধরনের অবাস্তব দামের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। এর আগে হাসপাতাল ও রূপপুর প্রকল্পে এমন আজগুবি দামে পণ্য কেনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের দৃষ্টান্তও দেশবাসীর সামনে আছে।

    যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনা থেকে জানা গেছে, দেশের সাতটি জেলায় সাতটি যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে আগামী তিন বছরে। যাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। বরিশালের বাকেরগঞ্জে, ফেনীর ফুলগাজী, যশোর সদরে, ময়মনসিংহের সদর, বগুড়া সদর, রংপুর সদর এবং রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এসব কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। যুবসমাজের উন্নয়ন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আধুনিক সুবিধাসংবলিত পরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ করাই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।

    প্রেক্ষাপটে জানা যায়, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের আওতায় দেশের ৫৩টি জেলায় ৫৩টি আবাসিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে ৪৭টির বহুতল একাডেমি কাম অফিস ভবন, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য পুরুষ ও মহিলা হোস্টেল, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাসস্থানসহ বিভিন্ন অবকাঠামো রয়েছে। কিন্তু নতুন এই প্রকল্প এলাকার সাতটি কেন্দ্রে আধাপাকা অবকাঠামো রয়েছে, যা বর্তমানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এতে দাফতরিকসহ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সমস্যা হচ্ছে।

    প্রস্তাবিত প্রকল্পের ব্যয় পর্যালোচনায় দেখা যায়, এসব কেন্দ্রের জন্য ২১টি প্যাসেঞ্জার লিফট কেনা হবে। যার প্রতিটির মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। বিডি স্টারের ওয়েব সাইটের তথ্যানুযায়ী, যেখানে তুরস্কের সাড়ে ৮ শ’ কেজির ১০ জন প্যাসেঞ্জারের এলিভেটর লিফটের দাম সাড়ে ২৪ লাখ টাকা, সাড়ে ৪ শ’ কেজির দাম সাড়ে ২২ লাখ টাকা, এক হাজার কেজির কেবিন ডোর লিফটের দাম সাড়ে ২৫ লাখ টাকা, ফুজিএক্সডি এফসিজেও মডেলের এক হাজার কেজির দাম ১৪ লাখ টাকা। আর চীনের তৈরি জয়লাইভ এক হাজার কেজির আবাসিক ভবনের লিফটের দাম সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ডলার বা ১২ লাখ টাকা। চীনের সিক্সার এলিভেটর জিআরপিএস-২০ মডেলের সর্বোচ্চ দাম ৩০ হাজার ডলার বা সাড়ে ২৫ লাখ টাকা। এখানে সাতটি কেন্দ্রের জন্য ২১টি প্যাসেঞ্জার লিফট কেনার জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৪০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

    অন্য দিকে এই প্রকল্পে বিভিন্ন কেন্দ্রের জন্য প্রতিটি ৫২ লাখ টাকা দরে ৫০ টন এসি কেনা হবে। সিকিউরিটি ও গেট লাইট প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে সাড়ে ১২ লাখ টাকা। পিএবিএক্স ব্যবস্থার দাম প্রতিটি ধরা হয়েছে প্রতিটি ১৫ লাখ টাকা, লাইটনিং এরেস্টার বা আর্থিং প্রতিটি সাড়ে ১৭ লাখ টাকা, প্রতিটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক খরচ ১০ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

    এ ছাড়া সিসি ক্যামেরা ৩০ হাজার টাকা, আইপিএস ৬০ হাজার টাকা, ইনকিউবেটর ৮০ হাজার টাকা, খাঁচা ৪০ হাজার টাকা, ফুল সাচিবিক টেবিল প্রতিটি ৮০ হাজার টাকা, হাফ সাচিবিক টেবিল প্রতিটি ৫০ হাজার টাকা, রিভলভিং চেয়ার প্রতিটি ২০ হাজার টাকা, হাতলসহ কুশন চেয়ার ১২ হাজার টাকা, ঘাসকাটার মেশিন ৩০ হাজার টাকা মূল্য ধরা হয়েছে। এ ছাড়া একটি গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণেই খরচ ধরা হয়েছে ছয় লাখ টাকা। আর নির্মিত ভবন উদ্বোধনে ব্যয় হবে ২১ লাখ টাকা।

    পরিকল্পনা কমিশন বলছে, সম্প্রতি একটি প্রকল্পের আওতায় ১১টি জেলায় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস খালি পড়ে আছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে ২-৩ ঘণ্টার ট্রেনিংয়ের জন্য প্রশিক্ষণার্থীরা ছাত্রাবাসে থাকতে আগ্রহী না। তাই প্রকল্প থেকে ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস বাদ দেয়া প্রয়োজন। এসবে শুধুই অর্থ অপচয় হবে।

    কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলছে, এখানে অনেক পণ্যের মূল্য অতিমাত্রায় ধরা হয়েছে, যা বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ। প্রতিবেদনে সুপারিশ নেই। প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে একটি কেন্দ্রে একাডেমি কাম অফিস ভবন নির্মাণ করা হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে প্রকল্পের সাতটি কেন্দ্রেই একাডেমি কাম অফিস ভবন নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের সব ক্রয়পদ্ধতি উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে উল্লেখ করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা হলো, শুধু আসবাবপত্র বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন থেকে ডিপিএম তথা সরাসরি সংগ্রহ করতে হবে।

    এ ব্যাপারে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এসব ব্যয় প্রস্তাব অসৎ লোকদের দ্বারা করা হয়। প্রকল্প তৈরির ক্ষেত্রে এসব লোকের অসততা কাজ করে। তারা এসব ইচ্ছাকৃতভাবে করে। যদি কোনো ফাঁকে পাস হয়ে যায় তাহলে তাদের ভাগ্য খুলবে।

    তিনি বলেন, একটা লিফটের দাম কোনোভাবেই প্রায় ২ কোটি টাকা হতে পারে না। মূল দাম সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা হতে পারে। তার সাথে ভ্যাটসহ অন্যান্য চার্জ থাকলে সেটাসহ আরো কিছু বেশি হতে পারে। আর এসি কিভাবে ৫২ লাখ টাকা ধরা হয়? এটা ৫২ হাজার টাকার বেশি হবে না। তিনি বলেন, আমরা সব সময় বলি প্রাক্কলনের সময় ইন্টারনেট থেকে কোম্পানি ও মডেলসহ পণ্যের নাম যুক্ত করতে হবে। সরকারি অসৎ লোকের কারণে এসব হচ্ছে। নয়া দিগন্ত


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/08/38334/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    হাসপাতালে আইসিইউ ও অক্সিজেনের জন্য হাহাকার



    বন্দর নগরী চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমিত রোগী ৪ হাজার ছুঁই ছুঁই করলেও হাসপাতালগুলোতে শয্যা বাড়েনি সে তুলনায়। পাশাপাশি চলছে সঙ্কটাপন্ন রোগীদের জন্য আইসিইউ ও অক্সিজেনের হাহাকার। শয্যা সঙ্কটে নগরীর কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো রোগীতে ঠাসা। পাশাপাশি রয়েছে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীদের ফিরিয়ে দেয়ার অভিযোগ। নিয়ন্ত্রণ নেই করোনা চিকিৎসাসহ সাধারণ ওষুধের মূল্য ও সরবরাহ ব্যবস্থায়ও। সবমিলিয়ে চট্টগ্রামের চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল দশা ও বিপর্যস্ত চিত্রে চিকিৎসাপ্রার্থীদের মধ্যে এক দিকে আতঙ্ক চলছে, অন্য দিকে করোনায় মৃত্যুর মিছিল বাড়তে থাকায় চিকিৎসাবিহীন মৃত্যুর ভীতি ভর করছে জনমনে।
    করোনা রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় লেজে গোবরে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের মানুষ। দেশের বেশির ভাগ রাজস্বের জোগানদাতা হলেও চট্টগ্রামের মানুষকে বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়ার সংশয়ে থাকতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউসহ সব সিট রোগীতে পরিপূর্ণ, বিআইটিআইডি ও ফিল্ড হাসপাতালও রোগীতে ঠাসা। জেনারেল হাসপাতাল থেকে কিছু রোগী রেলওয়ে হাসপাতাল এবং হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালে স্থানান্তরের কথা বলা হলেও প্রতিদিন শনাক্ত হওয়া নতুন আক্রান্ত করোনা রোগীরা কোথায় যাবে তার কোনো কুল-কিনারা করতে পারছে না।

    চিকিৎসা শয্যার পাশাপাশি চিকিৎসা সরঞ্জামাদিরও তীব্র সঙ্কট চলছে চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোতে। অতিসঙ্কটাপন্ন রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র) নেই। অন্য দিকে আইসিইউ পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত জনবলও নেই। খোদ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই এখন পর্যন্ত কোভিড ডেডিকেটেড আইসিইউ নেই। ইতোমধ্যে বেশ কিছু আইসিইউ সমৃদ্ধ বেসরকারি ইমপেরিয়াল হাসপাতাল এবং ইউএসটিসির বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল সরকার কর্তৃক কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হলেও সেগুলো এখনো করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত হয়নি। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত কোভিড ডেডিকেটেড আইসিইউ শয্যা রয়েছে মাত্র ১০টি।

    করোনা আক্রান্ত রোগীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের শ্বাসকষ্টের তীব্রতা বেড়ে গেলে জীবন বাঁচানোর জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়ে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন সরবরাহের। কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে বর্তমানে যতগুলো অক্সিজেন পয়েন্ট রয়েছে তার প্রতিটি একজনকে দেয়ার কথা থাকলেও এখন চার-পাঁচজনে ভাগাভাগি করে একেকটি অক্সিজেন পয়েন্ট ব্যবহার করার তথ্য মিলেছে। এক দিকে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো সিলিন্ডার নির্ভর অক্সিজেন রোগীদের দিতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা, অন্য দিকে জীবন বাঁচানোর অনুষঙ্গ হিসেবে যারা বাসায় অক্সিজেন আনতে যাচ্ছেন তাদের অসাধু চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে গুনতে হচ্ছে স্বাভাবিকের কয়েকগুণ মূল্য।
    চিকিৎসা সরঞ্জামাদির সঙ্কটের পাশাপাশি চট্টগ্রামে ইতোমধ্যে ৮৩ জন চিকিৎসক গত দুই সপ্তাহে করোনা পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এরই মধ্যে মারা গেছেন দুইজন চিকিৎসক। তা ছাড়া করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকেরা টানা এক সপ্তাহ দায়িত্ব পালন শেষে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইন থাকতে হচ্ছে। ফলে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক সঙ্কটও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

    চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি উভয় ধরনের হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও করোনা উপসর্গবিহীন রোগীরাই চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ উঠছে প্রতিনিয়ত, করোনা উপসর্গ থাকলে তো কথাই নেই। নিজ চিকিৎসালয়ে চিকিৎসা না পাওয়ার কথা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন খোদ একজন চিকিৎসক।

    চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি এ প্রতিবেদককে বলেন, চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত জেনারেল হাসপাতালের ১০টি আইসিইউ কার্যকর রয়েছে। এর বাইরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেড পাঁচটি আইসিইউ বেড স্থাপনের চেষ্টা চালালেও আইসিইউর জন্য প্রশিক্ষিত জনবলের তীব্র সঙ্কট রয়েছে। এর বাইরে চমেকে যারা ডিউটি করেন একসপ্তাহ পর তাদের কোয়ারেন্টাইনে যেতে হচ্ছে। ফলে জনবলের সঙ্কট আরো তীব্রভাবে দেখা দিয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোর আইসিইউ জনবলও অনেকটা চমেকের জনবলের ওপর নির্ভরশীল জানিয়ে তিনি বলেন, চমেকে যারা কাজ করেন তারাই সেখানকার ডিউটি শেষে বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে সময় দেন। ফলে বেসরকারি হাসপাতালগুলোও আইসিইউ জনবলের সঙ্কটে রয়েছে বলে তিনি জানান।

    জনগণের চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিতে সাধ্যমতো চেষ্টা চালানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল ও রেলওয়ে হাসপাতালে আইসোলেশন সুবিধা চালু করা হয়েছে, সিটি হলেও আইসোলেশন সেন্টার চালু হচ্ছে। আইসোলেশন সেন্টার আরো বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
    এ দিকে চট্টগ্রামের চিকিৎসাব্যবস্থার বিদ্যমান সঙ্কট নিরসনে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলো কোভিড হাসপাতাল ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও ড্যাব নেতা ডা: শাহাদাত হোসেন। নয়া দিগন্ত

    বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক শাসকদলের নেতা ডা: ফয়সাল ইকবাল চৌধুরীও নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘বারবার চিৎকার করে বলেছি তিন-ছয় মাসের জন্য চুক্তি করে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, বেসরকারি ক্লিনিকগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য। কিন্তু কোনো কিছুতেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত যারা ঢাকায় বসে আছেন সেসব নীতিনির্ধারক কিছুই করেননি। নতুন নতুন কেনাকাটা না করে জরুরি ভিত্তিতে অবিলম্বে চট্টগ্রামের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কিছু কিছু ক্লিনিকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য। নতুবা আগামী দিনগুলো হবে ভয়াবহ।’


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/08/38337/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      কি করুণ হাল সেতুর!



      প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বহু আকাঙ্ক্ষিত নারায়াণপুর কপোতাক্ষ নদের ওপর নির্মিত সেতুটির দুই পাশের একাধিক স্থানে রাস্তায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ভাঙন দ্রুত মেরামত করা না হলে দুই পাশের সড়কই কপোতাক্ষের গর্ভে বিলীন হবার সমূহ সম্ভাবনা। এমন অবস্থায় সেতুটি দুই পাশ মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন চৌগাছাবাসী।

      জানা গেছে, উপজেলার নারায়ণপুর ও হাকিমপুর ইউনিয়নবাসীসহ এলাকার কমপক্ষে ১ লাখ জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম নারায়ণপুর কপোতাক্ষ নদের ওপর সেতু। দেশ বিভাগের পরও এই স্থানটি দিয়ে মানুষ খেয়া পারাপার হতো। স্বাধীনতার পর যতবার নির্বাচন হয়েছে প্রতিটি নির্বাচনে এ জনপদের মানুষের প্রাণের দাবি ছিল কপোতাক্ষ নদের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা। পরবর্তীতে নারায়ণপুর গ্রামের নিচে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় অসমাপ্ত ব্রিজটি পড়ে থাকে। ফলে জনগণের আশায় গুড়ে বালি পড়ে। জনগণ হন দিশেহারা। এক প্রকার ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে ব্রিজের সকল কার্যক্রম।

      সর্বশেষ বর্তমান সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ব্রিজটি নির্মানের জন্য ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৬ টাকা বরাদ্দ দেয়। এই বরাদ্দের পর সরকারের প্রথম দিকে সেতুটি পুনরায় নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন সেতুর কাজ শেষ হওয়ার পর নির্মাণ করা হয় সেতুর দুই পাশের রাস্তা। রাস্তার কাজ শেষে সেতুটি ব্যবহারে খুলে দেওয়া হয়। সেতু নির্মাণের কয়েক বছর যেতে না যেতেই সেতুর পূর্ব পাশে রাস্তায় দেখা দেয় ভাঙন। বিষয়টি গণমাধ্যমে লেখালেখি হলে তা সংস্কার করা হয়।

      মূল সেতুর দুই পাশে প্রায় ১৫ শ গজ সড়কের দুই পাশ ভেঙে সড়কের ইট খোয়া পিচ বালু সব কিছুই এখন পুকুরের পানিতে। সেতুর পূর্ব পাশে মূল সেতুসংলগ্ন সড়কে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বিশাল একটি অংশ এর মধ্যে ভেঙে কপোতাক্ষের গর্ভে চলে গেছে। এই অবস্থার উন্নতি না হলে সেতুতে ওঠার সড়ক পুরোটাই ভেঙে মিশে যাবে কপোতাক্ষ নদে- এমনটি মনে করছেন স্থানীয়রা। বর্তমান ভাঙন স্থান দিয়ে অত্যন্ত প্রাণঝুঁকি নিয়ে যানবাহনসহ পথচারীরা পারাপার হচ্ছেন।
      সূত্র:কালের কন্ঠ


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/08/38340/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

        Comment


        • #5
          আমিন!! আর কাফেরদের শিকড় উপড়ে ফেলুন!!!
          ভুল-ত্রুটি জানানোর অনুরোধ রইল!!!

          Comment

          Working...
          X