Announcement

Collapse
No announcement yet.

উদারতা আর কঠোরতার মাপকাঠি কি আমাদের জানা আছে?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উদারতা আর কঠোরতার মাপকাঠি কি আমাদের জানা আছে?

    উদারতা বলুন আর কঠোরতা বলুন, কোনটারই মাপকাঠি আমরা জানি না। আমরা জানি না উদারতা বা কঠোরতার সংজ্ঞা। ফলে যেখানে কঠোরতা দেখানো উচিত, সেখানে উদার হই। আর যেখানে উদার হওয়া উচিত, সেখানে হয়ে যাই কঠোর।

    জনৈকের মৃত্যুতে যারা আবেগের চোটে কান্নাকাটি করছেন, তাদের আকিদা বিষয়ক ইলম ও গাইরত কতটুকু আছে, সেটা ভাবার বিষয়। একজন মুসলিম কেবল মাত্র মুসলিমদের প্রতিনিধি হতে পারে। অন্য কোন ধর্ম বা ধর্মের অনুসারীদের প্রতিনিধি হতে পারে না। কারণ আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একটিই। সেটি হলো ইসলাম।



    উদারতা বলুন আর কঠোরতা বলুন, কোনটারই মাপকাঠি আমরা জানি না। আমরা জানি না উদারতা বা কঠোরতার সংজ্ঞা। ফলে যেখানে কঠোরতা দেখানো উচিত, সেখানে উদার হই। আর যেখানে উদার হওয়া উচিত, সেখানে হয়ে যাই কঠোর।
    জনৈকের মৃত্যুতে যারা আবেগের চোটে কান্নাকাটি করছেন, তাদের আকিদা বিষয়ক ইলম ও গাইরত কতটুকু আছে, সেটা ভাবার বিষয়। একজন মুসলিম কেবল মাত্র মুসলিমদের প্রতিনিধি হতে পারে। অন্য কোন ধর্ম বা ধর্মের অনুসারীদের প্রতিনিধি হতে পারে না। কারণ আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একটিই। সেটি হলো ইসলাম।
    জনৈক মন্ত্রী বলেছেন, তিনি শুধু ইসলাম ধর্মের মন্ত্রী নন, সব ধর্মের মন্ত্রী। কিন্তু তিনি ইসলাম ধর্মের অনুসারী। এর দ্বারা মূলত কাফিরদেরকে মিত্র হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এবং নিজেকে কাফিরদের ধর্মের ধর্মীয় অভিভাবক সাব্যস্ত করা হয়। শরিয়তে কি এরকম ছাড় দেয়ার বা উদারতা দেখানোর সুযোগ আছে? একবাক্যে উত্তর নেই।
    কাফিরদের মিত্র হিসেবে গ্রহণ করার শরয়ী মূলনীতি কী? আসুন আমরা জানার চেষ্টা করি। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
    لَا تَجِدُ قَوْمًا يُّؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ يُوَآدُّوْنَ مَنْ حَآدَّ اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ وَلَوْ كَانُوْۤا اٰبَآءَهُمْ اَوْ اَبْنَآءَهُمْ اَوْ اِخْوَانَهُمْ اَوْ عَشِيْرَتَهُمْ۝
    ‘যারা আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসে বিশ্বাস করে, তাদের আপনি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি গোষ্ঠী হয়। ’ (মুজাদালাহ :২২)
    আল্লামা ইবনে কাসির এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ
    ‘সাইদ বিন আব্দুল আজিজ রাহিমাহুল্লাহ–সহ প্রমুখের মতে আয়াতটি নাজিল হয়েছে আবু উবায়দা বিন আব্দুল্লাহ বিন জাররাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ব্যাপারে, বদরের যুদ্ধে যখন তিনি তাঁর পিতাকে হত্যা করলেন। এ জন্যই উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর পরবর্তী খলিফা নিয়োগের জন্য ছয়জনের শুরা গঠনকালে বলেছিলেন, যদি আবু উবাইদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আজ বেঁচে থাকতেন, তাহলে আমি তাঁকেই খলিফা ঘোষণা করতাম।
    আর কারও মতে আল্লাহর বাণী- وَلَوْ كاَنوُا آباَءَهُمْ “যদিও তারা তাদের পিতা হয়” নাজিল হয়েছে আবু উবায়দা রাদ্বিয়াল্লাহুর ব্যাপারে, যিনি বদর যুদ্ধে তাঁর পিতাকে হত্যা করেছিলেন। أَوْ أَبْنَاءَهُمْ “অথবা তাদের পুত্র হয়” নাজিল হয়েছে আবু বকর সিদ্দিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ব্যাপারে, যিনি সেদিন তাঁর পুত্র আব্দুর রহমানকে হত্যা কর*তে মনস্থ করেছিলেন। أَوْ إِخْوَانَهُم “অথবা তাদের ভ্রাতা হয়” নাজিল হয়েছে মুসআব বিন উমাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ব্যাপারে, যিনি সেদিন তাঁর ভাই উবাইদ বিন উমাইরকে হত্যা করেছিলেন। أَوْ عَشِيْرَتَهُمْ “অথবা তাদের গোষ্ঠী হয়” নাজিল হয়েছে উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ব্যাপারে, যিনি সেদিন তাঁর এক আত্মীয়কে হত্যা করেছিলেন এবং হামজা রা., আলি রা. ও উবাইদা বিন হারিস রা. এর ব্যাপারে, যারা সেদিন উতবা, শাইবা ও ওয়ালিদ বিন উতবাকে হত্যা করেছিলেন। আর আল্লাহ-ই সর্বজ্ঞ।’ (তাফসির ইবনু কাসির)
    আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ
    يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوْا عَدُوِّيْ وَعَدُوَّكُمْ اَوْلِيَآءَ تُلْقُوْنَ اِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَقَدْ كَفَرُوْا بِمَا جَآءَكُمْ مِّنَ الْحَـقِّ ۚ يُخْرِجُوْنَ الرَّسُوْلَ وَاِ يَّاكُمْ اَنْ تُؤْمِنُوْا بِاللّٰهِ رَبِّكُمْ ۗ اِنْ كُنْـتُمْ خَرَجْتُمْ جِهَادًا فِيْ سَبِيْلِيْ وَابْتِغَآءَ مَرْضَاتِيْ تُسِرُّوْنَ اِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَاَنَاۡ اَعْلَمُ بِمَاۤ اَخْفَيْتُمْ وَمَاۤ اَعْلَنْتُمْ ۗ وَمَنْ يَّفْعَلْهُ مِنْكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَآءَ السَّبِيْلِ
    ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, তোমরা তাদের কাছে বন্ধুত্বের খবর পাঠাও, অথচ যে সত্য তোমাদের কাছে এসেছে তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা রসূলকে আর তোমাদেরকে শুধু এ কারণে বের করে দিয়েছে যে, তোমরা তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্য় বিশ্বাস কর। তোমরা যদি আমার সন্তুষ্টি কামনায় আমার পথে জিহাদে বের হয়ে থাক, তাহলে তোমরা কেন গোপনে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করছ? তোমরা যা গোপন কর আর তোমরা যা প্রকাশ কর, তা আমি খুব ভাল করেই জানি। তোমাদের মধ্যে যে তা করে সে সরল পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়ে গেছে।’ (মুমতাহিনা : ১)
    আল্লাহ আরো বলেনঃ
    يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوْۤا اٰبَآءَكُمْ وَاِخْوَانَـكُمْ اَوْلِيَآءَ اِنِ اسْتَحَبُّوا الْـكُفْرَ عَلَى الْاِيْمَانِ ۗ وَمَنْ يَّتَوَلَّهُمْ مِّنْكُمْ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ
    ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা তোমাদের পিতা আর ভাইদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা ঈমানের চেয়ে কুফরিকেই বেশি ভালবাসে। তোমাদের মধ্যে যারা তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারাই জালিম।’ (তাওবা : ২৩)
    আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
    يٰۤـاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُوْدَ وَالنَّصٰرٰۤى اَوْلِيَآءَ ۘ بَعْضُهُمْ اَوْلِيَآءُ بَعْضٍ ۗ وَمَنْ يَّتَوَلَّهُمْ مِّنْكُمْ فَاِنَّهٗ مِنْهُمْ ۗ اِنَّ اللّٰهَ لَا يَهْدِى الْقَوْمَ الظّٰلِمِيْنَ
    ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না, তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ জালিমদের পথ প্রদর্শন করেন না।’ (মায়িদা:৫১)
    এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম তাবারি বলেনঃ
    ومن يتول اليهود والنصاري دون المؤمنين، فإنه منهم. يقول: فأن من تولاهم ونصرهم علي المؤمنين، فهم علي أهل دينهم وملتهم، فإنه لا يتولي متول أحدا إﻻ وهو به وبدينه وما هو عليه راض. وإذا رضيه أو رضي دينه ، فقر عادي ما خالفه وسخطه، وصار حكمه حكمه
    ‘যে মুসলমানদের বাদ দিয়ে ইহুদি-খ্রিষ্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে, মুমিনদের বিরুদ্ধে তাদের সাহায্য করবে, সে তাদের দ্বীন ও মিল্লাতের অন্তর্ভুক্ত হবে। কারণ, কেউ কাউকে ততক্ষণ পর্যন্ত বন্ধুরূপে গ্রহণ করতে পারে না, যতক্ষণ না সে উক্ত ব্যক্তির দ্বীন ও অবস্থার উপর সন্তুষ্ট হয়, আর যখন সে তার ওপর ও তার দ্বীনের ওপর সন্তুষ্ট হবে, তখন তার বিপরীত সে সবকিছুর ব্যাপারে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করবে এবং তার ওপর কাফির বন্ধুর বিধানই প্রযোজ্য হবে।’ (তাফসিরে তাবারি)
    যার মৃত্যুতে আমাদের আলেমগণের একটি অংশ কান্নাকাটি করে বুক ভাসিয়ে দিচ্ছেন, তাদের জানা থাকা উচিত যে, ওই মন্ত্রী কাফিরদের ধর্মের প্রতিও সন্তুষ্ট ছিলেন। ফলে তিনি তাদের প্রতিনিধি (মন্ত্রী) হয়েছেন এবং তাদের বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবেও চলে যেতেন। কুফরি ধর্মের প্রতি সন্তুষ্টি অনেকভাবে হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করা।
    আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
    اِنَّ الدِّيْنَ عِنْدَ اللّٰهِ الْاِسْلَامُ ۗ وَمَا اخْتَلَفَ الَّذِيْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًاۢ بَيْنَهُمْ ۗ وَمَنْ يَّكْفُرْ بِاٰ يٰتِ اللّٰهِ فَاِنَّ اللّٰهَ سَرِيْعُ الْحِسَابِ
    ‘নিশ্চয় ইসলামই আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন। আর যাদের কিতাব দেওয়া হয়েছিল, তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসা সত্ত্বেও শুধু পরস্পর বিদ্বেষবশত মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছিলো। তবে যে ব্যক্তি আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করে, তবে (সে জেনে রাখুক,) আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।’ (আলে ইমরান : ১৯)
    আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ
    وَمَنْ يَّبْتَغِ غَيْرَ الْاِ سْلَامِ دِيْنًا فَلَنْ يُّقْبَلَ مِنْهُ ۚ وَهُوَ فِى الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخٰسِرِيْنَ
    ‘আর যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করতে চাইবে, কক্ষনো তার সেই দ্বীন কবূল করা হবে না এবং আখেরাতে সে ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’
    (আলে ইমরান : ৮৫)
    আল্লাহ তাআলা ঈমান আনয়নের জন্য তাগুতকে অস্বীকার করার শর্তারোপ করেছেন। আল্লাহ বলেনঃ
    فَمَنْ يَّكْفُرْ بِالطَّاغُوْتِ وَيُؤْمِنْ بِۢا للّٰهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقٰى لَا انْفِصَامَ لَهَا ۗ وَاللّٰهُ سَمِيْعٌ عَلِيْمٌ
    ‘অতএব যে তাগুতকে অস্বীকার করবে এবং আল্লাহর প্রতি ইমান আনবে, সে এমন সুদৃঢ় হাতল ধারণ করলো, যা কখনো ভাঙবার নয়। আল্লাহ সর্বশ্রোতা এবং সর্বজ্ঞাতা।’ (বাকারা: ২৫৬)
    আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
    وَلَا تَرْكَنُوْۤا اِلَى الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا فَتَمَسَّكُمُ النَّارُ ۙ وَمَا لَـكُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ مِنْ اَوْلِيَآءَ ثُمَّ لَا تُنْصَرُوْنَ
    ‘আর যারা জুলুম করেছে, তাদের প্রতি তোমরা ঝুঁকে পড়ো না, অন্যথায় আগুন তোমাদেরকে স্পর্শ করবে, আর আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন বন্ধু নেই। অতঃপর তোমাদের কোন সাহায্য করা হবে না।’ (হুদ : ১১৩)
    ইমাম কুরতুবি রাহিমাহুল্লাহ বলেন :
    ‘আল্লাহর বাণী ولا تركنوا “আর তোমরা ঝুঁকে পড়ো না।” الركون প্রকৃত অর্থে ভরসা করা, আস্থা রাখা, বস্তুর প্রতি নির্ভর করা ও তাতে সন্তুষ্ট থাকা। কাতাদা রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন : এর অর্থ হলো, তোমরা তাদের সাথে হৃদ্যতা রেখো না এবং তাদের অনুসরণ করো না। ইবনু জুরাইজ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, তোমরা তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ো না। আবুল আলিয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন, তাদের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট হয়ো না। বস্তুত, এর সবগুলোই কাছাকাছি কথা। ইবনে যাইদ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, এখানে الركون অর্থ নমনীয় হওয়া। আর তা হলো তাদের কুফরি অস্বীকার না করা।’ (তাফসিরুল কুরতুবি : ৯/১০৮)
    যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেই যে, উনারা কুফরের রীতির উপর সন্তুষ্ট ছিলেন না, কিন্তু এটা তো স্পষ্ট যে উনারা কুফরির একটা রীতিতে অংশগ্রহণ করছেন। এই ব্যাপারে শরিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি কী?
    কাফিরদের কোন উৎসবে বা ধর্মীয় কোন রীতিনীতিতে, কোন শিআর বা শিরকি কর্মকাণ্ডের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করা বা শরিক হওয়া কুফরি। তবে কেউ যদি মনে ঘৃণা রেখে কৌতূহল-বশত শরিক হয়, তবে সেটা হারাম হবে।
    وَالَّذِيْنَ لَا يَشْهَدُوْنَ الزُّوْرَ ۙ وَ اِذَا مَرُّوْا بِاللَّغْوِ مَرُّوْا كِرَامًا
    “আর যারা মিথ্যা কাজে যোগদান করে না, আর বেহুদা কার্যকলাপের সম্মুখীন হলে সসম্মানে পাশ কাটিয়ে চলে যায়।” (ফুরকান : ৭২)
    তাবিয়িনে কিরামের অনেকেই এই আয়াতের ব্যাখ্যায় মুশরিকদের ধর্মীয় দিবস ও আনন্দ উৎসবে না যাওয়ার কথা বলেছেন। অর্থাৎ এটি ঈমানদারের একটি সিফাৎ যে, তারা কাফির-মুশরিকদের উৎসবে যোগদান করবে না।
    আল্লামা ইবনু কাসির রাহিমাহুল্লাহ এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ
    ‘এটা রহমানের বান্দাদের একটি গুণ যে, তারা মিথ্যা কাজে যোগদান করে না। কারও মতে এখানে الزور এর অর্থ শিরক ও মূর্তিপূজা। কারও মতে এর অর্থ মিথ্যা, পাপাচার, কুফর, বেহুদা ও বাতিল কর্মকাণ্ড। মুহাম্মাদ বিন হানাফিয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন, এর অর্থ অসার কাজ ও গানবাজনা। আবুল আলিয়া রহ. তাউস রহ. ইবনে সিরিন রহ. জাহহাক রহ. রবি বিন আনাস রহ.—সহ অনেকেই বলেছেন, এর অর্থ মুশরিকদের ধর্মীয় দিবস ও আনন্দ উৎসব। আমর বিন কাইস রাহিমাহুল্লাহর মতে, এর অর্থ অশ্লীল ও মন্দ মজলিস। মালিক রহ. জুহরি রহ. থেকে বর্ণনা করে বলেন, এর অর্থ মদপান। তারা এতে উপস্থিত হতো না এবং এতে আকর্ষণবোধও করত না।’ (তাফসির ইবনু কাসির)
    আবদুল্লাহ বিন আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ
    من بنى ببلاد الأعاجم وصنع نيروزهم ومهرجانهم وتشبه بهم حتى يموت وهو كذالك حشر معهم يوم القيامة
    ‘যে ব্যক্তি অনারব তথা অমুসলিম দেশে বাসস্থান নির্মাণ করে এবং তাদের নওরোজ ও মেহেরজান উৎসব পালন করে, তাদের সাদৃশ্য অবলম্বন করে, অতঃপর এ অবস্থার ওপরই তাদের মৃত্যু হয়, তাহলে ওই সব কাফিরদের সাথেই তার হাশর হবে।’ (আস-সুনানুল কুবরা, বাইহাকি : ৯/৩৯২, হাদিস নং ১৮৮৬৩)
    আল্লাহ তাআলা কুফরি কাজে সহায়তা করতে নিষেধ করে বলেনঃ
    وَتَعَاوَنُوْا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوٰى ۖ وَلَا تَعَاوَنُوْا عَلَى الْاِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۖ وَاتَّقُوا اللّٰهَ ۗ اِنَّ اللّٰهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ
    ‘সৎকাজ ও তাকওয়ার ব্যাপারে তোমরা পরস্পরকে সহযোগিতা কর, পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না। আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ শাস্তিদানে কঠোর।’ (মায়িদা : ২)
    এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে কাসির রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ
    ‘আল্লাহ তাআলা তার মুমিন বান্দাদেরকে উত্তম তথা সৎকর্ম করার এবং অসৎকর্ম পরিত্যাগ তথা তাকওয়া অবলম্বনের ক্ষেত্রে একে অপরকে সাহায্য করার নির্দেশ দিচ্ছেন। আর ভ্রান্ত কাজে পরস্পরকে সাহায্য এবং পাপ ও হারাম কাজে একে অপরকে সহায়তা করতে নিষেধ করছেন।’ (তাফসির ইবনে কাসির)
    মোটকথা, এমন একজন লোকের জন্য কান্নাকাটি করা কতটা যৌক্তিক, যারা গণতন্ত্রকে নিজেদের দ্বীন (জীবনব্যবস্থা) মনে করে! যারা কুফরি গণতন্ত্রের ধারক-বাহক ছিলো, যারা আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানবরচিত আইনে শাসন করতো; এদের জন্য কেন এতো কান্নাকাটি? এতোই যদি শোকাহত হোন, তাহলে আপনাদের অবস্থানের ওপর আফসোস করা ছাড়া আমাদের কিছুই করার নেই। আল্লাহ সুবহানাহু তা`আলা আমাদেরকে সীরাতে মুসতাকীমের উপর অটল-অবিচল রাখুন, আমীন।
    সংগৃহীত

  • #2
    মাশাআল্লাহ,,,জাযাকাল্লাহ,,।
    অনেক অনেক শোকরিয়াহ,,,এই পোষ্টটা পড়ে আমার মনটা আনন্দে ভরে গেল।
    আল্লাহ আপনার কাছে বারাকাহ দান করুন,আমিন।
    আল্লাহ তা'য়ালা আমাদেরকে উদারতা আর কঠোরতা সঠিক জায়গায় ব্যবহার করার তাওফিক দান করুন,আমিন।
    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

    Comment


    • #3
      মুহতারাম ভাই!অনেকে কাফেরদের মৃত্যুর সংবাদে"ইন্নালিল্লাহ" বলে । অথচ বুখারীর হাদিসের "আলহামদুলিল্লাহ" বলার কথা আছে । এবিষয়েও সতর্ক করলে ভাল হত ।
      "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

      Comment


      • #4
        আলহামদুলিল্লাহ্ অনেক সুন্দর আলচনা,আল্লাহ্ ভাইকে পরিপূর্ণ বারাকা দান করুন,
        মিডিয়ার সম্মানীত মুজাহিদ ভাইদের নিরাপদ ও সুস্থ রাখুন আমীন।

        Comment


        • #5
          অডিও বয়ান আশাকরি।
          ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

          Comment

          Working...
          X