Announcement

Collapse
No announcement yet.

|| যুদ্ধকালীন জরুরী চিকিৎসা সহায়তা ||

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • || যুদ্ধকালীন জরুরী চিকিৎসা সহায়তা ||



    || যুদ্ধকালীন জরুরী চিকিৎসা সহায়তা ||

    ইমানদার ভাইদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা। আশা করি আমাদের সবার জন্য তা ফলপ্রসূ হবে ইনশাআল্লাহ্। প্রথমেই আপনাদেরকে আল কোরআনের একটি আয়াত স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আর তা হচ্ছে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেনঃ

    وَا لَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَهَا جَرُوْا وَجٰهَدُوْا فِيْ سَبِيْلِ اللّٰهِ وَا لَّذِيْنَ اٰوَوْا وَّنَصَرُوْۤا اُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُؤْمِنُوْنَ حَقًّا ۗ لَّهُمْ مَّغْفِرَةٌ وَّرِزْقٌ كَرِيْمٌ

    || যারা ঈমান এনেছে, হিজরাত করেছে, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে আর যারা তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে, সাহায্য-সহযোগিতা করেছে- তারাই প্রকৃত ঈমানদার। তাদের জন্য আছে ক্ষমা আর সম্মানজনক জীবিকা (সুরা আল আনফাল, আয়াত-৭৪) ||

    আজকের এই আলোচনায় আমরা কিভাবে একে অপরকে সাহায্য সহযোগীতা করতে পারি সেই বিষয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ্। জিহাদের প্রকৃত বাস্তবতা আমরা সবাই মোটামুটি উপলব্ধি করতে পারি। যদিও আমরা অনেকেই তা চাক্ষুষভাবে তা প্রত্যক্ষ করিনি। আমরা অনেকেই জিহাদী তানজীমগুলোর ভিডিও দেখেছি। যাই হোক জিহাদের ময়দানের প্রকৃত বাস্তবতা আমাদের কল্পনার জগত থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমরা সেই প্রকৃত বাস্তবতা প্রত্যক্ষ না করলেও তার সাথে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। যাইহোক মূল আলোচনায় আসি। জিহাদের ময়দানে যেমন শত্রুপক্ষ হতাহত হয়, তেমনিভাবে মুজাহিদদের জান-মালেরও ক্ষয় ক্ষতি হয়। আজকে আমরা যুদ্ধকালীন জরুরী চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে জানার চেষ্টা করবো।

    যে সমস্ত মুজাহিদ ভাইরা জিহাদের ময়দানে আহত হয় তাদের প্রতি আমাদের অত্যন্ত কোমল আচরণ করা উচিত। শুধু তাদের প্রতিই না আমাদের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য আহত ভাই, শিশু ও মা-বোনদের প্রতিও আমাদের কোমল আচরণ করা উচিত। তারা যেন কোন রকম কষ্ট না পায় সেই দিকে আমাদের নজর রাখা উচিত। আহত ভাই ও মা-বোনদের সুচিকিৎসার জন্য আমরা জরুরী মেডিকেল টীম গঠন করতে পারি। আমাদের পরস্পরের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগীতার মনোভব গড়ে তোলা উচিত। এক্ষেত্রে আমরা যারা সামর্থ্যবান আছি তারা সরাসরি অর্থ সহায়তা প্রদান করতে পারি। আমাদের মধ্যে যারা ডাক্তারী বিষয়ে ভালো জানেন তারা আহতদের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসতে পারি। সর্বোপরী সকলের সম্মিলিত আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারি ইনশাআল্লাহ্। এবার আমরা জানার চেষ্টা করবো একটি যুদ্ধকালীন জরুরী মেডিকেল টীমে কি কি জিনিস থাকা প্রয়োজন?

    ১ যাদের সারজিক্যাল বা অপারেশন বিষয়ে জ্ঞান রয়েছে এ রকম একটি চিকিৎসক দল থাকবে। অন্যান্য সাধারণ চিকিৎসকও থাকবে।

    ২ সার্বক্ষণিক নার্স বা সেবিকা থাকবে। মা-বোনেরা এক্ষেত্রে ভালো ভুমিকা পালন করতে পারে। পুরুষেরাও কাজ করতে পারবে।

    ৩ সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা। অ্যাম্বুলেন্স না থাকলে সেক্ষেত্রে স্ট্রেচারের ব্যবস্থা করা।

    ৪ কাটা, ছেঁড়া-ফাটার জন্য যে সমস্ত জিনিস বেশি প্রয়োজন যেমন গজ, ব্যান্ডেজ, তুলা, সিরিঞ্জ, নিডেল, সুতা, সিজার, ক্যানোলা, প্রেসার মাপার যন্ত্র, হ্যান্ড গ্লাভস, বি.পি. ব্লেড, সারজিক্যাল প্যাড, অক্সিজেন মাস্ক, অক্সিজেন সিলিন্ডার ইত্যাদির ব্যবস্থা করা। সারজিক্যাল আইটেমের একটি লিস্ট পিডিএফ আকারে দেওয়া থাকবে। সেখান থেকে নামিয়ে নিতে পারেন।

    ৫ প্রয়োজনী ওষুধসমূহ যেমন কাটা-ছেঁড়া শুখানোর এন্টিবায়োটিক, জ্বর, মাথা ব্যাথা, প্রেসার, ঘুমের ওষুধ ইত্যাদি হাতের নাগালে রাখা।

    ৬ কাটা-ছেঁড়া ড্রেসিং করার জন্য সাবান, স্যাভলন, গজ, ব্যান্ডেজ, তুলা, সুতা, ভায়োডিন, ডিস্টিল ওয়াটার, গরম পানি ইত্যাদির ব্যবস্থা করা।

    ৭ একটি স্থায়ী বা অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ে তোলা যেখানে যুদ্ধাহত মুজাহিদ ভাইয়েরা ও অন্যান্যরা সহজে চিকিৎসা নিতে পারেন।

    ৮ সাধ্যমত আহতদের খাবারের ব্যবস্থা করা। এছাড়া একটি জরুরী মেডিকেল টীমে আরোও অনেক বিষয় থাকতে পারে। এখানে আমি শুধু আপনাদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম মাত্র। আশা করি আপনারা এ বিষয়ে সাধ্যমত জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করবেন ইনশাআল্লাহ।

    মনে রাখবেন আপনি যদি যুদ্ধাহত কোন মুজাহিদ ভাই ও অন্যান্যদের সাহায্য সহযোগীতা করেন তাহলে উপরোক্ত আয়াত অনুযায়ী আপনিও তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা। তাই আসুন আমরা এখন থেকে এ ব্যাপারে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকি।


    সার্জিকাল ডিসপোজেবল আইটেম লিস্ট (পিডিএফ)

    https://ia601403.us.archive.org/10/i...le%20Items.pdf


  • #2
    আলহামদুলিল্লাহ্ উত্তম পোষ্ট,
    আল্লাহ্ আমাদের সব অভাব পূরণ করুন, আমীন।

    Comment


    • #3
      মাশা আল্লাহ, সুন্দর পোস্ট।
      আমাদের যাদের পক্ষে সম্ভব তারা প্রাইমারী ডাক্তারি বিদ্যা শিখে নিতে পারি। তাহলে প্রয়োজনের সময় কাজে লাগবে, ইনশা আল্লাহ।
      আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়ার তাওফিক দান করুন ও আপনার খেদমতকে কবুল করুন। আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ,,,জাযাকাল্লাহ,,,।
        অনেক উত্তম ও উপকারী পোষ্ট করেছেন।
        আল্লাহ তা'য়ালা আপনার মেহনতকে কবুল করুন,আমিন।
        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

        Comment


        • #5
          মাশাআল্লাহ,জাজাকাল্লাহ।
          খুবই উত্তম বিষয়ে আলোচনা করেছেন। পিডিএফটি ডাউনলোড করেছি, আল-হামদুলিল্লাহ।
          বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
          কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

          Comment


          • #6
            আমাদের মুজাহিদ ভাইদের জন্য উচিৎ হবে প্রাথমিক চিকিৎসা জ্ঞান অর্জন করে রাখা।
            বিলাসিতা জিহাদের শুত্রু,শাইখ উসামা রাহ।

            Comment

            Working...
            X