Announcement

Collapse
No announcement yet.

শামে চলমান ফেতনায় কেমন আছেন হকপন্থী মুজাহিদিন?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শামে চলমান ফেতনায় কেমন আছেন হকপন্থী মুজাহিদিন?

    শামে চলমান ফেতনায় কেমন আছেন হকপন্থী মুজাহিদিন?


    সিরিয়া এখন বহুমুখী যুদ্ধক্ষেত্র। ঘোর অন্ধকারের মতো ফিতনা ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে। এমন পরিস্থিতিতেও হক্বের নিভু নিভু ঝাণ্ডা হাতে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছেন আল্লাহভীরু একদল মুজাহিদ। এমনিতেই কাফেরদের নির্মম বোমাবর্ষণে বিপর্যস্ত শাম। এর মধ্যে আবার প্রায় সপ্তাহখানেক আগ থেকে শুরু হয়েছে হকপন্থী মুজাহিদ গ্রুপগুলোর উপর বিদ্রোহী গ্রুপ তাহরিরুশ শাম (এইচটিএস) এর নানারকম জুলুম ও নির্যাতন। এখনো তারা নির্দয়ভাবে মুজাহিদ ভাইদের উপর আঘাত হেনে যাচ্ছেন।
    তাহরিরুশ শাম (এইচটিএস) বেশকিছু মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করে মুজাহিদগণের উপর হামলা চালাচ্ছেন। ঐসকল মিথ্যাচার নাকচ করে দিয়ে আল-কায়েদার মুজাহিদগণ তাহরিরুশ শামকে এসব বিষয়ের সমাধানে শরয়ী আদালতে বসার আহ্বান জানান। শুরুতে তাহরিরুশ শাম মুজাহিদগণের এই আহ্বান উপেক্ষা করে নিয়মিত হামলা চালিয়ে আসছিলো, তবে পরবর্তীতে সাধারণ জনতা ও আলেমদের প্রতিবাদের মুখে তারা চলমান সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য মুজাহিদদের আহ্বানে সাড়া দেয় এবং আলোচনায় বসতে রাজি হয়। কিন্তু সমাধানের জন্য তারা শরয়ী আদালতে না বসে নিজেদের মধ্যেই সমঝোতা করার কথা জানিয়ে আলোচনায় বসে। এদিকে নিজেদের মধ্যকার এই ফেতনা যেন খুব দ্রুতই নির্মূল হয়ে যায়, সেই আশায় আল-কায়েদা শাখা তানযিম হুররাস আদ-দ্বীন ও তাদের নবগঠিত “ফাসবুতু” অপারেশন রুমে অংশগ্রহণকারী দলগুলোও তাহরিরুশ শামের এই সিদ্ধান্তে রাজি হয়ে যান।

    কিন্তু আলোচনায় সমাধানের পথে না হেঁটে বক্রতার পথ বেছে নেন তাহরিরুশ শামের কর্তৃপক্ষ। তারা হক্বপন্থী মুজাহিদগণের উপর অন্যায় শর্ত চাপিয়ে দিতে থাকেন এবং নিজেদের কুৎসিত উদ্দেশ্যগুলো সামনে আনেন। তাহরিরুশ শাম (এইচটিএস) নিম্নোক্ত শর্তগুলোর ভিত্তিতে মুজাহিদগণের উপর হামলা বন্ধ করার কথা জানায়:

    ১. ইদলিবের আরব সাইদ ও সাহলুর রাউজ এলাকার সড়কগুলো হতে আল-কায়েদা সমর্থিতদের সকল চেকপোস্ট উঠিয়ে ফেলতে হবে।
    ২. আরব সাইদে হুররাস আদ-দ্বীনের সকল ঘাঁটি বন্ধ করে দিতে হবে এবং সড়ক পথে থাকা তাদের সকল চেকপোস্টগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে।
    ৩. মুজাহিদগণ তাদের সকল প্রকার ভারী ও হালকা যুদ্ধাস্ত্রগুলো “এইচটিএস” এর কাছে হস্তান্তর করতে হবে। শুধু ব্যক্তিগত একটি অস্ত্রই প্রত্যেক যোদ্ধা এখান থেকে নিয়ে যেতে পারবেন।
    ৪. আরব সাইদে “এইচটিএস” এর যোদ্ধারাই কেবল অস্ত্রসহ অবস্থান নিতে পারবেন।
    ৫. হারাম, আরমানায, কু’কু ও শাইখ বাহার এই এলাকাগুলো থেকে হুররাস আদ-দ্বীন তাদের সকল চেকপোস্টগুলো উঠিয়ে ফেলতে হবে।
    ৬. এই অঞ্চলগুলোতে অবস্থিত হুররাস আদ-দ্বীনের উভয় ঘাঁটি খুব দ্রুত তাহরিরুশ শামের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
    ৭. হুররাস আদ-দ্বীন এই এলাকাগুলোতে পরবর্তীতে কোন ঘাঁটি গড়তে পারবেন না।

    মুজাহিদদের রক্ত যেন অন্যায়ভাবে আর প্রবাহিত না হয়, এ কারণে আল-কায়েদা সমর্থিত মুজাহিদগণ তাহরিরুশ শাম (এইচটিএস) এর এই একচেটিয়া শর্তগুলোও মেনে নিয়েছেন। শর্তগুলো মেনে নেয়ার ৩টি চুক্তিপত্র প্রকাশ করেছে ওজিএন, ইবা নিউজ ও তানযিম হুররাস আদ-দ্বীনের কয়েকটি অফিসিয়াল ব্যক্তিগত টেলিগ্রাম চ্যানেল।

    কিন্তু এতেও তাহরিরুশ শাম অন্যায়ভাবে মুজাহিদদের রক্তপাত বন্ধ করেননি, তারা মুজাহিদদের অন্যান্য এলাকাগুলোতেও হামলা চালাতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে ইদলিবে অবস্থিত আল-কায়েদার নবগঠিত “ফাসবুতু” অপারেশন রুমে যুক্ত আনসার আল-ইসলাম ও আনসারুত তাওহীদের ২টি সামরিক হেডকোয়ার্টারে হামলা করে বসেছেন “এইচটিএস”-এর যোদ্ধারা। এসময় তারা আনসার আল-ইসলামের সামরিক হেডকোয়ার্টারে অবস্থানরত সকল মুজাহিদকে বন্দী করে নিয়ে গেছেন। একইভাবে আনসারুত তাওহীদের সামরিক হেডকোয়ার্টার অবরুদ্ধ করে হামলা চালাতে থাকেন “এইচটিএস” এর যোদ্ধারা।
    এছাড়াও ইদলিবে আনসার আল-ইসলামের অন্য একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পেও ২৮ জুন সকাল বেলায় হামলা চালান এইচটিএস যোদ্ধারা এবং তা অবরুদ্ধ করে রাখেন। অপরদিকে “এইচটিএস” এরই একসময়ের আলেপ্পো (হলব) এর সামরিক বিভাগের প্রধান শাইখ আবুল আব্দ আল-আশদা হাফিজাহুল্লাহ্ এর গঠিত “তানসিকিয়াতুল জিহাদ” গ্রুপের মুজাহিদদের উপরেও গত ২৭ জুন থেকে হামলা চালাতে শুরু করেছে “এইচটিএস”। কিছুদিন পূর্বে “তানসিকিয়াতুল জিহাদ” আল-কায়েদার নবগঠিত অপারেশন রুমে যুক্ত হয়েছিল। কিন্তু “এইচটিএস” এর পক্ষ থেকে “তানসিকিয়াতুল জিহাদ”-কে হুমকি দিয়ে বলা হয়, তারা যেন “এইচটিএস” এর দ্বারা পরিচালিত অপারেশন রুমে যুক্ত হন। তারা এইচটিএস এর পরিচালিত “ফাতহুল মু’বীন” অপারেশন রুমে যুক্ত হলে তাদের সর্বাত্মক সহায়তা করবে বলেও জানায় এইচটিএস। অন্যথায় “তানসিকিয়াতুল জিহাদ” কে আল-কায়েদার নবগঠিত অপারেশন রুম ত্যাগ করে স্বতন্ত্রভাবে কাজ করতে হবে। আর এর কোনোটাই যদি “তানসিকিয়াতুল জিহাদ” মেনে না নেয়, তাহলে বলা হয়েছে তাদের সকল কার্যক্রম আলেপ্পোতে বন্ধ করে দিতে হবে এবং তাদের চেকপোস্টগুলো এইচটিএস এর কাছে হস্তান্তর করে আলেপ্পো ছাড়তে হবে। আর এই সংবাদটি প্রচার করে এইচটিএন এর অফিসিয়াল মিডিয়া “ইবা নিউজ”। তাহরিরুশ শামের এমন এক চেটিয়া সিদ্ধান্তের পর “তানসিকিয়াতুল জিহাদ” তাদের চেকপোস্টগুলো ২৮ জুন বিকাল হতে তাহরিরুশ শামের কাছে হস্তান্তর করে এবং তারা আল-কায়েদার সাথে থাকার অঙ্গীকার করেন।

    এভাবেই আল-কায়েদার সাথে যুক্ত এবং আল-কায়েদার সাথে যুক্ত হতে চান এমন প্রতিটি দলকেই বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে এইচটিএস। সর্বশেষ তাহরিরুশ শাম (এইচটিএস) তাদের অফিসিয়াল বার্তায় ঘোষণা করেছে যে, এইচটিএস এর পরিচালিত “ফাতহুল মুবীন” অপারেশন রুম ছাড়া নতুন কোন অপারেশন রুমকে শামের ভূমিতে কাজ করতে দেওয়া হবে না, কেউ যদি কাজ করতে চায় তাহলে তাকে এইচটিএস এর অপারেশন রুমের অধীনেই কাজ করতে হবে। বার্তাটি “এইচটিএস” এর অফিসিয়াল “ইবা নিউজ” সহ অন্যান্য সংবাদমাধ্যমগুলোতেও প্রচারিত হয়।

    নতুন এই বিবৃতিটির দ্বারা মূলত তাহরিরুশ শাম বৈশ্বিক জিহাদী সংগঠন আল-কায়েদার নবগঠিত “ফাসবুতু” অপারেশন রুমের মুজাহিদদের কার্যক্রমকে বন্ধ করার জন্য অফিসিয়ালভাবে হুমকি দিল।

    এদিকে তাহরিরুশ শামের হাতে অন্যায়ভাবে শাহাদাতবরণকারী মুজাহিদদের মৃতদেহ দাফনের জন্য মুজাহিদদের কাছে হস্তান্তর করছে না এই বিদ্রোহী গ্রুপটি। শাহাদাতবরণকারী মুজাহিদগণের মাঝে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন শহিদ কমান্ডার আবু জায়েদ জর্ডানী রহিমাহুল্লাহ্। তাঁর লাশ চারদিন যাবত দাফন না দিয়ে ফেলে রেখেছে তাহরিরুশ শাম। হুররাস আদ-দ্বীনের পক্ষ থেকে তাঁর লাশ চাওয়ার পরেও মুজাহিদদের কাছে লাশ হস্তান্তর করছেন না তাহরিরুশ শামের যোদ্ধারা। তাদের এমন নির্লজ্জ কাজের প্রতিবাদ করেছেন শামের সচেতন আলেমগণ ও ইদলিবের সাধারণ জনতা। বিপরীতে প্রতিবাদকারী সাধারণ জনতাকে লক্ষ্য করে ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাহরিরুশ শাম। আর এর ভিডিও চিত্রও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু তাহরিরুশ শাম সবকিছুকেই বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের শক্তি আর সংখ্যাধিক্যের অহংকারে নিজেদের এক চেটিয়া অবস্থার উপরই অটল রয়েছে, যেমনটি আমরা ইতিপূর্বে ইরাক থেকে বের হওয়া আইএসদের ক্ষেত্রেও দেখেছি।

    আল্লাহ মুসলিমদের মাঝে ঐক্য গড়ে দিন, শামসহ সারাবিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় চলমান জিহাদকে সকল প্রকারের ফিতনা থেকে হেফাজতে রাখুন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।









    লেখক: ত্বহা আলী আদনান, প্রতিবেদক, আল-ফিরদাউস নিউজ।

    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/06/29/39239/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    সত্যিই হৃদয় বিদারক! বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম!

    ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন।
    .........................................
    ইয়া আল্লাহ! মুসলিমদের মাঝে ঐক্য গড়ে দিন, শামসহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় চলমান জিহাদকে সকল প্রকারের ফিতনা থেকে হেফাজতে রাখুন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      ইন্না লিল্লাহ.....
      ইয়া আল্লাহ! মুসলিমদের মাঝে ঐক্য গড়ে দিন, শামসহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় চলমান জিহাদকে সকল প্রকারের ফিতনা থেকে হেফাজতে রাখুন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

      Comment


      • #4
        ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না-ইলাইহি রাজিঊন!
        নিউজটি পড়ে অন্তর ভারাক্রান্ত হয়ে গেল..।
        আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মুজাহিদ ভাইদের মধ্যে ঐক্য করে দিন ও সকল প্রকার ফিতনা থেকে হিফাজত করুন,আমীন ইয়া রাব্বাল মুজাহিদীন!
        বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
        কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

        Comment


        • #5
          Originally posted by কালো পতাকাবাহী View Post
          ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না-ইলাইহি রাজিঊন!
          নিউজটি পড়ে অন্তর ভারাক্রান্ত হয়ে গেল..।
          আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মুজাহিদ ভাইদের মধ্যে ঐক্য করে দিন ও সকল প্রকার ফিতনা থেকে হিফাজত করুন,আমীন ইয়া রাব্বাল মুজাহিদীন!
          আমীন ছুম্মা আমীন
          হে আল্লাহ্ কবুল করুন, আমীন।

          Comment


          • #6
            Originally posted by Munshi Abdur Rahman View Post
            ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন।
            .........................................
            ইয়া আল্লাহ! মুসলিমদের মাঝে ঐক্য গড়ে দিন, শামসহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় চলমান জিহাদকে সকল প্রকারের ফিতনা থেকে হেফাজতে রাখুন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
            আমিন আমিন আমিন!!!
            হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

            Comment


            • #7
              শাইখ জাউলানী সাহেব যেদিন আল কায়দা ত্যাগ করে ছিলো, সেদিনই অনেক ভাই বুঝতে পেরেছিলো যে, শামে সামনের দিনগুলোতে করুণ পরিস্থিতি আসছে। আল্লাহ আপনি আমাদের ভাইদের হিফাজত করুন আমীন।
              ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

              Comment


              • #8
                হে আল্লাহ শামে হকের উপর থাকা মুজাহিদ ভাইদের শক্তি বাড়িয়ে দিন। তাদের দৃঢ় পদ রাখুন। মুজাহিদ ভাইদের বিজয়ী করেন।
                فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

                Comment


                • #9
                  হৃদয়টা খুবই ভারাক্রান্ত হয়ে পড়লো।
                  হিন্দের পরিস্থিতি আর শামের পরিস্থিতি দেখে ব্যক্তিগত ভাবে আমার ভিতরে অনেক আশঙ্কা কাজ করছে! প্রতিশ্রুত সময় মনে হয় একদম মাথার উপর চলে এসেছে! অথচ আমার প্রস্তুতি কতটুকু!
                  হে আল্লাহ, আপনি ময়দানের মুজাহিদ ভাইদের এবং আমাদেরকে সকল ফেতনা থেকে হিফাযত করেন। আমাদরকে সত্যের উপর একতাবদ্ধ করে দিন।

                  তোমরা সৎ কাজ ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে একে অপরকে সহায়তা করবে। সূরা হুজুরাত।

                  Comment


                  • #10
                    দুঃখজনক... মর্মান্তিক... হৃদয়বিদারক... কোন শব্দে এই ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট কাজের প্রতিক্রিয়া জানাবো? সত্যিই আমি বাকরুদ্ধ!...

                    আয় আল্লাহ! আপনি নিজ অনুগ্রহে আপনার দীনের মুজাহিদদেরকে হিফাযত করুন! যালিমের সব চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিন! আমাদেরকেও আপনি আপনার দীনের সঠিক পথে অটল-অবিচল রাখুন, আমীন।
                    نحن الذين بايعوا محمدا، على الجهاد ما بقينا أبدا

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by Afif Abrar View Post
                      দুঃখজনক... মর্মান্তিক... হৃদয়বিদারক... কোন শব্দে এই ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট কাজের প্রতিক্রিয়া জানাবো? সত্যিই আমি বাকরুদ্ধ!...

                      আয় আল্লাহ! আপনি নিজ অনুগ্রহে আপনার দীনের মুজাহিদদেরকে হিফাযত করুন! যালিমের সব চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিন! আমাদেরকেও আপনি আপনার দীনের সঠিক পথে অটল-অবিচল রাখুন, আমীন।
                      ছুম্মা আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
                      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by আবু দুজানা11 View Post
                        হৃদয়টা খুবই ভারাক্রান্ত হয়ে পড়লো।
                        হিন্দের পরিস্থিতি আর শামের পরিস্থিতি দেখে ব্যক্তিগত ভাবে আমার ভিতরে অনেক আশঙ্কা কাজ করছে! প্রতিশ্রুত সময় মনে হয় একদম মাথার উপর চলে এসেছে! অথচ আমার প্রস্তুতি কতটুকু!
                        হে আল্লাহ, আপনি ময়দানের মুজাহিদ ভাইদের এবং আমাদেরকে সকল ফেতনা থেকে হিফাযত করেন। আমাদরকে সত্যের উপর একতাবদ্ধ করে দিন।

                        তোমরা সৎ কাজ ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে একে অপরকে সহায়তা করবে। সূরা হুজুরাত।
                        আমীন ইয়া রব্ব।

                        Comment


                        • #13
                          ফা সাবরুন জামীল, ওয়াল্লাহুল মুস্তা’আনু ‘আলা মা তাসিফূন।

                          দুঃখ অনেক বেশি হলেও এখান থেকে বুঝার ও শিখার আছে। এসব আমাদের নিজেদের কাজের ফসল বলে আমি মনে করি। মানুষকে ছাড় দেয়া উচিৎ সাধ্যমত, কিন্তু কঠোর হাতে নিজের উদ্দেশ্যে বাঁধা হয় এমন যে কাউকে দমন করা উচিৎ বিইজনিল্লাহ।

                          ...................................

                          আমরা ক্ষমা করতে শিখেছি, কিন্তু আত্মমর্যাদা বজায় রাখতে ভুলে গেছি। আমরা ফা’ফূ ওয়াসফাহূ (ক্ষমা করো এবং সমীহা করো)অন্তরে গেঁথে নিয়েছি, কিন্তু ফাদরিবু ফাউকাল আ'নাকী ওয়াদরিবূ মিনহুম কুল্লা বানান (অতঃপর ঘাড়ের উপর আঘাত করো এবং তাদের সবগুলা আঙ্গুলে আঘাত করো) এর কথা ভুলে গেছি।

                          আর যখন আমাদের উপর কোনো মুসীবত আসে, তখন আমরা আমাদের শত্রুদের দোষ দেই। আমরা বলি সব দোষ আইএসের, সব দোষ এইচটিএসের। কিন্তু আজ আমি যা দেখতে পাচ্ছি তা হচ্ছে, আমাদের নিজেদেরও কমতি আছে।



                          এর থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে, এবং মনে রাখতে হবে, সবসময় জী ভাই আচ্ছা ভাই করলে হবে না, নিজের সীমার মধ্যে কেউ আসলে ঘাড় ধরে বের করে দেয়ার মানষিকতাও গড়তে হবে বিইজনিল্লাহ। সবার সাথে ভালভাবে চলব ইন শা আল্লাহ, কিন্তু আমার লক্ষ্যে কেউ জোর করে বাম হাত ঢুকাতে গেলে হাট কেটে রেখে দিব ইন শা আল্লাহ, এমন মানষিকতা গড়তে হবে।


                          কি আর বলব, বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন কথা বলে ও বলবে, আইএসের দোষ, এইচটিএসের দোষ হাবিজাবি হেনতেন।

                          আরে ভাই, আল্লাহ বলেন, “আর যখন তোমাদের উপর এমন মুসীবত আসল যার দুইগুণ তোমরা (শত্রুদের উপর) দিয়েছো, তোমরা বললে, এটা কি করে হলো?! বল, এটা তোমাদের নিজেদের দোষেই। অবশ্যই আল্লাহ সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান।“

                          পরিশেষে বলতে হয়, হুম, পরিস্থিতি আমাদের প্রতিকূলে ছিল সবসময়ই, তবে বলতে হয়, ভাই, জিহাদের ময়দানে নামবেন আর পরিস্থিতি অনুকূল থাকবে এটা কি করে আশা করেন? সোমালিয়ায় তো আইএসের ফিতনা ছড়াতে পারে নাই, ইয়েমেনে তো আইএসের ফিতনা ছড়াতে পারে নাই। কারণ, আমরা শুরু থেকে তা কঠোর হাতে দমন করেছিলাম আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল ‘আলামীন। যদি আমরা শুরু থেকে liberal দের সাথে সীমানা রক্ষা করে সম্পর্ক বজায় রখতাম, তাহলে আছকে এই দিন দেখতে হত না ওয়াল্লাহু ইয়া’লামু যালিক (এবং আল্লাহ সেটা জানেন)।

                          “আর দুই দলের সাক্ষাতের দিন তোমাদের উপর যেই মুসীবত এসেছিল তা তো আল্লাহর অনুমতিতেই এসেছিল, এবং যেন তিনি মুমিনদের জেনে নিতে পারেন। এবং যেন তিনি মুনাফিকদের জেনে নিতে পারেন, আর তাদের বলা হয়েছিল, আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করো বা প্রতিরক্ষা করো। তারা বলল, আমরা যদি জানতাম লড়াই হবে তাহলে আমরা তোমাদের অনুসরণ করতামই। সেইদিন তারা ইমানের চেয়ে কুফরের অধিক নিকটবর্তী ছিল, তারা তাদের মুখে এমন কথা বলছিল যা তাদের অন্তরে ছিল না, এবং আল্লাহ ভাল জানেন যা তারা গোপন করছিল।“

                          আল্লাহ, খা’ইন গাদ্দারদের তুমি দেখে নাও, আমাদের ভাইদের সাহায্য করো আমীন। তাদের জন্য বিধ্বংসী ফেরেস্তা নাযিল করো এবং শত্রুদের ঐক্য ধ্বংস করে দাও এবং তাদেরকে তছনছ করে দাও আমীন। ইন্না নাজ’আলুকা ফী নুহূরিহিম ওয়া না’উজু বিকা মিন শুরূরিহিম। আর আমাদের ভাইদেরকে শিক্ষা গ্রহণ করার তাউফীক দান করো আমীন।
                          Last edited by আবু আব্দুল্লাহ; 07-07-2020, 08:55 PM.

                          Comment


                          • #14
                            নুসরাহ তো তখন থেকেই ধ্বংশ যখন তারা আল-কায়দার বাইয়াত ভঙ্গ করেছে , তবুও এ দেশিও কিছু ভাইদের কে দেখতাম তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে , যখন থেকে তারা বাইয়াত ভঙ্গ তখন থেকেই আমি তাদের বিরোধি , আর আমার এই বিরোধিতার কারণে কিছু ভাই ৩ বৎসর আগে আমাকে বোকা বলেছিল , আজ সে সকল ভাই দের সাথে দেখা করতে মন চাচ্ছে খুব!

                            Comment


                            • #15
                              Originally posted by শামের ঘোরা View Post
                              নুসরাহ তো তখন থেকেই ধ্বংশ যখন তারা আল-কায়দার বাইয়াত ভঙ্গ করেছে , তবুও এ দেশিও কিছু ভাইদের কে দেখতাম তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে , যখন থেকে তারা বাইয়াত ভঙ্গ তখন থেকেই আমি তাদের বিরোধি , আর আমার এই বিরোধিতার কারণে কিছু ভাই ৩ বৎসর আগে আমাকে বোকা বলেছিল , আজ সে সকল ভাই দের সাথে দেখা করতে মন চাচ্ছে খুব!
                              আসলে, আমার মতে, আজ যা আলহামদুলিল্লাহ স্পষ্ট তা ৩ বছর আগে স্পষ্ট ছিল না। আমি নিজেও ভেবেছিলাম যে হয়ত এটা তাদের কোনো পরিকল্পনা আর আমাদের সর্বদাই কর্তব্য মুসলিম ভাইদের ব্যাপারে সুধারণা করা, বিশেষত এমন ভাইদের ব্যাপারে যারা তাদের জীবন ও যৌবন ব্যয় করেছেন আল্লাহর রাস্তায়।

                              আমার মনে পড়ে অন্য জামাতের এক ভাই ২০১৯ সালে আমাকে বলেছিলেন, জাউলানী এজেন্ট হতে পারেন ইত্যাদি। আমি বলব, এখনও আমাদের এমন কিছু না বলে বলা উচিৎ যে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত জানি না, সে ব্যাপারে আমাদের এমন মন্তব্য করা উচিৎ না।

                              কিন্তু যেই সমস্যাটা আমার চোখে বাধছে, তা হচ্ছে একটা মৌলিক সমস্যা। সমস্যাটা হচ্ছে, আমাদের অতিরিক্ত ছাড় দেয়া ও সহনশীল হওয়া। আমরা অন্যান্য ইসলামী দলকে সমীহ করি, কিন্তু শামে তা অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে যায়। আমাদের অঞ্চলের ভাই এবং অন্যান্য অঞ্চলেও এই মানষিকতাটা বিদ্যমান, এবং চিন্তা বা নীতির সেই ছোট্ট ফাটলটাই আজ চিড়ে গিয়ে ভঙ্গন সৃষ্টি করেছে।

                              আমার কথা হচ্ছে, সবাইকে নিয়েই যদি চলতে তাহলে আমরা আলাদা হলাম কিসের জন্য! সব জায়াগায় মুসলমান মুসলমান বলে ছাড় দিয়ে দিলাম, তো আমার হাতে থাকল কি।

                              সবাইকে আলকায়দার দিকে টানতে হবে, যে আসবে না তার সাথে কিছু হলেও দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, সে ইসলামী দল হোক আর জিহাদী দল, আমাদের এই নীতি গ্রহণ করতে হবে।

                              আমাদের মনে রাখতে হবে, যেই আহমেদ শাহ মাসুদের ব্যাপারে মহান শায়খ আব্দুল্লাহ আজ্জামের (রহ) তাফসীরে তাউবাতে ভরা ভরা প্রশংসা করা হয়েছে, সেই আহমেদ শাহ মাসুদকে শায়খ উসামা ও তাঁর অনুসারীরাই (রহ) ইসতিশহাদী অপারেশন করে হত্যা করেন, আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন।

                              আমাদের সবসময় নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রাখতে হবে, এটা স্পষ্ট করে রাখতে হবে যে, আমি কিন্তু অনেক ভাল নম্র-ভদ্র-তুলতুল। আমি কিন্তু উঠতে বসতে সালাম দেই। কিন্তু আমার কাজে জোর করে বাম হাত ঢুকালে পরিণতি কিন্তু আল্লাহ দিলে খুব বেশি ভাল হয় না।

                              আরেকটা বিষয় হচ্ছে, এই চিন্তাগুলা এখন আর পিছনের ভুল ঠিক করতে পারবে না। এই চিন্তাগুলা তখন কাজে লাগানো দরকার ছিল যখন বীজ থেকে গাছ হয় নাই। এবং এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের ভবিষ্যৎ ঠিক রাখতে হবে ইন শা আল্লাহ, যেন শামের ইতিহাস বাংলাদেশ ও অন্যান্য অঞ্চল, এবং পরবর্তীতে শামে পুনরাবৃত্তি না হয় ওয়াল্লাহুল মুস্তা'আন।

                              Comment

                              Working...
                              X