Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৮ই জিলক্বদ, ১৪৪১ হিজরী # ১০ই জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৮ই জিলক্বদ, ১৪৪১ হিজরী # ১০ই জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

    এক শহীদ কাশ্মীরির ছবি ও একটি নির্মম বাস্তবতা



    তিন বছর বয়সী একটা কাশ্মীরি শিশু রাস্তার মাঝখানে পড়ে থাকা তার নিহত দাদার লাশের বুকের উপর বসে আছে – এই ছবিটি দেখে ক্ষুব্ধ হওয়ার জন্য কোন নৈতিক কম্পাসের প্রয়োজন পড়ে না। দুটো জিনিসের যে কোন একটা থাকলেই হয়- এক জোড়া চোখ বা একটা হৃদয়।

    কাশ্মীরের উত্তরাঞ্চলীয় সোপোর শহরে ”জঙ্গি” আর ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির পর ৬৫ বছয় বয়সী বশির আহমেদ খানকে হত্যা করা হয়। খানের পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা ঠাণ্ডা মাথায় খানকে হত্যা করেছে। তার নাতি – যে শিশুটি এখন মালাউন বাহিনীর প্রচারণার অস্ত্রে পরিণত হয়েছে, সেও একই কথা বলেছে – পুলিশ তার ‘পাপাকে’ গুলি করেছে। পুলিশ বলার চেষ্টা করছে যে, ক্রসফায়ারে খান মারা গেছে।

    কাশ্মীর নিয়ে ভারত রাষ্ট্র এবং তার মিডিয়াগুলো যে বিবরণের খেলা শুরু করেছে – সম্ভবত ‘বর্বরতা’’, ‘বিকৃতি’, ‘অমানবিকতা’ – কোন শব্দ দিয়েই সেটাকে বর্ণনা দেয়া যাবে না।

    আমাদেরকে বিশ্বাস করতে বলা হচ্ছে যে, ’জঙ্গিরা’ নাতিকে নিয়ে ড্রাইভিংরত এক বৃদ্ধকে হত্যা করেছে। এরপর সজ্জন কোন ব্যক্তি প্রথমে হতভম্ব শিশুটির ছবি তুলেছে এবং এরপর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

    কিন্তু ভাইরালের যুগে একটা স্থির ছবিতে সন্তুষ্ট না হওয়ায় কেউ একজন নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ক্রন্দনরত বাচ্চাটির একটি ভিডিও করেছে, যেটা করা হয়েছে পুলিশের গাড়ির মধ্যে। সেখানে একটা কণ্ঠস্বর শোনা যাবে, “আমরা তোমাকে বিস্কুট দেবো”। ভিডিও সেখানেই থেমে থাকেনি।

    এর সবটাই একটা মহান উদ্ধারের কাজ। কৌতুহলের ব্যাপারে হলো বাচ্চাটার জন্য এই করুণার সামান্যও তার দাদার জন্য দেখা গেলো না, যার লাশ একই ছবির মধ্যে ছিলো। সেখানে স্বাভাবিকভাবে একজন পুলিশকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলো মাত্র।

    সশস্ত্র বাহিনী, সাংবাদিক, টিভি অ্যাঙ্কার, এবং একটি বার্তা সংস্থা সবাইকেই দেখা গেলো গাড়ির ভেতরে হতবিহ্বল হৃদয় ভেঙে যাওয়া একটা শিশুর ভিডিও দেখাতেই সবাই ব্যস্ত। এই পৃথিবীর যে কোন জায়গায় এই দৃশ্য দেখানোটা একটা অপরাধ। কিন্তু কাশ্মীরিদের জীবন, বালক হোক বা বৃদ্ধ, সেটা একেবারে মূল্যহীন।

    এটা তাই কোন বিস্ময় সৃষ্টি করেনি, যখন দেখা গেলো যে, ভারতীয় মিডিয়া, অপরিপক্ক সাংবাদিক আর রাজনৈতিক গণ্ডমুর্খরা ঠিক একই লাভ লোকসানের ভাষায় কথা বলছে: দাদার লাশের উপর কিভাবে তিন বছর বয়সী একটা শিশুকে বসাতে হয়, সেটা তাদের বক্তব্যের বিষয়।

    মাটিতে আর আকাশে, সামরিকায়িত কাশ্মীর আর দিল্লীর ভাষ্যকারদের হলগুলো – সবখানেই কাশ্মীরিদের প্রতি অসম্মান আর অপমান করার মাত্রাটা এবার সম্পূর্ণ হলো।

    ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়া ছবিটির যে প্রতিক্রিয়া হয়েছে, সেখানে ভারতীয় সমাজ আর মিডিয়ার একটা বড় অংশের মধ্যে মৌলিক সভ্যতার মাপকাঠি, সাধারণ সভ্যতা, মানবিকতার সবশেষ অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে যাওয়ার প্রমাণ দিয়েছে।

    সোপোরের বিপর্যয়কর ঘটনার পরপরি বেশ কিছু মিডিয়া এবং টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ভারতীয় পুলিশের বক্তব্য দাঁড়ি-কমাসহ প্রচার করা শুরু হয়। ‘বাচ্চাকে উদ্ধার করলো পুলিশ!’ নিহতের পরিবারের বক্তব্য, যে একজন বৃদ্ধকে তার গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে গুলি করে হত্যা করে, তার নাতিকে তার বুকের উপর বসিয়ে ছবি তোলা হয়েছে, সেগুলোর কোনটাই মিডিয়ায় গুরুত্ব পায়নি।

    এটা উল্লেখ করাটা জরুরি যে, কোন সাংবাদিক ফোরাম, সম্পাদক গিল্ড, বা মিডিয়া স্টাডিজের প্রতিষ্ঠান নয় বরং কাশ্মীরের ভারতীয় প্রশাসনিক বডি ঠিক করে দিয়েছে সংবাদ আর সাংবাদিকতার নীতিমালা কি হবে। এই আমলারা তাদের কাজের জন্য একমাত্র নিজের কাছেই দায়বদ্ধ। তাদেরকে অরওয়েলিয় বলা হলে সেটা এই আইনগুলোর প্রতি অন্যায় করা হবে।

    গত বছরের আগস্টে ভারত অবৈধভাবে কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন কেড়ে নেয়ার আগেও একই পরিস্থিতি ছিলো। কিন্তু গত বছর থেকে কাশ্মীরে আইনের দস্যুতা চলছে। হ্যাঁ, আইনের দস্যুতা চলছে। অবৈধ আটকের বিরুদ্ধে আদালতে যত আবেদন করা হয়েছে, এর ৯৯ শতাংশই প্রায় এক বছর ধরে স্থগিত রাখা হয়েছে।

    ভারতীয় টিভি স্টুডিওগুলো ভিডিও ফুটেজ আর বাচ্চাকে দেখানোর পর পুলিশের সাক্ষাতকারও দেখিয়েছে, যে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করেছিলো বলে বলা হচ্ছে। বশির খানের পরিবারের বা সোপোরে প্রত্যক্ষদর্শী কারও কোন সাক্ষাতকার কোথাও নেই।

    কাশ্মীরে একটি প্রবাদ রয়েছে, ‘খুন দি বারাভ’, যেটার অর্থ দাঁড়াবে ‘রক্ত কথা বলবে’। এই শেষ ‘বারাভ’ শব্দটাই কাশ্মীরিদেরকে প্রতিটি জুলুম আর নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে দেয়। আমাদের বর্তমান বাস্তবতায়, এই অনুবাদকে নতুন করে সাজাতে হবে: রক্ত হাউমাউ করে কাঁদবে।

    সূত্র: আল জাজিরা


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/10/39877/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মালাউনদের হত্যাযজ্ঞ নিয়ে আলজাজিরার প্রতিবেদন



    বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তসন্ত্রাসী বাহিনী চলতি বছরটা শুরুই করেছিলো ভয়ঙ্কর রকমের হত্যাযজ্ঞেরর মাধ্যমে। তখন একমাসেই সীমান্তে ১৫ জনের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে খুন করা হয়েছিলো। পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে বাংলাদেশ সরকারের একাধিক মন্ত্রণালয় থেকে সীমান্ত হত্যা বিষয়ে কথা বলা হয়েছিলো। এত বন্ধুত্বের পরেও সীমান্তের সীমাহীন হত্যাকাণ্ডে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে মাঠেও আন্দোলন। তবে থামেনি বিএসএফের আগ্রাসন।

    ‘দুই দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিদ্যমান এমন সীমান্ত থেকেও বাংলাদেশ সীমান্তে প্রতিবছর বিএসএফের হাতে বেশি মানুষ খুন হয়’। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এ বছর সংগঠিত হওয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংবাদমাধ্যমটি জানাচ্ছে, ভারত-বাংলাদেশের দীর্ঘ সীমান্তে এমন কোনো মাস অতিক্রান্ত হয় না যে মাসে অন্তত কয়েকজন বাংলাদেশি বিএসএফের হাতে প্রাণ হারান না।

    “হত্যার ঘটনাগুলিও বড়ই পৈশাচিক। কাউকে পিটিয়ে, কাউকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে, কাউকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কাঁটাতারে ঝুলিয়ে হত্যার নজির রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে”।

    হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বরাতে আল জাজিরা আরও জানিয়েছে, চলতি বছরের সবে ছয়টি মাস অতিবাহিত হয়েছে। এ ছয় মাসেই অন্তত ২৫ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন সীমান্তে। মারাত্মক আহত হয়েছেন আরও ১৭ জন।

    প্রতিবেদনে বিএসএফের তথ্যে হত্যার শিকার বাংলাদেশিদের সীমান্ত অতিক্রমকারী হিসেবে দেখানোর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আল জাজিরা।

    নিছক সীমান্ত অতিক্রম করার দায়ে মৈত্রী দেশের নাগরিকদের খুন করে ফেলার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে প্রতিবেদনে।

    পাকিস্তান, চীন, এমনকি ক্ষুদ্র দেশ নেপালের সীমান্তে নমনীয় ভারতের অন্যরূপ দেখে বাংলাদেশিরা। সম্প্রতি উল্লেখিত তিনটি রাষ্ট্রের সীমান্ত বিরোধের মধ্যেও বাংলাদেশ সীমান্তে তারা চালিয়ে যাচ্ছে বর্বরতা। গত জুন মাসে অন্তত ১০ জন বাংলাদেশি হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

    বিপরীতে বাংলাদেশের পদক্ষেপ পতাকা বৈঠক পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। অনেক সময় পতাকা বৈঠকের পরও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি কাছে নিহতের লাশ হস্তান্তর করা হয় না।

    সীমান্ত হত্যাকে পাশের রাষ্ট্রের প্রতি শান্তি বিঘ্নিত করার উস্কানি হিসেবেই দেখেন বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ এবং বিশিষ্ট জনেরা।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/10/39873/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আল্লাহ তায়া'লা বিশ্বের সকল মুসলিম জাতিকে হিফাজত করুন,আমীন।
      হে আল্লাহ আপনি বিশ্বের মুজাহিদ ভাইদেরকে সুস্থ ও নিরাপদে রাখুন,আমীন।
      নাপাক মালুদেরকে আপনি উচিৎ শিক্ষা দেন,আমীন।
      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

      Comment

      Working...
      X