Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# ২১শে জিলক্বদ, ১৪৪১ হিজরী # ১৩ই জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# ২১শে জিলক্বদ, ১৪৪১ হিজরী # ১৩ই জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

    আধিপত্য বিস্তারে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়া বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রলীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এখন মেডিকেল কলেজের চারপাশে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে পুলিশ।’

    চমেক সূত্র জানায়, রোববার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে যান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান নওফেল। তিনি মেডিকেল থেকে বের হওয়ার পর চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির ও নওফেল পক্ষের ছাত্রলীগ কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। আমাদের সময়

    সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এক পক্ষ মেডিকেলের গোল চত্বরে, আরেক পক্ষ মেডিকেল কলেজের বাইরে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    সূচকে আরো পেছালো বাংলাদেশি পাসপোর্টের মান

    সূচকে আরো দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্টের মান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের মূল্যায়ন করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা দ্য হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স এ র*্যাংঙ্কিং প্রকাশ করেছে। ২০১৯ সালে সারা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে পাসপোর্টের মান ছিলো ৯৯তম। এবার য়ৌথভাবে ইরানের সঙ্গে ১০১তম অবস্থানে রয়েছে।

    পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০০৬ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টের মান ছিলো ৬৮তম। এর পরের বছর তা আরও দুই ধাপ নিচে নেমে যায়। এভাবে ধারাবাহিকভাবে কমছে বাংলাদেশি পাসপোর্টের মান। গত বছর বিশ্বের বাংলাদেশের পাসপোর্টের র*্যাংঙ্কিং ছিলো ৯৯তম।

    এবার তা আরও দুই ধাপে নেমে গিয়ে তা হয়েছে ১০১তম। গ্লোবার সূচকে বাংলাদেশ ইরানের সঙ্গে যৌথভাবে ১০১তম স্থানে রয়েছে।

    গ্লোবাল র*্যাংঙ্কিং অনুযায়ী শীর্ষস্থানে রয়েছে জাপান। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। তৃতীয় স্থানে যৌথভাবে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানি। চতুর্থ অবস্থানে যৌথভাবে রয়েছে ইতালি, ফিনল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গ। পঞ্চম স্থানে যৌথভাবে ডেনমার্ক ও অস্ট্রিয়া। এছাড়া সুইডেন, ফ্রান্স, পর্তুগাল ও নেদারল্যান্ডস যৌথভাবে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।

    বেলজিয়াম, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে ৭ম অবস্থানে রয়েছে। ৮ম র*্যাংঙ্কিংয়ে যৌথভাবে রয়েছে চেক রিপাবলিক, গ্রিস, মাল্টা ও নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা যৌথভাবে ৯ম ও হাঙ্গেরি ১০ম র*্যাংঙ্কিংয়ে রয়েছে। এছাড়া মালয়েশিয়া ১৪তম, ইসরায়েল ২৪তম, তুরস্ক ৫৫তম, কুয়েত ৫৭তম, মালদ্বীপ ৬২তম, বাহরাইন ৬৪তম, ওমান ৬৫তম, সৌদি আরব ৬৭তম, মরক্কো ৭৯তম, ভারত ও তাজিকিস্তান ৮৫তম অবস্থানে রয়েছে।

    বিশ্বে ভিসামুক্ত চলাচল স্বাধীনতার ওপর গবেষণা করে প্রতিবছর এ সূচক প্রকাশ করে আসছে দ্য হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স। গত ৭ই জুলাই এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

    আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থার (আইএটিএ) ভ্রমণ তথ্যভাণ্ডারের সহযোগিতা নিয়ে এ সূচক তৈরি করা হয়েছে।

    সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সীতাকুণ্ড বেহাল সড়কে জনগনের দুর্ভোগ চরমে

      চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ডু উপজেলার মান্দারীটোলা সড়কের বেহাল অবস্থা। ইট-সুরকি উঠে রাস্তা ভেঙে দুর্ভোগে হাজারও মানুষ। বিভিন্ন স্থানে সিসি ঢালাইয়ের রড উঠে মাটি বের হয়ে গেছে। ভারী যানবাহনে সৃষ্টি ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত পানিতে ডুবে থাকে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যাত্রীরা। ৫ মিনিটের পথ যেতে লাগে আধাঘণ্টা।

      ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে পশ্চিম দিকে প্রায় ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত এই সড়কের অবস্থান। কয়েক বছর যাবৎ এখানে গড়ে উঠছে এলপিজি গ্যাস ফ্যাক্টরি। সড়কটি দিয়ে গ্যাস ফ্যাক্টরির বড় বড় কাভার্ড ভ্যানসহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করে। এ ছাড়া এই রাস্তা ব্যবহার করে ৪-৫ গ্রামের মানুষ। সরেজমিন দেখা গেছে, এ সড়কের বেশির ভাগ স্থানে কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। কিছু জায়গায় ইট বের হয়ে আছে। অনেক স্থানেই মাটি দেবে গেছে।

      মান্দারীটোলা গ্রামের অটোরিকশা চালক হারুনুর রুশিদ বলেন, এই সড়কে ছোট-বড় যানবাহন গর্তে পড়ে প্রায়ই উল্টে যায়। গ্যাস ফ্যাক্টরিগুলো নির্মিত হওয়ার পর থেকে রাস্তাটির এমন অবস্থা। গর্ভবতী ও রোগীদের দুর্ভোগ দেখে কান্না আসে। আমাদের সময়
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী আওয়ামীলীগের দুগ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি

        নগরীর লালখান বাজার মতিঝর্ণা এলাকার বস্তির নিয়ন্ত্রণ নেওয়াকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে ও গতকাল সকালে সন্ত্রাসী ক্ষমতাসীন দলের দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত চারজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ গুলিবিদ্ধ না হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়েছে। আর প্রকাশ্যে গোলাগুলির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। অনেকে প্রকাশ্যে ক্ষোভও দেখায়।

        আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের নাম জানা যায়নি। সংঘর্ষে একপক্ষে নেতৃত্ব দেন জাহেদুর রহমান এবং অন্য পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন সালাহউদ্দিন ওরফে ডিস সালাহউদ্দিন। দুজনই চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলার আসামি। ইতোপূর্বে তারা লালখান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর এএফ কবির আহমেদ মানিক ও একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের সমর্থক।

        ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে নগরীর দক্ষিণ নালাপাড়া এলাকায় নিজ বাসার সামনে পিটিয়ে খুন করা হয় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের নিয়ন্ত্রণ নেওয়াকে কেন্দ্র করে কোন্দলে প্রাণ যায় সুদীপ্ত বিশ্বাসের। হত্যাকারীরা লালখান বাজার থেকে মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে নালাপাড়া যায়। হত্যাকা- শেষে ফিরে আসেন লালখান বাজার। জাহেদুর রহমান ওই ঘটনায় পিস্তল থেকে ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ান। ইতিপূর্বে জাহেদুর রহমান ও সালাহউদ্দিন দুজনই সুদীপ্ত হত্যা মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। পরে জামিনে বের হয়ে আসেন। তবে জাহিদ যে পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়েছিলেন, সেই পিস্তল আর উদ্ধার হয়নি।

        প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাতে মতিঝর্ণা বস্তির নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আবারও পিস্তল থেকে গুলি ছোড়েন জাহেদ। এ সময় তার প্রতিপক্ষ সালাহউদ্দিনের পক্ষ থেকেও গুলি করা হয়। সালাহউদ্দিনের পক্ষে ছিলেন মো. আলমগীর নামের আরেক সন্ত্রাসী। লালখান বাজার এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা দিদারুল ইসলাম আবীর হত্যাসহ তিনিও একাধিক মামলার আসামি। উভয়পক্ষ নিজেদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মী দাবি করায় পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়। আমাদের সময়
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরাইলে হাজার হাজার লোকের বিক্ষোভ

          ইসরাইলে ১০ হাজারের বেশি লোক তেল আবিবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সঙ্কট সামাল দিতে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ হয়।

          বিক্ষোভকারীরা নগরীর প্রধান প্রধান রাস্তা অতিক্রমের সময় 'বিবি ফিরে যাও!' বলে ধ্বনি দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের পর পুলিশ ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে।

          পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালালে তাদের বাহিনীর তিনজন হালকা আহত হয়েছে।
          রোববার সকালে অর্থমন্ত্রী ইসরায়েল কাটস এক টিভি সাক্ষাতকারে বলেছেন, বিক্ষোভ গণতন্ত্রের অংশ। তাদের যন্ত্রণা আমি বুঝি।

          উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে অনেকে জীবিকা হারিয়ে ফেলায় তাদের কষ্ট আরো বেড়েছে। অনেকে বলছে, সরকার সহায়তার কথা ঘোষণা করলেও তা তাদের হাতে পৌঁছাছে না। নয়া দিগন্ত

          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            কোরবানির চামড়া নিয়ে সরকারের বিশৃঙ্খলায় এবারো বঞ্চিত হবেন দরিদ্ররা


            কোরবানি পশুর চামড়ার ন্যায্য দাম না পেয়ে গত বছর লক্ষাধিক পিস চামড়া ধ্বংস করা হয়েছিলো। যার বেশির ভাগ মাটিচাপা দেয়া হয়। কিছু ভাসিয়ে দেয়া হয় নদীতে। চামড়ার মূল্য না থাকায় স্মরণকালের ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়ে দেশের চামড়ার বাজার। দামে ধস নামায় প্রায় হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়। পাশাপাশি এই টাকা থেকে বঞ্চিত হয় মাদ্রাসার এতিম ফান্ড। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৩০০-৪০০ টাকায় কিনেও সেই চামড়া ৫০ টাকা বিক্রি করতে পারেনি। করোনার কারণে চামড়া নিয়ে এবারো সেই সঙ্কট আরো বাড়ার শঙ্কা করছে ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি চামড়া শিল্প রক্ষায় গঠিত টাস্কফোর্সের সভায় এ শঙ্কার কথা জানান তারা।

            সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কোরবানির পশুর চামড়ার সঙ্কট উত্তরণ এবং চামড়া শিল্প রক্ষায় গত বছর অক্টোবরে সরকারের চারটি মন্ত্রণালয় ও বেশ কয়েকটি বিভাগের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় এবারো কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে বিশৃঙ্খলার শঙ্কা করেন সরকারের তিনজন মন্ত্রী এবং এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা। সভায় একগুচ্ছ প্রস্তাব ও কিছু সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে ছিল ঈদের এক মাস আগে চামড়ার দাম নির্ধারণ করে ব্যাপকভাবে প্রচার, এক মাস আগে ট্যানারি মালিক ও আড়তদারদের জন্য চামড়া কেনার প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড় করা, প্রয়োজনে সরকার বাজার থেকে অবিক্রীত চামড়া কিনে গুদামজাত করা এবং কাঁচাচামড়া রফতানি করা যায় কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া। ঈদের বাকি আছে আর মাত্র ২০ দিন। অথচ সেই সভার একটি সিদ্ধান্তও এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তার মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে অর্থ ছাড়ের ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হলেও কবে নাগাদ সেই টাকা পাওয়া যাবে বা কারা পাবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছেন ট্যানারি মালিকরা।

            সভা সূত্রে জানা গেছে, মৌসুমি ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকরা যদি যথাসময়ে চামড়া কিনতে অনাগ্রহী হয় তাহলে বাজারে অতিরিক্ত চামড়া সরকারিভাবে কিনে দুই তিন মাস গুদামজাত করা হবে। এ ছাড়াও সারা দেশে মসজিদের ইমাম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এতিমখানা ও মাদরাসার প্রধানদের চামড়া নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া বেচাকেনা হয় কি না তা মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওদের সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। সরকারের দেয়া ঋণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে সরকারের আর্থিক বিভাগ। এসব সিদ্ধান্ত কিভাবে বাস্তবায়ন হবে তা এখনো পরিষ্কার করতে পারেনি সরকার।

            সভায় চামড়া নিয়ে সার্বিক আলোচনা হলেও ৫টি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়। এর মধ্যে চামড়া শিল্পের সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচনা, শিল্পের বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করে তা উত্তরণের উপায়, শিল্পের উন্নয়ন, বাজার সম্প্রসারণ ও রফতানি বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ, পরিবেশ আইন বিধিমালা অনুসরণ এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কমপ্লায়েন্স অর্জনের জন্য কর্মপরিকল্পনা এবং নতুন বাজার অনুসন্ধান, বিদ্যমান বাজার শক্তিশালী করে নতুন নতুন উদ্ভাবন, ব্যবসায়িক উদ্যোগের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন।

            সভায় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মাজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, চামড়া শিল্পের বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে তিনটি মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে কাজ করছে। গত বছরের মতো এবারো চামড়া সঙ্কট যাতে তৈরি না হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি। চলতি বছর চামড়া যেন নষ্ট না হয় সে জন্য জেলাপর্যায়ে চামড়া সংগ্রহ করে বিভিন্ন গুদামে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, কাঁচাচামড়া সংগ্রহে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করা হবে। চামড়া শিল্প সম্প্রসারণের জন্য রাজশাহী ও চট্টগ্রামে শিল্পনগরী গড়ে তোলা হচ্ছে।

            বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেন, প্রান্তিক চামড়া ব্যবসায়ীরা যাতে চামড়া কিনতে পারে সেজন্য ট্যানারি মালিকদের সমন্বয়ে গত বছর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু দামে ধস নামে। তিনি বলেন, ট্যানারি সাভারে স্থানান্তরের ফলে মালিকরা হাজারীবাগের জায়গা বন্ধক রেখে ব্যাংক লোন পাচ্ছেন না। যত দিন ট্যানারি মালিকদের আর্থিক সমস্যার সমাধান না হয় তত দিন কোরবানির চামড়া নিয়ে একটি বিকল্প সমাধান বের করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোরবানির সময় সরকারকে চামড়া কিনতে হবে অথবা কাঁচাচামড়া রফতানি করা যায় কি না সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।

            পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বাণিজ্য মন্ত্রীর সাথে একমত পোষণ করে বলেন, বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা বিশ্বব্যাপী। সে হিসেবে চামড়া শিল্পের আরো উন্নয়ন দরকার। কিন্তু বর্তমানে মানুষ কেন চামড়া কিনতে অনিচ্ছুক সে বিষয়টি খতিয়ে দেখে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

            বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বলেন, টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছিলো তা বাস্তবায়ন হলে সঙ্কট কাটানো সম্ভব ছিলো। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সাড়া মেলেনি। তিনি বলেন, ট্যানারি সাভারে যাওয়ায় অনেক কারখানা এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। এতে আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে রফতানি। বিদেশী ক্রেতাদের চাহিদামতো চামড়া দিতে না পারায় তারাও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

            কোরবানির চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, তৃণমূল পর্যায়ে চামড়ার মূল্য নিশ্চিত করা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয়ের ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিকে সংশ্লিষ্টদের সাথে সভা করে সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। শিল্প, বাণিজ্য, পরিবেশ মন্ত্রী ছাড়াও টাস্কফোর্সের সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান, পররাষ্ট্র, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ট্যানারি মালিক, লেদার খাতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

            প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, সারা বছর দেশে প্রায় ২ কোটি ৩১ লাখ গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া জবাই হয়। এর অর্ধেকই হয় কোরবানির ঈদে। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া মিলিয়ে দেশে কোরবানি হয়েছে প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ পশু। নয়া দিগন্ত

            এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) ডেপুটি সেক্রেটারি মিজানুর রহমান বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার আরো ভয়াবহ সঙ্কট হবে। কারণ টাস্কফোর্সের সভায় যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেগুলোর একটিও বাস্তবায়ন হয়নি। সঙ্কটের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, কোনো ধরনের প্রস্তুতি ছাড়াই ট্যানারিগুলো সাভারে নিয়ে যাওয়া, মালিকদের জমির দলিল না দেয়া, জমি ও কারখানার টাকা পরিশোধ করে মালিকদের নগদ টাকার সঙ্কট। তিনি বলেন, সাভারে যাওয়ার পরই ট্যানারি মালিকরা ঋণখেলাপি হতে শুরু করে। এ শিল্পকে বাঁচাতে সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ১৫ বছরে সড়ক সংস্কার না হলেও জানেন না প্রকৌশলী

              ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা সদরের একটি সড়ক গত ১৫ বছরে একবারও সংস্কার করা হয়নি। উপজেলা সদরের ডাকবাংলো মোড় থেকে এলএসডি ঘাট পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি সংস্কার করছে না কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার ফলে সড়কজুড়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এক পশলা বৃষ্টিতেই কাদাজলে মাখামাখি সড়কে ভোগান্তিতে পড়েন গাড়িচালক ও এই সড়কে চলাচল করা পথচারীরা।

              জানা যায়, সড়কটি বহু বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় নৌপথে এলএসডি ঘাটে আসা সরকারি চাল ও গম খাদ্য গুদামে নিতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় গাড়িচালকদের। এ ছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জেলা ও বিভাগীয় শহর থেকে নৌপথে আনা মালামালও এই ঘাট থেকেই আনা-নেওয়া করা হয়। গত ১৫ বছর আগে শেষবার এই সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল। এরপর অজানা কারণে তা আর সংস্কার করা হয়নি। এই সড়কেই রয়েছে রাজাপুর ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসাসহ তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অর্ধশতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, চারটি করাতকল ও দুটি অটো রাইস মিল। উপজেলা সদরের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি ব্যবহার করেন কয়েক শ শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ।

              স্থানীয় বাসিন্দা মো. সাইদুল ইসলাম তালুকদার বলেন, উপজেলা সদরের মধ্যে এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি ও উপজেলা সদরের ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল এ সড়ক দিয়েই এলএসডি ঘাটে আনা-নেওয়া করে। তাই সড়কটি জরুরিভিত্তিতে সংস্কার করা প্রয়োজন।

              স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. সুমন বলেন, সড়কটিতে বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে থাকে। এখান থেকে কোনো গাড়ি গেলে আমাদের দোকানের ভেতর পানি প্রবেশ করে মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। সড়কটিতে বর্ষা মৌসুমে সব সময় কাদাপানি থাকায় আমাদের দোকানগুলোতে ক্রেতা আসতে চায় না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়িকভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

              রিকশাচালক মো. জামাল হোসেন বলেন, মহাসড়কের সাথে এই সড়কটির সংযোগ রয়েছে। সড়কটি সংস্কার হলে উপজেলা সদরের মূল সড়কে যানবাহনের চাপ কমবে। কালের কন্ঠ
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ১০ হাজার কোটি টাকা মূলধন ঘাটতির পথে সোনালী ব্যাংক


                চরম মূলধন ঘাটতির মুখোমুখি সোনালী ব্যাংক। চলতি বছরে রাষ্ট্রীয় খাতের বৃহত্তম এই ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ১০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছবে। শুধু তাই নয়, চলতি বছর ব্যাংকের মুনাফা গত বছরের তুলনায় ৮০০ কোটি টাকা হ্রাস পাবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে দ্রুত আর্থিক সহায়তা কামনা করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বলা হয়েছে, মূলধন ঘাটতি পূরণের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার সরকারি গ্যারান্টি অথবা পারপেচ্যুয়াল বন্ড ইস্যু না করলে ব্যাংকটির অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাবে। সম্প্রতি সোনালী ব্যাংকের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ৪ পাতার একটি পত্র দিয়ে এসব কথা জানিয়েছেন।

                চিঠিতে ব্যাংকের নানা দিক তুলে ধরে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে ‘ব্যাসেল-৩’ বাস্তবায়নের কাজ পুরোপুরি শুরু হয়েছে। কিন্তু ব্যাসেল-৩ এর কঠোর মূলধন হতে ‘ডিফারড ট্যাক্স অ্যাসেটস (ডিটিএ), রিভেল্যুয়েশন রিজার্ভ, প্রভিশন ঘাটতি ইত্যাদি কর্তন, ব্যাংকের আশানুরূপ নিট মুনাফা অর্জিত না হওয়া সর্বোপরি ২০০৭ সালে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরকালীন পুঞ্জীভূত ক্ষতি (লোকসান) ৬ হাজার ৫৭৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা ‘গুডউইল’ রূপান্তর করে গত ১০ বছরে মুনাফার বিপরীতে সমন্বয় প্রভৃতি কারণে এ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়। এরপরও ব্যবসায়িক অবস্থার উন্নয়ন, লোকসানি শাখার সংখ্যা কমিয়ে আনা, শ্রেণীকৃত ঋণ হতে আর্থিক আদায় বাড়ানোর মাধ্যমে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনা, মুনাফা বৃদ্ধির মাধ্যমে মূলধন ভিত শক্তিশালী করার মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক সব বাণিজ্যিক ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মধ্যে ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ দুই হাজার ২৬ কোটি টাকা পরিচালনা মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয়। নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী ২০১৯ সালেও প্রায় অনুরূপ মুনাফা প্রত্যাশা করছে। পরিচালন মুনাফা বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার পরও ‘ব্যাসেল-৩’ কঠোর নিয়মের কারণে বিভিন্ন সমন্বয় ও শ্রেণীকৃত ঋণের আধিক্য এবং প্রভিশন ঘাটতিজনিত কারণে নিট মুনাফা অর্জনের মাধ্যমে ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

                কোভিড-১৯-এর (করোনাভাইরাস) প্রভাব সোনালী ব্যাংকের ওপর সর্বাধিক পড়বে উল্লেখ করে ব্যাংকটির এমডি জানিয়েছেন, এর ফলে প্রাথমিক হিসাবে চলতি ২০২০ সালে ব্যাংকের পরিচালনগত মুনাফা গত বছরের তুলনায় ৮০০ কোটি টাকা কম হবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। যা ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির ওপর আরো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে সোনালী ব্যাংকে আরো বেশি হারে মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে বলে ব্যাংকের পক্ষ থেকে উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে ব্যাসেল-৩ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হলে ব্যাংকগুলোকে ‘ক্যাপিটাল কনসারভেশন বাফার’ বাবদ আড়াই শতাংশসহ ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ১২.৫০ শতাংশ হারে মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে। তা ছাড়া সোনালী ব্যাংকে ‘ডমেস্টিক সিস্টেমেক্যালি ইমপোর্টেন্ট ব্যাংক’ (ডিএসসিআইবি) হিসেবে ২.৫০ শতাংশ, ‘কাউন্টারসিলিক্যাল ক্যাপিটাল বাফার’ (সিসিবি) বাবদ ২.৫০ শতাংশ হিসেবে আরো ৫ শতাংশ সহ সর্বমোট ১৭.৫০ শতাংশ হারে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে। এ প্রেক্ষিতে ব্যাংকের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় নেয়া হলে ২০২০ সালে সোনালী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে আনুমানিক ১০ হাজার কোটি টাকা। নিট মুনাফা দ্বারা এই বিপুল পরিমাণ মূলধন ঘাটতি পূরণ স্বল্প মেয়াদে অসম্ভব। নিট মুনাফা অর্জন দ্বারা ব্যাসেল-৩ মোতাবেক মূলধন ঘাটতি পূরণে ব্যাংকের দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে, যা ব্যাসেল-৩ ডেডলাইন পরিপালনে বড় অন্তরায় বলে মনে করছে ব্যাংকটি। নয়া দিগন্ত

                এই বিশাল অঙ্কের মূলধন ঘাটতি পূরণে সোনালী ব্যাংকের পক্ষ থেকে তিনটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এক, সরকার কর্তৃক নগদ অর্থ সরবরাহের বিপরীতে সরকারের অনুকূলে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ। দুই, মূলধন ঘাটতি পূরণে সরকার কর্তৃক এ ব্যাংকের অনুকূলে ১০ হাজার কোটি টাকার সরকারি গ্যারান্টি পত্র ইস্যু করা এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক তাকে মূলধন হিসেবে স্বীকৃতিদানের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা এবং তিন, সরকার কর্তৃক এ ব্যাংকের অনুকূলে নামমাত্র কুপন হারে ১০ হাজার কোটি টাকার সরকারি পারপেচ্যুয়েল বন্ড ইস্যু করা।
                সোনালী ব্যাংকের এ প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ প্রস্তাবের বিষয়গুলো অর্থমন্ত্রী দেশে ফিরলে তার নজরে আনা হবে। উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত ছাড়া এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  ১০ হাজার কোটি টাকা মূলধন ঘাটতির পথে সোনালী ব্যাংক


                  চরম মূলধন ঘাটতির মুখোমুখি সোনালী ব্যাংক। চলতি বছরে রাষ্ট্রীয় খাতের বৃহত্তম এই ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ১০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছবে। শুধু তাই নয়, চলতি বছর ব্যাংকের মুনাফা গত বছরের তুলনায় ৮০০ কোটি টাকা হ্রাস পাবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে দ্রুত আর্থিক সহায়তা কামনা করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বলা হয়েছে, মূলধন ঘাটতি পূরণের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার সরকারি গ্যারান্টি অথবা পারপেচ্যুয়াল বন্ড ইস্যু না করলে ব্যাংকটির অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাবে। সম্প্রতি সোনালী ব্যাংকের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ৪ পাতার একটি পত্র দিয়ে এসব কথা জানিয়েছেন।

                  চিঠিতে ব্যাংকের নানা দিক তুলে ধরে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে ‘ব্যাসেল-৩’ বাস্তবায়নের কাজ পুরোপুরি শুরু হয়েছে। কিন্তু ব্যাসেল-৩ এর কঠোর মূলধন হতে ‘ডিফারড ট্যাক্স অ্যাসেটস (ডিটিএ), রিভেল্যুয়েশন রিজার্ভ, প্রভিশন ঘাটতি ইত্যাদি কর্তন, ব্যাংকের আশানুরূপ নিট মুনাফা অর্জিত না হওয়া সর্বোপরি ২০০৭ সালে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরকালীন পুঞ্জীভূত ক্ষতি (লোকসান) ৬ হাজার ৫৭৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা ‘গুডউইল’ রূপান্তর করে গত ১০ বছরে মুনাফার বিপরীতে সমন্বয় প্রভৃতি কারণে এ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়। এরপরও ব্যবসায়িক অবস্থার উন্নয়ন, লোকসানি শাখার সংখ্যা কমিয়ে আনা, শ্রেণীকৃত ঋণ হতে আর্থিক আদায় বাড়ানোর মাধ্যমে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনা, মুনাফা বৃদ্ধির মাধ্যমে মূলধন ভিত শক্তিশালী করার মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক সব বাণিজ্যিক ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মধ্যে ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ দুই হাজার ২৬ কোটি টাকা পরিচালনা মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয়। নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী ২০১৯ সালেও প্রায় অনুরূপ মুনাফা প্রত্যাশা করছে। পরিচালন মুনাফা বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার পরও ‘ব্যাসেল-৩’ কঠোর নিয়মের কারণে বিভিন্ন সমন্বয় ও শ্রেণীকৃত ঋণের আধিক্য এবং প্রভিশন ঘাটতিজনিত কারণে নিট মুনাফা অর্জনের মাধ্যমে ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

                  কোভিড-১৯-এর (করোনাভাইরাস) প্রভাব সোনালী ব্যাংকের ওপর সর্বাধিক পড়বে উল্লেখ করে ব্যাংকটির এমডি জানিয়েছেন, এর ফলে প্রাথমিক হিসাবে চলতি ২০২০ সালে ব্যাংকের পরিচালনগত মুনাফা গত বছরের তুলনায় ৮০০ কোটি টাকা কম হবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। যা ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির ওপর আরো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে সোনালী ব্যাংকে আরো বেশি হারে মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে বলে ব্যাংকের পক্ষ থেকে উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে ব্যাসেল-৩ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হলে ব্যাংকগুলোকে ‘ক্যাপিটাল কনসারভেশন বাফার’ বাবদ আড়াই শতাংশসহ ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ১২.৫০ শতাংশ হারে মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে। তা ছাড়া সোনালী ব্যাংকে ‘ডমেস্টিক সিস্টেমেক্যালি ইমপোর্টেন্ট ব্যাংক’ (ডিএসসিআইবি) হিসেবে ২.৫০ শতাংশ, ‘কাউন্টারসিলিক্যাল ক্যাপিটাল বাফার’ (সিসিবি) বাবদ ২.৫০ শতাংশ হিসেবে আরো ৫ শতাংশ সহ সর্বমোট ১৭.৫০ শতাংশ হারে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে। এ প্রেক্ষিতে ব্যাংকের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় নেয়া হলে ২০২০ সালে সোনালী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে আনুমানিক ১০ হাজার কোটি টাকা। নিট মুনাফা দ্বারা এই বিপুল পরিমাণ মূলধন ঘাটতি পূরণ স্বল্প মেয়াদে অসম্ভব। নিট মুনাফা অর্জন দ্বারা ব্যাসেল-৩ মোতাবেক মূলধন ঘাটতি পূরণে ব্যাংকের দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে, যা ব্যাসেল-৩ ডেডলাইন পরিপালনে বড় অন্তরায় বলে মনে করছে ব্যাংকটি। নয়া দিগন্ত

                  এই বিশাল অঙ্কের মূলধন ঘাটতি পূরণে সোনালী ব্যাংকের পক্ষ থেকে তিনটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এক, সরকার কর্তৃক নগদ অর্থ সরবরাহের বিপরীতে সরকারের অনুকূলে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ। দুই, মূলধন ঘাটতি পূরণে সরকার কর্তৃক এ ব্যাংকের অনুকূলে ১০ হাজার কোটি টাকার সরকারি গ্যারান্টি পত্র ইস্যু করা এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক তাকে মূলধন হিসেবে স্বীকৃতিদানের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা এবং তিন, সরকার কর্তৃক এ ব্যাংকের অনুকূলে নামমাত্র কুপন হারে ১০ হাজার কোটি টাকার সরকারি পারপেচ্যুয়েল বন্ড ইস্যু করা।
                  সোনালী ব্যাংকের এ প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ প্রস্তাবের বিষয়গুলো অর্থমন্ত্রী দেশে ফিরলে তার নজরে আনা হবে। উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত ছাড়া এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    ১০ হাজার কোটি টাকা মূলধন ঘাটতির পথে সোনালী ব্যাংক
                    মুহতারাম ভাইয়েরা- উপরের শিরোনামের সংবাদটা দুইবার পোস্ট করা হয়েছে। একটি ডিলেট করে দিলে ভাল হবে মনে হয়।
                    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                    Comment

                    Working...
                    X