Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৮শে জিলক্বদ, ১৪৪১ হিজরী # ২০শে জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৮শে জিলক্বদ, ১৪৪১ হিজরী # ২০শে জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

    ৬৯ ফিলিস্তিনী নারী ও শিশুকন্যাকে আটক ইহুদিবাদী ইসরাইলের



    চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ৬৯ জন ফিলিস্তিনী নারী ও কন্যাশিশুকে আটক করেছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনের বন্দী বিষয়ক রিসার্চ সেন্টারের মুখপাত্র রিয়াদ আল-আশকার এ তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি শনিবার জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে এক বক্তব্যে বলেন, ফিলিস্তিনী নারীদের আটক করার সময় কোনও বাছবিচার করে না ইসরাইলি সেনারা; এমনকি তারা বৃদ্ধা এবং অসুস্থ নারীদের ধরে নিয়ে যেতেও দ্বিধা করে না।

    আল-আশকার বলেন, ফিলিস্তিনী নারীরা যাতে কোনও ধরনের ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রামে অংশ না নেন সেজন্য তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে এসব নারীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসরাইল বিরোধী পোস্ট দেওয়ার দায়েও ফিলিস্তিনী নারীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফিলিস্তিনের বন্দী বিষয়ক রিসার্চ সেন্টারের মুখপাত্র বলেন, বর্তমানে ইসরাইলি কারাগারে ৪১ ফিলিস্তিনী নারী বন্দী রয়েছেন। এদের মধ্যে ২৫ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে এবং বাকি ১৬ জন বিনা বিচারে আটক রয়েছেন।আল-আশকার জানান, ইসরাইলি কারাগারগুলোতে বর্তমানে ৪ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনী বন্দী রয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৭০ জন শিশু ও বৃদ্ধ রয়েছেন। ডেইলি সংগ্রাম


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/20/40361/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ড্রোন ফুটেজ প্রকাশ এর পরও উইঘুর নির্যাতন অস্বীকার চীনা রাষ্ট্রদূতের



    চীনের শিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতন নিয়ে সম্প্রতি নতুন ড্রোন ফুটেজ প্রকাশ হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, উইঘুরসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর শত শত মানুষের চোখ বেঁধে রাখা হয়েছে। তাদের শিকল দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। এমন প্রমাণ সত্ত্বেও শিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লউ শিয়াওমিং। তিনি দাবি করেছেন, উইঘুররা অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সংহতিপূর্ণভাবে বাস করছেন। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

    খবরে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংগঠন চীনের শিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হয় বলে আসছে বহুদিন ধরে। অভিযোগ অনুসারে, সেখানে বন্দিশিবিরে সংখ্যালঘুদের জোরপূর্বক শ্রম, বন্ধ্যাকরণ ও আটক করে রাখা হচ্ছে। তবে চীন বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি, শিবিরগুলোয় সংখ্যালঘুদের পুনঃশিক্ষা দেওয়া হয়।

    তবে সম্প্রতি প্রকাশিত এক ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে, শিকল দিয়ে বাঁধা শত শত উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু পুরুষকে চোখে কালো কাপড় বেঁধে একটি ট্রেন থেকে নামিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভিডিওটি গত আগস্টের ও ওই ট্রেনটির মাধ্যমে বন্দিদের শিনজিয়াংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    এর পর শিয়াওমিংকে শিনজিয়াংয়ের একজন নারীর সাক্ষাৎকার দেখানো হয়। তাতে ওই নারী বলেন, তাকে জোরপূর্বকভাবে বন্ধ্যা করে দেওয়া হয়েছে। এ সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে শিয়াওমিং বলেন, এসব চীনবিরোধী গোষ্ঠীর প্রতিবেদন। চীনে উইঘুর নারীদের ব্যাপকভাবে জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ হয় না। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, এ রকম একক ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।’
    সূত্রঃ আমাদের সময়


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/21/40382/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আসামে ৩ বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয়রা



      ভারতের আসামে তিন বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জুলাই) প্রদেশটির দক্ষিণাঞ্চলে করিমগঞ্জ জেলায় এ ঘটনা ঘটে।

      ওই দলের আরো চার জন ছিল যারা পালিয়ে বেঁচে গেছে।

      ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দুকে করিমগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার কুমার সঞ্জিত কৃষ্ণ জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে বিএসএফের ১৩৪ ব্যাটালিয়নের ই কোম্পানির কাছেই বগ্রিজান টি এস্টেটে। সেখানে থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে নিকটবর্তী পুলিশ আউটপোস্টের দূরত্ব মাত্র দেড় কিলোমিটার।

      ওই পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, তারা তদন্ত করে দেখেছেন ওই বাংলাদেশীরা সীমান্ত পেরিয়ে বগ্রিজান এলাকায় গরু চুরির করার উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিলেন। স্থানীয়রা তাদের গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

      আসামের করিমগঞ্জ জেলায় দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশীকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা এ নিয়ে দুটি ঘটল। ইনসাফ২৪

      ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফের ভাষ্যমতে, গত ১ জুন ৪৩ বছর বয়সী এক বাংলাদেশীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি আরো তিন বাংলাদেশী ও দুই ভারতীয়র সঙ্গে গরু চুরি করতে এসেছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/20/40350/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভারতে বন্যা কবলিত ২৬ জেলার ২৮ লাখ বাসিন্দা



        ভারতের আসামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। রাজ্যটিতে অব্যাহত ভারি বৃষ্টিতে চলমান বন্যা ও ভূমিধ্বসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৫ জনে। বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন ২৬টি জেলার প্রায় ২৮ লাখ বাসিন্দা। এরইমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বাস্তুচ্যুত প্রায় ৪৭ হাজার মানুষকে।

        যতই দিন যাচ্ছে ততই অবনতি হচ্ছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের বন্যা পরিস্থিতি। যেদিকেই চোখ যায় শুধু পানি। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। কোথায় নদী আর কোথায় ভূমির অবস্থান দেখে বোঝার উপায় থাকবে না।

        অব্যাহত ভারী মৌসুমি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট সাম্প্রতিক ভয়াবহ এ বন্যায় এ পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে রাজ্যের ২৬টি জেলার আড়াই হাজারেরও বেশি গ্রাম। বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন এসব জেলার অন্তত ২৮ লাখ মানুষ। কেবল ধুবড়িতেই পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ। বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে সোয়া এক লাখেরও বেশি হেক্টর জমির ফসল। বাস্তুচূত হয়েছেন প্রায় ৪৭ হাজার বাসিন্দা, যাদেরকে এরইমধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে।

        একজন বলেন, ‘প্রতিবছরই কম বেশি বন্যা হয়, কিন্তু এ বছরের মতো এত ভয়াবহ বন্যা এর আগে দেখিনি। রাস্তাঘাট ঘরবাড়ি সব ডুবে গেছে। মানুষ অসহায় হয়ে নৌকায় রাত কাটাচ্ছে।’

        শুধু বন্যা নয়, অব্যাহত ভারি বৃষ্টিপাতে দেখা দিয়েছে ভূমিধসও। শনিবার পর্যন্ত আসামে বন্যা ও ভূমিধ্বসে প্রাণ হারিয়েছে শতাধিক মানুষ।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/20/40362/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          কোরবানি নিয়ে মালাউন বিএসএফের অবমাননাকর বক্তব্য



          ভারতের হিন্দু মালাউনরা নির্মমভাবে পাঠা বলি দিলেও তাদের মায়াকান্না গরু নিয়ে। যদিও বিশ্বে গোমাংশ রপ্তানিতে ভারত অন্যতম। তবুও গোমূত্র খোররা মুসলিমদের কোরবানি ঈদে আল্লাহ তায়ালার নামে উৎসর্গ করে জবাইকে প্রাণীগুলোর উপর ’নির্যাতন’ হিসেতে আখ্যায়িত করেছে।

          সংবাদে বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি’র বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে ”প্রাণীগুলোকে পরম যত্নের সঙ্গে লালন-পালন করা হয়। কিন্তু কোরবানি ঈদের নামে উৎসর্গ করে জবাই করার অর্থ হলো নির্যাতন করা।”

          বিজিবি বলছে, এ কথাটি ইসলাম ধর্মের বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব ‘ঈদুল আজহা’র জন্য অবমাননাকর এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত হানার শামিল।

          ভারত থেকে গরু পাচারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সহযোগিতা করা এবং কোরবানির নামে পশুদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে- ভারতীয় বিএসএফের দেওয়া এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বিজিবি।

          রবিবার বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে এই নিন্দা জানানো হয়।

          এতে বলা হয়, গত ১৩ জুলাই ভারতীয় The Indian Express পত্রিকায় ‘BSF: Border Guard Bangladesh supports cattle smuggling’- শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

          সংবাদে গত ৬ জুলাই বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এসএস গুলেরিয়া স্বাক্ষরিত হিন্দি ভাষায় লিখিত এক সংবাদ বিবৃতির কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বিএসএফ দাবি করছে ভারত থেকে গরু পাচারে বিজিবিসম্পূর্ণভাবে সমর্থন জানাচ্ছে।

          বিজিবি বলছে, প্রকাশিত সংবাদ ও বিবৃতিটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় চোরাকারবারীদের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় ভারতের মাটিতে গরু সমাগম ও নদীপথে গরু পাচারে বিএসএফের নিষ্ক্রিয়তা/তৎপরতার অভাব নিঃসন্দেহে বিভিন্ন প্রশ্নের অবতারণা করে।

          প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ভারতীয় গরু পাচারকারীরা অধিক মুনাফার আশায় বাংলাদেশে এভাবে গরু পাচার করার কাজে অতি উৎসাহী হয়। এতে করে দেশীয় খামারিগুলো প্রায়শই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

          এতে বলা হয়, এ প্রেক্ষিতে গরু চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি অত্যন্ত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং বিজিবি কর্তৃক সীমান্তে গবাদিপশু চোরাচালান রোধে সীমান্ত এলাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, পুলিশ, সমাজের গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ ও সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে জনসচেতনতামূলক সভা আয়োজন, সীমান্তবর্তী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাত্রিকালীন পাহারা দেওয়া ও সীমান্তে বিজিবির টহল বৃদ্ধিসহ কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

          বিজিবি বলছে, মূলত গরু চোরাচালান প্রতিরোধে বিএসএফের ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্যই ভারতীয় গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ হতে পারে বলে অনুমেয়।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/20/40365/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            চামড়ার ন্যায্য মূল্যের দাবিতে জাতীয় উলামা পরিষদের সমাবেশ



            কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণের দাবিতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় উলামা পরিষদের পূর্ব ঘোষিত গণ সমাবেশ। ১৭ জুলাই বাদ জুমা বা এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।

            গণসমাবেশে বক্তারা দেশের অর্থনীতি এবং এতিম-গরীবের হক রক্ষায় কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

            চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের লক্ষ্যে বিদেশী এজেন্ট যারা বাংলাদেশের উন্নতি ও অগ্রগতি চায় না, তারাই পেছন থেকে কাজ করছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, কুরবানী মৌসুমে পশু যবাই করা হয় ওয়াজিব বিধান পালনের জন্য। কুরবানীর এই বিধান পালনের মাধ্যমে মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য মুসলমানদের যে কোন আত্মত্যাগে প্রস্তুত থাকার মনোভাব প্রতিফলিত হয়। পাশাপাশি এই কুবানীর গোশত বন্টনের মাধ্যমে মানবিকতার চর্চা, আত্মীয়তার বন্ধন দৃঢ় করার চর্চা’সহ অনেক উপকার নিহিত রয়েছে। কুরবানীর পশুর গোশত গরীব-মিসকীনদের মাঝেও বিলি-বন্টন করা হয়। কুরবানীর চামড়ার সম্পূর্ণ টাকাও গরীবরাই পেয়ে থাকেন।

            সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, চামড়া শিল্পকে ধ্বংসে তৎপরত সিন্ডিকেট চক্রকে প্রতিহত করে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামাঞ্জস্য রেখে চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণের জন্য আমরা জোরালো দাবি জানাচ্ছি। দেশের অর্থনীতিকে রক্ষার পাশাপাশি চামড়ার প্রকৃত হকদার এতীম, গরীব ও দুস্থ মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরী। অন্যথায় গত বৎসরের মতো লাখ লাখ চামড়া বিনষ্ট হওয়ার মতো ঝুঁকির আশঙ্কা তৈরি হতে পারে এবং দেশের বিপুল সংখ্যক এতিম, গরীব ও নি:স্ব মানুষ বঞ্চিত হবে, দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

            তিনি বলেন, দেশের প্রধান রফতানি শিল্পের মধ্যে পাট, চা ও চামড়া অন্যতম। কিন্তু দেশ যখন অর্থনীতিতে অগ্রসর হচ্ছিল, এই তিনটা গুরুত্বপূর্ণ শিল্পখাতকেই ধ্বংস করতে কুচক্রী মহল ওঠেপড়ে লেগেছে, যাতে এ দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়া যায়।

            কুরবানীর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণের দাবিতে জাতীয় উলামা পরিষদের পক্ষে ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ (১৮ জুলাই) শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হবে।

            মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমীর পরিচালনায় গণ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মুফতি শরীফুল্লাহ, মাওলানা জয়নুল আবেদীন প্রমুখ। ইনসাফ২৪


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/20/40351/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ভুয়া এন-৯৫ মাস্ক বিএসএমএমইউতেও



              লেবেলে ভুল বানান আর ভুলে ভরা বাক্য থাকলে সেই মাস্ক মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারে কি? ভুল বানান আর ভুলে ভরা বাক্য সম্বলিত লেবেল কি শুধু এই প্রশ্নেরই উত্থাপন করে? নাকি প্রশ্নটি হতে পারে আরও বড় কিছু নিয়ে?

              গত শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের মেডিকেল কর্মীদের দেওয়া এন-৯৫ মাস্কের লেবেলে দেখা গেছে হাস্যকর রকমের বানান ভুল।

              মাস্কের সতর্কবাণীতে লেখা আছে, ‘This respirator Protects agalnst cortein Panrticles. Misuse may result insickness ordeath. For proper use see supervisor orbox or can 3M…’

              বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মাস্ক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান থ্রি-এম। তারা তাদের পণ্যের গায়ে এমন হাস্যকর ভুলসহ লেবেল ছাপাবে, তা একেবারেই সম্ভব না। বাক্যটির মাঝে দুটি শব্দের শুরু করা হয়েছে বড় হাতের অক্ষর দিয়ে। বাক্যের মধ্যে রয়েছে চারটি ভুল বানানের শব্দ (against কে লেখা হয়েছে agalnst, certain কে লেখা হয়েছে cortein, particles কে লেখা হয়েছে Panrticles এবং call কে লেখা হয়েছে can)। এছাড়াও দুটি শব্দ মিলিয়ে ফেলা হয়েছে তিনটি জায়গায় (in sickness কে লেখা হয়েছে insickness, or death কে লেখা হয়েছে ordeath এবং or box কে লেখা হয়েছে orbox)। অথচ এই পুরো লেবেলে সর্বমোট শব্দ সংখ্যা মাত্র ২৩।

              যে সব চিকিৎসকদের এই মাস্কগুলো দেওয়া হয়েছে তারা সবাই দ্য ডেইলি স্টারকে এক বাক্যে বলেন, ‘এগুলো যে নকল তা তো খুব সহজেই বলে দেওয়া যায়।’

              থ্রি-এমের তৈরি আসল এন-৯৫ মাস্কের সঙ্গে হাতে পাওয়া মাস্কের তুলনা করে একজন চিকিৎসক বলেন, ‘এই মাস্ক খুবই নিম্নমানের। এটি তৈরির উপাদান ও কাঠামোও অন্যরকম, যা মানসম্মত নয়।’

              তিনি ও হাসপাতালের আরও কয়েকজন আবাসিক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিতদের মাঝে এমন মাস্ক বিতরণের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছেন।

              গত শনিবার হাসপাতালের পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগও জানিয়েছেন তারা।

              কোভিড-১৯ রোগীর চিকিত্সকদের এক সপ্তাহে ব্যবহার করার জন্য পাঁচটি এন-৯৫ মাস্ক দেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকরা বলেন যে কয়েকটি মাস্ক আসল বলেই মনে হয়েছে, তবে বেশিরভাগই সুস্পষ্টভাবেই নকল।

              একজন আবাসিক চিকিৎসক প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এন-৯৫ এর মতো উচ্চমানের পণ্যের গায়ে কি এই জাতীয় বানান ভুল সম্ভব?’

              আরেকজন চিকিৎসক জানান, এ মাসের শুরুর দিকে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসকদের অরিয়েন্টেশন কর্মসূচির সময় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা চিকিৎসকদের এন-৯৫ মাস্কসহ অন্যান্য সুরক্ষা সরঞ্জাম দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

              এক চিকিৎসক বলেন, ‘যদি সঠিক পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম) আমাদের দেওয়া হয়, তাহলে আমাদের কাজ করতে কোনো সমস্যা হবে না।’

              হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়কে মাস্ক ও পিপিই কেনা এবং সেগুলোর মান নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

              তবে হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. জুলফিকার আহমেদ আমিন এসব পণ্য কোন প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করেছে তাদের নাম প্রকাশ করেননি। এমনকি, এসব কিনতে কতো টাকা খরচ হয়েছে বা কোন প্রক্রিয়ায় কেনা হয়েছে তাও জানাননি।

              তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা চিকিৎসকদের কাছ থেকে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। সেসব অভিযোগের তদন্ত করছি। এখন আমরা অন্য জায়গা থেকে মাস্ক সংগ্রহ করছি।’

              তিনি আরও জানান, যারা মানের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন তাদের বলা হয়েছে মাস্কগুলো ফিরিয়ে দিতে। তাদের নতুন মাস্ক দেওয়া হয়েছে।

              নকল মাস্ক ও পিপিই দেওয়া নিয়ে গত এপ্রিলের শুরুর দিকে অনেক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা মাস্কের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং তাদের কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তা প্রকাশ করেন।

              নকল ও নিম্নমানের মাস্কের কারণে চিকিৎসক, তাদের পরিবার এবং রোগীদের মাঝে স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

              বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ৭১ জন চিকিৎসক কোভিড-১৯ সংক্রমণে মারা গেছেন এবং আরও অন্তত ১১ জন মারা গেছেন কোভিড-১৯ এর উপসর্গ নিয়ে। দ্য ডেইলি স্টার


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/20/40358/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                উন্নয়নের ছোয়ায় এক বৃষ্টিতেই সড়ক খালে পরিণত!



                রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি। এই বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়কে পানি জমে দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। গতকাল রোববার রাত থেকে রাজধানীতে বৃষ্টি শুরু হয়। আজ সোমবার সকালেও মুষলধারে চলে বৃষ্টি।

                সকালে দেখা যায়, বৃষ্টিতে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক তো বটেই, বিভিন্ন সংযোগ সড়কেও পানি জমে গেছে।
                কোথাও কোথাও সড়কে হাঁটুপানি জমে থাকতে দেখা যায়।

                সকালে রাজধানীর বিভিন্ন প্রধান সড়কে পানি মাড়িয়ে যানবাহন চলতে দেখা যায়। কোথাও কোথাও পানিতে যানবাহন বিকল হতেও দেখা গেছে।

                সকালে সড়কে নেমে অফিসমুখী নগরবাসী দুর্ভোগে পড়েন। অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে, পানি মাড়িয়ে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

                কয়েক বছর ধরেই বর্ষা মৌসুম রাজধানীবাসীর জন্য এক আতঙ্ক। সামান্য বৃষ্টিতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা জলাবদ্ধ থাকে রাজধানীর অনেক সড়ক। এবারও একই চিত্র দেখা গেল। প্রথম আলো


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/20/40370/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  করোনায় দুর্নীতিতেও বিশ্বে এগিয়ে বাংলাদেশ



                  বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ সোমালিয়া কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে। হাসপাতাল থেকে সুরক্ষাসামগ্রী চুরি হয়ে যাচ্ছে, আর তা পাওয়া যাচ্ছে খোলাবাজারে। দক্ষিণ আফ্রিকায় অর্থ ও লোকবলের অভাবে নার্সদের ক্লিনারের কাজ করতে হচ্ছে আর চিকিৎসকেরা করছেন লন্ড্রির কাজ। নিম্নমানের পরীক্ষার কিট কেনার দায়ে জিম্বাবুয়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর চাকরি চলে গেছে। নতুন রোগী ভর্তি করলে আয় বেশি, এ জন্য পুরোনো রোগীদের রোগমুক্তির সনদ দিয়ে বিদায় করে দেওয়ার অভিযোগে একটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে গ্রিস পুলিশ।

                  গত মার্চে লন্ডন পুলিশ কোভিড-১৯ শনাক্তের জাল কিট তৈরির অভিযোগে ফ্রাঙ্ক লুডলো নামের ৫৯ বছরের এক ব্যক্তিকে আটক করে। পাশের দেশ ভারতের অমৃতসরে ইএমসি নামের এক বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যবান ও সুস্থদের করোনা ‘পজিটিভ’ বানিয়ে ভর্তি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছে।

                  সব মিলিয়ে কোভিড-১৯-এর সময়ে অনেক দেশই দুর্নীতি নিয়ে কমবেশি সংকটে আছে। সরকারি কিছু কর্মচারী, বেশ কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মী, বেসরকারি খাতের অনেক উদ্যোক্তা এসব দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বেশি অভিযোগ বেশি দরে পণ্য কেনাকাটার। কিন্তু দুর্নীতির ক্ষেত্রে অভিনবত্বের পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ। সুরক্ষা পণ্য কেনাকাটায় দুর্নীতি, কাজ দেওয়ায় অনিয়ম এবং অসহায় ও দুস্থদের ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতি তো আছেই। তবে সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে ভুয়া পরীক্ষার কেলেঙ্কারি। নতুন ধরনের এই দুর্নীতির কারণে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে ‘বিগ বিজনেস ইন বাংলাদেশ: সেলিং ফেক করোনাভাইরাস সার্টিফিকেট’।

                  বাংলাদেশ কী হয়েছে

                  বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের একটি। টিআইএর তালিকায় ১৯৮টি দেশের মধ্যে ১৪৬তম। সুতরাং রোগের মহামারির এই সময়ে বাংলাদেশে যে দুর্নীতি ঘটবে না, তা নিশ্চয়ই কেউ আশা করেননি। তবে মহাদুর্গতির এ সময়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যবস্থা থাকবে, সে আকাঙ্ক্ষা অনেকের ছিলো।

                  নগদ আড়াই হাজার টাকা দেওয়ার কর্মসূচি সফল করতে পারেনি সরকার। অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণেই এই হাল। অনেক অবস্থাপন্নদের নাম এই তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। নগদ সহায়তা এবং ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির জন্য এখন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের ১০২ জন জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়াদের বেশির ভাগই কোনো না কোনোভাবে সরকারি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

                  করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সুরক্ষাসামগ্রী কেনা ও সরবরাহ নিয়েও ঘটেছে দুর্নীতি। নিম্নমানের সুরক্ষা পোশাক (পিপিই) ও মাস্ক কিনে তা সরবরাহ করা হয়েছে। এসব কেনাও হয়েছে অস্বাভাবিক বেশি দামে। করোনার শুরুতেই অর্থ মন্ত্রণালয় জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। পরে সংকট মোকাবিলায় জরুরি স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কিনতে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করে সরকার। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের প্রকল্পের ব্যয় ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকা এবং এডিবির প্রকল্পের ব্যয় ১ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা। এই দুই প্রকল্পের কেনাকাটা নিয়েই উঠেছে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ। স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনাকাটার বাইরে সফটওয়্যার কেনা, ওয়েবসাইট উন্নয়ন, অডিও-ভিডিও ফিল্ম নির্মাণ, সেমিনার সম্মেলন করা, ভ্রমণ ব্যয় এবং পরামর্শক খাতে বিপুল অর্থ ব্যয়ের পরিকল্পনা নিয়েও উঠেছে অনিয়মের অভিযোগ।

                  তবে বাংলাদেশে করোনাকালের দুর্নীতির সব উদাহরণকে ছাপিয়ে গেছে জেকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতালের জালিয়াতির ঘটনা। করোনার নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে এই দুই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের আটক করেছে সরকার। করোনার নমুনা সংগ্রহ করে তা ফেলে দিয়ে, ভুয়া ফলাফল দেওয়ার ঘটনা সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত বিরল।

                  বাংলাদেশে শুরু থেকেই টেস্ট করা হয়েছে খুবই কম। সমালোচনার মুখে টেস্টের সংখ্যা বাড়লেও ফল পেতে দীর্ঘ সময় এখনো অপেক্ষা করতে হয়। টেস্টের জন্য ধরতে হয় দীর্ঘ লাইন। এখন তো টেস্টের জন্য অর্থ নেওয়া শুরু করেছে সরকার। ফলে শুরু থেকেই করোনা টেস্ট নিয়ে যে আস্থার অভাব ছিল, তা আরও বেড়েছে। এর মধ্যেই আবার জেকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতালের ভুয়া টেস্টের তথ্য। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে ক্ষমতাবানদের যোগসাজশের বিষয়টি এর মাধ্যমে আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে। আবার এই দুই প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়া ও চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরস্পরের দোষ দিচ্ছে। সুশাসন ও জবাবদিহির ব্যবস্থা নেই বলেই এমনটা ঘটছে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। এ ছাড়া, চুক্তি সই করার আগে পড়ে দেখেন না বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যও ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

                  এমনিতেই দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে করোনার এই সময়ে স্বাস্থ্য খাতের করুণ বা কুৎসিত চেহারাটি প্রকাশ পেয়ে গেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অভিনব সব দুর্নীতি। করোনাকালে দুর্নীতি প্রতিরোধে আগাম সতর্ক ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশ যা করেছে, তা হচ্ছে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি ছাড়া প্রতিরোধে কার্যকর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা ছিলো না। ঘটনা ঘটার পর ব্যবস্থা নেওয়াটাই এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা, সুশাসনের সংকট, সংস্কার না করা—সবকিছুরই ফলাফল হচ্ছে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতা।

                  সামনের দিনগুলোতে আরও অনেক অর্থ খরচ হবে। অনেক অর্থ আসবে বাংলাদেশে। ফলে দুর্নীতিরও নতুন নতুন সুযোগ ঘটবে। কোন পথে তা সামাল দেওয়া হবে, সেটাই হবে পর্যবেক্ষণের বিষয়। প্রথম আলো


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/20/40379/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    সরকারি আশ্বাসেই কেটে গেছে এক দশক



                    ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে পঞ্চগড়ের তালমা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের ফকিরপাড়া এলাকায়। ভাঙনে ওই এলাকার প্রাচীন রাস্তাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকিতে রয়েছে ফসলি জমি, মসজিদ, কবরস্থান ও পার্শ্ববর্তী জনবসতিও। গত এক দশক ধরে নদীটির ওই অংশ ভাঙতে ভাঙতে এই অবস্থায় পৌঁছালেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

                    স্থানীয়দের অভিযোগ প্রতিবছর বর্ষা এলেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এসে ছবি তুলে নিয়ে যান, বাঁধের আশ্বাস দেন কিন্তু তা আজও বাস্তবে দেখা মিলেনি। এবারের ভাঙন বেশ চিন্তায় ফেলেছে গ্রামবাসীকে।

                    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পঞ্চগড়ের দেওয়ানহাট থেকে কাঁচা রাস্তাটি গিয়ে ঠেকেছে ফকিরপাড়া গ্রামটিতে। গ্রামে প্রবেশের ঠিক আগে প্রায় কিলোমিটারের মতো জায়গা জুড়ে রাস্তাটির বিভিন্ন অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সড়কের গাছপালাও নদীগর্ভে চলে গেছে। পায়ে চলার মতো যেখানে পথটুকু রয়েছে সেখানেও বড় বড় ফাটল দেখা গিয়েছে। প্রতিদিনই ভাঙনের পরিধি বাড়ছে। ভাঙনের মাথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে গ্রামের মসজিদ, কবরস্থান, ঘরবাড়ি আর ফসলি জমি। গ্রামে প্রবেশের একমাত্র রাস্তাটি নদীগর্ভে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ। ভারি যানবাহনতো দূরের কথা একটি ভ্যান পর্যন্ত গ্রামে প্রবেশের সুযোগ নেই। জরুরি প্রয়োজনেও তাদের ভাঙনের অংশ হেঁটে পাড় হয়ে পড়ে অন্য মাধ্যমে যেতে হয়।

                    স্থানীয়দের জানান, এই রাস্তাটি অনেক পুরনো। গত এক দশক ধরে রাস্তাটিতে ভাঙন চলছে। প্রতি বছরই তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে বাঁধের আকুতি জানান। কিন্তু তারা প্রতিবছরই আশ্বাস দিলেও আজও তার বাস্তবায়ন দেখা যায়নি। সময় মতো বাঁধ নির্মাণ করা গেলে রাস্তাটি অক্ষত রাখা রাখা যেত বলেও জানান তারা। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। এখন ভাঙনের চিন্তায় তাদের রাত কাটছে নিদ্রাহীন।

                    ফকিরপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রামের একমাত্র রাস্তাটির বেশিরভাগ অংশই তালমা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন একটি ভ্যান পাড় করার মতো অবস্থা নেই। পায়ে হেঁটে চলতে হলেও খুব সাবধানে যেতে হয়। জরুরি প্রয়োজনে বা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেও আমাদের দ্রুত নিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। খুব সমস্যায় পড়ে গেছি। দিন দিন ভাঙন আরো বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, মসজিদ ও কবরস্থানসহ সব নদীগর্ভে চলে যাবে।

                    ওই গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, বর্ষাকালে নদীটি ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করে। আমাদের একমাত্র রাস্তাটি ভেঙে যাওয়া আমরা এখন কৃষিপণ্য হাটে নিতে পারছি না। সার বীজ পরিবহণ করতে পারছি না। আমরা এখানে দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

                    ওই গ্রামের সালমা বেগম বলেন, আমাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করতো। এখন রাস্তাটি দিয়ে কেবল পায়ে হেঁটে যাওয়া হয়। তাও সেখানে সেখানে ফাটল। তাই শঙ্কায় থাকি আমরা।

                    ওই গ্রামের কামরুল ইসলাম বলেন, দিনেই এখন রাস্তাটি ধরে হাঁটতে ভয় করে। রাতে অনেকেই মসজিদে নামাজ পড়তে আসতে পারে না। কখন কোনো খাদে পড়ে যায় এই ভয় এখন সবার।

                    স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, নদীটির মতো রাস্তাটিও প্রাচীন। এখন রাস্তাটি অনেক অংশই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রতি বছরই জানিয়েছি। সিসি ব্লক দিয়ে বাঁধ নির্মাণের আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। প্রতি বছর তারা আসে ছবি তুলে নিয়ে যায় কাজ হয় না। সময় মতো বাঁধ নির্মাণ করা গেলে গ্রামের একমাত্র রাস্তাটি আজ নদীতে বিলীন হতো না। দ্রুত বাঁধ নির্মাণ করা না গেলে এ গ্রামের আরো অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।

                    সাড়ে ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ তালমা নদীটি ভারত থেকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা দিয়ে প্রবেশ করে করতোয়া নদীতে মিলেছে। আগে নদীটি প্রবল খরস্রোতা হলেও এখন কেবল বর্ষাকালে নদীটিতে পানির বেশ তোড় দেখা যায়। কালের কন্ঠ


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/21/40385/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      করোনা কেলেঙ্কারিতে পরীক্ষায় আস্থা কমছে মানুষের



                      করোনা ভাইরাসের ভুয়া পরীক্ষা। এমন স্ক্যান্ডাল বা কেলেঙ্কারির কারণে এখন বাংলাদেশিরা আস্থা হারিয়ে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা পরিহার করছেন। এই কেলেঙ্কারিতে এক ডজনেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকায় দুটি হাসপাতাল ও পরীক্ষা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব কেলেঙ্কারির কারণে জনগণের মধ্যে আস্থার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে করোনা পরীক্ষা করানো মানুষের সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির রিপোর্টে এসব কথা বলা হয়েছে।
                      স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে, জুনে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করানো হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মানুষের।

                      কিন্তু গত দু’সপ্তাহে এই সংখ্যা ১০ হাজারের সামান্য বেশি। পরীক্ষা ছাড়াই হাজার হাজার রোগীকে ভাইরাসমুক্ত এমন ভুয়া সার্টিফিকেট দেয়ার অভিযোগে ঢাকায় একটি হাসপাতালের মালিক মো. শাহেদ সহ এক ডজনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপরই পরীক্ষা করানো রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র নাসিমা সুলতানা এই কম রোগীর বিষয়ে বলেছেন, জনগণের মধ্য থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক চলে গেছে। তিনি বলেছেন, বর্ষার কারণে, পরীক্ষায় ২০০ করে টাকা নেয়ার কারণে এবং করোনা ভাইরাস ধরা পড়লে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হবে- এই ভয়ে যথাযথভাবে পরীক্ষা করা থেকে বিরত থাকছে লোকজন। তিনি আরো জানান, করোনায় মৃত্যুহার অনেক কম। সরকারিভাবে এই হার শতকরা ১.২৮। মানুষজন ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলেই বাড়িতে অবস্থান করাকেই বেছে নিচ্ছে।
                      কিন্তু তার সঙ্গে একমত নন রাষ্ট্র পরিচালিত ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড রিসার্সের সাবেক প্রধান মুজাহেরুল হক। তিনি মনে করেন, ভুয়া পরীক্ষার অভিযোগের কারণে জনগণের মধ্যে অনাস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই মধ্যে ঢাকায় দুটি হাসপাতাল ও পরীক্ষা কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এ অভিযোগে। এএফপিকে তিনি বলেন, এর ফলে এসব পরীক্ষা কেন্দ্রের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। এর ফলে পরীক্ষা করানো থেকে বিরত থাকতে জনগণ দৃঢ়ভাবে অনুৎসাহিত হচ্ছে।
                      ঢাকার একজন ব্যাংকার মুমিনুর রহমান। তিনি এএফপিকে বলেছেন, তিনি এসব পরীক্ষা মোটেও বিশ্বাস করেন না। কারণ, তার ৪২ বছর বয়সী এক ভাইকে মধ্য জুনে করোনার লক্ষণযুক্ত অসুস্থতায় মারাত্মকভাবে ভুগলেও তাকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেয়া হয়। এর এক সপ্তাহ পরে তার ভাই মারা যান। মুমিনুর রহমানের এক শ্যালিকা জুলাইয়ের শুরুর দিকে ৩৪ বছর বয়সে একই প্রক্রিয়ায় মারা যান। অথচ পরীক্ষায় তাদের কারো করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে নি। মুমিনুল হক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক একজন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, দরিদ্রপীড়িত এই দেশে করোনা ভাইরাসের বিস্তার সম্পর্কে সঠিক চিত্র পাওয়ার জন্য জরুরি ভিত্তিতে পরীক্ষা বাড়ানো উচিত কর্তৃপক্ষের।
                      প্রায় ১৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষের এই দেশে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২ লাখ মানুষের করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাস্তবে এই সংখ্যা অনেক বেশি হবে। মানবজমিন


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/21/40388/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        সংস্কারহীন রাস্তায় ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ



                        ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের ভারদি বাজার থেকে মুজুরদিয়া পাকা রাস্তার মধ্যে ভারদি বাজারের ৩০০ মিটার পাকা রাস্তা সংস্কারের অভাবে জনসাধারণের দুর্ভোগ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে বাজারের এই প্রধান সড়কটি। এমনকি কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারে না। রাস্তা ও মাছ বাজার সংস্কারের একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বাজারের রাস্তার দু’পাশ দিয়ে রয়েছে প্রায় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

                        কাদা পানি জমার কারণে ওই সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলার কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের বাজারের ভিতরের রাস্তাটুকুু সংস্কার না করলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে। ১৭-১৮ বছরের মধ্যে এই রাস্তাটি একবার সংস্কার হয়েছিলো। রাস্তায় পানি কাদা জমে থাকায় আমরা ব্যবসা করতে পারছি না। পানি কাদা থাকায় দোকানে কেউ আসে না। বণিক সমিতির সভাপতি মো. সিরাজুল ইমলাম বলেন, অনেক বছর ধরে রাস্তায় কাদা পানি জমে থাকছে। অনেক জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করেছি রাস্তা সংস্কারের জন্য কোনো লাভ হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে তাতেও কোনো লাভ হয়নি। স্থানীয় এমপি মুনজুর হোসেন নির্বাচিত হওয়ার পর একবার ভারদি বাজারে এসেছিলেন তাকে বলেছিলাম। এমপি বলেছিলেন আমি দ্রুত রাস্তা ঠিক করে দেবো। তারপর আর কোনো খোঁজখবর নেননি। ভারদি বাজার কালীমন্দিরের সভাপতি নিখিল চন্দ্র বলেন, রাস্তাটির সর্বত্র পিচ উঠে গিয়ে অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে। বৃষ্টি পড়লে গর্তগুলোকে রাস্তার থেকে আলাদা করা যায় না। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। শুধু যান চলাচলই নয়, যাতায়াতের ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, বাজারের এই ৩০০ মিটার পাকা রাস্তায় সংস্কারের অভাবে পানি কাদা জমায় রাস্তার দু’পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পথে। পথচারীরা পায়ে হেঁটে যেতে পারে না। যানবাহন তো চলতেই পারে না। কাদা পানির জন্য মাছ বাজারে ঢোকা যায় না। আমি অনেক দিন ধরে রাস্তা ও মাছ বাজার সংস্কার করার জন্য চেষ্টা চালিয়েছি তাতে কোনো লাভ হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলীকে বলেছি, তিনি আমাকে বলেন- সরজমিন দেখে কি করা যায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। উপজেলা প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ওইটুকু রাস্তার বিষয়টি শুনেছি। ইউএনও স্যার আর আমি সরজমিনে গিয়ে দেখবো- কি করা যায়। মানবজমিন


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/21/40392/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          যে দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির সয়লাব, সে দেশে এরচেয়ে ভালো আর কী আশা করা যায়!?
                          نحن الذين بايعوا محمدا، على الجهاد ما بقينا أبدا

                          Comment


                          • #14
                            ইন্নালিল্লাহ,,,,।
                            হে আল্লাহ আপনি মুসলিম জাতিকে হিফাজত করুন,আমীন।
                            আর কাফেরদেরকে আপনি ধ্বংস করুন,আমীন।
                            ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                            Comment


                            • #15
                              আল্লাহ্ ফিলিস্তিনী নারী ও শিশু সহ সারা বিশ্বের মুসলিমদের হেফাযত করুন,
                              আল্লাহ্ তাদের ধ্বংস করুন, মুজাহিদদের সাহায্য করুন আমীন।

                              Comment

                              Working...
                              X