Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ০১লা জিলহজ, ১৪৪১ হিজরী # ২৩শে জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ০১লা জিলহজ, ১৪৪১ হিজরী # ২৩শে জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

    বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে মার্কিন দমকলকর্মীরাও, বিপর্যস্ত আমেরিকা



    ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের আবহে ৬০টি আলাদা কর্মী সংগঠনের ডাকে ‘স্ট্রাইক ফর ব্ল্যাক লাইভস’ নামের এ প্রচারে সাড়া দিয়ে ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন দেশটির দমকলকর্মীরাও।

    বর্ণবিদ্বেষের কারণে তৈরি বৈষম্য ঘোচানোর দাবিতে এভাবেই একযোগে আন্দোলনে শামিল হন আমেরিকার বোস্টন থেকে শুরু করে সান ফ্রান্সিসকোর বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা।

    স্থানীয় সময় সোমবার কাজ ফেলে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন মার্কিন দমকল বাহিনীর কর্মীরা।

    এদিনের এ ধর্মঘটে শামিল হয়েছিল ‘সার্ভিস এমপ্লয়িজ় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়নসহ আরও অনেক মার্কিন কর্মী সংগঠন। অংশগ্রহণ করেছিল বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠনও।

    ‘স্ট্রাইক ফর ব্ল্যাক লাইভস’ নামে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন আয়োজকেরা। সেখানে তাদের উদ্দেশ্য ও দাবিগুলো স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করেছেন আন্দোলনকারীরা।

    এর মধ্যে এক নম্বর– ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ বা ‘কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনও মূল্যবান’ তা অদ্ব্যর্থকভাবে ঘোষণা করুক বাণিজ্য, রাজনীতি এবং প্রশাসনের কর্তারা।

    আন্দোলনকারীদের আরও দাবি, নাগরিক অধিকারের বিষয়টি মাথায় রেখে মার্কিন অর্থনীতি ঢেলে সাজানোর দিকে মনোনিবেশ করুক প্রশাসকরা। সংশোধন আনা হোক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতেও।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিনের ধর্মঘটের ফলে এই প্রথম বর্ণবিদ্বেষবিরোধী আন্দোলন সরাসরি প্রভাব ফেলল মার্কিন অর্থনীতির ওপর।

    আন্দোলনকারীরা জানান, বাণিজ্যক্ষেত্রে বর্ণবিদ্বেষ এবং সাদা চামড়ার আধিপত্যকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়াও তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০০ শহরে ধর্মঘট সাড়া ফেলেছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।

    কর্মসূচিতে দমকল বাহিনীর মতো অত্যাবশ্যকীয় ও জরুরি পরিসেবায় কর্মরত মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। করোনা মোকাবেলায় প্রথম সারির যোদ্ধাদের অংশগ্রহণের হারও ছিল নজর কাড়া।

    যারা গোটা দিনের জন্য আন্দোলনে যোগ দিতে পারেননি তাদের কমপক্ষে ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের জন্য কাজ থেকে বিরতি নেয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন আয়োজকরা। কারণ ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের গলায় পা দিয়ে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার, যা থেকেই ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন মাথাচাড়া দিতে বাধ্য হয়েছে।

    অন্যদিকে অভিযুক্ত বা গ্রেফতার করা লোকজনদের গলায় শ্বাসরোধের চেষ্টা করতে পারবেন না পুলিশ কর্মীরা। মঙ্গলবার এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মিনেসোটার প্রশাসন।

    তা ছাড়া একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সেখানকার পুলিশের ওপর। জর্জ ফ্লয়েড নিহতের ঘটনায় এ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যুগান্তর


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/23/40552/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ঈদে মুসলমানদের কুরবানি দেওয়া বন্ধ করতে হাইকোর্টে মামলা করলো সন্ত্রাসী দল বিজেপির অর্জুন সিং



    কিছুদিন আগে মসজিদ থেকে মাইকে আজান দেওয়ার বিরোধিতা করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেনসন্ত্রাসী দল বিজেপির সাংসদ অর্জুন সিং। এবার মুসলিম বিদ্বেষের আরও একধাপ এগিয়ে কুরবানি ইদে আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্যে পশু কুরবানি বন্ধ করার জন্য জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন অর্জুন সিং। আর কিছু দিন পরই বকরি ইদ। তার আগে এই মামলা দায়ের করলেন বিজেপি সাংসদ।

    উল্লেখ্য, ভারতে মালাউনরা গোরক্ষার নামে মুসলিমদেরকে নানা রকম হয়রানি করছে। অনেক মুসলিমকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এখন মুসলিমদের কুরবানিকেও বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/23/40567/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সীমান্তে অন্যায় হত্যা করেও উদ্ভট তথ্য ভারতের



      ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে যে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চলছে প্রতিনিয়ত, তা কি দিল্লির প্রতি আমাদের নতজানু রাজনীতির ‘উপহার’? এ ছাড়া অন্য কোনো বিশেষণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ভারতের আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রীয় শক্তি বিগত ৪৯ বছরে কয়েক হাজার মানুষ সীমান্তে হত্যা করেছে নির্মমভাবে। এরা সবাই বাংলাদেশী। সরকারি হিসাবে এক বছরে সীমান্ত হত্যা ১২ গুণ বেড়েছে। নানা প্রতিশ্রুতির পরও এটা কমছে না। গত তিন বছরের হিসাবে সবচেয়ে বেশি সীমান্ত হত্যা হয়েছে গত বছর (২০১৯)। সর্বশেষ, দিল্লিতে গত ডিসেম্বরে (২০১৯) বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বৈঠকের পরও এই পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। পশ্চিমবঙ্গভিত্তিক ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন, মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) প্রধান কিরিটি রায় বলেছেন, ‘আগে বিএসএফ বলত আমাদের ওপর আক্রমণ করতে এলে আমরা আত্মরক্ষার্থে গুলি করেছি। লাশ ফেরত দিতো। এখন আর তাও বলে না। গুলি করে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়। ফেরতও দেয় না।’

      তিনি বলেন, ‘ভারত একটা হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তারা তো সীমান্ত হত্যা বন্ধ করবে না। সীমান্তে মুসলমানদের মারছে। আর ঠেলে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে। আমরা প্রতিটি ঘটনার প্রতিবাদ করেছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাবো। কিন্তু ভারত হত্যা করবেই; সে থামবে না। তারা মারছে তো মারছেই। কিন্তু বাংলাদেশের দিক দিয়ে শক্ত কোনো প্রতিবাদ দেখতে পাচ্ছি না। মেরে দিচ্ছে, কোনো বিচার নেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, সীমান্তে গরু ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণ হত্যার শিকার হন, মাদক ব্যবসায়ীরা কিন্তু তত নন। কিন্তু মাদক চোরাচালানই বেশি হচ্ছে।’

      কথা হলো, সরাসরি কিলিং কেন? অপরাধ করলে তার বিচার হবে। বিচারহীনতার তীব্র সঙ্কট চলছে সীমান্তে। নানা প্রতিশ্রুতিতেও থামেনি সীমান্ত হত্যা। বিএসএফ বলছে, ‘আমরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাই, আমরা কখনো কাউকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালাই না,’ কিংবা ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের উদ্দেশ্যে গুলি চালানো হয়।’ আছে ‘চোরাকারবারিদের প্রতিহত করা’র তত্ত্বও। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই গুলি চালানো এবং হত্যার বিষয়টি ধোপে টেকে না। এর সমাধান না হলে বাংলাদেশ এমনকি আইনি পদক্ষেপও নিতে পারে।

      সম্প্রতি ঢাকা সফরে আসা ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধণ শ্রিংলাকে উদ্দেশ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘আপনারা আমাদের বন্ধু মানুষ। এই বন্ধুদের মধ্যে কিলিং হওয়া ঠিক নয়।’ জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ‘সীমান্ত হত্যা বন্ধে চেষ্টা চালাবেন’ বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এ আশ্বাসটি তারা গত এক দশক ধরেই দিয়ে আসছে। এবারে দেখা যাবে আন্তরিকতা কতটা। তার জবাবও মিলছে শ্রিংলার বক্তব্য থেকে। ঢাকার এক অনুষ্ঠানে অবাক করা তথ্য হাজির করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ‘সীমান্তে মৃত্যু কেবল বাংলাদেশীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, একই সংখ্যায় ভারতীয়েরও মৃত্যু হয়। সেই পরিসংখ্যান আপনাদের এখানে প্রতিফলিত হয় না। আমার হাতে থাকা পরিসংখ্যান বলছে, সীমান্তে মৃত্যুর সংখ্যা বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য ফিফটি-ফিফটি।

      শ্রিংলা তার হাতে থাকা পরিসংখ্যানটির সূত্র অবশ্য প্রকাশ করেননি। এই ‘পরিসংখ্যান’ তিনি কোথা থেকে হাজির করেছেন সে এক বিরাট বিস্ময়। কোনো ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বিজিবির হাতে নিহত হয়েছেন, আর সে বিষয়ে ভারতের সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, প্রতিবাদ করেনি, এমন কথা বিশ্বাস করা কঠিন। এ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোও কি কোনো সংবাদ প্রকাশ করেছে? কেন করেনি? বাংলাদেশের বিজিবির হাতে ভারতের নাগরিক নিহত হলে সে দেশের মানুষও কোনো না কোনোভাবে প্রতিক্রিয়া জানাত। ভারতের গণমাধ্যম ঘেঁটেও তো তেমন কোনো তথ্য পাওয়া গেল না।

      শ্রিংলা সীমান্ত হত্যা বন্ধে কিছু ‘কিন্তু’ এবং ‘যদি’ সূচক বাক্যও ব্যয় করেছেন একই অনুষ্ঠানে। তিনি বলেছেন, সীমান্তে একজন মানুষও যদি মারা যায়, সে জন্য ভারত ‘সত্যি অনুতপ্ত’। এই ‘যদি’র সাথে তিনি টেনেছেন আন্তঃসীমান্ত অপরাধ। তা হয়ে থাকলে তার জন্য কি শুধু বাংলাদেশ দায়ী? সীমান্তের অপর পারে অপরাধটা কে করেছে? ভারতের দিক থেকে যারা অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে তাদের কেন থামানো হচ্ছে না? সেখান থেকে যেসব অপরাধী বাংলাদেশে অবৈধভাবে পণ্য পাচার করছে, বিএসএফ তাদের থামাতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে? এসব প্রশ্নের কোনো জবাব ছিল না ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বক্তব্যে। তিনি এসেছিলেন শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকায় মোদির সফরের বিষয় নিশ্চিত করতে। মোদিকে শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আগেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো। এ বিষয়ে এরই মধ্যে বাংলাদেশে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এই পর্যায়ে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফর বাতিল করা কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে, ‘যদি’, ‘কিন্তু’ বাদ দিয়ে মোদির কাছ থেকে সীমান্ত হত্যা বন্ধের একটি ঘোষণা কি অন্তত বাংলাদেশ এই আয়োজন থেকে পেতে পারে।

      ভারতের বিশাল সীমানায় রয়েছে মাত্র ছয়টি রাষ্ট্র। এর মধ্যে চারটি রাষ্ট্রের সাথেই ভারতের রয়েছে সীমান্তবিরোধ। এই চারটি দেশ হলো চীন, পাকিস্তান, নেপাল এবং বাংলাদেশ। সীমান্তে হত্যা বন্ধের ঘটনায় ‘আইন ও সালিস কেন্দ্র’ (আসক) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গত ১৬ জুন এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ১৫ জুন নওগাঁর পোরশা নীতপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সুভাষ রায় নামে এক রাখালের মৃত্যু হয়। সীমান্তের ২২৭ নম্বর পিলারের কাছে ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। আসকের তথ্যানুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ১৭ জন নিহত ও ১২ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে, বিএসএফ দুইজন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে যশোরের বেনাপোল এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত এলাকায়।

      ২০১৯ সালে সীমান্তে ৩৭ জন গুলিতে ও ছয়জন নির্যাতনে মারা গেছে। বছরের পর বছর ধরে এমন হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। ভারত সরকারের কাছ থেকে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধে বিভিন্ন সময় নানা প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না যা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। এমন আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ ধরনের নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড প্রকৃতপক্ষে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বৈরিতা আর অবিশ্বাস সৃষ্টি করছে। এমন নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন।

      ২৫ জুন দেশের বিশিষ্টজনরা বলেছেন, গত ১৭ জুন নওগাঁর সাপাহার, ২৩ জুন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এবং ২৫ জুন লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বিএসএফ নিরীহ তিনজন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। কিন্তু অতীতের মতো সীমান্তে এসব খুনের বিরুদ্ধে সরকারিভাবে কার্যকর পদক্ষেপ তো দূরের কথা, মৌখিক কড়া প্রতিবাদও আমরা দেখছি না। এটা গভীর বেদনাদায়ক, লজ্জাকর ও নিন্দনীয়। আওয়ামী সরকারের দুর্বল জনসমর্থন এবং নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই বিএসএফ এমন দুঃসাহস দেখাতে পারছে। বর্তমান সরকারের লাগাতার তিন মেয়াদে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে কার্যত নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ যে হারে নির্বিঘে নিরীহ মানুষ খুন করে চলেছে, বিশ্বে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। এমনকি ভারতের সাথে চীন, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান ও পাকিস্তান সীমান্ত থাকলেও এমন নির্বিচার হত্যাকাণ্ড নেই সেখানে। কাশ্মির নিয়ে পাকিস্তানের সাথে ভারতের চিরদিনের শত্রুতা। আমরা মিডিয়ার বদৌলতে দেখেছি, দুই দেশের সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর হাতে একজন পাকিস্তানি নিহত হলে পরের দিনই পাকিস্তানের সীমান্ত রক্ষীরা হয়তো দু’জন ভারতীয়কে হত্যা করে বদলা নেয়।

      কয়েক দিন আগে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনের সৈন্যদের হাতে ভারতের একজন সিনিয়র সেনা অফিসারসহ ২৩ জন সেনাসদস্যকে প্রাণ দিতে হলো। ১০ জন ভারতীয় সেনা সদস্যকে চীনের সেনারা ধরে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর ভারতীয় সীমান্তে সৈন্য বৃদ্ধিসহ যুদ্ধের হম্বিতম্বি করলেও শেষমেশ সমঝোতা করতে বাধ্য হয় দিল্লি। দীর্ঘ দিন ধরে নেপাল প্রতিবেশী ভারতের আগ্রাসী নীতির শিকার হয়েছে। এখন নেপাল কঠোর নীতি অবলম্বন করছে। ভারতকে সে আর ভয় পাচ্ছে না। ভারতীয় পণ্য বর্জন এবং ভারতের টিভি চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছে। সীমান্তে নেপাল ভারতের ভূমি নিজেদের দাবি করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে। মোদি সরকার নিজ দেশের বিরোধী দলের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে গেছে। হিন্দুত্ববাদী সরকারচালিত ভারত প্রতিবেশী সব দেশের সীমান্তে যখন বিপদে, তখন একমাত্র বাংলাদেশের সীমান্তে দাপট দেখাচ্ছে। দুর্বল রাজনীতির কারণে এটা আমাদের হজম করতে হচ্ছে।

      মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’-এর তথ্যানুযায়ী, ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এক হাজার ৬৪ জন বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করেছে বিএসএফ। অন্য এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সীমান্তে ভারত ৩১২ বার হামলা চালায়। এতে ১২৪ বাংলাদেশী নিহত হন। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালে ১৩০টি হামলায় ১৩, ১৯৯৭ সালে ৩৯টি ঘটনায় ১১, ১৯৯৮ সালে ৫৬টি ঘটনায় ২৩, ১৯৯৯ সালে ৪৩টি ঘটনায় ৩৩, ২০০০ সালে ৪২টি ঘটনায় ৩৯ বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিস কেন্দ্রের (আসক) হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরুতেই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতের সংখ্যা ১৯ জনে পৌঁছেছে।

      তাদের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩ সালে মোট ২৭ বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে বিএসএফ। ২০১৪ সালে হত্যা করা হয়েছে ৩৩ জন বাংলাদেশীকে। আহত ৬৮ জন। ২০১৫ সালে বিএসএফ হত্যা করেছে ৪৫, ২০১৭ সালে ২৪, ২০১৮ সালে ১৪ এবং ২০১৯ সালে ৪৩ জন বাংলাদেশী। তাদের মধ্যে গুলিতে ৩৭ এবং নির্যাতনে ছয়জন নিহত হয়েছেন। অপহৃত হয়েছেন ৩৪ জন (সূত্র জাতীয় দৈনিক ২৬-০৬-২০২০) হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেছেন, ‘সীমান্তে মানুষের ওপর অত্যধিক বল প্রয়োগ ও নির্বিচারে প্রহার অসমর্থনীয়। এসব নির্যাতনের ঘটনা ভারতের আইনের শাসনের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিগত ১০ বছরে ১০০০ এর অধিক মানুষকে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী হত্যা করেছে, যাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশী। বন্ধুত্বের বদলা শত্রুতার মাধ্যমে দেয়া অসহনীয়। ফেলানী হত্যাসহ সীমান্তে বিভিন্ন হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের আইনি সহযোগিতা দিয়ে আসছে কলকাতার বেসরকারি সংগঠন মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ।

      এ সংগঠনের সম্পাদক বলেছেন, ফেলানীসহ আলোচিত সীমান্ত হত্যাগুলোর একটিরও বিচার হয়নি। ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ফেলানী খাতুনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল, সেটা ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মানেনি। তিনি বলেছেন দুঃখজনক হলেও সত্য যে, নিজ দেশের নাগরিক হত্যা নিয়ে বাংলাদেশের যতটা জোরালোভাবে প্রতিবাদ জানানো উচিত ছিল, ততটা হয়নি। সংসদে এ নিয়ে আলোচনাও হয়, কিন্তু সরকার বলেছে এ ব্যাপার নিয়ে আমরা ‘চিন্তিত নই’। বিষয়টি নিয়ে নাকি বেশি বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে। তাহলে কি আমরা মরতে এবং লাঞ্ছিত ও শোষিত হতে থাকব?

      শোষিত হয়েছি বলে আমরা ইংরেজ তাড়ালাম। ১৯৪৭ সালে ১৪ আগস্ট পাকিস্তান সৃষ্টি করায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল পূর্ববাংলার মানুষ। ২৩ বছর পর পুনরায় ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টি করলাম। প্রতিটি স্বাধিকার আন্দোলনে পূর্ববাংলার মানুষের রক্ত ঝরেছিল। নিহত ও আহতের সংখ্যা ছিল অজস্র। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ৪৯ বছর ধরে বন্ধুত্বের নামে নানা কায়দায় আমাদের শোষণ করছে। সীমান্তে ঘন ঘন মানুষ হত্যা করছে। ভারত সফরে গিয়ে আমাদের সরকারপ্রধান তিস্তার পানি আনতে পারেননি। উপরন্তু ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের জন্য ফেনী নদীর পানি দিয়ে আসা হয়েছে। শেখ মুজিবের আমল থেকে এ পর্যন্ত যতগুলো সরকার দেশ শাসন করেছে কমবেশি সবাই ভারতের স্বার্থটাই বেশি দেখেছে। কারণ ক্ষমতায় থাকতে হলে তাদের খুশি রাখতে হবে। মূলত তোষামোদির রাজনীতি করে জনগণের স্বার্থ আদায় করা যায় না। পত্রিকায় উঠেছে, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কটা স্বামী-স্ত্রীর মতো। এই লজ্জাকর উক্তি রাজনীতিকদের।

      কিছু দিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ করলে দেশ ভারতের পেটে ঢুকে যাবে জানলে মুক্তিযুদ্ধ করতাম না। ৪৫ বছর সময় লেগেছে (ইন্টারনেট ২৪-০৬-২০২০)। পাকিস্তানের অবকাঠামোকে দুর্বল করে পুরো ফায়দা তোলার জন্য ভারত ১৯৭১ সালে আমাদের সাহায্য করেছিল। অনেকের মুখে এখন শুনি, পিন্ডি এখন দিল্লি। নতুন প্রজন্মের এক তরুণ যুবক-নাসির আবদুল্লাহ- হাতে ব্যানার সজ্জিত একটি কাগজ, তাতে লেখা- সীমান্তে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সীমান্ত সমস্যার সমাধান চাই। এই দাবি নিয়ে কয়েকজন যুবককে নিয়ে বসে ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেব্রুয়ারি বইমেলার (২০২০) সময়ে। তাদের সাথে কথা বলেছিলাম। তাদের বক্তব্যে ন্যায়বিচার, শোষণ এবং দখলমুক্ত একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের চিত্র ফুটে ওঠে। আমরা সীমান্তে সব হত্যার প্রতিবাদ করতে চাই।

      জনগণের মনে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের যে শিখা তা জ্বালিয়ে রাখতে চাই। আমাদের বুকে যে ক্ষত তা ক্ষোভে পরিণত করতে চাই। আমাদের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের ভিতর দিয়ে একটি স্বাধীন দেশ পেলেও তাদের মুক্তি তো আসেইনি। বরং আমাদের প্রকৃত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অনেকটা কেড়ে নেয়া হয়েছে। পিন্ডিকে আমরা যেভাবে রুখে দিয়েছি, তেমনি দিল্লিকেও রুখে দিতে হবে।

      বাংলাদেশের সাথে ভারতের অসম বাণিজ্য চলছে সেই ’৭১ সালের পর থেকে। কয়েক লাখ ভারতীয় বাংলাদেশে চাকরি করে কয়েক হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে যাচ্ছে। ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন সমস্যার সমাধান হয়নি। এখন পর্যন্ত তিস্তা নদীর ন্যায্য পানি আমরা পাইনি। এভাবে কোনো দেশের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে তোলা যায় না। শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতিই বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে। নয়া দিগন্ত


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/23/40542/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ফেনসিডিলসহ ধরা খেলো কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা



        কুমিল্লার চান্দিনায় ফেনসিডিলসহ এমরান হোসেন সরকার (২৭) নামে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের এক প্রভাবশালী নেতা ধরা খেয়েছে। আটক ছাত্রলীগ নেতা এমরান হোসেন সরকার কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের বাগুর গ্রামের বাসিন্দা। সে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া সে কুমিল্লা ৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এর উকিল জামাতা।

        জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই পরিমল চন্দ্র দাস জানান, গত রবিবার (১৯ জুলাই) রাতে মাদক পাচারের সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা বাস স্টেশন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৫০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় তার আরো এক সহযোগী পালিয়ে যায়। চান্দিনা থানার ওসি মো. আবুল ফয়সল জানান, এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মাদক আইনে দুজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
        সূত্র: কালের কন্ঠ


        সূত্র: https://alfirdaws.org/?p=40538&preview=true
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ব্রিজের মুখ বন্ধ করে প্রভাবশালীদের মাছচাষ, ডুবছে এলাকা



          রাজশাহীর বাগমারার বিভিন্ন রাস্তায় নির্মিত অধিকাংশ ব্রিজ ও কালভেটের মুখ বন্ধ করে দিয়ে প্রভাবশালীরা মাছচাষ করায় বন্যার পানি ঠিকমত নামতে পারছে না। এ কারণে বন্যা কবলিত এলাকা এখনো পানির নিচে ডুবে রয়েছে। ফলে দীর্ঘায়িত হচ্ছে এ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি।

          এদিকে বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে সর্দি জ্বর, আমাশয় ও ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ-ব্যধি। ওষুধ ও খাবার স্যালাইন সঙ্কটও প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে। চিকিৎসার অভাবে পানিবাহিত রোগ-ব্যধি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিলেও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মীরা গতকাল এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় যায়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

          সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় নির্মিত ব্রিজ ও কালভার্টগুলোর মুখে মাটি ফেলে ও বাঁশের বানার বেড়া দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে এলাকার প্রভাবশালীরা মাছ চাষ করছেন। এ কারণে বন্যার পানি নামতে পারছে না। এলাকার পানি নামার মাধ্যম ব্রিজ ও কালভার্টগুলোর মুখ বন্ধ থাকায় ঠিকমত বন্যার পানি নামতে না পারায় সোনাডাঙ্গা, দ্বীপপুর, বাসুপাড়া, বড় বিহানালী ও ঝিকরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা এখনো বন্যা কবলিত রয়েছে। এখনো পানির নিচে ডুবে রয়েছে এ পাঁচটি ইউনিয়নের শত শত একর জমির ধান, পাট, পানবরজ ও সবজি ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসল। হাজার হাজার মানুষ রয়েছেন পানিবন্দি। পানির প্রবল চাপে বাঁধ ও বিভিন্ন সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ওইসব ইউনিয়নের সাথে উপজেলা ও জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কাঁচা বাড়িঘর পড়ে যাওয়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন শত শত পরিবার। এ অবস্থায় অনেক পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছেন। বিরাজ করছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানীয়জলের তীব্র সঙ্কট।

          ঝিকরা ইউনিয়নের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট আফতাব উদ্দিন আবুল অভিযোগ করে বলেন, এলাকার প্রভাবশালীরা বিভিন্ন রাস্তার ব্রিজ ও কালভার্টগুলোর মুখে বন্ধ করে দিয়ে মাছ চাষ করায় বন্যার পানি স্বাভাবিকভাবে নামতে না পারায় পানির প্রবল চাপে রোববার ভোরে বিলসুতি বিলের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম নতুনভাবে বন্যাকবলিত হয়েছে। বন্যার পানিতে ধান, পানবরজ ও সবজি ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে।

          সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আজাহারুল হক ও দ্বীপপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান দুলাল বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে সর্দি জ্বর, আমাশয় ও ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ-ব্যধি। চিকিৎসার অভাবে পানিবাহিত রোগ-ব্যধি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিলেও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মীদের দেখা মিলেনি বন্যাকবলিত এলাকায়।

          বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার গোলাম রাব্বানী বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় যে পরিমান রোগী আক্রান্ত হচ্ছে সেই চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ ও স্যালাইন আমাদের কাছে নেই। চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ ও স্যালাইন চেয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্দ্ধতন কর্তৃক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখনো পৌঁছেনি। নয়া দিগন্ত


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/23/40539/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            বহু অপরাধের হোতা পাপুলের উদ্দেশ্য হাসিল করতো আওয়ামী দূতাবাস



            কুয়েতে ভয়ঙ্কর এক নাম পাপুল। তার মন মর্জির উপর নির্ভর করতো অনেক কিছুই। কত প্রবাসীকে যে কুয়েত ছাড়া করেছে এর ইয়াত্তা নেই। কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ছিলো তার হাতিয়ার। পাপুলের মনের আশা পূরণ করতেন রাষ্ট্রদূত নিজেই। মানবপাচার ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে এই পাপুল এক কুয়েতের কারাগারে। যিনি বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্য। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি।

            শহিদ ইসলাম পাপুল এখন গোটা দেশেই পরিচিত। কুয়েতের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে তিনি আগে থেকেই ব্যাপক পরিচিত। কারণ তার প্রভাব, নির্যাতন আর অত্যাচার ছিলো সেখানকার বাংলাদেশিদের মুখে মুখে। বাংলাদেশি প্রবাসীদের কেউ তার অপকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুললে আর রক্ষা নেই। কিংবা কারো সঙ্গে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব হলেও তার আসল রুপ বেরিয়ে আসতো। তাদের উপর নির্মম নির্যাতনের পর করতেন দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা। কুয়েতস্থ বাংলাদেশি দূতাবাসের মাধ্যমে অভিনব কৌশলে তাকে কুয়েত ছাড়া করা হতো। অভিযোগ রয়েছে, রাষ্ট্রদূতের মদতে দূতাবাস পাপুলের দেয়া নাম অনুযায়ী প্রবাসীদের কালো তালিকাভুক্ত করতে চিঠি দিতো কুয়েত সরকারকে। বিশ্বে যেখানে দেশের মানুষের জন্য দূতাবাসগুলো লড়াই করে, সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাস নিজ দেশের মানুষকে কালো তালিকাভূক্ত করতে কুয়েত সরকারকে চিঠি দেয়। গত দেড় বছরে কমপক্ষে এমন ১৫ জনকে কালো তালিকাভুক্ত করে দেশে পাঠিয়েছে দূতাবাস। এর মধ্যে ৮ জনের নাম ও প্রমাণ এসেছে এই প্রতিবেদকের হাতে। তাদের মধ্যে কামরুল হাসান বাবুল, মিজানুর রহমান, এহসানুল হক খোকন, আবদুস সাত্তার, সফিকুল ইসলাম সফিক, জাফর আহম্মেদ, আব্দুস সাত্তার ও আরেক শ্রমিক। তাদের প্রথম তিনজন গণমাধ্যমকর্মী ও বাকি পাঁচজন ব্যবসায়ী। অভিযোগ রয়েছে, ব্যবসায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার ও তার অপকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তাদের এই কালো তালিকাভুক্ত করতে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশস্থ কুয়েত দূতাবাস।

            ভুক্তভোগী কামরুল হাসান বাবুল এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করেছেন। কিন্তু তিনি কোনো প্রতিকার পাননি। আবেদনে তিনি বলেন, দূতাবাস কোনো প্রকার আত্মপক্ষ সমর্থন না দিয়ে গ্রেপ্তার করে দেশে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য কুয়েত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাবর অভিযোগ করেন। এরই সূত্র ধরে, সিআইডি তার কোম্পানির মাধ্যমে তাকে তলব করেন। পরে সিআইডি কার্যালয়ে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কামরুল ইসলাম বাবুল বলেন, প্রবাসীদের নিয়ে আমি একটি নিউজ পোর্টাল সম্পাদনা করি। পাশাপাশি বাংলাদেশি একটি টিভি চ্যানেলের কুয়েত প্রতিনিধি ছিলাম। আমি লেখালেখি করতাম। রিপোর্ট করবো বলে পাপুলের বিষয় খবর নিচ্ছিলাম। সেটা পছন্দ করেনি পাপুল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দূতাবাসকে ব্যবহার করে আমাকে দেশ পাঠিয়ে দিয়েছে কালো তালিকাভুক্ত করে। পরে আমি দেশে এসে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কয়েকবার আবেদন করেও এর কোনো সুরাহা হয়নি। তিনি বলেন, আমি যখন সিআইডিতে যাই তাৎক্ষণিক আমাকে বেশকিছু প্রশ্ন করে। তখন আমি বুঝতে পারি বাংলাদেশ দূতাবাস নিজ উদ্যোগে অভিযোগ করেছে আমার বিরুদ্ধে। যেখানে আমাকে গ্রেপ্তার করে দেশে পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আমি ২৪ বছর কুয়েতে ছিলাম। কোনো অভিযোগ ছিলো না আমার বিরুদ্ধে। অথচ দূতাবাস ও পাপুলের দুর্নীতির খবর প্রকাশ হওয়ার ভয়ে বিনা কারণে আমাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

            কুয়েতে প্রবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বছর নভেম্বরে কুয়েত মসজিদ কমপ্লেক্স পরিচ্ছন্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং জাতীয় বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাজের দরপত্র আহ্বান করে কুয়েত সরকার। তিনবছর চুক্তিতে মসজিদ কমপ্লেক্স কাজের জন্য প্রায় ১ হাজার এবং বিমান চলাচল কাজের জন্য ৩০০ কর্মী নিয়োগ দেয়া হবে। এই উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করলে অংশ নেয় দুই দেশের যৌথ মালিকানা কোম্পানি জেএম গ্রুপ অব কোম্পানি কুয়েত। এ প্রতিষ্ঠানের অন্যতম মালিক ও প্রবাসী বাংলাদেশি জাফর আহম্মেদকে সরে আসার জন্য চাপ দিতে থাকে পাপুল। কিন্তু তারপরও তিনি দরপত্রে অংশ নেন। এ ঘটনার এক মাস পর জাফর আহম্মেদকে কুয়েত সিআইডিতে তলব করা হয়। সিআইডি ডেকে তাকে জানান, তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে মামলা আছে। তাকে দেশে ফিরে যেতে হবে। বাংলাদেশ দূতাবাস তার মামলার বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেয়। পরে তাকে ২১ দিন আটকে রেখে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। অথচ বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। জাফর আহম্মেদ বলেন, পাপুল ব্যবসায়ীকভাবে আমার সাথে না পেরে রাষ্ট্রদূতকে ব্যবহার করেছে।

            আরেক ভুক্তভোগী কুয়েতের বাংলাদেশ কমিউনিটির সমাজকর্মী মিজানুর রহমান। সামাজিক মাধ্যমে দূতাবাস ও পাপুলের অপকর্ম নিয়ে লিখতেন নিয়মিত। তাকেও দূতাবাস কালো তালিকাভুক্ত করে দেশে পাঠিয়ে দেন। মিজানুর রহমান বলেন, আমাকে কালো তালিকাভুক্ত করে সিআইডিতে চিঠি দেয় বাংলাদেশ দূতাবাস। কোনো প্রকার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আমি ২৬ বছর কুয়েতে ছিলাম। কোনো ধরনের অভিযোগ নেই আমার বিরুদ্ধে। কিন্তু পাপুল আমাকে সবসময় প্রতিপক্ষ মনে করতো। শুধু তাই নয়, সিআইডি যখন আমাকে দেশে পাঠানোর জন্য এয়ারপোর্টে নিয়ে যায় তখন দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা আমার ছবি তুলে। কৌশলে আমার ফোন নিয়ে গিয়ে যত ছবি ছিলো সব রেখে ফরমেট দিয়ে ফোনটি দেয়। এরপর দূতাবাস ও পাপুলের লোকজন আমার ছবি দিয়ে ফেসবুকে নানা আপত্তিকর পোস্টও দেয়। আমার সম্মানহানি করে।

            শহিদ ইসলাম পাপুলের অনৈতিক কর্মকান্ড ও অনিয়মের খবর প্রকাশের জন্য বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিকদের একটি অংশের ওপর দূতাবাস ও পাপুল বরাবরই ক্ষিপ্ত ছিলেন। শুধু তাই নয়, পাপুলের ব্যবসায়ীক প্রতিদ্বন্দ্বীর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলো দূতাবাস।

            কুয়েতে গ্রোসারি ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম। দীর্ঘ ২৫ বছর ছিলেন কুয়েতে। তার সঙ্গে প্রত্যক্ষ কোনো দ্বন্দ্ব ছিলো না দূতাবাস বা পাপুলের। কিন্তু বিস্*মিল্লাহ ট্রাভেলসের মালিক আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে পাপুলের ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এর সূত্র ধরেই সফিকুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশি আরেক শ্রমিককে দেশে পাঠিয়ে দেয় দূতাবাস। সফিক বলেন, পাপুলের সঙ্গে আমার চেনা-পরিচয় ছিল। এর বাইরে কিছু ছিল না। অথচ সাত্তারের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক তাই আমাকে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। সাত্তারের অফিসে একদিন আড্ডা দিচ্ছিলাম। এ সময় সিআইডি’র লোকজন বিনা কারণে আমাদের ধরে নিয়ে যায়। এখনো আমার পরিবার কুয়েতে অথচ আমি দেশে।
            দূতাবাসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কালো তালিকাভুক্ত করে প্রবাসীদের সিআইডি’র মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম বলেন, এটা আমি করতে পারি না। আমি সিআইডিকে কখনো এমন অভিযোগ করিনি। আমি সর্বোচ্চ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাতে পারি। কালো তালিকাভুক্ত কয়েকজনের নাম বললে, তিনি তাদের চিনেন না বলে জানান।
            সূত্র: মানবজমিন


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/23/40545/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              দুর্নীতির পেছনের রুই-কাতলাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হচ্ছে না কেন?



              স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগে গত এক সপ্তাহে ১০টি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পর এখন সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতাল-ক্লিনিককে কঠোর নজরদারির আওতায় আনার কথা বলা হচ্ছে।

              স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুল মান্নান বলেছেন, সব হাসপাতাল, ক্লিনিক, ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্ট সব বিষয় তদারকির জন্য জেলায় জেলায় সিভিল সার্জনকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

              জেকেজি এবং রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ প্রতারণার নানা অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষাপটে আওয়ামী সরকার যে সব ব্যবস্থা নিচ্ছে, তাতে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা কি সম্ভব – এই নিয়ে এখন তুমুল আলোচনা চলছে।

              জেকেজি হেলথ-কেয়ার এবং রিজেন্ট হাসপাতালের কেলেঙ্কারির প্রেক্ষাপটে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের লাইসেন্স না থাকার অভিযোগও সামনে এসেছে।

              এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকায় এক সপ্তাহে ১০টি বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে বেশিরভাগেরই লাইসেন্স নবায়ন না করা এবং নানা অনিয়মের তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার কথা বলেছে।

              “শুধুমাত্র ঢাকা কেন্দ্রিক নয়, সারাদেশেই উপজেলা পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক বা অবৈধভাবে স্বাস্থ্যখাতে অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে। এই প্রত্যেকটি জায়গার আমরা খোঁজখবর নেবো এবং নজরদারিতে আনবো।”

              তিনি আরও বলেছেন, “আজই আমি চিঠি দিয়েছি সকল সিভিল সার্জনকে। তারা গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত হাসপাতাল ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স আছে কিনা বা চিকিৎসা অতিরিক্ত অর্থ নেয়া হচ্ছে কিনা, এবং কোন অনিয়ম আছে কিনা, এসব দেখবো।”

              সরকারি হিসাব অনুযায়ী সারাদেশে ১৫ হাজারের মতো বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে ৪,১৬৪টির লাইসেন্স আছে এবং এই লাইসেন্সধারীদেরও মাত্র ২০০০ হাসপাতাল ও ক্লিনিক লাইসেন্স নবায়ন করেছে।

              দুর্নীতি বিরোধী বেসরকারি সংস্থা টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড: ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, লাইসেন্স ছাড়াই হাসপাতাল ক্লিনিক চালানোসহ স্বাস্থ্যখাতে কেনাকাটা এবং চিকিৎসায় অনিয়ম একটা প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা পেয়েছে। এখন দৃশ্যমান কিছু ঘটনায় সরাসরি জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু পেছনের রুই-কাতলাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে দীর্ঘ মেয়াদে কোন ফল হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

              “এ ধরণের দুর্নীতি এক হাতে হয় না। এটা ‘উইন-উইন গেম’। এখানে সাধারণত তিনটা পক্ষ থাকে। ঠিকাদারি বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারক চক্র আছে। তাদের সুরক্ষা দেয় প্রশাসন, যারা কাগজপত্র প্রক্রিয়াজাত করে। তার সাথে যুক্ত হয় আরও উচ্চতর রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহল। এর বিভিন্ন দৃষ্টান্ত প্রকাশ পাচ্ছে। সেখানে রুই-কাতলাদের না ধরে নীচের দিকের ব্যবস্থা নিয়ে ইতিবাচক কিছু হবে না।”

              করোনাভাইরাস মহামারিতে প্রথমদিকে চিকিৎসা না পাওয়া এবং এখন অনিয়ম দুর্নীতির নানা অভিযোগ ওঠায় হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যখাত নিয়ে মানুষের মাঝে আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারের মন্ত্রীদেরও অনেকে এখন তা স্বীকার করেন।

              বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, যেহেতু অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের ক্ষেত্রে পেছনের শক্তিকে চিহ্নিত করার পদক্ষেপ এখনও দৃশ্যমান নয়। সেজন্য অনিয়মে সরাসরি জড়িত বা প্রকাশ্যে থাকা কিছু লোকের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, তা লোক দেখানো কিনা- এমন সন্দেহ থেকে যাচ্ছে।

              ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড: শাহনাজ হুদা বলছেন, “যেটা বার বার বলা হচ্ছে যে মন্ত্রণালয়ের একটা সিণ্ডিকেট আছে। যেটা সবাই বলছে। অবশ্যই তাদের উচ্চপর্যায়ের অনেকের সাথে কানেকশন আছে। এবং এটা যদি আমরা না ধরতে পারি, তাহলে স্বাস্থ্যখাতের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরবে না।”

              স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবং সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী আ.ফ. ম. রুহুল হক বলেছেন, “মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এখন অনিয়ম দুর্নীতির পেছনের শক্তিকে চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। তা না হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের এমনিতেই অনাস্থা আছে, সেটা আরও বাড়বে।”
              সূত্র: ডেইলি সংগ্রাম


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/23/40551/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                আল্লাহ মিডিয়া ভাইদেরকে সাহায্য করুন,আমীন।
                ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                Comment


                • #9
                  Originally posted by abu mosa View Post
                  আল্লাহ মিডিয়া ভাইদেরকে সাহায্য করুন,আমীন।
                  আমীন ছুম্মা আমীন

                  Comment


                  • #10
                    আয়া সুফিয়ার খতীবের হাতের যন্ত্রটি যেদিন সচল হবে, সেদিনই হবে উম্মাহর নবউত্থান। এই যন্ত্র কোষমুক্ত না হলে আমাদের যিল্লতি আর লাঞ্ছনা কখনোই ঘুচবে না। ইনশাআল্লাহ, সেদিন বেশি দূরে নয়! উম্মাহর সিংহ শার্দুলরা আজ জেগে উঠেছে, ওই তো আসছে...
                    نحن الذين بايعوا محمدا، على الجهاد ما بقينا أبدا

                    Comment

                    Working...
                    X