Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ০২রা জিলহজ, ১৪৪১ হিজরী # ২৪শে জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ০২রা জিলহজ, ১৪৪১ হিজরী # ২৪শে জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

    খোরাসান | বিমান হামলা চালিয়ে ৪৫ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করল মুরতাদ কাবুল বাহিনী



    ক্রুসেডার আমেরিকার গোলাম মুরতাদ কাবুল বাহিনী বিমান হামলা চালিয়ে ৪৫ জন আফগান বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। এই হামলায় আহতও হয়েছে অনেক নিরাপরাধ মানুষ। তালেবান জানিয়েছে, এই ধরণের হামলা চলতে থাকলে ময়দানেই এর কঠিন প্রতিক্রিয়া দেখাবেন তাঁরা।

    গত বুধবার রাতে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় হেরাত প্রদেশ মুরতাদ কাবুল সরকারি বাহিনীর দ্বারা এই নির্মম ও নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। তালেবান নিয়ন্ত্রিত ইদ্রীসখান জেলায় একজন তালেবান কমান্ডারের বাড়ি লক্ষ্য করে এই হামলা চালায় মুরতাদ বাহিনী।

    ইমারতে ইসলামিয়ার তালেবান মুখপাত্র মুহতারাম ক্বারী ইউসুফ আহমাদী হাফিজাহুল্লাহ্ এই নির্মম ও নৃশংস হামলার ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, হামলাটি চালানো হয়েছে সাম্প্রতিক বাগরাম কারাগার হতে চুক্তি অনুযায়ী মুক্তিপ্রাপ্ত “খালিদ বিন ওয়ালিদ নাজ্বার” নামক একজন তালেবান কমান্ডারের বাড়িতে। যখন তাকে দেখতে গ্রামবাসী ও তাঁর আত্মীয় স্বজন বাড়িতে একত্রিত হয়েছিলো। আর ঠিক এমন সময়ই কাপুরুষ কাবুল বাহিনী তার বাড়ি লক্ষ্য করে পর পর দুইবার বিমান হামলা চালিয়েছে। যার ফলে বৃদ্ধ, শিশু, মহিলাসহ নিরাপরাধ ৪৫ জন বেসামরিক আফগান নাগরিক শহিদ হয়েছেন। ইন্নালিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজিউন।

    তালেবানদের নিযুক্ত জেলা গভর্নর আলি আহমেদ ফকির ইয়ার জানিয়েছেন, বুধবার রাতে পর পর দুইটি এয়ার রেড (বিমান হামলা) হয়। বিমান থেকে একের পর এক বোমা ফেলা হয়। নিমেষের মধ্যে গোটা এলাকা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। তালেবান অধ্যুষিত এই এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় বিমান হামলায় বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    এদিকে তালেবান মুখপাত্র তাঁর লিখিত বিবৃতি আরো জানান যে, সম্প্রতি যে সমস্ত তালেবান মুজাহিদিন জেল থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন, এই ঘটনার পর তারা আবার হাতে অস্ত্র তুলে নেবে এবং মুরতাদ কাবুল সরকারি বাহিনী ও এই ধরনের হামলায় সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযান চালানো হবে, যা ক্রিয়া স্বরুপ নয় বরং শক্রু বাহিনীর হামলার প্রতিক্রিয়া স্বরুপই চালানো হবে।







    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/24/40623/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মুসলিম নারীদের নেকাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ক্রুসেডার জার্মানি



    জার্মানির বাডেন ওয়ারটেম্বার্গ স্টেটের স্কুলগুলোতে মুসলিম নারীদের চেহারা ঢেকে রাখা এবং নেকাব পরিধান করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

    জার্মান মিডিয়াগুলোর বক্তব্য অনুযায়ী, পশ্চিম জার্মানের বাডেন ওয়ারটেম্বার্গ স্টেটে সেখানকার সমস্ত স্কুলে মুখ ঢাকা এবং নেকাব পরিধান করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

    সূত্রের তথ্যমতে, সেখানকার সিটি কাউন্সিল মুখ ঢাকা এবং নেকাব পরিধানের উপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

    সূত্র: ডেইলি জং


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/24/40613/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আওয়ামী সরকারের নিয়োগকৃত এমডিতে বিপর্যস্ত ওয়াসা



      বর্ষা আসে বর্ষা যায়, দিন বদলায়, কাল বদলায়, বদলায় না শুধু ঢাকা ওয়াসার সেবা। শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকট আর বর্ষায় হাবুডুবু, নালা-খালে পয়োবর্জ্য। তারপরও সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) আশা, ওয়াসা ঘুরে দাঁড়াবে। ১০ বছর পরও এই ঘুরে দাঁড়ানো শেষ হয়নি, শেষ হয়নি এই শীর্ষ কর্মকর্তার মেয়াদও।

      টানা পাঁচবার নিয়োগ পাওয়া এই কর্মকর্তার নিজের নিয়োগ, তাঁর মাধ্যমে দেওয়া অন্যদের নিয়োগসহ নানা ক্ষেত্রে আছে বিতর্ক। দুর্নীতির অভিযোগ গেছে দুদক পর্যন্ত। কিন্তু কোনো কিছুরই ফয়সালা হয় না। এমডির ভয়ে কর্মকর্তারা মুখ খোলেন না। জনসেবার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত সংস্থাটি এখন এমডি–শাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে।

      ঢাকা শহরে পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশনের উদ্দেশ্যে ১৯৬৩ সালে যাত্রা শুরু হয় ঢাকা ওয়াসার। সে সময়ের একটি অধ্যাদেশ অনুযায়ী চলত সংস্থাটি। পরে ১৯৯৬ সালে ‘ওয়াসা অ্যাক্ট’ নামে নতুন আইন হয়।

      এই আইন অনুযায়ী সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হচ্ছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এমডি। বোর্ড চেয়ারম্যান থাকলেও সভা ডাকা ছাড়া তাঁর একক কোনো ক্ষমতা নেই।

      এমডির বিতর্কিত নিয়োগ

      ঢাকা ওয়াসার আইন অনুযায়ী ওয়াসা বোর্ডের সুপারিশ বা প্রস্তাবের পর সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে এমডি নিয়োগ দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াতেই ২০০৯ সালে ওয়াসার এমডি পদে আসীন হন প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। এ ক্ষেত্রে ওয়াসা বোর্ড নজিরবিহীন জালিয়াতি করেছে বলে অভিযোগ আছে।

      শীর্ষ কর্মকর্তার টানা পাঁচবার নিয়োগ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন
      আইনের যথাযথ অনুসরণ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবি

      প্রথমবারের নিয়োগসংক্রান্ত নথি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এমডি নিয়োগের জন্য ওয়াসা বোর্ড ২০০৯ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশনে অথবা সিনিয়র পর্যায়ে সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ২০ বছরের আবশ্যিক অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়। ওই সময় এই পদের জন্য তাকসিম এ খানের জমা দেওয়া জীবনবৃত্তান্ত অনুযায়ী, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশনে তাঁর কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। অভিযোগ রয়েছে, ওই সময়ের ওয়াসা বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাকসিমের সখ্য থাকায় মৌখিক পরীক্ষায় তাঁকে সর্বোচ্চ নম্বর দেওয়া হয়।

      প্রথম দফার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ওয়াসা বোর্ডের ১৯৮তম সভায় তাকসিম এ খানের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু সে সময়ের স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক বছর মেয়াদ বাড়ান। এরপর ওয়াসা বোর্ডের আরেকটি সভায় সিদ্ধান্ত হয়, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী দেশে না ফেরা পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। কিন্তু মন্ত্রী দেশে ফেরার আগেই এমডির মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়। এর পরবর্তী ওয়াসার বোর্ড সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এবং নিয়োগটি বিধিসম্মত হয়নি বলে জানানো হয়। এ ঘটনায় বিব্রত বোধ করে বোর্ড।

      চতুর্থ দফায় ওয়াসা বোর্ড আবারও তাকসিম এ খানের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। ওই সময়ের মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এক বছর কেটে দিয়ে দুই বছরের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠালে তা অনুমোদিত হয়। উল্টো ঘটনা ঘটে পঞ্চম দফায়। এবার (’১৭ সালের আগস্টে) তাকসিমের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানোর জন্য ওয়াসা বোর্ডকেই নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। বোর্ড মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মেনে প্রস্তাব পাঠায় এবং আবারও তিন বছরের জন্য নিয়োগ পান তিনি।

      তবে এ ধরনের নির্দেশনা পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ওই সময়ের বোর্ড চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, তাঁর বোর্ডের সুপারিশে এমডি নিয়োগ হয়নি। আগের বোর্ডের সুপারিশে সব হয়েছে।

      এভাবে এমডির নিয়োগ নিয়ে গত সোমবার একটি বিবৃতি দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বিবৃতিতে ঢাকা ওয়াসায় সুশাসন নিশ্চিত করতে শীর্ষ পদে নিয়োগে আইনের যথাযথ অনুসরণ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।

      ঢাকা ওয়াসার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় এমডি পদে থাকার ইতিহাস গড়া তাকসিম এ খানের কাছে টিআইবির এই বিবৃতির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি একটি লিখিত বক্তব্য দেন। ইংরেজিতে লেখা এই বক্তব্যের মর্মার্থ হচ্ছে, সরকারের অনুমোদন (মন্ত্রণালয় বা সরকারপ্রধান) সাপেক্ষে ওয়াসা বোর্ড এমডি নিয়োগ দেয়। তাই এ ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। তবে নথিপত্র (টিআইবির বিবৃতি) হাতে পেলে ওয়াসা বোর্ড বা ব্যবস্থাপনা পর্ষদ জবাব দিতে পারে।

      এ সম্পর্কে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বিধিসম্মতভাবে কাউকে পাঁচ দফা নয়, আরও বেশি নিয়োগ দিলেও টিআইবির আপত্তি নেই। কিন্তু তাকসিম এ খানের নিয়োগটি বিতর্কিত। প্রথমবার নিয়োগ দেওয়ার সময় বিজ্ঞপ্তিতে যে যোগ্যতা-দক্ষতা-অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছিল, তা তাকসিম খানের ছিল না। তাঁর পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিধি মানা হয়নি।

      তাকসিম খানের পঞ্চম দফার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৪ অক্টোবর। এখন ষষ্ঠ দফায় নিয়োগের জন্য চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। ওয়াসার পরবর্তী বোর্ড সভায় এ ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে। বোর্ড চেয়ারম্যান এম এ রশিদ সরকার করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় গত সপ্তাহের নির্ধারিত সভা হয়নি।

      এমডির নিয়োগপ্রক্রিয়া অবশ্যই স্বচ্ছ হওয়া উচিত বলে মনে করেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওয়াসার আইনটিও এমন হওয়া উচিত, যাতে একজন দীর্ঘদিন একই পদে থাকতে না পারেন।

      দুর্নীতির অভিযোগ

      প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো, ঠিকাদার নিয়োগে সিন্ডিকেট, ঘুষ লেনদেন, পদ সৃষ্টি করে পছন্দের লোককে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, অপছন্দের লোককে ওএসডি করাসহ বিস্তর অভিযোগ ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে। গত বছর ওয়াসার ১১টি দুর্নীতিগ্রস্ত খাত চিহ্নিত করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিয়েছিলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

      দুদকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওয়াসার প্রকল্পগুলো নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয় না। নানা প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানো হয়। অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্পের নকশা ও বিবরণ অনুযায়ী কাজ করা হয় না। প্রকল্পে পরামর্শক ও ঠিকাদার নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমন কিছু শর্ত আরোপ করা হয়, যাতে নির্দিষ্টসংখ্যক ঠিকাদার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেন। এ ছাড়া ঠিকাদার নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট পদ্ধতি ও রাজনৈতিক পরিচয় এবং কাজ পাওয়ার বিনিময়ে ঘুষ লেনদেন বর্তমানে একটি প্রচলিত প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুদকের প্রতিবেদন বলছে, ব্যক্তিমালিকানাধীন গভীর নলকূপ স্থাপন, মিটার রিডিং ও রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়।

      দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তাকসিম খান মন্ত্রণালয়ে কথা বলার পরামর্শ দেন। নিয়োগ-পদোন্নতি নিয়ে জানতে চাইলে গতকাল তিনি বলেন, তাঁর কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ না আসায় তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না।

      এমডির নিয়োগ দেওয়া আরও দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে গত বছর একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল। দুদক অভিযোগ খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দিয়েছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে। মন্ত্রণালয় একটি কমিটিও করে। ওই কমিটির প্রধান ছিলেন অতিরিক্ত সচিব জহিরুল ইসলাম। গতকাল তিনি বলেন, পাঁচ–ছয় মাস আগে তিনি তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন। তদন্তে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে কি না, জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।

      এদিকে ওয়াসার ওয়েবসাইটে দেওয়া জনবলকাঠামো অনুযায়ী সংস্থাটিতে পরিচালক নামে কোনো পদ নেই। কিন্তু ওয়াসার এমডি পছন্দের দুজন ব্যক্তিকে পরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছেন। এ ছাড়া জ্যেষ্ঠতার ক্রম ডিঙিয়ে একাধিক পদে পদোন্নতি দেওয়ার ঘটনাও আছে। অন্যদিকে গণমাধ্যমে কথা বলার অপরাধে একজন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

      ওয়াসার কোনো কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বক্তব্য দিতে চান না। কোনো এলাকায় একটি পানির পাইপ ফেটে গেলেও কেউ বক্তব্য দেন না। এমডির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

      কতটা ঘুরে দাঁড়াল ওয়াসা

      ঢাকা ওয়াসার মূল দায়িত্বগুলোর মধ্যে রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা এবং জলাবদ্ধতা নিরসন করা। তাকসিম এ খান দায়িত্ব গ্রহণের পর সেবার মান বাড়াতে ২০১০ সালে ‘ঘুরে দাঁড়াও ঢাকা ওয়াসা’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করা হয়। এখন ১০ বছর পর দেখা যাচ্ছে, সেবা প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়েনি, গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে, জলাবদ্ধতা কমেনি, বরং বেড়েছে।

      জানা গেছে, ঢাকা শহরে প্রথম পানি শোধনাগার হয়েছিল ১৮৭৪ সালে, ওয়াসা প্রতিষ্ঠারও বহু আগে। কিন্তু এখনো ঢাকার সব জায়গার মানুষ সমানভাবে পানি পায় না। শুষ্ক মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট থাকে। এ ছাড়া পানির মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও গত ১২ বছরে অন্তত ১৩ বার পানির দাম বেড়েছে। ২০০৯ সালে যে পানির দাম ছিল পৌনে ৬ টাকা, এখন তা ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা।

      ওয়াসার হিসাব বলছে, ঢাকার ৮০ শতাংশ এলাকায় এখনো পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঢাকা ডুবে যাওয়া এখন দৃশ্যমান। ওয়াসা এমন ঘুরে দাঁড়িয়েছে যে খোদ সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের সামনেই জলাবদ্ধতা হয়।

      এ বিষয়ে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ঢাকা ওয়াসা জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সব জায়গায় এখনো পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারেনি সংস্থাটি। প্রথম আলো


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/24/40595/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সরকারি অবস্থাপনায় কেবল একটি প্রকল্পেই ব্যয় বাড়ছে ৩১১৭ কোটি টাকা!



        বিদেশী ঋণনির্ভরতার কারণেই অনেক প্রকল্প থমকে গেছে। উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে টানাপড়েনের কারণে গুরুত্বপূর্ণ সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্পটির কাজ পাঁচ বছরেও শুরু হয়নি। পুরো ৫টি বছরই মাটি হলো। যে প্রকল্পটি পাঁচ বছরে শুরুই করা গেল না, অনুমোদিত মেয়াদে যার অগ্রগতি মাত্র ৫ শতাংশ সেই প্রকল্পটির ব্যয় এখন এক লাফে ৩ হাজার ১১৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের অগ্রগতিই নেই, অথচ পরামর্শক খাতে খরচ বাড়ছে ২১২ কোটি টাকা। এখন ঋণদাতাদের পরামর্শেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

        ঢাকা ওয়াসার প্রস্তাবনার তথ্যানুযায়ী দৈনিক ৪৫ কোটি লিটার উৎপাদনক্ষমতা সম্পন্ন সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের নির্ভরতা কমানো, ফেজ-১ ও ফেজ-২ এর মাধ্যমে স্থাপিত প্ল্যান্ট-১ ও প্ল্যান্ট-২সহ প্রস্তাবিত প্ল্যান্ট-৩ এর জন্য স্লাজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন, বিদ্যমান প্ল্যান্ট-১ ও প্ল্যান্ট-২ এ ৪৫ কোটি লিটার দৈনিক এবং প্রস্তাবিত প্ল্যান্ট-৩ এ ৪৫ কোটি লিটার দৈনিক অর্থাৎ ৯০ কোটি লিটার দৈনিক অপরিশোধিত পানি সরবরাহের জন্য টুইন র’ওয়াটার ট্রান্সমিশন লাইনসহ ইনটেক পাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা এই প্রকল্পের কাজ।

        প্রকল্পের পটভূমি : পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে ঢাকা ওয়াসা মূলত ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল। ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে প্রতি বছর পানির স্তর ২ থেকে ৩ মিটার নিচে নেমে যাচ্ছে; যা শুধু পরিবেশের জন্যই হুমকি নয়, বরং ভবিষ্যতে খাবার পানি সরবরাহের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এই বিবেচনায় ঢাকা ওয়াসা ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

        বর্তমানে ঢাকা শহরে সরবরাহকৃত ভূ-গর্ভস্থ এবং ভূ-উপরিস্থ পানির অনুপাত ৭৮:২২। ঢাকা ওয়াসার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ঢাকা সিটির জন্য পানির মাস্টার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে ভূ-গর্ভস্থ ও ভু-উপরিস্থ পানির অনুপাত ৩০:৭০ এ উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। প্রকল্পটি চার হাজার ৫৭৯ কোটি ৩৬ লাখ ৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়। তাতে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে ঋণ নেয়া হবে ৩ হাজার ৫৩ কোটি ৫৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। যা ডানিডা, এএফডি, কেএফডব্লিউ ও ইআইবি থেকে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ঋণদাতাদের সাথে টানাপড়েনের কারণে প্রকল্প খরচ ৬৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৭ হাজার ৭১৪ কোটি ৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকায় উন্নীত হলো।

        প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, ডিজাইন ও সুপারভিশনের জন্য পরামর্শক সেবা, ৪৫ কোটি লিটার দৈনিক ক্ষমতাসম্পন্ন সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণ, ইনটেক র’ওয়াটার পাম্পিং স্টেশন নির্মাণ, ৩টি ফেজের জন্য কর্দমা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন, ৫২ দশমিক ৮ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন লাইন, প্রায় ৫৪ কিলোমিটার সরবরাহ লাইন স্থাপন, যানবাহন ও কম্পিউটার কেনা।

        সংশোধনের কারণ : প্রকল্পটি ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাঠপর্যায়ের কাজই শুরু করা সম্ভব হয়নি। কারণ, প্রকল্প সাহায্যের মধ্যে এএফডি কর্র্তৃক সাড়ে ১১ কোটি ইউরো সমতুল্য ১২ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার ও ইআইবি ৮ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পাশাপাশি ডানিডাও ২০ কোটি ডরার প্রদানের আশ্বাস দেয়। তবে ডানিডা ঋণ শুধুমাত্র প্রকল্পে পানি শোধনাগার ও স্লাজ শোধনাগার বাস্তবায়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। আর এএফডি ও ইআইবি অংশের ঋণ দিয়ে প্রকল্পের ইনটেক টুইন র’ওয়াটার টান্সমিশন লাইন ও পরিশোধিত পানি বিতরণ লাইন বাস্তবায়নের বিষয়টি ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

        ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ঋণদাতা তিনটি সংস্থার মধ্যে একটি সভা হয় প্যারিসে। সেখানে অর্থায়ন নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। তারা সবাই এই প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করে। এ দিকে, ডানিডার প্রতিশ্রুত ঋণ প্রস্তাবটি বাধা পাওয়াতে ডিপিপি অনুমোদনের পর ইআইবির পক্ষ থেকে প্রকল্পে অর্থায়নে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইআইবি তাদের অভ্যন্তরীণ কারণে প্রকল্পে অর্থায়ন ৭ কোটি ৬০ লাখ ইউরো থেকে কমিয়ে ৪ কোটি ইউরোর বেশি অর্থায়ন সম্ভব হবে না বলে জানায়। আর এপ্রিল মাসে মিশন বাতিল করে ইআইবি।

        পরে সরকার নতুন করে উন্নয়ন সহযোগী খোঁজার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে (ইআরডি) অনুরোধ জানায়। দীর্ঘ আলোচনার পর কেএফডব্লিউ ৯ কোটি ইউরো ঋণ দিতে সম্মত হয়। তারা ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ইনটেক সাইট পরিদর্শন করে। প্রকল্পের এলাকায় মেঘনা নদীর পাড়ে আমান ইকোনমিক জোনসহ অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা বিভিন্ন কল-কারখানার দূষিত বর্জ্যরে কারণে নদীদূষণ ইস্যুতে ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর চার রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বরাবর পত্র লিখেন। এতে করে এক সময় ঋণচুক্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। পরে মেঘনা নদী দূষণমুক্ত রাখা হবে বলে তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এরপর ২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে বিভিন্ন সময়ে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আর ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর ডানিডার সাথে আর্থিক সম্মতিসম্পন্ন হয়। ২০১৩ সালের রেট শিডিউলের ভিত্তিতে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয় প্রকল্পে। এখন ২০২০ সালে নতুন রেট শিডিউল হওয়াতে নতুন করে প্রাক্কলন করতে হচ্ছে।

        ঢাকা ওয়াসা বলছে, ঢাকা শহরের চার পাশের নদী যেমন বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগে পানির দূষণমাত্রা অনেক বেশি। যার কারণে সেসব নদীর পানি পরিশোধনের অযোগ্য। তাই মেঘনা নদী থেকে পানি নিয়ে আসা ছাড়া এখন অন্য কোনো বিকল্প নেই। উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়োগকৃত পরামর্শকদের সুপারিশের কারণে ১০ কিলোমিটার পানির লাইনের এলাইনমেন্টসহ বেশ কিছু কাজ নতুন করে যুক্ত হয়েছে। তারা বলছে, প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক ও ঠিকাদার নিয়োগের জন্য কমপক্ষে দেড় থকে ২ বছর সময় লাগবে। এ ছাড়া নির্মাণকাজের জন্য সাড়ে তিন বছরের মতো সময় প্রয়োজন হবে। তাই মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে।

        প্রস্তাবিত ব্যয় পর্যালোচনায় পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের উইং বলছে, ডিজাইন ও নির্মাণকাজ সুপারভিশনের জন্য পরামর্শক খাতে খরচ ২১২ কোটি ৩১ লাখ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যেখানে প্রকল্পের মূল কাজ এখনো শুরুই হয়নি সেখানে এই খাতে এত ব্যয়? বিদেশী ঋণে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে সেগুলো অনুমোদনের আগেই তাদের সাথে ঋণচুক্তি সম্পন্ন করা হলে এই ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হতে হতো না।
        সূত্র: নয়া দিগন্ত


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/24/40598/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ



          বকেয়া বেতন দাবিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তিন সড়ক এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সকালে স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড-এর শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

          বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, গত জুন মাসের বকেয়া বেতন এখনো দেওয়া হয়নি তাদেরকে। তাই বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে কারখানার পাশে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। এর সঙ্গে অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে মাতৃত্বকালীন ছুটি ভাতা ও ওভারটাইম।

          শ্রমিকরা আরো জানান, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালনের একপর্যায়ে তারা ঢাকা-জয়দেরপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে। এসময় শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে তারা বিক্ষোভ ও অবরোধ বন্ধ করেন।

          গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জিন্নাত আলী জিন্নাহ জানান, মাতৃত্বকালীন ছুটি ভাতা, ওভারটাইম ও জুন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। পরে কারখানার কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা কর্মসূচি তুলে নেন। কালের কন্ঠ


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/24/40604/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            এবার পাকা ব্রিজে বাঁশের সাঁকো!



            বরিশালের বানারীপাড়ায় সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের ইন্দেরহাওলা গ্রামে বেহাল হয়ে পড়া পাকা ব্রিজে বাঁশের সাঁকো বসানো হয়েছে। ওই সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। এ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ আউয়ার বাজার, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পার্শ্ববর্তী উজিরপুর উপজেলার হারতা বাজারে আসা-যাওয়া করে থাকেন। ব্রিজ সংলগ্ন মসজিদে মুসল্লিদের দিন-রাত কষ্ট করে নামাজ আদায় করতে যেতে হয়। বিশেষ করে এ ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতে বৃদ্ধজন, নারী ও শিশুদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।

            নিম্নমানের নির্মাণ করা জনগুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় দেবে গিয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্রিজটি ভেঙে নতুন ব্রিজ নির্মাণ কিংবা সংস্কারে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় নিরুপায় হয়ে স্থানীয়রা ব্রিজের ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করছেন। কিন্তু যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

            এদিকে যেকোনো সময় ব্রিজটি সম্পূর্ণ ভেঙে খালে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ব্যপারে সৈয়দকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান আ. মন্নান মৃধা জানান, নিন্মমানের নির্মাণের ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি দেবে গিয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

            এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুক জানান, ব্রিজটি ভেঙে সেখানে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। কালের কন্ঠ


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/24/40607/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              আল্লাহ্ কাবুল বাহিনীকে ধ্বংস করুন আমীন।

              Comment

              Working...
              X