Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ০৩রা জিলহজ, ১৪৪১ হিজরী # ২৫শে জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ০৩রা জিলহজ, ১৪৪১ হিজরী # ২৫শে জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

    কাশ্মির ইস্যুতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় হাসিনাকে সাধুবাদ জানালো নয়া দিল্লি



    ভারত দখলকৃত জম্মু-কাশ্মির ইস্যুতে বাংলাদেশের নিশ্চুপ অবস্থান অনেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হলেও নয়া দিল্লির কাছে প্রশংসিত হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস-এর খবরে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মির ও সেখানকার পরিস্থিতি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে যে অবস্থান নিয়ে আসছে সেটির প্রশংসা করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব।

    অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক পরীক্ষিত ও ঐতিহাসিক। জম্মু-কাশ্মির ও সেখানকার পরিস্থিতি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে যে অবস্থান নিয়েছে সেজন্য আমরা সাধুবাদ জানাই। এই অবস্থান বাংলাদেশ সব সময় নিয়ে আসছে।’

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশের এ অবস্থান অনেক বুদ্ধিজীবীর নিকটেই প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের মতে, অন্য কোনো দেশের ভেতরকার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার অর্থ এই নয় যে, অন্য দেশের অমানবিক কর্মকাণ্ড দেখে চুপ থাকা যাবে। কারো অনৈতিক কাজ দেখে চুপ থাকার অর্থ সে অনৈতিক কাজে সমর্থন দেয়া। এদৃষ্টিকোণ থেকে অনেকে বাংলাদেশের এই অবস্থানকে সমালোচনাযোগ্য মনে করেন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/25/40646/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    নেপালের বিদ্যুৎ ভারতীয় কোম্পানির মাধ্যমে কিনবে বাংলাদেশ



    বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রয়ের জন্য নেপালের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে অনুমোদন দিয়েছে নেপালের সরকার।

    বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশও নেপাল থেকে বিদ্যুৎ কেনার ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে এবং সে বিষয়ে একটি প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু সরাসরি নেপাল থেকে নয়, ভারতীয় একটি কোম্পানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেনার ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে।

    কীভাবে এই বিদ্যুৎ আনা হবে?
    নেপালের সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশটিতে চাহিদা পূরণের পর যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকবে তা বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে বিক্রি করতে পারবে নেপালের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। চাহিদার চেয়ে উৎপাদন কম হলে এই দুটি দেশ থেকে বিদ্যুৎ কিনতেও পারবে।

    বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, নেপাল থেকে বিদ্যুৎ কিনে বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করবে ভারতীয় একটি কোম্পানি এমন একটি প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

    তিনি বলছেন, ‘ আমি নিজে গত বছর গিয়েছিলাম নেপালে এবং সেখানে আমাদের একটা চুক্তি সই হয়েছে।’

    ‘ইতোমধ্যে আমরা একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি, ভারতের জিএমআর কোম্পানির কাছ থেকে নেপালের বিদ্যুৎ নেয়ার। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সরাসরি চুক্তি হচ্ছে জিএমআরের সাথে যে ওনারা বিদ্যুৎটা আনছেন নেপাল থেকে। তারা সঞ্চালন লাইন তৈরি করবে, আমরা সেখান থেকে বিদ্যুৎ নেবো।’

    যে কারণে সরাসরি নেপাল থেকে নয়
    বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। তবে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা এর অর্ধেকের মতো। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ভারত থেকে ১৩শ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ কিনছে।

    নেপাল থেকেও বিদ্যুৎ কেনার ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে আলাপ আলোচনা চলছে, কিন্তু বাংলাদেশ সরাসরি নেপাল থেকে বিদ্যুৎ কিনছে না।

    ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠন ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম বলছেন, ‘ভারতের একটি ক্লজের কারণে বাংলাদেশ সেটা পারছে না। বিদ্যুতের আমদানি ব্যবসা ভারত তার একটি পলিসি দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে।’

    ‘তাদের ক্লজ অনুযায়ী দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতাতেই শুধু বিদ্যুৎ ব্যবসা হতে পারবে। সেই কারণে নেপাল থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ নিতে পারার সুবিধাটা বাংলাদেশ পায়নি।’

    ভারতের সেভেন সিস্টার নামে পরিচিত রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে পণ্য পরিবহনে ভারত ২০১৬ সালে ট্রানজিট সুবিধা পায়। ২০১০ সাল থেকে কয়েক দফায় কোনো ধরণের ফি ছাড়াই আশুগঞ্জ নৌ বন্দর ও আশুগঞ্জ-আখাউড়া প্রায় ৪৫ কিলোমিটার সড়ক ব্যবহার করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারি মালামাল এবং খাদ্যশস্য ট্রানজিট করেছিলো ভারত।

    মাত্র দুদিন আগেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্দর ব্যবহারের সুবিধা দেয়ার ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির প্রথম ভারতীয় পণ্যের জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।

    ড. শামসুল আলম বলছেন, ‘এই জায়গাটায় দর কষাকষির সুযোগ ছিল। আমরা যেসব সুবিধা ভারতকে দিয়েছি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে, ট্যাক্স টোলের ব্যাপারে, সেই সব সুবিধার বিনিময়ে ভারত বাংলাদেশের জন্য এই ক্লজ বাতিল করতে পারতো। যে অসম নিয়ন্ত্রণ পলিসি দ্বারা ভারত বিদ্যুৎ আমদানির উপরে আরোপ করেছে, আমি মনে করি বাংলাদেশের এটা নিয়ে কূটনৈতিক লড়াই করা উচিৎ।’

    তিনি বলছেন, বাংলাদেশের এখন প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য খরচ হয় ২৯ পয়সা। তার মতে নেপাল থেকে বাংলাদেশ সরাসরি সঞ্চালন করে বিদ্যুৎ আনলেও এই জল বিদ্যুতের দাম যথেষ্ট কম থাকবে। তার ভাষায় বাংলাদেশ সেই সুবিধা না নিতে পারলে সেটি হবে বাংলাদেশের কূটনৈতিক ব্যর্থতা।

    দাম নিয়ে প্রশ্ন
    তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ রক্ষার বিষয়ে বামপন্থীদের একটি আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এম আকাশ প্রশ্ন তুলেছেন এভাবে বিদ্যুৎ ক্রয়ে বাংলাদেশের জন্য কতটা লাভজনক হবে সে নিয়ে।

    তিনি বলছেন, ‘বিদ্যুৎ একটা পাবলিক গুডস। বাংলাদেশে এর দাম নিয়ন্ত্রিত হয় পাবলিক রেগুলেটরি কমিশন দ্বারা। এর জন্য গণশুনানি হয়।’

    ‘নেপালের ইলেক্ট্রিসিটি কোম্পানি পণ্যটি বিক্রি করবে ভারতীয় একটি কোম্পানির কাছে। সেই ভারতীয় ইলেক্ট্রিসিটি কোম্পানি আবার সেই পণ্যটি বিক্রি করবে আমাদের কাছে। সেখানে নিশ্চয়ই মুনাফার বিষয় থাকবে।’

    ‘খুব স্বভাবতই এখানে দামের লজিকটা কাজ করবে নেপালের কোম্পানি যে দামে ভারতের কোম্পানির কাছে বিক্রি করবে তারা নিশ্চয়ই আমাদের কাছে আরো বেশি দামে বিক্রি করবে তা না হলে মুনাফা কীভাবে হবে। যেহেতু বাণিজ্যিক লেনদেন হচ্ছে। সেজন্য বিষয়টি মুনাফা ভিত্তিক হয়ে যাবে।’

    এর বাইরে দামের সাথে ট্যাক্স ও টোল দিতে হবে। নেপাল ও ভারত থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আনার জন্যে সঞ্চালন ফি সম্ভবত থাকতে পারে। সব মিলিয়ে সরাসরি নেপাল থেকে বিদ্যুৎ না আনতে পারার বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য কতটা লাভজনক থাকবে সেই প্রশ্ন তুলছেন অধ্যাপক আকাশ।
    সূত্র: নয়া দিগন্ত


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/25/40643/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অবহেলা চিকিৎসকদের মৃত্যুর জন্য দায়ী



      স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া নিম্নমানের সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহারের কারণে চট্টগ্রামের ১২ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। সংগঠনের নেতাদের দাবি, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিয়েছেন ডাক্তাররা। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বলি হচ্ছেন তারা।

      বেশিরভাগ চিকিৎসক মানসম্মত সুরক্ষা সামগ্রীর অভাবে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অবহেলা চিকিৎসকদের মৃত্যুর জন্য দায়ী। বর্তমানে করোনা হাসপাতালের অধিকাংশ বেড খালি। কিন্তু গত তিন মাসে হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর চাপ ছিলো ভয়াবহ। রোগীর তুলনায় চিকিৎসক ছিলো অপ্রতুল।

      বিএমএর তালিকা অনুযায়ী, চট্টগ্রামে মোট চিকিৎসক ৪ হাজার ৩৪৯ জন। এর মধ্যে ৪২৪ জন করোনায় আক্রান্ত। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৮ জন। আক্রান্ত চিকিৎসকের মধ্যে যাদের শারীরিক জটিলতা বেশি তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বেশিরভাগ চিকিৎসক হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।

      চট্টগ্রামে গত এপ্রিলে দুজন চিকিৎসক আক্রান্ত হলেও মে মাসে শনাক্ত হয়েছেন ৮৬ জন। জুনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৩ জন। সর্বশেষ চলতি মাসের গত ২১ দিনে ১৪৩ জন চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১২ চিকিৎসক।

      চট্টগ্রামে করোনায় মারা যাওয়া চিকিৎসকরা হলেন আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের গাইনি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. সুলতানা লতিফা জামান আইরিন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সমিরুল ইসলাম বাবু, মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসক নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডা. ললিত কুমার দত্ত, চমেকের জরুরি বিভাগের (ইএমও) ডা. মুহিদুল হাসান, বেসরকারি মেরিন সিটি মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. এহসানুল করিম, বেসরকারি মেট্রোপলিটন হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. নুরুল হক, জেমিসন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. সাদেকুর রহমান, ডা. আরিফ হাসান, চসিকের অবসরপ্রাপ্ত ডা. মোহাম্মদ হোসেন, ডা. জাফর হোসেন রুমি। তাদের মধ্যে দুজন ছাড়া বাকি ৮ জনই বেসরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট চেম্বারে প্র্যাকটিস করতেন।

      জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনার কারণেই চিকিৎসকদের এই দশা। তারা লুটপাটে ব্যস্ত চিকিৎসকদের সুরক্ষাসামগ্রী, পিপিই ছাড়া নামিয়ে দেওয়া হয়েছে মৃত্যুঝুঁকিতে। বেশিরভাগ পিপিই মাস্ক নকল, মানসম্মত নয়। এর ফলে চিকিৎসক সংক্রমিত হয়ে পরিবারের সদস্যদেরও আক্রান্ত করেছে। এখনো সময় আছে স্বাস্থ্য দপ্তরকে চিকিৎসকদের কথা ভাবতে হবে। না হলে সেবা দেওয়ার জন্য কেউ থাকবে না।

      বিএমএর কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ডা. শেখ শফিউল আজম বলেন, নিম্নমানের সুরক্ষাসামগ্রীর কারণে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন চিকিৎসকরা। এ ছাড়া যথাযথভাবে পিপিই পরিধান পদ্ধতি বৈজ্ঞানিকভাবে মানা হয়নি। সেরকম প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়নি। চিকিৎসকদের পাশে অন্যান্য যেসব স্বাস্থ্যকর্মী থাকেন তাদের অনেকের পিপিই নেই। যাদের আছে তারাও ঠিকমতো ব্যবহার করতে জানেন না। ফলে চিকিৎসকরা সংক্রমিত হয়েছে দ্রুত।

      তিনি আরও বলেন, সরকারিভাবে পিপিই ও মাস্ক দেওয়া হচ্ছে। তাও আদৌ আসল, নাকি নকল আমরা জানি না। কিন্তু চিকিৎসকরা সেগুলো ব্যবহার করেই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। নকল ও মানহীন সুরক্ষাসামগ্রী পরিধানের ফলে করোনা পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে এসে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসকরা। যারা এসব নকল ও মানহীন সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহ করেছেন সেসব ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমাদের সময়


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/25/40639/
      Last edited by Munshi Abdur Rahman; 07-26-2020, 05:08 PM.
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ঘুষ না দেয়ায় হতদরিদ্র কিশোরের সব ডিম রাস্তায় ফেলে ভেঙ্গে দিলো ভারতীয় মালাউন পুলিশ



        মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো বিপর্যস্ত অবস্থা এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতের। প্রতিনিয়তই সেখানে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। করোনা ভাইরাস ঠেকানোর নাম করে পুরো ভারতজুড়ে জারি রয়েছে অপরিকল্পিত লকডান। এই লকডাউনই দেখিয়ে দিয়েছে ভারতের নিম্নবিত্ত মানুষদের হতদরিদ্র অবস্থা।

        এই লকডাউনের মাঝে পেটের ভাত জোগাড় করতে রাস্তায় ভ্যান নিয়ে ডিম বিক্রি করতে শুরু করেছিল মধ্যপ্রদেশের ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর। রাস্তায় ডিম বিক্রির জন্য সেই কিশোর পুলিশকে ঘুষ দেয়নি বলে তার সাথে অমানবিক ঘটনা ঘটালেন দুই নির্দয় পুলিশ। সেই অমানবিকতার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।

        জানা যায়, করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনে কাজ হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে ওই কিশোরের পরিবার। পরিবারের পেট চালাতে ডিম বিক্রি শুরু করেছিল ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের এক কিশোর। এই লকডাউনের সময় প্রতিদিন ডিম বোঝাই ভ্যান নিয়ে বড় রাস্তায় বসে ডিম বিক্রি করতো সে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই ডিম বোঝাই ঠেলাগাড়ি রাস্তা থেকে সরিয়ে নিতে বলে দুই পুলিশ। কিন্তু সেই কিশোর বলে, ‘রাস্তা থেকে সরে গেলে ডিম কীভাবে বিক্রি করবে?’

        তারপরে ওই দুই পুলিশ রাস্তার পাশে ঠেলাগাড়ি রাখার জন্য ১০০ রুপি ঘুষ চায় কিশোরের কাছে। কিন্তু তাদেরকে ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় ওই কিশোরের সব ডিম রাস্তায় ফেলে ভেঙে দেয় দুই পুলিশ।

        এমন অমানবিক ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলে মুহুর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ভারতের এমন দুরাবস্থার সময়েও মালাউন প্রশাসনের এরকম কাজের নিন্দা করছেন সবাই। এখনো ওই দুই পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/25/40650/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          নকল মাস্ক সরবরাহ করে ধরা খেলো আ.লীগ নেত্রী



          শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহ করে ধরা খেলো আওয়ামী লীগের নেত্রী সারমিন। ।

          এর আগে সাবেক এই ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার রাতে বিএসএমএমইউয়ের প্রক্টর বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় প্রতারণার মামলা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এই মাস্কের কারণে কোভিড-১৯ সম্মুখযোদ্ধাদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে।

          মামলার আসামি শারমিন জাহান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক পদে ছিলেন। আওয়ামী লীগের গত কমিটিতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য ছিলেন। এর আগের কমিটিতে একই উপকমিটির সহসম্পাদক ছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে স্নাতকোত্তর শেষে বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রশাসন-১ শাখায় সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত তিনি। তাঁর বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলার শ্যামগঞ্জের গোহালকান্দায়। তিনি মাস্ক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী।

          মামলায় বিএসএমএমইউয়ের প্রক্টর মো. মোজাফফর আহমেদ বলেছেন, গত ২৭ জুন শারমিন জাহানকে ১১ হাজার মাস্ক সরবরাহের কার্যাদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। কার্যাদেশের বিপরীতে ৩০ জুন প্রথম দফায় ১ হাজার ৩০০টি; ২ জুলাই দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ৪৬০টি ও ১ হাজারটি এবং ১৩ জুলাই চতুর্থ দফায় ৭০০টি মাস্ক সরবরাহ করে। প্রথম ও দ্বিতীয় লটের মাস্কে কোনো সমস্যা ছিল না। তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় লট বিতরণ ও ব্যবহারে ত্রুটি পাওয়া যায় এবং মাস্কের গুণগত মান স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী পাওয়া যায়নি। কোনো মাস্কের বন্ধনী ফিতা ছিঁড়ে গেছে, কোনো মাস্কের ছাপানো লেখায় ত্রুটিপূর্ণ ইংরেজি লেখা পাওয়া গেছে, কোনো কোনো মাস্কের নিরাপত্তা কোড ও লট নম্বর প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে গিয়ে নকল বলে জানা গেছে। এ কারণে কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে যে মাস্কের গুণগত মান নিম্নমানের ছিলো।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/25/40693/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি-অনিয়মের গভীরে কারা?



            জেকেজি এবং রিজেন্ট হাসপাতাল কেলেঙ্কারির পটভূমিতে স্বাস্থ্যখাতে যখন একের পর এক দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ উঠছে, তখন সরকার টাস্কফোর্স গঠন করে দুর্নীতি দূর করার কথা বলছে।

            দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ পাওয়ায় চুনোপুটি কয়েকজনকে ধরা হয়েছে। কিন্তু সংকটের গভীরে গিয়ে প্রভাবশালী স্বার্থন্বেষী মহল বা রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়।

            স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি-অনিয়মের গভীরে যাওয়া আসলে কতটা চ্যালেঞ্জের, এবং সিন্ডিকেট বা স্বার্থান্বেষী মহলের প্রভাব থেকে স্বাস্থ্যখাতকে মুক্ত করা কী আদৌ সম্ভব-এই খাতের পর্যবেক্ষকদের অনেকে এসব প্রশ্ন তুলেছেন।

            সিন্ডিকেটের হাত কত লম্বা?
            স্বার্থন্বেষী মহল বা সিণ্ডিকেটের হাত কি সরকারের হাতের চেয়েও লম্বা, এমন আলোচনাও এখন চলছে।

            টিআইবির ড: ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, স্বার্থন্বেষী মহলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াটা বেশ কঠিন। তবে একেবারে অসম্ভব বিষয় নয় বলেও তিনি মনে করেন।

            ‘গভীরে গিয়ে যারা এর সার্বিক প্রক্রিয়ার মধ্যে মূল ভূমিকাগুলো পালন করে থাকে, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা বা একটা প্রতিরোধমূলক জায়গায় নিয়ে আসা- এটা খুবই কঠিন কাজ এবং অনেক সময় অসম্ভবও মনে হয়। কিন্তু যদি আইনের প্রয়োগটা হতো বা নীতিমালার প্রয়োগ হতো তাহলে কিন্তু এটা খুবই সম্ভব।’

            ‘কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, যে প্রতিষ্ঠানগুলো বা যে কর্তৃপক্ষের ওপর দায়িত্ব তারা কিন্তু এক ধরণের সীমারেখা নির্ধারণ করে বসে আছে যে এই সীমারেখার উর্ধ্বে আর যাওয়া যাবে না, তাহলে হাত পুড়ে যাবে।যার ফলে টানাটানি হবে তথাকথিত কিছু চুনোপুটিদের নিয়ে। এবং রুই-কাতলারা ঠিকই বাইরে থেকে যাবে।’

            সরকারের টাস্কফোর্স
            স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ যখন পদত্যাগ করেন, তখন গত বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

            নানা অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেছিলেন, পরিস্থিতি করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি।

            ‘পরীক্ষায় কত নাম্বার পেলেন, এটা নির্ভর করে আপনি পরীক্ষা কেমন দিয়েছেন। আমরা মনে করি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভালো নাম্বার পেয়েছে। নাম্বারটা কি–যে আমাদের মৃত্যুর হার দেড় পার্সেন্ট। এটা হলো সবচেয়ে বড় নাম্বার। যেটা আমেরিকাতেও ছয় পার্সেন্ট, ইউরোপে ১০ পার্সেন্ট। তবে যেখানে যেখানে পরিবর্তন প্রয়োজন, সে বিষয়গুলো আমরা অবশ্যই দেখবো। আমরা চাই যে, এখানে সুষ্ঠু পরিচালনা হোক।’

            তবে মন্ত্রী নিজে পদত্যাগ করবেন কিনা-সাংবাদিকদের সেই প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে জাহিদ মালেক বলেছিলেন, একটি টাস্কফোর্স গঠন করে দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

            কিন্তু সংকট কতটা গভীরে- তা বের করার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা আছে কিনা- তাতে সন্দেহ রযেছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অনেকের।

            ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক নাসরিন সুলতানা বলেছেন, সংকটের শেকড়টা বের করা প্রয়োজন।

            ‘খুবই গভীর মনে হয়। যদি সেটা গভীরে না হয়, তাহলে একের পর এক দুর্নীতি হতে পারে না। যেমন, আমরা জেকেজি বা রিজেন্টের ঘটনা দেখেছি। এরপর সাহাবুদ্দিন হাসপাতালের ঘটনা দেখলাম। একের পর এক হয়েই যাচ্ছে। এর রুটটা বের করা দরকার। সংবেদনশীল এই খাতে দুর্নীতি চলতে থাকলে শেষপর্যন্ত জনগণকেই কিন্তু ভোগান্তি পোহাতে হয়।’

            দুর্নীতির গভীরতা এবং উৎস : কারা দায়ী?
            স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি বা অনিয়ম নতুন কিছু নয়। এখন করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে কিছু ঘটনা প্রকাশ হওয়ায় এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশি এবং এই খাতের পর্যবেক্ষকদের অনেকেই এমন বক্তব্য দিচ্ছেন।

            কিন্তু কীভাবে বছরের পর বছর ধরে সেখানে দুর্নীতি চলে, সেই প্রশ্নও অনেকে তুলেছেন।

            স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগে পরিচালকের কাজ করার অতীত অভিজ্ঞতা থেকে ডা: বে-নজীর আহমেদ বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে টাকা বানানোর টার্গেট নিয়েই চক্র গড়ে ওঠে।

            “যে সেক্টরগুলোতে বেশি কাজ হয়, তার মধ্যে হেলথ সেক্টর অন্যতম। সুতরাং এই জায়গাটাকে তারা টার্গেট করে যে এখান থেকে ‘দে ক্যান আর্ন অ্যা্ লট’ – এটা টার্গেট করে যারা আসে, তারা বড় বড় প্লেয়ার এবং তাদের নানা জায়গায় পরিচিতি আছে।”

            তিনি আরো বলেছেন, ‘আমাদের ক্রয় সম্পর্কিত পদ্ধতিতে দুর্বলতা আছে। আর যারা টার্গেট নিয়ে আসে, তারা খুব স্মার্ট। এদের সাথে আমাদের অধিদফতর বা আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন জড়িত হন। যে লোকগুলো বছরের পর বছর একই পদে থাকেন, তারা এটাকে নিয়ন্ত্রণ করেন। এই দু’টো মিলিয়ে করাপশনগুলো হচ্ছে।’

            সাবেক এই পরিচালক ডা: বে-নজীর আহমেদ এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতিতে জড়িত থাকার যে কথা বলছেন, অনেকটা একই তথ্য এসেছে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা টিআইবি’র গবেষণায়।

            সেখানে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যখাতের ঠিকাদার বা ব্যবসায়ী, একশ্রেণীর আমলা এবং রাজনৈতিক প্রভাব-এই তিনটি পক্ষের সিন্ডিকেট সেখানে কর্মকাণ্ড চালায়।

            টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড: ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ক্ষমতার পরিবর্তন হলে সিন্ডিকেটের লোক বদল হয়। কিন্তু একইভাবে দুর্নীতি চলতে থাকে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

            ‘ক্ষমতার রদবদল কিছু না কিছু হয়। একই রাজনৈতিক দলের আমলে বিভিন্ন মেয়াদে বিভিন্ন ব্যক্তি ক্ষমতায় আসেন এবং প্রভাবশালী গ্রুপ তৈরি হয়ে যায়। তাদের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন অনিয়ম হয়। সেখানে একদিক থেকে প্রশাসনের এক শ্রেনির কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। আর ঠিকাদার বা সরবারহাকারী আছে, যাদের বানোয়াট বা বাস্তব পরিচয় থাকে রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক মহলের সাথে। এগুলোকেই পুঁজি করে চক্রজালের মতো কাজ করে। যেটাকে আমি ত্রিমুখী আঁতাত বলি।’

            ‘বেনিফিশিয়ারির লিস্ট অনেক লম্বা’
            স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি বা অনিয়ম করে বেনিফিশিয়ারি বা লাভবান হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা অনেক লম্বা, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরও অনেকেই তা মনে করেন।

            স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রুহুল হক আওয়ামী লীগ সরকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন।

            তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতের ব্যবস্থাপনাতেই ত্রুটি আছে। সে কারণে কেনাকাটা এবং হাসপাতাল ব্যবস্থাপনাসহ সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি থাকছে। তিনি মনে করেন, স্বাধীন একটা কমিশন গঠন করে স্বাস্থ্যখাতে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

            ‘সার্কেলের মধ্যে বেনিফিশিয়ারির লিস্ট অনেক লম্বা। এই লিস্টের কিছু লোক পরিবর্তন হলেও বেনিফিশিয়ারিরা কোনো না কোনোভাবে থেকে যায়। সবাই শুধু মন্ত্রীকে দায়ী করে। কিন্তু মন্ত্রীর হাত দিয়ে কোনো কেনাকাটা হয় না। মন্ত্রীর বাইরে সব কেনাকাটা হয়। সুতরাং বেনিফিশিয়ারিরা কিন্তু পদ্ধতিটাকে পরিবর্তন করতে দেয় না।’

            অধ্যাপক রুহুল হক আরো বলেছেন, ‘হাউ টু চেঞ্জ দিজ – এখানে দুর্নীতি বলুন, হাসপাতালগুলোর ব্যবস্থাপনা বলুন, অপরিচ্ছন্ন হাসপাতালে কথা বলুন, আমাদের দুই মাস বিছানায় শুয়ে থাকতে হয় সার্জারির সিরিয়াল পাওয়ার জন্য-এসব যাই বলুন না কেন, এগুলোর সমাধান করতে হলে আমাদের স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজাতে হবে।। সেজন্য একটি কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।’

            বিভিন্ন সময়ই স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের বিষয় আলোচনায় এসেছে।

            দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে, এমন ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক সংস্কারের লিখিত সুপারিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে দিয়েছে কয়েক মাস আগে। কিন্তু সংস্কারের প্রশ্নে কোনো পদক্ষেপ নেই।

            দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে ব্যবস্থাপনা বা পদ্ধতির মধ্যেই দুর্নীতির উৎস রয়েছে। তারা গবেষণায় এমন চিত্র পেয়েছেন।

            ‘আমরা এটা নিয়ে কিছুটা গবেষণা করেছি। সেখানে কিভাবে ক্রয় করা হয়, কিভাবে হাসপাতাল ম্যানেজ করা হয়, কিভাবে বিভিন্ন হাসপাতালে খাদ্য সরবরাহ করা হয়, চিকিৎসা সেবা কিভাবে দেয়া হয়-এসব বিষয়ে আমাদের টিম দীর্ঘ সময় গবেষণা করেছে।এই গবেষণায় স্বাস্থ্যখাতের পদ্ধতির বিচার বিশ্লেষণ করে দেখতে পেয়েছি, ওই পদ্ধতির মধ্যেই কিছু গোলমাল রয়ে গেছে।’

            ইকবাল মাহমুদের বক্তব্য হচ্ছে, পদ্ধতির সংস্কার ছাড়া কোনো দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব নয়।

            ‘সেজন্য আমরা সংস্কারের কিছু সুপারিশ করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম, আপনাদের পদ্ধতির মধ্যে দুর্নীতির উৎস হচ্ছে এগুলো। এগুলো বন্ধ করার জন্য আপনারা রিফর্ম করতে পারেন।সেগুলো যদি আমরা সবাই মিলে বাস্তবায়ন করতে পারতাম, তাহলে স্বাস্থ্যখাতে অর্থের অপচয় সেভাবে হতো না।’

            জেকেজি হেলথকেয়ার এবং রিজেন্ট হাসপাতাল কেলেঙ্কারিতে প্রতিষ্ঠান দু’টির মালিক মো: সাহেদ এবং ডা: সাবরিনা আরিফসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

            স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিদায় নিতে হয়েছে।

            কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাই বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে এর পরীক্ষা এবং চিকিৎসার জন্য ব্যয়ের বেশিরভাগই মৌখিক নির্দেশে হয়েছে। ফলে সেখানে দুর্নীতি বা অনিয়মের সুযোগ ছিল।

            ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড: শাহনাজ হুদা সুশাসনের জন্য কাজ করেন। তিনি মনে করেন, স্বাস্থ্যখাতে সংকটের গভীরে যাওয়া সম্ভব, কিন্তু কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা নিয়ে তার সন্দেহ রয়েছে।

            ‘মন্ত্রণালয়ের একটা সিন্ডিকেট আছে। শুধু যাদের মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে, মানুষকে খুশি করার জন্য তাদের শাস্তির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু আসলে এর উৎসতো অনেক গভীরে।’

            স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি : ‘শাস্তির নজির নেই’
            স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি বা অনিয়মের ব্যাপারে কখননো দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- এই খাতের সাথে সম্পৃক্তরাও এমন প্রশ্নের জবাব মিলাতে পারছেন না।

            করোনাভাইরাস সর্ম্পকিত সরকারের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ মনে করেন, কখনো কঠোর শাস্তি না হওয়ায় স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিবাজরা বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে এবং এখন তার প্রকাশ ঘটেছে।

            ‘দুর্নীতি যারা করছে, তারা ইচ্ছামতো করছে। কোনো শাস্তি হয় না, পার পেয়ে যাচ্ছে। সুতরাং তারা বেপোরোয়া হয়েছে। এখন দুর্নীতি করলে কোনো অসুবিধা যদি না হয়, তাহলে তো তারা চালাতেই থাকবে। সেটাই হয়েছে। সেটা আগেও ছিল এবং এখনো আছে। সমস্যা হয়েছে, করোনাভাইরাস আসায় এটা উন্মোচিত হয়ে গেছে। এটুকুই পার্থক্য। আর কিছু নয়।’ নয়া দিগন্ত

            এখন প্রকাশ হওয়া দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে দুদক অনুসন্ধান করছে। এর আগে বিভিন্ন সময় হাসপাতালের পর্দা কিনতেই হাজার হাজার টাকা ব্যয় করাসহ নানা অভিযোগে ১১টি মামলা নিয়ে দুদক কাজ করছে।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/25/40694/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি-অনিয়মের গভীরে কারা?



              জেকেজি এবং রিজেন্ট হাসপাতাল কেলেঙ্কারির পটভূমিতে স্বাস্থ্যখাতে যখন একের পর এক দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ উঠছে, তখন সরকার টাস্কফোর্স গঠন করে দুর্নীতি দূর করার কথা বলছে।

              দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ পাওয়ায় চুনোপুটি কয়েকজনকে ধরা হয়েছে। কিন্তু সংকটের গভীরে গিয়ে প্রভাবশালী স্বার্থন্বেষী মহল বা রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়।

              স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি-অনিয়মের গভীরে যাওয়া আসলে কতটা চ্যালেঞ্জের, এবং সিন্ডিকেট বা স্বার্থান্বেষী মহলের প্রভাব থেকে স্বাস্থ্যখাতকে মুক্ত করা কী আদৌ সম্ভব-এই খাতের পর্যবেক্ষকদের অনেকে এসব প্রশ্ন তুলেছেন।

              সিন্ডিকেটের হাত কত লম্বা?
              স্বার্থন্বেষী মহল বা সিণ্ডিকেটের হাত কি সরকারের হাতের চেয়েও লম্বা, এমন আলোচনাও এখন চলছে।

              টিআইবির ড: ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, স্বার্থন্বেষী মহলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াটা বেশ কঠিন। তবে একেবারে অসম্ভব বিষয় নয় বলেও তিনি মনে করেন।

              ‘গভীরে গিয়ে যারা এর সার্বিক প্রক্রিয়ার মধ্যে মূল ভূমিকাগুলো পালন করে থাকে, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা বা একটা প্রতিরোধমূলক জায়গায় নিয়ে আসা- এটা খুবই কঠিন কাজ এবং অনেক সময় অসম্ভবও মনে হয়। কিন্তু যদি আইনের প্রয়োগটা হতো বা নীতিমালার প্রয়োগ হতো তাহলে কিন্তু এটা খুবই সম্ভব।’

              ‘কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, যে প্রতিষ্ঠানগুলো বা যে কর্তৃপক্ষের ওপর দায়িত্ব তারা কিন্তু এক ধরণের সীমারেখা নির্ধারণ করে বসে আছে যে এই সীমারেখার উর্ধ্বে আর যাওয়া যাবে না, তাহলে হাত পুড়ে যাবে।যার ফলে টানাটানি হবে তথাকথিত কিছু চুনোপুটিদের নিয়ে। এবং রুই-কাতলারা ঠিকই বাইরে থেকে যাবে।’

              সরকারের টাস্কফোর্স
              স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ যখন পদত্যাগ করেন, তখন গত বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

              নানা অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেছিলেন, পরিস্থিতি করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি।

              ‘পরীক্ষায় কত নাম্বার পেলেন, এটা নির্ভর করে আপনি পরীক্ষা কেমন দিয়েছেন। আমরা মনে করি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভালো নাম্বার পেয়েছে। নাম্বারটা কি–যে আমাদের মৃত্যুর হার দেড় পার্সেন্ট। এটা হলো সবচেয়ে বড় নাম্বার। যেটা আমেরিকাতেও ছয় পার্সেন্ট, ইউরোপে ১০ পার্সেন্ট। তবে যেখানে যেখানে পরিবর্তন প্রয়োজন, সে বিষয়গুলো আমরা অবশ্যই দেখবো। আমরা চাই যে, এখানে সুষ্ঠু পরিচালনা হোক।’

              তবে মন্ত্রী নিজে পদত্যাগ করবেন কিনা-সাংবাদিকদের সেই প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে জাহিদ মালেক বলেছিলেন, একটি টাস্কফোর্স গঠন করে দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

              কিন্তু সংকট কতটা গভীরে- তা বের করার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা আছে কিনা- তাতে সন্দেহ রযেছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অনেকের।

              ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক নাসরিন সুলতানা বলেছেন, সংকটের শেকড়টা বের করা প্রয়োজন।

              ‘খুবই গভীর মনে হয়। যদি সেটা গভীরে না হয়, তাহলে একের পর এক দুর্নীতি হতে পারে না। যেমন, আমরা জেকেজি বা রিজেন্টের ঘটনা দেখেছি। এরপর সাহাবুদ্দিন হাসপাতালের ঘটনা দেখলাম। একের পর এক হয়েই যাচ্ছে। এর রুটটা বের করা দরকার। সংবেদনশীল এই খাতে দুর্নীতি চলতে থাকলে শেষপর্যন্ত জনগণকেই কিন্তু ভোগান্তি পোহাতে হয়।’

              দুর্নীতির গভীরতা এবং উৎস : কারা দায়ী?
              স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি বা অনিয়ম নতুন কিছু নয়। এখন করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে কিছু ঘটনা প্রকাশ হওয়ায় এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশি এবং এই খাতের পর্যবেক্ষকদের অনেকেই এমন বক্তব্য দিচ্ছেন।

              কিন্তু কীভাবে বছরের পর বছর ধরে সেখানে দুর্নীতি চলে, সেই প্রশ্নও অনেকে তুলেছেন।

              স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগে পরিচালকের কাজ করার অতীত অভিজ্ঞতা থেকে ডা: বে-নজীর আহমেদ বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে টাকা বানানোর টার্গেট নিয়েই চক্র গড়ে ওঠে।

              “যে সেক্টরগুলোতে বেশি কাজ হয়, তার মধ্যে হেলথ সেক্টর অন্যতম। সুতরাং এই জায়গাটাকে তারা টার্গেট করে যে এখান থেকে ‘দে ক্যান আর্ন অ্যা্ লট’ – এটা টার্গেট করে যারা আসে, তারা বড় বড় প্লেয়ার এবং তাদের নানা জায়গায় পরিচিতি আছে।”

              তিনি আরো বলেছেন, ‘আমাদের ক্রয় সম্পর্কিত পদ্ধতিতে দুর্বলতা আছে। আর যারা টার্গেট নিয়ে আসে, তারা খুব স্মার্ট। এদের সাথে আমাদের অধিদফতর বা আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন জড়িত হন। যে লোকগুলো বছরের পর বছর একই পদে থাকেন, তারা এটাকে নিয়ন্ত্রণ করেন। এই দু’টো মিলিয়ে করাপশনগুলো হচ্ছে।’

              সাবেক এই পরিচালক ডা: বে-নজীর আহমেদ এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতিতে জড়িত থাকার যে কথা বলছেন, অনেকটা একই তথ্য এসেছে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা টিআইবি’র গবেষণায়।

              সেখানে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যখাতের ঠিকাদার বা ব্যবসায়ী, একশ্রেণীর আমলা এবং রাজনৈতিক প্রভাব-এই তিনটি পক্ষের সিন্ডিকেট সেখানে কর্মকাণ্ড চালায়।

              টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড: ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ক্ষমতার পরিবর্তন হলে সিন্ডিকেটের লোক বদল হয়। কিন্তু একইভাবে দুর্নীতি চলতে থাকে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

              ‘ক্ষমতার রদবদল কিছু না কিছু হয়। একই রাজনৈতিক দলের আমলে বিভিন্ন মেয়াদে বিভিন্ন ব্যক্তি ক্ষমতায় আসেন এবং প্রভাবশালী গ্রুপ তৈরি হয়ে যায়। তাদের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন অনিয়ম হয়। সেখানে একদিক থেকে প্রশাসনের এক শ্রেনির কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। আর ঠিকাদার বা সরবারহাকারী আছে, যাদের বানোয়াট বা বাস্তব পরিচয় থাকে রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক মহলের সাথে। এগুলোকেই পুঁজি করে চক্রজালের মতো কাজ করে। যেটাকে আমি ত্রিমুখী আঁতাত বলি।’

              ‘বেনিফিশিয়ারির লিস্ট অনেক লম্বা’
              স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি বা অনিয়ম করে বেনিফিশিয়ারি বা লাভবান হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা অনেক লম্বা, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরও অনেকেই তা মনে করেন।

              স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রুহুল হক আওয়ামী লীগ সরকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন।

              তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতের ব্যবস্থাপনাতেই ত্রুটি আছে। সে কারণে কেনাকাটা এবং হাসপাতাল ব্যবস্থাপনাসহ সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি থাকছে। তিনি মনে করেন, স্বাধীন একটা কমিশন গঠন করে স্বাস্থ্যখাতে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

              ‘সার্কেলের মধ্যে বেনিফিশিয়ারির লিস্ট অনেক লম্বা। এই লিস্টের কিছু লোক পরিবর্তন হলেও বেনিফিশিয়ারিরা কোনো না কোনোভাবে থেকে যায়। সবাই শুধু মন্ত্রীকে দায়ী করে। কিন্তু মন্ত্রীর হাত দিয়ে কোনো কেনাকাটা হয় না। মন্ত্রীর বাইরে সব কেনাকাটা হয়। সুতরাং বেনিফিশিয়ারিরা কিন্তু পদ্ধতিটাকে পরিবর্তন করতে দেয় না।’

              অধ্যাপক রুহুল হক আরো বলেছেন, ‘হাউ টু চেঞ্জ দিজ – এখানে দুর্নীতি বলুন, হাসপাতালগুলোর ব্যবস্থাপনা বলুন, অপরিচ্ছন্ন হাসপাতালে কথা বলুন, আমাদের দুই মাস বিছানায় শুয়ে থাকতে হয় সার্জারির সিরিয়াল পাওয়ার জন্য-এসব যাই বলুন না কেন, এগুলোর সমাধান করতে হলে আমাদের স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজাতে হবে।। সেজন্য একটি কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।’

              বিভিন্ন সময়ই স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের বিষয় আলোচনায় এসেছে।

              দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে, এমন ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক সংস্কারের লিখিত সুপারিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে দিয়েছে কয়েক মাস আগে। কিন্তু সংস্কারের প্রশ্নে কোনো পদক্ষেপ নেই।

              দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে ব্যবস্থাপনা বা পদ্ধতির মধ্যেই দুর্নীতির উৎস রয়েছে। তারা গবেষণায় এমন চিত্র পেয়েছেন।

              ‘আমরা এটা নিয়ে কিছুটা গবেষণা করেছি। সেখানে কিভাবে ক্রয় করা হয়, কিভাবে হাসপাতাল ম্যানেজ করা হয়, কিভাবে বিভিন্ন হাসপাতালে খাদ্য সরবরাহ করা হয়, চিকিৎসা সেবা কিভাবে দেয়া হয়-এসব বিষয়ে আমাদের টিম দীর্ঘ সময় গবেষণা করেছে।এই গবেষণায় স্বাস্থ্যখাতের পদ্ধতির বিচার বিশ্লেষণ করে দেখতে পেয়েছি, ওই পদ্ধতির মধ্যেই কিছু গোলমাল রয়ে গেছে।’

              ইকবাল মাহমুদের বক্তব্য হচ্ছে, পদ্ধতির সংস্কার ছাড়া কোনো দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব নয়।

              ‘সেজন্য আমরা সংস্কারের কিছু সুপারিশ করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম, আপনাদের পদ্ধতির মধ্যে দুর্নীতির উৎস হচ্ছে এগুলো। এগুলো বন্ধ করার জন্য আপনারা রিফর্ম করতে পারেন।সেগুলো যদি আমরা সবাই মিলে বাস্তবায়ন করতে পারতাম, তাহলে স্বাস্থ্যখাতে অর্থের অপচয় সেভাবে হতো না।’

              জেকেজি হেলথকেয়ার এবং রিজেন্ট হাসপাতাল কেলেঙ্কারিতে প্রতিষ্ঠান দু’টির মালিক মো: সাহেদ এবং ডা: সাবরিনা আরিফসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

              স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিদায় নিতে হয়েছে।

              কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাই বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে এর পরীক্ষা এবং চিকিৎসার জন্য ব্যয়ের বেশিরভাগই মৌখিক নির্দেশে হয়েছে। ফলে সেখানে দুর্নীতি বা অনিয়মের সুযোগ ছিল।

              ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড: শাহনাজ হুদা সুশাসনের জন্য কাজ করেন। তিনি মনে করেন, স্বাস্থ্যখাতে সংকটের গভীরে যাওয়া সম্ভব, কিন্তু কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা নিয়ে তার সন্দেহ রয়েছে।

              ‘মন্ত্রণালয়ের একটা সিন্ডিকেট আছে। শুধু যাদের মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে, মানুষকে খুশি করার জন্য তাদের শাস্তির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু আসলে এর উৎসতো অনেক গভীরে।’

              স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি : ‘শাস্তির নজির নেই’
              স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি বা অনিয়মের ব্যাপারে কখননো দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- এই খাতের সাথে সম্পৃক্তরাও এমন প্রশ্নের জবাব মিলাতে পারছেন না।

              করোনাভাইরাস সর্ম্পকিত সরকারের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ মনে করেন, কখনো কঠোর শাস্তি না হওয়ায় স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিবাজরা বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে এবং এখন তার প্রকাশ ঘটেছে।

              ‘দুর্নীতি যারা করছে, তারা ইচ্ছামতো করছে। কোনো শাস্তি হয় না, পার পেয়ে যাচ্ছে। সুতরাং তারা বেপোরোয়া হয়েছে। এখন দুর্নীতি করলে কোনো অসুবিধা যদি না হয়, তাহলে তো তারা চালাতেই থাকবে। সেটাই হয়েছে। সেটা আগেও ছিল এবং এখনো আছে। সমস্যা হয়েছে, করোনাভাইরাস আসায় এটা উন্মোচিত হয়ে গেছে। এটুকুই পার্থক্য। আর কিছু নয়।’ নয়া দিগন্ত

              এখন প্রকাশ হওয়া দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে দুদক অনুসন্ধান করছে। এর আগে বিভিন্ন সময় হাসপাতালের পর্দা কিনতেই হাজার হাজার টাকা ব্যয় করাসহ নানা অভিযোগে ১১টি মামলা নিয়ে দুদক কাজ করছে।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/25/40694/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                খুলনা-মংলা রেলপথের প্রকল্প : সাড়ে ৯ বছরেও লাইন এবং সিগন্যাল নির্মাণ শুরু হয়নি



                একটি প্রকল্প যেখানে তিন বছরে শেষ করার কথা সেটা সাড়ে ৯ বছর ধরে চলছে। তাও আবার মূল কাজ রেলপথ বা ট্র্যাক নির্মাণ ও সিগন্যালের কাজ এখনো শুরুই করা হয়নি। ছয় বছর পর প্রকল্পের ডিজাইনসহ বিভিন্ন অঙ্গে পরিবর্তন আনা হয়। এখন প্রকল্পের বাস্তবায়ন খরচ ১২০.৮৫ শতাংশ বা ২ হাজার ৮০ কোটি ২১ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ছয় বছর পর মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু করা হয়। ২০২০ সালেও প্রকল্পটি সমাপ্ত হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। পরিকল্পনা কমিশন বলছে, আগে থেকে মাটি পরীক্ষা করে প্রকল্পের এলাকা নির্ধারণ এবং সে অনুযায়ী ডিজাইন প্রণয়ন করা হলে প্রকল্পে এতটা সময়ক্ষেপণ হতো না। পাশাপাশি ঋণদাতার কাছেও দেশের ভাবমর্যাদা নষ্ট হতো না।

                রেলওয়ের প্রস্তাবনার তথ্য থেকে জানা গেছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ অঞ্চলকে ঢাকার সাথে সরাসরি সংযোগ করার জন্য পদ্মা নদীর ওপর একটি বহুমুখী সেতু নির্মাণকাজ চলমান আছে। এই সেতুতে ব্রডগেজ রেলওয়ের সুবিধা বিদ্যমান। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জাতীয় যোগাযোগ অবকাঠামোর ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। এতে প্রথম পর্যায়ে পদ্মা রেলওয়ে সংযোগ ভাঙ্গা পর্যন্ত হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে যশোর পর্যন্ত রেলপথ বর্ধিত হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর থেকে চাপ কমানোর জন্য মংলা বন্দরকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করা প্রয়োজন। এতে খুলনা-মংলা রেলপথ প্রকল্পের মাধ্যমে আঞ্চলিক যোগাযোগ স্থাপন হবে। ভারত, নেপাল, ভুটান এই রেলপথের মাধ্যমে মংলা বন্দর ব্যবহার করে তাদের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য করতে পারবে। বতর্মানে ফুলতলা স্টেশন থেকে মংলা বন্দর পর্যন্ত প্রায় ৬৪ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ বিদ্যমান।

                প্রকল্পের কার্যক্রম :
                প্রস্তাবনা থেকে জানা যায়, ভূমি অধিগ্রহণ, খুলনা থেকে মংলা বন্দর পর্যন্ত ৬৪ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার মেইন লাইন নির্মাণ, ২১ দশমিক ১১ কিলোমিটার লুপ লাইন নির্মাণ, ৮টি রেলওয়ে স্টেশন, ৩১টি মেজর ও মাইনর ব্রিজ, ১১২টি কালভার্ট, রূপসা নদীর ওপর ৭১৬.৮০ মিটার ব্রিজ নির্মাণ, রূপসা সেতুর দুই প্রান্তে ভায়াডাক্ট নির্মাণ।

                প্রাক্কলিত ব্যয় ও সময় বাড়ছে :
                প্রস্তাবনা থেকে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি একটি যৌথ বিবৃতি ইস্যু করা হয়। এ ছাড়া সার্ক মাল্টি মোডাল ট্রান্সপোর্ট স্ট্যাডি থেকে মংলা পোর্টের মাধ্যমে নেপাল, ভুটান মালামাল আমদানি বা রফতানিবাণিজ্য করতে পারে বলে প্রস্তাব করা হয়। তারই ফলে ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর খুলনা-মংলা বন্দর রেলপথ নির্মাণসহ সম্ভাব্যতা যাচাই নামে একটি প্রকল্প ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দেয়া হয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়। ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর এই প্রকল্পটি সমাপ্ত হওয়ার কথা। প্রকল্পটি ভারত সরকারের (এলওসি) ঋণের অর্থে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অনুমোদিত ব্যয়ের মধ্যে ভারতীয় ঋণ এক হাজার ২০২ কোটি ৩১ লাখ ১৪ হাজার টাকা ও বাংলাদেশ সরকারের ৫১৯ কোটি টাকা। এরপর ব্যয় ১২০ দশমিক ৮৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা করা হয়। প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু তাতেও কোনো অগ্রগতি নেই।

                প্রাথমিক পর্যায়ে এলাইনমেন্ট চূড়ান্তকরণে বিলম্ব হওয়ায় ফাইনাল সার্ভে, এলএ প্লান এবং ডিটেইল ডিজাইন করতে বিলম্ব হয়। এপ্রোচ রোড ছাড়া ভূমি অধিগ্রহণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক সর্বশেষ ভূমি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। এরপর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৮ সালের জুন, তারপর ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। কিন্তু ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বাস্তবে কাজ হয়েছে ৬৩ শতাংশ। অথচ এই সময়ে ৮৭ শতাংশ কাজ শেষ করার কথা ছিল। আর অর্থ খরচ হয়েছে ৬৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

                আইএমইডির প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন করে ব্যয় ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা হওয়ায়, সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এক হাজার ৪৩০ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ থেকে দুই হাজার ৩৭১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা জোগান দেয়া হবে।

                কম অগ্রগতির কারণ :
                প্রকল্পের অগ্রগতি কম হওয়ার কারণ হিসেবে আইএমইডি বলছে, জমি অধিগ্রহণে দেরি, কাজের মাঝামাঝি এসে পরামর্শক পরিবর্তন করতে হয়েছে। এক্ষেত্রে ‘সিইজি-নিপ্পন কই জেভি’ থেকে স্টপ কনসালট্যান্ট দায়িত্ব গ্রহণ করে। কিন্তু কিছু জটিল নন-টেন্ডার আইটেম যেমন অত্যধিক লুজ সয়েল থাকায় ট্রিটমেন্ট, পাইল বারবার ফেল করায় ও বেস গ্রাউন্ডিং, অধিক সংখ্যক আনাড়ি সাব-কন্ট্রাক্টর নিয়োগ এসব কারণে প্রকল্পের কাজ বারবার পিছিয়েছে।

                বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। কাজ শুরু করতে গিয়ে দেখা যায় যে, মাটির গুণাগুণ আশানুরূপ নয়। ফলে নতুনভাবে ডিজাইন রিভিউ করে বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে গ্রাউন্ডিংসহ পাইলিং কাজ করতে হয়েছে। এতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন। বিষয়টি ইআরডি ও ভারতীয় হাইকমিশনকে অবহিত করা হয়েছে। মেয়াদ ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত অনুমোদিত ছিল। দুটি প্যাকেজের চুক্তিপত্রের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা প্রয়োজন। এখনো ট্র্যাক নির্মাণ কাজের চুক্তিপত্রের বিপরীতে দাখিলকৃত প্রথম ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদিত হয়নি। ফলে কাজের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে।

                আইএমইডির পর্যবেক্ষণ হলো, এই প্রকল্পে রেললাইনের কাজ পিছিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৫৪ শতাংশ। এখানে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে যথাযথ জনবল নিয়োগ করে টার্গেট অনুযায়ী ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ বুঝে নেয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রকল্পে ব্যয় নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ রেলওয়ের সার্বক্ষণিক মনিটরিং রাখতে হবে। প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি ও প্রজেক্ট ইম্পিলিমেনটেশন কমিটির সব সভা সময় মতো করতে হবে। প্রকল্পে কর্মরত বিদেশী জনবলের ভিসার মেয়াদ ন্যূনতম এক বছর থাকা এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের জনবলের বিল পরিশোধ প্রক্রিয়াটি নিয়মিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। চুক্তিপত্রের শর্ত অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঠিকাদারের আইপিসি পরিশোধ করা দরকার। নয়া দিগন্ত


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/25/40699/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  উদ্বোধনের আগেই শেষ নবনির্মিত সড়ক



                  চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়েছে নবনির্মিত মির্জারখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক। সোনাকানিয়া ইউনিয়নের হাতিয়ার খাল ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় সড়কটি ধসে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাতকানিয়া সদর ইউনিয়ন এবং সোনাকানিয়ার অনেক মানুষ। ব্রিজের নিচ থেকে সড়কের পাশ ঘেঁষে বালু উত্তোলন এবং কাজে অনিয়মের কারনে সড়কটি ধসে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

                  সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে সোনাকানিয়া ইউনিয়নের মির্জারখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়কের ৭০০ মিটার এলাকা কার্পেটিং করা হয়েছে। সড়কটি কার্পেটিংয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫১ লাখ টাকা। ঠিকাদার ইতিমধ্যে সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ সম্পন্ন করেছে। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়নি। এরই মধ্যে গতকাল শুক্রবার দুপুরে সড়কের হাতিয়ার খাল ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ৮-১০ ফুট সড়ক ধসে গেছে। ফলে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

                  নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বশির আহমদ চৌধুরী দীর্ঘদিন যাবৎ হাতিয়ার খালের ওপর নির্মিত ব্রিজের নিচ ও সড়কের পাশ ঘেঁষে বালু উত্তোলন করছে। ফলে খালে পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে মাটি সরে গেছে। এতে সড়কটি ধসে গেছে।

                  তারা আরো জানান, বালু উত্তোলন বন্ধ করা না গেলে হাতিয়ার খালের ওপর ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজটিও রক্ষা করা যাবে না। এজন্য হাতিয়ার খাল হতে ব্রিজের আশপাশের এলাকা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

                  এছাড়া নবনির্মিত সড়কটির কাজেও অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় লোকজন। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে ধসে যাওয়া সড়কটি মেরামত এবং খাল থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। কালের কন্ঠ

                  মির্জারখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়কে কার্পেটিংয়ের কাজ পাওয়া ঠিকাদার কিরণ শর্মা জানান, আমার কাজ হলো সড়কের কার্পেটিং করা। সড়কের ৭০০ মিটার এলাকা কার্পেটিংয়ের জন্য ৫১ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। আমি ইতিমধ্যে কাজ শেষ করেছি। সড়ক ধসে যাওয়ার সঙ্গে আমার কাজের কোনো সম্পর্ক নাই। কারণ পানির স্রোতের টানে ব্রিজের পাশ থেকে বালু সরে গেলে সড়ক ধসে পড়তে পারে। এতে আমার কিছু করার নাই।

                  সাতকানিয়া উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী পারভেজ সারোয়ার জাহান জানান, শুনেছি মির্জারখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়কে হাতিয়ার খালের ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় কিছু অংশ সড়ক ধসে গেছে। আমি আজ শনিবার সরেজমিন পরিদর্শন করব। এরপর জানতে পারব আসলে কেন ধসে পড়েছে। এছাড়া সড়কের ধসে যাওয়া অংশ দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করা হবে।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/07/25/40702/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment

                  Working...
                  X