Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ০৪রা জিলহজ, ১৪৪১ হিজরী # ২৬শে জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ০৪রা জিলহজ, ১৪৪১ হিজরী # ২৬শে জুলাই, ২০২০ঈসায়ী।

    এবার ভারতের উত্তরাখণ্ডের অংশ দাবি নেপালের, চলছে অবকাঠামো নির্মাণ

    সম্প্রতি ভারত সীমান্তের বেশ কয়েকটি অংশ নিজেদের বলে দাবি করেছে নেপাল। এরই অংশ হিসেবে এবার উত্তরাখণ্ডের তনকপুরের ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ একই দাবি জানিয়ে রীতিমতো অবকাঠামো তৈরির কাজও শুরু করে দিয়েছে সেদেশের মানুষ। খবর পেয়ে ভারতীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে গেলেও স্থানীয়দের তুমুল বাধার মুখে পিছু হটেতে বাধ্য হয়েছেন।

    তনকপুরের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিতর্কিত ওই এলাকাটি নিয়ে বিরোধ নিষ্পন্নে ও সীমানা নির্ধারণের জন্য দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই কমিটি কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সেই পরিকল্পনা স্থগিত হয়ে যায়।

    এর মধ্যেই গত বুধবার তারের বেড়া দিতে ওই নো ম্যানস ল্যান্ডে প্রায় ২০টির মতো কাঠামো পুঁতে দিয়েছেন নেপালিরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ভারতীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাদের দেখে নেপালের বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং ভারত-বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দু’দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেন।

    কিন্তু এতে কার্যত কোনো ফলাফল আসেনি। গত শুক্রবারও স্থানীয় নেপালীদের পিলারে তার বসাতে দেখা গেছে।

    স্থানীয় এক ভারতীয় পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'এতে নেপালের পুলিশ ও প্রশাসনের সমর্থন রয়েছে। নেপালের সীমান্ত বাহিনী যখন আমাদেরকে কয়েকদিনের মাঝে কাঠামো তুলে নেয়ার আশ্বাস দিচ্ছিল, তখনো ওরা (স্থানীয়রা) কাঠামো বসাতে ব্যস্ত ছিল।'

    সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
    Last edited by Al-Firdaws News; 07-27-2020, 10:53 AM. Reason: উম্মাহ নিউজ # ০৪ঠা জিলহজ, ১৪৪১ হিজর
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    হিন্দুত্ববাদী ভারতের সাথে উচ্চাকাঙ্ক্ষী সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র


    ভারতের সাথে ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী নতুন যুগের’ সম্পর্ক গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতকে তারা ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চল ও বৈশ্বিক পর্যায়ে উদীয়মান প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গেলো বুধবার এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, 'আমরা একে অন্যকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, বৈশ্বিক শক্তি এবং সত্যিকারের ভালো বন্ধু হিসেবে দেখি'। তিনি ইঙ্গিত দেন, চীনের বিরুদ্ধে ভারসাম্য তৈরির জন্য ট্রাম্প প্রশাসন এই সম্পর্কটাকে আরও এগিয়ে নিতে চায়।

    যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বিজনেস কাউন্সিলের ইন্ডিয়া আইডিয়াস সম্মেলনে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় পম্পেও বলেন, 'মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতিতে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।'

    এমন সময় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য করা হলো যখন দুই দেশ ভারত মহাসাগরে যৌথ নৌ মহড়ায় অংশ নিয়েছে। ফিলিপাইন সাগরে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ত্রিপাক্ষিক মহড়ার পাশাপাশি ওই মহড়াটি অনুষ্ঠিত হয়।

    এই দুইটি মহড়া যদিও সমন্বিতভাবে করা হয়নি, কিন্তু চারটি দেশ ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চলে একই সময়ে সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়ায় বিষয়টিকে ঠিক কাকতালীয় হিসেবে দেখছেন না বিশ্লেষকরা।

    কোয়াডের নিরাপত্তা বন্ধনকে আরও মজবুত করার জন্য ভারতও চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিতব্য তাদের বার্ষিক মালাবার নৌ মহড়ায় অস্ট্রেলিয়াকে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে। এই মহড়ায় আরও রয়েছে জাপান আর যুক্তরাষ্ট্র।

    এর আগে ২০১৮ সালে মহড়ায় অস্ট্রেলিয়ার অংশগ্রহণের বিষয়টিকে নাকচ করে দিয়েছিল ভারত। এ বছর সেই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে এসে অস্ট্রেলিয়াকে আমন্ত্রণ জানানোর অর্থ হলো ভারত নিজের সামরিক স্ট্র*্যাটেজিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে।

    সূত্র: নিক্কি এশিয়ান রিভিউ
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      উদ্বোধনের আগেই শেষ নবনির্মিত সড়ক

      চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়েছে নবনির্মিত মির্জারখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক। সোনাকানিয়া ইউনিয়নের হাতিয়ার খাল ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় সড়কটি ধসে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাতকানিয়া সদর ইউনিয়ন এবং সোনাকানিয়ার অনেক মানুষ। ব্রিজের নিচ থেকে সড়কের পাশ ঘেঁষে বালু উত্তোলন এবং কাজে অনিয়মের কারনে সড়কটি ধসে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

      সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে সোনাকানিয়া ইউনিয়নের মির্জারখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়কের ৭০০ মিটার এলাকা কার্পেটিং করা হয়েছে। সড়কটি কার্পেটিংয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫১ লাখ টাকা। ঠিকাদার ইতিমধ্যে সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ সম্পন্ন করেছে। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়নি। এরই মধ্যে গতকাল শুক্রবার দুপুরে সড়কের হাতিয়ার খাল ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ৮-১০ ফুট সড়ক ধসে গেছে। ফলে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

      নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বশির আহমদ চৌধুরী দীর্ঘদিন যাবৎ হাতিয়ার খালের ওপর নির্মিত ব্রিজের নিচ ও সড়কের পাশ ঘেঁষে বালু উত্তোলন করছে। ফলে খালে পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে মাটি সরে গেছে। এতে সড়কটি ধসে গেছে।

      তারা আরো জানান, বালু উত্তোলন বন্ধ করা না গেলে হাতিয়ার খালের ওপর ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজটিও রক্ষা করা যাবে না। এজন্য হাতিয়ার খাল হতে ব্রিজের আশপাশের এলাকা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

      এছাড়া নবনির্মিত সড়কটির কাজেও অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় লোকজন। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে ধসে যাওয়া সড়কটি মেরামত এবং খাল থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। কালের কন্ঠ

      মির্জারখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়কে কার্পেটিংয়ের কাজ পাওয়া ঠিকাদার কিরণ শর্মা জানান, আমার কাজ হলো সড়কের কার্পেটিং করা। সড়কের ৭০০ মিটার এলাকা কার্পেটিংয়ের জন্য ৫১ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। আমি ইতিমধ্যে কাজ শেষ করেছি। সড়ক ধসে যাওয়ার সঙ্গে আমার কাজের কোনো সম্পর্ক নাই। কারণ পানির স্রোতের টানে ব্রিজের পাশ থেকে বালু সরে গেলে সড়ক ধসে পড়তে পারে। এতে আমার কিছু করার নাই।

      সাতকানিয়া উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী পারভেজ সারোয়ার জাহান জানান, শুনেছি মির্জারখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়কে হাতিয়ার খালের ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় কিছু অংশ সড়ক ধসে গেছে। আমি আজ শনিবার সরেজমিন পরিদর্শন করব। এরপর জানতে পারব আসলে কেন ধসে পড়েছে। এছাড়া সড়কের ধসে যাওয়া অংশ দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করা হবে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকদের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ


        গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্থানীয় অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড নামের জুতা তৈরি কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে কারখানা ভাঙচুর চালায়। ঈদের ছুটি বৃদ্ধি, বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে রবিবার সকাল থেকে শ্রমিকরা ওই কর্মসূচি পালন করে। এসময় শ্রমিকরা সড়কের চলাচলরত যানবাহন ভাঙচুরসহ কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় তাদের হাতে লাঞ্ছিত হন পুলিশ-সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন।

        শ্রমিক, পুলিশ ও কারখানা সূত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে হরিণহাটি অ্যাপেক্স ফুটয়্যার কারখানা শ্রমিকরা আজ রবিবার সকালে কাজে যোগদান করেন। কাজে যোগদানের পর ঈদের ছুটি বৃদ্ধি, ৫ মাসের বন্ধ থাকা হাজিরা বোনাস, বর্তমান মাসের বেতন, ওভারটাইমসহ কয়েক দফা দাবিতে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে কর্মবিরতি শুরু করে।

        একপর্যায়ে শ্রমিকরা কারখানার প্রধান গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে উত্তেজিত শ্রমিকরা কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে শ্রমিকরা সকাল ৯টা থেকে কারখানার পাশে ঢাকা টাঙাইল মহাসড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়। মহাসড়ক অবরোধের ফলে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সড়কে চলাচলরত যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

        শ্রমিকদের দাবি গত ৫ মাস যাবৎ আমাদের হাজিরা বোনাস দিচ্ছে না। ঈদের ছুটি মাত্র ৩ দিন। ১২ ঘণ্টা ওভারটাইম করেও শুক্রবার ডিউটি করতে হয়। এসব দাবি করলেও আমাদের দাবি-দাওয়া নাকচ করে উল্টো মিথ্যা হুমকি-ধমকি দিয়ে শ্রমিক ছাঁটাই করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।

        কারখানার জেনারেল ম্যানেজার হারুন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। কারখানায় গিয়ে বিস্তারিত বলা যাবে। গাজীপুর শিল্প পুলিশের ওসি রেজাউল করিম বলেন, বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে অ্যাপেক্স ফুট ওয়্যার কারখানার শ্রমিকরা কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুরসহ সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে। কালের কন্ঠ
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আস্থার বড় সঙ্কটে দেশের স্বাস্থ্য খাত

          আস্থার বড় সঙ্কটে পড়েছে দেশের স্বাস্থ্য খাত। করোনা পরিস্থিতি স্বাস্থ্য খাতের বেহাল চিত্র চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল, জেকেজি হেলথকেয়ার, রিজেন্ট হাসপাতাল, সাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালসহ বেশ কিছু নামকরা হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড জনগণকে ক্ষুব্ধ করেছে। এদের উপর্যুপরি দুর্নীতি ও রোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়া, করোনার ভুয়া পরীক্ষা ও পজিটিভ-নেগেটিভ বাণিজ্য, পিপিই ও মাস্ক সরবরাহ নিয়ে ভয়াবহ জালিয়াতি, বেসরকারি হাসপাতালে ভুয়া ডাক্তারের ছড়াছড়ি, করোনা উপসর্গ নিয়ে ভুক্তভোগীরা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা না পাওয়া, দিনের পর দিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে করোনা পরীক্ষা করাতে না পারা, হাসপাতালের সামনে রাতযাপন করেও সুচিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়াসহ নানা কারণে স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর জনগণের এক রকম আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে।

          করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ব্যাপক সমন্বয়হীনতার চিত্র ফুটে উঠেছে। এই আস্থাহীনতার মধ্যে কিছু দিন আগে স্বাস্থ্যসচিবকে অন্যত্র বদলি করা হয়। এরপরই গত ২১ জুলাই দুর্নীতিসহ নানা কেলেঙ্কারি মাথায় নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজি ডা: আবুল কালাম আজাদ পদত্যাগ করেন। মন্ত্রীরও অপসারণ বা পদত্যাগের জোরালো গুঞ্জনের ডালপালা মেলেছে। নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে অধিদফতরে নতুন ডিজি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডাক্তার আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। নতুন ডিজি স্বাস্থ্যব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়ে এই আস্থার সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবেন কি না তা নিয়েও বিশেষজ্ঞ মহলে নানা সংশয় রয়েছে। গতকাল নতুন ডিজি ডা: খুরশীদ আলম বলেছেন, দুর্নীতির দায় আমাদের সবার। স্বাস্থ্য খাতের এখন যে অবস্থা, বর্তমান পরিস্থিতিতে দুর্নীতি রোধ করে ঘুরে দাঁড়ানোই আমার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।

          এ প্রসঙ্গে গোলাম মাওলা রনি নয়া দিগন্তকে বলেন, স্বাস্থ্য খাতের যে একটা সিন্ডিকেট আছে, ওই সিন্ডিকেটের সাথে সরকারের একেবারে স্পর্শকাতর যেসব লোকজন রয়েছেন তাদের অনেকের নাম উঠে এসেছে। এখন দরকার সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত ওই সব লোকজনের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা, তাদের অপসারণ করা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তাদের নাম ছাইচাপা দিয়ে রাখা হচ্ছে। স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট ও স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞের অনেকের ধারণা, যেসব দেশের এজেন্ট এ দেশে আছে তারা আমাদের স্বাস্থ্যসেবার মান প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কাজ করে থাকে, যেন উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীরা পার্শ্ববর্তী দেশে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের হাত থাকতে পারে। বিদেশনির্ভর চিকিৎসাসেবাও স্বাস্থ্য খাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

          আস্থার যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে এ জন্য প্রয়োজনে অধিদফতরে মহাপরিচালক হিসেবে ডাক্তারদের নিয়োগ না দিয়ে আমলাকেন্দ্রিক প্রশাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। আমরা দেখেছি, গত ১০ বছর এ খাত ডাক্তাররাই পরিচালনা করছেন, তারাই সব দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। নয়া দিগন্ত
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            দেড়শ গাছ কেটে ফেলল সন্ত্রাসী আ.লীগ নেতা

            পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বন বিভাগের দেড়শ গাছ কেটে ফেলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী। এর প্রতিবাদ করায় বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দেবীগঞ্জ ফরেস্ট রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার মো. আনোয়ারুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন।

            লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ও তার লোকজন কোনো নিয়ম না মেনেই শুক্রবার হঠাৎ করে দুটি এক্সকেভেটর মেশিন দিয়ে সেতু সংলগ্ন কয়েক শতক জমির বনভূমির গাছ উপড়ে ফেলেন। খবর পেয়ে রেঞ্জ অফিসারের নেতৃত্বে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বাধা দেন। এ সময় গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীসহ তার লোকজন রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলামসহ আবদুর রাজ্জাক সরকার, মোজাফ্ফর হোসেন, বাদশা মিয়া, মিজানুর রহমান, হযরত আলীকে কিল, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারধর করে। পরে তারা কাটা গাছগুলো লুটে নিয়ে যান।

            রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে গাছগুলো কাটলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকার কথা না। তারা আমাদের না জানিয়েই গাছগুলো কেটে ফেলেন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীসহ তার লোকজন আমাদের মারধর করেন।

            দেবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী জানান, বিরোধীয় ওই জায়গাটুকু নদী বক্ষের জায়গা, বন বিভাগের নয়। সেখানে কিছু গাছপালা ছিল। এর ফলে নদীটির গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে। নদীর সেতুর দুই পাশের দেড়শ মিটার সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই সড়ক ব্যবহারকারী লাখো মানুষ। স্থানীয়দের দাবির মুখে মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সবার সিদ্ধান্তক্রমে নদীর গতিপথে বাধা হয়ে থাকা ওই অংশটুকু এক্সকেভেটর মেশিন দিয়ে খনন করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কেউ বন বিভাগের কর্মীদের মারধর করেনি বরং তারাই আমাদের এক্সকেভেটর চালকদের মারধর করতে উদ্যত হয়েছিল।

            দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যয় হাসান বন বিভাগের অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে জানান, সেখানে একটি ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। গাছ কাটা ও মারধরের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। আমাদের সময়
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              সরকারের প্রশ্রয়ে ওয়াসার কথা বেশি কাজ কম

              প্রতিবছর বর্ষা এলেই রাজধানীর রাস্তাঘাট, অলিগলি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। নগরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ নিয়ে অসন্তোষের শেষ নেই রাজধানীবাসীর। তবে কোনো কিছুকে গুরুত্ব না দিয়েই বছরের পর বছর ওয়াসা তাদের মতো চলছে। বর্ষা পেরোলে শুরু হয় কর্মযজ্ঞ। মুখে ফোটে কথার ফুলঝুরি। কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রতিবছরই রাজধানীর স্যুয়ারেজ সিস্টেম, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন হচ্ছে। এমনকি খাল উদ্ধারে কাজ চলছে। আগামী বর্ষায় ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ১০ বছরে কোনো উন্নতি নেই। বর্ষা এলে আবার সেই ভোগান্তি আর জলজট।

              প্রায় এক দশক ধরে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে আছেন প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। তার দায়িত্বকালীন প্রতিবারই বর্ষায় রাজধানীর রাস্তাঘাট বৃষ্টি হলেই ডুবছে আবার ভাসছে। ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আগামীবার আর এ অবস্থা থাকবে না। অর্থাৎ আগামীবার আর শেষ হচ্ছে না। রাজধানীজুড়ে দখল হয়ে যাওয়া ওয়াসার খাল পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন সময়ে উদ্যোগ নিয়েছে ওয়াসা। তবে কাজের কাজ হয়নি। খাল উদ্ধারের সুফল মেলেনি। অথবা উদ্ধার হওয়া খাল পুনরায় দখল হয়ে গেছে।

              ভারী বৃষ্টি হলে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা যখন ভয়াবহ আকার নেয় তখন সরকারি দুটি সংস্থা পরস্পরের ওপর দায় চাপাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

              খাল উদ্ধারে ব্যর্থতার গ্লানি থেকে বাঁচতে প্রায় এক যুগ ধরে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেছেন, জলাবদ্ধতার দায়ভার ঢাকা ওয়াসার একার না। ২০১২ সালে বলেছিলাম ঢাকা ওয়াসার কর্মকান্ডের সঙ্গে এটা সম্পর্কিত না। ওয়াটার অ্যান্ড স্যুয়ারেজের সঙ্গে পানি নিষ্কাশন সম্পৃক্ত হওয়ায় খাল পরিষ্কারের দায়িত্ব এক হাতে হওয়া দরকার এবং অবশ্যই সিটি অথরিটির কাছে যাওয়া উচিত। ২০১২ সাল থেকে এটা নিয়ে অনেক কাজ হয়ে আসছে, অনেক কমিটিও কাজ করছে। মেয়রদের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, অত্যন্ত ভালো, আমরা খুশি। ২০২০ সালে এসে ২০১২ সালের সিদ্ধান্তটাকে আমরা বাস্তবায়ন করতে পারছি। তিনি বলেছেন, এই কাজ ওয়াসার না, এটা মূলত সিটি করপোরেশনের। সহযোগিতা সবাই করবে, ওয়াসাও করবে। কাজেই এটা সিটি করপোরেশনের কাছে চলে যাওয়াটাই ভালো, এক সময় তাই ছিল।

              বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছিল এক সময় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের হাতে। ১৯৮৯ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ওয়াসার হাতে ন্যস্ত করে। তবে সেটা পুরোপুরি ওয়াসার একার হাতে আসেনি। অন্য ৭টি সংস্থাকে পানি নিষ্কাশন কাজে জড়িয়ে দেওয়া হয়।

              এদিকে এ বিষয়ে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. এম ফিরোজ আহমেদ বলেছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কোনো আলাদা ফান্ড নেই। যে জন্য কোনো সংস্থা দায় নিতে চায় না। প্রথমে ছিল এটা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের হাতে, যা পরে ওয়াসার হাতে চলে যায়। ওয়াসার অন্য খাত থেকে টাকা এনে এখানে ব্যয় করতে হয়। যেহেতু এখানে কোনো রাজস্ব পায় না, তাই ওয়াসা কাজ করতে আগ্রহী নয়। এখন সিটি করপোরেশনের কাছে গেলে তারা নিশ্চয় হোল্ডিং ট্যাক্স থেকে আয় বের করে কাজ করতে পারবে।

              ঢাকা ওয়াসা ও সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকায় ৪৩টি খাল ছিল। এসব খালের মধ্যে ২৬টি ঢাকা ওয়াসা ও ৮টি ঢাকা জেলা প্রশাসন রক্ষণাবেক্ষণ করছে। আর ৯টি খাল বক্স-কালভার্ট, রাস্তা ও স্যুয়ারেজ লাইনে পরিণত করা হয়েছে। বাকিগুলো বিলীন হয়ে গেছে। এসব খালে নেই পানি প্রবাহ। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই নগরজুড়ে তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তবে সিটি করপোরেশনের এই প্রতিবেদনের খালের হিসাবের সঙ্গে একমত নন নগর পরিকল্পনাবিদরা। তারা জানিয়েছেন খালের সংখ্যা ছিল ৫২টি। বাকি খালগুলোর এখন অস্তিত্ব নেই।

              সিটি করপোরেশন ও ওয়াসার করা সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়, বিদ্যমান খালগুলোর মধ্যে রামচন্দ্রপুর খাল ১০০ ফুটের জায়গায় ৬০, মহাখালী খাল ৬০ ফুটের জায়গায় ৩০, প্যারিস খাল ২০ ফুটের জায়গায় ১০-১২, বাইশটেকি খাল ৩০ ফুটের জায়গায় ১৮-২০, বাউনিয়া খাল ৬০ ফুটের জায়গায় ৩৫-৪০, দ্বিগুণ খাল ২০০ ফুটের জায়গায় ১৭০, আবদুল্লাহপুর খাল ১০০ ফুটের জায়গায় ৬৫, কল্যাণপুর প্রধান খাল ১২০ ফুটের জায়গায় স্থানভেদে ৬০ থেকে ৭০, কল্যাণপুর ‘ক’ খালের বিশাল অংশে এখন সরু ড্রেন, রূপনগর খাল ৬০ ফুটের জায়গায় ২৫ থেকে ৩০, কাঁটাসুর খাল ২০ মিটারের জায়গায় ১৪ মিটার, ইব্রাহিমপুর খালের কচুক্ষেত সংলগ্ন মাঝামাঝি স্থানে ৩০ ফুটের জায়গায় ১৮ ফুট রয়েছে। অর্থাৎ পানি প্রবাহের সব খাল এখন অর্ধেকের বেশি কোথাও কোথাও প্রায় পুরোটাই দখলে চলে গেছে। এসব খালের অধিকাংশ স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে বহুতল ভবন, দোকানপাট ও ময়লা-অবর্জনা ভরাট করে রেখেছে। ফলে খালে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দখল-দূষণের পরেও যে পরিমাণ খাল রয়েছে সেটাও যদি সচল রাখা যেত তাহলে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতায় এত দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।

              এদিকে এসব খাল ও ড্রেন সচল করার জন্য প্রতিবছর শত শত কোটি টাকা ব্যয় ধরা হচ্ছে। ওয়াসা এ পর্যন্ত শত কোটি টাকা খরচ করেছে। এ ছাড়া এ বছর সড়ক, ফুটপাত ও সারফেস ড্রেন নির্মাণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) বরাদ্দ ছিল ৬৬৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আর আগের অর্থবছরে (২০১৮-১৯) ব্যয় করা হয়েছে ৫৯৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ব্যয় করা হয় ৭১৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। একইভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে এই খাতে গত অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ২৭২ টাকা। কিন্তু ব্যয় হয়েছে ১৫৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২২৪ কোটি টাকা। আমাদের সময়
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment

              Working...
              X