Announcement

Collapse
No announcement yet.

ধৈর্য কি?, ধৈর্যশীল করা? এবং ধৈর্যশীলদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য # হুজাইফা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ধৈর্য কি?, ধৈর্যশীল করা? এবং ধৈর্যশীলদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য # হুজাইফা


    DOWNLOAD LINKS
    http://www.mediafire.com/file/lpy3bo...sisto.pdf/file
    https://archive.org/details/dhorjo-k...bises-boisisto


    بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

    সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি মানব জাতির জন্য পথ নির্দেশিকার ব্যবস্থা করেছেন। স্বলাত ও সালাম বর্ষিত হোক এই উম্মতের শিক্ষক, আল্লাহর বান্দা ও তার রসূল মুহাম্মাদ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি। ইসলামের প্রথম *যুগ থেকে এখন পর্যন্ত যত ঈমানদার ভাই ও বোন দ্বীনে হক্কের পথে চলতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়েও ধৈর্য হারা হননি আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে তদের মর্যাদাকে বৃদ্ধি করে দিন, আর আমাদের কেও তার দ্বীনের পথে চলার তাওফিক দান করুন। আমীন।

    ধৈর্য কি?, ধৈর্যশীল করা? এবং ধৈর্যশীলদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য

    আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে যখন বাটন চাপলেই অনেক কিছু ঘটে, যখন মেশিন পত্র মানুষের নানামুখি কাজের সহযোগী হয়ে দাড়িয়েছে, মুহুর্তেই মানুষ দূর দূরান্ত পারি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে, মানুষ এখন সবকিছুকে খুব দ্রুত পেতে চায় কোন কারণে বিলম্বের সম্মুখিন হলেই অধিকাংশের থেকে অনেক বেশী অস্থিরতা প্রকাশ পায়, জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে এদের, ছোট খাট বিষয়কে নিয়েও অনেকে অনেক বিচলিত ও হতাশ হয়ে পরে, অনেকে সামান্য শখের বিষয় পূর্ণ না হলে পরে আত্মহত্যার পথ ও বেছে নেয়। এ যুগের অনেক মানুষের মাঝে ধৈর্য্যের চরম ঘাটতি প্রকাশ পাচ্ছে, অথচ শিক্ষার হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলাফল গবেষণায় যা প্রকাশ পায় আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা ব্যবস্থা এবং অনুরূপ যে সকল শিক্ষা ব্যবস্থা আছে এগুলি মানব হৃদয়ে প্রশান্তির খাবার সরবরাহ করতে পারে না। এমনকি যে পাশ্চাত্য শিক্ষা লাভ করার জন্য অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ কাজ করে, সে সব পাশ্চাত্য দেশে তাদের শিক্ষায় শিক্ষিত লোকদের মাঝে জাগতিক আরাম আয়েশে ঘাটতি না থাকা সত্ত্বেও আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশী।

    পথ হারা মানুষদেরকে পথ দেখানোর জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যে কিতাব নাযিল করেছেন এর জ্ঞান না থাকার কারনে মানুষের ধৈর্য কমতে কমতে হারিয়ে যাচ্ছে।

    আল কুরআনে এসেছে-
    وَكَيْفَ تَصْبِرُ عَلَىٰ مَا لَمْ تُحِطْ بِهِ خُبْرًا [١٨:٦٨]
    অর্থঃ আর তুমি কেমন করে ধৈর্য ধারণ করতে পারবে সেই বিষয়ে যে-সন্বন্ধে তোমার কোনো তথ্য/খবর জানা নেই? (সূরা কাহফ ১৮:৬৮)

    সুতরাং জ্ঞান ছাড়া ধৈর্য ধারণ করা অসম্ভব।
    কারো যদি জানা থাকে যে এই কষ্টের *মুহুর্তটা অতিক্রম করতে পারলে তার পর সে সুখকর একটা অবস্থা পাবে। তখন সেই সুখকর অবস্থা পাওয়ার জন্য সেই ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
    আর যে ব্যক্তি তার কষ্টকর অবস্থার ফলাফল এবং এর পরবর্তী অবস্থা কি হবে এ সম্পর্কে কোন জ্ঞান (তথ্য/খবর) রাখে না এমনকি এ ব্যাপারে তার কোন *সুধারনাও নেই সে কিসের আশায় সেই কষ্টকর অবস্থাকে মেনে নিয়ে ধৈর্য ধারণ করবে?

    তাই জানার গুরুত্ব অনেক, আর সে জ্ঞান অবশ্যই নির্ভেজাল ও সঠিক হওয়া চাই । কারো ধারণা থেকে জ্ঞান আর্জন করে আপনার মনোবল দৃঢ় হবে না। মনোবল দৃঢ় হবে তখনই যখন আপনার জানা বিষয়টি হবে সঠিক, নির্ভেজাল এবং যা আপনাকে প্রশান্তি দিবে। আর এরকম জ্ঞান আর্জন করতে পারবেন মহাজ্ঞানী আল্লাহর পক্ষ থেকে যে নির্দেশিকা তথা আল কুরআন থেকে। ওহীর জ্ঞানে জ্ঞানী হতে হবে তবেই না আপনার হৃদয় প্রশান্তি লাভ করবে। আল কুরআনেরই অনুসরন করুন আপনাকে আর অনুতপ্ত হতে হবে না।
    কারো বিপদের খবর জানলে তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা সাধারনত তাকে ধৈর্য ধারণ করার কথা বলেন, আল কুরআনের আলোকে ধৈর্য বা صَبَر এর অর্থ কি, কাকে বলে এবং এর গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা কি? এর ফলাফল কি? তা সুভাকাঙ্খি ও যাকে উপদেশ দেয় হয় তদের অনেকের ই অজানা তাই আসুন ধৈর্য এবং এর সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলো ওহীর জ্ঞান থেকে জেনে নেই..


    অধিকাংশ আদম সন্তানের অবস্থাঃ
    অধিকাংশ আদম সন্তান তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে পারেনি আর যারাও বা নির্ধারণ করেছে তাও আবার দুনিয়া কেন্দ্রিক, অধিকাংশ আদম সন্তানদের অবস্থা বর্ণনা করে আল কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,
    إِنَّ الْإِنْسَانَ لَفِي خُسْرٍ [١٠٣:٢]
    অর্থঃ মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে (সূরা আসর ১০৩:২)।
    إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ [١٠٣:٣]
    অর্থঃ তারা ব্যতীত যারা ঈমান আনে ও সৎআমল করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয়, ধৈর্যধারণে পরস্পরকে উদ্ভুদ্ধ করে থাকে। (সূরা আসর ১০৩:২)
    এ আয়াত দুটি থেকে স্পষ্ট যে- ঈমানদার, আমলে স্বলেহকারী (যিনি সৎকর্ম করেন), হক্কের সাথে অবস্থানকারী (আল কুরআনের অনুসারী) ও ধৈর্যশীলগণ ছাড়া বাকী সকল আদম সন্তান ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত। ক্ষতি থেকে বাঁচতে যে চারটি বৈশিষ্টের কথা এখানে বলা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ধৈর্য। আর ধৈর্য ধারণকারীরাই হচ্ছেন চরম সৌভাগ্যবান (সূরা কাসাস ২৮: ৮০)।

    ধৈর্য এমন একটি বিষয় যে ব্যাপারে প্রতিযোগিতা করা দরকারঃ

    এ ব্যাপারে আল কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,
    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اصْبِرُوا وَصَابِرُوا وَرَابِطُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٣:٢٠٠]
    হে বিশ্বাস স্থাপনকারীগণ! তোমরা ধৈর্যধারণ কর ও ধৈর্যধারণে প্রতিযোগিতা কর এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ কর আর আল্লাহকে ভয় কর আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে। (সূরা আলে ইমরান ৩:২০০)

    সুতরাং ধৈর্যধারণ করুন ধৈর্যধারণে প্রতিযোগিতা করুন এ ভাবে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন যুদ্ধ ক্ষেত্রে ধৈর্যের অনেক প্রয়োজন এবং তাকওয়র পথ অবলম্বন করুন আশাকরা যায় আপনি সফলকাম হবেন।
    ধৈর্য ধারণ করার বিষ্য়টি শুধু আপনার ও আমার জন্য নয় নবীদেরকেও ধৈর্য ধারণ করতে হয়েছেঃ
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আলকুরআনে বলেন,
    فَاصْبِرْ كَمَا صَبَرَ أُولُو الْعَزْمِ مِنَ الرُّسُلِ وَلَا تَسْتَعْجِلْ لَهُمْ [٤٦:٣٥]
    অর্থঃ অতএব তুমি ধৈর্যধারণ কর যেমন ধৈর্যধারণ করেছিলেন রসূলগণের মধ্যে যারা ছিলেন দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ, আর তাদের জন্য তাড়াহুড়ো করো না। (সূরা আহক্বফ ৪৬:৩৫)
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরও বলেন,
    وَلَقَدْ كُذِّبَتْ رُسُلٌ مِنْ قَبْلِكَ فَصَبَرُوا عَلَىٰ مَا كُذِّبُوا وَأُوذُوا حَتَّىٰ أَتَاهُمْ نَصْرُنَا ۚ وَلَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِ اللَّهِ ۚ وَلَقَدْ جَاءَكَ مِنْ نَبَإِ الْمُرْسَلِينَ [٦:٣٤]
    অর্থঃ আর তোমার পূর্বেও রসূলগণকে অবশ্যই মিথ্যারোপ করা হয়েছিল, কিন্তু তারা ধৈর্যধারণ করেছিলেন তাদেরকে মিথ্যারোপ করা ও যন্ত্রণা দেয়া সত্ত্বেও, যে পর্যন্ত না আমার সাহায্য তাদের কাছে এসেছিল, আর আল্লাহ্*র বাণী কেউ বদলাতে পারে না। আর তোমার কাছে সাবেক নবীগণের কিছু কিছু সংবাদ ও কাহিনী তো পৌছে গেছে। (সূরা আনআম ৬:৩৪)

    আল্লাহর প্রিয় বান্দা তথা রসূলগণকেও ধৈর্য ধারণ করতে হয়েছে। বান্দা ধৈর্যশীল ও জিহাদকারী হয় না কি নয় এ বিষয়টি চুড়ান্তভাবে স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা চলতে থাকবে।
    এ সম্পর্কে আল কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,
    وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ حَتَّىٰ نَعْلَمَ الْمُجَاهِدِينَ مِنْكُمْ وَالصَّابِرِينَ وَنَبْلُوَ أَخْبَارَكُمْ [٤٧:٣١]

    অর্থঃ আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করবো, যতক্ষণ না আমি অবগত হই তোমাদের মধ্যে কে জিহাদকারী ও ধৈর্যশীল এবং আমি তোমাদের অবস্থা সমূহেরও পরীক্ষা করি। (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:৩১)
    মানুষের জীবনে ভাল মন্দের আবর্তন চলতে থাকে, একটা বিপদ এড়াতেই অপর আর একটা তাকে পেয়ে বসে সুতরাং ধৈর্য ধারণের বিষয়টি মানব জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। আর আল্লাহ তার ঈমানদার বান্দাদেরকে ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহর আদেশকে গুরুত্ব দিয়ে ধৈর্য ধারণকারী হওয়ার চেষ্টা করুন।
    রসূলুল্লহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
    ومن يتصبر يصبره الله‏.
    অর্থঃ যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করার চেষ্টা করবে আল্লাহ তাকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা প্রদান করবেন। (সহীহুল বুখারী: ১৪৬৯,৬৪৭০), (রিয়াযুস স্বলিহীন: ২/২৭)

    আল কুরআনের আলোকে ধৈর্য বা صَبَر এর অর্থ কি, কাকে বলে এবং এর গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যাঃ
    মহাজ্ঞানী আল্লাহ তার কিতাবে বলেন,

    وَإِنْ عَاقَبْتُمْ فَعَاقِبُوا بِمِثْلِ مَا عُوقِبْتُمْ بِهِ ۖ وَلَئِنْ صَبَرْتُمْ لَهُوَ خَيْرٌ لِلصَّابِرِينَ [١٦:١٢٦]
    অর্থঃ আর যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঠিক ততখানি প্রতিশোধ গ্রহণ করবে যতখানি অন্যায় তোমার প্রতি করা হয়েছে; তবে তোমরা ধৈর্যধারণ করলে ধৈর্যশীলদের জন্যে ওটাই উত্তম। (সূরা নাহল ১৬:১২৬)
    এ আয়াত থেকে স্পষ্ট যে, কোন ব্যক্তি অন্যায়ভাবে আঘাত প্রাপ্ত হলে সে আঘাতকারী থেকে সমপরিমান প্রতিশোধ গ্রহণ করার অধিকার রাখেন। কিন্তু প্রতিশোধ গ্রহণ না করে সে আঘাতের বিপরীতে সহ্যশীল ব্যাক্তিই হচ্ছেন ধৈর্যশীল।
    এখানে ধৈর্য বা সবর এর অর্থ অন্যায় আঘাত সহ্য করা।


    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সূরা বাকারাহতে আরও বলেন,
    وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيْءٍ مِنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنْفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ [٢:١٥٥]
    অর্থঃ এবং নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে ভয়, ক্ষুধা এবং ধন ও প্রাণ এবং ফল-শস্যের ক্ষতির দ্বারা পরীক্ষা করবো আর আপনি ঐসব ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ প্রদান করুন। (সূরা বাকারাহ ২:১৫৫)
    الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُمْ مُصِيبَةٌ قَالُوا إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ [٢:١٥٦]
    অর্থঃ যাদের উপর কোন বিপদ আপতিত হলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহরই জন্য এবং নিশ্চয়ই আমরা তারই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী (সূরা বাকারাহ ২:১৫৬)।

    এ আয়াতদুটি থেকে যা প্রকাশ পাচ্ছে- যারা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও ফল- ফসলের ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও ভয় পায়না, অস্থির হয় না, নিরাশ হয়না, আর তার মালিকের (আল্লাহর) প্রতিও অসন্তুষ্ট হয়না তারাই ধৈর্যশীল।
    এখানে ধৈর্য বা সবর এর অর্থ ভয়ের সম্মুখিন হয়েও ভয় না পাওয়া, ক্ষুধার্ত থেকেও অস্থির না হওয়া, ঘাটতির সম্মুখীন হয়েও নিরাশ না হওয়া এবং আল্লাহর প্রতি প্রশান্তচিত্তের অধিকারী হওয়া।

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সূরা ইউসুফে বলেন,
    وَاصْبِرْ وَمَا صَبْرُكَ إِلَّا بِاللَّهِ ۚ وَلَا تَحْزَنْ عَلَيْهِمْ وَلَا تَكُ فِي ضَيْقٍ مِمَّا يَمْكُرُونَ [١٦:١٢٧]
    অর্থঃ আর তুমি ধৈর্যধারণ কর, তোমার ধৈর্যধারণ তো কেবল মাত্র আল্লাহর জন্য এবং আল্লাহর সাহায্যে, আর তুমি তাদের কারণে আফসোস করো না, আর তারা যা চক্রান্ত করে সেজন্য তুমি মনঃক্ষুন্ন হয়ো না। (সূরা নাহল ১৬:১২৭)
    এ আয়াতের আলোকে শত্রু পক্ষের চক্রান্তের বিপরীতে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত ও মনঃক্ষুন্ন না হওয়াই হচ্ছে সবর বা ধৈর্যশীলতা।


    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সূরা দাহর এ বলেন,
    فَاصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ وَلَا تُطِعْ مِنْهُمْ آثِمًا أَوْ كَفُورًا [٧٦:٢٤]
    অর্থঃ সুতরাং তুমি তোমার প্রভুর নির্দেশের জন্য ধৈর্যধারণ কর, আর তাদের মধ্যকার পাপিষ্ঠ অথবা সত্যপ্রত্যাখ্যান- কারীদের আজ্ঞা পালন করো না। (সূরা দাহর ৭৬:২৪)
    এ আয়াতের আলোকে আল্লাহর পক্ষ থেকে ফায়সালা আসা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকাই হচ্ছে ধৈর্য বা সবর।

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সূরা মুযযাম্মিল এ বলেন,
    وَاصْبِرْ عَلَىٰ مَا يَقُولُونَ وَاهْجُرْهُمْ هَجْرًا جَمِيلًا [٧٣:١٠]
    অর্থঃ এবং তুমি ধৈর্যধারণ কর, তারা যা বলে তা সত্ত্বেও, আর তাদের পরিহার করে চল সৌজন্যময় পরিহারে। (সূরা মুযযাম্মিল ৭৩:১০)
    এ আয়াতের আলোকে আল্লাহর আদেশকে মেনে নিয়ে লোকে যা বলে বলুক তা উপেক্ষা/সহ্য করে তদেরকে সৌজন্যের সাথে বর্জন করাই হচ্ছে ধৈর্যশীলতার পরিচয়।

    সুক্ষবিচারক আল্লাহ তার বন্ধু সম্পর্কে জানাতে গিয়ে সূরা স-ফফা-ত এ বলেন-

    فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يَا بُنَيَّ إِنِّي أَرَىٰ فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانْظُرْ مَاذَا تَرَىٰ ۚ قَالَ يَا أَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ ۖ سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ [٣٧:١٠٢]
    অর্থঃ তারপর যখন সে (সন্তান) তার পিতার সাথে কাজ করার মত বয়সে উপনীত হলো তখন ইবরাহীম (আঃ) বললেন, হে আমার পুত্র! নিশ্চয়ই আমি স্বপ্নে দেখলাম যে আমি তোমাকে কুরবানি করছি, এখন তোমার অভিমত কী? সে বললো- ''হে আমার আব্বা! আপনি তাই করুন যা আপনাকে আদেশ করা হয়েছে। ইন-শা-আল্লাহ্ আপনি আমাকে পাবেন ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত। (সূরা স-ফ্ফা-ত ৩৭:১০২)

    এ আয়াত অনুসারে, আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন আদিষ্ট বিধান পালন করতে কষ্ট হবে এটা জেনে বুঝেও সন্তষ্টির সাথে সে বিধান পালন করার ব্যাপারে সম্মত হওয়াই হচ্ছে ধৈর্য বা সবর।
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সূরা আলে ইমরানে বলেন,
    وَكَأَيِّنْ مِنْ نَبِيٍّ قَاتَلَ مَعَهُ رِبِّيُّونَ كَثِيرٌ فَمَا وَهَنُوا لِمَا أَصَابَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَمَا ضَعُفُوا وَمَا اسْتَكَانُوا ۗ وَاللَّهُ يُحِبُّ الصَّابِرِينَ [٣:١٤٦]
    অর্থঃ আর আরো কত নবী যুদ্ধ (ক্বিতাল) করেছেন, তাদের সঙ্গে ছিল প্রভুর অনুগত বহু লোক, আর আল্লাহ্*র পথে তাদের উপরে যা কিছু এসেছিল তার জন্য তারা নিরাশ হয় নি, আর তারা দুর্বলও হয় নি, আর তারা থেমেও যায় নি। আর আল্লাহ্ ভালোবাসেন ধৈর্যশীলদের। (সূরা আলে ইমরান ৩:১৪৬)
    এ আয়াত থেকে স্পষ্ট যে, আল্লাহ্*র পথে থাকা অবস্থায় বিপদ আপদের সম্মুখীন হয়েও যারা আল্লাহর সাহায্যের ব্যাপারে নিরাশ হয়না, দুর্বল হয়না, যারা দমে যায়না তারাই হচ্ছেন ধৈর্যশীল।

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সূরা আহক্বফ এ বলেন,
    فَاصْبِرْ كَمَا صَبَرَ أُولُو الْعَزْمِ مِنَ الرُّسُلِ وَلَا تَسْتَعْجِلْ لَهُمْ [٤٦:٣٥]
    অর্থঃ অতএব তুমি ধৈর্যধারণ কর যেমন ধৈর্যধারণ করেছিলেন রসূলগণের মধ্যে যারা ছিলেন দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ, আর তাদের জন্য তাড়াহুড়ো করো না। (সূরা আহক্বফ ৪৬:৩৫)
    এ আয়াতের আলোকে তাড়াহুড়ো না করে আল্লাহর পক্ষ থেকে সমাধান হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই হচ্ছে ধৈর্য।
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সূরা বাকারাহতে আরও বলেন,
    فَلَمَّا فَصَلَ طَالُوتُ بِالْجُنُودِ قَالَ إِنَّ اللَّهَ مُبْتَلِيكُمْ بِنَهَرٍ فَمَنْ شَرِبَ مِنْهُ فَلَيْسَ مِنِّي وَمَنْ لَمْ يَطْعَمْهُ فَإِنَّهُ مِنِّي إِلَّا مَنِ اغْتَرَفَ غُرْفَةً بِيَدِهِ ۚ فَشَرِبُوا مِنْهُ إِلَّا قَلِيلًا مِنْهُمْ ۚ فَلَمَّا جَاوَزَهُ هُوَ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ قَالُوا لَا طَاقَةَ لَنَا الْيَوْمَ بِجَالُوتَ وَجُنُودِهِ ۚ قَالَ الَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُمْ مُلَاقُو اللَّهِ كَمْ مِنْ فِئَةٍ قَلِيلَةٍ غَلَبَتْ فِئَةً كَثِيرَةً بِإِذْنِ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ مَعَ الصَّابِرِينَ [٢:٢٤٩]
    অর্থঃ অনন্তর যখন ত্বলূত সৈন্যদলসহ বহির্গত হয়েছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন নিশ্চয়ই আল্লাহ একটি নদী দ্বারা তোমাদেরকে পরীক্ষা করবেন, অতঃপর ওটা হতে যে পান করবে সে কিন্তু আমার দলভুক্ত থাকবে না এবং যে স্বীয় হাত দ্বারা আাঁজলাপূর্ণ করে নেবে, তদ্ব্যতীত যে তা আস্বাদন করবে না সে নিশ্চয়ই আমার; কিন্ত তাদের মধ্যে অল্প লোক ব্যতীত বাকী সবাই সেই নদীর পানি পান করলো, অতঃপর যখন সে ও তার সঙ্গী বিশ্বাস স্থাপনকারীগণ নদী অতিক্রম করে গেল তখন তারা বললো, জালূতের ও তার সেনাবাহিনীর মোকাবিলা করার শক্তি আজ আমাদের নেই; পক্ষান্তরে যারা বিশ্বাস করতো যে, তাদেরকে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করতে হবে, তারা বললো, কত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দল কত বৃহৎ বৃহৎ দলকে পরাজিত করেছে আল্লাহর অনুমতিক্রমে, বস্তুত আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথেই আছেন। (সূরা বাকারাহ ২:২৪৯)
    এ আয়াতের একেবারে শেষের অংশ থেকে স্পষ্ট যে, যারা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে এবং নিজেরা সংখ্যায় কম ও দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও শত্রুপক্ষের অস্ত্র, সাজ সরঞ্জামের আধিক্য ও সংখ্যাধিক্য দেখে ভয় পায় না। যারা আল্লাহর দয়া থেকে নিরাশ হয় না, দূর্বল হয় না এবং দমে যায় না এরাই হচ্ছে ধৈর্যশীল।

    উপরোক্ত আয়াত সমূহের আলোকে প্রতিষোধ গ্রহণের অধিকার থাকা সত্ত্বেও যারা অন্যায় আঘাত সহ্য করে। ভয়, ক্ষুধা, মাল ও ফল-ফসলের ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও যারা ভয় পায়না, অস্থির হয়না, নিরাশ হয়না, আর আল্লাহর প্রতিও অসন্তুষ্ট হয়না । আল্লাহর পক্ষ থেকে ফায়সালা আসা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকে। আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন আদিষ্ট বিধান পালন করতে কষ্ট হবে এটা জেনে বুঝেও যারা সন্তষ্টির সাথে সে বিধান পালন করার ব্যাপারে সম্মত। আল্লাহ্*র পথে থাকা অবস্থায় বিপদ আপদের সম্মুখীন হয়েও যারা আল্লাহর সাহায্যের ব্যাপারে নিরাশ হয়না, দুবর্ল হয়না, যারা দমে যায়না। যারা শত্রু পক্ষের চক্রান্তের বিপরীতে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত ও মনঃক্ষুন্ন হয়না। তাড়াহুড়া না করে আল্লাহর পক্ষ থেকে সমাধান হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে। যারা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে এবং নিজেরা সংখ্যায় কম ও দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও শত্রুপক্ষের অস্ত্র, সাজ সরঞ্জামের আধিক্য ও সংখ্যাধিক্য দেখে ভয় পায় না। যারা আল্লাহর দয়া থেকে নিরাশ হয় না, দূর্বল হয় না এবং দমে যায় না । অক্ষমের মত যারা বসে থাকে না, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী এবং তার দয়া পাওয়ার ব্যাপারে যারা প্রচন্ড সুধারনা রাখে এরাই হচ্ছে ধৈর্যশীল। আল কুরআনের আলোকে এগুলো হচ্ছে ধৈর্যশীলদের বৈশিষ্ট্য।
    ধৈর্যশীলদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা মন্দকে দমন করে ভাল কিছু দ্বারাঃ
    আল কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,
    وَلَا تَسْتَوِي الْحَسَنَةُ وَلَا السَّيِّئَةُ ۚ ادْفَعْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ فَإِذَا الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ عَدَاوَةٌ كَأَنَّهُ وَلِيٌّ حَمِيمٌ [٤١:٣٤]
    অর্থঃ আর ভাল জিনিস ও মন্দ জিনিস একসমান হতে পারে না। মন্দকে দমন কর উৎকৃষ্ট দ্বারা; ফলে, তোমার সাথে যার শত্রুতা আছে, সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মত। (সূরা হা-মীম-আসসাজদাহ ৪১:৩৪)
    وَمَا يُلَقَّاهَا إِلَّا الَّذِينَ صَبَرُوا وَمَا يُلَقَّاهَا إِلَّا ذُو حَظٍّ عَظِيمٍ [٤١:٣٥]

    অর্থঃ এই গুণের অধিকারী করা হয় শুধু তাদেরকেই যারা ধৈর্যশীল, এই গুণের অধিকারী করা হয় শুধু তাদেরকে যারা মহাভাগ্যবান। (সূরা হা-মীম-আসসাজদাহ ৪১:৩৫)

    উপরোক্ত আয়াতদুটি থেকে যা প্রকাশ পাচ্ছে, তা হল আল্লাহ তার বান্দাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন তারা যেন মন্দকে দমন করে উৎকৃষ্ট দ্বারা এর ফলে যার সাথে শত্রুতা সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধু। আরো বলা হচ্ছে যে ধৈর্যশীল ছাড়া কেউ এ বৈশিষ্টের অধিকারী হতে পারবেনা। এটাই হচ্ছে ধৈর্যশীলদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য যে তারা মন্দকে দমন করে ভাল কিছু দ্বারা কেউ তাদের সাথে মন্দ আচরণ করলে তারা তার সাথে সর্বোত্তম আচরণ (এহসান) করেন।
    রাগকে দমন করে ক্ষামা করে দেয়া হচ্ছে এহসান (সূরা আলে ইমরান ৩:১৩৪)।

    এহসান ও মুহসিনীনদের পরিচয় বর্ণনা করে সূরা আনকাবুতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরো বলেন,
    وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا ۚ وَإِنَّ اللَّهَ لَمَعَ الْمُحْسِنِينَ [٢٩:٦٩]
    অর্থঃ পক্ষান্তরে যারা আমার উদ্দেশ্যে সংগ্রাম (জিহাদ) করে, আমি তাদেরকে অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব; আর আল্লাহ্ নিশ্চয়ই সৎকর্মীদের (এহসানকারীদের) সাথেই রয়েছেন। (সূরা আনকাবুত ২৯:৬৯)

    এ আয়তে মহাজ্ঞানী আল্লাহ জিহাদকে সর্বোত্তম আমল (এহসান) এবং জিহাদকারী মুজাহিদদেরকে মুহসিনীন/ এহসানকারী বলেছেন।

    সূরা তাওবাহতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরো বলেন,
    ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ لَا يُصِيبُهُمْ ظَمَأٌ وَلَا نَصَبٌ وَلَا مَخْمَصَةٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا يَطَئُونَ مَوْطِئًا يَغِيظُ الْكُفَّارَ وَلَا يَنَالُونَ مِنْ عَدُوٍّ نَيْلًا إِلَّا كُتِبَ لَهُمْ بِهِ عَمَلٌ صَالِحٌ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُضِيعُ أَجْرَ الْمُحْسِنِينَ [٩:١٢٠]
    অর্থঃ আল্লাহ্*র পথে তাদের যে পিপাসা দেখা দেয়, যে ক্লান্তি স্পর্শ করে, আর যে ক্ষুধা পায় আর তাদের এমন পদক্ষেপ যা কাফিরদের ক্রোধের কারণ হয়ে থাকে, আর দুশমনদের হতে তারা যা কিছু প্রাপ্ত হয়, এর প্রত্যেকটির বিনিময়ে তাদের জন্যে এক একটি নেক আমল লিপিবদ্ধ হয়ে যায়, নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎ কর্মশীলদের (মুহসিনীন) প্রতিদান বিনষ্ট করবেন না। (সূরা তাওবা ৯:১২০)

    সূরা আনকাবুত ও সূরা তাওবাহ থেকে উল্লিখিত আয়াত দুটি থেকে স্পষ্ট যে, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ হচ্ছে ইহসান আর অংশগ্রহণকারী মুজাহিদগণ হচ্ছেন মুহসিনীন।
    আর আল্লাহর সন্তষ্টির জন্য যারা, শিরক ও কুফর কে দমন করে তাওহীদ, অন্যায় ও জুলুমকে দমন করে ন্যায় বিচার, বাতিল দ্বীনকে দমন করে দ্বীনে হক্ক তথা ইসলামকে প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদ করে এরাই হচ্ছে মন্দকে দমনকারী সবথেকে শ্রেষ্ট আমলকারী মুহসিনীন।

    ধৈর্যশীলদের জন্য সুসংবাদঃ
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আলকুরআনে বলেন,

    قُلْ يَا عِبَادِ الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا رَبَّكُمْ ۚ لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا فِي هَٰذِهِ الدُّنْيَا حَسَنَةٌ ۗ وَأَرْضُ اللَّهِ وَاسِعَةٌ ۗ إِنَّمَا يُوَفَّى الصَّابِرُونَ أَجْرَهُمْ بِغَيْرِ حِسَابٍ [٣٩:١٠]
    অর্থঃ তুমি বলে দাও, হে আমার ঈমানদার বান্দারা! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর। যারা এই দুনিয়াতে ভালো কাজ করে তাদের জন্য ভালো (প্রতিদান) রয়েছে। আর আল্লাহ্*র পৃথিবী সুপ্রসারিত। নিঃসন্দেহে ধৈর্যশীলদেরকে তাদের প্রতিদান দেওয়া হবে হিসাবপত্র ব্যতিরেকে। (সূরা যুমার ৩৯:১০)



    আল কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরও বলেন,
    مَا عِنْدَكُمْ يَنْفَدُ ۖ وَمَا عِنْدَ اللَّهِ بَاقٍ ۗ وَلَنَجْزِيَنَّ الَّذِينَ صَبَرُوا أَجْرَهُمْ بِأَحْسَنِ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ [١٦:٩٦]
    অর্থঃ তোমাদের কাছে যা কিছু আছে তা শেষ হয়ে যাবে আর আল্লাহ্*র কাছে যা আছে তা স্থায়ী। যারা ধৈর্যধারণ করে আমি নিশ্চয়ই তাদেরকে তারা যা করে তা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দান করবো। (সূরা নাহল ১৬:৯৬)

    আল কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরও বলেন,
    وَقَالَ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ وَيْلَكُمْ ثَوَابُ اللَّهِ خَيْرٌ لِمَنْ آمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا وَلَا يُلَقَّاهَا إِلَّا الصَّابِرُونَ [٢٨:٨٠]
    অর্থঃ আর যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছিল তারা বললো, ধিক তোমাদেরকে! যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্যে আল্লাহর পুরস্কারই শ্রেষ্ঠ এবং ধৈর্যশীল ব্যতীত এটা কেউ পাবে না। (সূরা কাসাস ২৮: ৮০)

    আল কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরও বলেন,
    لِيُنْفِقْ ذُو سَعَةٍ مِنْ سَعَتِهِ ۖ وَمَنْ قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ فَلْيُنْفِقْ مِمَّا آتَاهُ اللَّهُ ۚ لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا مَا آتَاهَا ۚ سَيَجْعَلُ اللَّهُ بَعْدَ عُسْرٍ يُسْرًا [٦٥:٧]
    অর্থঃ সামর্থ্যবান নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যয় করবে এবং যার জীবিকা সীমিত সে, আল্লাহ যা দান করেছেন তা হতে ব্যয় করবে। আল্লাহ যাকে যে সামর্থ্য দিয়েছেন তদপেক্ষা অতিরিক্ত বোঝা তিনি তার উপর চাপান না । আল্লাহ কষ্টের পর সহজ করে দিবেন। (সূরা তালাক ৬৫:৭)

    উপরের আয়াত সমূহ থেকে স্পষ্ট যে আল্লাহ্ অচিরেই কষ্টের পরে সহজ করে দিবেন। আর ধৈর্যশীলদেরকে হিসাবপত্র ব্যতিরেকে প্রতিদান প্রদান করবেন, তা হবে শ্রেষ্ঠ প্রতিদান। আল্লাহ্*র এ পুরস্কার ধৈর্যশীল ছাড়া অন্য কেউ পাবে না।

    সুতরাং বিপদে বা সংকটে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই।


    মহাদাতা ও দয়ালু আল্লাহ বলেন,
    قَالَ وَمَنْ يَقْنَطُ مِنْ رَحْمَةِ رَبِّهِ إِلَّا الضَّالُّونَ [١٥:٥٦]
    অর্থঃ আর কে হতাশ হয় তার প্রভুর করুণা থেকে পথভ্রষ্টরা ব্যতীত? (সূরা হিজর ১৫:৫৬)

    এ প্রসংগে রসূলুল্লহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতিপয় হাদিস-
    وعن أبي هريرة رضي الله عنه قال‏:‏ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ من يرد الله به خيراً يصب منه‏"‏ ‏:‏ ‏(‏‏(‏رواه البخاري‏)‏‏)‏‏.‏
    অর্থঃ হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ যে ব্যক্তির কল্যাণ চান তাকে বিপদে (পরীক্ষায়) ফেলেন। (সহীহুল বুখারী: ৫৬৪৫), (রিয়াযুস স্বলিহীন: ১৫/৪০)

    وعن أنس رضي الله عنه قال‏:‏ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏:‏‏"‏إذا أراد الله بعبده خيراً عجل له العقوبة في الدنيا، وإذا أراد الله بعبده الشر أمسك عنه بذنبه حتى يوافي به يوم القيامة‏"‏‏.‏
    وقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏"‏إن عظم الجزاء مع عظم البلاء، وإن الله تعالى إذا أحب قوماً ابتلاهم، فمن رضي فله الرضى، ومن سخط فله السخط‏"‏ ‏(‏‏(‏رواه الترمذي وقال ‏:‏ حديث حسن‏)‏‏)‏‏.
    অর্থঃ হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন আল্লাহ তার বান্দার মঙ্গল চান, তখন তিনি তাকে তাড়াতাড়ি দুনিয়ায় (পাপের) শাস্তি *দিয়ে দেন। আর যখন আল্লাহ তার বান্দার অমঙ্গল চান, তখন তিনি তাকে (শাস্তিদানে) বিরত থাকেন। পরিশেষে কিয়ামতের দিন তাকে পুরোপুরি শাস্তি দেবেন। রসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, বড় পরীক্ষার বড় প্রতিদান রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা যখন কোন জাতিকে ভালবাসেন, তখন তার পরীক্ষা নেন। ফলে তাতে যে সন্তুষ্ট (ধৈর্যশীল) থাকে, তার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি রয়েছে। আর যে (আল্লাহর পরীক্ষায়) অসন্তুষ্ট হয়, তার জন্য রয়েছে আল্লাহর অসন্তুষ্টি। (মুসলিমঃ ২৩৯৬) (রি: স্ব: ১৯/৪৪)
    وعن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏:‏ ‏ "‏ يقول الله تعالى ‏:‏ ما لعبدي المؤمن عندي جزاء إذا قبضت صفيه من أهل الدنيا ثم احتسبه إلا الجنة‏"‏ ‏(‏‏(‏رواه البخاري‏)‏‏)‏‏.
    অর্থঃ হযরত আবু হুরাইরা (রা) আরও বর্ণনা করেন, রসূলুল্লহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমার মুমিন বান্দার জন্য আমার নিকট জান্নাত ছাড়া আর কোনো পুরস্কার নেই, যখন আমি দুনিয়া থেকে তার (কোন) প্রিয়জনকে কেড়ে নিয়ে যাই আর সে তখন সওয়াবের আশায় ধৈর্য (সবর) ধারণ করে। (সহীহুল বুখারী: ১২৮৩,১২৫২), (রিয়াযুস স্বলিহীন: ৮/৩৩)

    وعن أبي يحيى صهيب بن سنان رضي الله عنه قال‏:‏ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏عجبا لأمر المؤمن إن أمره كله له خير، وليس ذلك لأحد إلا للمؤمن ‏:‏ إن أصابته سراء شكر فكان خيراً له، وإن أصابته ضراء صبر فكان خيراً له‏"‏ ‏(‏‏(‏رواه مسلم‏)‏‏)‏‏

    অর্থঃ হযরত আবু ইয়াহয়া সুহাইব ইবনে সিনান (রা) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুমিনের ব্যাপারটা খুবই আশ্চর্যজনক। তার প্রতিটি কাজে তার জন্য মঙ্গল রয়েছে। এটা মুমিন ছাড়া অন্য কারে জন্য নয়। সুতরাং তার সুখ এলে সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ফলে এটা তার জন্য মঙ্গলময় হয়। আর দুঃখ পৌছলে সে ধৈর্য ধারণ করে। ফলে এটাও তার জন্য মঙ্গলময় হয়। (মুসলিম২৯৯৯), (রি: স্ব: ৩/২৮)

    ধৈর্য হচ্ছে দৃঢ়সংকল্পের কাজঃ
    মহাজ্ঞানী আল্লাহ তার কিতাবে বলেন,
    وَلَمَنْ صَبَرَ وَغَفَرَ إِنَّ ذَٰلِكَ لَمِنْ عَزْمِ الْأُمُورِ [٤٢:٤٣]
    অর্থঃ আর যে ধৈর্যধারণ করে ও ক্ষমা করে দেয় তা হবে অবশ্যই দৃঢ়সংকল্পের কাজের মধ্যে অন্যতম। (সূরা শূরা ৪২:৪৩)

    ধৈর্যধারণ করা কোন সাধারণ কাজ নয় বরং এটি একটি দৃঢ়সংকল্পের কাজ। আপনি আপনার প্রচন্ড আবেগের মুহুর্তে বুদ্ধি বিচক্ষণতাকে কাজে লাগিয়ে দৃঢ়সংকল্পের সাথে ধৈর্যধারণ করুন। প্রতিদান পাওয়ার আশা রাখুন।
    আল কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরও বলেন
    لَتُبْلَوُنَّ فِي أَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ وَلَتَسْمَعُنَّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكُمْ وَمِنَ الَّذِينَ أَشْرَكُوا أَذًى كَثِيرًا ۚ وَإِنْ تَصْبِرُوا وَتَتَّقُوا فَإِنَّ ذَٰلِكَ مِنْ عَزْمِ الْأُمُورِ [٣:١٨٦]
    অর্থঃ অবশ্যই তোমরা তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবনের ব্যাপারে পরীক্ষিত হবে এবং যাদেরকে তোমাদের পূর্বে গ্রন্থ প্রদান করা হয়েছে ও যারা শিরক করে, তাদের নিকট হতে তোমাদেরকে বহু দুঃখজনক বাক্য শুনতে হবে; এবং যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ কর ও তাকওয়ার পথ অবলম্বন কর, তবে এটা অবশ্যই দৃঢ়সংকল্পের কাজের মধ্যের অন্যতম। (সূরা আলে ইমরান ৩:১৮৬)
    সুতরাং দুঃখজনক বাক্য শুনে ধৈর্যধারণ করতে হবে এটাই হচ্ছে দৃঢ়সংকল্পের কাজ। ধৈর্যধারণ করুন, ধৈর্যধারণ করার চেষ্টা তো করুন। আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন, আল্লাহ আপনাকে ধৈর্যধারণ করার তাওফিক দান করবেন। ইনশাআল্লাহ।

    বান্দা নিজের কৃতকর্মের কারণে বিপদে পরে আল্লাহ কারো প্রতি বিন্দু মাত্র জুলুম করেন না। বান্দা যখন মন্দের/বিপদের সম্মুখীন হয় তখন তা ন্যায় সঙ্গত ভাবেই হয় তার উপর তা জুলুম করে চাপিয়ে দেয়া হয় না (সূরা আরাফ ৭:২২,২৩,১৭৭)। আল্লাহ হচ্ছেন ন্যায় বিচারক, আল্লাহ তার নিজের জন্য অন্যের প্রতি জুলুম করাকে হারাম করে নিয়েছেন। আপনি যে বিপদে পরেছেন তা আপনার নিজের কৃত কর্মের কারণে এর জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আল্লাহর দয়া থেকে নিরাশ হবেন না, এটা আরো বড় অপরাধ (আকবারুল কাবায়ের)। আল্লাহ তার দয়া থেকে নিরাশ হওয়ার ব্যাপারে নিষেধ করে দিয়েছেন।
    অপরাধ ক্ষমাকারী আল্লাহ বলেন-
    قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَىٰ أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ [٣٩:٥٣]
    অর্থঃ তুমি বলে দাও, হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছো- আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হয়ো না; আল্লাহ সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দিবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা *যুমার ৩৯:৫৩)
    আল্লাহর দয়া তার গযবের চেয়ে অগ্রগামী। আল্লাহর প্রতি সুধারণা রাখুন, পথভ্রষ্ট ছাড়া কেউ আল্লাহর দয়া থেকে নিরাশ হয় না (সূরা হিজর ১৫:৫৬)।

    আদম সন্তান পাপ থেকে মুক্ত নয়, সুতরাং আল্লাহর শাস্তি থেকে নিজেকে নিরাপদ মনে করবেন না। ক্ষতিগ্রস্থ সম্প্রদায় ছাড়া আল্লাহর শাস্তি থেকে কেউ নিজেকে নিরাপদ মনে করে না (সূরা আরাফ ৭:৯৯)

    ঈমানদাররা থাকবে ভয় ও আশার মাঝখানে।

    আর ইবাদতে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করুন গন্তব্যে পৈছে যাবেন। যে কঠোরতা আরোপ করবে দ্বীন তার উপর বিজয়ী হয়ে যাবে। হাদিসে এসেছে..
    عن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال‏:‏ ‏ "‏ إن الدين يسر، ولن يشاد الدين إلا غلبه، فسددوا وقاربوا وأبشروا، واستعينوا بالغدوة والروحة وشيء من الدلجة‏"‏ ‏(‏‏(‏رواه البخاري‏)‏‏)‏‏.‏
    ‏ ‏‏অর্থঃ হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয়ই দ্বীন সহজ। যে ব্যক্তি অহেতুক দ্বীনকে কঠিন বানাবে, তার উপর দ্বীন জয়ী হয়ে যাবে। (অর্থাৎ মানুষ পরাজিত হয়ে আমল ছেড়ে দিবে) সুতরাং তোমরা সোজা পথে থাক এবং (ইবাদতে) মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর। তোমরা সুসংবাদ নাও। আর সকাল-সন্ধ্যা ও রাতের কিছু অংশে ইবাদত করার মাধ্যমে সাহায্য নাও। (রি: স্ব:৪/১৪৯)
    বুখারীর অন্য এক বর্ণনায় আছে, হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
    القصد القصد تبلغوا‏ ‏‏
    অর্থঃ আর তোমরা মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর, মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর, তাহলেই গন্তব্যস্তলে পৌছে যাবে। (সহীহুল বুখারী: ৩৯.৬৪৬৩), (রি: স্ব: ৪/১৪৯)


    আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কেউ ভাল কাজ করা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারবে না, তাই ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করুন।
    সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী, বিপদে সাহায্যকারী আল্লাহ বলেন,
    وَاسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى الْخَاشِعِينَ [٢:٤٥]
    অর্থঃ এবং তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর এবং অবশ্যই তা কঠিন; কিন্তু আল্লাহভীরু-গণের পক্ষে নয়। (সূরা বাকারাহ ২:৪৫)

    আল্লাহ আমাদের সকলকে তার পক্ষ থেকে দেয়া হিদায়াত গ্রন্থ অনুসারে আমল করার তাওফিক দান করুন এবং আমাদেরকে ধৈর্যশীল হিসেবে কবুল করুন। আমীন............
    হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও প্রার্থনা শ্রবণকারী।
    দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর বান্দা ও তার রসূল মুহাম্মাদ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি। আল্লাহ তাকে উচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমীন............
    সমস্ত প্রশংসা অংশিদারমুক্ত এক আল্লাহ’র জন্য, আমি সাক্ষ্য *দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন কল্যাণ ও অকল্যান দাতা নেই তার কাছেই আমি তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

    রচনায়: হুজাইফা
    Last edited by nafi; 07-29-2020, 11:40 AM.

  • #2
    মাশাআল্লাহ।
    অনেক উপকারী পোষ্ট করেছেন।
    আল্লাহ কবুল করুন,আমীন।
    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ, সুন্দর আলোচনা!!
      আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন।
      এবং সবরকম বিপদাপদে আমাদের ধৈর্যশীল হওয়ার তাওফিক দান করুন।
      আমিন!!!
      "এখন কথা হবে তরবারির ভাষায়, যতক্ষণ না মিথ্যার অবসান হয়"

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ, উত্তম পোস্ট। জাযাকাল্লাহ
        আল্লাহ তা‘আলা ভাইয়ের ইলমে ও আমলে বারাকাহ নসীব করুন। আমীন
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          মাশা আল্লাহ, উওম নাসিহা। আল্লাহ আমাদের বোঝার ও আমাল করার তাওফীক দান করুন, আপনার মেহনতকে কবুল করুন, আমিন।
          আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন, যারা তার পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।

          Comment


          • #6
            আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ধৈর্যশীল হওয়ার তৌফিক দান করুন.....

            Comment

            Working...
            X