Announcement

Collapse
No announcement yet.

বর্তমানে শিয়াদের কোন গ্রুপটা মুসলমান?তারা পৃথিবীর কোন ভূখণ্ডে বসবাস করে? দলীলসহ জানত&#

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বর্তমানে শিয়াদের কোন গ্রুপটা মুসলমান?তারা পৃথিবীর কোন ভূখণ্ডে বসবাস করে? দলীলসহ জানত&#

    মুহতারাম ভাইগন!
    শিয়া/রাফেযীদের কোন ফেরকাটা মুসলমান? বর্তমানে তারা পৃথিবীর কোন ভূখণ্ডে বসবাস করে? দলীলসহ বিস্তারিত জানতে চাই।
    আপনাদের সাহায্য কামনা করছি।

  • #2
    আমার জানামতে শিয়াদের মাত্র দুইটা গ্রুপ মুসলমান,
    ১,তাফযিলীইয়া
    ২,যায়দিইয়া
    তবে বর্তমানে প্রথম গ্রুপের কোনো অস্তিত্ব নেই, আর দ্বিতীয় গ্রুপের কিছু শিয়া বর্তমানে ইয়ামানে বসবাস করে।কিন্তু বর্তমানে তাদের আক্বীদা-বিশ্বাস কেমন সেটা আমি জানি না।আর আমার জানামতে এই দুই গ্রুপ ছাড়া বাকী সব শিয়ারা কাফের। তো মুহতারাম ভাইগন! আমার জানা বিষয়টি কতটুতু সঠিক??

    Comment


    • #3
      মুহতারাম ভাই, আমাদের দেশে তো স্বাভাবিক শীয়া সুন্নী দ্বন্ধ তেমন নেই। শীয়াদের বিষয়টা আপনি *এত বিস্তারিত কেন জানতে চাচ্ছেন একটু খোলাসা করে বললে উত্তর দিতে সহজ হতো।

      Comment


      • #4
        Originally posted by ইলম ও জিহাদ View Post
        মুহতারাম ভাই, আমাদের দেশে তো স্বাভাবিক শীয়া সুন্নী দ্বন্ধ তেমন নেই। শীয়াদের বিষয়টা আপনি *এত বিস্তারিত কেন জানতে চাচ্ছেন একটু খোলাসা করে বললে উত্তর দিতে সহজ হতো।
        মুহতারাম ভাই! বিষয়টা ইমান-কুফরের, আক্বিদা-বিশ্বাসের অবশ্যই ক্লিয়ার করতে হবে! শিয়াদের যারা মুসলমান তাদের সাথে ওয়ালা রাখতে, আর যারা কাফের তাদের থেকে বারাআত ঘোষণা করতে হবে, ইসলাম সত্য ধর্ম ও স্পষ্ট ধর্ম, এখানে লুকোচুরির কিছু নেই।আজ দ্বন্দ্ব না হলেও আগামীকাল হবে ইনশাআল্লাহ। আর দ্বন্দ্ব হোক বা না হোক আমাদের অবস্থান অবশ্যই স্পষ্ট করতে হবে। এছাড়া আমাদের দেশে শিয়াদের সাথে দ্বন্দ্ব না থাকলেও অন্য দেশে মুজাহিদগণের সাথে তাদের যুদ্ধ হচ্ছে। সেটাও আমাদের বুঝতে হবে, কেন হচ্ছে??,
        ভুল হলে শুধরে দিবেন, আর আশা করি আমার প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর দিবেন।

        Comment


        • #5
          ইলিম ও জিহাদ ভাই! কথাগুলো একটু এলোমেলো হবে । এটা আমার ব্যর্থতা । আপনি কষ্ট করে ঠিক করে নিবেন ।

          এখন ইন্টারনেটের জামানা । সেজন্য শিয়া আকিদা অনেক দূর থেকেও আমার-আপনার এলাকায় ঢুকতে পারে । ইন্টারনেটের এ মুখে এটা আপনি কোন ভাবেই শক্তি দিয়ে ঠেকাতে পারবেন না । এমনকি আপনার নিজের সন্তানকেও শাষিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না । কারণ যখন আপনি জোর খাটাবেন বা প্রচার করবেন তখন আরো বেশি তার দিকে ঝুঁকে যাবে । কারণ একটা প্রবাদ আছে "মানুষ নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট হয়" ।

          আমাদের শিয়া কিতাবে পড়েছিলাম (অনেক দিন আগে পড়াতে কিতাবের নামটা ভুলে গেছি) আমাদের ইমাম বুখারী অনেক সহীহ হাদীস যে গুলোর সহিহিয়্যাত প্রমাণ হওয়ার পরও তিনি শিয়াদের কিতাবে থাকার কারণে সেগুলোকে বাদ দিয়েছেন । সেজন্য অনেক সহীহ হাদীস নবী (স থেকে আমাদের কাছে পৌঁছে নাই । আমাদের ইমাম বুখারী ফাতেমা (রা এর হাদীস কতগুলো এনেছেন?হাসান-হুসাইন (র) এর হাদীস কতগুলো এনেছেন? (তাদের ভাষায়) আমাদের ইমাম বুখারী তেমন কোন সরকারের পক্ষ থেকে নির্যাতন সহ্য করেন নাই । কিন্তু উক্ত সময়কার আলেমগণ অনেক টর্চার সহ্য করেছেন । আর আমাদের ইমাম বুখারী সরকারের সাথে তাল মিলিয়ে চলেছেন,যাতে এমন হাদীস উল্লেখ করেন যেন সরকার খুশি হন । আর এমন হাদীস বাদ দেন যে হাদীস বর্ণনা করার দ্বারা সরকার নারাজ হতো । এবং ইমাম বুখারী অনেক হকপন্থী আলেমদের কে ঘৃণা করতেন । যেমন জাফর সাদিকের হাদিস নাই তাছাড়া ইমাম আবু হানিফার নাম কত ঘৃণার সাথে উল্লেখ করেছেন এটা আমার থেকে আপনি ভালো জানেন ।

          এখন আসেন,আমি এক আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের কিতাবে পড়েছিলাম, আমাদের ইমাম নাসাঈ এবং তিরমিজিকে হযরত মোয়াবিয়া (র) এর প্রশংসা না করার কারণে তাদেরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে । তাহলে বুঝা যায় আমাদের সিহাহ সিত্তার লেখকদের উপর উক্ত জামানার শাসকদের প্রভাব ছিল ।

          আরো একটা কথা আপনাকে বলতে চাই,আমাদের ইমামগণ যেমন শিয়াদের হাদিস সহিহ হওয়ার সত্ত্বেও শিয়াদের উপর রাগ দেখাতে গিয়ে সে হাদীস গুলো বাদ দিয়েছে । ঠিক তেমনি ভাবে তারাও আমাদের হাদিসে সহিহ বুঝার পরও আমাদের হাদীস হওয়ার কারণে সেগুলোকে বাদ দিয়েছে ।

          এমনকি অনেক আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আলেমদের কে আমি বলতে শুনেছি,তারা বলেন :-শিয়ারা যদি আম্মাজানদের এবং খুলাফাদের গালি না দিত তবে আমি শিয়া হয়ে যেতাম । কারণ শিয়াদের মধ্যে আহলুল ভাইতদের ভালবাসা অনেক,যেটা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের মধ্যে দেখা যায় না ।

          এছাড়া আমাদের কাছে কতটুকু হাদীস পৌঁছেছে এটা "বাইতুল হিকমাহর" সঠিক ইতিহাস পড়লে আরো ভালো করে বুঝবেন । তবে সাবধান থাকবেন,যেন ভুল ইতিহাস না পড়েন ।

          ভাই! আমি শিয়াদের কিতাব প্রচুর পড়েছি । একেকটা করে বলতে গেলে অনেক দির্ঘ হবে । এজন্য অনিচ্ছা সত্ত্বেও আজ এখানেই শেষ করতে হচ্ছে ।
          "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

          Comment


          • #6
            কাফেরদের সাথে বারাআত মিল্লাতে ইব্রাহিমের অংশ। বিশেষত মুসলিম নামধারী কাফেরদের বিষয়টা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এ হিসেবে আসলে প্রশ্নটা শুধু শিয়াদের নিয়ে নয়, সকল কাফেরকে নিয়ে হওয়া উচিৎ। হওয়া উচিৎ মুসলিম নামধারী সকল ফিতনাবাজ ফিরকার বিষয়ে। কাদিয়ানি, খারিজি, রাফিযি, স্যাকুলার, কমিউনিস্ট সকলকে নিয়ে।


            বিশেষত খারিজিরা বর্তমানে অনেক বড় ফিতনা করেছে। হাজার হাজার মুসলিম যুবককে খিলাফার নামে বিভ্রান্ত করেছে। মুসলিম উম্মাহর বাইয়াহ ছাড়া নিজেদেরকে খলিফা দাবি করে বসেছে। আলকায়েদা তালেবানসহ অসংখ্য নিরপরাধ মুজাহিদ ও মুসলিমের রক্ত ঝরিয়ে নিজেদের হাত কলুষিত করেছে। বিনা দলীলে মুসলিমদের তাকফির করেছে। এদের ব্যাপারে প্রশ্ন হওয়া উচিৎ যে, এরা কি মুসলিম? এদের সাথে ওয়ালা বারা কেমন হবে? এদের সাথে যুদ্ধের নীতি কেমন হবে? ইত্যাদি।


            কাদিয়ানিরা জোরেসোরে এদের দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষত পাকিস্তানে বড় বড় পদ কাদিয়ানিদের দখলে। এদেরকে ধরলে তারা বলে যে, তারা কাদিয়ানিকে নবি মানে না। তো এদের সাথে ওয়ালা বারা কেমন হবে? এদের কি হত্যা করা হবে? ইত্যাদি।


            আর স্যাকুলাররা তো মুসলিমদের ঘরেই জন্ম নিয়েছে। নিজেদের দাবিও করে মুসলিম। জুমাও পড়ে। ঈদেও যায়। মাঝে মাঝে নামাযও পড়ে। এদের কি বিধান?


            এভাবে সকল ফিরকার ব্যাপারেই আসলে প্রশ্ন হওয়া দরকার। একজন সচেতন মুসলিমের জন্য এসব ফিতনা সম্পর্কে ভাল জানা থাকা দরকার, যেন নিজের অজান্তেই বিভ্রান্তিতে পড়ে না যান।


            আর মুহতারাম ভাই, আপনি শিয়াদের ব্যাপারে যে জানতে চেয়েছেন, ‘বর্তমানে শিয়াদের কোন গ্রুপটা মুসলমান? তারা পৃথিবীর কোন ভূখণ্ডে বসবাস করে?’ – আসলে এর উত্তর অনেকটা জটিল। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মুসলিমদের মাঝে যেমন কাফের মুমিন, সুন্নী বিদআতি সব একাকার হয়ে গেছে, শীয়াদের বিষয়টাও এমনই। কোনো রাষ্ট্রের সব শীয়াকে ঢালাওভাবে কাফের বলা মুশকিল। আমি আগেও বলেছি যে, নেতা নেত্রীরা সাধারণত কাফের হয়ে থাকে। আর জনগণের অনেক ভাগ। কারো কারো মতে শিয়াদের বিশের অধিক ফিরকা। এখন কে কোন ফিরকার বের করা মুশকিল।


            তবে এখানে মনে রাখতে হবে, কোনো শিয়া রাষ্ট্র যখন মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রত, তখন তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা আমাদের দায়িত্ব, যেমন খারিজিরা যখন আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আসে তখন তাদের প্রতিহত করা আমাদের দায়িত্ব। আর যেসব শীয়া যুদ্ধ করতে আসে, স্বাভাবিক তারা মুমিন থাকে না। হয়তো তাদের মধ্যে আগে থেকেই কুফরি আকিদা বিদ্যমান থাকে (যেমন বার ইমামকে নবির মতো বা আরও শ্রেষ্ঠ মনে করা ইত্যাদি) এবং তাদের কথায় কাজে সেগুলো প্রকাশও হয়ে পড়ে, নয়তো কাফেরদের সাথে মিলে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা …ইত্যাদি কারণে কাফের হয়ে যায়। সংশয়টা থেকে যায় সাধারণ ও জাহেল শিয়াদের ব্যাপারে, যারা যুদ্ধে আসে না। এদেরকে সুনিশ্চিত কাফের বলা মুশকিল।


            শীয়াদের যদিও ঢালাওভাবে কাফের বলা যায় না, তবে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি এ কথা পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, শিয়া রাষ্ট্রগুলো মূলত কাফের রাষ্ট্র। অন্যান্য দশটা কাফের রাষ্ট্রের মতোই তাদের সাথে আচরণ হবে। হ্যাঁ, জনগণকে ঢালাওভাবে তাকফির করবো না, হত্যা করবো না- সেটা ভিন্ন কথা। তবে নেতা নেত্রী ও সৈনিকরা পরিষ্কার মুহারিব। এদের হত্যার ব্যাপারে সংশয় নেই। মৌলিকভাবে এটাই শীয়া রাষ্ট্রগুলোর বিধান। তবে মুসলিমরা যদি মাসলাহাতের খাতিরে কোনো শীয়া রাষ্টে্র সাথে যুদ্ধ এড়িয়ে যাওয়া ভাল মনে করেন, বা চুক্তি করে নেয়া ভাল মনে করেন তাহলে সেটা করতে পারেন। কারণ, প্রয়োজন ও মাসলাহাতের বিবেচনায় কাফের মুরতাদদের সাথে চুক্তি করা কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী জায়েয। এটা ওয়ালা বারার পরিপন্থী নয়। স্বয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কার মুশরিকদের সাথে দশ বছরের চুক্তি করেছিলেন। ওয়াল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তাআলা আ’লাম।

            Comment


            • #7
              Originally posted by ইলম ও জিহাদ View Post
              শিয়া রাষ্ট্রগুলো মূলত কাফের রাষ্ট্র। অন্যান্য দশটা কাফের রাষ্ট্রের মতোই তাদের সাথে আচরণ হবে।
              জ্বি, ভাই! ঠিক বলেছেন । ঘৃণিত জাতিয়তাবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করছি । যদিও আমি জাতিয়তাবাদে বিশ্বাসী নই ।

              আরব ইজরাইল যুদ্ধের সময় ইরান কোন পক্ষই অবলম্বন করে নাই । ও সময় গ্যলারির দর্শকের মতো হাত তালি দিয়েছে । এমনকি পরোক্ষভাবেও তাদের কোন ভূমিকা নেই ।
              ইজরাইল ফিলিস্তিন ইস্যূতে তারা ইজরাইলের পক্ষ নেয় ।
              আর একটা জিনিস দেখবেন, গুজরাট দাঙ্গার সময় একজনও শিয়া মারা যায় নাই । এসব আচারণগুলোর দিকে সবাইকে দৃষ্টি আকর্ষন করার দরকার ।
              "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

              Comment


              • #8
                -----------------
                Last edited by Munshi Abdur Rahman; 08-17-2020, 08:11 AM.

                Comment


                • #9
                  ------------------
                  Last edited by Munshi Abdur Rahman; 08-17-2020, 08:10 AM.

                  Comment


                  • #10
                    প্রশ্নকারী ভাই, ও ইলম ও জিহাদ ভাইকে ধন্যবাদ।
                    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                    Comment

                    Working...
                    X