Announcement

Collapse
No announcement yet.

প্রিয় ভাই! আসুন না, একে অপরকে সহযোগিতা করি !!!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • প্রিয় ভাই! আসুন না, একে অপরকে সহযোগিতা করি !!!

    প্রিয় ভাই! আসুন না, একে অপরকে সহযোগিতা করি!!!
    প্রিয় ভাই,

    বুঝার চেষ্টা করুন। এই যে আজ আপনি কুরবানী করলেন, এটা কি প্রাণহত্যা নয়? এটা কি রক্তপাত নয়? অবশ্যই! কিন্তু এরপরও আপনি একে সাদরে গ্রহণ করলেন। আগ বেড়ে এর পবিত্র রক্ত ঝরালেন। এর জন্য ছুরি-তলোয়ার ধার দিলেন। এর জন্য হাজার হাজার টাকা স্বপ্রণোনিত হয়ে ব্যয় করলেন।

    কিন্তু এভাবে একটি নিরীহ প্রাণ হত্যা করলেও এটি আপনার জীবনে কোনো অপরাধ হয়েছে বলে আপনি মনে করেন? হাজারে হাজারে টাকা খরচ করলেও, মেহনত ও ত্যাগের বিরাট কষ্ট স্বীকার করলেও এ-সব কি বৃথা গেছে বলে মনে হয়? না। কক্ষণও না। কারণ, এ রক্তপাত যে আপনার-ই মহান পালনকর্তা আল্লাহ জাল্লা শা'নুহুর-ই সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য? এ যে দয়াময় মাবুদের হুকুমে তারই নৈকট্য অর্জনের জন্য?

    যার ফলে নিষ্ঠুর হত্যা পরিণত হল দয়াময়ের নৈকট্যের ওসিলায়, অসহ্যকর পরিশ্রম ও পাপপূর্ণকষ্ট পরিণত হল নিজের পরকালীন মুক্তির বিরাট সামানায়, পালনকর্তার সন্তুষ্টি অবিদ্যমান থাকলে যা আপনার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াত, সেই আপনার হাজার-লাখ টাকা তিনি অত্যন্ত উত্তমভাবে কবুল করে নিয়েছেন আপন মেহেরবানী ও দয়ায়।

    তো যেই আল্লাহর জন্য আপনি নিষ্পাপ প্রাণের রক্ত ঝরালেন, সেই আল্লাহর-ই সন্তুষ্টির জন্যই কি আজ আপনি আপনার প্রতিপালকের শত্রুদের জবাই করবেন না? অথচ পৃথিবীতে এদের প্রাণের কোনোই মূল্য নেই! কুরআনের ভাষায় এরা তো এসব চতুষ্পদ জানোয়ারের চাইতেও চরম নিকৃষ্ট! যেই আল্লাহর জন্য আজ আপনি কুরবানীর পশু জবাই করতে ছুরি শান দিলেন, সেই আল্লাহরই সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তারই শত্রুদের জবাই করতে আজ আপনি কি নিজের তলোয়ারে শান দিবেন না? যেই আল্লাহর জন্য আজ আপনি হাজারে হাজারে টাকা ব্যয় করলেন, সেই আল্লাহর জন্যই কি আপনি ইনফাক ফি সাবিলিল্লায় হাজারে হাজারে টাকা ব্যয় করবেন না, অথচ জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ ও তাতে ত্যাগ-পরিশ্রম স্বীকার এবং তথায় সম্পদ বিলিয়ে দেওয়া আল্লাহর কাছে কুরবানী অপেক্ষাও অধিক পছন্দের? এর প্রতিদান এর চেয়েও কয়েকগুণ উর্ধ্বের? কারণ স্পষ্ট।

    ইমাম আবু হানীফা রহ.-সহ অল্প কয়েকজন ইমামের বক্তব্য অনুযায়ী বিশেষ শর্তসমূহের উপস্থিতিতে নেসাবধারী ব্যক্তিবর্গের উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। তদুপরি অধিকাংশ আয়িম্মায়ে কেরামের মতানুযায়ী কুরবানী সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। অথচ সকল যুগের সকল মুফাস্সির মুহাদ্দিস ফকিহ উলামায়ে কেরামের ঐক্যমতে এ যুগের জন্য সশরীরে জিহাদ ও মাল দিয়ে জিহাদ উভয়প্রকার জিহাদ ঈমানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ ও সবচে' বড় ফরজে আইন। যারা সশরীরে জিহাদ করতে অক্ষম, তাঁদের জন্য জিহাদে মাল উজাড় করে দেওয়া ফরজে আইন। যারা জান বা মাল কোনোভাবেই মহান পালনকর্তার রাহে জিহাদের সামর্থ্য রাখে না, তাদের জন্য জিহাদে পৃষ্ঠপোষকতা, যুবকদেরকে জিহাদের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা এবং জিহাদের খালেস তামান্না রাখা ফরজে আইন। এই মাসআলায় ইখতেলাফ শুধু যুগের মুরজিয়াখ্যাত মাযহাবি ও লা-মাযহাবি শায়খ-মাশায়েখ, মুরতাদখ্যাত গোলামজাদা কাদিয়ানীর সাঙ্গপাঙ্গ ও বেদআতি বেরলবভীরাই করতে পারে।

    অক্ষম তো শুধু তারা, যারা ঘর থেকে বেরিয়ে ময়দানে আসতে পারে না বা শারীরিক ত্রুটির কারণে যুদ্ধের উপযুক্ত না কিংবা হিজরত করার সামর্থ্য রাখে না। মনে রাখতে হবে, ভূপৃষ্ঠে জিহাদের ময়দান এখন কেবল একটা-ই। তা হল, পৃথিবী। অতএব, টাকা আর বাহনের অজুহাত এখন আর চলে না। আপনি যে ঘরে খান, যে ঘরে থাকেন, তাই তো এখন যুগের দারুল হরব। অতএব, অন্য কোথায় আবার যুদ্ধক্ষেত্রের সন্ধান করছেন?

    ভাই, দেখুন, গরু জবাই যদি হয় মুসলিম সমাজের ধর্মীয় ও সামাজিক কীর্তি, তবে তো কাফের হত্যা মুসলিম সমাজের ধর্মীয় ও আন্তর্জাতিক কীর্তি। গরু জবাই যদি হয় শেআরে ইসলাম, আমি তো বলবো, প্রকাশ্যে দিবালোকে কাফেরদের হত্যা তো এরচে' বড় শেআরে ইসলাম! গরু জবাই যদি হয় মুসলিম সমাজে ১৪০০ বছরের প্রাচীন নিদর্শন, তবে অবিশ্বাসী কাফের হত্যাও তো মুসলিমদের পবিত্র সমাজে ১৪০০ বছরের-ই প্রাচীন ও বীরত্বপূর্ণ ঐতিহ্য। তাহলে ভাই বলুন, কোন্ দুঃখে আপনি একটাকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করে নিচ্ছেন, আর অন্যটিকে সন্ত্রাস ও ফাসাদ ফাসাদ বলে দূরে ঠেলে দিচ্ছেন?

    কুরআনের বাণী কি আপনার বিশ্বাস হয় না যে, আল্লাহ রব্বুল আলামীন এ-সব জালেম কাফেরদেরকে আপনার সেই কুরবানির পশুর চাইতেও নিকৃষ্ট ও ইতর বলেছেন? প্রিয় ভাই, কুরবানিতে আপনার ইন্টারেস্ট যদি এটাই হয় যে, হাজার টাকা আর মেহনত হলেও সবশেষে তো গোশতগুলো মজা করে খাওয়া যাচ্ছে, তবে আমি নিশ্চিত কসম খেয়েই বলছি, আপনার একটুখানি ত্যাগ আর সবরের বিনিময়ে আল্লাহ আপনাকে কুফফারদের কোটিকোটি টাকার ব্যাংক-বেলেন্স, দেশ-বিদেশের রাজা-মন্ত্রীদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির গাড়ী-বাড়ী, আর তাদের চিত্তাকর্ষক ও কচি কচি মেয়েদের আল্লাহ আপনাকে সর্বোত্তম রিজিকস্বরুপ দান করবেন, যাদেরকে আপনি ইচ্ছেমতো যেভাবে মন চায় সেভাবেই ইউজ করতে পারবেন। এরা সবাই আপনার পায়ের সামনে, আপনার দয়ার অধীনে আবদ্ধ হয়ে থাকবে। যখনই চাইবেন, ব্যবহার করবেন। যেভাবেই চাইবেন, স্বাদ নেবেন। আর যখনই আপনার কোনো প্রয়োজন হবে, যেমন ধরুন কোনো প্রয়োজনে আপনার টাকার প্রয়োজন, তখন এদের যাকে ইচ্ছা অন্যের কাছে বেচে দেবেন। ভাই, এখন দেখুন, সেই কুরবানির গোশতের স্বাদ বেশী, না এসব মালে গনিমত ও সুন্দরীদের স্বাদ বেশি। এভাবেই আল্লাহ মুমিনদের জন্য তাঁর দয়া ও রিজিকের দ্বার খুলে দেন। মুমিনদের জীবনকে জান্নাতি সুখে ভরে দেন। কিন্তু কেউ যদি নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দেয়, তবে সেই নির্বোধকে বুঝানোর আর কিই বা করার আছে!

    এ-সব আমি পার্থিব উপকারের কথা বললাম। না হয় কুরবানি করে হয়তো আপনি কিছু হাসানাহ পাবেন? কিছু সওয়াবের মালিক হবেন? কিন্তু রব তো আপনার শাহাদাতের বিনিময়ে আপনার জন্য জান্নাত কিনে রেখেছেন? সুবহানাল্লাহ! মুমিনেরা তো শাহাদাতকে দু-হাত ভরে নিয়ে নেয়। আর শাহাদাতের স্বাদ? এ তো আমার কাছে বর্ণণা করাও অসম্ভব ; কল্পনা করা তো একেবারেই অসম্ভব!!! এর স্বাদ তো আমার সে-সব ভায়েরাই জানে, কুরআন-হাদীসের ভাষায় যারা আমাদের বলে, "আরে বেটা তাড়াতাড়ি শহীদ হ, তোর কোনো ভয় নেই, দুশ্চিন্তাও নেই! এখানে এসে সবুজ রঙের পাখি হবি! ডানা মেলে উড়বি!" আরো কত কী!

    ভাই, এ জন্যেই আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, "তোমরা ব্যয় করতেই থাক, সাবধান! দু-হাতে নিজেদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিওনা"।

    প্রিয় ভাই, আগেই বলেছি। আপনার ঘরই এখন চরম যুদ্ধক্ষেত্র। কিন্তু কথা হল, এখন যুদ্ধকৌশল পরিবর্তন হয়েছে। কুরআন বলে, রণক্ষেত্রের পূর্ণফল পেতে কৌশল পরিবর্তনের নিয়তে ময়দান থেকে পালানোও জায়েয। তাই পৃথিবী নামক এই যুদ্ধক্ষেত্রের পূর্ণ ফল পেতে আমরাও এবার কৌশল পরিবর্তন করেছি ; তবে পালাই নি। কৌশলটা হল, আমরা কয়েকজনের হাতে তুলে দিয়েছি যুদ্ধাস্ত্র। এরপর তাঁদের কয়েকজনকে পাঠালাম আফগানে, কয়েকজনকে কাশ্মীরে, কয়েকজনকে শামে, কয়েকজনকে ইয়েমেনে আর কয়েকজনকে পাঠালাম মাগরিবে। সবদেশে পাঠাই নি। কারণ কিছু দেশ যুদ্ধের উপযুক্ত নয়, আর কিছু এখন যুদ্ধের। দেখলাম, শত্রুরা কিছু কলামিস্টদের নিযুক্ত করল আমাদের ময়দানের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লিখতে, তাই আমরাও কতককে বসিয়ে দিলাম কলম দিয়ে বিশ্লেষণ লিখতে। আরো দেখলাম, শত্রুরা কিছু জার্নালিস্ট ও সাংবাদিকদের নিযুক্ত করেছে ময়দানের বিরুদ্ধে নিউজ করতে, তড়িঘড়ি আমরাও কতককে নেট-কম্পিউটার আর রিপোর্টারের চেয়ারে বসিয়ে দিলাম নিউজের নিউজ তুলে আনতে। আরো দেখলাম, শত্রুরা আমাদের বিভ্রান্ত করতে কিছু উলামায়ে সু'দের পর্দার সামনে তুলে এনেছে, বিপরীতে আমরাও তুলে আনলাম চৌকস ও সূক্ষ্মদর্শী আলেমদের। আরো দেখলাম, শত্রুরা নির্ভীঘ্নে হাজারো আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে নিয়েছে, এর জবাবে আমরাও গড়ে নিলাম ত্যাগী আনসারদের ন্যায় মহীরুহদের। শত্রুদের অর্থের অভাব নেই, তাই এবার আমরাও এলান করলাম, টিকতে হলে অর্থ লাগবে। দেখলাম, শত্রুরা উম্মাহকে নাস্তনাবুদ করতে বহুমুখী ষড়যন্ত্র আঁটছে, তাই আমরাও নিয়ত করলাম উম্মাহর সামনে এসব ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচনে প্রতিবেদন তৈরি করতে। আরো অদ্ভুদভাবে লক্ষ্য করলাম, শত্রুরা তো আমাদের শুধু ময়দানে নয়, চরিত্র-চেতনায়ও হারাতে চায়, তাই এবার আমরাও সিদ্ধান্ত নিলাম, নাহ! সর্বশক্তি ব্যয় করে হলেও উম্মাহকে এই বিকৃত চরিত্রের কালো হাত থেকেও বাঁচাতে হবে। মনস্তত্ত্বের এ যুদ্ধেও উম্মাহকে আগলে রাখতে হবে।

    এ-সবই যুদ্ধ। যুদ্ধকৌশল। অবাক হবার কিছু নেই, কারণ এ যুদ্ধ আদর্শিক ও চূড়ান্ত যুদ্ধ। এবার আমরা যুদ্ধকৌশল পরিবর্তন করেছি। আমরা আর হারতে চাই না। বাঁচতে চাই। নিজ পায়ে দাঁড়াতে চাই। হারানো খিলাফাহ ফিরিয়ে আনতে চাই। আন্দালুসকে আবার কাছে পেতে চাই। উম্মাহ অনেক কেঁদেছে! ফাতিমারা অনেক সয়েছে!! গুয়ান্তমানার নিষ্ঠুর কক্ষগুলো আমার ভাইদের অনেক কাঁদিয়েছে!!! ওরা আফিয়ার সম্ভ্রম লুট করেছে!!! ওরা আফিয়ার সম্ভ্রম লুট করেছে!!! (হাতটা কেন যেন নিথর হয়ে যাচ্ছে!) আর না! ভুলের মাশুল অনেক দিয়েছি। এবার হুশিয়ার হয়েই তাদের টুঁটি চেপে ধরতে চাই!

    ভাই, আমি চললাম, উম্মাহর মুখে হাসি ফুটাতে। আপনারও কি মায়া হয়? হৃদয়ে কি একটুও ব্যথা অনুভব করেন না? আমি আমার স্নেহের মা, ভালবাসার রাণী আর চোখের মনিদেরকে আল্লাহর হেফাজতে রেখে যাত্রায় নেমে পড়েছি। কিন্তু একা আমি ও আমরা কীই-বা করতে পারি! প্রিয় ভাই, আসুন না! একটু সাহায্য করুন। আপনার কাছে সেই সাহায্যই চাই, যা আপনার সামর্থ্যের মধ্যেই আছে।

    আপনি যদি শারীরিকভাবে সামর্থ্য হন, তবে আমরা আপনাকে ময়দানেই চাই। আপনি যদি সম্পদশালী হল, তবে স্বীয় সম্পদ রবের রাহে বিলিয়ে দিন। আপনি যদি মিডিয়াকর্মী হন, সমস্যা নেই। এই অব্যার্থতীরটাই আপনি কাফেরদের তাক করে ছুঁড়ে দিন। আপনি যদি হন সামরিক সেনা ও ভিতরের ভাই, তবে আপনাকেই আমাদের প্রথম দরকার। আপনি যদি হন আল্লরাহ ঘরের খতিব, তবে হ্যাঁ, এই মেহরাবই আপনার যুদ্ধক্ষেত্র। আপনি যদি হন মাঠের বক্তা বা প্রভাবশালী নেতা, তবে এ মঞ্চেই আপনি বিপ্লবের আগুন জ্বালিয়ে তুলুন।

    আমরা সবাই এক পরিবার। অতএব আসুন, সবাই একে অপরকে সাহায্য করি এবং পরস্পরে যাত্রাপথের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করি। ইনশাআল্লাহ আমাদের এই সফর কামিয়াব হবে। এ যুদ্ধ বিজয়ের মুখ দেখবে এবং সবশেষে মানযিলে মাকসুদে পৌঁছা আমাদের জন্য একদম আসান হয়ে যাবে।

    "তোমরা যদি আল্লাহকে সাহায্য করো, তবে তিনিও তোমাদের সাহায্য করবেন এবং (যাত্রাপথে) তোমাদের পদযুগল অটল-অবিচল রাখবেন"।
    ভুল-ত্রুটি জানানোর অনুরোধ রইল!!!

  • #2
    মাশাআল্লাহ, অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন প্রিয় ভাই...
    আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে বুঝার ও আমল করার তাওফিক দিন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      আমরা সবাই এক পরিবার। অতএব আসুন, সবাই একে অপরকে সাহায্য করি এবং পরস্পরে যাত্রাপথের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করি। ইনশাআল্লাহ আমাদের এই সফর কামিয়াব হবে। এ যুদ্ধ বিজয়ের মুখ দেখবে এবং সবশেষে মানযিলে মাকসুদে পৌঁছা আমাদের জন্য একদম আসান হয়ে যাবে।
      আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সহীহ বুঝ দান করুন ও আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন
      “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

      Comment


      • #4
        মুসলিম / বাংলাদেশী মুসলিমদের আজকের অধিকাংশ আলিমদের টার্গেট কী??? আমরা যদি সাহাবাদের দিকে তাকায় তাহলে দেখতে পায়ছি দ্বীনের ক্ষুদ্র বিষয়ের ক্ষেত্রেও তারা ছাড় দেন নি। আমাদের সাহাবী হুসাইন (রাঃ) এ-র ভূমিকার কথাই ভাবুন। তিনি ইসলামের জন্য নিজের জীবন, এমনকি পুরো পরিবারের জীবন ঝুকিতে ফেলে দিলেন! আমাদের সময় হলে কী বলতাম যে, এ-ই লোক কী করছে! কিন্তু তিনি শুধু নিজেকে নয়, পুরো পরিবার নিয়ে জিহাদে ঝাপিয়ে পড়লেন। জান্নাতে পুরুষদের সর্দার হওয়াটা কোন মামুলি ব্যাপার ছিলো না। আমাদের আসল উত্তরসূরী তো তারাই। আজকে শাসকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলে খারেজী বলছ? তাহলে তোমরা হুসাইন রাঃ কে কী বলবা???? আল্লাহ আমাদের ঐসকল ভণ্ডদের থেকে হিফাজত করুন আমীন। যা বলছিলাম, বাংলাদেশের মুসলিমদের নিয়ে আজকের অধিকাংশ আলিমদের ভুল টার্গেট! আলিমদের জন্য ফরজ ছিলো শরীয়তের বিধানগুলোকে তার মর্যাদানুযায়ী বলে দেওয়া, কিন্তু অনেক আলিমরা ভুল মানহাজ গ্রহণ করেছে। জনগনকে সঠিকটা না বলে ভুল বলছে। মুজাহিদ ভাইদের ধরিয়ে দিচ্ছে, মুজাহিদ ভাইদের মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করে দিচ্ছে, মুজাহিদ শাইখদের গ্রেফতার করতে সাহায্য করছে, ত্বাগুতের সাথে মুসলিমদের বিহেভ করছে, ত্বাগুতের দলে ঢুকে যাচ্ছে! আমাদের একজন ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল( রহ) আমরা ওনার জীবন তালাশ করি তাহলে দেখতে পাবো জীবনে একবার হলেও ওয়াজ করে টাকা নিয়েছেন পাওয়া যাবে না। আর ওনাদের ব্যাপারে এমনটি ধারণা করাও কবিরা গুনাহ হয়ে যাবে। কিন্তু আজকের ওয়ারিস যারা দাবী করে তাদের অবস্থা। উম্মাহ আজ দিশেহারা, কার কাছে যাবে??? কোথায় গেলে সাহায্য পাবে??? ত্বাগুত সরকার জনগনকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে কিন্তু উম্মাহ'র পাশে অনেক আলিমরা সাড়া দিচ্ছে না। অনেক আলিমরা টাকার পেছনে পড়ে শুধু টাকা টাকা করে। টাকা ছাড়া কোন কথায় বলে না। আর অনেক মুহতামিম; তাদের অবস্থা তো আরো নাযুক। মাদ্রাসার ফান্ড ভরে যাচ্ছে যাকাতের টাকা দিয়ে, আর একটা ইয়াতিম ছাত্র আসলে বলে হচ্ছে কাফালত নাই। কৌটা খালি নাই। হায় আল্লাহ এ কোন জাতীর আলিম!!!
        বি.দ্র. এটা সব আলেমকে উদ্দেশ্য করে বলা হয় নাই। শুধু যারা এমনটা করেন, তাদেরকে উদ্দেশ্য করেই বলা। তাই কেউ ভুল বুঝবেনা।
        আল্লাহ আমাদের মুজাহিদ হিসেবে কবুল করে নিন আমীন।

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ ! সুন্দর আলোচনা ।

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লাহ খাইরান, প্রিয় আখি অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন।
            আল্লাহ তায়া'লা আমাদেরকে বুঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন,আমীন।
            ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

            Comment


            • #7
              মাশাআল্লাহ, অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন প্রিয় ভাই...
              আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে বুঝার ও আমল করার তাওফিক দিন। আমীন
              হয়তো শরিয়াহ,নয়তো শাহাদাহ।

              Comment


              • #8
                সরজমিন (সরেজমিন)........, কী যে, ভয়ংকর অবস্থা আজকের কিছু মাদ্রাসার! হায়রে আমার ছাত্র ভাইয়েরা শুধু দর্সি কিতাবাদী নিয়েই পড়ে রইলা! এ-র বাইরে তোমাকে চিনতেও তো দেওয়া হচ্ছে না। ভর্তির সময় মোঠা (মোটা) অংকের টাকা দিয়ে ভর্তি হও তুমি, কিন্তু তোমার কপালে লেখাপড়া কতটুকু জুটে তুমি ভালোই জানো। আবার প্রতি মাসে বেতন দেও, পড়া বুঝলে, কিতাব বুঝলে ক্লাশের পরে তোমাকে বোঝানোর মতো কেউই মাদ্রাসায় নেই, কারণ সবাই যার যার শুগলে ব্যস্ত! এভাবে না বুঝে বুঝে তুমি অনেকগুলো ক্লাশ পড়ে ফেলছ! তুমি ইবারতও পড়তে পার না। হায় আফসোস তোমাকে তো সময় অর্থ দেওয়া হয়েছিলো পড়ার জন্য। কিন্তু তুমি নিজেও পড়ছ না, তোমাকে পড়ার জন্য কেউ বলেও না। এভাবেই দাওরা ফারেগ হয়ে যাও! হে ভাই জেগে ওঠ। আজকেই জেগে ওঠ। তুমি শুধু দর্সি কিতাবাদী নিয়ে পড়ে না থেকে বিশ্বটাকে দেখ।

                Comment

                Working...
                X