Announcement

Collapse
No announcement yet.

কেন মুরতাদ দলসমূহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে যারা কিনা মুসলিমদের ভূমি শাসন করছে, অন্যান&

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কেন মুরতাদ দলসমূহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে যারা কিনা মুসলিমদের ভূমি শাসন করছে, অন্যান&

    কেন মুরতাদ দলসমূহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে যারা কিনা মুসলিমদের ভূমি শাসন করছে, অন্যান্যদের পূর্বে (তথা হিন্দু, কিতাবী ও মুনাফিক) ?
    -শাইখ আবু কাতাদাহ ফাক্কাল্লাহু আসরাহ

    আমরা বিশ্বাস করি যে ইরতিদাদে লিপ্ত দলের সাথে যুদ্ধ করা অগ্রগণ্যতা পাবে তাদের থেকে যারা হল অংশিবাদী (হিন্দু, অগ্নিপূজক), মুনাফিক ও আহলে কিতাব (ইহুদি, খ্রিস্টান)। এবং এটি বিভিন্ন কারণে যেমনঃ

    ১. তারা অন্যান্যদের তুলনায় আমাদের অধিক নিকটতর।

    قٰتِلُوا الَّذِينَ يَلُونَكُم مِّنَ الْكُفَّارِ وَلْيَجِدُوا فِيكُمْ غِلْظَةً
    কাফিরদের মধ্যে যারা তোমাদের কাছাকাছি রয়েছে তাদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও। এবং তারা যেন তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখতে পায়। [৯:১২৩]
    ইবনে কাসির (রাহিমাহুল্লাহ) এই আয়াতের তাফসীরে বলেন, "আল্লাহ তা‘আলা মু'মিনদেরকে আদেশ করেছেন নিকটবর্তী কাফিরদের সাথে যুদ্ধ করতে; এরপর সে সকলের সাথে যারা অধিক দূরবর্তী। একারণেই রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম) জাযিরাতুল আরবের অংশিবাদীদের সাথে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। অতএব, যখন তিনি তাদের সাথে (যুদ্ধ) শেষ করলেন এবং আল্লাহ তাঁকে মক্কা, মদীনা, তাঈফ, ইয়ামান, ইয়ামামাহ, হিজর, খাইবার, হাদরামাউত ও আরবের অন্যান্য অঞ্চলের উপর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা দান করলেন এবং বিভিন্ন আরব গোত্র দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করছে, তখন তিনি আহলে কিতাবের সাথে (অর্থাৎ দূরবর্তী রোমান খ্রিস্টান) যুদ্ধ শুরু করেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম) রোমানদের সাথে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে লাগলেন যা ছিল জাযিরাতুল আরবের নিকটবর্তী এলাকা।..." [-তাফসীর ইবনে কাসীর]

    ইবনে কুদামা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন," এই বিষয়ঃ এবং প্রত্যেক দলকেই যুদ্ধ করতে বলা হবে শত্রুদের মধ্য থেকে যারা তাদের কাছাকাছি আছে তাদের (শত্রু) বিরুদ্ধে। কারণ নিকটবর্তীদের সাথে বড় পরিমাণে (দ্বীনি ও দুনিয়াবী) স্বার্থ বিদ্যমান থাকে এবং তাদের সাথে যুদ্ধ মাজলুমের থেকে তাদের ক্ষতিকারতা প্রতিহত করে। এবং দূরবর্তী কারো ব্যাপারে তাদের (মুজাহিদদের) নিবিষ্টতা তাকে (নিকটবর্তী শত্রুকে) সামর্থ্য করে মুসলিমদের (ও ইসলামের) ক্ষতি করার সুযোগ কাজে লাগাতে, কেননা তাদের নিবিষ্টতা (একতরফাভাবে) তার থেকে দূরে সরে এসেছিল।" [-আল-মুগনী মা' আশ শরাহ আল কাবীর, ১০/৩৭২-৩৭৩]


    ২. কেননা যুদ্ধের ক্ষেত্রে অধিকতর অগ্রাধিকার হল আসলী কাফিরদের [অর্থাৎ হিন্দু, আহলে কিতাবদের] তুলনায় মুরতাদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা।

    তাকিউদ্দিন ইবনে তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, " এবং এর উপর সুন্নাহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, বিভিন্ন কারণে আসলী কাফিরদের তুলনায় মুরতাদের শাস্তি অনেক ভয়াবহ। সেগুলো থেকে কিছু হলঃ মুরতাদকে সকল অবস্থায় হত্যা করা হবে এবং আসলী কাফিরদের বিপরীত তার উপর জিযিয়া আরোপ করা হবে না; এবং আসলী কাফিরদের বিপরীত কোন যিম্মাহ (প্রতিশ্রুতি) তার সাথে করা হবে না; এবং আসলী কাফিরদের বিপরীত মুরতাদকে হত্যা করা হবে যদিও সে যুদ্ধে অক্ষম হয়।" [-মাজমূ আল ফাতাওয়া, ২৮/৫৩৪]

    এবং তিনি আরও বলেন, "সর্বসম্মতিক্রমে ইরতিদাদের কুফর আসলী কুফরের তুলনায় অধিক নিকৃষ্ট।" [-মাজমূ আল ফাতাওয়া, ২৮/৪৭]

    এবং তিনি আরও বলেন, "আস সিদ্দীক (আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু) এবং সকল সাহাবা (রাদিয়াল্লাহু আনহুম আজমাঈন) মুরতাদদের সাথে যুদ্ধ শুরু করেন, আহলে কিতাব কাফিরদের সাথে যুদ্ধ করার পূর্বে। তাদের (মুরতাদ) সাথে যুদ্ধ তা তা সংরক্ষণ করে যা অর্জিত হয়েছিল, যখন মুসলিমদের ভূমিগুলো বিজয় করা হয়েছিল।" অতঃপর তিনি বলেন, "মূলধন সংরক্ষণ প্রাধান্য পাবে লাভ অর্জনের উপরে।" [-মাজমূ আল ফাতাওয়া, ৩৫/১৫৮-১৫৯]

    ৩. কেননা তাদের সাথে যুদ্ধ হল প্রতিরক্ষা যুদ্ধ।

    ইবনে তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, "অতএব আক্রমণকারী শত্রু যে দ্বীন ও দুনিয়া কলুষিত করে, ঈমান আনার পর তাকে প্রতিহত করার চেয়ে অধিক আবশ্যকীয় আর কিছু নেই এবং তার জন্য কোন শর্ত আরোপ করা হবে না, বরং সে প্রতিহত হবে সাধ্যনুযায়ী।" [-আল ফাতাওয়া আল কূবরা, ৪/৬০৮]

    মুসলিমদের ভূমিগুলোর এসব [মুরতাদ] গোষ্ঠী থেকে কিছুই দৃষ্টিগোচর হয় না এ ব্যতীত যে, তারা দ্বীনধর্মকে কলুষলিপ্ত করছেঃ ব্যাভিচারের বিস্তৃতি ঘটান, গর্হিত কর্মকান্ডের সমর্থন করা, তাদের কুফরকে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপনা (মুসলিম জনতাকে ধোঁকা দেয়ার জন্য) এবং দা'ঈদের উপর আঘাত হানা ইত্যাদি সব মাধ্যমে। আমরা তাদের থেকে কিছুই দেখি না এ ব্যতীত যে, তারা দুনিয়া কলুষলিপ্ত করছেঃ দারিদ্রের বিস্তৃতি ঘটান এবং উম্মাহর শক্তি ঐশ্বর্য-সম্পদ যা আল্লাহ আমাদের দান করেছেন তা এর শত্রুদের হাতে তুলে দেয়া এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে পশ্চিমা আমদানিকৃত নষ্টামি দ্বারা তারা মানুষের জীবনপ্রণালীকে আবদ্ধ করে রেখেছে...।


    ৪. এ বিবেচনায় যে, শারয়ী নির্দেশ ক্বাদারী (নিয়তির) নির্দেশের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, কেননা আমরা দেখছি যে, অবিশ্বাসীরা আমাদের উপর কর্তৃত্ব করতে পারত না যদি না আমাদের উপর এসব মুরতাদদের রশির বন্ধন থাকত।


    মুরতাদ গোষ্ঠী যারা মুসলিম দেশসমূহ শাসন করছে তাদের সাথে যুদ্ধের বিধানঃ

    ১. যদি শাসক মুরতাদ হয় তখন সকল মুসলিমের জন্য এটা আবশ্যক যে তাদেরকে বাদ দেয়া, অপসারণ করা ও তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা এবং এটি এমন একটি বিধান যার উপর আহলুস সুন্নাহর সকল জামাআত সম্মত হয়েছে, এক্ষেত্রে জ্ঞাত কোন ভিন্নমতাবলম্বী নেই।
    উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ) বলেন, "আল্লাহর রাসূল (সাঃ) আমাদেরকে ডাকলেন অতএব আমরা তাকে তার আনুগত্যের বাইয়াত দিলাম। এবং আমাদের থেকে যা যা নেয়া হয়েছিল তার মধ্যে, আমরা বাইয়াহবদ্ধ হয়েছি যে আমরা শুনব ও মানব আমাদের ইচ্ছায় এবং আমাদের অনিচ্ছায় ; আমাদের কাঠিন্যে এবং আমাদের স্বাচ্ছন্দ্যে ; আমাদের উপর (অন্যদেরকে আমীর হওয়ার ব্যাপারে) প্রাধান্য দিলেও এবং আমরা নেতৃত্ব নিয়ে লোকদের সাথে বিবাদ করব না। [ব্যাতিক্রম] তিনি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যদি না তুমি তাদের থেকে কোন সুস্পষ্ট কুফর দেখতে পাও, যার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার কাছে কোন দলীল থাকবে। " [-সহীহ মুসলিম]
    ইবনে হাজার (রাহিমাহুল্লাহ) এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন, "এবং সারসংক্ষেপ হল যে, সর্বসম্মতিক্রমে তার সাথে যুদ্ধ করা হবে যখন সেখানে কুফর আছে, অতএব এর উপর, এটা সকল মুসলিমের জন্য বাধ্যতামূলক যে এর জন্য অগ্রসর হওয়া।" [-ফাত্হ আল বারী, ১৩/১২৩]
    এবং আন নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, "আল কাদি ইয়্যাদ্ব বলেন, 'আলিমরা সর্বসম্মত যে, নেতৃত্ব কাফিরদের জন্য হবে না, এবং এটিও যে, আকস্মিকভাবে যদি তার থেকে কুফর প্রকাশ পেয়ে যায় তবে তার বিরুদ্ধে লড়তে হবে।' এবং তিনি বলেন, 'অতএব আকস্মিকভাবে যদি তার থেকে কুফর ও বিধানে পরিবর্তন অথবা, বিদআত প্রকাশ পেয়ে যায় তখন সে কর্তৃত্বের অবস্থান থেকে অপসারিত হয়ে যায় এবং তার আনুগত্যের (বাধ্যবাধকতা) উঠে যায় এবং মুসলিমদের জন্য এটি আবশ্যক যে, তার (প্রধান নেতা) বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ও তাকে সরানো এবং একজন আদল ইমামকে নিয়োগ দেয়া যদি তারা তা করতে সমর্থ হয়। অতঃপর যদি তা সম্ভব না হয় একটি দল ব্যাতীত তবে এটি তাদের (দলের) উপর আবশ্যক হল অগ্রসর হওয়া এবং অবিশ্বাসীদের অপসারণ করা।" [-শরাহ সহীহ মুসলিম, ১২/২২৯]

    ২.এবং যা এর (যুদ্ধের) বাধ্যবাধকতাকে শক্তিশালী করে তা হল এসকল মুরতাদরা মুসলিম ভূখন্ডসমূহের ভাড়াটে [অর্থাৎ যাদের কাজ হল সুদূর দেশে অবস্থিত কাফিরদের পক্ষ হয়ে হুকুম তামিল করা] ! এবং ফুকাহায়ে কেরাম উল্লেখ করেছেন যে, জিহাদ ফরযে কিফায়া সেসকল মুসলিম দেশ ব্যাতীত যেখানে অবিশ্বাসীরা দখলদারিত্ব গ্রহণ করেছে, তখন এই ক্ষেত্রে জিহাদ ফরযে আইন এ পরিণত হয়।
    আল বাগাওয়ী বলেন,"যদি অবিশ্বাসীরা দার আল ইসলাম এ (ইসলামী ভূখণ্ডে) প্রবেশ করে তখন নিকটবর্তী সকলের জন্য জিহাদ ফরযে আইন হয় এবং যারা অনেক দূরে অবস্থান করছে তাদের জন্য (জিহাদ) ফরযে কিফায়া।" [-শরাহ আস সুন্নাহ, ১০/৩৭৪]

    অতএব, মুসলিম দেশগুলোর উপরে মুরতাদ চক্রের শাসনকর্তৃত্ব হল দখলদার কাফিরদের মুসলিম ভূমিতে প্রবেশের সমশ্রেণীভুক্ত বিষয়। কারণ এক্ষেত্রে শর্ত একই [যেহেতু উভয়ক্ষেত্রেই কর্তৃত্ব কাফিরদের এবং যেহেতু মুসলিমদের উপর কাফিরদের কোন প্রতিপত্তি চলে না, অধিকন্তু এর দ্বারা শত্রুর নিকটবর্তিতার গুরুত্ব বুঝে আসে ]। অতএব তাদের (মুরতাদদ্বীন) সাথে যুদ্ধ ফরযে আইন যতক্ষণ না আল্লাহর দ্বীন উদ্ভাসিত ও সুরক্ষিত হয়, সম্মানের প্রহরা হয় এবং শত্রুরা বশীভূত হয়।


    *************
    মুসলিম উম্মাহ তো জিহাদের উম্মাহ!

  • #2
    মাশাআল্লাহ, সুন্দর পোস্ট। জাযাকাল্লাহ
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      আলহামদুলিল্লাহ, পোস্টটি পড়েছি। এখন কোন ভাই পিডিএফ করে দিলে ভালো হয়।
      সম্মান নেইকো নাচে গানে,
      আছে মর্যাদা বিনিদ্র রজনী ও রণে।

      Comment


      • #4
        @@- IQAMATUT TAWHEED ভাইয়ের পোষ্টি PDF আকারে করে দেওয়া হল,, আলহামদুলিল্লাহ..!

        PDF লিংক।
        https://mega.nz/file/bfwFRYgZ#YYDZzJ...Tj-qCWOntAtmZc

        https://archive.org/download/2020090...8%E0%A6%AE.pdf
        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

        Comment


        • #5
          Originally posted by abu mosa View Post
          @@- IQAMATUT TAWHEED ভাইয়ের পোষ্টি PDF আকারে করে দেওয়া হল,, আলহামদুলিল্লাহ..!

          PDF লিংক।
          https://mega.nz/file/bfwFRYgZ#YYDZzJ...Tj-qCWOntAtmZc

          https://archive.org/download/2020090...8%E0%A6%AE.pdf
          খুব ভালো একটি কাজ করেছেন ভাই...জাযাকাল্লাহ
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment

          Working...
          X