Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ১৬ ই মুহাররাম , ১৪৪১ হিজরী # ০৫ সেপ্টেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ১৬ ই মুহাররাম , ১৪৪১ হিজরী # ০৫ সেপ্টেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

    ভারতে কেবল সন্দেহের ভিত্তিতে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হলো এক মুসলিমকে



    আবারো নিছক চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুন করা হলো একজন মুসলিমকে। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের বরেলি জেলার একটি গ্রামে বর্বরোচিত ঘটনাটি ঘটেছে।
    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বর্বরোচিত ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, একজন যুবককে গাছের সাথে বেধে রাখা হয়েছে। আশপাশে জড়ো হয়ে মজা নিচ্ছে কিছু উগ্র ব্যক্তি। এই উগ্র মালাউনরা ৩২ বছর বয়সী বসিদ খানকে কয়েকঘন্টা যাবৎ বেধড়ক পেটায়। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই মারা যান তিনি।
    জানা গেছে, ৩২ বছর বয়সী বসিদ খান সেদিন একটু অস্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন। তার অস্বাভাবিক আচরণ দেখে ওখানকার এক নিরাপত্তাকর্মী মনে করে যে চুরি করতে এসেছে। ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই লোক জড়ো হয়ে চোর সন্দেহে তাকে মারধর করতে থাকে। এমনকি একটি গাছের গোড়ায় তাকে বেধে পেটানো হয়।
    ধীরে ধীরে জড়ো হতে থাকে আরও লোক। কিন্তু কেউই সাহায্যের জন্য না এগিয়ে এসে বরং মজা নিতে থাকে। ভাইরাল ভিডিওতে প্রকাশ্যে এসেছে সেই তথ্য। এদিকে, মারের চোটে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বসিদকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
    কিন্তু পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে ছেড়ে দেয়। শেষপর্যন্ত এক আত্মীয়ের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি হলেও পরে সেখানেই মৃত্যু হয় বসিদের। চিকিৎসকরা জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।
    এদিকে, এই ঘটনায় কার্যত ভেঙে পড়েছে বসিদের পরিবার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর সূত্রে জানা যায়, মৃতের মা বলেছেন, ‘‘আমার ছেলেকে মজার জন্য পিটিয়ে মারা হলো!’’ কাঁদতে কাঁদতে তিনি আরও বলেন, একসময় ছোট ছেলেকে বলেছিলাম দাদাকে ওখান থেকে নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু ওই পাশবিক ঘটনা দেখে সেও সাহস পায়নি। বাড়ি ফিরে আতঙ্কে দরজা বন্ধ করে বসেছিল। পরে পুলিশও হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে বাড়িতে নিয়ে এলো।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    নারায়ণঞ্জে মসজিদে গ্যাস লাইন থেকে বিস্ফোরণ, এ পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু

    নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে রহস্যজনক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
    পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিনি জানিয়েছেন তিতাস গ্যাসের লিকেজ থেকেই এ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
    দুর্ঘটনার পর রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি জানান, মসজিদের সামনের গ্যাসের লাইনে লিকেজ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে এসি চালানোর সময় জানালা বন্ধ থাকায় ওই গ্যাস ভেতরে জমা হয়ে যায়। হঠাৎ কেউ বৈদ্যুতিক সুইচ অফ-অন করতে গেলে স্পার্ক থেকে এই বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে।
    তিনি আরও বলেন, মসজিদের মেঝের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন গেছে। পানি দেয়ার সময় বুদ বুদ করে গ্যাস বের হচ্ছিল।
    ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা ধারণা করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা দ্রুত এখানে এসে আমাদের ধারণাকে নিশ্চিত করে। তারা জানান- গ্যাসের লাইন থেকেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে।
    এদিকে স্থানীয় মুসল্লিরা অভিযোগ করেছেন, মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে গ্যাসের গন্ধ পেতেন। এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির মাধ্যমে একাধিকবার জানানো হয়েছিল তিতাস কর্তৃপক্ষকে। তবে তারা এ বিষয়টি আমলে নেয়নি।
    আবার অনেকেই অভিযোগ করেছেন, টাকা না দেয়ায় পাইপ মেরামত করেনি তিতাস কর্তৃপক্ষ।
    উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক মুসল্লি দগ্ধ হন।
    দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৭ জনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
    বিস্ফোরণে মসজিদের ছয়টি এসি পুড়ে গেছে জানালার কাঁচও উড়ে যায়।
    সূত্র: ইসলাম টাইমস টুয়েন্টিফোর ডট কম
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সিনহা হত্যাকাণ্ড : র*্যাবের বিরুদ্ধে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ করলো আসামীরা



      বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডে আটককৃত পুলিশ সদস্যরা র*্যাবের হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ওই মামলার প্রধান আসামী লিয়াকত আলী ও আরেক আসামী প্রদীপ কুমার দাস।

      সম্প্রতি কক্সবাজার আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার পথে লিয়াকত আলী ও প্রদীপ কুমার দাশের একাধিক ভিডিও বার্তা ধারণ করা হয়। ওই ভিডিও বার্তাগুলোতে তারা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে নালিশের সুরে এসব অভিযোগ করে। নেত্র নিউজ নামক একটি সংবাদমাধ্যম এ ভিডিওগুলো প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে। ভিডিও ক্লিপগুলোর কপি পুলিশেরই একজন কর্মকর্তা নেত্র নিউজকে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন নেত্র নিউজ কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও আলাদাভাবে চারজন পুলিশ কর্মকর্তা এই ক্লিপগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেছে বলে নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়। অজ্ঞাত পরিচয়ের ঐ পুলিশ সদস্যদের সূত্রে নেত্র নিউজ আরও জানিয়েছে যে, র*্যাবের হেফাজতে লিয়াকত, প্রদীপ ও নন্দদুলালের নির্যাতন সম্পর্কে পুলিশের আইজিপি বেনজির আহমেদসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবগত আছে।

      নেত্র নিউজ প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায় নিজেদের উপর নির্যাতনের কথা সরকারের উর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তার কাছে ফোনে বর্ণনা করছে সিনহা হত্যা মামলার আসামী লিয়াকত আলী ও প্রদীপ কুমার দাস। তাদের অভিযোগ, র্যাব তাদেরকে বেধড়ক পিটিয়েছে, সারারাত উলঙ্গ অবস্থায় রেখেছে, স্পর্শকাতর জায়গায় ইলেকট্রিক শক দিয়েছে, বুকের পশম উঠিয়ে ফেলেছে, ইঞ্জেকশন দিয়েছে, হাত বেধে ঝুলিয়ে রেখেছে ইত্যাদি।

      তবে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে ৱ্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ নেত্র নিউজকে বলে, “ৱ্যাবের মুখপাত্র হিসেবেই কেবল নয়, দীর্ঘদিন ক্রাইমে কাজ করার অভিজ্ঞতায় আমি বলবো, এই ধরনের কোনো আচরণ [নির্যাতন] তাদের সঙ্গে করা হয়নি। [যা] করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণভাবে, সমস্ত প্রকার বিধি-নিষেধ মেনেই করা হয়েছে।” ৱ্যাবের মুখপাত্র বলেন যে, তিনি বিষয়টি আরও যাচাই-বাছাই করে উত্তর দিতে চান।

      অন্যদিকে পুলিশের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নেত্র নিউজ জানিয়েছে, সিনহা হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা নেই, টেকনাফ থানার এমন আরও পাঁচ পুলিশ সদস্যকেও “হন্য হয়ে খুঁজছে” র*্যাব। এছাড়াও কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন এই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত, এমন স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্যও র*্যাব “জোর প্রচেষ্টা চালায়” বলে দাবি করেছে আসামী প্রদীপ।

      আজ র*্যাবের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ করলেও, একসময় এই প্রদীপও নিরপরাধ মানুষকে নির্যাতন করে জোরপূর্বক মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করতো। দায়িত্বে থাকাকালে টেকনাফে মাদক কারবারি সন্দেহে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করেছে বলে প্রদীপ নিজেই স্বীকার করেছিল। গত ২ বছরে প্রদীপ কুমার দাসের নেতৃত্বাধীন পুলিশ বাহিনীর হাতে এরকম বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন কমপক্ষে ১৫০জন। সর্বশেষ মেজর সিনহাকে হত্যা করা হলে টনক নড়ে দেশবাসীর, প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর। আর দেশবাসী বা প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলো হত্যাকারীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে না নামলে, বাংলাদেশ সরকার হত্যাকারীর বিচারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না। তাই ১৫০ খুন করার পরও প্রদীপ কুমারের মতো সন্ত্রাসীরা বহাল তবিয়তে দায়িত্বে ছিল, কিন্তু পরে ১টি খুন করেই *জনতা বা প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানের আন্দোলনের মুখে বিচারের মুখোমুখি হতে হলো প্রদীপ ও তার সহচরদেরকে।

      আর বন্দী অবস্থায় তাদেরকে র*্যাব নির্মম নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ তাদের। বন্দীর উপর নির্যাতন সঠিক নয়। তবে, এতদিন এরাই নিরীহ মানুষ বিশেষ করে মুজাহিদিনের উপর এ ধরনের বরং তার চেয়েও ভয়ংকর নির্যাতন চালাতো। অধিকাংশ ঘটনার সাথে পুলিশ আর র*্যাব সদস্যরা জড়িত থাকলেও যৌথবাহিনী, সেনাবাহিনী, বিজিবি, গোয়েন্দা পুলিশ, কোস্টগার্ড, আনসারসহ হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন ও বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশে প্রায় সবগুলো বাহিনীর বিরুদ্ধেই। আর এক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা দেখিয়ে “ডেথ স্কোয়াড” বা “জল্লাদ বাহিনী” হিসেবে কুখ্যাতি পেয়েছে র*্যাব। পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীও জনতার কাছে বিভিন্ন কুখ্যাত নামে পরিচিত।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ইন্নালিল্লাহ,,,।
        হে আল্লাহ আপনি মুসলিম জাহানকে কাফেরদের হাত থেকে হিফাজত করুন,আমীন।
        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

        Comment

        Working...
        X