Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ২৬ ই মুহাররাম , ১৪৪১ হিজরী # ১৫ সেপ্টেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ২৬ ই মুহাররাম , ১৪৪১ হিজরী # ১৫ সেপ্টেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

    জেরুসালেমে মসজিদ ভেঙে ফেলার ইসরায়েলি আদালতের নির্দেশ



    ফিলিস্তিনের পূর্ব জেরুসালেম বা আল কুদস শহরের একটি মসজিদ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল।

    ফিলিস্তিনের স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, মসজিদটি নির্মাণের ক্ষেত্রে ইসরায়েলের অনুমতি ছিলনা বলে দাবি করছে দখলদার আদালত ।

    এদিকে গাজার ওয়াকফ এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের
    এমন হীন দাবিকে প্রত্যাখান করেছেন। তারা ওই আদেশের নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েলকে সতর্ক করেন।

    গণমাধ্যমে খবরে বলা হয়েছে, এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য সিলওয়ান শহরের বাসিন্দাদের ২১ দিন সময় বেঁধে দিয়েছে দখলদার কর্তৃপক্ষ। অন্যথায় 'কাকা বিন আমর' নামের ওই মসজিদ ভেঙে ফেলার হুমকি দেয় সন্ত্রাসী ইসরায়েল।

    ২০১২ সালে মসজিদটি তৈরি করা হয়। যেখানে শত শত মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে। এর আগে ২০১৫ সালেও মসজিদটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল ঘৃন্য ইহুদিরা। তবে তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি দখলদার ইসরায়েল।

    সূত্র : আল-আরাবি নিউজ
    Last edited by Al-Firdaws News; 09-17-2020, 06:46 AM. Reason: উম্মাহ নিউজ # ২৬ ই মুহাররাম , ১৪৪১ হি&
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ১১ দিনেও বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দেয়নি সীমান্ত সন্ত্রাসী বিএসএফ

    চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার তেলকুপি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত সন্ত্রাসী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাদশাহ (২৭) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হন। ১১ দিন পরও তার মরদেহ ফেরত দেয়নি বিএসএফ। নিহত বাদশাহ শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের তেলকুপি গ্রামের রফিউদ্দিনের ছেলে।

    শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. তোজাম্মেল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার গোপালনগর ২৪ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে বাদশাহ মারা যান। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর সকালে সীমান্ত থেকে বাদশাহ’র মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ। এরপর বাদশাহ’র মরদেহ আর ফেরত দেয়নি তারা।

    আমাদের সময়
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      যুক্তরাজ্যে বেকার হচ্ছেন তরুণেরা

      দিশেহারা যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজার। দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে বেকারত্বের হার। সরকারি তথ্য অনুযায়ী মে থেকে জুলাই এই তিন মাসে দেশটির বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ১ শতাংশ। যা তার আগের তিন মাস ছিল ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।

      উল্লেখযোগ্য সবচেয়ে বেশি বেকার হয়ে পড়েছে তরুণ জনগোষ্ঠী। অন্য বয়সের তুলনায় ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম তরুণেরা সবচেয়ে বেশি কাজ হারিয়েছেন। চাকরি ধরে রাখার জন্য সরকারের ফারলো প্রকল্প শেষ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী ছাঁটাই করেই যাচ্ছে।

      নতুন তথ্য অনুসারে, মে জুন জুলাই এই তিন মাসে অন্য সময়ের তুলনায় মোট কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীতে ১ লাখ ৫৬ হাজার তরুণ কম ছিল। দেখা গেছে এই তিন মাসে অন্য বয়সের কর্মী চাকরিতে আবার ফিরে আসলেও তরুণদের ফিরে আসার হার কম।

      মার্চ মাস থেকে যুক্তরাজ্যে কোম্পানিগুলোর বেতন কাঠামোতে প্রায় ৬ লাখ ৯৫ হাজার কর্মীর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। মার্চ থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন শুরু হয়েছিল যুক্তরাজ্যে।

      এদিকে গতকাল বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়,অন্য মন্দার চেয়ে এবারের মন্দায় দ্বিগুণ ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা হয়েছে। কর্মী ছাঁটাই-অর্থনৈতিক মন্দার মাত্রা নিরূপণে এক অব্যর্থ সূচক। দেখা যাচ্ছে, ২০০৮ সালের আর্থিক মন্দার সময় যে পরিমাণ কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে, এবার মন্দায় তার দ্বিগুণের বেশি কর্মী ছাঁটাই হতে যাচ্ছে।

      ২০০৯ সালের জানুয়ারি-মার্চে যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, আর এ বছরের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত ৩ লাখ ৮০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, এবার শরৎকালের মধ্যে ছাঁটাই কর্মীর সংখ্যা ৭ লাখ ৩৫ হাজারে পৌঁছাতে পারে। ছাঁটাই হওয়া এই মানুষদের ভরণপোষণে সরকার নানা রকম পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তাতে সরকারের ঋণ জিডিপিকে ছাড়িয়ে গেছে-দুই লাখ কোটি পাউন্ডের বেশি। প্রথম আলো
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        নদীতে বেড়া দিয়ে আওয়ামী নেতাদের মাছ চাষ

        প্রবহমান নদীকে ‘বদ্ধ জলাশয়’ দেখিয়ে ইজারা নেওয়া হয়েছে। নদীর তিন কিলোমিটার অংশে মাছ চাষ করতে দেওয়া হয়েছে আড়াআড়ি বেড়া। স্থানীয় লোকজনের নদীতে নামা নিষেধ। নদী দখল করে মাছ চাষের এমন আয়োজন যশোর শহরের অদূরে মুক্তেশ্বরী নদীতে। তিন মাস ধরে আওয়ামী ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কয়েকজন নেতা ও জনপ্রতিনিধি মিলে এভাবে মাছ চাষ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

        যশোর শহরের দক্ষিণ দিক দিয়ে প্রবাহিত মুক্তেশ্বরী নদী। শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া বাজার থেকে নদীতে বেড়া দেওয়া শুরু হয়েছে। সেখান থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে আবরপুর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় সেতুর পাশে আরেকটি আড়াআড়ি বেড়া দেওয়া হয়েছে।

        সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, মুক্তেশ্বরীর প্রবহমান ধারাটি সরু হয়ে গেছে। প্রস্থে কোথাও ১২০, কোথাও-বা ১৫০ ফুটের মতো। ইজারাদারের লোকজনকে ডিঙিনৌকা নিয়ে পাহারা দিতে দেখা যায়।

        ‘মুক্তেশ্বরী বাঁচাও আন্দোলন’ নামে স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি কমিটি আছে। নদীটি দখলমুক্ত করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত রাখতে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। কমিটির সদস্যসচিব আবদুল মাজেদ বলেন, প্রবহমান নদী কখনো ইজারা হতে পারে না। এটা জনগণের সম্পদ। এতে একমাত্র জনগণের অধিকার। সরকার কোনোভাবেই এটা ইজারা দিতে পারে না। অবিলম্বে ইজারা বাতিল করে নদীটি উন্মুক্ত রাখার দাবি জানান তিনি।

        মুক্তেশ্বরী নদীকে ‘প্রবহমান নদী’ উল্লেখ করে ইজারা না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দিয়েছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী। গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি চিঠিটি দেওয়া হয়। কিন্তু সেই চিঠির তোয়াক্কা না করে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ গত ৪ জুন জেলা জলমহাল কমিটির সভায় পাকদিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির অনুকূলে তিন বছরের জন্য ভেকুটিয়া থেকে মন্ডলগাতি পর্যন্ত ১০৩ একর ৬৬ শতক নদী ইজারা দেন, যার বার্ষিক ইজারামূল্য ধরা হয় ৭ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা।

        নাম প্রকাশ না করার শর্তে নদীতীরবর্তী একাধিক বাসিন্দা বলেন, নদীটি উন্মুক্তই ছিল। অনেকেই মাছ ধরতেন। তা ছাড়া গোসল, সেচ, পাট জাগ দেওয়াসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে নদী ব্যবহার করতেন তারা। গত জুন থেকে নদীটা আর জনগণের নেই। ইজারাদারেরা মাইকে প্রচার করেছেন, ‘নদী ইজারা নেওয়া হয়েছে, জনসাধারণ কেউ যেন নদীর পানিতে না নামে।’ এরপর দু-একজন নদীতে নামলে তাদের মারধর করা হয়েছে। ভয়ে এখন কেউ নদীর ধারে যান না।

        স্থানীয় বাসিন্দা ও মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাকদিয়া মৎস্যজীবী সমিতিতে ৪০ জন মৎস্যজীবী সদস্য আছেন। তাঁদের বেশির ভাগ নদী ইজারা নেওয়ার কথা জানেনই না। সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ব্যবহার করে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা নদীর ওই অংশ ইজারা নিয়েছেন।

        ইজারা নেওয়া অংশে মাছ চাষের মোট অংশীদার ১৩ জন। এর মধ্যে মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি সরজিৎ বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক ঠাকুর দাস বিশ্বাসের দুটি অংশ। অপর ১১টি অংশ ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আবরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি উজ্জ্বল রহমান, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, মীর ফিরোজ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলামের একটি করে অংশ রয়েছে।

        জানতে চাইলে ইউপি সদস্য উজ্জ্বল রহমান বলেন, ‘মাছ চাষের জন্য অনেক টাকাপয়সা লাগে। মৎস্যজীবীরা ওই টাকা দিতে পারেন না। এ জন্য আমরা তাঁদের সঙ্গে অংশীদার হয়েছি। ১৩টি শেয়ারের মধ্যে মৎস্যজীবীদের দুটি রয়েছে।’

        আরবপুর ইউপির সদস্য ও ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘মৎস্যজীবী সমিতি নদীতে মাছ চাষ করলে স্থানীয় মানুষ ঝামেলা করে। এ জন্য আমরা পাঁচ-সাতজন তাদের একটু দেখভাল করি।’

        সাধারণ মানুষকে নদীতে নামতে না দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পাকদিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি সরজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘মানুষকে নদীতে নামতে দেব কেন? আমরা তো সরকারের কাছ থেকে লিগ্যালি (বৈধভাবে) নদী ইজারা নিয়ে অনেক টাকা খরচ করে মাছ ছেড়েছি। নদীতে কেউ যাতে না নামে, এ জন্য মাইকে প্রচার চালানো হয়েছে।’

        বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যশোর জেলার আহ্বায়ক খন্দকার আজিজুল হক বলেন, নদী মুক্ত, নদীর পানি যে পর্যন্ত যাবে, সে পর্যন্ত নদীর সীমানা। নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের কোনো সুযোগ নেই।

        জানতে চাইলে বর্তমান জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, নদীর এই অংশ আগেও ইজারা হয়েছে। ইজারা না দেওয়ার জন্য পাউবোর দেওয়া চিঠি ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি। যে কারণে মৎস্যজীবীদের অনুকূলে নদী ইজারা দেওয়া হয়। প্রথম আলো
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভুয়া পরিচয়পত্রে ১ লাখ টাকা নিতো ইসির কর্মী


          ঋণ নিয়ে আর ফেরত দেননি, কিংবা ক্রেডিট কার্ডের টাকা পরিশোধ করেননি—এমন লোকজন ছিল চক্রটির গ্রাহক। তাঁদের নতুন করে ঋণ পাইয়ে দিতে নতুন করে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতো তারা।

          লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার রাজীব আল মাসুদ বলেন, সুমন পারভেজ ও মজিদ ব্যাংকঋণ পাইয়ে দেবেন, এই শর্তে একেকজনের কাছ থেকে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা নিতেন। ঋণ হাতে পাওয়ার পর তাঁদের দিতে হতো মোট টাকার ১০ শতাংশ পর্যন্ত।

          তদন্তে যুক্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, যাঁরা দ্বিতীয় আরেকটি পরিচয়পত্র করিয়েছেন তাঁদের মধ্যে চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ২০-২৫টি পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়েছে।

          এসব পরিচয়পত্র ব্যবহার করে তাঁরা সিটি ব্যাংক, ইউসিবি ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছেন। মো. মিল্টন নামের এক ব্যক্তি নর্থ সাউথ সড়কের সাউথ বাংলা ব্যাংক থেকে ৩ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন।

          সুমন পারভেজ সাত-আট বছর আগে ‘ভেরিফিকেশন ফার্মে’ কাজ করতেন। ওই প্রতিষ্ঠানের কাজ ছিল কেউ ঋণ পাওয়ার যোগ্য কি না, তা যাচাই–বাছাই করা। পরে চাকরি ছেড়ে এই কাজে যুক্ত হন।

          এই চক্রের অপর সদস্য মজিদের ঋণের দরকার পড়ায় তিনি সুমন পারভেজের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপর দুজন মিলে এই কারবারে নামেন।

          কারও ঋণ প্রয়োজন হলে তাঁরা নির্বাচন কমিশনের খিলগাঁও অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সিদ্ধার্থ শংকর সূত্রধর ও গুলশান অফিসের মো. আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। এই দুজন জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতেন।

          একটি জাতীয় পরিচয়পত্র থাকার পরও আরেকটি জাতীয় পরিচয়পত্র কী করে তৈরি করা যায়, এমন প্রশ্নের জবাবে আসামিদের উদ্ধৃত করে পুলিশ জানায়, অপারেটররা এ জন্য একটি কৌশল অবলম্বন করেন।

          যাঁরা দ্বিতীয় পরিচয়পত্র করিয়েছেন, তাঁরা জন্মসনদ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে নাগরিকত্বের সনদ ও বিদ্যুৎ বিল ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের হাতে পৌঁছে দিতেন। তাঁরা অফলাইনে সব তথ্য, আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয়পত্র অনুমোদনের জন্য পাঠিয়ে দিতেন। অনুমোদন হতে সময় লাগত সর্বোচ্চ ১৫–২০ মিনিট। তারপরই নতুন আরেকটি জাতীয় পরিচয়পত্র চক্রটির ঋণ নিতে ইচ্ছুক এমন লোকজনের হাতে তুলে দিতেন।

          যে ব্যক্তির নামে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হলো, তাঁর নামে আগে কোনো পরিচয়পত্র আছে কি না, তা যাচাই–বাছাই হতে মাস দুয়েক সময় লেগে যায়। ব্যাংকও টের পায় ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময়। তারা নতুন জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্র ধরে খোঁজখবর করে আর তাঁকে (নতুন করে যিনি ঋণ নিয়েছেন) খুঁজে পায় না।

          নির্বাচন কমিশন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সিদ্ধার্থ ২০০৭ সাল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজ করে আসছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেছেন গত বছর থেকে এই চক্রে জড়িয়েছেন।

          গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, দ্বৈত জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে তিনি একবার ব্র্যাক ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা ও সিটি ব্যাংক থেকে সাড়ে ৯ লাখ টাকা তুলেছিলেন। এরপর স্ত্রী রোজিনা রহমানের নামেও আরেকটি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজ করাচ্ছিলেন। প্রথম আলো
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X