Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ৩০ মুহাররাম , ১৪৪১ হিজরী # ১৯ সেপ্টেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ৩০ মুহাররাম , ১৪৪১ হিজরী # ১৯ সেপ্টেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

    সাবরা ও শাতিলায় ৩ দিনে ৫ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েল

    ১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লেবাননে ফিলিস্তিনিদের ওই দু’টি শরণার্থী শিবিরে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম এ ভয়াবহ গণহত্যা চালানো হয়েছিল। তিনদিন ধরে চালানো ওই গণহত্যায় বহু ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয় যাদের বেশিরভাগই ছিল নিরীহ নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ। নিহতদের মধ্যে ততকালীন যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবাননের অনেক নাগরিকও ছিলো।

    ১৯৮২ সালে লেবাননে ইসরায়েলি হামলা এবং তারা বৈরুত দখল করে নেয়ার পর সাবরা ও শাতিলা ফিলিস্তিন শরণার্থী শিবিরে ওই গণহত্যা চালানো হয়। সে সময় এরিয়েল শ্যারন দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলো। শ্যারন লেবাননের সামির জাজা ও ইয়ালি হাবিকের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী খ্রিস্টান ফ্যালাঞ্জিস্ট আধা সামরিক বাহিনীর সহায়তায় সাবরা ও শাতিলা শরণার্থী শিবির দু’টিতে গণহত্যা চালিয়েছিলো। এ গণহত্যায় নিহত হয় অন্ততঃ ৫ হাজার ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ ও শিশু। নিহতদের মধ্যে ১৪০ জন ছিল লেবাননের নাগরিক।

    ওই গণহত্যার পর তৎকালীন যুদ্ধমন্ত্রী সন্ত্রাসী এরিয়েল শ্যারন মানুষের কাছে সাবরা ও শাতিলার কষাই হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করে। অবশ্য ওই গণহত্যার ঘটনা ইহুদিবাদী ইসরায়েলের প্রথম কিংবা শেষ অপরাধযজ্ঞ ছিলো না। সাবরা ও শাতিলা শরণার্থী শিবিরে গণহত্যার আগেও ইহুদিবাদী ইসরাইল দেইর ইয়াসিন ও গ্বাফ্*ফর কাসেম এলাকায়ও ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্মম গণহত্যা চালিয়েছিল। সাবরা ও শাতিলার ঘটনার পরও ইসরায়েলের অপরাধযজ্ঞ অব্যাহত থাকে। ইসরায়েলি সেনারা লেবাননের কানা এলাকার নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা ছাড়াও ফিলিস্তিনে জেনিন ও রাফা এলাকায়ও ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছিলো।

    লেবাননের সাবরা ও শাতিলা ফিলিস্তিন শরণার্থী শিবিরে মাত্র তিন দিনে প্রায় ৫০০০ লোককে হত্যা করা হলেও এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজের নীরবতার তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিশ্বের সাধারণ জনগণ। জনগণের ব্যাপক প্রতিবাদ সমাবেশের পরিপ্রেক্ষিতে পাশ্চাত্যসহ বিভিন্ন দেশের আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে সাবরা ও শাতিলা শরণার্থী শিবিরে গণহত্যার জন্য তারা ইহুদিবাদী ইসরাইলকে দায়ী করে। প্রতিবেদনে এ ঘটনাকে মানবতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করে বলা হয় এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

    আন্তর্জাতিক সমাজ ইসরায়েলের ও তার অনুচরদের শাস্তির দাবি জানালেও আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা বা পাশ্চাত্যের দেশগুলো আজ পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। কোন মুসলিম রাষ্ট্র এগিয়ে আসেনি এর বিচার বা প্রতিশোধ নিতে। এ কারণে দখলদার ইসরায়েল আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং ফিলিস্তিনসহ এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে একই ধরনের অপরাধযজ্ঞের পুনরাবৃত্তি করে যাচ্ছে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    অনুষ্ঠিত হলো আল্লামা আহমাদ শফীর জানাযার সালাত


    আল্লামা শাহ আহমাদ শফী রহিমাহুল্লাহর জানাযার সালাত আজ শনিবার বাদ জোহর চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে জানাযার সালাত পড়িয়েছেন মরহুমের বড় ছেলে মাওলানা মুফতি মুহাম্মাদ ইউসুফ।

    দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে আলেম-উলামা, মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক এবং সাধারণ মুসলিমদের ঢল নামে আল্লামা আহমাদ শফী রহিমাহুল্লাহের জানাযায়। প্রবীণ এই আলেমে দ্বীনের প্রতি ভালোবাসায় উপস্থিত মুসল্লিরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

    এর আগে শুক্রবার (১৮ই সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন আল্লামা আহমাদ শফী রহিমাহুল্লাহ। পরে আজ সকালে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয় তাঁর লাশ। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুপুর ২টায় হাটহাজারীতে জানাযার সালাত অনুষ্ঠিত হয়।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      জারজ রাষ্ট্র ইসরাইল কর্তৃক সাবরা ও শাতিলায় যে ৫ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, আল্লাহ তা‘আলা তাদের সকলকে মাফ করে দিন ও জান্নাত দান করুন। আমীন
      হে আল্লাহ! আল্লামা আহমাদ শফী রহ,কে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করুন। আল্লাহুম্মা আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment

      Working...
      X