Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ০৯ ই ছফর , ১৪৪১ হিজরী # ২৭ সেপ্টেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ০৯ ই ছফর , ১৪৪১ হিজরী # ২৭ সেপ্টেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

    এবার মথুরায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি দাবি করে মসজিদ সরানোর জন্য আদালতে মামলা

    ভারতের মথুরায়* শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমির দাবিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে মথুরার দেওয়ানি আদালতে। শ্রীকৃষ্ণের মন্দির চত্বরের পাশে অবস্থিত শাহি ঈদগাহ মসজিদ অন্যত্র সরানোর পাশাপাশি ওই চত্বরের পুরো ১৩.*৩৭ একর জমি ফিরিয়ে দেয়া হোক, আবেদন জানিয়ে* শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের পক্ষে আদালতের গিয়েছেন লখনউ–এর আইনজীবী রঞ্জনা অগ্নিহোত্রিসহ ছ’*জন ‘*কৃষ্ণ–ভক্ত’*।

    ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ,*পিটিশন দাখিল করেছেন আরো দু’*জন আইনজীবী– হরিশঙ্কর জৈন এবং বিষ্ণু জৈন। আবেদনে বলা হয়েছে, ‘*মামলাকারী নাবালক। তাই সেবাইতদের মাধ্যমে নিজের সম্পত্তির দাবিতে মামলা করেছেন শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমান। নিজের সম্পত্তি রক্ষা ও পুনরুদ্ধারের সবরকম অধিকার রয়েছে মামলাকারীর। সেবাইতদের অবর্তমানে তার বন্ধুরা এই মামলা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।’*

    ভারতের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ও শাহি ঈদগাহ মসজিদের ট্রাস্ট বোর্ডের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে।* তাতে অভিযোগ করা হয়, স্থানীয় কিছু মুসলিমের সাহায্য নিয়ে শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান ট্রাস্টের অন্তর্গত কাটরা কেশব দেবের জমি কব্জা করেছে ঈদগাহ মসজিদ ট্রাস্ট।

    আবেদনে দাবি করা হয়েছে, ১৬১৬ সালে ওরচার রাজা বীর সিংহদেব বুন্দেলা প্রায় ৩৩ লাখ রুপি খরচ করে ওই জায়গায় মন্দির নির্মাণ করেছিলেন।* ১৬৬৯–’*৭০ সালের মধ্যে নাকি মোগল বাহিনী মথুরা আক্রমণ করে ওই মন্দিরের একটা অংশ ভেঙে মসজিদ তৈরি করে।

    এদিকে, অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ শহীদ করার পর তার জায়গা দখল করা হল রাম মন্দিরের জন্য। তখন ভারত জুড়ে* মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির বানানোর এমন হঠকারি দাবি আরো ওঠতে পারে এমন একটা আশংকা অনেকেই প্রকাশ করেছিলেন। এবার সেই আশংকাই হয়ত বাস্তব হতে দেখা যাচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, ভারত বর্ষে হিন্দু ঐতিহাসিকগণ সব সময়ই মুসলিম শাসকদেরকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখাতে চেয়েছেন। তাদের চরিত্র বিভিন্ন অভিযোগে কলুষিত করার চেষ্টা করেছেন। এটাও যে সেই চেষ্টারই একটা অংশ তা বিবেকবান মাত্রই বোঝার কথা।
    সূত্র : আজকাল
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ফ্রান্স | রাসূল অবমাননাকারী শার্লি হেবদোর অফিসের সামনে হামলা, আহত ৪ সাংবাদিক

    রাসূল (صلى الله عليه وسلم) কে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশকারী ফরাসি সংবাদপত্র শার্লি হেবদোর পুরানো অফিসের কাছে ছুরি হামালায় অন্তত ৪ সাংবাদিক আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এই হামলার ঘটনা ঘটে।

    খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার শার্লি হেবদোর পুরানো অফিসের সামনে দাড়িয়ে সংবাদপত্রটির কয়েকজন সাংবাদিক কোন বিষয়ে কথা বলছিল, ঠিক তখনই দুজন ধর্মপ্রাণ নবীপ্রেমিক মুসলিম যুবক এসে খুব দ্রুততার সাথে তাদের উপর ছুরি দিয়ে হামলা চালান। আর এতেই গুরুতর আহত হয় সংবাদপত্রটির ৪ কুখ্যাত সাংবাদিক। যাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।* ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসেক্স ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

    এদিকে ফ্রান্সের জাতীয় সংবাদ মাধ্যম কর্তৃক প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, উক্ত বরকতময়ী হামলায় অংশগ্রহণকারীদের একজন হচ্ছেন ১৮ বছর বয়সী পাকিস্তানী এক নবী প্রেমী যুবক। জিজ্ঞাসাবাদে এই বীর সাহসী মুসলিম যুবক* জানিয়েছেন যে, তিনি তাঁর এই মোবারক অপারেশনটি পরিচালনা করেছেন মুসলিমদের প্রাণের স্পন্দন এবং সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ (صلى الله عليه وسلم) কে নিয়ে তৈরি করা অপমানজনক কার্টুনগুলি পুনঃপ্রকাশ প্রকাশের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ।

    উল্লেখ্য যে, ২০১৫ সালে শার্লি হেবদো রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ করলে প্রথমবারের মত তা জনসম্মুখে আসে এবং বিশ্বের প্রতিটি নবী প্রেমীর হৃদয়ে তা আঘাত হানে। যার ফলে ঐবছরের ৭ই জানুয়ারী নবী প্রেমী দুইজন মুসলিম শার্লি হেবদোর হেডকোয়ার্টারে হৃদয় প্রশান্তিকর একটি সফল অভিযান পরিচালনা করেন। আল-কায়েদা শাখা 'একিউএপি' এর সম্মানিত দায়িত্বশীল শহিদ শাইখ আনোয়ার আল-আওলাকী (রহ.) এর নির্দেশে উক্ত বরকতময়ী হামলাটি চালানো হয়েছিল। হামলায় শার্লি হেবদোর নিকৃষ্টতম কিছু কার্টুনিস্টসহ মোট ১২ সাংবাদিক নিহত হয়েছিল, আহত হয়েছিল আরো ১১টি নিকৃষ্টকীট ।

    ঐ হামলার ঘটনায় ১৪ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। চলিত বছর অর্থাৎ গত তিন সপ্তাহে আগে তাদের মধ্যে ১২ জনের বিচার শুরু করেছে ক্রুসেডার ফ্রান্সের একটি আদালত। আর ঠিক সেই মুহুর্তেই সংবাদপত্রটি অপমানজনক কার্টুনগুলি পুনঃপ্রকাশ করে এবং সংবাদপত্রটির সম্পাদক দম্ভভরে বলে, ‘মুহাম্মাদকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা আমাদের ইতিহাসের অংশ। আমরা কখনোই (মুহাম্মাদকে ব্যঙ্গ করার ক্ষেত্রে) পিছু হটবো না, আর আমরা কখনোই হাল ছেড়ে দেবো না।’
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ইন্দো-বাংলা সীমান্তে হত্যা বন্ধে বিএসএফের ফাঁকা প্রতিশ্রুতি

      হত্যা চলছে এবং এখনো নিরপরাধ ও নিরস্ত্র নাগরিকদের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে বালাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত। ট্রিগার-হ্যাপি ভারতের সীমান্ত সন্ত্রাসীবাহিনী (বিএসএফ) এখনো বাংলাদেশী নাগরিকদের উপর গুলি বন্ধ করেনি এবং এমন কোন দিন নেই যেদিন সীমান্তের এপারে পরিবারগুলোর জন্য নতুন কোন ট্রাজেডি সৃষ্টি হয়না।

      অনেক অযুহাতের মধ্যে বিএসএফের একটি বড় অযুহাত হলো তারা অবৈধ গরু পাচারকারীদের লাগাম টানতে চায়। পরিহাসের বিষয়, বিএসএফ কর্মকর্তারাই অবৈধ অর্থ কামাতে এই অবৈধ তৎপরতায় লিপ্ত। এ কথা এখন সবাই জানে।

      অতি সম্প্রতি তিন ভারতীয় ব্যবসায়ীসহ এক বিএসএফ কর্মকর্তাকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ধরা পড়েছে।

      বিএসএফ ৩৬ ব্যাটালিয়নের সাবেক কমান্ডার সতীশ কুমারকে তার সাঙ্গপাঙ্গসহ ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাকড়াও করেছে। তার ও আরো তিনজনের বিরুদ্ধে ২১ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতার দুর্নীতি দমন বিভাগে।

      মালদা ও মুর্শিদাবাদের সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত সতীশকে চিহ্নিত করে ভারতের কেন্দ্রিয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই)। সিবিআই ২০১৮ সালের একটি গরু চোরাচালনের ঘটনা তদন্ত করছে।

      সীমান্তে অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এর আগেও বিএসএফ কমান্ডেন্টদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরকম একটি লেনদেন থেকে ৪.৫ মিলিয়ন রুপি ঘুষ গ্রহণের দায়ে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে কমান্ড্যান্ট ম্যাথুকে গ্রেফতার করা হয়।

      বিএসএফের এসব অসৎ লোকেরা শুধু গরু চোরাচালানই নয়, মানব পাচার, মাদক চোরাচালানসহ আরো অনেক অবৈধ উপায়ে টাকা কামাই করছে। কিন্তু দায়ি করা হয় শুধু বাংলাদেশীদের। আর হত্যা করে তাদেরকে চুপ করিয়ে দেয়া হয়। মৃত্যু ব্যক্তি কিছু বলে না।

      দুঃখের বিষয়, এমন কি যখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক চলে তখনও হত্যাকাণ্ড থেমে থাকে না। একদিকে করমর্দন ও অন্যদিকে হত্যাকাণ্ড, বাংলাদেশীদের লাশের স্তুপ।

      চার দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলনে অংশ নিতে ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তারা যখন সীমান্ত পার হচ্ছিল তখনও বিএসএফের গুলিতে নিহত এক বাংলাদেশীর লাশ দিনাজপুর সীমান্তে পরেছিলো।

      দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয় লাশটি ছিলো তরুণ বাংলাদেশী জাহাঙ্গীর আলমের, যাতে পচন ধরেছিলো। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ৫০০ গজ দূরে ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে লাশটি পরেছিলো। বিডিআর-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের পর বিকেলে তার লাশটি নিয়ে আসা হয়। জাহাঙ্গীর আলমের পরিবার জানান তাকে বিএসএফ হত্যা করেছে।

      এটা বেদনাদায়ক, আবার বেদনাদায়ক নয়ও। কারণ চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে সীমান্ত এলাকায় ৪০ বাংলাদশীকে হত্যা করা হয়েছে।

      মানবাধিকার সংস্থা আইন-ও-সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানায় যে এদের ৩২ জনকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে। পাঁচজনকে বিএসএফ নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে। বাকি দুই জনের নিহত হওয়ার কারণ জানা যায়নি। কারণ তাদের লাশ পচে যাওয়ায় কিছু বুঝা যায়নি।

      আসকের রেকর্ড অনুযায়ী, গত বছর জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর মেয়াদে বিএসএফের গুলি ও নির্যাতনে ২৮ বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

      চলতি বছর মার্চে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর সীমান্তে কোন হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। কিন্তু এটা সাময়িক বিরতি মাত্র। এপ্রিলেই বিএসএফের গুলিতে ৩ জন নিহত হয়। মে’তে নিহত হয় ১ জন। জুনে হত্যা করা হয় ৭ জনকে। জুলাইয়ে এই সংখ্যা ছিলো ৩, আগস্টে ৫ ও সেপ্টেম্বরে ৪ জনকে হত্যা করা হয়।

      সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনা হবে বলে ভারতের প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে চলেছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ এশিয়ার মানবাধিকার বিষয়ে পিএইচডি গবেষক ও মানবাধিকার অ্যাকটিভিস্ট সজল আহমেদ বলেন, হত্যাকাণ্ড শূন্য হয়নি, তাদের প্রতিশ্রুতিটাই শূন্য হয়ে গেছে।

      তিনি আরো বলেন, তারা প্রাণঘাতি অস্ত্র দিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েই চলেছে। তাদের মধ্যে প্রতিশ্রুতি রক্ষার কোন লক্ষণ নেই।

      এদিকে, ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়। বৈঠকে বিজিবি’র ডিজি মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশী প্রতিনিধি দল ও বিএসএফ ডিজি রাকেশ আসতানার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

      মিডিয়ার সঙ্গে আলাপকালে বিজিবির এক কর্মকর্তা বলেন, বিজিবির অবস্থান হলো ‘হত্যা করা যাবে না, গুলি করা যাবে না’।

      হত্যা কমছে না

      আসক জানায়, ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ৫২২ বাংলাদেশীকে ভারত সীমান্তে হত্যা করা হয়েছে। এদের ৩২৪ জনকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে। ১৫৯ জনকে বিএসএফ সদস্যরা নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে। ২০১৯ সালে এই হত্যাকাণ্ড বাড়তে শুরু করে। এখনো তা ঘটেই চলেছে।

      সেপ্টেম্বরে এ পর্যন্ত ৪ জনকে হত্যা

      সীমান্তে সেপ্টেম্বর মাসে এ পর্যন্ত ৪ বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করেছে বিএসএফ।

      মানবাধিকার অ্যাক্টিভিস্টদের মতে এই হত্যাকাণ্ড অব্যাহত থাকার পেছনে কারণ দায়মুক্তি। যেসব বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশীদের হত্যা করে তাদেরকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় না। এর বড় উদাহরণ মর্মান্তিক ও আইকনিক ফেলানির হত্যাকাণ্ড। এমনকি ভারতের মানবাধিকার গ্রুপগুলোকে ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য লড়াই করেছে। কিন্তু এখনো অবিচারটিই বিরাজ করছে।

      আত্মরক্ষার জন্য গুলি করেছে বলে বিএসএফ যে অযুহাত দেয় তা কোনভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। নিহতরা সবাই নিরস্ত্র ও নিরপরাধ গ্রামবাসী। তারা যদি অনুপ্রবেশ করে থাকে, এমনকি চোরাকারবারও করে, তারপরও এসব অপরাধ দমনের জন্য আইন আছে। বাংলাদেশের এসব নিরস্ত্র নাগরিকদের হত্যা করার অধিকার কারো নেই।

      সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিবেশীদের বশ্যতা হারানোর আশঙ্কা করে ভারত ‘ক্ষতে প্রলেপ’ দেয়ার চেষ্টা করছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণের সময় এসেছে তাদের। হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বলপূর্বক নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এটা শুধু শত্রুতা বাড়াবে।

      ভারত সীমান্তে প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকা ও হত্যাকাণ্ড শূন্যে নামিয়ে আনার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি না রাখলে, দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব আরো বাড়বে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মুক্তিপণ না পেয়ে কিশোর হত্যা যুবলীগ নেতার

        ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা আবুল হোসেন আপন। এই যুবলীগ নেতা আপন কন্ডা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি আশুলিয়া থানা যুবলীগের সদস্য।

        ২৪ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাটের মিছির আলীর ছেলে সবুজ হোসেন (১৪) ও একই এলাকার জাহিদুল ইসলাম (১৫) অভিমান করে বাড়ি থেকে আশুলিয়ার মোজারমেইল এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। বোনের বাসা খুঁজে না পেয়ে মোজারমেইল এলাকার বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষার সময় দুর্বৃত্তরা তাদের অপহরণ করে। পরে তাদের স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে বিকাশের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। দ্রুত মুক্তিপণের টাকা হাতে পাওয়ার জন্য ওই দুই কিশোরকে নির্মমভাবে মেরে তাদের আর্তচিৎকার শোনানো হয় স্বজনদের। নির্যাতনের একপর্যায়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সবুজ মারা যায় ও জাহিদুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নিহত সবুজ ও আহত জাহিদুলকে একটি ভ্যানে ফেলে রেখে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। আমাদের সময়
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আওয়ামী লীগ নেতার সহায়তায় সরকারি জমিতে ভবন নির্মাণ

          ঢাকার ধামরাই উপজেলার খাত্ররা এলাকায় প্রায় কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খাত্ররা বাজারের পাশে ১৩ শতাংশ সরকারি খাস খতিয়ান জমির ওপর মার্কেট করার জন্য পাকা ভবন নির্মাণ করছে খাত্ররা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম।

          সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের খাত্ররা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম খাত্ররা বাজারের পাশে সরকারি ১৩ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে মার্কেট করার জন্য পাকা ভবন নির্মাণ করছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ম্যানেজ করে সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করেছেন তিনি। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে খাত্ররা বাজার। ওই বাজারে অনেক দোকান-পাট গড়ে উঠেছে। এ ছাড়াও গার্মেন্টসকর্মীরা ভাড়া থাকে ওই এলাকায়। ফলে সরকারি ওই জমির মূল্য প্রায় কোটি টাকার মতো হবে। জমি দখলবাজ সিরাজুল ইসলাম কোনো কিছু তোয়াক্কা না করে ওই জমির ওপর মার্কেট করার জন্য পাকা ভবন নির্মাণ করে দোকান ভাড়া দিবেন।

          জমি দখলদার মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, তার বাড়ির সামনে বিধায় তিনি সরকারি জমি দখল করে তিনটি দোকান দিবে। তাছাড়াও অনেকে বিষয়টি জানেন।

          ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামিউল হক বলেন, সরকারি জমি দখল হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়ে আমি এসিল্যান্ডকে ঘটনাস্থলে তদন্ত করার জন্য বলেছি।
          আমাদের সময়
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            সেতুর মাঝখানে গর্ত, নেই কোন ব্যবস্থা

            দুই দশক আগে নির্মিত সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে অনেক আগেই। দুইপ্রান্তে দুইটি বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, রডগুলো বেড়িয়ে আছে। লোহার ভিম ও পাতগুলোতে ধরেছে মরিচা। কোথাও আবার ভেঙে আছে। শুধু তাই নয়, সেতুতে ওঠা নামার সংযোগ সড়টিও নাজেহাল অবস্থা। একটু অসতর্কতার কারণে যে কোনো মুহুর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

            পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের পশ্চিম নেতা ও গন্ডাদুলা গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া রুপাইর খালের ওপর নির্মিত সেতুটির এমন চিত্র দেখা গেছে।

            পথযাত্রীরা জানায়, একটি মোটরসাইকেল পারাপার হলেও সেতুটি কেঁপে ওঠে। তবুও কাছাকাছি বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ছয়টি গ্রামের মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে এ সেতু পারাপার হতে হচ্ছে।

            স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫-৯৬ সালে রুপাইর খালের উপর আয়রণ সেতু নির্মাণ করা হয়। কয়েক বছর আগে একবার সেতুটির সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু আবার সেতুটির দুইটি অংশে দুটি গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে সেতুটি।

            পশ্চিম নেতা গ্রামের বাসিন্দা রুবেল হাওলাদার বলেন, এই সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ পারাপার হয়। কিন্তু একটা মোটরসাইকেল উঠলেই সেতু থরথর করে কেঁপে ওঠে।

            গণ্ডাদুলা এম এইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. তাহমিদা সুলতানা বলেন, করোনার আগে প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা এই সেতু দিয়ে স্কুলে আসে। কিন্তু সেতুটি সংস্কার না হলে যে কোনো মুহুর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

            উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. জহির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ওই সেতুটি অনেক বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করবো।
            কালের কন্ঠ
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              Originally posted by Al-Firdaws News View Post
              ফ্রান্স | রাসূল অবমাননাকারী শার্লি হেবদোর অফিসের সামনে হামলা, আহত ৪ সাংবাদিক
              এদিকে ফ্রান্সের জাতীয় সংবাদ মাধ্যম কর্তৃক প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, উক্ত বরকতময়ী হামলায় অংশগ্রহণকারীদের একজন হচ্ছেন ১৮ বছর বয়সী পাকিস্তানী এক নবী প্রেমী যুবক। জিজ্ঞাসাবাদে এই বীর সাহসী মুসলিম যুবক* জানিয়েছেন যে, তিনি তাঁর এই মোবারক অপারেশনটি পরিচালনা করেছেন মুসলিমদের প্রাণের স্পন্দন এবং সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ (صلى الله عليه وسلم) কে নিয়ে তৈরি করা অপমানজনক কার্টুনগুলি পুনঃপ্রকাশ প্রকাশের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ।
              আলহামদু লিল্লাহ, ছুম্মা আলহামদু লিল্লাহ
              ইয়া আল্লাহ! আপনি এই বীর সাহসী মুসলিম যুবককে কবুল করুন ও উত্তম জাযা দান করুন এবং ঈমান ও ইসলামের উপর অটল-অবিচল রাখুন। আমীন
              “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

              Comment


              • #8
                সংবাদপত্রটির সম্পাদক দম্ভভরে বলে, ‘মুহাম্মাদকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা আমাদের ইতিহাসের অংশ। আমরা কখনোই (মুহাম্মাদকে ব্যঙ্গ করার ক্ষেত্রে) পিছু হটবো না, আর আমরা কখনোই হাল ছেড়ে দেবো না।’
                কত বড় স্পর্ধা!!! আমাদের সর্বাধিক প্রিয় রাসূলকে নিয়ে এমন মন্তব্য!!!
                তোমরা শুনে রাখ-
                “তোমাদেরকে হত্যা করাও আমাদের ইতিহাসের অংশ। আমরা কখনোই তা থেকে পিছু হটবো না। আর আমরা কখনোই হাল ছেড়ে দেবো না। “
                ইনশাআল্লাহ ...ইনশাআল্লাহ...ইনশাআল্লাহ
                ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                Comment

                Working...
                X