Announcement

Collapse
No announcement yet.

প্রিয় ভাইয়েরা কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • প্রিয় ভাইয়েরা কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার

    আসসলামু আলাইকুম।নাহমাদুহু ও নুসল্লি আলা রাসুলিহিল কারিম আম্মাবাদ।

    সম্মানিত দীনি ভাইইয়েরা আমার কয়েকেটি প্রশ্নের উত্তর আশা করি দিবেন।
    ১/কোন মুসলমানকে মারা জায়েজ?
    ২/কোন কাফেরকে মারা জায়েজ?
    ৩/জিহাদে যেতে কি পিতা মাতার অনুমতি লাগে?

    আসলে এসব প্রত্যেক মুসলিমকে জানা দরকার।আশা করি আপনারা সংক্ষিপ্ত হলে ও উত্তর দিবেন।

    আল্লাহু আকবার।ফি আমানিল্লাহ

  • #2
    শু’বাতুল উলামার সম্মানিত ভাইয়েরা আশা করি, প্রশ্নগুলোর বিস্তারিত/ সংক্ষিপ্তাকারে উত্তর জানাবেন, ইনশাআল্লাহ।
    نحن الذين بايعوا محمدا، على الجهاد ما بقينا أبدا

    Comment


    • #3
      ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
      অপেক্ষা করুন ভাই...আশা করি বিজ্ঞ ভাইয়েরা সাড়া দিবেন।
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        আমি আলিম না,তাই ভুল হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন এবং দয়া করে সংশোধন করে দিবেন
        প্রথম প্রশ্নের উত্তর:কোনো মুসলিমকে হত্যা করা যাবে না,তবে যদি মূত্যু শাস্তি যোগ্য অপরাধ করে,তাহলে হত্যা করতে হবে।যেমন:বিবাহিত হয়েও ব্যাভিচার করলে ইত্যাদি ।
        ৩য় প্রশ্নের উত্তর:বর্তমানে জিহাদ ফরজে আইন। তাই জিহাদের জন্য পিতা মাতার অনুমতি লাগে না।দাসের অনুমতি লাগে না,মুনিবের;ঋনগ্রস্থের অনুমতি লাগে না,ঋণদাতার;সন্তানের অনুমতি লাগে না,পিতা/মাতার।
        দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরটি আমি ভালোভাবে লিখতে পারবো না,তাই লিখলাম না।জাজাকাল্লাহ
        Last edited by Abdullah Pathan; 09-28-2020, 07:07 PM.

        Comment


        • #5
          ১/কোন মুসলমানকে মারা জায়েজ?
          যেসব কারণে একজন মুসলিম হত্যার উপযুক্ত হয়ে পড়ে- ইলম ও জিহাদ
          নিচের লিংকে দেখুন-
          https://dawahilallah.com/showthread....4142#post84142

          পিডিএফ: যেসব কারণে একজন মুসলিম হত্যার উপযুক্ত হয়ে পড়ে- ইলম ও জিহাদ
          ডাউনলোড লিংক-
          https://my.pcloud.com/publink/show?c...Y2A1xk85npbFBy
          “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

          Comment


          • #6
            ৩/জিহাদে যেতে কি পিতা মাতার অনুমতি লাগে?
            উত্তর:

            হাদিস শরিফে এসেছে,

            عن عبد الله بن عمرو، قال: قال رجل للنبي صلى الله عليه وسلم أجاهد؟ قال: «لك أبوان؟» قال: نعم، قال: «ففيهما فجاهد. –صحيح البخاري: 5972

            আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করল, আমি কি জিহাদে যাব? তিনি বললেন, তোমার পিতা-মাতা আছে? সে বলল হ্যাঁ। বললেন, তাহলে তাঁদের মাঝে (সেবায়) জিহাদ কর। -সহীহ বুখারী: ৫৯৭২

            عن عبد الله بن عمرو، قال: أتى رجل رسول الله – صلى الله عليه وسلم – فقال: يا رسول الله، إني جئت أريد الجهاد معك، أبتغي وجه الله والدار الآخرة، ولقد أتيت وإن والدي ليبكيان! قال: “فارجع إليهما، فأضحكهما كما أبكيتهما . –سنن ابن ماجه: 2782، وقال الارنؤوط: حديث حسن.

            আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং আখেরাতে জান্নাত লাভের আশায় আপনার সঙ্গে জিহাদে যাওয়ার ইচ্ছা নিয়ে এসেছি। আমি আমার পিতা-মাতাকে কাঁদিয়ে এসেছি। তিনি বললেন, তাঁদের নিকট ফিরে যাও এবং তাঁদের মুখে হাসি ফুটাও, যেভাবে তাঁদেরকে কাঁদিয়েছ।-সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৭৮২

            হাফেয ইবনে হাজার আসকলানী রাহিমাহুল্লাহ বলেন:

            قال جمهور العلماء: يحرم الجهاد إذا منع الأبوان أو أحدهما بشرط أن يكونا مسلمين، لأن برهما فرض عين عليه والجهاد فرض كفاية، فإذا تعين الجهاد فلا إذن. –فتح الباري: 6/140، دار المعرفة – بيروت.

            জুমহুর উলামায়ে কেরাম বলেছেন, পিতা-মাতা মুসলিম হলে, তাঁরা যদি জিহাদে যেতে নিষেধ করেন, তাঁদের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জিহাদে যাওয়া হারাম। কেননা তাঁদের সঙ্গে সদাচার করা ফরজে আইন; আর জিহাদ হল ফরজে কিফায়া। তবে জিহাদ ফরজে আইন হয়ে গেলে অনুমতি নেয়ার বিধান নেই। -ফাতহুল বারী: ৬/১৪০।

            এর কারণ, হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে,

            عن عبد الله بن عمرو أن رجلا جاء إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فسأله عن أفضل الأعمال، قال: فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: “الصلاة”. قال: ثم مه؟ قال ثم: “الصلاة” قال: ثم مه؟ قال: “ثم الصلاة” ثلاث مرات، قال: ثم مه؟ قال: “ثم الجهاد في سبيل الله” قال: فإن لي والدين، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: “آمرك بوالديك خيرا”، فقال: والذي بعثك نبيا لأجاهدن ولأتركنهما”. قال: فقال رسول الله، صلى الله عليه وسلم: “فأنت أعلم” -صحيح ابن حبان 1722، وقال الشيخ شعيب الأرنؤوط: إسناده حسن.

            “হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে উত্তম আমল সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন। জবাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (উত্তম আমল হল) ‘নামায’। ওই ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তারপর কি?’ রাসূল বললেন: ‘নামায’। আবার প্রশ্ন করলেন, ‘তারপর কি?’ রাসূল বললেন: ‘নামায’। এভাবে তিনবার বললেন। তারপর ওই ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তারপর কি?’ রাসূল বললেন: ‘তারপর জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ’। ওই ব্যক্তি বললেন: ‘আমার তো পিতা-মাতা আছে’। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: ‘আমি তোমাকে তোমার পিতামাতার সঙ্গে সদাচারের নির্দেশ দিচ্ছি’। ওই ব্যক্তি বললেন: ‘কসম সেই সত্তার, যিনি আপনাকে সত্য নবী হিসেবে পাঠিয়েছেন, আমি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করব এবং পিতামাতাকে ছেড়ে চলে যাব’। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: ‘তুমিই ভালো জান’।” –সহীহ ইবনে হিব্বান: ১৭২২

            ইমাম ইবনে হাজার আসকালানি রাহিমাহুল্লাহ (৮৫২ হি.) বলেন,

            وهو محمول على جهاد فرض العين اهـ. – فتح الباري: 6/180، مكتبة الصفا

            “হাদিসটি ফরজে আইন জিহাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।” –ফাতহুল বারি: ৬/১৮০



            এজন্যই ফুকাহায়ে কেরাম সুষ্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, জিহাদ ফরজে আইন হয়ে গেলে পিতা মাতার অনুমতি ব্যতীত জিহাদে বেরিয়ে পড়তে হবে।

            ইমাম কুরতুবী রহ. (মৃত্যু: ৬৭১ হি.) বলেন,

            وقد تكون حالة يجب فيها نفير الكل، وهي: الرابعة- وذلك إذا تعين الجهاد بغلبة العدو على قطر من الأقطار، أو بحلوله بالعقر، فإذا كان ذلك وجب على جميع أهل تلك الدار أن ينفروا ويخرجوا إليه خفافا وثقالا، شبابا وشيوخا، كل على قدر طاقته، من كان له أب بغير إذنه ومن لا أب له، ولا يتخلف أحد يقدر على الخروج، من مقاتل أو مكثر. فإن عجز أهل تلك البلدة عن القيام بعدوهم كان على من قاربهم وجاور هم أن يخرجوا على حسب ما لزم أهل تلك البلدة، حتى يعلموا أن فيهم طاقة على القيام بهم ومدافعتهم. وكذلك كل من علم بضعفهم عن عدو هم وعلم أنه يدركهم ويمكنه غياثهم لزمه أيضا الخروج إليهم، فالمسلمون كلهم يد على من سواهم، حتى إذا قام بدفع العدو أهل الناحية التي نزل العدو عليها واحتل بها سقط الفرض عن الآخرين. ولو قارب العدو دار الإسلام ولم يدخلوها لزمهم أيضا الخروج إليه، حتى يظهر دين الله وتحمى البيضة وتحفظ الحوزة ويخزى العدو. ولا خلاف في هذا. اهـ -تفسير القرطبي:8/151-152

            “কোনো কোনো অবস্থায় সকলের উপরই জিহাদে বেরিয়ে পড়া ফরজ হয়ে যায়। চতুর্থ মাসআলায় এটাই বর্ণনা করা উদ্দেশ্য। উক্ত অবস্থা হল, যখন কোনো (মুসলিম) ভূখন্ডে শত্রু দখলদারিত্ব কায়েম করে ফেলার কারণে বা কোনো ভূখন্ডে শত্রু ঢুকে পড়ার কারণে জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যায়। এমতাবস্থায় উক্ত ভূখন্ডে হালকা-ভারি, যুবক-বৃদ্ধ সকল অধিবাসীর উপর ফরজ, শত্রুর মোকবেলায় জিহাদে বেরিয়ে পড়া। প্রত্যেকে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী শত্রু প্রতিহত করবে। যার পিতা নেই সে তো যাবেই, যার পিতা আছে সেও পিতার অনুমতি ছাড়াই বেরিয়ে পড়বে। যুদ্ধ করতে সক্ষম কিংবা (অন্তত মুজাহিদদের) সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সক্ষম, এমন কেউ বসে থাকবে না। ওই অঞ্চলের অধিবাসীরা যদি শত্রু প্রতিহত করতে অক্ষম হয়, তাহলে উক্ত ভূখন্ডের অধিবাসীদের মতো তাদের নিকটবর্তী এবং প্রতিবেশীদের উপরও আবশ্যক জিহাদে বের হয়ে পড়া; যতক্ষণ না তারা বুঝতে পারবে যে, এখন তাদের শত্রু প্রতিহত করার এবং তাদেরকে বিতাড়িত করার সামর্থ্য অর্জন হয়েছে। তেমনি যে ব্যক্তিই জানতে পারবে যে, তারা শত্রু প্রতিহত করতে অক্ষম এবং সে বুঝতে পারছে, সে তাদের কাছে পৌঁছতে এবং তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম হবে; তার উপরই আবশ্যক সাহায্যের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়া। কারণ, সকল মুসলমান তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে এক হস্তের ন্যায়। তবে যে এলাকায় শত্রু আগ্রাসন চালিয়েছে, তারা নিজেরাই যদি শত্রু প্রতিহত করতে পারে, তাহলে অন্যদের উপর থেকে ফরজ রহিত হয়ে যাবে। যদি এমন হয় যে, শত্রুরা দারুল ইসলামের নিকটবর্তী হয়ে গেছে, কিন্তু এখনও দারুল ইসলামে আগ্রাসন চালায়নি, তাহলেও তাদের উপর ফরজ শত্রু প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়া। যাতে আল্লাহর দ্বীন বিজয়ী থাকে, ইসলামী ভূখন্ড সংরক্ষিত থাকে এবং শত্রু অপদস্থ ও পরাস্ত হয়। এ বিষয়ে কারো কোনো দ্বিমত নেই।” -তাফসীরে কুরতুবী: ৮/১৫১-১৫২



            শামসুল আইম্মাহ সারাখসী রহ. (মৃত্যু: ৪৯০ হি.) বলেন,

            فأما إذا جاء النفير عاما فقيل لأهل مدينة: قد جاء العدو يريدون أنفسكم أو ذراريكم أو أموالكم، فلا بأس بأن يخرج بغير إذن والديه؛ لأن الخروج في مثل هذه الحالة فرض عين على كل واحد، قال الله تعالى {انفروا خفافا وثقالا} [التوبة: ৪১] . وما يفوته بترك هذه الفريضة لا يمكنه استدراكه، وما يفوته بالخروج بغير إذن الوالدين يمكنه استدراكه بعد هذا؛ فيشتغل بما هو الأهم، ولأن الضرر في تركه الخروج أعم، فإن ذلك يتعدى إليه وإلى والديه وإلى غيرهم من المسلمين، ولأنه لا يحل لوالديه أن ينهياه عن هذا الخروج، فيكون له أن يخرج ليسقط به الإثم عنهما، ولا طاعة لهما عليه فيما كانا عاصيين فيه. اهـ -شرح السير الكبير: 1/199

            “আর যখন নফিরে আমের অবস্থা সৃষ্টি হয়, যেমন কোনো শহরবাসীকে বলা হল, ‘শত্রু এসে পড়েছে; তোমাদের জান, মাল ও পরিবার পরিজনের উপর আগ্রাসন চালাতে চাচ্ছে’ তখন সন্তান তার পিতা মাতার অনুমতি ছাড়া জিহাদে বের হতে কোনো অসুবিধা নেই। কেননা এ অবস্থায় জিহাদে বের হওয়া প্রত্যেকের উপর ফরজে আইন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- ‘তোমরা হালকা-ভারী উভয় অবস্থায় যুদ্ধে বের হও।’ (সূরা তাওবা: ৪১)। তাছাড়া এই ফরজ ছেড়ে দেয়ার দ্বারা যে ক্ষতি হবে, তা আর পূরণ করা সম্ভব হবে না; কিন্তু পিতা মাতার অনুমতি ছাড়া বের হওয়ার দ্বারা যা ছুটবে, তা পরে পুষিয়ে নেয়া যাবে। তাই যেটা অধিক গুরুত্বপূর্ণ সেটাই করবে। তাছাড়া জিহাদ ছেড়ে দেয়ার ক্ষতি ব্যাপক ও বিস্তৃত। এ ক্ষতি তার ব্যক্তি থেকে পিতা মাতা এবং অন্যান্য সকল মুসলমান পর্যন্ত গড়াবে। তাছাড়া এ সময় জিহাদে বের হতে নিষেধ করাও তার পিতা মাতার জন্য জায়েয নয়। তাই তার বের হওয়ার দ্বারা যেন পিতা মাতা (ফরজ আদায়ে বাধা দানের) গুনাহ থেকে রক্ষা পায়, এজন্যও বের হতে পারবে। আর যেখানে তারা (আল্লাহ তাআলার) নাফরমানি করবে, সেখানে তাদের আনুগত্য করা তার দায়িত্ব নয়।” -শরহুসসিয়ারিল কাবীর: ১/১৯৯



            ফাতাওয়া তাতারখানিয়াতে এসেছে,

            والمرأة تخرج بغير إذن زوجها، والولد بغير إذن أبويه، ولا يحل منعهم من ذلك حتى يزول الخوف منهم اهـ. –الفتاوى التاتارخانية: 7/9

            “মহিলা তাঁর স্বামীর অনুমতি ব্যতীত বের হয়ে পড়বে, সন্তান তাঁর পিতামাতার অনুমতি ব্যতীত বের হয়ে পড়বে। এবং শত্রুভয় দূর হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে বের হতে নিষেধ করা জায়েয হবে না।” –তাতারখানিয়া: ৭/৯

            আরও দেখুন: রদ্দুল মুহতার: ৪/১২৭, দারুল ফিকর; আলবাহরুর রায়িক: ৫/৭৮, দারুল কিতাবিল ইসলামী; আলমুগনী: ১২/৪৪৪, দারুল হাদিস; মুগনিল মুহতাজ: ৬/২৪, দারুল হাদিস; মাওয়াহিবুল জালিল: ৪/৫৪১, দারুল কুতুবিল ইলমিয়া।



            উল্লেখ্য, ফুকাহায়ে কেরামের উপরোক্ত বক্তব্যগুলো, যেগুলোতে তাঁরা বলেছেন, জিহাদ ফরজে আইন হয়ে গেলে সব কিছু বাদ দিয়ে তাৎক্ষণিক জিহাদে বেরিয়ে পড়তে হবে; পিতা মাতার অনুমতিও লাগবে না- তা দ্বারা উদ্দেশ্য হল, যখন শত্রুরা মুসলিমদের ওপর আক্রমণ করে বসে বা তাদের ভূমিতে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার আগের কোনো স্তরে থাকে, এখনো দখল ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মুসলিমরা তৎপর হলেই তাদের প্রতিহত করা সম্ভব।

            কিন্তু আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি এমন নয়। বরং এখানে শত্রুরা আমাদের ওপর বিজয় লাভ করে দখল ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করে নিয়েছে এবং আমরা এত দুর্বল স্তরে পৌঁছেছি যে, তাদের বিরুদ্ধে ফিলহাল আমাদের জিহাদের পূর্ণ সামর্থ্য নেই। এই পরিস্থিতিতে জিহাদ ফরজে আইন ঠিক, কিন্তু এই মুহূর্তে বেরিয়ে পড়া জরুরি নয়; বরং সামর্থ্য অর্জন করা পর্যন্ত জিহাদ বিলম্বিত করার সুযোগ আছে। এখন মূল দায়িত্ব হচ্ছে জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করা। ফরজের এই প্রস্তুতি পর্বটা যেহেতু পিতা মাতার খেদমতের ফরজের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়, এজন্য জিহাদের প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের খেদমতের ফরজও আদায় করে যেতে হবে। তাঁদেরকেও জিহাদি কাজে শরিক করার চেষ্টা করতে হবে।

            والله أعلم بالصواب

            উত্তর প্রদানে-
            আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
            Last edited by Munshi Abdur Rahman; 09-28-2020, 06:36 PM.
            “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

            Comment


            • #7
              উল্লেখ্য, ফুকাহায়ে কেরামের উপরোক্ত বক্তব্যগুলো, যেগুলোতে তাঁরা বলেছেন, জিহাদ ফরজে আইন হয়ে গেলে সব কিছু বাদ দিয়ে তাৎক্ষণিক জিহাদে বেরিয়ে পড়তে হবে; পিতা মাতার অনুমতিও লাগবে না- তা দ্বারা উদ্দেশ্য হল, যখন শত্রুরা মুসলিমদের ওপর আক্রমণ করে বসে বা তাদের ভূমিতে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার আগের কোনো স্তরে থাকে, এখনো দখল ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মুসলিমরা তৎপর হলেই তাদের প্রতিহত করা সম্ভব।

              কিন্তু আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি এমন নয়। বরং এখানে শত্রুরা আমাদের ওপর বিজয় লাভ করে দখল ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করে নিয়েছে এবং আমরা এত দুর্বল স্তরে পৌঁছেছি যে, তাদের বিরুদ্ধে ফিলহাল আমাদের জিহাদের পূর্ণ সামর্থ্য নেই। এই পরিস্থিতিতে জিহাদ ফরজে আইন ঠিক, কিন্তু এই মুহূর্তে বেরিয়ে পড়া জরুরি নয়; বরং সামর্থ্য অর্জন করা পর্যন্ত জিহাদ বিলম্বিত করার সুযোগ আছে। এখন মূল দায়িত্ব হচ্ছে জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করা। ফরজের এই প্রস্তুতি পর্বটা যেহেতু পিতা মাতার খেদমতের ফরজের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়, এজন্য জিহাদের প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের খেদমতের ফরজও আদায় করে যেতে হবে। তাঁদেরকেও জিহাদি কাজে শরিক করার চেষ্টা করতে হবে।
              মাসয়ালার এ অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এব্যাপারে আমাদের অনেক ভাই বিভ্রান্তির শিকার। অথচ এটিই আমাদের মাশায়েখদের মতোয়া। আমি এ ব্যাপারে তিনটি ফতোয়ার সারাংশ পেশ করছি। ভবিষ্যতে সুযোগ হলে ফতোয়াগুলোর পূর্ণ অনুবাদ পেশ করবো ইনশাআল্লাহ।

              ক. অসুস্থ বাবা-মাকে ফেলে রেখে জিহাদে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়,

              “যদি শত্রু আপনাদের দেশ আক্রমন করে তাহলে সকলের জন্য জিহাদে বের হওয়া এবং যথাসম্ভব শত্রুদের প্রতিহত করা ফরয। এক্ষেত্রে কারো অনুমতির প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি আপনি অন্য কোন ভূমিতে জিহাদ করতে যেতে চান এবং আপনার পিতামাতার দেখাশোনা করার মত কেউ না থাকে এবং তাদের অসহনীয় কষ্ট হওয়ার আশংকা হয় এবং মুজাহিদদের আপনার মত লোকদের বা আপনার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার তাদের প্রয়োজন না থাকে, তাহলে আপনি বাবা-মার পাশে থেকে অন্যান্য পন্থায় দ্বীনের সাহায্য করতে পারেন, কেননা তা যে কোন স্থানে থেকেই করা সম্ভব। ইনশাআল্লাহ এতে আপনি জিহাদের সওয়াবও পেয়ে যাবেন- যদি আপনার নিয়্যাত বিশুদ্ধ হয়। (মিম্বারুত তাওহিদের প্রশ্নোত্তর, ১/৮০ প্রশ্ন নং-131)


              استفسار حول النفير في سبيل الله ... رقم السؤال: 131
              بسم الله الرحمن الرحيم ... اريد ان اسال هل النفير للجهاد في هذا العصر يحق له العذر وبالنسبة لي فوالدي مريض ووالدتي مريضة واخشى اذا تركتهما ان يصيبهما مكروه شديد ولي اخ اصغر مني بعامين ولكن سيدخل الجيش الطاغوتي قريبا لقضاء ما يسمى بالخدمه العسكريه. فهل يجوز النفير في ظل تلك الحاله اقصد واحد يقعد والاخر يذهب ام نقعد نحن الاثنان؟ ... ارجو الاجابة
              السائل: عباقرة الجهاد
              المجيب: اللجنة الشرعية في المنبر
              أخي السائل بارك الله فيك ... ... إن كان العدو قد حل بأرضكم فلا عذر لأحد وقتها في النفير إلى الجهاد ودفع العدو بقدر المستطاع ولا إذن لأحد على أحد اما إن كنت تريد النفير إلى أرض أخرى ولا يوجد من يرعى والديك حقا سواك وتخشى عليهما المكروه الشديد كما ذكرت ولا يستطيع أخوك القيام بحاجتهما أبدا ولم تتعين حاجة المجاهدين إلى أمثالك أو خبرتك فعندها لا حرج عليك من البقاء إلى جانب والديك إلى حين أن ييسر الله لك ما يشاء، وتعمل في نصرة الدين بأبواب أخرى كثيرة متيسرة في كل مكان، ويكتب لك أجر المجاهد إن شاء الله إن صدقت النية وهذا إعمالا لقاعدة تعارض الواجبات ... ... أما إن كان أخوك بإمكانه أن يقوم على حاجة أبويك بحيث تأمن عليهما فيقدم النفير إلى أرض الجهاد ولا شك وكذا إن كان نفيرك مما يقوي شوكة المجاهدين لخبرة أو علم هم بحاجة إليه ... ... هذا مع تقرير أن الأصل أن جهاد الدفع لا إذن فيه لوالد على ولده ... وأنه إذا عجز أهل بلد ما عن دفع العدو الصائل فإن فرضية العين تتنتقل إلى من يجاورهم وهكذا حتى تحصل الكفاية ... ... ونذكرك أن تنصح أخاك أن يحاول التهرب من الخدمة العسكرية في الجيش الطاغوتي ما استطاع إلى ذلك سبيلا ... والله أعلم
              أجابه، عضو اللجنة الشرعية: ... الشيخ أبو أسامة الشامي

              খ. জিহাদে যেতে আগ্রহী এক ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির প্রশ্নের জবাবে বলা হয়,

              “যদি শত্রু আপনার দেশ আক্রমণ করে কিংবা মুজাহিদদের আপনার প্রয়োজন থাকে তাহলে ঋণ পরিশোধ করতে না পারলেও আপনি জিহাদে অংশগ্রহণ করবেন। আর যদি শত্রু আপনার দেশ আক্রমণ না করে এবং নির্দিষ্ট কোন ভূমিতে মুজাহিদদের আপনার প্রয়োজনও না থাকে তাহলে আপনি নিজ স্থানে থেকেই দ্বীনের সাহায্য করুন- কেননা দ্বীনের সাহায্য করার বিভিন্ন পন্থা রয়েছে- এবং ঋণ পরিশোধ করার চেষ্টা করুন। এটাই আমাদের নিকট অধিক পছন্দনীয়, যেন মুজাহিদদের ব্যাপারে মানুষের হক নষ্ট করার অপবাদ আরোপ না হয়। ঋণ পরিশোধ হয়ে গেলে আপনি জিহাদে অংশগ্রহণ করবেন।” (মিম্বারুত তাওহিদের প্রশ্নোত্তর, ১/৬৭ প্রশ্ন নং: ১৫৬)


              علي ديون واريد ان اجاهد في سبيل الله ... رقم السؤال: 156
              السلام عليكم ورحمة الله وبركاتة ... اريد ان أخرج للجاهد في سبيل الله ولكن على ديون من المال ولا استطيع ان اسددة كامل ... هل اخرج للدفاع عن بلاد المسلمين في سبيل الله
              السائل: ابوزرعة الأزدي
              المجيب: اللجنة الشرعية في المنبر
              وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته ... إذا كان الجهاد فرض عين في حالة من الحالات المعروفة، فمن عليه دين يخرج للجهاد ولا يجب عليه أن يستأذن صاحب الدَّين. ... وإذا كان الجهاد فرض كفاية كجهاد طلب الأعداء فإنه لا يجوز الخروج إلا بإذن صاحب الدَّين، فإن أذَنِ له خرج، وإن لم يأذن لم يخرج، إلا إن ترك وفاء لدينه أو وثقة برِهَنْ أو أقام ضامنا فلا يلزم إذن المدين. ... قال ابن قدامة رحمه الله " ومن عليه دين حال أو مؤجل لم يجز له الخروج إلى الغزو إلا باذن غريمه إلا أن يترك وفاء أو يقيم به كفيلا أو يوثقه برهن وبهذا قال الشافعي ورخص مالك في الغزو لمن لا يقدر على قضاء دينه لأنه لا تتوجه المطالبة به ولا حبسه من أجله فلم يمنع من الغزو كما لو لم يكن عليه دين ... ولنا أن الجهاد تقصد منه الشهادة التي تفوت بها النفس فيفوت الحق بفواتها وقد جاء أن [رجلا جاء الى رسول الله صلى الله عليه و سلم فقال: يا رسول الله ان قتلت في سبيل الله صابرا محتسبا تكفر عن خطاياي؟ قال: نعم إلا الدين فان جبريل قال لي ذلك] رواه مسلم ... وأما إذا تعين عليه الجهاد فلا إذن لغريمه لأنه تعلق بعينه فكان مقدما على ما في ذمته كسائر فروض الأعيان ولكن يستحب له أن لا يتعرض لمظان القتل من المبارزة والوقوف في أول المقاتلة لأن فيه تغريرا بتفويت الحق وإن ترك وفاء أو أقام كفيلا فله الغزو بغير إذن نص عليه أحمد فيمن ترك وفاء لأن [عبد الله بن حرام أبا جابر بن عبد الله خرج إلى أحد وعليه دين كثير فاستشهد وقضاه عنه ابنه بعلم النبي ولم يذمه النبي صلى الله عليه وسلم على ذلك ولم ينكر فعله بل مدحه قال: ما زالت الملائكة تظله بأجنحتها حتى رفعتموه وقال لابنه جابر: أشعرت أن الله أحيا أباك وكلمه كفاحا] " أ. هـ. ... فإن كان العدو حل بأرضك او تعينت حاجة المجاهدين إليك فجاهد وإن لم تجد ما يكفي سداد دينك ... وإن لم يكن قد حل بأرضك ولم تتعين حاجة المجاهدين في بقعة معينة لأمثالك فانصر دين الله حيث كنت فأبواب ذلك كثيرة واجتهد في سداد دينك أواسع لتجد كفيلا أو ما يمكن أن يسد عنك فهذا أحب إلينا كي لا ينسب للمجاهدين أنهم يضيعيون حقوق الناس ثم اسع للجهاد .. ... وفقك الله ...
              أجابه، عضو اللجنة الشرعية: ... الشيخ أبو أسامة الشامي

              গ. আমেরিকা ইরাকে হামলা করলে দুই ইরাকী তালিবুল ইলম প্রশ্ন করেন, তারা কি জিহাদ করবেন না ইলম শিখতে থাকবেন, এর উত্তরে বলা হয়, “জিহাদ কখনোই ইলম অর্জন করার পরিপন্থি নয়। সুতরাং আপনাদের একই সময়ে জিহাদ ও ইলম অর্জন চালিয়ে যেতে হবে”। (মিম্বারুত তাওহিদের প্রশ্নোত্তর, ১/২৮০-২৮১ প্রশ্ন নং: ৪৯৬)

              نحن طلبة علم هل تنصحوننا بالجهاد أم مواصلة طلب العلم في العراق؟؟ رقم السؤال: 496
              السلام عليكم ورحمة الله وبركاته ... : نحن أخوين في الله ويبلغ أحدنا 20 عاماً والأخر 21 عاماً ونحن نسكن في العراق ونريد الجهاد ولكننا طلاب علم ونحن قادرون على الجهاد بإذن الله ولكن هناك بعض المعوقات مثل الأهل والأقرباء فهم لا يرضون بأن نقوم بهذه الأعمال خوفا علينا وخوفاً من زمرة الكفرة والمرتدين وقد حصلت بيننا خلافات كثيرة أدت في بعض الأحيان إلى براءة والدينا منا إن شاركنا في الجهاد والمعلوم إن الجهاد في العراق هو جهاد دفع وهو واجب على كل مسلم غيور على دينه وعلى عقيدته ونحن أيضاً كما قلنا أنفاً طلاب علم فهل الواجب منا متابعة تحصيلنا للعلم مع عدم الجهاد أم الجهاد في سبيل الله وما هو حكم من يمنع الجهاد. أفيدونا أفادكم الله
              السائل: أبو سندس التلعفري
              المجيب: اللجنة الشرعية في المنبر
              وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته أخي السائل حفظك الله - لا شك أن الواجب عليك وعلى أخيك هو الجهاد خاصة وأنكما تقدران عليه، وهذا عليه إجماع علماء المسلمين في البلد التي يدهمها ويحتلها العدو المحارب؛ وما ذكرته من معارضة اهلكما وبراءة والديكما منكما ليس مبررا لكما لترك الجهاد؛ بل الواجب عليكما أن تعصيا أمر والديكما في ذلك وتجاهدا في سبيل الله لأن الطاعة إنما هي بالمعروف، وما أمراكما به معصية لله لا تجوز طاعتهما فيه؛ كما لو امراكما بترك الصلاة والصيام! كيف وقد حضر العدو بلدكم وانتهك الأعراض ودمر البلاد والعباد؟ فوالله إنكما لفي نعمة أن احياكما الله حتى ادركتما هذا الجهاد العظيم الذي لا يقوم به إلا من وفقه الله وأراد له الخير، ولا شك أن القائم به في هذا الزمن هم الطائفة المنصورة، وإذا كان المجاهدون ينفرون من تونس والمغرب والجزائر والشام والجزيرة واليمن للجهاد في بلدكم ومصاولة أعداء الله، فكيف تكونان أقل حرصا على الجهاد والاستشهاد من اولئك الأشاوس وأنت في وسط الميدان؟! وأما حديثك عن طلب العلم والجهاد فالجهاد لا يتعارض مع العلم البتة، بل عليك ان تجاهد وتطلب العلم في الوقت نفسه، واعلم أن الله سيفتح عليكما من الفهم والعلم والبركة في ميدان الجهاد ما لن تجداه في غير الجهاد لقوله تعالى " والذين جاهدوا فينا لنهدينهم سبلنا "، وإذا كان طلاب العلم سيستنكفون عن الجهاد بحجة طلب العلم وقد حل العدو بدارهم فمن للجهاد إذن؟ فاتق الله أخي وعاجل وبادر إلى الالتحاق بصفوف إخوانك المجاهدين وناصرهم بقولك وعلمك ونفسك، وهم من يقدر لك الأمور ويختار لك في مرحلة معينة الأفضل للجهاد والأنفع للمجاهدين، من مواصلة طلب العلم لحاجتهم مثلا أو الانخراط بالجهاد أو غيره، وتذكر سير أبطال العلماء عندكم كأبي أنس الشامي رحمه الله وغيرهم ممن لم تعطلهم دعوى طلب العلم عن اللحاق بركب الجهاد ... نسأل الله لك التوفيق.
              أجابه، عضو اللجنة الشرعية: الشيخ أبو أسامة الشامي
              الجهاد محك الإيمان

              জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

              Comment

              Working...
              X