Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ১০ ই ছফর , ১৪৪১ হিজরী # ২৮ সেপ্টেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ১০ ই ছফর , ১৪৪১ হিজরী # ২৮ সেপ্টেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

    প্রকল্প বাস্তবায়নে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে ব্যাপকভাবে

    প্রকল্প বাস্তবায়ন খরচে দিন দিন শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। নানাভাবে খরচের খাত দেখিয়ে ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে। প্রকল্পে যানবাহনের প্রয়োজন না থাকলেও কেনা হচ্ছে। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের জেলা কক্সবাজারের জন্য মহাপরিকল্পনা করতেই প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচে ১১টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে।

    পাশাপাশি কারিগরি কমিটির সদস্য করা হচ্ছে ৮৭ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে। আর মহাপরিকল্পনা তৈরিতে দুটি খাতে পরামর্শক ব্যয় ১৭৪ কোটি টাকার প্রস্তাব গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের। প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

    গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনার তথ্য থেকে জানা গেছে, কক্সবাজারে পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ভূমি ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও পর্যটন শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন এবং ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। পর্যটন খাতের উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা, পরীবিক্ষণ এবং এর দীর্ঘ স্থায়িত্বের জন্য এই নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ।

    গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় হতে কক্সবাজারের একটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের জন্য ২০১৭ সালের ১৮ জুলাই একটি পত্র জারি করা হয়। পরবর্তীতে একনেক সভা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও কক্সবাজারের মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের জন্য গুরুত্ব দেয়া হয়। তিন বছরে এই মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য ২০৯ কোটি ৯৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়।

    পটভূমিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন স্থান। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতটি কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ এবং দেশের সর্বদক্ষিণের শেষ বিন্দু পর্যন্ত বিস্তৃত। মনোমুগ্ধকর ল্যান্ডস্কেপিং, পাহাড়, নদী, বন, সব মিলিয়ে এটি দেশী ও বিদেশী পর্যটকদের জন্য একটি অন্যতম পর্যটন স্থান। কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় পরিমণ্ডলে কক্সবাজার গুরুত্বপূর্ণ।

    প্রকল্পের আওতায় কার্যক্রমগুলো হলো- সার্ভে ও ডাটা কালেকশন, কনসালটেশন, সেমিনার ও কনফারেন্স, দেশীয় ও বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, মৌজার সিট ও স্যাটেলাইট ইমেজ ক্রয়, জিআইএস ও প্ল্যানিং ল্যাব স্থাপন, সার্ভে ইক্যুইপমেন্ট ক্রয়, কম্পিউটার ক্যামেরা ও এক্সেসরিজ ক্রয়, মেশিনারিজ, অফিস ইক্যুইপমেন্ট ও আসবাবপত্র ক্রয়, ১টি জিপ, ২টি ডাবল কেবিন পিকআপ, একটি মাইক্রোবাস, ৫টি মোটরসাইকেল ও ২টি স্পিডবোট ক্রয়সহ আনুষঙ্গিক কাজ।

    প্রকল্পের ব্যয় বিভাজন থেকে দেখা যায়, সমীক্ষা প্রকল্পে ৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি জিপ, ২টি ডাবল কেবিন পিকআপ, ১টি মাইক্রোবাস, ২টি স্পিডবোট, ৫টি মোটরসাইকেল ক্রয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। এখানে মোট ১১টি যানবাহন কেনার প্রস্তাব। আর মোটর ভেহিক্যাল মেরামত খাতে ১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। ৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ধরা হয়েছে কনসালটেশন, সেমিনার ও কনফারেন্স খাতে। আবার সার্ভে ও ডাটা কালেকশনের কনসালটেন্ট খাতে ব্যয় ১৭০ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার টাকা। প্রিন্টিং ও বাইন্ডিং খাতে ৮৮ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবের পর আবার পাবলিকেশন খাতে ১ কোটি ৬৯ লাখ ২০ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। সার্ভে ও ডাটা কালেকশনের আওতায় মৌজা ম্যাপ সংগ্রহ এবং প্রসেসিং বাবদ ২ কোটি ৫৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকার সংস্থাপন থাকলেও আবার মৌজার সিট কেনার জন্য আলাদাভাবে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা রাখা হয়েছে।

    প্রকল্প দলিলে ৮৭ জনের বেশি সংখ্যক সদস্য নিয়ে টেকনিক্যাল বা কারিগরি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন উল্লেখ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য অনধিক ১০ সদস্য বিশিষ্ট টেকনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ।

    কমিশনের এই বিভাগটি বলছে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে প্রকল্পের কর্মকর্তাদের বৈদেশিক প্রশিক্ষণ বাবদ ১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ট্রাভেল ও ট্রান্সফার বাবদ ৫৮ লাখ টাকা প্রকল্প দলিল থেকে বাদ দেয়া আবশ্যক। তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা অত্যধিক।

    বিভিন্ন কমিটির সম্মানী বাবদ ব্যয় ৯২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা অধিক। এই সব খাতের ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনা আবশ্যক। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অফিস থাকা সত্ত্বেও কক্সবাজারে প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিট অফিস ভাড়া বাবদ ৯৯ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে, যা যৌক্তিকভাবে বাদ দেয়া বাঞ্ছনীয়।
    নয়া দিগন্ত
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    বিচার চাইতে গিয়ে চেয়ারম্যান কর্তৃক ধর্ষিত হলো তরুণী

    ঢাকার আশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবরের (৫০) নামে আদালতে ধর্ষণ মামলা করেছেন এক তরুণী। তাঁর অভিযোগ, একজনের কাছে পাঁচ লাখ টাকা পেতেন তিনি। ওই টাকা উদ্ধারের আশায় বিচার চাইতে গিয়েছিলেন চেয়ারম্যানের কাছে। গিয়ে উল্টো চেয়ারম্যানের হাতে ধর্ষণের শিকার হলেন।

    গতকাল রবিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে মামলাটি করা হয়। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন শাহাবুদ্দিনের শ্যালক মো. আলমগীর (৩৮) ও পিএস সবুজ সিকদার (৩৫)। আদালত এদিন বাদীর জবানবিন্দ গ্রহণ শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

    মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ওই তরুণী আশুলিয়া বাজারের সালাউদ্দিন আহম্মেদ শাওন নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা পান। অনেক দিন হয়ে গেলেও ওই টাকা ফেরত দিচ্ছেন না শাওন। তাই গত ২২ সেপ্টেম্বর এক আত্মীয়কে নিয়ে বিচার চাইতে চেয়ারম্যানের কাছে ইউনিয়ন পরিষদে যান ওই তরুণী। সেখানে চেয়ারম্যানকে না পেয়ে তাঁর বাড়িতে যান তাঁরা। অভিযোগ শুনে চেয়ারম্যান ওই নারীকে পাওনা টাকা ফেরত পেতে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।

    পরে তাঁরা চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে বের হয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু চেয়ারম্যানের শ্যালক আলমগীর ও পিএস সবুজ সিকদার তাঁদের পথরোধ করে বলেন, ‘তোমাদের আগমন সন্দেহজনক।’ এবং তরুণীর কথায় কান না দিয়ে তাঁদের মারধর করেন তাঁরা। পরে ওই তরুণীকে ইউনিয়ন পরিষদের রুমের ভেতরে আটকে রাখেন। দুপুরে শাহাবুদ্দিন রুমে ঢুকে তরুণীকে মারধর করেন এবং পুলিশে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন। শাহাবুদ্দিন রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আলমগীর ও সবুজ তাঁর ওপর যৌন নির্যাতন চালান।

    এ বিষয়ে চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
    কালের কন্ঠ
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আওয়ামী ছাত্রলীগের নৃশংসতার শেষ কোথায়?

      অপরাধপ্রবণতা কোন পর্যায়ে গেছে, তা গত কয়েক দিনের বিশ্লেষণেই বোঝা যাচ্ছে। সর্বশেষ স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। অপরাধ যারা করেছে, তারা ছাত্রলীগের কর্মী। ঘটনাটি ঘটে সিলেটে। এমসি কলেজের ফটকটি সিলেট-তামাবিল সড়কের পাশেই। অনেকেই সেখানে ঘুরতে যান। স্ত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তাদের দুজনকে গাড়িসহ তুলে নিয়ে যায়। তুলে নেওয়ার পর ছাত্রাবাসের একদম পেছনে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।
      চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিস্তর অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেশ কয়েকটি নিষ্ঠুর ও নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ছাত্রলীগের নাম। প্রায় ১২ বছর ধরে ছাত্রলীগ মূলত আলোচনায় এসেছে হত্যা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ধর্ষণ কিংবা টেন্ডারবাজির কারণে। এর আগে বগুড়ায় ধর্ষণ এবং পরে ধর্ষণের শিকার মেয়ে ও মাকে সালিশের নামে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। খাদিজা আক্তার নারগিসকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নারগিসকে সে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল।

      ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের খবর যত বেশি পাওয়া যায়, এসব অপরাধের দায়ে অপরাধীদের শাস্তির দৃষ্টান্ত এর চেয়ে অনেক কম। অপরাধ করে পার পাওয়া যায়- এ ধরনের বিশ্বাস থেকে অপরাধীরা অপরাধকর্মে লিপ্ত হয়। এটি শুধু পেশাদার অপরাধীদের ক্ষেত্রে নয়, যে কোনো সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে। তাই ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংস অপরাধের রাস টেনে ধরার জন্য প্রথম কর্তব্য এসব অপরাধের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগে গতি সঞ্চার করা। অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। একটির পর একটি ধর্ষণ খবরের সমান্তরালে যদি একটির পর একটি শাস্তির খবরও নিশ্চিত করা যায়, তা হলে ধর্ষণপ্রবণতা হ্রাস পাবে বলে আমাদের বিশ্বাস। যখন যা খুশি মনে হচ্ছে, তখন সেটিই তারা করছে। ছাত্রলীগ বা যুবলীগ পরিচয়ের দৌরাত্ম্য এভাবে তো চলতে পারে না। ছাত্রলীগের লাগাম টেনে ধরার জন্য কঠোর শাস্তির বিকল্প নেই। কিন্তু কে করবে এ কাজ? যখন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর মুখেও শোনা যায় এই সন্ত্রাসীদের স্তুতি, তখন সাধারণ জনগণ কোথায় যাবে?

      আমাদের সময়
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        কাশ্মীর মোদির বিস্তৃত মুসলিম-বিদ্বেষী এজেন্ডার ক্ষুদ্র অংশ মাত্র: এইচআরডাব্লিউ

        পশ্চিমা দেশগুলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলোতে কথা না বলায় মুসলিম-বিরোধী এজেন্ডাগুলো আরও জোরেসোরে প্রয়োগের ব্যাপারে শক্তি পেয়েছেন মোদি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) এ কথা বলেছেন।

        হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক কেনেথ রথ এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো চীনের শক্তি ও প্রভাব মোকাবেলার জন্য ভারতকে ব্যবহার করতে চায়, এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট মানবাধিকার ইস্যুতে যেভাবে নীতিহীনভাবে অগ্রসর হয়েছেন, সে বিষয়গুলো মুসলিম নাগরিকদের মানবাধিকার দমনের ক্ষেত্রে ভারতের নেতাকে শক্তি দিয়েছে।

        নিউজউইকে দেয়া সাক্ষাতকারে এ সব মন্তব্য করেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক।

        পশ্চিমা দেশগুলোর নিরবতা মোদিকে শক্তি দিয়েছে

        রথ আরও বলেন, “মোদি মূলত তার মুসলিম-বিদ্বেষী এজেন্ডা এবং বিক্ষোভ দমনের ইস্যুতে পার পেয়ে গেছেন। এই ইস্যুতে পশ্চিমাদের সমালোচনা না থাকায় সেটা তাকে আরও শক্তিশালী করেছে”।

        তিনি বলেন, মুসলিমদের বিরুদ্ধে মোদির প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য এবং মুসলিম বিরোধী সহিংসতার ব্যাপারে তার সহিষ্ণু মনোভাবের কারণেই এগুলো এভাবে চলতে পারছে।

        প্রতিবেদনে বলা হয় ২০০২ সালে গুজরাটে মুসলিম-বিরোধী গণহত্যায় ভূমিকার কারণে ব্রিটেন আর যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হন বিজেপির মালাউন মোদি। ওই গণহত্যায় এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।

        এতে বলা হয়, “মোদি সে সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং মুসলিমবিরোধী গণহত্যা তিনি ঘটতে দিয়েছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে”।

        রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, মোদি যে নাগরিকত্ব আইন পাস করেছেন, জাতিসংঘ সেটাকে ‘মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

        ভারতের সেক্যুলার সংবিধানের বিরুদ্ধে গিয়ে এই নাগরিকত্ব আইনে ভারতের প্রতিবেশী তিনটি দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেয়ার বিধান করা হয়েছে, কিন্তু মুসলিমদেরকে সেখানে বাদ দেয়া হয়েছে।

        কাশ্মীর মোদির বিস্তৃত মুসলিম-বিদ্বেষী এজেন্ডার একটা অংশ মাত্র

        কাশ্মীরে ভারতের পদক্ষেপের ব্যাপারে রথ বলেন, “কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল, সেখানে ভিন্নমতের বিরুদ্ধে ষাঁড়াশি অভিযান, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া, এই সব কিছুই বিজেপির আরও বড় মুসলিমবিরোধী এজেন্ডার অংশ মাত্র। মোদি হয় সক্রিয়ভাবে এতে অংশ নেন, অথবা এগুলোকে স্বাধীনভাবে ঘটতে দেন।

        প্রতিবেদন অনুযায়ী, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ উল্লেখ করেছে যে, গো রক্ষার নামে ক্ষমতাসীন বিজেপি সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হামলাকে উৎসাহিত করেছে।

        রথ উল্লেখ করেন যে, মূলত পুঁজিবাদী কারণেই পশ্চিমা দেশগুলো এ ব্যাপারে ভারতকে কিছু বলেনি।

        তিনি বলেন, “কাশ্মীর আরও বড় মুসলিম-বিরোধী এজেন্ডার একটা অংশ মাত্র, পশ্চিমারা যেটা অগ্রাহ্য করে যাচ্ছে। ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি, গুরুত্বপূর্ণ দেশ। চীনের সাথে পশ্চিমাদের উত্তেজনা বাড়ছে এবং চীনের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় যেহেতু ভারতকে মিত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে, সে কারণে ভারতের ব্যাপারে সমালোচনার মাত্রা কমিয়ে এনেছে পশ্চিমারা”।

        মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে* মোদির সাথে কথা বলার ব্যাপারে ট্রাম্প পুরোপুরি অনাগ্রহী:

        “হাতে গোনা কিছু প্রতিপক্ষ দেশ ছাড়া অন্য কোন দেশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে কথা বলতে ট্রাম্প মোটেই আগ্রহী নন। এই দেশগুলো হলো চীন, ভেনেজুয়েলা, ইরান, নিকারাগুয়া এবং কিউবা। মানবাধিকারের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান সম্পূর্ণ নীতিহীন”।

        সূত্র: জিভিএস
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          মালাউন প্রশান্ত কুমার হালদার মেরে দিয়েছেন ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি

          চারটি নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) থেকে প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার এবং তার সহযোগীরা ১০ হাজার কোটিরও বেশি টাকা মেরে দিয়েছেন।

          সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী তার আত্মসাৎকৃত অর্থের পরিমাণ আড়াই হাজার কোটি বা সাড়ে তিন হাজার কোটি। কিন্তু, তার সত্যিকারের আত্মসাৎকৃত অর্থের পরিমাণ আরও অনেক বেশি। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত তারা জানতে পেরেছেন যে পিকে হালদার অন্তত ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

          এই অর্থ দিয়ে রাজধানীর মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভারের মতো অন্তত সাতটি স্থাপনা তৈরি করা যেত। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, ‘হলমার্ক কেলেংকারির পর এটাই দেশের আর্থিক খাতের সবচে বড় আত্মসাতের ঘটনা। বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, এখনো যদি সাবধানতা অবলম্বন করা না হয় তাহলে এমন হালদারদের অর্থ আত্মসাৎ ক্রমশ যাবে।’

          তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের মালিকানাধীন ৩০টি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে এনবিএফআইয়ের কাছ থেকে ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করে এবং এই অর্থ কানাডা, সিঙ্গাপুর ও ভারতে পাচার করে।

          বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্রও এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

          তারা জানায়, বর্তমানে কানাডায় অবস্থানকারী পিকে হালদার ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা, ফাস ফাইন্যান্স থেকে দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা, পিপলস লিজিং থেকে তিন হাজার কোটি টাকা এবং রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

          গত বছর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অবৈধ ক্যাসিনো মালিকদের সম্পদের তদন্ত শুরু করলে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে আসে।

          চলতি বছর ৮ জানুয়ারি দুদক অজ্ঞাত সূত্র থেকে প্রায় ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে।

          দুদক এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

          পিকে হালদারের মালিকানাধীন পি অ্যান্ড এল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তদন্তকারীরা দাবি করেছেন যে এই অ্যাকাউন্টে ৭০৮ কোটি টাকারও বেশি সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।

          ভবিষ্যতে কোনো তদন্তে যেন তাদের ফেঁসে যেতে না হয় সেজন্য এই অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাকাউন্টে অর্থ সরিয়ে নেওয়া হত।

          পিকে হালদার ২০০৮ সালে আইআইডিএফসির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে তিনি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন।

          ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএলএফএসএল-এর এক বোর্ড সভায় এমটিবি মেরিন লিমিটেডের নামে ৬০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদিত হয়। দুদক সূত্র জানিয়েছে, এই ঋণের অর্থ এমটিবির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছায়নি।

          এই টাকা বিভিন্ন সংস্থা এবং বিভিন্ন ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়েছিল।

          এই টাকার মধ্যে পদ্মা ওয়েভিং লিমিটেডের অ্যাকাউন্টে গেছে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি, প্যারামাউন্ট অ্যাগ্রোতে ১৪ কোটি, ওকায়মা লিমিটেডে তিন কোটি, তাসমিহা বুক বাইন্ডিংয়ে এক কোটি আট লাখ, জে কে ট্রেড ইন্টারন্যাশনালে ১১ কোটি এবং চারটি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে গেছে চার কোটি।

          আইএলএফএসএল-এর পরিচালক ছিলেন স্বপন কুমার মিস্ত্রি এবং তার স্ত্রী ছিলেন এমটিবি মেরিনের চেয়ারম্যান। পিকে হালদারের মালিকানাধীন এইচএএল ইন্টারন্যাশনালের পরিচালকও ছিলেন স্বপন।

          স্বপনের ভাই উত্তম কুমার মিস্ত্রি কোলাসিন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। রাজধানীর ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে অবস্থিত কোলাসিনের চেয়ারম্যান ছিলেন উত্তমের স্ত্রী অতসী মৃধা।

          ২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট কোলাসিনের জন্য মূলধন হিসেবে ৭৯ কোটি ৭০ লাখ টাকার ঋণ আবেদন করেন তারা। একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ঋণ অনুমোদিত হয়।

          নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা ছিল একটা কাগুজে কোম্পানি। কোলাসিনের নামে ঋণ নিয়ে তা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছিল।’

          এই ঋণের অর্থের মধ্যে ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর ন্যাচার এন্টারপ্রাইজে গেছে প্রায় ২৫ কোটি ৯৭ লাখ। পরে এই টাকা চলে যায় রিলায়েন্স ফাইন্যান্সে।

          দুদক সূত্র জানায়, ন্যাচার এন্টারপ্রাইজ আইএলএফএসএল-এর অন্যতম শেয়ারহোল্ডার এবং এর দুজন পরিচালক এনবিএফআইয়ের বোর্ড সদস্য ছিলেন।

          রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের ঋণ পরিশোধের জন্যই ন্যাচার এন্টারপ্রাইজ এই অর্থ পরিশোধ করে।

          বাকী টাকার মধ্যে ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডে প্রায় ১৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজ এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ক্যাপিটালে ছয় কোটি টাকা, প্যারামাউন্ট স্পিনিং লিমিটেড এবং প্যারামাউন্ট হোল্ডিং লিমিটেডে ছয় কোটি ২৫ লাখ টাকা, জেকে ট্রেডারে চার কোটি টাকা এবং দুটি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে প্রায় চার কোটি ৯০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।

          ব্যাংক এশিয়ার ধানমন্ডি শাখায় এইচএএল ইন্টারন্যাশনালের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৫০ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

          আইএলএফএসএল শঙ্খ বেপারীর মালিকানাধীন মুন এন্টারপ্রাইজের নামে প্রায় ৮৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার ঋণ মঞ্জুর করে।

          এই অর্থে ২১ কোটি ২৪ লাখ টাকা রিলায়েন্স ফাইন্যান্সে মার্কো ট্রেডার্সের ঋণ পরিশোধে ব্যবহৃত হয়। আইএলএফএসএল-এর পরিচালক নওশের-উল ইসলাম মার্কো ট্রেডার্সের মালিক।

          ২০১৬ সালের ২৯ মার্চ প্রায় তিন কোটি টাকা পিকে হালদারের ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়।

          এইচএএল ইন্টারন্যাশনাল পায় ছয় কোটি টাকা এবং ১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্যারামাউন্ট স্পিনিং লিমিটেডের মার্কেন্টাইল, মেঘনা ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিমিটেডের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়।

          সূত্র জানায়, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে পিকে হালদার চাচাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী ছিলেন পিপলস লিজিং এবং ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের পরিচালক এবং সাবেক সহকর্মী উজ্জ্বল কুমার নন্দী ছিলেন চেয়ারম্যান।

          অমিতাভ অনান কেমিক্যালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী এবং তার স্ত্রী অনিতা কর পরিচালক। যদিও তারা এই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে থাকলেও পিকে হালদার এর প্রকৃত মালিক বলে জানান দুদক কর্মকর্তারা।

          দুদক সূত্র জানিয়েছে যে ‘নাম সর্বস্ব’ প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে পিকে হালদার আইএলএফএসএল থেকে অর্থ নিন এবং পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান ও পরিচালক হন। পরবর্তীতে তিনি পিপলস লিজিংয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ করেন।

          চলতি মাসের শুরুতে পিকে হালদার বলেছিলেন যে তিনি ‘তার জীবনের যথাযথ নিরাপত্তা’ পেলে এই অর্থ ফেরত দিতে এবং কোম্পানির সঙ্গে লেনদেন ও দায়বদ্ধতা নিষ্পত্তির জন্য দেশে ফিরে আসবেন।

          তিনি সম্প্রতি এই লক্ষ্যে আইএলএফএসএলকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

          আইএলএফএসএল-এর পরিচালনা পর্ষদ তাদের বৈঠকে চিঠিটি নিয়ে আলোচনা করেছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য গত ৭ সেপ্টেম্বর আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলনের মাধ্যমে উচ্চ আদালতে একটি আবেদন জমা দিয়েছে।

          চিঠি এবং আবেদন পরীক্ষা করে গতকাল শনিবার উচ্চ আদালত আইএলএফএসএলকে নির্দেশ দেন, পিকে হালদার কবে কোম্পানির সঙ্গে লেনদেন ও দায়বদ্ধতা নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশে ফিরবেন তা নিশ্চিত করতে।

          আদালত বলেছিলেন, পিকে হালদার দেশে ফিরে আসার পরে তার জীবনের আইনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আদালত প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদান করবে।

          পিকে হালদার ফিরে আসার পর আদালতের হেফাজতে থাকবেন বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

          আইএলএফএস এর পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকও এই অর্থ কেলেঙ্কারির জন্য দায়ী ছিলেন বলে জানা গেছে দুদকের তদন্ত থেকে।

          সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের কারণে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যাংকের ৮৩ জন ব্যক্তি ও সংস্থার অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে।

          সূত্র: ডেইলি স্টার
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            সিরিয়ায় মার্কিন সন্ত্রাসীদের গুপ্ত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার

            সিরিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সেনারা অতি গোপন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে বলে খবর বেরিয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন থেকে ছোঁড়ার পর প্রচণ্ডে শব্দে বিস্ফোরিত হচ্ছে না তবে ব্লেডের মতো উড়ে গিয়ে লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত করছে এবং গোপনেই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে।

            শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আমেরিকা সরকারিভাবে এ ক্ষেপণাস্ত্রকে হেলফায়ার এজিএম-১১৪আর৯এক্স নামকরণ করেছে যাকে সংক্ষেপে আর৯এক্স বলা হয়। কখনো কখনো এ ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘ফ্লাইং জিনশু’ নামে ডাকা হয়।

            মার্কিন জয়েন্ট স্পেশাল অপারেশন্স কমান্ডে এ ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে এবং গুপ্তহত্যার জন্য তা ব্যবহার করা হচ্ছে।

            আর৯এক্স ক্ষেপণাস্ত্র ১০০ পাউন্ড ওজনের ওয়ারহেড বহন করে এবং অত্যন্ত দ্রুতগতিতে উড়ে যেতে সক্ষম। এতে ছয়টি ব্লেড থাকে যা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে টুকরো টুকরো করে ফেলে। এ ক্ষেপণাস্ত্র ভবনের দেয়ালের মতো শক্ত বাধা ভেদ করতে সক্ষম।

            নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবর অনুযায়ী, সর্বশেষ গত ১৪ সেপ্টেম্বর সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আল-কায়েদার শীর্ষ কমান্ডার সাইয়াফ আল-তুনসিকে হত্যার জন্য এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

            পার্সটুডে
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment

            Working...
            X