Announcement

Collapse
No announcement yet.

Rand পরিচিতি

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • Rand পরিচিতি

    RAND পরিচিতিঃ

    RAND শব্দটির পরিপূর্ণ রুপ হচ্ছে Research and Development Corporation. RAND কর্পোরেশন হলো আমেরিকার একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান এবং এর কাজ হলো আমেরিকার সমরনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, কৌঁসুলি ও অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণী বা থিঙ্কট্যাঙ্ক হিসেবে গবেষণা করা। এই প্রতিষ্ঠানের গবেষণার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত তর্কবিতর্কের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের মার্কিন নীতি বা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। RAND সৃষ্টি করা হয় দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরে। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে আমেরিকা প্রথমবারের মত সফলভাবে পরমাণু বিস্ফোরণের পর আমেরিকা আমেরিকান ফাইভ স্টার এয়ারফোর্সের একজন জেনারেল চিন্তা করেন আমেরিকা কে বিশ্ব দরবারে একক পরাশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে এমন একটি গ্রেট টিমের প্রয়োজন যারা টেকনোলজি নিয়ে গবেষণা করবে। ঐ জেনারেলের নাম ছিল হেনরি হাপ আর্নল্ড (Henry “Hap” Arnold)

    (Henry “Hap” Arnold)

    ১৯৪৬ সালে হেনরি কয়েকজন বিজ্ঞানিকে নিয়ে ১০ মিলিয়ন ডলারের একটি ফান্ড তৈরী করেন এবং সেখানে বিভিন্য বিষয়ে গবেষনা শুরু করেন।তিনি তার গবেষনা প্রতিষ্ঠানের নাম দেন RAND। ঐ সময়টাতে রকেট সাইন্স খুব একটা উন্নত ছিল না। RAND রকেট সাইন্স নিয়ে গবেষণা শুরু করে। অপ্ল সময়ের মধ্যে তারা মহাশূন্যে রকেট পাঠাতে সক্ষম হয়। RAND রকেট স্টেসন স্থাপন করতেও সক্ষম হয়। ঐ সময়কার আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ট্রুমান তাদের এই স্টেসন ভিজিট করেন। আমেরিকান মিলিটারি তাদেরেই সাফল্য দেখে অভিভুত হয়ে পড়ে। এভাবেই অল্প সময়ের মধ্যে RAND আমেরিকার বিভিন্য একাডেমি, পলিটিসিয়ান, সিভিল সোসাইটির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়।

    WAR GAMES:

    সফলভাবে মহাশুন্যে রকেট উৎক্ষেপণের পর RAND মিসাইল ও রকেট লাঞ্চার হেলিকপ্টার প্রযুক্তি আবিস্কার করে ফেলে। তাদের সাফল্য দেখে আমেরিকান এয়ার ফোর্স RAND এর সাথে কন্ট্রাক্ট করে। ১৯৫৭ সালে এয়ার ফোর্স RAND এর প্রযুক্তি হায়ার করে মহাশুনে স্পাই স্যাটেলাইট তৈরী করতে সক্ষম হয়। এর নাম দেয়া হয়েছিল করনা (CORONA) । দুই বছরের মধ্যে সোভিয়েত মোকাবেলায় করনা আমেরিকার সবচেয়ে মুক্ষম অস্ত্রে পরিনত হয়। করনা দিয়ে আমেরিকা প্রথম বারের মত রাশিয়া ও চয়না সিমান্তে স্পাই আবিস্কার করতে সক্ষম হয়। এর ফলস্রুতিতে সোভিয়েত পত্রিকা Pravda RAND এর নাম দেয় the academy of science and death and destruction. ১৯৬০ সালের মধ্যে এভাবেই RAND নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সারা আমেরিকা সহ সারা বিশ্বের মধ্যে প্রভাবশালী হয়ে ওঠে।

    RAND এর একের পর এক প্রতিভবান আবিষ্কারের ফলে একসময় যুদ্ধ ক্ষেত্রে সোভিয়েত ইউনিয়নের চেয়ে আমেরিকা এগিয়ে যায় এবং দোদন্ড প্রতাপশালি হয়ে হয়ে ওঠে। আমেরিকান এয়ারফোর্স মিলিটারি সামগ্রিকভাবে পেন্টাগনের কাছে RAND এর গুরুত্ব বহু গুণে বেড়ে যায়। গুরুত্ব এতই বেড়ে যায় যে RAND যেভাবে বলত মেরিকার যুদ্ধ নীতি সেভাবেই পরিচালিত হত। মুলত RAND এর সিদ্ধান্ত কোন একক ব্যাক্তির হুকুম ছিল না।RAND শত শত এর গবেষকরা গবেষনা করে যে ঐক্য মতে পৌছায় ওটাই RAND এর সিদ্ধান্ত।

    ধীরে ধীরে RAND এর পরিধি বাড়তে থাকে। RAND শুধু যুদ্ধের জন্য প্রযুক্তিঅনুসন্ধান করেই ক্ষান্ত থাকে নি। কিভাবে শত্রু প্পক্ষকে বিভক্ত করা যায়, জাতিগত দাঙ্গা হাঙ্গামা লাগিয়ে কিভাবে বিনা যুদ্ধে জয়ী হওয়া যায় সেটাও অনুসন্ধান করতে থাকে। একেক দেশে/জাতির জন্য তারা একেক ধরণের নীতি অনুসন্ধান করে বের করে যাতে যুদ্ধ না করে সে দেশ বা জাতিকে আমেরিকার কতৃতাধীন করা যায়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে খান খান করা মুলত RAND এর গবেষণার বাস্তবায়ন মাত্র। মুসলিমরাও যাতে কখনো পরাশক্তি না হয়ে উঠতে পারে, বা আমেরিকার অধীনস্ত থাকে সেজন্য RAND বিপুল গবেষনা করে অনুসন্ধানী রিপোর্ট বের করেছে। আমেরিকান গভারমেন্টের কাছে সেই অনুসন্ধানী রিপোর্ট জমা দেয়ার পর গভমেন্ট তা বাস্তবায়ন করছে। সেই ৬০ এর দশক থেকেই এই কার্যক্রম চলছে। সারা বিশ্বে আমেরিকান কতৃত্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষে সব দেশের উপরেই গবেষনা চালিয়েছে RAND। আমি এখানে একমাত্র মুসলিমদের ছাড়া অন্য কোন দেশ বা জাতির উপরে RAND এর অনুসন্ধান আলোচনা করব না।সেটার দরকারও নেই, করতে গেলে লেখাটা বড় হয়ে যাবে।

    পশ্চিমা সভ্যতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়ানোর প্রেক্ষিতে ইসলামপন্থাকে সর্বোত্তম উপায়ে সামাল দেয়ার জন্য RAND করপোরেশন মুসলিমদের ৪ (চার) ভাগে ভাগ করেছে। সেগুলি হচ্ছে-

    ১- ঐতিহ্যবাদী (Traditionalist)
    ২- চরমপন্থী (Extremist)
    ৩- ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী (Secularist)
    ৪- আধুনিকতাবাদী (Modernist)

    ঐতিহ্যবাদী (Traditionalist) মধ্যে রাখা হয়েছে বিভিন্য পীর বুজুর্গ সুফী ও এদের অনুসারীদের। এছাড়াও আবের রাজতন্ত্র সমর্থকদের রাখা হয়েছে এই ক্যাটাগরিতে।

    বিভিন্য দেশে জিহাদরত মুজাহিদদের, ও শরীয়া আইন বাস্তনবায়ন করতে চাই এমন ইসলামি দলকে চরমপন্থী গ্রুপে স্থান দিয়েছে RAND গবেষকরা।

    মুসলিম কিন্তু শরীয়া আইন চাইনা বা ঘৃণা করে এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এমন মুসলিম বা সরকার কে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী (Secularist) গ্রুপে স্থান দেয় RAND।

    যারা পশ্চিমা ধাপের ডিজুইস লাইফ পরিচালনা করে রাজনীতির ধার ধারে না তাদের আধুনিকতাবাদী (Modernist) ক্যাটাগরিতে ফেলে র*্যান্ড।

    RAND একমাত্র চরমপন্থিদেরকেই মুহাম্মাদ (সঃ) এর অরিজিনাল অনুসারী হিসেবে অভিহিত করে এবং এরাই একমাত্র আমেরিকার জন্য জন্য হুমকি বলে প্রকাশ করে। চরমপন্থিদের পতন করতে ও বাকি তিন ক্যাটাগরির মুসলিমদের উথান করতে RAND আমেরিকা গভমেন্টের কাছে কয়েকদফা কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়। নিচে সেগুলি ধারাবাহিক ভাবে উল্লেখ করা হল ও সংক্ষেপে আলোচনা করা হলঃ

    1. RAND শাষক তৈরিঃ

    একটি দেশের মুলে হচ্ছে সরকার। সরকার কে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে সেই দেশের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই RAND মুসলিমদের অধীনস্ত করতে মুসলিম দেশের সরকার কে সর্ব প্রথম হাত করতে সুপারিশ করে। Traditionalist (ঐতিহ্যবাদী) সরকার কে আমেরিকা যেভাবে নিয়ন্ত্রন করেঃ

    Traditionalist দেশের উদাহরণ হচ্ছে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত বিভিন্য আরব দেশগুলি। এই দেশ গুলির সরকারকে আমেরিকা এই ধরনের লোভ দেখায় আমরা তোমাদের ক্ষমতা টিকায়া রাখতে যা করার তাই করব। তোমাদের দেশের ভিতরকার বিদ্রোহ বা বহিরাগত কোন আক্রোমণ সব প্রতিহত করব। বিনিময়ে তোমার শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না, করলেও নাম মাত্র। আর তোমরা সবক্ষেত্রে আমাদের স্বার্থ রক্ষা করে চলবে।

    আবার এই ধরণের ভয়ও দেখানো হয় যে যদি তোমারা আমাদের কথা না শুনো তবে যেভাবেই হোক অস্ত্রের জোরে কিংবা কুট কৌশলে তোমাদের রাজতন্ত্র পতন করে দেব। মুনাফিক রাজার তখন ক্ষমতার লোভে কিংবা ক্ষমতা না হারানোর ভয়ে আমেরিকার দাবি মেনে নেয়। আমেরিকা যা বলে তাই শুনে।

    উদাহরণঃ সৌদী রাজা এর সবচেয়ে পারফেক্ট উদাহরণ। খেয়াল করলে দেখবেন সৌদি রাজারা এত দালালি করত না আমেরিকার RAND প্রতিষ্ঠার আগে। সোউদি রাজা ফয়সাল কে হত্যা করা হয় বিশ খাইয়ে আমেরিকার দালালি করতে অস্বীকার করায়। আবার ইতিহাসের জঘন্যতম দালালি করার পরও সৌদি রাজা আব্দুল্লাহ টিকে আছে এখনো। এসবই RAND এর প্রকাশিত গবেষনার বাস্তবায়ন মাত্র।

    ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী (Secularist) সরকার প্রধানরা সাধারাণত গণতন্ত্র সমর্থিত হয়। এরা নীতিগতভাবেই আমেরিকার মতাদর্শের হয়ে থাকে। এদের হাত করতে আমেরিকার কোন রকম বেগ পেতে হয় না। বরং এরা নিজেরাই আমেরিকার গোলামি করার জন্য রেডী হয়ে বসে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় একটি দেশে দুইটি সেকুলার গণতান্ত্রিক দল আছে। সেক্ষেত্রে আমেরিকার গোলামিতে যে দলটি বেশি অগ্রগামী হয় আমেরিকাকে সেই দলটিকেই সমর্থন দিতে সুপারিশ করে RAND. বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলি এর পারফেক্ট উদাহরণ।

    গণতান্ত্রিক কিন্তু ইসলামিক দলের ক্ষেত্রে RAND এর নীতি হচ্ছে A commitment to democracy as understood in the liberal western tradition.-অর্থাৎ গণতন্ত্রমনা বলতে সেই গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল হতে হবে, উদারনৈতিক পশ্চিমা ঐতিহ্য বলতে যা বুঝায়।
    Support for democracy implies opposition to the concept of the Islamic state’-অর্থাৎ গণতন্ত্রের সমর্থক বলতে বোঝানো হচ্ছে ইসলামিক রাষ্ট্রের ধারণার সম্পূর্ণ বিরোধী হতে হবে।’ তার মানে মডারেট মুসলিম মাত্রই এমন গণতন্ত্রে বিশ্বাসী যা ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার ঘোর বিরোধী হবে।

    এরপর তারা বলছে, `It follows from the above that for a group to declare itself democratic, in the sense of favouring elections as the vehicle for establishing government.’-অর্থাৎ কোনো দল নিজেদেরকে গণতান্ত্রিক দল বলে দাবি করার অধিকার রাখবে না- যদি গণতন্ত্রকে তারা নিছক ক্ষমতায় আরোহণ ও সরকার গঠনের মাধ্যম মনে করে।

    The dividing line between moderate Muslims and radical Islamist is whether Sharia should apply’-অর্থাৎ চরমপন্থী তথা সত্যিকার মুসলিম ও মডারেট র*্যান্ড মুসলিমদের মধ্যে আসল পার্থক্য হলো শরিয়া আইন চাওয়া আর না চাওয়া। কোন দল যদি শরীয়া আইন কায়েম করতে চায় তাহলে তখনই আমেরিকার শত্রু বলে বিবেচিইত হবে এবং তাদের যে করেই হোক দমন করা হবে।। তবে ক্ষমতায় না গেলে গণতন্ত্রের শোভনীয়তা রক্ষার্থে মিডিয়ায় বলা যাবে আমরা তোমাদের সাথে আছি। কখনো যদি এমন দল ক্ষমতায় এসে যায় তবে সেনাবাহিনী কিংবা অন্য কোন পরাশক্তির সহায়তায় বিলিয়ন ডলার খরচ করে হলেও দলটিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সুপারিশ করে RAND.

    কোন ইসলামি দল যদি শরীয়া কায়েম করতে না চাই তবে সেক্ষত্রে আমেরিকার নিতি হবে A commitment to democracy as understood in the liberal western tradition.-অর্থাৎ গণতন্ত্রমনা বলতে সেই গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল হতে হবে, উদারনৈতিক পশ্চিমা ঐতিহ্য বলতে যা বুঝায়।

    উদাহরণঃ মিসরের বর্তমান ইখওয়ানুল মুসলিমীন বা মুসলিম ব্রাদারহুড শরীয়া আইন বাস্তবায়নের কারনে RAND এর সুপারিশে ক্ষমাতচ্যুত করে আমেরিকা। অপরদিকে ইসলামি দল হুয়া সত্তেও শরীয়া বাস্তবাইয়ন না করাই ১২ বছর ধরে তুরস্কের একে পার্টীকে টিকিয়ে রেখেছে আমেরিকা RAND এর সুপারিশে।

    2. RAND মিডিয়া তৈরীঃ

    RAND এর সুপারিশে বহু আগেই আমেরিকা গভমেন্ট বিশ্ব ব্যাপী মিডিয়া নেটওয়ার্ক তৈরী করেছে। এই মিডিয়াগুলি Traditionalist, Secularist, Modernist পূর্বে উল্লেখ করা এই তিন ক্যাটাগরীর মুসলিমদের অরিজিনাল মুসলিম হিসেবে তুলে ধরে। বাকি extremist গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত সকল মুসলিমকে সন্ত্রাসী হিসেবে তুলে ধরে। যেহেতু সেন্টারাল মিডিয়া আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে তারা যা নিউজ দেয় লোকাল মিডিয়া গুলি সেটাই প্রচার করে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়।

    এছাড়াও সেন্টারাল মিডিয়াগুলি আমেরিকাকে পরাক্রমশালী হিসেবে প্রচার করে। তাদের নিউজে অন্য দেশের খবর থাকুক বা না থাকুক আমেরিকাকে নিয়ে নিউজ থাকেই, যদি এগুলি ইন্টারনেশনাল মিডিয়া। এজন্য আমাদের দেশের লোকাল মিডিয়াগুলিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ডায়রিয়া হলেও হেড লাইন করে।

    তাছারা পশচিমা মিডিয়া পশ্চিমের সমকামিতা, অরাল সেক্স, বিবাহ বহির্ভূত সেক্স, পশ্চিমা পোষাক আশাক, খাবার কে এমন ভাবে উপস্থাপন করে যেন এগুলিই অনুসরনীয়। এগুলি সবই RAND এর গবেষনার বাস্তবায়ন মাত্র।

    উদাহরণঃ বিবিসি, সি.এন.এন, রয়টারস, আল জাজিরা এই মিডিয়াগুলি তৈরী করা হয়েছে র*্যান্ডের সুয়ারিশক্রমে। খেয়াল করলে দেখবেন RAND এর কার্যক্রম শুরুর পর পরই এই মিডিয়া গুলির জন্ম।

    3. চরমপন্থিদের দমন করাঃ

    RAND এর শ্রেণি বিভাগ অনুসারে শরীয়া আইনের বাস্তবায়ন চাই এমন প্রত্যেক গ্রুপ চরমপন্থীদের অন্তর্ভুক্ত হোক সে অস্ত্রধারী কিংবা ডেমক্র্যাটিক।যারা অস্ত্রের জোরে শরীয়া প্রতিষ্ঠিত করতে চাই এমন জিহাদি গ্রুপগুলির প্রতি RAND এর নির্দেশ হচ্ছে এদেরকে অস্ত্রের জোরেই দমন করতে হবে।এজন্যই পৃথিবীর বিভিন্য দেশে শরীয়া প্রতিষ্ঠিত করতে লরাইরত মুজাহহিদের বিরুধ্যে লড়ে যাচ্ছে আমেরিকা। লক্ষনীয় যে যেখানেই শরীয়া প্রতিষ্ঠার দাবি উঠছে সেখানেই হাজির হচ্ছে আমেরিকা। তালেবান, আল কায়দা, জবহাত আল নুসরা, আল শাবাব ইত্যাদি ইসলামি দলের সাথে আমেরিকার যুদ্ধ RAND এর গবেষণার বাস্তনায়ন মাত্র।

    উদাহরণঃ ২০০১ সালে জনগনের ইচ্ছায় নির্বাচিত তালেবান সরকারকে RAND এর সুপারিশক্রমে উৎখাত করে আমেরিকা।

    গণতান্ত্রিক কিন্তু শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠা করতে চাই এমন চরম্পন্থীদের ব্যাপারে RAND এর নীতি হচ্ছে ক্ষমতায় আসা মাত্র উৎখাত করতে হবে।

    উদাহরনঃ জনগনের ভোটে নির্বাচিত মুরসি সরকারকে মিশরে উৎখাত করা হয় শুধুমাত্র শরীয়া আইন বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়ায়।

    4. RAND মাজহাব তৈরীঃ

    RAND এর গবেষণায় দেখা যায় যেসব মুসলিম পশ্চিমা শাষক নিয়ত্রিত দেশে বাস করেও পশ্চিমা মিডিয়া দ্বারা প্রভাবিত হয় না, তাদের মধ্যে চরমপন্থী (যারা শরীয়া আইন চায়) তৈরী হয়। এটা ঠেকানোর লক্ষে RAND এমন একটি মুসলিম প্রজন্ম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়। যারা জানবেনা ইসলামে শরীয়া আইন, জিহাদ ও খিলাফা বলে কিছু আছে। ইসলামের সোনালি যুগের চার সৃষ্ট চার মাজহাবে জিহাদ খলিফা ও শরীয়া আইনের গুরুত্ব সোনালি হরফেই লেখা আছে। মুসলিমরা যদি প্রচলিত মাজহাবের অনুসারী হয় খুব সহজেই তার জিহাদ খলিফা ও শরীয়া আইন সম্পর্কে জেনে যাবে।তাই RAND Corporation সে ষাটের দশকেই সৌদি রাজার কেনা দালালদের দিয়ে নতুন মাজহাব সৃষ্টি করে। এই মাজহাব সৃষ্টির সময় RAND কয়েকটি মুলনীতি তৈরী করে দেয় যে, যা অনুসারে নতুন মাজহাব সৃষ্টি হয়।। মুলনীতিগুল হচ্ছে-

    (১) ইসলামে জিহাদ বলে কিছু নেই। জিহাদের নামে সন্ত্রাস করা হচ্ছে।

    (২) ইসলামে শরীয়া আইন বলে কিছু নেই। শরীয়া আগের জামানার লোকদের জন্য। বর্তমান আধুনিক যুগে শরীয়া অচল।

    (৩) ইসসালামে খিলাফাত বলে কিছু নেই, খিলাফতের নামে যা হয়েছে তা রাজতন্ত্র।

    (৪) ইসলামকে নামাজ, রোজা, হজ্জ আর বিয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

    (৫) প্রচার করতে হবে মাজহাব বলে কিছু নেই। মানতে হবে কুরান হাদিস আর আমরাই হলাম একমাত্র সহিহ হাদিস। (এ দ্বারা উদ্দেশ্য হল যাতে লোকে মাজহাবের কাছে গিয়ে জিহাদ, খলিফা, শরীয়ার গুরুত্ব শিখে না ফেলে)

    এই বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয় নতুন মাজহাব এবং আলবানি কে করা হয় সেই মাজহাবের অঘোষিত মুজতাহিদ। তখন থেকেই মিডিয়া কভারেজ পাওয়ার শুরু করেন শায়খ আলবানী। একজন ঘড়ির মেকার ষাটের দশকে হঠাত করে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস হিসেবে আবির্ভূত হন। উল্লেখ্য RAND এর কার্যক্রম শুরুর আগে হাতে গোনা কয়েকজন মানুষও চিনতা না আলবাণী কে। RAND Corporation এবং আল সৌদ পরিবারকে হতাশ করেন নি আলবাণী। তিনি আলজেরিয়ায় জনগণের ভোটে নির্বাচিত RAND কতৃক উৎখাতিত ইসলামিক স্যালভেশন ফ্রন্টকে জঙ্গী ফত্তোয়া দেন। সারা দুনিয়ার মুসলিমদের আশা আকাংখ্যার প্রতিক তালেবানকেও সুস্পষ্ট ভাষায় সন্ত্রাসী ফতোয়া দেন আলবাণী।
    তার দুটি ফতোয়া এখানে পাবেন http://www.alalbany.net/misc024.php

    উদাহরণঃ RAND কতৃক বেধে দেয়া মুল নীতির সাথে আমাদের দেশের কোন গ্রুপটির আপনি মিল খুজে পান? কোন দলটি জিহাদীদের আমেরিকার সাথে সুর মিলিয়ে খারেজি বলে? কারা জিহাদের নামটি মুখেও নেয় না? কারা শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার কথা মুখে উচ্চারনও করে না? কারা নিজেদের বাদে সাবাইকে বাতিল বলে? এই বৈশিষ্ট্যের RAND মাজহাব উপমহাদেশে আহলে হাদিস নামে পরিচিত এবং আরবে মাদখালি নামে পরিচিত। এরা মানুষকে ধোকা দিতে নিজদের সালাফি দাবি করে। অরজিনাল সালাফিদের সাথে RAND মাজহাবের পার্থক্য পরবর্তী কোন লেখায় পাবেন।

    5. RAND শায়খ তৈরী:

    মুলত যে উদ্দেশ্যে নিয়ে RAND মাজহাব প্রতিষ্ঠা করা হল, সেই একই উদ্দেশ্যে আরো শক্তভাবে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে RAND শায়খ তৈরীর পরিকল্পনা প্রকাশ করে RAND Corporation. RAND মাজহাব যাতে মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পায় সেজন্যই RAND শায়খদের ব্যবস্থা করা।RAND তার ইনফো তে প্রকাশ করে, মানুষের সাভাবিক প্রবৃত্তি হল যাকে খুব ভালবাসে তাকে অন্ধের মত অনুসরণ করে। আমাদের এমন কিছু ইসলামি স্কলার তৈরী করতে হবে যারা আমাদের ঘোষিত নীতি মেনে চলবে। তারা বিভিন্ন সভা সেমিনারে দাওয়া সেন্ট্রারে প্রচার করবে জিহাদের নামে জঙ্গিবাদ, খিলাফত বলে কিছু নেউ, আর শরীয়া আইন সে যুগের জন্য, এই আধুনিক যুগের জন্য নয়। অর্থাৎ তারা ইসলামকে শুধু নামাজ, রোজা, হজ্জ, বিয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলবে। সৌদিতে বিভিন্য দাওয়া সেন্টারগুলি মুলত RAND এর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন মাত্র।

    উদাহরণঃ RAND এর ঘোষিত মুল নীতি মেনে চলে এমন কোন কোন শায়খদের বা আলেমের আপনি মিল খুজে পান? ওইগুলিই হচ্ছে পত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে RAND আলেম। যদিও তাদের সাথে RAND এর কোন কানেকসন না থাকে।। আমি নিচে কিছু নামকরা RAND আলেমের নাম উল্লেখ করছি যারা সরাসরি RAND প্রোডাক্ট-

    (১) আব্দুল আযিয বিন বাজঃ সৌদী আরবের গ্র্যান্ড মুফতি। রাশিয়া জিহাদের সময় তালেবানের জন্য ফান্ড কালেক্ট করেন। কিন্তু তালেবান যখন আমেরিকার সাথে যুদ্ধ শুরু করে তিনিই ফতোয়া দেন তালেবান খারেজি কাফের, তিনি শায়খ উসামা বিন লাদেনকেও খারেজি ফতোয়া দেন।

    খারেজি ফতোয়ার বিন বাজের প্রতি শায়খ উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহর খোলা চিঠিঃ এখানে ক্লিক করুন

    (২) মনের জিহাদ বড় জিহাদ-RAND প্রোডাক্ট ইয়াসির কাদি। এখানে ক্লিক করুন

    (৩) নুমান আলি খানঃ একটি RAND প্রোডাক্ট। মাত্র কিছুদিন আগে বলেছে খিলাফত বলে কিছু নেই। লিংকঃ এখানে ক্লিক করুন

    উপমাহদেশ এবং বাংলাদেশে অনেক আলেম আছেন যারা মুসলিম উম্মাহর মাঝে ফিতনা তৈরী করে করে পরোক্ষ ভাবে RAND এর উদ্দেশ্যই বাস্তবায়ন করে চলছেন। কিন্তু তাদের RAND সম্পর্কে কোন ধারনা নেই। । এদের অনেকেই চিনেন। তারপরো সবার সাথে পরিচয় করয়রে দিচ্ছি।

    আমার মনে হয় মুসলিমদের মাঝে ফিতনা ফাসাদে মতি মাদানির (মতিউর রহমান মাদানী) চেয়ে অগ্রগামী সুদুর অতীতে কেউ ছিল না, ভবিষ্যতেও হয়ত হবে না।

    আসাদুল্লাহ গালিব, আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ সহ এদেশে আহলে হাদিস আলিম গনের অনেকেই এদেশে RAND এর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। আহলে সৌদিদের সহযোগিতায়, যদিও RAND সম্পর্কে তাদের খুব কম জনেরই ধারনা আছে। এগুলি তারা করছেন শুধুমাত্র নিজেদের মতাদর্শ প্রতিষ্ঠায়। কিন্তু তা আল্টিমেটলি RAND এর উদ্দেশ্যই বাস্তবায়ন করছে।

    এই লেখাটি পড়লে আপনি কিছুটা আচ করতে পারবেন যদি এদের সম্পর্কে আপনার কোন ধারনা না থাকে। তালেবান আল কায়েদা কাফের খারেজি – মতি মাদানি (মতিউর রহমান মাদানী)। লিংকঃ http://goo.gl/t3QRg2

    সবচেয়ে বড় জিহাদ কলমের জিহাদ – আসাদুল্লাহ গালিব।

    বর্তমানে কিছু দেওবন্দি উলামাও মুসলিম উম্মাহর মাঝে ইখতিলাফি বিষয় নিয়ে ফিতনা ফাসাদ বাধাতে উদ্দত হচ্ছেন যা সাম্প্রতিকালে লক্ষ করা যাচ্ছে। RAND এর আল্টিমেট উদ্দেশ্য মুসলিমদের মধ্যে ফিতনা ফাসাদ বাধিয়ে রাখা। তুচ্ছ বিষয়ে যা স্বার্থবাদীরা কম বেশি সকলেই করছে।

    উপরে আমি RAND সম্পর্কে যা বললাম তার প্রমাণ কি?

    আপনার ভিতরে এই প্রশ্নটা কাজ করতে পারে। এজন্য RAND সম্পর্কিত তথ্যগুলি আগে থেকে সংগ্রহ করে তারপর লিখতে বসছি। RAND সম্পর্কিত যা লিখলাম সব RAND এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অনুবাদিত। ডিটেইলস আরো ভাল করে জানতে পারবেন এখানে-

    In Their Own Words, Voices of Jihad- http://www.rand.org/pubs/monographs/2008/RAND_MG602.pdf

    Civil Democratic Islam. Partners, Resources, and Strategies – http://www.rand.org/pubs/monograph_r...716/MR1716.pdf

    Maritime Terrorism Risk and Liability – http://www.rand.org/pubs/monographs/2006/RAND_MG520.pdf

    Counterinsurgency in Afghanistan – http://www.rand.org/pubs/monographs/2008/RAND_MG595.pdf

    Radical Islam in East Africa – http://www.rand.org/pubs/monographs/2009/RAND_MG782.pdf

    Beyond al qaeda. Part one. The Global Jihadist Movement – http://www.rand.org/pubs/monographs/2006/RAND_MG429.pdf

    Beyond al qaeda. Part two. the Outer Rings of the Terrorist Universe –http://www.rand.org/pubs/monographs/2006/RAND_MG430.pdf

    The Muslim World After 9/11 – http://www.rand.org/pubs/monographs/2004/RAND_MG246.pdf

    এই নোট থেকে শিক্ষনীয় বিষয়গুলিঃ

    ১. গবেষণা ও রিসার্চ করে RAND পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। আমাদের হারনো রাজ্য ফিরে পেতে চাইলে রিসার্চের বিকল্প নেই।

    ২. RAND এর সহায়তায় অস্ত্রের জোড়ে গোটা পৃথিবীতে প্রভাব বিস্তার করে আমেরিকা । হারানো সম্রাজ্য ফিরে পেতে অস্ত্রের কোন বিকল্প নেই।

    ৩. সকল RAND মুসলিম, RAND ইসলামি দল, RAND মাজহাব, RAND শায়খ পরিত্যাজ্য বা পরিত্যাগ করতে হবে। যদিও কিছু ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে ভাল কিছু পাওয়া যায়।
    আল&#2509

  • #2
    Allah rand k dhonsho koron
    Miqdad

    Comment


    • #3
      "বল সত্য আসিয়াছে মিথ্যা বিলুপ্ত হইয়াছে,মিথ্যাতো বিলুপ্ত হবারি" (সূরা ইসরা ১৭ঃ৮১)

      Comment

      Working...
      X