Announcement

Collapse
No announcement yet.

অপারেশন নির্দেশিকাঃ তেহরিকে তালিবান পাকিস্তানের মুজাহিদদের জন্য

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • অপারেশন নির্দেশিকাঃ তেহরিকে তালিবান পাকিস্তানের মুজাহিদদের জন্য

    অপারেশন নির্দেশিকাঃ তেহরিকে তালিবান পাকিস্তানের মুজাহিদদের জন্য


    অধ্যায়-৩ঃ টার্গেট বিষয়ে

    ২১. সে সকল ইসলাম বিরুদ্ধ ও জাতি বিরুদ্ধ প্রতিষ্ঠানসমূহ যেগুলো মুসলিমদের, মুজাহিদদের এবং গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মুখ্য ভূমিকা রাখছে। উদাহরণস্বরূপ, সকল নিরাপত্তা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যেমন: সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, গুপ্তচর বিভাগ, মিলিশিয়া তথা রাজাকার, খাসাদার, কর সংগ্রাহক ইত্যাদি। এবং সকল আইন সংক্রান্ত, বিচার সংক্রান্ত (বিচারক, আইনজীবী ইত্যাদি) এবং শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানসমূহও তেহরিকে তালিবান পাকিস্তান এর টার্গেটসমূহের অন্তর্ভুক্ত।

    ২২. ইসলামি দল এবং তাদের নেতা-কর্মীরা তেহরিকে তালিবান পাকিস্তান এর টার্গেটসমূহের অন্তর্ভুক্ত নয়।

    ২৩. সেসব লস্কর (বেসামরিক শান্তি পরিষদ) যারা আর্মিদের পাশাপাশি হয়ে প্রকাশ্যে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, এরা তেহরিকে তালিবান পাকিস্তান এর টার্গেটসমূহের অন্তর্ভুক্ত।

    ২৪. সরকারি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ [√ব্যাখ্যা আবশ্যকীয়,] এবং সামরিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ তেহরিকে তালিবান পাকিস্তান এর টার্গেটসমূহের অন্তর্ভুক্ত।

    ২৫. সেসব এনজিও তথা নন-গভর্ণমেন্টাল অর্গানাইজেশন যারা দেশে অশ্লীলতার বিস্তার ঘটাচ্ছে এবং সমাজকে নষ্ট করছে, এরা তেহরিকে তালিবান পাকিস্তান এর টার্গেটে রয়েছে।

    ২৬. যেসব বাতিল দলের ব্যাপারে উলামায়ে কিরামের পক্ষ থেকে কুফরের (ধর্মহীনতার) ফাতাওয়া জারি করা হয়েছে সে দলের কাছে শপথ থাকার ভিত্তিতে তাদের কোন ব্যক্তি বা জামাতকে টার্গেট করা হচ্ছে না। যদি সেই দল যুদ্ধে সরকারের বা আর্মির পক্ষ অবলম্বন করে এবং মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে অথবা ইসলাম, কুরআন ও সাহাবাদের বিরুদ্ধে কটুক্তি করে সেক্ষেত্রে প্রতিশোধস্বরূপ এই দল টার্গেটে পরিণত হবে।

    ২৭. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠানসমূহ তেহরিকে তালিবান পাকিস্তান এর টার্গেটসমূহের অন্তর্ভুক্ত নয়।

    ২৮. এই সকল অপারেশন পরিচালিত হবে সমরসংক্রান্ত শূরার পরিকল্পনা অনুসারে, যেখানে পূর্ণাঙ্গভাবে বিস্তারিত নির্দেশনা ও টার্গেট বিন্যাস এবং টার্গেটের জন্য সরঞ্জামাদী আহরণ বিষয়ে উপদেশ দেয়া হবে।



    অধ্যায়-৬ঃ অনৈসলামিক প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যাক্তিবর্গের ব্যাপারে যারা তেহরিকে তালিবান পাকিস্তান এর নিকট আত্মসমর্পণ করেছে।

    ৪৫. প্রত্যেক মুসলিম তার দ্বীনি দায়িত্ব মুতাবিক অনৈসলামিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মচারী, এদের সমর্থক এবং (কথিত) শান্তি পরিষদের কাছে দাওয়াহ করতে পারেন যে, তারা যাতে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে আসেন। আর তাদের বন্ধু ও সহযোগী হওয়া থেকে বেঁচে থাকতে হবে, যাতে তারা এহেন কর্ম থেকে বিরত থাকে।

    ৪৬. যদি কোন ব্যাক্তি এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগ করে থাকে ও তাদের সমর্থন ও বন্ধুত্ব করা থেকে নিবৃত্ত থাকে- আমাদের এ আহ্বানের প্রেক্ষিতে অথবা নিজ ধর্মীয় বোধের কারণে--; অতএব সে যদি সাধারণ কেউ হয়ে থাকে তবে এটি তার জন্য আবশ্যক যে সে, সে এলাকার (মুজাহিদিন) দায়িত্বশীলের কাছ থেকে লেটার ফরম সংগ্রহ করবে। আর যদি সে সুপরিচিত কেউ হয় বা মুসলিমদের ক্ষতি করার ব্যাপারে বড় ভূমিকা রাখে তবে সেক্ষেত্রে স্থানীয় দায়িত্বশীল কেন্দ্রীয় আমিরের সাথে পরামর্শ করার পরে তাকে একটি চিঠি দিয়ে থাকবেন যাতে করে সকল মুজাহিদ বিষয়টি অবগত হয় এবং যাতে করে অন্য কোন স্থানে সে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তথাপি সে যদি নিহত হয় কোন মুজাহিদের হাতে তবে ইসলামি আইনে তাকে শাস্তি দেয়া হবে। প্রত্যেক এলাকার দায়িত্বশীলদের কর্তব্য হল 'আত্মসমর্পণকারীদের তালিকা' হেডকোয়ার্টারে প্রেরণ করা এবং এমনিভাবে এটি কেন্দ্রীয় সামরিক শূরাকে জানাতে হবে।

    ৪৭. যদি কোন ব্যক্তি আত্মসমর্পণের পর তার প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থতা দেখায় অথবা ক্ষমার শর্ত ভঙ্গ করে তবে তার চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে এবং যে নিরাপত্তা তাকে দেয়া হয়েছিল তার অবসান ঘটবে।
    তার পুনঃ আত্মসমর্পণের ব্যাপারে মুজাহিদরা যদি সন্তুষ্ট না হয় তবে অবশ্যই তারা তার থেকে জামিনদার তালাশ করবেন।

    ৪৮. সেসব ব্যাক্তিবর্গ যারা অনৈসলামিক প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে পদত্যাগের পর আত্মসমর্পণ করেছেন ও তাওবা করেছেন কিন্তু তাওবার ঠিক পূর্বে তারা কারো ক্ষতি করেছে, সেক্ষেত্রে এই ব্যক্তি যদি সন্তুষ্টচিত্তে তাকে (যার ক্ষতি করা হয়েছে তাকে) ক্ষতিপূরণ দেয় তবে এটি গ্রহনযোগ্য অন্যথায়...।

    ৪৯. যদি (আত্মসমর্পনকারী) কোন ব্যক্তির ব্যাপারে পরিপূর্ণ সন্তুষ্টি পাওয়া না যায় তবে তাকে যথার্থ কারণবশত মুজাহিদদের সারিতে রাখা হবে না। আর যদি সন্তুষ্টি পাওয়া যায় তাহলে তাকে মুজাহিদদের সারিতে স্থান দেয়া হবে এক্ষেত্রে অবশ্যই কেন্দ্রীয় আমিরের অনুমতি চাইতে হবে।

    ৫০. যদি অনৈসলামিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন ব্যক্তি মুজাহিদদেরকে [যেকোনভাবে] উপকৃত করে থাকে তবে এমন ব্যক্তিকে “বিশেষ নিরাপত্তা” দেয়া যেতে পারে অবশ্য কেন্দ্রীয় আমিরের অনুমতি নেয়ার পর। তা সত্ত্বেও তাকে “সাধারণ নিরাপত্তা” দেয়া হবে না। যদি মুজাহিদদের অন্য অন্য কোন গ্রুপ বা ইউনিট সে ব্যক্তিকে আক্রমণ করে, তবে যে মুজাহিদ তাকে নিরাপত্তা দিয়েছিল সে তার এই ক্ষতির জন্য কোন দায় বহন করবে না। [তার উপর আক্রমণের জন্য সে যেহেতু অন্য কোন মুজাহিদকে নির্দেশ করে নি। এবং] কেননা তাকে “সাধারণ নিরাপত্তা” দেয়া হয় নি। যাইহোক এই নিয়ম সে ব্যক্তির উপর প্রয়োগ হবে যে অনৈসলামিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করে আসছে, সাথেসাথে সে মুজাহিদদের জন্য কাজ করে দেয় আত্মীয়তা কিংবা জীবন বা চাকুরী রক্ষার স্বার্থের ভিত্তিতে।
    আর যদি (বিশেষ) কোন ব্যক্তিকে মুজাহিদদের আদেশক্রমে এ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে বলা হয় অথবা যখনই তাকে ডাকা হবে তখনই সে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে দিতে প্রস্তুত কিন্তু মুজাহিদরা (জিহাদের প্রয়োজনে) তাকে সেখানে থাকতে বলেন-- এমতাবস্থায় সে ব্যক্তি (মুজাহিদদের দ্বারা কোনভাবে) ক্ষতিগ্রস্ত হলে মুজাহিদদেরকে এর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

    ৫১. এটি মুজাহিদদের জন্য বৈধ নয় যে আর্মি, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার যারা তাওবা করেছে এবং মুজাহিদদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে তাদেরকে হত্যা করা। অধিকন্তু উপরে বর্ণিত সরকারের গোলামদের কেউ যদি দৃষ্টান্তমূলক কোন কৃতিত্ব রাখে (তাগুতের ক্ষতিসাধন করে) অথবা অস্ত্রশস্ত্র সহকারে চলে আসে সেক্ষেত্রে মুজাহিদরা তাকে শুধু নিরাপত্তাই দিবে না বরং পুরষ্কৃত করবে!
    মুসলিম উম্মাহ তো জিহাদের উম্মাহ!

  • #2
    মাশাআল্লাহ,,,অনেক সুন্দর আলোচনা।
    আল্লাহ কবুল করুন,আমীন।
    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

    Comment


    • #3
      আলহামদুলিল্লাহ,, আল্লাহ ttp ভাইদের কবুল করুন আমীন। আল্লাহ আফগানিস্তানের মতো পাকিস্তানকেও ইসলামের ছায়াতলে নিয়ে আসুন, আমীন।
      বিলাসিতা জিহাদের শুত্রু,শাইখ উসামা রাহ।

      Comment


      • #4
        আলহামদুলিল্লাহ,, খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা।
        ইউএসের সাহায্যকারীদের এখন খবরই আছে।
        والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

        Comment


        • #5
          মাশাআল্লাহ, কত সুন্দর নির্দেশিকা!
          এরপরেও একদল বলবে, মুজাহিদরা নিরাপরাধকে মানুষকে হত্যা করে!
          তাদেরকে আল্লাহ সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন
          জাযাকাল্লাহ ভাই...এমন পোস্ট আরো চাই...
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment


          • #6
            আলহামদুলিল্লাহ,,
            অনেক গুরুত্ব পূর্ণ আলোচনা।
            আল্লাহ তা'আলা কবুল করুন, আমীন।
            হয়তো শরীয়াহ নয়তো শাহাদাহ

            Comment


            • #7
              একটি বিষয় লক্ষ্য করি, সেটা হল,
              ইসলামি বিশ্বের তাগুত সরকার সমূহের অধীনে কর্মরত- সামরিক সদস্যদের থেকে সাধারণভাবে অসামরিক চাকুরেদেরকে সুনির্দিষ্ট কিছু কারণে পৃথক করা হবে। এটি এ কারণে যে ব্যাপারটি চিরন্তন এবং এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্বচ্ছ-দৃশ্যমান। (যেমন: সামরিক শাখায় যোগদান তাগুতি ব্যাবস্থার ভিত্তির সুরক্ষা দেয়, টিকিয়ে রাখার নিশ্চয়তা দেয় ও দলবৃদ্ধির মাধ্যমে একে শক্তিশালী করে অধিকন্তু কুফর নেতাদের আশ্বস্ত রাখে ও মুসলিমদের বীর্যবত্তা দমন করে রাখে। কিন্তু সাধারণভাবে অসামরিক চাকুরেদের ব্যাপারে নির্বিঘ্নে এমন বলা যায় না।)
              মুসলিম উম্মাহ তো জিহাদের উম্মাহ!

              Comment

              Working...
              X