Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ১৯ই ছফর , ১৪৪১ হিজরী # ০৭ অক্টোবর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ১৯ই ছফর , ১৪৪১ হিজরী # ০৭ অক্টোবর , ২০২০ঈসায়ী।

    সীমান্ত সন্ত্রাসী বিএসএফের গুলিতে নিহত ৩, লাশ ভাসছে মহানন্দায়

    চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে মহানন্দা নদীতে ভাসছে বিএসএফের গুলিতে নিহত তিন বাংলাদেশির মৃতদেহ। গত ১ অক্টোবর গভীর রাতে বিএসএফের গুলিতে ওই তিন বাংলাদেশি নিহত হন বলে স্থানীয়রা জানান। এরপর থেকে ভোলাহাটের বজরাটেক আলীসাহাসপুর সীমান্তের মহানন্দা নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে।

    স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ৭-৮ জনের একটি চোরাকারবারি দল ভোলাহাটের বজরাটেক আলীসাহাসপুর সীমান্তের ওপারে ভারতের সূখনগর সীমান্তে গরু আনতে যায়। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী সূখনগর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কয়েকজন নদী সাঁতরে পালিয়ে এলেও গুলিবিদ্ধ হন ৩-৪ জন। এরপর থেকে ওই এলাকার জেলেদের নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশের সীমান্ত বাহিনী বিজিবি।

    রোববার বিকালে জেলেদের বিছানো জাল তুলে আনার জন্য ১ ঘণ্টার সময় দেয় বিজিবি। জাল তুলতে গিয়ে মহানন্দা নদীর সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলারের (৪১ ও ৪২) কাছে দুটি স্থানে পানির মধ্যে দুটি লাশ একসঙ্গে বাঁধা এবং অপর লাশটি ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান জেলেরা। এ সময় আতঙ্কিত জেলেরা দ্রুত ফেরত আসেন।

    স্থানীয় জেলে সানাউল হক, আমিন আলী, মোহন আলী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে দুটি গুলির শব্দ আমরা শুনেছি। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে স্থানীয় জেকে পোলাডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা আমাদের নদীতে মাছ ধরতে দেয়নি। গত রোববার এক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের জালগুলো তুলে আনার অনুমতি দেয়।

    জেলে আবদুল জলিল যুগান্তরকে বলেছেন, জাল তুলে আনতে গিয়ে নদীর শেষ সীমানায় একটি লাশ ভাসতে দেখেছি।

    জেলে সাদিকুল ইসলাম বলেন, নদীর শেষ সীমানায় বেগুনের ক্ষেতের পাশে দুটি লাশ একত্রে বাঁধা অবস্থায় দেখেছি। এরপরই ভয়ে দ্রুত ওই এলাকা থেকে চলে আসি।

    এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৫৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান জানান, ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এ ধরনের কোনো ঘটনা জানা নেই বলে জানিয়েছে।
    সূত্র:যুগান্তর
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ইসরায়েলী সেনাদের গুলিতে আরও এক ফিলিস্তিনি যুবক নিহত

    পশ্চিম তীরে ইহুদিবাদী ইসরায়েলী সেনাদের গুলিতে ফিলিস্তিনের আরো এক যুবক নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন অপর এক যুবক।

    জায়নিস্ট টিভি চ্যানেল-২০ এ বলা হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় পশ্চিম তীরের পূর্বে অবস্থিত আইনাফ শহরের কাছে ওই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়।

    অপরদিকে ইসরায়েলী কর্তৃপক্ষ বরাবরের মতোই এই হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গাইছে। তাদের দাবি, ওই দুই যুবক জায়নবাদিদের লক্ষ্য করে মলোটভ ককটেল এবং আগ্নেয় উপকরণ নিক্ষেপের চেষ্টা করেছিলো।

    সূত্র: ইকনা।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ৭০ বছরে ফিলিস্তিনিদের ১ লাখ ৬৬ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে ইসরায়েল


      ইহুদিবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের ১ লাখ ৬৬ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে। উদ্বাস্তু হয়েছে ১০ লক্ষ ফিলিস্তিনি।

      আরব স্টাডিজ অ্যাসোসিয়েশনের ল্যান্ড রিসার্চ সেন্টার এক রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে। গতো ৬ আগস্ট অ্যাসোসিয়েশনটির বরাতে ফিলিস্তিনি ইনফরমেশন সেন্টার এই খবর প্রচার করে।

      জেরুসালেম-ভিত্তিক এই সংগঠনটি জানায়, ১৯৪৭ সালে ফিলিস্তিনের ভূমিতে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত দেড়লক্ষাধিক বাড়িঘর ধ্বংস করেছে দখলদার ইহুদি বাহিনী। প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি হয়েছেন বাস্তুচ্যুত। উপর্যুপরি বোমাহামলার শিকার এসব ফিলিস্তিনি বেঁচে থাকার তাকিদে পাড়ি জমিয়েছেন ভিনদেশে। বরণ করেছেন শরণার্থীর জীবন।

      সংগঠনটি আরো জানায়, চলতি বছরই নয় মাসে এ পর্যন্ত ৪৫০টি ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে দখলদার বাহিনী। এমনকি ‘বিল্ডিং পারমিটের’ নামকরে অনেক ফিলিস্তিনিকে তাদের ঘরবাড়ি নিজ হাতে ভাঙতে বাধ্য করা হয়েছে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        স্কুলছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণ পুলিশ সদস্যের


        দিনাজপুরে স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ ও ধর্ষণ করেছে নবীউল ইসলাম (২৩) নামে এক পুলিশ।

        মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল স্কুলে যাওয়ার পথে দিনাজপুর শহরের মহারাজা গিরিজানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী মনিষাকে বটতলা মোড় থেকে মাইক্রোবাসে তুলে সদর উপজেলার মাতাসাগর পানুয়াপাড়া গ্রামের নবীউল ইসলাম (২৩), তার ভাই নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু (২৮), ভাবি কাওসার ইয়াসসিন ছোটি (২৪) ও নবিউল ইসলামের পিতা জাফর আলী জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর তাকে রংপুরের বদরগঞ্জে জোরপূর্বক আটক রেখে ফুসলিয়ে বিয়েতে রাজি করা হয়। পরে তাকে অজ্ঞাতনামা কাজি অফিসে নিয়ে গিয়ে নিকাহ রেজিস্টারে স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানানো হয়।

        তারপর নবীউল ইসলাম মনিষাকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে জোরপূর্বক দাম্পত্য জীবন শুরু করে। গত ২০১৪ সালের ১ আগস্ট দিনাজপুরে নিয়ে আসার কথা বলে ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন থেকে সৈয়দপুর স্টেশনে আসার পর সেখানে নবীউল ইসলাম মনিষাকে নিয়ে নেমে যায়। সেখানে নবিউল ইসলাম মনিষাকে বলে, ‘তোমার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়নি, তুমি বাড়ি চলে যাও।’ এ সময় মনিষা চিৎকার করলে স্টেশনের লোকজন নবীউল ইসলামকে আটক করে সৈয়দপুর থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয়। কিন্তু নবীউল ইসলাম পুলিশ হওয়ায় সৈয়দপুর থানা পুলিশ একটি জিডি করে তাকে ছেড়ে দেয়।

        কালের কন্ঠ
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          সরকারি চাল আত্মসাৎ করে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

          সরকারি চাল আত্মসাতের দায়ে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউপি চেয়ারম্যান মনির হাসান রিন্টুকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। রিন্টু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ইউএনও।

          সংশিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের জুন মাসে চাপড়া ইউপির চেয়ারম্যান মনির হাসান রিন্টুর বিরুদ্ধে ২৪৯ বস্তা (৭.৪৭০ মেট্রিক টন) সরকারি চাল (ভিজিডি) আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বিষয়টি তদন্ত করা হয়।

          এ বিষয়ে কথা বলতে চেয়ারম্যান মনির হাসান রিন্টুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

          আমাদের সময়
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            আদালতে শিবির নিয়ে আবরারের বাবাকে হয়রানি

            হত্যার শিকার বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ ইসলামী ছাত্রশিবিরে যুক্ত ছিলেন- এমন অভিযোগসহ শিবির নিয়ে একের পর এক প্রশ্নে জর্জরিত করা হয়েছে তার বাবা মো. বকরত উল্লাহকে। আসামিপক্ষের আইনজীবীদের শিবির সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে ‘না’ বলেন আবরারের বাবা।

            গতকাল মঙ্গলবার আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিনে মাঝে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে আট ঘণ্টা বাদী বরকত উল্লাহকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এ জেরার মধ্য দিয়ে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।

            রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ভূঞা জানিয়েছেন, আজ বুধবার মামলার রেকর্ডিং কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহরাব হোসেন এবং সুরতহালের সাক্ষী এসআই দেলোয়ার হোসেন সাক্ষ্য দেবেন।

            গত সোমবার ট্রাইব্যুনালে বাদী বরকতউল্লাহর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়। কুষ্টিয়ার অবসরপ্রাপ্ত এই ব্র্যাককর্মী জবানবন্দি দিতে গিয়ে কেঁদে কেঁদে সন্তান হত্যার বিচার চান। মঙ্গলবার জেরায় বরকত উল্লাহকে আসামিপক্ষের এক আইনজীবী বলেন, ‘আবরার ছাত্রশিবিরে যুক্ত ছিলেন’। উত্তরে ‘না’ বলেন আবরারের বাবা।

            এ সময় আরেক আইনজীবী বলেন, ‘শিবিরের কমীদের ইন্ধনে ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর দায় চাপিয়ে এ মামলার এজাহার করা হয়েছে এবং এজাহার দাখিলের সময় শিবিরের সদস্যদের দিয়ে বাদী পরিবেষ্টিত ছিলেন।’ এ কথার উত্তরেও ‘না’ বলেন বরকত উল্লাহ। আবরারের লাশ কয়েকজন শিবিরকর্মী ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে নিয়ে বাদীর শ্যালক আব্দুল কাদেরকে বুঝিয়ে দেন বলে দাবি করেন এক আইনজীবী। এ কথায় আবরারের বাবা বলেন, ‘আমি তাদের চিনি না। আমি মর্গে ঢুকি নাই, বাইরে ছিলাম।’

            এক আইনজীবী বলেন, ‘আপনি এমনভাবে শিবিরের কমীদের দিয়ে পরিবেষ্টিত ছিলেন যে আপনি ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কাউকে হত্যার বিষয়ে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করতে পারেন নাই।’ আবরারের বাবা তা অস্বীকার করলেও মামলা করার বিষয়ে বুয়েট ভিসি কিংবা প্রক্টরের কাছে কোনো তথ্য জানতে না চাওয়ার কথা স্বীকার করেন। এক আইনজীবী প্রশ্ন করেন, ‘আবরারকে কারা কারা ডেকে নিয়েছিল এবং ২০১১ নম্বর কক্ষে কারা ছিল, তা আপনি জানেন?’ এসময় মৌন ছিলেন বরকত উল্লাহ।

            এক আইনজীবী বলেন, ‘বুয়েট কর্তৃপক্ষ আবরার হত্যার দায় এড়াতে আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে। এ ঘটনাটি বুয়েট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ঘটেছে। যেহেতু আপনি (বাদী) শিবিরের সদস্যদের দিয়ে পরিবৃত ছিলেন, সে কারণে আপনি আবরার হত্যার দায় আপনার অজান্তেই আসামিদের ওপর চাপিয়েছেন। এ মামলায় আপনি নিজে বাদী না বুয়েট থেকে মামলা করা হয়- আসামি পক্ষের আইনজীবীর এই প্রশ্নে বুয়েট কর্তৃক নিয়োজিত আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী, আবু আবদুল্লাহ ভূঞা ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, শহীদুল ইসলামের মধ্যে তুমুল বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে বিচারকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

            আসামি অমিত সাহার আইনজীবী মঞ্জু বাদীকে জেরা করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, ‘অমিতের নাম এজহারে নেই, আর বাদীও তার জবানবন্দিতে অমিতের নাম ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে কিছু বলেননি।’

            আসামি মনিরুজ্জামান মনিরের পক্ষে আইনজীবী শহীদুল ইসলাম, আসামি মতিউল, শামীম বিল্লাহ, মিজানুর রহমান মিজান, এসএম মাহমুদ সেতুর পক্ষে ফারুক আহম্মদ জেরা করেন। এ মামলার আসামিদের মধ্যে ২২ জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। বাকি তিনজন পলাতক রয়েছেন। আমাদের সময়
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              যুবলীগ নেতার তাণ্ডবে ক্ষতবিক্ষত গ্রাম, প্রতিবাদ হলেই মামলা

              হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের দ্বারাগাঁও গ্রাম ক্ষতবিক্ষত বালু উত্তোলনে। বসতভিটা হারাচ্ছেন গ্রামের দরিদ্র মানুষ। ভেঙে পড়েছে রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎলাইন, কবরস্থান ও শ্মশানঘাট। প্রতিদিন ৭০-৭৫টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে ফসলিজমি থেকে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে পুরো গ্রাম।

              ইতিমধ্যে অনেকেই বালুখেকোদের তাণ্ডবে বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। গ্রামের যুবকরা অবৈধভাবে এসব বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাদের মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে প্রভাবশালী বালুখেকোরা। মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ জন বালুখেকোর কারণে বিলুপ্ত হতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী দ্বারাগাঁও গ্রাম।

              এদিকে গত রবিবার বিকেলে চুনারুঘাটের সহকারী কমিশানর (ভূমি) মিলটন চন্দ্র পালের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত দারাগাঁও গ্রামে অভিযান চালিয়ে ২৬টি ড্রেজার মেশিন এবং প্রায় পাঁচ হাজার ফুট পাইপ ভেঙে নষ্ট করে দিয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে আব্দুল করিমকে এক বছর ও কদ্দুছ মিয়াকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

              স্থানীয়রা জানান, চুনারুঘাট উপজেলার দ্বারাগাঁও গ্রামের যুবলীগ নেতা মশ্বব আলী কাউসারের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দল গ্রামে বালু সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তাদের মদদ দিচ্ছে পার্শ্ববর্তী বাহুবলের জয়পুর গ্রামের ফারুক মিয়াসহ আরো ৮-১০ জনের একটি চক্র। এ চক্রটি গ্রামের ৩০-৩৫ জনের কাছ থেকে জমি ভাড়া নিয়ে বড় বড় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে। বালু ট্রাক্টর দিয়ে পরিবহন করে কামাইছড়া এলাকার ডিপোতে নিয়ে আসে। ডিপো থেকে বালু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়ে যাচ্ছে। বালু বিক্রি করে তারা কোটিপতি হলেও গ্রামের মানুষ হচ্ছে নিঃস্ব।

              বালু উত্তোলনের ফলে বড় বড় গর্ত তৈরি হচ্ছে এবং এসব গর্ত থেকে আবারও বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙছে ফসলিজমি ও বসতঘর। এসব বালু আবার ফসলিজমিতে ডিপো করে পরিবহন ও লোড-আনলোড করার কারণে ফসলিজমিও নষ্ট হচ্ছে। কামাইছড়া থেকে দ্বারাগাঁও পর্যন্ত পাঁচটি ব্রিজ রয়েছে চরম হুমকিতে। যেকোনো সময় এসব ব্রিজ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। বিচ্ছিন্ন হতে পারে ফিনলে টি কম্পানির চা পরিবহন ও যাতায়াত। একইভাবে বালু পরিবহন ও উত্তোলনের কারণে হুমকির মধ্যে রয়েছে দ্বারাগাঁও চা বাগান।

              এ বিষয়ে সাটিয়াজুরী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বলেন, দ্বারাগাঁও গ্রামে বালুখেকোরা হরিলুট চালাচ্ছে, সব দলের লোকজন মিলেই গ্রামে বালু উত্তোলন করছে, গ্রামের বাড়িঘরের প্রতি তাদের কোনো দরদ নেই। তিনি এ বিষয়ে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় বারবার অবগত করছেন বলেও জানান। তিনি বলেন, গ্রামবাসী এ বিষয়ে সচেতন না হলে ভয়াবহ পরিণতি হবে। কালের কন্ঠ
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                এবার কৃষকলীগ কর্তৃক শিশু ধর্ষণের শিকার

                শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় এক ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় বুধবার সকালে নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

                ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাকরকান্দি ইফনিয়নের কৃষকলীগের সভাপতি হারুন মণ্ডলের বাড়িতে ভুক্তভোগী শিশু (১০) গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। ওই গৃহপরিচারিকাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে হারুন। পরে ওই শিশু গৃহপরিচারিকা কাজ বাদ দিয়ে নিজের বাড়িতে চলে আসে। নিজ বাড়িতে আসার কয়েক দিন পর তার ভাই ও ভাবি ফের হারুনের বাড়িতে কাজের জন্য যেতে বলে। কিন্তু ওই শিশু হারুনের বাড়িতে কাজে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে ওই শিশু তার ভাবিকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়।

                এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে ওই শিশুর পরিবারের লোকজন হারুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য হারুন গোপনে একটি সালিশ ডাকেন। সালিশে ওই শিশুর পরিবারের লোকজনকে নিয়ে আসা হয়। পরে বিষয়টি কাউকে না জানানোর শর্তে কিছু টাকা জরিমানা দেয়। তবে সালিশের সপ্তাহখানেক পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। এরপর গত মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযুক্ত হারুনের শাস্তির দাবিতে অনেকে পোস্ট দেন।

                বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বুধবার ভোরে পাশের হালুয়াঘাটের জুগলী ইউনিয়নের রণকুঠোরা গ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করে।

                নয়া দিগন্ত
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  আল্লাহ্ এই কালো অধ্যায় মুছে ইসলামি খেলাফাত দান করুন,
                  আমাদের ইসলামি সুন্দর পৃথিবী গড়ার নুসরাহ দিন আমীন।

                  Comment

                  Working...
                  X