Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ২১ই ছফর , ১৪৪১ হিজরী # ০৯ অক্টোবর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ২১ই ছফর , ১৪৪১ হিজরী # ০৯ অক্টোবর , ২০২০ঈসায়ী।

    ৩৬ বছর ধরে ইহুদি কারাগারে বন্দী,সাক্ষাতের অনুমতি নেই স্বজনদের

    ৬৫ বছররে বৃদ্ধ মুহাম্মাদ আলতাস নামে এক ফিলিস্তিনিকে ৩৬ বছর ধরে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল।

    অতি সম্প্রতি ‘ফিলিস্তিন প্রিজনার সোসাইটি’ (পিপিএস) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলকৃত পশ্চিম তীরের বেথলেহেম প্রদেশের জাবা এলাকার অধিবাসী মুহাম্মাদ আলতাসকে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের প্রতিবাদ করার কারণে ১৯৮৫ সালে ফাতাহর সদস্য হিসাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো।

    ৬৫ বছর বয়স্ক এই ব্যাক্তিকে আটক করার সময় গুলি করে গুরুতর আহত করেছিল ঘৃণ্য ইহুদি সন্ত্রাসী বাহিনী। এরপরে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও দেওয়া হয়। ইসরায়েলি দখলদার কর্তৃপক্ষের দ্বারা আটককৃত দীর্ঘতম সময়ের বন্দীদের
    মধ্যে তিনি একজন।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মুহাম্মাদ আলতাসের স্ত্রী দীর্ঘ এক বছর কোমায় থাকার পর গতো ২০১৫ সালে মারা গেছেন। তার তিন সন্তান ও ৯ নাতি-নাতনি রয়েছে। কিন্তু তাদেরকে কাউকেই আলতাসের সাথে দেখা করার অনুমতি দেয়নি দখলদার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

    পিপিএসের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ১৯৮৩ সাল থেকে আটক থাকা করিম ইউনুস ও মেহের ইউনুসসহ ওসলো চুক্তিতে স্বাক্ষর হওয়ার আগে থেকে কারাগারে থাকা ২৬ জন ফিলিস্তিনির মধ্যে আলতাস একজন। বর্তমানে ইসরায়েলি কারাগারে এমন ৫১ জন ফিলিস্তিনী রয়েছে যারা ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাভোগ করছেন। এছাড়াও প্রায় ৫৪১ জন বন্দি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন।

    প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েলি কারাগারে ২২২ জন ফিলিস্তিনী মারা গেছেন। এছাড়া কারাগার থেকে মুক্তির পর কারাগারে থাকাকালীন চিকিৎসা অবহেলার প্রত্যক্ষ ফলস্বরূপ মারা গেছেন আরোও কয়েক শতাধিক ফিলিস্তিনী।

    সূত্র: মিডলইস্ট মনিটর
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    সেই ফ্লয়েড হত্যাকারী পুলিশ কর্মকর্তা জামিনে মুক্ত

    গলায় হাঁটু চেপে শ্বাসরোধ করে জর্জ ফ্লয়েড নামে কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে হত্যার আসামী ডেরেক চাওভিন নামে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সেই পুলিশ কর্মকর্তা ১০ লাখ ডলার মুচলেকার বিনিময়ে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল বুধবার তিনি মুক্তি পান।

    জালিয়াতির অভিযোগে গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার রাস্তায় ফ্লয়েডের গলায় প্রায় আট মিনিট হাঁটু চাপা দিয়ে তাকে হত্যা করে চাওভিন। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী তীব্রতর অভিযোগ সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডারের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। আগামী বছরের মার্চে তার এই অভিযোগের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর কথা রয়েছে। তার আগ পর্যন্ত মুক্ত থাকতে পারবেন তিনি। যদিও এ ব্যাপারে চাওভিন বা তার কোনো আইনজীবী কথা বলেননি।

    ওই ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকা চাওভিনের সঙ্গে থাকা আরও তিন পুলিশ অফিসার আলেক্সান্ডার কুয়েং, টমান ল্যান ও তু থাওকেও বরখাস্ত করা হয়। ফ্লয়েডকে হত্যায় চাওভিনকে সহযোগিতা করায় তাদের বিরুদ্ধে হত্যায় সহযোগিতা করার মামলা হয়েছে। তবে তারা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন আগেই।

    জামিনের বিষয়টি নিয়ে তীব্র নিন্দা করেছেন ফ্লয়েডের পরিবারের আইনজীবী বেন ক্রাম্প। তিনি বলেন, মাত্র ২০ ডলার নিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের জীবন কেড়ে নেওয়ার পর ডেরেক চাওভিন আজ ১ মিলিয়ন ডলারের মুচলেকার বিনিময়ে সে তার মুক্তি কিনেছে। মুচলেকায় তার মুক্তি জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারকে সেই বেদনার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, তারা ন্যায্য বিচার পাওয়া থেকে এখনো অনেক দূরে। আমাদের সময়
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      স্ত্রীকে ৪ টুকরা করে হত্যা পুলিশ সদস্যের

      ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে চার টুকরা করে হত্যা করেছে সাদ্দাম হোসেন নামে এক পুলিশ সদস্য। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালাবাড়ী বাজার এলাকা পারিবারিক কলহের কারণে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনাটি ঘটে। ভোরে লাশ উদ্ধার করা হয়।

      জনগণ জানিয়েছে, স্থানীয় তাফালবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির কনেষ্টবল মো. সাদ্দাম হোসেন (৩৫) তার দ্বিতীয় স্ত্রী জোসনা বেগমকে (৩০) নিয়ে তাফালবাড়ী বাজারের একটি বাসায় বসবাস করতেন। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। এর জের ধরে নিজের ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুন করেন সাদ্দাম।

      যেভাবে খুন হন জোসনা
      বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোসনা বেগমের দেহ থেকে মাথা কেটে ফেলেন সাদ্দাম। পরে দুই হাতের কবজি আলাদা করে ফেলেন। পেট কেটে ৪ টুকরা করে জোসনার গর্ভের বাচ্চাটিকে বের করে ফেলেন।

      আজ শুক্রবার সকালে শরণখোলা থানায় সাদ্দামের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত জোসনার মা জুলেখা বেগম।

      জানা গেছে, এক বছর আগে খুলনার রূপসা থানার চানপুর গ্রামের বাসিন্দা জোসনাকে বিয়ে করেন সাদ্দাম। তার বাবার নাম আ. লতিফ। তাদের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার বড়দল গ্রামে। ২০১৩ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন সাদ্দাম। সেখান থেকে গত তিনমাস আগে ফকিরহাট থেকে তাফালবাড়ীর পুলিশ ফাঁড়িতে তিনি যোগদান করেন। আমাদের সময়
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        রাখাইনে ‘উন্মুক্ত কারাগারে’ লক্ষাধিক মুসলিম আটক

        যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক বিবৃতিতে জানায়, মিয়ানমারের সরকার রাখাইন রাজ্যে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকে বছরের পর বছর নোংরা ক্যাম্পে আটক করে রেখেছে।

        বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঢালাওভাবে আটক’ রোহিঙ্গাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

        ২০১২ সালে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো শুরু করার পর থেকে রোহিঙ্গা ও কামান মুসলিমদের ‘উন্মুক্ত বন্দিশিবিরে’ আটক করে রাখা হয়েছে বলে উঠে এসেছে এ রিপোর্টে।

        ১৬৯ পৃষ্ঠার রিপোর্টে মধ্য রাখাইন রাজ্যে ২৪টি ক্যাম্পের ‘অমানবিক’ পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।

        উল্লেখ করা হয়, রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, খাদ্য ও আশ্রয়ের অধিকারের পাশাপাশি তাদের মানবিক সহায়তা পাওয়ার অধিকারও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

        ক্যাম্পে আটক থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে পানি বাহিত রোগ, অপুষ্টির মাত্রা এবং শিশু ও প্রসূতি মৃত্যুর হার বেশি।

        রিপোর্টের লেখক ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক গবেষক শায়না বাউকনার বলেন, “মিয়ানমার সরকার দাবি করে যে তারা সবচেয়ে গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধ করছে না। কিন্তু তাদের এই দাবি ফাঁকা বুলির মতো শোনাবে যদি তারা রোহিঙ্গাদের পূর্ণ আইনি সুরক্ষাসহ ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে না দেবে।”

        সংস্থাটি বলছে, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে উত্তর রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর চালানো গণহত্যা ও নির্যাতনের ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে ২০১২ সালের পদক্ষেপ।

        ২০১৮ সালের পর থেকে ৬০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা, কামান মুসলিম এবং মানবাধিকার কর্মীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে রিপোর্টটি। এ ছাড়া শতাধিক সরকারি, বেসরকারি অভ্যন্তরীণ নথিসহ জাতিসংঘের রিপোর্ট পর্যালোচনা করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার ও রাখাইন রাজ্যের সরকারের কাছে ক্যাম্পগুলোর পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য বারবার আহ্বান জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিতভাবে সেসব আহ্বান উপেক্ষা করে এসেছে।

        হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দীর্ঘসময় ধরে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে আর সেই পরিকল্পনার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ২০১২ সালে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালায়।

        রাখাইন রাজ্যে কর্মরত একজন জাতিসংঘ কর্মকর্তা ২০১২ সালে মিয়ানমারের সরকারের মনোভাব সম্পর্কে বলেন, “তাদের মনোভাব ছিল কোণঠাসা করা, আবদ্ধ করা এবং শত্রুকে আটক রাখা।”

        ২০১৭ সালের এপ্রিলে ২০১২ সালে তৈরি করা অস্থায়ী ক্যাম্পগুলো বন্ধ করার ঘোষণা দেয় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালে তারা ‘অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসন ও আইডিপি ক্যাম্প বন্ধের জাতীয় কর্মসূচি’ হাতে নিলেও সেসময় ক্যাম্পের পরিধি বাড়িয়ে কার্যত রোহিঙ্গাদের নিজেদের বাসস্থানে ফিরে যাওয়ার সুযোগ আরও সীমিত করে দেয়।

        কামান মুসলিম সম্প্রদায়ের এক নেতা বলেন, “এখন পর্যন্ত একজনও ফিরে যেতে পারেনি, একজনকেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। এখনো আমরা সরকারকে আমাদের জায়গার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে যাচ্ছি।”

        হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সঙ্গে কথা বলা একজন রোহিঙ্গাও মনে করেন না যে তাদের অনির্দিষ্টকালের শাস্তির মেয়াদ কখনো শেষ হবে বা তাদের সন্তানরা কখনো স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পারবে।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X