Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ২৩ই ছফর , ১৪৪১ হিজরী # ১১ অক্টোবর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ২৩ই ছফর , ১৪৪১ হিজরী # ১১ অক্টোবর , ২০২০ঈসায়ী।

    দেশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছেঃ সাংবাদিক নেতা

    সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, ধর্ষণ, গুম, খুন, ক্রসফায়ার ও দুর্নীতির কারণে দেশ আজ মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আর এসব অপকর্মের সাথে সরকার, সরকারিদল জড়িত।বিচার চেয়েও বিচার পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের মানুষ আজ চরম অসহায়বোধ করেছে।

    রোববার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশের বিভিন্ন স্থানে অব্যাহত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং মানবিক রাষ্ট্রের দাবিতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত মানববন্ধন ও সাংবাদিক সমাবেশ নেতৃবৃন্দ একথা বলেন।

    ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন ও সাংবাদিক সমাবেশে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বিএফইউজের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজের সহসভাপতি শাহিন হাসনাত, তোফাজ্জল হোসেন, খন্দকার আলমগীর হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক রোজী ফেরদৌস, দেওয়ান মাসুদা সুলতানা, জেসমিন জুঁই প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন কোন দেশে ধর্ষণ হয় না? আবার আরেক মন্ত্রী বললেন, আমেরিকা-ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে নারী নির্যাতন কম হয়। ধর্ষণের ঘটনায় মন্ত্রীদের এমন বক্তব্য ধর্ষকদের অনুপ্রাণিত করে। ভেবে দেখুন আমরা কোন দেশে বাস করছি? তিন বছরের কন্যাশিশু থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধা ধর্ষণকারীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। মা-বোনদের সরকারি দলের লোকেরা ধরে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করছে। স্বামীর কাছ থেকে তুলে নিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করছে। বাবা-মায়ের সামনে কন্যাকে ধর্ষণ করছে। এরকম একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে দেশে। বলা হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে এখন মানুষ বেশি জানতে পারছে। অথচ দেশে শতকরা ৮০টি ধর্ষণের কথা প্রকাশই পায় না। বাকি শতকরা ২০টি ধর্ষণের মধ্যে আদালতে মামলা পর্যন্ত গড়ায় ১০টি। তার মধ্যে শতকরা পাঁচটি ক্ষেত্রে ধর্ষকের শাস্তি হয়। আবার যাদের শাস্তি হয় কিছু দিন পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

    সাংবাদিক নেতারা নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় চাঞ্চল্যকর স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে এক নারীকে মারধর ও ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় আসামি রুহুল আমিনকে জামিনে মুক্তি দেয়ার তীব্র সমালোচনা করেন। তাকে জামিন দেয়া মানেই ধর্ষককে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া। এই সরকার এভাবে ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে।

    রাজনৈতিক প্রভাবে অপরাধীরা মনে করে তাদের কিছু হবে না। আর এই প্রবণতা থেকে প্রতিদিন মা-বোনের ইজ্জত কেড়ে নিচ্ছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগাররা।

    সাংবাদিক নেতারা বলেন, করোনার চেয়েও মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ধর্ষণ প্রবণতা।এটা আগে রুখতে হবে। আমাদের মা, বোন, স্ত্রী, সন্তানরা আজ নিরাপদ নয়। সংগ্রাম
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    চাচার সামনেই তরুণীকে ছাত্রলীগ নেতার শ্লীলতাহানি

    চাচার মোটরসাইকেলের পেছনে বসে সাতক্ষীরা আসছিলেন। এ সময় কাপসন্ডা স্কুলের কাছে কয়েকজন বখাটে যুবক তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে জাপটে ধরে। তাকে বিয়ে করতে হবে বলে জানায় সাকিব বিল্লাহ নামের এক যুবক। তারা তার কাপড় চোপড় টেনে হেঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলে। এমনকি স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়।

    ভুক্তভোগী তরুণী জানান, তাকে শ্লীলতাহানি করেছে ছাত্রলীগ নেতাসহ ছয়জন। ওই ছয় যুবক হলেন- খাজরা ইউনিয়নের ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি সাকিব বিল্লাহ, রায়হান খোকা, আল আমিন মোড়ল, মো. শুভ, মামুন হোসেন বাবু ও মজনু সরদার।

    থানায় দেয়া এজাহারে ওই তরুণী উল্লেখ করেন, গত শুক্রবার বিকলে তিনি চাচার মোটরসাইকেলের পেছনে বসে সাতক্ষীরা আসছিলেন। এ সময় কাপসন্ডা স্কুলের কাছে কয়েকজন বখাটে যুবক তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে জাপটে ধরে। তাকে বিয়ে করতে হবে বলে জানায় সাকিব বিল্লাহ নামের এক যুবক। তারা তার কাপড় চোপড় টেনে হেঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলে। এমনকি স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়।

    তিনি জানান, লজ্জাকর অবস্থায় পড়ে তিনি দৌঁড়ে পালিয়ে যান। এর পরপরই আশাশুনি থানায় গিয়ে একটি এজাহার দিয়েছেন। পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করেনি। তিনি এর বিচার দাবি করেন।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আলুর দামে ইতিহাস

      যা হওয়ার নয়, তা-ই হয়েছে। সরকারের নিয়ন্ত্রণহীন বাজারে আলুর দাম ইতিহাস গড়েছে। খুচরা বাজারে আলু এখন ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি। গত দুই দিনেই পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত।

      বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আলুর এই দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩৩ শতাংশ বেশি। অবশ্য ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে প্রায় ১০০ শতাংশ বেশি।

      সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নিজেদের উৎপাদিত পণ্যটির দাম স্বাধীনতার আগে তো নয়ই, স্বাধীনতার পরও এত বাড়েনি।

      ভোক্তারা বলছেন, উচ্চবিত্তদের খাদ্য তালিকায় তেমন জরুরি না হলেও নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের সংসারে আলুর কদর অনেক। বিশেষ করে বাজারে অন্য সবজির দাম যখন লাগামছাড়া তখন আলুই ভরসা। এখন সেই আলু কেনারও সামর্থ্য তাদের নেই। দাম ব্যাপক চড়তে চড়তে নাগালের বাইরে চলে গেছে।

      খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আলু এখন হিমাগারে। সুতারাং দামও নিয়ন্ত্রণ করেন হিমাগারের মালিকরা।

      তবে হিমাগারের মালিকরা বলছেন, তাঁদের কাছে থাকা আলুর মালিক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। ভাড়ার বিনিময়ে তাঁরা শুধু আলু সংরক্ষণ করেন। এবার আলু উৎপাদনও কম হয়েছে, ফলে মৌসুম শেষ হওয়ায় দামও বাড়িয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া মধ্যস্বত্বভোগীরাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দাম বাড়াচ্ছে বলে হিমাগার মালিকদের দাবি।

      আলুর এমন দাম আর কখনো হয়নি বলে জানালেন হিমাগার মালিকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, চলতি বছর (মার্চে সমাপ্ত মৌসুম) আলুর উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কম হয়েছে। ফলে অনেক ব্যবসায়ীর ধারণা, আলুর দাম আরো বাড়বে। তাই অনেকে হিমাগার থেকে আলু তুলছেন না। এ ছাড়া আলুর দাম এখন নিয়ন্ত্রণ করছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। ফলে দাম বেড়েই চলেছে।

      মৌসুম শুরুর পর বাজারে আলু সাধারণত ২০ টাকা কেজির মধ্যে থাকে। শীতের আগে যখন মজুদ শেষের দিকে থাকে, তখন প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি করেন বিক্রেতারা। এবার প্রবণতা ভিন্ন। গত মার্চে যে আলু হিমাগারে ঢুকেছিল, ছয় মাস পেরোতেই সেটা কেজিপ্রতি ৫৫ টাকায় উঠে গেছে। নতুন মৌসুমের আলু পুরোদমে বাজারে আসতে আরো চার-পাঁচ মাস বাকি।

      রাজধানীর মালিবাগ, মানিকনগর, মুগদাসহ বিভিন্ন খুচরা বাজারে কয়েক দিন আগেও বাজারগুলোতে ৪৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হয়েছে।

      টিসিবির হিসাবে, গত বছর এই সময় আলুর কেজি ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা। সে হিসাবে গত বছরের তুলনায় দাম বেড়েছে ৩০ টাকা বা ১৩৩ শতাংশ পর্যন্ত।

      টিসিবির হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে পণ্যটির দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ। আর বছরের হিসাবে বেড়েছে ৯৫.৫৬ শতাংশ। টিসিবির মূল্য তালিকায় গতকাল আলুর দাম ছিল ৩৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি।

      মানিকনগর বাজারের আলু-পেঁয়াজ বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, গত দুই দিন ধরে আলুর দাম বাড়ছে। গতকাল তাঁদের কিনতে হয়েছে ৪৬ টাকা কেজি দরে। কমিশন, শ্রমিকের মজুরি, পরিবহন খরচ ও ঘাটতি যোগ করে ৫০ টাকার নিচে বিক্রি করা যায় না।

      বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, দেশে বছরে ৯৫ লাখ থেকে এক কোটি টন আলু উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশ কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) বলছে, গত বছর এক কোটি ৯ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে।

      গত অর্থবছরে (২০১৯-২০) দুই কোটি ৩৩ লাখ মার্কিন ডলারের আলু রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৬ শতাংশ বেশি।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X