Announcement

Collapse
No announcement yet.

অদূরদর্শীতাপূর্ণ এক বোকামী!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • অদূরদর্শীতাপূর্ণ এক বোকামী!

    ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে বিভিন্ন লেখা সম্বলিত হাতে ব্যানার-ফেষ্টুন সহ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন এক দল আলেম এবং ত্বলাবা। ওদিকে দুপুরের প্রচন্ড গরমে জমায়েত হয়ে, গরম গরম বক্তৃতা করে যাচ্ছেন আরেক দল উলামা-ত্বলাবা। মাথার উপর সূর্য, নিচে পিচ ঢালা রাস্তার তাপ, চতুর্পার্শ্বের মানুষের শরীরের তাপ, গা বেয়ে ঘাম ঝরছে, বেহাল এক অবস্তা সবার! কিন্তু সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই তাদের। তাদের সবার দাবী একটাই, ‘ধর্ষকদের ফাঁসি চাই’
    এভাবেই বিক্রি হয়ে চলছি আমরা। নিজেদের অজান্তেই তাদের দাবার গুটি হয়ে চলছি আমরা।
    আচ্ছা, ইসলামে কি ধর্ষকদের কোন শাস্তি নেই ? তাহলে সেই শাস্তিকে মানুষের আড়াল করে কেন আমরা ধর্ষকদের ফাঁসি চাব? ফাঁসি তো মানব রচিত বিধান। আর আমরা নিজেদের অজান্তেই তাদের ক্রীড়নক হয়ে মানব রচিত আইন রচনা করতে সাহায্য করে যাচ্ছি। তারপর যখন তাগুত হাসিনা ধর্ষকের শাস্তি বিধান মৃত্যু দন্ড ঘোষণা করল, তখন আমরা আমাদের কাজ শেষ মনে করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলার প্রয়াস পাচ্ছি! পুনরায় মাঠ গরম করার জন্য, কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য নতুন ইস্যুর অপেক্ষায় আছি। এভাবে ইস্যুর পর ইস্যু আসে, আর আমরাও ইস্যুর গোলাম হয়ে থাকি। মিডিয়া আমাদের সামনে যতটুকু তথ্য পরিবেশন করে আমরা সেই পরিমাণেই উত্তেজিত হই। আবার একই ঘটনার তথ্য যদি মিডিয়া আমাদের থেকে গোপন করে, তাহলে আমাদের উত্তেজনা মাটির সাথে লেপ্টে থাকে। কোন প্রতিবাদ হয়না, এ ধরণের ঘটনা নিজের চোখে দেখলেও না। তবে যখনই মিডিয়া হাইলাইট করে তখন আমরা প্রতিবাদের ফেটে পড়ি, দেশ অচল করে দেয়ার হুমকি দেই !! এভাবেই মূলত আমরা মিডিয়া গুলোর হাতে বন্দী হয়ে আছি। তারা একবার আমাদেরকে সমুদ্রের ঢেউয়ের মত অনেক উপরে তুলে দেয়, তখন আমরা তৃপ্তির ঢেকুর তুলি, আবার অনেক নিচে নামিয়ে দেয়, তখন আমরা গর্তের শিয়াল সেজে বসে থাকি।
    অথচ এখানে আমাদের দরকার ছিল, তাদের উপর পালটা জোরালো আক্রমণ করা, তাদেরকে দেখিয়ে দেয়া তাদের রচিত আইনের ব্যর্থতা । আর জনগণকে বুঝিয়ে দেয়া ইসলামী আইনের সৌন্দর্য আর স্বকীয়তা এবং মানব রচিত আইনের নোংরামি আর কদর্যতা। কিন্তু আমরা বারবার ভুল করি । একই গর্তে দ্বিতীয়বার না বরং বারংবার পা ফেলে হোঁচট খেয়ে আছড়ে পড়ি। তবুও হুশ হয়না, বোধদয় হয়না। এভাবেই চলছে এভাবেই চলতে থাকবে।
    এরকম অদূরদর্শীতাপূর্ণ কাজের কারণেই আজ আমরা পিছিয়ে। আমাদের মনে রাখতে হবে এই যুদ্ধটা যতটা না শারীরিক তার চেয়ে বেশী হচ্ছে ‘আদর্শিক এবং মনস্তাত্তিক’। এটা পরিভাষার যুদ্ধ। এটা মনস্তাত্তিক যুদ্ধ।
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 10-13-2020, 08:22 AM.
    আমরা গড়তে চাই, ধ্বংস নয়; আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে চাই, বিভক্তি নয়; আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই, পিছনে নয়! শাইখুনা আবু মোহাম্মাদ আইমান হাফিঃ

  • #2
    জি ভাই! সুন্দর কথা বলেছেন
    অবিচার ও কুশাসনের মধ্যে শাসকগণের পক্ষাবলম্বন করা সর্বাপেক্ষা বড় প্রবঞ্চনা ছাড়া আর কিছু নয়,আলী রাঃ

    Comment


    • #3
      আলহামদুলিল্লাহ, এমন একটি পোস্ট আশা করছিলাম। আল্লাহ আপনাদের কাজগুলো কবুল করুন আমীন।
      সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে যারা ইসলামের নামে রাজনীতি করে ওনারা কিছু ইস্যু নিয়ে একমত হয়েছেন, হয়ত ওনারা আন্দোলনে যাবেন, বাস্তব কথা হচ্ছে লক্ষ ও লক্ষ অর্জন পন্থা উভয়টাই ছহিহ না, তাহলে লক্ষে পৌছার আগেই তেল শেষ হয়ে যাবে।
      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدة ولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القاعدة
      سورة توبة ٤٦

      Comment


      • #4
        যুবকদের জিহাদী প্রেরণা ধ্বংস করার জন্য কথিত ইসলামি দলগুলোই যথেষ্ট।
        সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণের বিচারের জন্য ত্বাগুতের কাছে আইন করার জন্য কথিত ইসলামি দলগুলো আন্দোলন করছে অন্যান্য বাম দলগুলোর মতো করে। কেউ কেউ ফাঁসি দেওয়ার জন্য আইন করার জন্য বলছে!!!! ধর্ষণের শাস্তি কি ফাঁসি?? বিবাহিত হলে রজম/ সঙ্গেসার। অবিবাহিত হলে ১০০ বেথ্রাঘাত। কিন্তু ফাঁসি কিসের ভিত্তিতে চাওয়া হচ্ছে।
        والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

        Comment


        • #5
          মুহতারাম ভাই কথাগুলো সাজিয়ে গুছিয়ে বলার চেষ্টা করেছেন ৷
          আরো সুন্দর করে সাজালো গোছালে হলে ভালো হবে ৷
          আল্লাহ তাউফিক দান করুন ৷ আমিন
          গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ..সুন্দর তাত্বিকপূর্ণ আলোচনা..!!
            তবে মূল বিষয় হলো...ধর্ষকদের বিরুদ্ধে তথাকথিত উলামা-ত্বলাবাদের এ আন্দোলনের পেছনে রয়েছে এক ভিন্ন প্রেক্ষাপট। তাদের এ মিছিল-মিটিং করার স্বার্থ হলো, যেহেতু এই কথিত মিছিলে কোন নির্যাতন বা শাস্তির সম্ভাবনা নেই এবং এতে তাদের শুধুই ফেইসবুকের পেইজগুলো গরম করা যাবে। সেই সাথে লোক দেখানোর পর্বটাও হয়ে যাবে।
            যদি প্রকৃতই তাদের অন্তরে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সা এর প্রিয় এ দ্বীনের প্রতি নিখাদ মহব্বত থাকতো, তাহলে তারা লোক দেখানো ও স্বার্থবাদী এ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ছুঁড়ে ফেলে জিহাদ ও ক্বিতালের সুন্নাতি পথকেই বেচে নিত... আল্লাহু আ’লাম..
            যদি তোমরা জিহাদে বের না হও তবে তিনি তোমাদের কঠিন শাস্তি দিবেন এবং অন্য জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। আর তোমরা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (সূরা তাওবা, আয়াত: ৩৯)

            Comment


            • #7
              আল্লাহ তা‘আলা আমাদের দ্বীনি অঙ্গনের সকল আলিম-উলামাদেরকে জিহাদ ও ক্বিতালের পথে ফিরে আসার তাওফিক দিন। আমীন
              ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

              Comment

              Working...
              X