Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ২৪ই ছফর , ১৪৪১ হিজরী # ১২ অক্টোবর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ২৪ই ছফর , ১৪৪১ হিজরী # ১২ অক্টোবর , ২০২০ঈসায়ী।

    শাইখ নায়েফ আল-সাহাফিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিলো সৌদি


    সৌদি আরবের সুপরিচিত শাইখ নায়েফ আল সাহাফিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

    বার্তা সংস্থা ডকুমেন্টিং অপ্রেশন এগিনেস্ট মুসলিম (DOAM) জানিয়েছে,সৌদি অপরাধমূলক আদালত গোপনে এই রায় প্রদান করেন। এ রায় সম্পর্কে আদালত কিছুই জানায়নি।

    ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর কোন কারণ ছাড়াই গ্রেফতার করা হয় শাইখ নায়েফ আল সাহাফিকে।

    আরবে তিনি একজন বিখ্যাত দ্বায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিশেষত আরবের যুবকদের মাঝে ইসলাম প্রচারে একজন জনপ্রিয় দ্বায়ীতে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। প্রায়ই তিনি ইসলামি সভা-সেমিনারে ইসলাম প্রচার করতেন। এ সব সভা-সেমিনারে যুবকরা বেশি অনুপ্রাণিত হতো।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    পুলিশ ফাঁড়িতে এনে তরুণকে ‘পিটিয়ে হত্যা’

    এক তরুণকে পুলিশ ফাঁড়িতে এনে টাকার জন্য নির্যাতন করে হত্যা করেছে। নিহত রায়হান আহমদ (৩৪) সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকার নেহারিপাড়ার গুলতেরা মঞ্জিলের বাসিন্দা। তিনি দুই মাস বয়সী এক সন্তানের জনক। নগরীর স্টেডিয়াম মার্কেটে ডা. আবদুল গফফারের চেম্বারে তিনি চাকরি করতেন বলে জানা গেছে।

    রায়হানের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ প্রচার করে, গণপিটুনিতে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ ওঠার পর নিজেদের বক্তব্য পাল্টে পুলিশ জানায়, নিহত তরুণ ছিনতাইকারী গ্রুপের নির্যাতনের শিকার। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    রায়হান আহমদের মা সালমা বেগম ও চাচা হাবিবুল্লাহ অভিযোগ করেছেন, কর্মস্থল চিকিৎসকের চেম্বার থেকে ফিরতে দেরি দেখে গতকাল শনিবার রাত ১০টায় রায়হানের মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। ভোর ৪টা ২৩ মিনিটের দিকে মায়ের মোবাইল ফোনে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে কল আসে। ফোনের ওপার থেকে রায়হান জানান, পুলিশ তাকে ধরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে এসে ১০ হাজার টাকা দাবি করছে। টাকা না পেলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

    পরবর্তীতে রায়হানের মা তার চাচাকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পাঠান। রায়হানের চাচা হাবিবুল্লাহ আজ রোববার ফজরের সময় টাকা নিয়ে ভাতিজা রায়হানকে ছাড়িয়ে আনতে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে যান।

    এ সময় সাদা পোশাকে ফাঁড়িতে থাকা এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘আপনার ১০ হাজার টাকা নিয়ে আসার কথা। আপনি ৫ হাজার টাকা নিয়ে আসলেন কেন? চলে যান, রায়হান এখন ঘুমাচ্ছে। যে পুলিশ কর্মকর্তা তাকে ধরে নিয়ে এসেছেন, তিনিও ফাঁড়িতে নেই। আপনি ১০ হাজার টাকা নিয়ে সকাল ৯টার দিকে আসেন। আসলেই তাকে নিয়ে যেতে পারবেন। তাকে আমরা কোর্টে চালান করবো না। ’

    রায়হানের চাচা জানান, সকাল ৯টার দিকে টাকা নিয়ে তিনি ফের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে যান। এ সময় পুলিশ সদস্যরা জানান, অসুস্থ হয়ে পড়ায় সকাল ৭টার দিকে রায়হানকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ খবরে হাবিবুল্লাহ উদ্বিগ্ন হয়ে তৎক্ষণাৎ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, রায়হানের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিকেল ৩টার দিকে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে।

    ‘পুলিশি নির্যাতনে’ রায়হানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের আখালিয়া এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় আধাঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।

    এদিকে আজ ভোরে রায়হানের মৃত্যুর পর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো, ছিনতাইকালে নগরীর কাস্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।

    তবে পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর তৎপর হয় মহানগর পুলিশ। নিজেদের বক্তব্য বদলে তারা জানায়, ছিনতাইকারী একটি গ্রুপের নির্যাতনের শিকার রায়হানকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

    বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন দাবি করেন, ভোররাতে এএসআই আশিক এলাহির নেতৃত্বে রায়হানকে উদ্ধার করা হয়। ছিনতাইকারী একটি গ্রুপ তাকে নৃশংসভাবে নির্যাতন করে ফেলে রাখে। রায়হান নিজেও ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত বলে দাবি করে তিনি জানান, কোতোয়ালি থানায় তার নামে দুটি মামলা আছে, তিনি মাদকও গ্রহণ করতেন।

    নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে রাত পর্যন্ত থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলে জানান সিলেট কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সৌমেন মৈত্র।
    আমাদের সময়
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আ’লীগ-যুবলীগ নেতার হামলায় নিহত আপন চাচা

      ঢাকার আশুলিয়ায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা মজিবর রহমান পলান, যুবলীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন পলান ও মোহসিন পলানের নেতৃত্বে তাদের আপন চাচা আফাজ উদ্দিন পলানকে (৭৫) পিটিয়ে আহত করার পর রোববার রাত সাড়ে ১১টায় তিনি নিহত হয়েছেন। চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের ধরে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে।

      স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা আহত আফাজ উদ্দিনকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে সাভার থানা কমপ্লেক্স, পরে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতাল থেকে শেষে নুরজাহান মেডিক্যালে নিয়ে যায়। সেখানে নুরজাহান মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

      ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলেও হত্যার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

      হত্যায় জড়িতরা হলেন ইয়ারপুর ইউনিয়ন ৩ নম্বর ওয়ার্ড তাজঁপুর এলাকার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান পলান, তার ভাই মোহসিন পলান, যুবলীগ ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন, মজিবর রহমানের ছেলে ফেরদৌস, স্ত্রী ফিরোজ বেগম, মোহসিনের স্ত্রী লতা বেগম।

      এ ব্যাপারে নিহত আফাজ উদ্দিনের ছেলে সাত্তার বলেন, আমাদের জমির উত্তর পাশ দিয়ে চলাচলের জন্য একটি রাস্তা বিবাদীদের দিয়েছি। বর্তমানে তারা বাড়ির সামনে দিয়ে আরো একটি রাস্তা দাবি করছে। ওই রাস্তা আমরা দিতে না চাইলে শুক্রবার তারা হামলা চালিয়ে আমার বড় ভাই মোক্তার হোসেনকে মারধর করতে থাকে।

      তিনি বলেন, এসময় রাস্তার পাশে দোকানে বসা আমার বাবা আফাজ উদ্দিনের ওপর লাঠি সোটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লে বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ও তার বাম পায়ের উরু ভেঙ্গে যায়। এছাড়া তার গোপন অঙ্গে লাথি মেরে অচেতন করে ফেলে হামলাকারীরা।

      এ অবস্থায় তার স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে সাভার হাসপাতাল, রাজধানীর পঙ্গু ও নুরজাহান মেডিক্যালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত সাড়ে ১১টায় তিনি নিহত হন।

      সাত্তার আরো বলেন, ঘটনায় তারা থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি। উল্টো থানায় মামলা দিয়ে হাজতে ঢুকিয়ে দেয়ার ভয়-ভীতি দেখিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। নয়া দিগন্ত
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে ১৯০টি যুদ্ধজাহাজে

        মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৯০টি যুদ্ধজাহাজে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির হাতে মোট ২৯৬টি মোতায়েনযোগ্য যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। সেই হিসাবে শতকরা ৬৫ ভাগ জাহাজ করোনা ভাইরাসকবলিত হয়েছে। গত এপ্রিল মাসের শেষ দিকে মার্কিন নৌ বাহিনী দাবি করেছিল যে, তাদের চল্লিশটি যুদ্ধজাহাজে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু এখন সে সংখ্যা ১৯৬টিতে পৌঁছেছে। শুক্রবার মার্কিন জার্নাল নেভি টাইমস এ খবর দিয়েছে।
        মার্কিন নৌবাহিনীর মহিলা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট এমিলি উইলকিনের বরাত দিয়ে নেভি টাইমস আরো জানিয়েছে, আক্রান্ত যুদ্ধজাহাজের অনেকগুলো রয়েছে সমুদ্রে, আবার অনেকগুলো বন্দরে রয়েছে। তবে জার্নালটিতে দাবি করা হয়েছে যে, মার্কিন যুদ্ধজাহাজ থিওডোর রুজভেল্ট এবং ইউএসএস কিডে যে পরিমাণে করোনাভাইরাসের মহামারি ছড়িয়েছে, এসব জাহাজে তেমনটি নয়।
        জার্নালটির বক্তব্য অনুসারে কোন জাহাজ মারাত্মকভাবে করোনা সংক্রমণে পড়েছে এবং কোন জাহাজে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে নি তা পরিষ্কার নয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগনের নির্দেশনা অনুযায়ী নৌবাহিনী করোনাভাইরাসের নিয়মিত রিপোর্ট করা বন্ধ করে দিয়েছে।
        করোনাভাইরাসের মহামারীর প্রাথমিক পর্যায়ে ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট যুদ্ধজাহাজে ১৩০০ সেনাকে করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া ইউএসএস কিডে ৭৮ জন সেনাকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিলো। ইনকিলাব
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X