Announcement

Collapse
No announcement yet.

তাওবা┇লজ্জাশীলতা┇ইসলামি ভ্রাতৃত্ব┇শাইখ তামিম আল আদনানি হাফিজাহুল্লাহ┇𝐓𝐫𝐚𝐧𝐬𝐜w

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তাওবা┇লজ্জাশীলতা┇ইসলামি ভ্রাতৃত্ব┇শাইখ তামিম আল আদনানি হাফিজাহুল্লাহ┇𝐓𝐫𝐚𝐧𝐬𝐜w

    ﺑِﺴْــــــــــــــــﻢِﷲِﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِﺍلرَّﺣِﻴﻢ ️


    তাওবা
    ┇শাইখ তামিম আল আদনানি হাফিজাহুল্লাহ┇


    প্রিয় ভাই ও বোন!
    মানুষ বড়*ই দুর্বল। নফস ও শয়তানের ধোঁকায় পরে সে কখনো কখনো গুনাহ করে ফেলে। কিন্তু পরক্ষণেই সে তার ভুল বুঝতে পারে। জাহান্নাম এর ভয়ে কেঁপে উঠে তার অন্তরাত্মা।

    আল্লাহ তা'য়ালা বলেন,
    اِنَّ الَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا اِذَا مَسَّہُمۡ طٰٓئِفٌ مِّنَ الشَّیۡطٰنِ تَذَکَّرُوۡا فَاِذَا ہُمۡ مُّبۡصِرُوۡنَ
    "মুত্তাকীদের নিকট যখন শয়তানের কোনো কুমন্ত্রণা আসে, তখন*ই তারা আল্লাহকে* স্মরণ করে এবং তাদের বিবেচনা বোধ জাগ্রত হয়ে উঠে।"(সূরা আরাফ*:২০১)

    গুনাহ করার পর বান্দা যখন আল্লাহর কাছে তাওবা* করে তখন আল্লাহ তায়ালা অনেক খুশি হন*। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
    فَمَنۡ تَابَ مِنۡۢ بَعۡدِ ظُلۡمِہٖ وَ اَصۡلَحَ فَاِنَّ اللّٰہَ یَتُوۡبُ عَلَیۡہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
    "কেউ যদি অন্যায় করার পর তাওবা* করে এবং নিজেকে সংশোধন করে আল্লাহ তার তাওবা* কবুল করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।"(সূরা মায়িদাহ:৩৯)

    রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম* ইরশাদ* করেন,"রাতে আল্লাহ তা'য়ালা তাঁর দয়ার হাত প্রসারিত করেন যেন দিনের অপরাধীরা তাঁর নিকট তাওবা* করে। দিনের বেলায় আল্লাহ তায়ালা তাঁর করুণার হাত প্রসারিত করেন যেন রাতের অপরাধীরা তাঁর নিকট তাওবা করে। তাওবা* কবুলের এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকবে যতক্ষণ না পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় ঘটে।"

    অন্য হাদিসে এসেছে, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম* বলেছেন,"গুনাহ থেকে তাওবা কারী ব্যক্তি গুনাহ হীন ব্যক্তির মতো।"

    তাওবা কবুল হ**ওয়ার জন্য তিনটি শর্ত আছে।
    ১) তৎক্ষণাৎ গুনাহ পরিত্যাগ করা।
    ২) কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হ*ওয়া।
    ৩) ভবিষ্যতে পুনরায় গুনাহে* লিপ্ত না হ*ওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।

    কোনো বান্দা যদি এই তিনটি শর্ত পূরণ করে তাওবা করে তবে আল্লাহ তা'য়ালা অবশ্যই তার তাওবা কবুল করবেন। আল্লাহ তা'য়ালা তাওবাকারী ব্যক্তিদের অনেক ভালোবাসেন। গুনাহ করতে করতে বান্দা যখন অন্ধকারে হারিয়ে যায়–তাওবা* তার জন্য আলোর ভোর নিয়ে হাজির হয়। আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন*।


    লজ্জাশীলতা
    ┇শাইখ তামিম আল আদনানি হাফিজাহুল্লাহ┇


    লজ্জা* একটি মহিমান্বিত গুণ। লজ্জা সৎ চরিত্র ও সৎ কর্মের উৎস। সহিহাইনে (বুখারী ও মুসলিমে) বর্ণিত একটি হাদিসে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম* ইরশাদ* করেন,"লজ্জা কেবল কল্যাণ*ই বয়ে আনে।"

    সহিহ মুসলিমে এসেছে, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম* বলেন,"লজ্জা পুরোটাই কল্যাণ।" লজ্জা ঈমানের অংশ। তাই মু'মিন মাত্র*ই লজ্জাশীল হ*য়।

    সহিহ মুসলিমে এসেছে, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম* বলেন, "ঈমানের সত্তর কিংবা ষাট*-এর*ও অধিক শাখা রয়েছে। তন্মধ্যে সর্বোচ্চ শাখা হলো, লা*-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা আর সর্বনিম্ন শাখা হলো, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরানো। আর লজ্জা ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা।"

    দ্বীন ইসলামের একটি মূলনীতি হলো, সৃষ্টি: স্রষ্টার গুণে গুণান্বিত হবে। তবে এই নীতি শুধু স্রষ্টার ওইসকল গুণের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য যা সৃষ্টির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। যেমন: আল্লাহ তা'য়ালা মহান, দয়ালু। তাই বান্দারাও* মহৎ এবং অন্যের প্রতি দয়া করার চেষ্টা করবে। তেমনিভাবে আল্লাহ তা'য়ালা লজ্জাশীল। তাই বান্দাদের উচিত এই লজ্জার গুণে গুণান্বিত হ*ওয়া।

    সুনানে* তিরমিযীতে বর্ণিত একটি সহিহ হাদিসে এসেছে, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম* বলেন,"আল্লাহ তা'য়ালা বড়*ই লজ্জাশীল এবং দানকারী। বান্দা যখন তাঁর দিকে দু'হাত* তুলে দোয়া করে তিনি বান্দাকে* বিফল মনোরথে ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন।"

    প্রিয় নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম* ছিলেন লজ্জাশীলতার মূর্ত প্রতীক। সহিহ বুখারীতে এসেছে, হযরত আবু সাঈদ* আল* খুদরী* রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন,"রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম* অন্তঃপুরের কুমারী নারীর চেয়েও অধিক লজ্জাশীল ছিলেন। অপছন্দনীয় কোনো জিনিসের প্রতি যখন তাঁর দৃষ্টি পড়তো, আমরা তাঁর চেহারার দিকে তাকালেই বুঝতে পারতাম।"

    প্রিয় ভাই ও বোন! একজন মুমিন আল্লাহকে* লজ্জা করে* গুনাহ থেকে বিরত থাকে। মানুষের সামনে তো বটেই বরং, গোপনেও সে আল্লাহর নাফরমানি থেকে বিরত থাকে। কারণ, সে জানে আল্লাহ তাকে দেখছেন। লজ্জার* এই মহিমান্বিত গুণ তার প্রতিটি পদক্ষেপ কে সাফল্যে ভরে দেয়। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে লজ্জাশীলতার এই মহান গুণে গুণান্বিত হ*ওয়ার তৌফিক দিন আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন*।

    ইসলামি ভ্রাতৃত্ব
    ┇শাইখ তামিম আল আদনানি হাফিজাহুল্লাহ┇


    একজন মু'মিন অপর মু'মিনকে* ভালোবাসবে। এই ভালোবাসা*র নাম হলো ইসলামী ভ্রাতৃত্ব। এই ভালোবাসা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মুমিনের জন্য।

    আল্লাহ তায়ালা বলেন,
    اِنَّمَا الۡمُؤۡمِنُوۡنَ اِخۡوَۃٌ
    "নিশ্চয়ই মু',মিনরা পরস্পর ভাই-ভাই।"(সূরা হুজুরাত:১০)

    আর ঈমানী ভ্রাতৃত্ব—রক্ত-মনের সকল সম্পর্কের চেয়ে শক্তিশালী। এই ভ্রাতৃত্ব এবং ভালোবাসার গভীরতা, স্বচ্ছতা, স্থায়িত্ব এবং দৃঢ়তা রীতিমতো বিস্ময়কর। ইসলাম এই ভালোবাসার নাম দিয়েছে 'আল* হুব্বু* ফিল্লাহ' বা আল্লাহর জন্য ভালোবাসা।

    সহিহ বুখারীতে এসেছে, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম* বলেন, "তিনটি জিনিস যার মধ্যে থাকবে সে ঈমানের স্বাদ পাবে।
    ১) আল্লাহ ও রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম* তার নিকট অন্য সবার থেকে প্রিয় হ*ওয়া।
    ২) কোনো মুসলিম ভাইকে* একমাত্র আল্লাহর জন্য ভালোবাসা।
    ৩) কুফর থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাতে ফিরে যাওয়াকে এমনভাবে অপছন্দ করা যেমন আগুনে নিক্ষিপ্ত হ*ওয়াকে অপছন্দ করে।"

    আল্লাহর জন্য ভালোবাসার* ফজীলত এতো বেশি যে, যারা আল্লাহর জন্য একে অপরকে ভালোবাসবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাদের কে আলাদাভাবে সম্বোধন করে বলবেন,"আমার বড়ত্ব ও মহত্বের খাতিরে যারা একে অপরকে ভালবাসতো, আজ তারা কোথায়? আজকের এই দিনে আমার ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া নেই। আমি তাদেরকে আমার আরশের* ছায়াতলে স্থান দিবো।"

    প্রিয় ভাই! কিয়ামতের ওই ভয়াবহ দিনে এর থেকে বড় সুসংবাদ আর কি হতে পারে? সুনানে তিরমিযীতে সহিহ সনদে বর্ণিত হয়েছে, হযরত মুয়াজ বিন জাবাল* রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম* কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, "আমার জন্য যারা একে অপরকে ভালবাসতো, তাদের জন্য নূরের মিম্বর থাকবে, যা দেখে নবীগণ ও শহীদগণ পর্যন্ত ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়বেন।"

    প্রিয় ভাই! মুসলিম ভাইকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসার কতো ফজীলত! অথচ আজ আমরা ভাইয়ে-ভাইয়ে হিংসা-বিদ্বেষ এ লিপ্ত। সামাণ্য ফিকহী ইখতেলাফের কারণে একে অপরকে আক্রমণ করছি। আল্লাহ তা'য়ালা আমাদেরকে বিভেদ ভুলে ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপন করার তৌফিক দিন। আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন*।

    Collected

  • #2
    আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন ও জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment

    Working...
    X