Announcement

Collapse
No announcement yet.

পীরদের পাপ মোচন করার ক্ষমতা চাটুকারিতা ছাড়া কিছু নয়!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পীরদের পাপ মোচন করার ক্ষমতা চাটুকারিতা ছাড়া কিছু নয়!

    পীরদের পাপ মোচন করার ক্ষমতা চাটুকারিতা ছাড়া কিছু নয়।পাপ মোচন করার ক্ষমতা কোন মানুষ, কোন ফেরেস্তা, আল্লাহর ওলি, এমনকি নবী রাসূলকেও দেওয়া হয়নি, পাপ মোচন করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ তাআ’লার রয়েছে।

    আল্লাহ তালা বলেন: “কোন ঈমানদার মুসলিম যখন কোন অশ্লীল পাপ কাজ করে বসে বা নিজের আত্মার উপর জুলুম করে বসে তখন তারা আল্লাহকে স্বরণ করে এবং আল্লাহর কাছেই ক্ষমা চায়,কেননা আল্লাহ ছাড়া গোনাহ মাফ করার কে আছে?” (সূরা-আল ইমরান, আয়াত ১৩৫)

    মহা সম্মানিত ও সর্বশ্রেষ্ট রাসূলকেও পাপ মোচন করার ক্ষমতা দেওয়া হয় নি। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :

    “পাপীরা যদি রাসূলের কাছে এসে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়,আর রাসূল যদি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য ক্ষমা চান, তাহলে আল্লাহকে তারা ক্ষমাশীল করুণাময়রূপে পাবে”(সূরা-আন নিসা,আয়াত ৬৪)

    এ থেকে স্পষ্ট রূপে দেখা যায় পাপ মোচন করার ক্ষমতা রাসূলকে দেওয়া হয়নি। তাই পাপ মোচন করার ক্ষমতা কোন মানুষ, কোন ফেরেস্তা,কোন নবীকে দেওয়া হয়নি। তাই ওলি আউলিয়া বা পীর পূরোহিতদের পাপ মোচন করার ক্ষমতা তো প্রশ্নই ওঠে না!

    পীর ফকিররা পাপীদের পাপের বোঝা বহন করবে তাদের এই দাবি ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছু না।তারা তাদের পীর মুরীদির ব্যাবসা টিকিয়ে রাখতে নানা ধরনের প্রচারণা করে থাকে যে, তাদের পীরেরা সাফায়ত বা সুপারিশ করবে। দুজন পীর হলে দুই হাত ধরে জান্নাতে নিয়ে যাবে, তা নিছক বানোয়াট কল্পকাহিনি ছাড়া কিছইু না।এ সম্পর্কে আল্লাহ তালা বলেন :

    “ কাফিরা মুমিনদেরকে বলতো আমাদের পথে চলো,আমরা তোমাদের পাপের বোঝা বহন করবো,কিন্তু তারা তাদের একটু মাত্র বোঝা বহন করার শক্তি রাখে না,তারা মিথ্যুক। ”(সূরা আন কাবুত, আয়াত ১২)

    হাদিসে উল্লেখ আছে, আল্লাহর রাসূল নিজ বংসের সকলকে, আপন চাচা আব্বাস (রাঃ) কে, আপন ফুফু সফীয়াকে,আপন মেয়ে ফাতিমা কে ডেকে বলেছিলেন :

    “তোমরা আল্লাহ কাছ থেকে নিজেদের মুক্ত করো,কেননা তোমাদের উদ্ধার করার ব্যাপারে আমি তোমাদের কোন কাজে লাগবো না।হে ফাতিমা, আমার মাল থেকে যা ইচ্ছা নিতে পারো,কিন্তু যেনে রাখো,আল্লাহ কাছে আমি তোমার জন্য কোন কাজে লাগবো না”(মুসলিম শরীফ)

    তাই যেখানে সাইয়্যেদুল মুরসালিন কিয়ামতের মাঠে নিজের মেয়ের দোষ ত্রুটির কোন কাজে আসবে না সেখানে পীর কি করবে?????
    “দ্বীনের জন্য রক্ত দিতে দৌড়ে বেড়ায় যারা,সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর উত্তরসূরী তারা”–TBangla

  • #2
    আল্লাহ আমাদেরকে এ জাতীয় পীর-ফকীর থেকে হিফাযত করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      নিঃসন্দেহে পাপ মোচন ও ক্ষমা করা আল্লাহর সিফাত, যে এটাকে কোনো মাখলুকের জন্য প্রয়োগ করবে মুশরিক হয়ে যাবে।

      কিন্তু আমরা যেন শাফায়াতের বিষয় অস্বীকার না করে বসি। আয়াতে যেমন রসূল সা. এর শাফাআতের দ্বারা আল্লাহর ক্ষমা তরান্বিত বুঝা যায়, হাদীস দ্বারাও নবী, ওলী, শহীদ ও আহলে কুরআন হাফেয বা আলেমের শাফাআত প্রমাণিত। আমরা কি আশা রাখি না? এক ভাই শহীদ হলে আরেক ভাইকে জান্নাতে নিব। অর্থাৎ শাফাআত করব।

      রসূল সা. বলেছেন- জান্নাতীরা তাদের জাহান্নামী মুমিন ভাইদের জন্য তাদের রবের সাথে ঝগড়া করবে। বলবে, হে আল্লাহ! তারা আমাদের সাথে নামায পড়ত, রোযা রাখত। সুতরাং কেউ যদি নিজে আল্লাহর আনুগত্যের পাশাপাশি আল্লাহ ওয়ালা বা আমলদার পীরের সংস্রব গ্রহণ করে, এবং আশা রাখে উনি জান্নাতী হলে আমার জন্য শাফাআত করবেন। এটা ভুল নয়।

      আর হক পীরের মানসিকতা হবে আল্লাহ আমাকে মুক্তি দিলে ছাত্রদের জন্য শাফাআত করব, আর আমি আটকে গেলে তারা যেন শাফাআত করে। কারণ আখিরাতে কে আটকে যাবে তা তো আল্লাহই ভালো জানেন।

      বাকী নিজের প্রাকটিক্যাল দীনকে সুন্দর করার বিশেষ পন্থা হলো পীর মুরীদী। যেমন ইলম শিখার কার্যকরী পন্থা মাদরাসায় পড়া। এছাড়াও সম্ভব, কিন্তু কঠিন।

      [পুনরায় কিছু কথা]

      ১. রসূল সা. বলেছেন, প্রত্যেক নবীর বিশেষ ভাবে গৃহীত একটি করে দুআ রয়েছে। আমার দুআ আখেরাতের জন্য জমা রেখেছি। যা আমার শিরক মুক্ত উম্মতী পাবে। (ব্যস্ততার কারণে রেফারেন্স উল্লেখ করা কঠিন হয়। ভাইয়েরা হাদীসের কিতাব সমূহের শাফাআত অংশ অধ্যয়ন করতে পারেন।)

      ২. নবী সা. নিজের ফুফু ও মেয়েকে যা বলেছেন, এর ব্যাখ্যা। ১) শাফাআতের ভরসায় আমল ছেড়ে দেয়া হারাম। ২) আল্লাহর বাণী ولا تنفع الشفاعة عنده إلا لمن أذن له অর্থাৎ আল্লাহর অনুমতি ছাড়া শাফাআত কাজে আসবে না। আরো কয়েকটি আয়াতে তাই বলা হয়েছে। তাই এটি অনিশ্চিত, জানা নেই কার ব্যপারে হবে। আর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত তো আল্লাহর। ৩) এটি কুফরের বিষয়ে বলা হয়েছে। যেমন আল্লাহর বাণী فما تنفعهم شفعة الشافعين، فما لنا من شافعين মৃত মুশরিকদের জন্য ইসতিগফার হারাম ما كان للنبي والذين آمنوا ان يستغفروا للمشركين অর্থাৎ ঈমান ছাড়া মরলে আমার কিছু করার নেই। (যেমন আবু তালেবকে বলা হয়েছে, বলুন لا إله إلا الله এর ভিত্তিতে আমি রবের কাছে আপিল করব) কারণ- [৩]

      ৩. কাফির কেবল নিজের বদ আমলের শাস্তি পাবে। অতিরিক্ত নয়। وأن ليس للإنسان إلا ما سعى অর্থ মানুষের জন্য কেবল তাই যা সে উপার্জন করে। (মুফাসসিরগণ বলেছেন এখানে মানুষ মানে কাফির। অথবা উপার্জন মানে গুনাহ। কারণ-) অন্যদিকে মুমিন নিজের নেক আমলের দশ গুণ থেকে আরো অধিক পায়। আবার অন্যের দুআ, ঈসালে সাওয়াব, শাফাআত, আত্মীয়দের আমল দ্বারা উপকৃত হয়। আল্লাহর বাণী والذين آمنوا واتبعتهم ذريتهم بإيمان ألحقنابهم ذريتهم অর্থাৎ পরিবারের একজন অধিক নেকের দ্বারা জান্নাতের যে উঁচু স্থানে পৌছবেন, বাকিদেরও আল্লাহ সেখানে পৌঁছে দিবেন সেরকম আমল ছাড়াই।

      ৪. দুইজন পীর দুই হাত ধরে জান্নাতে নেয়ার কথা এসেছে একাধিক উস্তাদ থেকে উপকৃত হওয়ার ইতিবাচকতা বুঝাতে। কারণ অনেকে বুঝে না বুঝে এর বিরোধিতা করে। তবে এই কথার দ্বারা কারো পক্ষপাতিত্ব আমার উদ্দেশ্য না। একজন মুসলিমের কথার যথাসম্ভব পজেটিভ অর্থ নেয়ার প্রতি আহ্বান জানানো উদ্দেশ্য। বিশেষ করে যখন তার করীনা বা আলামত আছে।

      ৫. সবশেষে, আমাদের দ্বারা যেন কুরআন সুন্নাহর খন্ডিত অধ্যয়ন না হয়, বা পূর্বসূরী ফকীহদের বাদ দিয়ে ফিতনার যুগের কারো মত দ্বারা প্রভাবিত না হই; এ বিষয়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থী এবং ভাইদের দুআ ও মনোযোগ কামনা করছি।


      https://82.221.139.217/showthread.php?22227
      Last edited by sunni jihaadi; 05-04-2021, 12:48 AM.

      Comment

      Working...
      X