Announcement

Collapse
No announcement yet.

আসিফা হত্যা–হিন্দুত্ববাদের আসল চেহারা┇শাইখ তামিম আল আদনানি হাফিজাহুল্লাহ (PDF/Transcript)

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আসিফা হত্যা–হিন্দুত্ববাদের আসল চেহারা┇শাইখ তামিম আল আদনানি হাফিজাহুল্লাহ (PDF/Transcript)

    ﺑِﺴْــــــــــــــــﻢِﷲِﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِﺍلرَّﺣِﻴﻢ ️


    PDF (83.11KB) https://archive.org/details/hinduttobad

    আসিফা হত্যা–হিন্দুত্ববাদের আসল চেহারা 𝐓𝐫𝐚𝐧𝐬𝐜𝐫𝐢𝐩𝐭
    ┇শাইখ তামিম আল আদনানি হাফিজাহুল্লাহ┇

    প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা!
    কয়েকদিন ধরেই বারবার চোখের সামনে ভাসছে একটি নিষ্পাপ শিশুর দৃশ্য, বড় বড় মায়াভরা চোখ, এলোমেলো তেলমাখা চুল, নিষ্পাপ চাহনি। ঠোটের কোনে হাসির রেখা, পরনে বেগুনী কামিজ। হয়ত ছবিটি এরই মধ্যে আপনারা সকলেই দেখেছেন। আট বছরের–আসিফা বানু। আমাদের ছোট্ট বোন।

    অনেকে হয়ত তার অন্য ছবিটিও দেখেছেন। সেই একই কামিজ পড়া অবস্থায় মুখ থুবড়ে পরে আছে ছোট্ট আফিসার নিথর দেহ।

    এই ছবিটি শুধু আসিফার ছবি না। এটি আমাদের সবার ছবি। এটি হিন্দুস্তানের মুসলিমদের ছবি। আসিফার মতই হিন্দুস্থানের মুসলিদের ইজ্জত আজ এভাবে মুখ থুবড়ে পরে আছে।

    ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্বু প্রদেশের সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠী গুলোর একটি হল ‘বাকের ওয়াল গোষ্ঠী’। তাদের পেশা পশুপালন। তাদের দ্বীন–ইসলাম। আমাদের বোন আসিফা ছিল কাঠুয়া প্রদেশের এমনি এক ‘বাকের ওয়াল’ পরিবারের সন্তান।

    জানুয়ারির ১০ তারিখ, প্রতিদিনের মতই আসিফা পোষা ঘোড়া নিয়ে বের হয়। কিন্তু অন্যান্য দিনের মত সন্ধ্যা পেরিয়ে যাওয়ার পরও নিয়মমত আসিফা ঘরে ফিরে আসে না। এক সময় উদ্বেগ আতঙ্কে পরিণত হয়।

    আসিফার বাবা-মা, পাড়া-প্রতিবেশী ওকে সবাই খুঁজতে বের হয়। তন্ন-তন্ন করে খোঁজা হয় পুরো গ্রাম। কিন্তু আসিফার কোন খোঁজ পাওয়া যায় না।

    আটদিন পর সন্ধান মিলে আসিফার ক্ষত-বিক্ষত লাশের। ওর মুখে দাঁতের চিহ্ন, শরীরে বিভিন্ন স্থানে পিশাচের লালসার ছাপ।

    প্রশাসনের অনেক গড়িমসি আর নাটকের পর শেষ পর্যন্ত তদন্তে উঠে আসে এক ভয়ঙ্কর কাহিনী।

    কাঠুয়া প্রদেশের মুসলিমদের ভয় দেখানে এবং বিতাড়িত করার জন্য পৌশাচিক এই পরিকল্পনা তৈরি করে হিন্দু ব্রাহ্মণেরা।

    প্রথমে আসিফাকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর তাকে বন্দী করে রাখা হয় স্থানীয় মন্দিরের স্টোর রুমে। তারপর মালাউনের দল পালক্রমে আট বছরের মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। প্রতিদিন মন্দিরের নিয়মিত কাজ-কর্মের সময় আসিফাকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে স্টোর রুমে ফেলে রাখা হত। এভাবে পালাক্রমে চলতে থাকে আমাদের বোনের উপর অকথ্য নির্যাতন।

    শেষ পর্যন্ত এই মালাউনের দল আসিফাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। হত্যার জন্য আসিফার নিস্তেজ হয়ে আসা দেহটিকে নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গলে। জঙ্গলে হত্যা করার আগে এক মালাউন আবদার করে, শেষ বারের মত আসিফাকে ধর্ষণ করার। শেষবার ধর্ষণের পর গলাটিপে ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে এবং পাথর দিয়ে খুলি থেঁতলে আসিফাকে হত্যা করা হয়।

    ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রজিউন।

    এই পুরো পরিকল্পনার পিছনে ছিল মন্দিরের পান্ডা সঞ্জিরাম, তার ছেলে ও ভাগ্নে, দিপক খাজুরিয়া নামে এক পুলিশ সদস্য শেষ বারের মত আসিফাকে ধর্ষণ করে।

    আসিফাকে বন্দী করে রাখা অবস্থায় সঞ্জিরামের ভাগ্নে–উত্তর প্রদেশে থাকা তার এক বন্ধুকে ফোন করে বলে, সে যদি কামের জ্বালা মিটাতে চায় তাহলে যেনো দ্রুত কাঠোয়ায় চলে আসে।

    লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ!

    আমাদের নবী মুহাম্মাদুর রাসূল সল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন, “এক সময় দুনিয়ার লোকেরা তোমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পরার জন্য একে অপরকে ডাকতে থাকবে, যেভাবে খাবারের দস্তরখানে বসে তোমরা একে অপরকে আহবান করে থাক।”

    আল্লাহর কসম! আসিফার এই ঘটনা রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এই হাদীস এর কথা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে। এই মালাউনের দল দাওয়াত করে মানুষ এনেছিল আমাদের বোন, আমাদের পবিত্র মুসলিম বোন আসিফাকে ধর্ষণ করার জন্য।

    ওয়াল্লহি! এই ঘটনা পাষানেরর হৃদয় ভেঙ্গে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।

    যখন আসিফার মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া গেল, দেখা গেল তার সারাদেহ রক্তাক্ত। ডাক্তারি পরীক্ষায় দেখা গেল তার জরায়ু ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তার শরীরে আগুনের ছেকাও দেয়া হয়েছিল।

    লা হাওলা ওলা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

    আসিফার বাবা-মা সারা গ্রাম তন্ন-তন্ন করে খুঁজেছিলেন। কিন্তু তারা মন্দিরের ভিতর খুঁজেননি। কারন তারা মনে করেছিলেন, ওটা ওদের পবিত্র জায়গা। তারা বুঝেননি এই মালাউন-হিন্দু-কুকুরের-দলের কাছে পবিত্রতা বলে কিছু নেই।

    আল্লাহ্ তা'য়ালা বলেছেন, “হে ঈমানদার-গন নিশ্চয়ই মুশরিকরা অপবিত্র।’’

    এই মুশরিকরা নিজেরা যেমন অপবিত্র তেমনি তাদের বিশ্বাসও অপবিত্র। আর তাই কোন ধরনের সভ্য আচরণ তাদের কাছ থেকে আশা করা যায় না।

    এই মালাউনের দল এত নিচু, এত ঘৃণ্য যে, উপাসনালয়ে দিনের পর দিন একটি বাচ্চা মেয়েকে আটকে রেখে তাকে ধর্ষন করতে তাদের বিন্দু মাত্রাও বিবেকের দংশন অনুভূত হয় না। এই হিন্দু মালাউনের দল এতোই নির্লজ্জ যে বাবা আর ছেলে মিলে একটা বাচ্চা মেয়েকে ধর্ষণ করে। এতে ওদের কোন লজ্জা হয় না!

    আর এতো কিছুর পর এই মালাউন সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া কি ছিল?

    প্রথমে তারা চেষ্টা করল হত্যার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটানোর। আসিফার জন্য প্রথম একজন উকিল নিযুক্ত করা হয়েছিল। ভারতীয় পুলিশ এসে তাকে ধরে নির্যাতন চালালো। তারপর যখন একজন মহিলা উকিল নিয়োগ দেওয়া হল–হিন্দু উকিলরা তাকে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দিতে শুরু করল।

    ভারতের দুই মন্ত্রী এই ধর্ষক কুকুরদের পক্ষে বক্তব্য দিতে শুরু করল। সারা ভারত জুড়ে হিন্দুরা ধর্ষকদের মুক্তির দাবীতে আন্দোলন শুরু করল।

    চিন্তা করে দেখুন! এরা কতটা নিকৃষ্ট, এরা কতটা নিচু, কতটা বিবেকহীন। অথচ এই মালাউন হিন্দুদের নিয়ে আমারা এ দেশে অসাম্প্রদায়িকতার খেলা খেলি! এই মালাউন হিন্দুদের পূজা-মন্ডপ বানাতে আমার-আপনার রোজগার থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়। এই হিন্দুদের দুঃশ্চরিত্র নারীদের শরীর প্রদর্শনী দেখতে প্রতিবছর পালা করে গরু খাওয়া মুসলিমের দল দুর্গা-পূজা আর হলি দেখতে ভীড় করে!

    এই হিন্দুরা আমাদের বুঝায় “ধর্ম যার যার উৎসব সবার” আর আমরা চুপচাপ সেটা মেনে নেই! তারা আমাদের অসাম্প্রদায়িকতা শেখায় আর আমরাও দুধের বাচ্চার মত সেটা মেনে নেই!

    আর কত! আর কি হলে আমাদের চোখ খুলবে? কোথায় ছিল সেই অসাম্প্রদায়িকতার শিক্ষা যখন মন্দিরের মধ্যে আসিফা ধর্ষিত হচ্ছিল? কোথায় থাকে সেই অসাম্প্রদায়িকতার বুঝ যখন কোর্টের আইনজীবীরা এই ধর্ষকদের মুক্তির দাবিতে রাজপথে নেমে আন্দলোন করে? কোথায় ছিল অসাম্প্রদায়িকতা যখন মন্ত্রী পর্যন্ত ধর্ষকের পক্ষ হয়ে কথা বলে?

    একটু চিন্তা করুন! যদি উল্টোটা হত! আল্লাহ না করুন, আমাদের কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কোন হিন্দু শিশুকে ধর্ষন করা হত তাহলে হিন্দুদের আর তাদের পোষ্য সেক্যুলারদের কেমন প্রতিক্রিয়া হত? তখন কি আমরা একই চিত্র দেখতে পেতাম?

    আমার প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা!
    আপনারা যদি মনে করে থাকেন আসিফার মুত্যুর মাধ্যমে আমাদের অপমান ও লাঞ্ছনা শেষ হয়ে গিয়েছে তবে ভুল করবেন। যদি মনে করেন এটি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা তাহলে ভুল করবেন।

    ভারতের মালাউন বাহিনী দেশ-ভাগের সময় থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত ধর্ষণকে একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। জঙ্গী দমন, সার্চ, রেইড নানা নামে–নানা ওজুহাতে মালাউনের দল মুসলিম নারীদের ধর্ষন করেছে। এই পশুদের নিঃসংশয়তা এমন মাত্রায় পৌছেছে যে পশ্চিমা সংস্থাগুলোও এই ভয়ংকর অপরাধের মাত্রা স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে। ভারতীয় সেনা-বাহিনী মুসলিম নারীদের বিরুদ্ধে যেই অপরাধ করেছে তার ফিরিস্তি দেয়া শুরু করলে দিনের পর দিন কেটে যাবে।

    আল্লাহর কসম! গরু-পূজারীদের অন্তরে আমাদের জন্য ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই নেই। কাশ্মীর হোক কিংবা বাংলাদেশ–যদি ওরা সুযোগ পায় তারা আমাদের সাথে, মুসলিম মেয়েদের সাথে একই আচরণ করবে। হায়দারাবাদ, গুজরাট এবং কাশ্মীর এই সত্যের সাক্ষী।

    তাই দয়া করে জাগুন, উঠুন, সত্যের মুখোমুখি হন। এই মালাউন হিন্দুরা আমাদের ধ্বংস করে ফেলছে। আল্লাহর কসম! তারা আমাদের ধ্বংস করে ফেলছে। তারা ভারতে মন্দিরে আমাদের শিশুদের ধর্ষণ করছে। রাস্তায় আমাদের পিটিয়ে মারছে। আমাদেরকে তাগুত-রামের নামে স্লোগান দিতে বাধ্য করছে।

    আর বাংলাদেশে তারা সব সরকারী চাকরী দখল করে নিচ্ছে। সব বড়-বড় চাকরীগুলো কলকাঠি নেড়ে বাগিয়ে নিচ্ছে। প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় শ্যামল কান্তি আর রস রাজের মত মালাউনের দল রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কুটুক্তি করছে। জুম’আর নামাজ চলাকালীন সময়ে মুসলিমদের উপর আক্রমণ করছে। মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দিচ্ছে। মন্দিরের মধ্যে কুরআন পোড়াচ্ছে।

    আর যদি এ অবস্থা চলতে থাকে তাহলে অচীরেই বাংলাদেশের অবস্থাও ভারতের মত হবে। আর ভারতের অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাবে।

    আমার প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা!
    আর কতদিন মুখ বন্ধ করে থাকবেন? আর কতদিন অসাম্প্রদায়িকতার এই ফাঁকা বুলি বিশ্বাস করবেন? একটু চোখ খুলুন! ছোট্ট আসিফা, নিষ্পাপ আসিফা, আমাদের মাজলুম বোন আসিফা আমাদের দিকে চেয়ে আছে।

    এখনো কি আমরা জাগবো না? এখনো কি আমাদের ঘুম ভাঙ্গবে না?
    Collected

  • #2
    An-Nisa' 4:75

    وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُوْنَ فِيْ سَبِيْلِ اللّٰهِ وَالْمُسْتَضْعَفِيْنَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَآءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِيْنَ يَقُوْلُوْنَ رَبَّنَاۤ اَخْرِجْنَا مِنْ هٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ اَهْلُهَا ۚ وَاجْعَلْ لَّنَا مِنْ لَّدُنْكَ وَلِيًّا ۚۙ وَّاجْعَلْ لَّنَا مِنْ لَّدُنْكَ نَصِيْرًا ؕ
    আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।

    এখনো কি আমরা জাগবো না? এখনো কি আমাদের ঘুম ভাঙ্গবে না?
    فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

    Comment


    • #3
      আহ.....কথাগুলো হৃদয়কে ক্ষত-বিক্ষত করে দিচ্ছে....
      আমাদের হুঁশ ফিরবে কবে?
      আমাদের বোনের ইজ্জতের বদলা নিবো কবে?
      আমাদের কাপুরুষতা ও নিরবতা ভাঙ্গবে কবে?
      আমদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ফাটল ধরবে কবে?
      ...............................................!
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        Originally posted by abu ahmad View Post
        আহ.....কথাগুলো হৃদয়কে ক্ষত-বিক্ষত করে দিচ্ছে....
        আমাদের হুঁশ ফিরবে কবে?
        আমাদের বোনের ইজ্জতের বদলা নিবো কবে?
        আমাদের কাপুরুষতা ও নিরবতা ভাঙ্গবে কবে?
        আমদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ফাটল ধরবে কবে?
        ...............................................!
        আর কোন দলিলের প্রয়োজন কিতাল ফরজ হওয়ার!!!!
        فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

        Comment

        Working...
        X