Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ৬ ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪১ হিজরী # ২৩ অক্টোবর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ৬ ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪১ হিজরী # ২৩ অক্টোবর , ২০২০ঈসায়ী।

    ‘রায়হানই যেন পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুর শেষ নাম হয়’

    সিলেটে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনে নিহত মো. রায়হান আহমদের মা ছালমা বেগম একজন গৃহিণী। ঘরের বাইরে তো দূরের কথা, পারিবারিক পরিমণ্ডলের বাইরে যাওয়া হয়নি কখনো। ছেলে হত্যার বিচার দাবিতে প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন, মিছিল, স্মারকলিপি পেশসহ সব কর্মসূচিতে সামনের কাতারে থাকছেন তিনি। কথা বলছেন দৃঢ়তার সঙ্গে। ১১ অক্টোবর থেকে অন্তত শতাধিক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সরাসরি অংশ নিয়েছেন তিনি। ছেলে হত্যার বিচার দাবির সঙ্গে তাঁর আরও একটি চাওয়া, রায়হান হত্যার মধ্য দিয়ে যেন চিরতরে বন্ধ হয় বাংলাদেশে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন। গত সোমবার রাতে নগরীর আখালিয়া এলাকার নিহারিপাড়ার বাসায় প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন ছালমা বেগম। কথা বলার সময় অধিকাংশ সময় অঝোরে কাঁদছিলেন তিনি, তবু নিজেকে সামলে নিয়ে দিলেন ঘটনার দিনের বর্ণনা।

    আপনার পরিবার সম্পর্কে কিছু বলুন—

    ছালমা বেগম: এক ছেলে ও এক মেয়ের মা আমি। রায়হান আহমদ ছোট, মেয়ে মাহমুদা আক্তার বড়। মেয়েটা লন্ডনপ্রবাসী। সপরিবার ১৩ বছর ধরে লন্ডনে আছে। রায়হানের বাবা বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) ২৯ ব্যাটালিয়নের হাবিলদার ছিলেন। রায়হানের দাদা আমার শ্বশুর পুলিশের হাবিলদার পদে চাকরি করতেন। এই হিসেবে আমরা পুলিশ-বিজিবি সদস্যের পরিবার। রায়হান জন্মের দুই মাস আগে ১৯৮৫ সালের ১ ডিসেম্বর আমার স্বামী মারা যান। ১৯৮৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রায়হানের জন্ম। রায়হান দেড় বছর আগে বিয়ে করেছে, আড়াই মাস বয়সী তার এক কন্যাসন্তান আছে। সে যেমন তার বাবার মুখ দেখেনি, তার মেয়েটাও…(কান্না)।

    রায়হান তো যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার প্রস্তুতিতে ছিলেন?

    ছালমা বেগম: তার এক চাচা আমেরিকায় (যুক্তরাষ্ট্র) স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আমাদের যৌথ পরিবার। রায়হানসহ ২২ জন একসঙ্গে আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিল। করোনার জন্য ফ্লাইট বন্ধ হওয়ায় আমেরিকা যাওয়া হয়নি। করোনা না হলে রায়হান এখন আমেরিকা থাকতো। আগামী জানুয়ারি মাসে ২২ জন অ্যাম্বাসিতে ওঠার কথা ছিলো। এ জন্য সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত ছিলো।

    রায়হান কোথায় পড়াশোনা করেছেন, কী চাকরি করতেন?

    ছালমা বেগম: এইডেড হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছে রায়হান। আমেরিকা চলে যাবে বলে আর পড়াশোনা করেনি। তার চাকরিটা আসলে ঠিক চাকরি না। একটি সেবামূলক কাজ। আমেরিকা যাওয়ার প্রস্তুতিতে কিছু একটা কাজ করতে গিয়ে এ কাজটি করছিলো। তিনজন চিকিৎসকের চেম্বারে রোগী ও চিকিৎসাকাজের সহায়ক হিসেবে কাজ করতো রায়হান। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তার ডিউটি। এই সময় ছাড়া বাকি সময় সে পরিবার ও বাসাতেই কাটাতো। চিকিৎসকের চেম্বারে রোগী বেশি থাকলে রায়হানের বাসায় ফিরতে কোনো কোনো দিন মধ্যরাতও হতো।

    ১০ অক্টোবর রায়হান কি ডিউটিতে গিয়েছিলেন?

    ছালমা বেগম: নগরীর চৌকিদেখি এলাকায় তার নানার বাড়ি। এই নিহারিপাড়ার বাসার পাশে রায়হানের শ্বশুরবাড়িও। ওই দিন বউমা ও নাতনিকে রায়হান তার শ্বশুরবাড়ি রেখে চৌকিদেখি যায়। তখন আমিও চৌকিদেখি ছিলাম। বেলা দুইটার সময় সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ ঘুমায় রায়হান। এরপর চা খেয়ে ডিউটিতে যায়। রাত সাড়ে ১০টার সময় তার বউমা আর নাতনিকে নিয়ে নিহারিপাড়ার বাসায় আসার কথা ছিল। কিন্তু রায়হানের ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে আমি বউমা-নাতনিকে বাসায় নিয়ে আসি। ডিউটির সময় রায়হানের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকত। বাসায় ফিরতে রাত হচ্ছে দেখে বেশ কয়েকবার কল দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ পাই। আমি ভেবেছি ডিউটিতে আছে। আমিসহ বাসার সবাই অপেক্ষায় থাকি। এই অপেক্ষার সময়ে মাঝরাত পেরিয়ে ফোনটা এলো।

    পুলিশ ফাঁড়ি থেকে রায়হানই ফোন করেছিলেন কি?

    ছালমা বেগম: অন্য একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন এসেছিল। পরে জেনেছি এটি ফাঁড়ির এক পুলিশের ফোন। আমি তখন তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে তসবিহ পড়ছি। কেমন যেন অশান্তি লাগছিল। ভাবছি, ছেলেটা কোথায়, রাত শেষ করে হয়তো ফিরবে। এমন সময় ফোন বাজে। আমি নামাজ পড়ছি ভেবে আমার ফোন তার চাচা রিসিভ করেন। কথা শোনা যাচ্ছিল, রায়হান ‘আম্মা আম্মা’ বলে ‘আমাকে বাঁচাও’ বলছিল। বলছিল, ‘আমাকে পুলিশ বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে রাখছে। তাড়াতাড়ি টাকা নিয়ে আসো, আমারে বাঁচাও চাচা।’ মাত্র ২২ সেকেন্ড কথা হয়। কিন্তু ফোন ঘুরিয়ে আর সংযোগ পাওয়া যাচ্ছিল না। ফোনটি কার, সেটিও জানা যায়নি তখন। হাতে কিছু টাকা নিয়ে রায়হানের চাচা বের হন। বন্দরবাজার ফাঁড়িতে গেলে তিনি ফোন নম্বর দেখিয়ে রায়হানের খবর জানতে চান। এ সময় সেখানে এক পুলিশ সদস্য বলেন, পুলিশের সবাই ঘুমিয়ে আছে। রায়হানও ঘুমে। পরে আসার জন্য বলেন ওই পুলিশ। রায়হানের চাচা ফাঁড়ির পাশের মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ে আবার ফাঁড়িতে যান। সেখানে দ্বিতীয় দফা গেলে জানানো হয়, রায়হানকে হাসপাতাল (সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে। এই খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে ছুটে যাই। কিন্তু ছেলেকে হাসপাতালে নয়, দেখি মর্গে পড়ে আছে, লাশ হয়ে… (অঝোরে কান্না)।

    কী অবস্থায় দেখেছিলেন? নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে বলে তখনই কি আপনারা বুঝতে পেরেছিলেন?

    ছালমা বেগম: রায়হান পুলিশ হেফাজতে আছে, ওই ফোনটাতেই আমরা বুঝি হয়তো কোনো ঝামেলায় পড়েছে। পুলিশ ফাঁড়িতে ছেলে আছে বলে মনে করেছিলাম নিরাপদেই আছে। ওই দিন যখন ডিউটিতে যায় রায়হান, তার পরনে ছিল নেভি ব্লু গেঞ্জি ও নেভি ব্লু প্যান্ট। কিন্তু মর্গে যখন লাশ শনাক্ত করি, তখন তার পরনে খয়েরি-লাল রঙের মিশেল একটি শার্ট ও একটি প্যান্ট। রায়হানের সব পোশাক আমি কিনে দিতাম। মাপজোখও আমার জানা। কিন্তু এই শার্ট-প্যান্ট রায়হানের না, সেটি আমি এক নজর দেখেই বলেছিলাম। আমি লাশ গ্রহণ করার সময় বলেছি, রায়হানের পরনে এই শার্ট-প্যান্ট আমার অচেনা লাগছে। এটি অন্য কারও। রায়হানের শার্ট-প্যান্টের মাপজোখ আমার মুখস্থ। এই শার্ট-প্যান্ট অন্য কারও ছিল। সেগুলো আমি রেখে দিয়েছি। আমার মনে হয়, এই পোশাক পরিবর্তন করার পেছনে কোনো কারসাজি ছিল।

    কী কারসাজি, কারা করেছিল বলে মনে হয়?

    ছালমা বেগম: রায়হানের পরনে শার্ট-প্যান্ট তার না, মর্গে ছেলের লাশ দেখে এই ব্যাপারটি আমিই প্রথম চিৎকার করে বলেছিলাম। আমার মনে হয়, মারতে মারতে ফাঁড়িতেই মেরে ফেলা হয়েছে রায়হানকে। পোশাক বদল করে হয়তো বেওয়ারিশ লাশ বানানোর কোনো কারসাজি থাকতে পারে। ফাঁড়িতেই যখন ঘটনা ঘটেছে, তখন তো কোনো পাবলিক জড়িত না। সবাই ফাঁড়ির পুলিশ। তাঁদের কয়েকজনকে আমি মর্গে দেখে গালিও দিয়েছি। বলেছি, আমার ছেলের পরনে এই শার্ট-প্যান্ট বদল করে লাশটা বেওয়ারিশ বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এগুলো আমি রেখে দিয়েছি। তদন্ত করলে এখান থেকে অনেক কিছু বের হতে পারে।

    পুলিশ তো শুরুতে বলেছিল, ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে আহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে রায়হানের। তাঁর নামে মাদক ও দ্রুত বিচার আইনে দুটি পুরোনো মামলাও নাকি আছে। এসব কথা নিশ্চয় আপনিও শুনেছেন?

    ছালমা বেগম: দেখুন, আমার ছেলে আমার সঙ্গে সব বিষয় নিয়ে কথা বলত। চলতে-ফিরতে সামান্য কোনো অসুবিধায় পড়লে সবার আগে আমার সঙ্গে কথা বলত। কোনো দিন থানা-পুলিশ, কেস-মামলা এসব নিয়ে রায়হান আমাকে কিছু বলেনি। কোনো রাজনীতিও করত না রায়হান। মাদক তো দূরের কথা, পানের সঙ্গে জর্দা খেতে হলেও আমাকে জিজ্ঞেস করত খাবে কি না। যদি পুলিশ কেস থাকত, তাহলে সবার আগে আমাকেই বলত। পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দিতে এসব মিথ্যা বলেছে। পুলিশকে আমরা রক্ষক বলি। রক্ষকেরাই ভক্ষণ করল আমার রায়হানকে।

    কখন সত্যটি প্রকাশ পেল? পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে মামলা মধ্যরাতে করতে গেলেন কেন?

    ছালমা বেগম: সেই ফোন ও আর আমাদের দাবি আর মানুষের প্রতিবাদের মুখে সত্যটা প্রকাশিত হয়। এখানে মিডিয়াও বেশ সহায়তা করে যাচ্ছে। আমি বা আমরা শুরু থেকে যেসব কথা বলছিলাম, তা থেকে এক চুলও সরিনি। কিন্তু পুলিশ কথা বদল করেছে বারবার। লাশ পাওয়ার পর যখন মিডিয়াতে আমরা কথা বলছিলাম, তখন পুলিশের সুর নরম হয়। রাত নয়টার সময় আমার বউমা (রায়হানের স্ত্রী) ও আমার নাতনিসহ আমরা সবাই থানায় যাই। আমাদের একজন আইনজীবী মামলার এজাহার লিখে দেন। রাত ১টা ৪৪ মিনিটের সময় আমরা মামলা করে এজাহারে সিল-সই নিয়ে বাসায় ফিরি। ফাঁড়িতে যেহেতু ঘটনা ঘটেছে, তাই ফাঁড়িতে পুলিশ কারা, নাম-পদবি আমাদের জানা ছিল না। তাই মামলায় আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। পরদিন ফাঁড়ির ইনচার্জসহ চারজনকে বরখাস্ত করা হলো, তখনই ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ সাত-আটজনের নাম প্রকাশ পেল। আকবর পালানোয় জড়িত থাকার বিষয়টিও সামনে এসেছে। শুধু আকবর নয়, আরও অনেক জড়িত আছে। আকবরের সামনে ও পেছনে অনেকই জড়িত। শুধু টাকার জন্য নয়, বড় কোনো কারণ আছে নিশ্চয়। নইলে এভাবে কেউ মারে? (আবার কান্না)

    ফাঁড়ির ইনচার্জসহ যে চারজন বরখাস্ত ও তিনজন প্রত্যাহার করা হয়েছেন, তাঁরাই নির্যাতনকারী—এ বিষয়টি আপনারা কীভাবে জানলেন?

    ছালমা বেগম: ফাঁড়িতে যারা ছিল, তারাই নির্যাতনকারী ও হত্যাকারী। তাদেরকে বরখাস্ত ও প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন পালিয়ে গেছে। এরা রায়হানকে নিয়ে একেক সময় একেক কথা বলেছে। প্রথম বলছিল, রায়হান হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে। তড়িঘড়ি করে ময়নাতদন্ত করে লাশ কবর দিতে বলা হয়। এখন দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের পর দেখা গেল রায়হানের শরীরে ১১১টি আঘাত। কী কষ্ট দিয়ে মারা হয়েছে রায়হানকে, আমি তো মা, কী করে সই, আমি তো ভাবতেই পারছি না… (কান্না)।

    রায়হান হত্যার বিচার দাবির সঙ্গে দলমত–নির্বিশেষ সব মানুষ এককাট্টা এখন। মামলার তদন্ত, আসামি শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। তাতে কি আস্থাশীল আপনি?

    ছালমা বেগম: আমি জীবনে কোনো সভা, মিছিল-মিটিংয়ে অংশ নিইনি। শুধু দূর থেকে দেখেছি। মাইকে (মাইক্রোফোন) কথা বলিনি কোনো দিন। ছেলের লাশ দেখে আর স্থির থাকতে পারিনি। ঘরে মন রাখতে পারিনি। বাসার সামনে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এসে অবস্থান নেন। রায়হান হত্যার বিচার চান তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে আমি দাঁড়িয়েছি। মানববন্ধনে শামিল হচ্ছি, বিচার দাবি করছি। মিছিলও করছি। আমার শরীর ভালো না। কিন্তু মানুষের দাবি দেখে শক্তি পাই। ১০ দিন হয়ে গেল। আমার কাছে তো ১০ যুগের মতো মনে হয়। তবে মানুষ যেভাবে আমাদের পাশে আছেন, মিডিয়া যেভাবে আমাদের সঙ্গে আছে, বিচার পাওয়ার আশায় আছি। আমার মুখ কোনো অবস্থাতেই বন্ধ হবে না। আমি চাই টেকনাফের মতো কিছু একটা হোক। আমার রায়হানই যেন পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুর শেষ নাম হয়। আর কোনো মায়ের বুক খালি হবে না, এমন কিছুর নিশ্চয়তা চাই।

    আসামি গ্রেপ্তার করার দাবিতে সর্বশেষ ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এই আলটিমেটাম শেষ হতে চলল, এ বিষয়ে কিছু বলুন—

    ছালমা বেগম: আসামি তো শনাক্ত করাই আছে। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। ঘটনার চার দিন পর পুলিশ কমিশনার বাসায় এলেন। আমাদের বলেছেন, ফাঁড়ির এসআই আকবর পালিয়ে গেছে। কীভাবে পালাল কিছুই বলেননি তিনি। কমিশনার সাহেব চার-পাঁচ বছর ধরে সিলেট আছেন বলে জানিয়েছেন। এ রকম ঘটনা প্রথম ঘটল বলে তিনি লজ্জিত। আমি তো লজ্জিত শুনতে চাই না। আমি চাই যারা খুনি, তারা গ্রেপ্তার হোক। একটা নজির স্থাপন হোক।

    তাহলে খুনি শনাক্ত করে গ্রেপ্তার না হওয়াই বেশি ক্ষুব্ধ করছে আপনাকে?

    ছালমা বেগম: এই ক্ষোভ সবার। আজ যদি পুলিশ না হয়ে কোনো সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ থাকত, তাহলে কি গাফিলতি করতে পারত পুলিশ? গণদাবির মুখে আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতেই তো পুলিশকে আমরা দেখি। এখন পুলিশের কাছ থেকে পুলিশের অপরাধের বিচার পাব না? আমার ছেলে হত্যার বিচারের নিশ্চয়তা চাই। পিবিআই তদন্ত করছে, তারাও তো পুলিশ। ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। আমার তো মনে হয়, এই ৭২ ঘণ্টা শুধু ঘণ্টা নয়, ৭২টা সন পেরোতে হচ্ছে। আমার রায়হানের মধ্য দিয়ে যেন চিরতরে বন্ধ হয় বাংলাদেশে পুলিশি হেফাজতে সব নির্যাতন-হত্যা। কোনো মাকে যেন আমার মতো ছেলে হত্যার বিচার চাইতে রাস্তায় নামতে না হয়।
    প্রথম আলো
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ফ্রান্সজুড়ে *ধৃষ্টতা: প্রাণাধিক প্রিয় রাসূলের অবমাননাকর কার্টুন দেখানো হচ্ছে দেয়ালে দেয়ালে

    ধৃষ্টতার কালো ইতিহাস রচনা করতে যাচ্ছে হতভাগ্য ফ্রান্সের প্রশাসন ও সমাজ। রাষ্ট্রীয় মদদে দেশটির সরকারি ভবনের বিভিন্ন দেয়ালে দেখানো হচ্ছে শার্লি হেবদোর সেই ধৃষ্টতাপূর্ণ ইসলামবিদ্বেষী কার্টুন।

    ত্রিভুবনে প্রিয় নবী, বিশ্বের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, দেড়শ কোটি মুমিনের শিরা-উপশিরায়, হৃদয়ের স্পন্দনে যার ভালোবাসা রক্তের ন্যায় প্রবহমান, যার প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধা ইসলামের ভিত্তি এবং মুসলমানের মৌলিক পরিচয়, সেই ইমামুল আম্বিয়া, খাতামুন্নাবিয়্যীন মুহাম্মাদুর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অবমাননাকর কার্টুন প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শন করছে হতভাগ্য ফ্রান্সবাসী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই বিতর্কিত কার্টুনটি ব্যাপকভাবে প্রচার করতে শুরু করেছেন তারা। শুধু তাই নয়, কোথাও কোথাও সুরক্ষার জন্য প্রচুর পরিমাণে পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।

    সম্প্রতি ফ্রান্সে ক্লাসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের কারনে স্যামুয়েল প্যাটি নামের এক শিক্ষককে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা হয়েছে। ঐ শিক্ষককে সম্মান জানাতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন যে ফ্রান্স কার্টুন প্রদর্শন বন্ধ রাখবে না। সেই সম্মানপ্রদর্শনেরই অংশ হিসেবেই এ অভিশপ্ত কাজ করছে ফ্রান্সের প্রশাসন।

    ফ্রান্সের ওসিটনেই এলাকার সভাপতি ক্যারোল ডেলগা বুধবার ট্যুইটারে কার্টুন দেখানোর ঘোষণা করেন। উনি বলেন, শিক্ষক স্যামুয়েলকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার জন্য পয়গম্বর মোহম্মদের বিতর্কিত কার্টুন দেখানো হবে।

    ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাকস্বাধীনতার নিজস্ব চিন্তাধারা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এটি একটি কঠোর পদক্ষেপ হবে, যেটি আমাদের দেশের মূল্যকে বোঝাতে সাহায্য করবে। ডেলগা বলেন, ‘এই প্রতীকী পদক্ষেপটি ছাড়াও আমি আমার সহকর্মীদের কাছে একটি বার্তা পাঠাতে চাই যে ধর্মনিরপেক্ষতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং বিবেকের স্বাধীনতা নিয়ে কোনও আপস করা হবে না। এটিই আমাদের প্রজাতন্ত্রের মডেলের ভীত।”

    প্যারিসের বিখ্যাত আইফেল টাওয়ারের নিচে মুসলিম নারীদের নিগ্রহ করাসহ গোটা ইউরোপজুড়ে ইসলাম ও মুসলিম নির্যাতনের ভুরিভুরি নৃশংস ঘটনা সত্ত্বেও ডেলগা বলেন, গণতন্ত্রের শত্রুদের সামনে মাথা নোয়াব না। যারা ধর্মকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে তাদের সামনে আমরা দুর্বল হব না। এই প্রজাতন্ত্রকে নষ্ট করার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে এমন লোকের সামনে রুখে দাঁড়াতে হবে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      প্যারিসে ছয় মাসের জন্য একটি মসজিদ বন্ধ করে দিলো,ক্রুসেডার ফ্রান্স

      নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অবমাননার ঘটনায় ফ্রান্সে ছুরি হামলায় এক ঘৃন্য খ্রিস্টান শিক্ষক নিহতের ঘটনায় রাজধানী প্যারিসের উপকণ্ঠে একটি মসজিদ ৬ মাসের জন্য বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

      খবরে বলা হয়েছে , কুখ্যাত শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির নিহত হবার পূর্বে মসজিদটির ফেইসবুক পেইজে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। মসজিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা বলা হয় ওই ভিডিওটি প্যাটির বিরুদ্ধে ঘৃণা উস্কে দিয়েছে।

      পুলিশ গতো মঙ্গলবার মসজিদ প্রাঙ্গণে মসজিদটি বন্ধের নোটিশ সেঁটে দিয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে ছয় মাসের জন্য মসজিদটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নোটিশ ইস্যুকারী দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা।

      গতো শুক্রবার ৪৭ বছর বয়সী ওই নরাধম স্যামুয়েল প্যাটিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থলের কাছেই প্রহরায় থাকা পুলিশের গুলিতে বীর হামলাকারীও নিহত হয়।

      চলতি মাসের শুরুতে ইতিহাসের ওই শিক্ষক তার ক্লাসরুমে মোহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যাঙ্গচিত্র দেখিয়েছিলেন। এরপর স্কুলের বাইরের রাস্তাতেই ছুরি হামলায় নিহত হয় সে।

      হামলাকারী ১৮ বছর বয়সী তরুণ চেচেন বংশোদ্ভূত বলে জানিয়েছেন ফরাসি গণমাধ্যম। এ ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে আরও ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।পুলিশ এক ডজনেরও বেশি বাড়িতে ও ইসলামিক সংস্থায় তল্লাশির নামে হয়রানি চালিয়েছে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আফগানিস্তানে শত্রুদের হামলায় ১ শিশু শহীদ, আহত আরো ৫

        দোহা চুক্তির পরবর্তী সময়ে ক্রুসেডার আমেরিকা আফগানিস্তানে ধারাবাহিক ঘৃণ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় শত্রুরা গত ২০ অক্টোবর সোজমা কালা জেলার গাওয়াদারে বেসামরিক এলাকায় বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ৪ জন শিশু মারাত্মক আহত ও ১ জন শহীদ হয়েছে।

        এভাবে মার্কিন সন্ত্রাসীরা ও তাদের ছত্রছায়ায় কাবুল সরকার আফগানিস্তানে শান্তি লঙ্ঘন করে চলেছে। নিকৃষ্টভাবে আঘাত হানছে নিরপরাধ মানুষের উপর। শিশুরাও কুফফার যৌথ বাহিনীর বর্বরতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতে আধা সামরিক বাহিনীর ওপর হামলা, নিহত ১

          আসাম রাইফেলসের একটি পানিবাহী গাড়ির ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে। গাড়িটি লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়। এই ঘটনায় এক মালাউন সেনা নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছে।

          মিয়ানমার সীমান্তবর্তী অরুণাচলের তিন জেলা—তিরাপ, লংডিং এবং চ্যাংলাংয়ে দীর্ঘদিন থেকেই চালু রয়েছে ভারতের বিতর্কিত সশস্ত্র বাহিনী। তাদের জন্য(বিশেষ ক্ষমতা) আইন। এতে ঐ বাহিনীকে গুলি চালানোসহ ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে।

          এসব অঞ্চলে সক্রিয় রয়েছে ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষিত বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। আসাম ও নাগাল্যান্ডে সক্রিয় এসব গোষ্ঠীর কোনও কোনোটির আস্তানা রয়েছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে। যেখান থেকে বেরিয়ে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা শেষে তারা আবার ফেরত যায়। এ মাসের শুরুতে চ্যাংলাং জেলায় আরও একবার হামলার শিকার হয় আসাম রাইফেলস-এর সদস্যরা। জেলার টেংমো গ্রামে টহল দলের ওপর হামলা চালানো হয়।

          গত ১১ জুলাই অরুণাচলের লংডিং জেলায় নাগা আন্ডারগ্রাউন্ড গ্রুপ এনএসসিএন-এর ছয় সন্দেহভাজন সদস্যকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়া গত বছর সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় তৎকালীন এক আইনপ্রণেতাসহ দশ জন আহত হয়।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            আটককৃত মাদক বিক্রি করে ধরা এসআইসহ ২ পুলিশ সদস্য


            কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আটককৃত মাদক বিক্রি করে ধরা খেয়েছে এসআই দেলোয়ার হোসেন ও কনস্টেবল মামুনসহ ২ পুলিশ সদস্য।

            একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভৈরব থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন ফোর্স নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর ভৈরব প্রান্ত থেকে বাসে তল্লাশি করে মাদক (গাঁজা) আটক করে জব্দ না দেখিয়ে শহরের আমলা পাড়ায় আটককৃত মাদক বিক্রি করে দিয়েছেন। কালের কণ্ঠ
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ফের একজন নারীকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিলো সৌদি আরব

              সৌদি ত্বাগুত সরকারি কর্তৃপক্ষ আবারো একজন নারীকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। গত ২১ অক্টোবর আরব নিউজের বরাতে জানা যায়, আমাল ইয়াহহিয়া আল-মোয়াল্লিমি নামের এক নারীকে নরওয়েতে প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

              গত মঙ্গলবার অনলাইনে রাষ্ট্রদূতের শপথ নেন এই সৌদি নারী। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উপস্থিতিতে তাকে শপথ পড়ান বাদশাহ সালমান।

              এর আগে সৌদির প্রথম নারী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন প্রিন্সেস রিমা বিনতে বন্দর। তাকে কুফর প্রধান ক্রুসেডার যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে গত বছর নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো।
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                Originally posted by Al-Firdaws News View Post
                ফ্রান্সজুড়ে *ধৃষ্টতা: প্রাণাধিক প্রিয় রাসূলের অবমাননাকর কার্টুন দেখানো হচ্ছে দেয়ালে দেয়ালে
                ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
                নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক।
                নিউজটি পড়ে স্তব্ধ ও নির্বাক হয়ে গেলাম...
                শরীরের লোমগুলো কাঁটা দিয়ে উঠল!
                এ কেমন ধৃষ্টতা?!
                “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                Comment


                • #9
                  আমাদের প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তি করা যদি তোমাদের বাক-স্বাধীনতার অংশ হয়, তাহলে তোমাদেরকে হত্যা করাও আমাদের শরীয়তের অংশ।
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment

                  Working...
                  X