Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ১১ ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪১ হিজরী # ২৮ অক্টোবর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ১১ ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪১ হিজরী # ২৮ অক্টোবর , ২০২০ঈসায়ী।

    এবার তাজমহলকে শিবমন্দির দাবি করে পূজা শুরু

    তাজমহলকে শিব মন্দির দাবি করার পর ভারতের হিন্দুত্ববাদী আরএসএস এর শাখা সংগঠন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের যুব জেলা সভাপতি গৌরব ঠাকুর তাজমলহলের ভিতরে ঢুকে গেরুয়া পতাকা নিয়ে আর শিবের আরাধনা করে।

    ভারতের ঐতিহ্যবাহী বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে রামমন্দিরের নির্দেশের পর থেকেই একের পর এক মুসলিম স্থাপত্যকে নিজেদের পূর্ববর্তী ধর্মীয় উপাসানালয় বলে দাবি করতে থাকে হিন্দুত্ববাদীরা। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের যুব জেলা সভাপতি গৌরব ঠাকুর দাবি করেন যে, তাজমহল মমতাজ বেগমের স্মৃতিসৌধ না। সেটি ভগবান শিবের প্রাচীন মন্দির।

    এবার তাজমহলের ভেতরে গৌরব ঠাকুরের আরাধনার ভিডিও করে প্রকাশিত হয়। তিনি জানান, তাজমহলে এর আগেও শিব আরাধনা করেছেন, আর আগামী দিনেও করবেন। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, গৌরব ঠাকুর প্রায় পাঁচবার তাজমহলের ভিতরে গেরুয়া পতাকা তুলে শিব আরাধনা করেছেন।

    উনি জানায়, তাজমহলের সত্যতা সবার সামনে আসা উচিৎ। উনি বলেন যে, শাহজাহান দ্বারা বানানো এই তাজমহল কোনো ভালোবাসার চিহ্ন নয়, এটি হল হিন্দুদের আস্থার কেন্দ্র।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কাশ্মিরে এবার ভারতীয়দের জমি কেনার অনুমতি দিলো মোদি

    এখন থেকে জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখে জমি কিনতে পারবেন যেকোনো ভারতীয়। সাধারণ জমি আইন মেনেই যে কেউ ভূস্বর্গে জমি কিনতে পারবেন। ভারতীয় সংবিধান থেকে বিতর্কিত ভাবে ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করার মাধ্যমেই সাধারণ ভারতীয়দের এই সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এর আগে জম্মু-কাশ্মিরের স্থায়ী বাসিন্দা হলেই কেবল সে রাজ্যে জমি কেনা যেত। কিন্তু এখন থেকে আর সেই বাধ্যবাধ্যকতা থাকছে না।

    ভারতের কেন্দ্রীয় মোদি সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইউনিয়ন টেরিটরি অফ জম্মু অ্যান্ড কাশ্মির রিঅর্গানাইজেশন (অ্যাডপশন অফ সেন্ট্রাল ল) থার্ড অর্ডার, ২০২০ অনুযায়ী সেখানে জমি কিনতে পারবেন যে কোনো ভারতীয়। অর্থাৎ কাশ্মির উপত্যকায় জমি কেনার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা রইল না।

    কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই নির্দেশ সংশোধন হওয়ার পর থেকেই কার্যকর করা হবে। শুধু তাই নয়, ভারতের যে কোনো জায়গায় জমি কিনতে গেলে যে আইন মানতে হয়, কাশ্মিরেও তার কোনো অন্যথা হবে না। এই নির্দেশের ব্যাখ্যা হিসেবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জেনারেল ক্লসেস অ্যাক্ট, ১৮৯৭-এর উল্লেখ করেছে বলে খবর। ভারতীয় সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া তথা কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বিলুপ্ত করার পর থেকেই জম্মু-কাশ্মিরে জমি কেনা ইস্যু নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এবার আইনের করেই বিতর্কিত সেই প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ করে দিল মোদি সরকার।

    উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বিলোপ করার কিছু দিনের মধ্যেই দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, জম্মু-কাশ্মিরে জমি কেনার জন্য সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ, বিএসএফের মতো সামরিক এবং আধাসামরিক বাহিনীগুলোকে এখন থেকে আর ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (এনওসি) নিতে হবে না। ১৯৭১ সালে জারি এই সংক্রান্ত একটি সার্কুলার প্রত্যাহার করে নিয়েছিল জম্মু-কাশ্মির প্রশাসন।

    ‘রাইট টু ফেয়ার কমপেনসেশন অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি ইন ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন’ – ২০১৩ সালের এই জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত আইন জম্মু-কাশ্মিরেও কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছিল বছর খানেক আগে থেকেই। কেন্দ্রীয় এই আইন অনুযায়ী, ভারতের জাতীয় বা রাজ্য স্তরের কোনো নিরাপত্তা সংস্থা চাইলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের যে কোনো এলাকায় জমি অধিগ্রহণ করতে পারে। এর জন্য কোনো সরকার বা প্রশাসনের অনুমতি তাদের নিতে হবে না। কিন্তু সেই আইন কাশ্মিরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল না। কারণ ১৯৭১ সালে জারি হওয়া সার্কুলারটিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী কিংবা সিআরপিএফকে জম্মু-কাশ্মিরে জমি অধিগ্রহণ করতে হলে কিংবা কিনতে হলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু আগেই সেই বাধা তুলে নেয়া হয়েছিল। আর এবার বিতর্কিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সাধারণ ভারতীয়দের জন্যও কাশ্মিরে জমি কেনার সুযোগ করে দিল মোদি সরকার। ভারতীয় সংবিধান থেকে নিজেদের বিশেষ মর্যাদা হারানোর পর মোদি সরকারের নতুন এই সিদ্ধান্ত কাশ্মিরিদের পিঠে যেন আরো একবার ছুরিকাঘাত।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আরবীতে কথা বলায় ফ্রান্সে মুসলিম ভাই-বোনের ওপর হামলা

      আরবীতে কথা বলায় ফ্রান্সে মুসলিম ভাই-বোনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশটির রাজধানী প্যারিসের বাইরের একটি ছোট শহরে মুসলিম ওই ভাই-বোনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার ওই মুসলিম ভাই-বোন জর্ডানের নাগরিক। কেবল আরবীতে কথা বলার কারণেই তাদের ওপর কট্টর বর্ণবাদী ও উগ্রপন্থী ফরাসিরা হামলা করে বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।

      হামলার শিকার ভাই ও বোন জানিয়েছেন, আরবীতে কথা বলার কারণে কট্ট্র বর্ণবাদী ও উগ্রপন্থী দুই ফরাসি নারী ও পুরুষ তাদের ওপর হামলা ও নির্যাতন করে। হামলার সময় হামলাকারীরা মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শনের ঘটনায় অভিযুক্ত ফরাসি শিক্ষককে হত্যার করায় আক্রমণাত্মক বিভিন্ন কথা বলে।

      নির্যাতনের শিকার জর্ডানিয়ান ওই যুবকের নাম মোহাম্মদ আবু ঈদ। টেলিফোনে স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন,‘কট্টর উগ্রবাদী ফরাসি ওই ব্যক্তি ও তার স্ত্রী চিৎকার করে ও রাগান্বিতভাবে আমাদের দিকে তেড়ে আসেন এবং বলেন- ‘‘এটা ফ্রান্স। এটা তোমার দেশ নয়।’’ এরপর আরবীতে কথা বলতে শুনে পাশের একটি বাস স্টপে তারা আমাদের ওপর হামলা করে।’

      এদিকে অভিযুক্ত দুই হামলাকারীকে গ্রেফতার করেনি ফরাসি পুলিশ।

      ফ্রান্সের একটি সরকারি স্কুলের আরবী বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডানের নাগরিক মোহাম্মদ আবু ঈদ। আর তার বোন ফ্রান্সের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পড়াশোনা করছেন। জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস থেকে স্কলারশিপ পেয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করতে তিনি ফ্রান্সে এসেছিলেন। দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মুসলিমদের হত্যার হুমকি দিয়ে ফরাসি মসজিদে ইসলামবিদ্বেষীদের চিঠি

        কট্টর ইসলামবিদ্বেষী ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে মুসলিম বিশ্ব এবং ফরাসি পণ্য বর্জনের প্রচার চালাচ্ছে। তবে থেমে নেই ফ্রান্সের ইসলামবিদ্বেষীরা। দেশটির উত্তরাঞ্চলের একটি মসজিদকে হুমকিমূলক বার্তা দেওয়া হয়েছে। যেখানে মুসলিমদের হত্যা করার হুমকি দিয়ে মসজিদের চিঠির বাক্সে ইসলামবিদ্বেষীরা ওই বার্তাটি রেখে যায়।

        হত্যার হুমকির চিঠিতে আরব, তুর্কি ও সেখানকার মুসল্লিদের হত্যার হুমকিসহ অবমাননামূলক কথা বলা হয়েছে। ইসলাম ও ইনফো ওয়েবসাইটের বরাতে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এমন খবর দিয়েছে। মসজিদে দেয়া হুমকির নোটিশে হিজাব পরিহিত মুসলিম নারীদের নিয়েও কটূক্তি করা হয়েছে।

        তাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেওয়া হয়েছে বলে খবরে জানা গেছে। চিঠিতে বলা হয়, যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। তোমাদের দেশ থেকে বের করে দেব। সামুয়েলের মৃত্যুর কড়ায়-কণ্ডায় হিসাব নেব।

        ক্লাসে মহানবী মুহাম্মাদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লামের কার্টুন প্রদর্শন করার প্রতিবাদে চেচেন-বংশোদ্ভূত এক কিশোর ফরাসি স্কুল শিক্ষক স্যামুয়েল পট্টির শিরশ্ছেদ করে।

        ওই ঘটনার পরে ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড বন্ধ করবে না বলে ম্যাক্রোঁর ঘোষণা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইসলামবিদ্বেষীদের উস্কে দেয়। মুসলমানদের বিরুদ্ধে ফরাসী সরকারের উস্কে দেওয়ার ফলে ওই দেশটিতে ইসলামোফোবিক ক্রিয়া ও বর্ণবাদী আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

        ম্যাক্রোঁর ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্যের পরেই দেশটির কয়েকটি পাবলিক ও এবং সরকারি ভবনে মুহাম্মাদ সাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে ইসলামবিদ্বেষীরা।

        বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ, সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মাদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লামের অপমানজনক ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করার সমর্থনে ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মন্তব্য বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

        এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তুরস্ক ও পাকিস্তানসহ অনেক মুসলিম দেশ সর্বসম্মতভাবে ফ্রান্সের ইসলামফোবিক পদক্ষেপের নিন্দা জানায় ও ফরাসী পণ্য বর্জনকারী প্রচারগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় চালু করে।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ফিরে দেখা।।‘আড়াই লাখ কাশ্মীরী মুসলমান হত্যা করেছিল ভারত

          ১৯৪৭-এ কাশ্মীরের নিরীহ মুসলিমদের ওপর গণহত্যায় চালিয়েছিল ভারতীয় বাহিনী। বর্বর সেই হামলায় ২ লাখ ৫০ হাজার মুসলিম নিহত হয়েছেন।

          গত ৭৩ বছরে ভারতীয় সেনা কর্তৃক হত্যা, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, চোখ তুলে ফেলাসহ অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কাশ্মীরের অর্ধ লাখ মুসলমান।

          ১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবরে ভারত কাশ্মীরের প্রবেশ করে । একই সঙ্গে রাজ্যের বড় একটি অংশ দখল করে নেয়।

          ভারতীয় বাহিনী জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে পা রাখার পর থেকে ২৭ অক্টোবরের দিনটি আজাদ কাশ্মীরে ‘কালো দিন’ পালন করে আসছে। গেল বছর জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ‘৩৭০ ধারা’ রদ করে ভারত কেন্দ্রশাসিত সরকারের অধীনে চলে যায়। ওই ঘটনায় প্রতিবাদ জানালে বহু কাশ্মীরি নির্যাতনের শিকার হন।

          ১৯৪৭ সালের এই দিনে জম্মু-কাশ্মীরের ভয়াবহ আক্রমণ করেছিল ভারত। তখন সেনা মোতায়নের পরই কাশ্মীরের জনগণের ওপর বর্বর হামলা, গণহত্যা এবং মুসলিমবিরোধী মিথ্যা প্রচারণা চালায় ভারত। সেসময় ২ লাখ ৫০ হাজার মুসলমান হত্যা করে ভারতীয় বাহিনী। নির্যাতনের মুখে বহু কাশ্মীরি বাস্তুচ্যুত হন। একই সঙ্গে অনেককে পাকিস্তানে পুশ করা হয়। মূলত ২৭ অক্টোবর থেকেই কাশ্মীদের ওপর গণহত্যার অভিযানে নামে ভারত।

          কাশ্মীরের জনগণ প্রথমে ডোগরা রাজবংশের স্বৈরাচারী শাসন থেকে এবং তারপরে ভারতীয় দখল থেকে স্বাধীনতা অর্জনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা করছে।

          আনাদোলু সাংবাদিককে সরদার মাসুদ খান বলেন ‘১৯৪৭ এ কাশ্মীরের শেখ আবদুল্লাহ ভারতে যোগ না দিতেন, আমরা কাশ্মীরিদের কয়েক দশক ধরে চলমান গণহত্যার হাত থেকে বাঁচাতে পারতাম।’ ওই এক ভুল কাশ্মীরিদের অন্ধকারে ডুবিয়ে দেয় বলে মনে করেন তিনি।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X