Announcement

Collapse
No announcement yet.

|| জামায়াত শিবিরের ভাইদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা ||

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • || জামায়াত শিবিরের ভাইদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা ||

    || জামায়াত শিবিরের ভাইদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা ||

    জামায়াত শিবিরের ভাইদের উদ্দেশ্যে মন থেকে কিছু কথা বলতে চাই। প্রথমে আমি এ কথা স্পষ্ট করতে চাই যে আমার এই লেখার উদ্দেশ্য কাউকে কটাক্ষ বা আঘাত করার জন্য নয়। কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করাও আমার উদ্দেশ্য নয়। হে জামায়াত শিবিরের ভাইয়েরা আমরা আপনাদের দ্বীনের অংশই মনে করি। জামায়াত শিবিরের ভাইদের মধ্যেও এমন অনেক মুখলিস ভাই আছে যারা জিহাদ ও 'ইদাদে বিশ্বাসী। যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জন্য নিজেদের জীবন পর্যন্ত কোরবানি করতে প্রস্তুত আছে। জামায়াত শিবিরের অনেক ভাই আছে যারা দ্বীনের জন্য অনেক পরিশ্রম করেন। দ্বীনের জন্য আপনাদের অনেক প্রচেষ্টাই প্রশংসনীয়। কিন্তু কিছু বিষয় নিয়ে আলেম উলামাদের মাঝে মারাত্মক দ্বিধা দ্বন্দ্ব রয়েছে। যা দ্বীন ইসলামের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আজ এ বিষয়ে আপনাদের সাথে কিছু কথা বলতে চাই। প্রথমেই বলতে চাই আপনারা যে ইসলামী গণতন্ত্রের ছবক দেন তা ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী হারাম ও সুস্পষ্ট কুফর। এ ব্যাপারে অধিকাংশ আলেম উলামারা একমত যে দ্বীনের মধ্যে ইসলামী গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। হে আমার ভাইয়েরা আপনারা যে ইসলামী গণতন্ত্রের কথা বলেন দ্বীনের সাথে ও সাধারণ মুসলমানদের সাথে প্রতারণা বৈ কিছু নয়। একটি কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই মুমিন বান্দা কখনো একই সাথে দুই নৌকায় পা দিতে পারে না। ঈমান ও কুফরের এই লড়াইয়ে তৃতীয় পক্ষ বলে কিছু নেই। একজন ঈমানদার ব্যক্তি কখনো একই সাথে আল্লাহর দলে এবং কাফেরদের দলে অবস্থান করতে পারে না। হয় তাকে রহমান আল্লাহর দলে অবস্থান করতে হবে নতুবা সে কাফের মুশরিকদের দলে অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে। আপনারা যে ইসলামী গণতন্ত্র ও আন্দোলনের কথা বলেন তা কি মডারেট ইসলামের অংশ নয়। আপনাদের প্রচলিত শরিয়াহ বাস্তবায়নের এই পথ কি ইয়াহুদ ও নাসারাদের তৈরিকৃত পথ নয়। যেখানে ইসলামের কিছু অংশ মানা হয় আর কিছু অংশ মানা হয় না। এটা কি কুরাইশ কাফিরদের দেখানো পথ নয়। আপনাদের এই সুন্নাহ বিরোধী মানহায কসমিক(কস্মিন) কালেও আমাদের দ্বীনের অংশ হতে পারে না। একটু মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করুন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি আপনাদের এই কথিত পদ্ধতিতে দ্বীন কায়েম করেছেন বা কাউকে করতে বলেছেন। আল কোরআনে এমন একটি আয়াত ও পাবেন না যেখানে এই পদ্ধতিতে শরিয়াহ কায়েম করার কথা বলা আছে। স্পষ্ট করে বলতে চাই এখানে অযুহাত পেশ করার কোনো সুযোগ নেই। যেখানে আপনাদের সুন্নাহ বিরোধী ইসলামী গণতন্ত্র ও আন্দোলনে জিহাদ ও 'ইদাদের স্থান নেই তাকে আপনারা কিভাবে দ্বীন কায়েমের পথ মনে করেন।
    এবার আসি দ্বিতীয় ধাপে। আপনারা বহুকাল ধরে ইসলামী গণতন্ত্র ও আন্দোলনের দোহাই দিয়ে প্রতারণাপূর্ণভাবে শরিয়াহ কায়েমের চেষ্টা করে আসছিলেন। আপনারা কিছুকাল ক্ষমতার মসনদেও সমাসীন ছিলেন। কই পেরেছেন কি ইসলামী শরিয়াহ কায়েম করতে। বারবারই আপনারা মুখ থুবড়ে ব্যর্থ হয়েছেন। বিনিময়ে আপনারা ক্রয় করেছেন একরাশ গোমরাহী এবং মানুষদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ভুল বিদআত ও কুফরী মানহাযের উপর। কতই না মারাত্মক ছিল আপনাদের এই ছলনা। একটি কথা ভালো ভাবে খেয়াল করুন ধরুন আপনারা প্রচলিত ইসলামী গণতন্ত্র ও আন্দোলনের মাধ্যমে সংসদে একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করার তা করলেন। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনাদের সামনে যে নাপাক গণতন্ত্রের রক্ষা কবচ সংবিধান নামক যে তাগুতী আইন রয়েছে তার রক্ষকরা কি এমনি এমনি আপনাদের ছেড়ে দিবে। তারা কি এই নাপাক সংবিধানকে রক্ষার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাবে না। বস্তুত ধোঁকাবাজদের এই খেলায় আপনারা ক্ষমতায় গেলেও মূল চাবিকাঠি আপনাদের হাতে নেই। ঠিকই গণতন্ত্রের রক্ষকরা ত্রাণকর্তার ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়ে আপনাদের ক্ষমতাচ্যুত করে এই নাপাক সংবিধানকে রক্ষা করবে। আপনাদের সামনে একটি জ্বলন্ত প্রমাণ পেশ করতে চাই। আপনাদের অনেকেরই হয়তো মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের কথা মনে আছে। যারা নিজেদেরকে ইসলামপন্থী দল হিসেবে দাবি করতো। তারা ইসলামী গণতন্ত্র ও আন্দোলনের মাধ্যমে সংসদে গিয়ে এক বছরও ক্ষমতায় টিকতে পারেনি। তারাও তো দ্বীন কায়েমের কথা বলতো শরিয়াহ কায়েমের কথা বলতো। কই তাঁরা তো গণতন্ত্রের রক্ষকদের কবল থেকে তাদের ক্ষমতাকে ধরে রাখতে পারলো না। ঠিকই গণতন্ত্রের ত্রাণকর্তারা তাদের সংবিধানের পবিত্রতা রক্ষার জন্য আপনাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। এখানে কোনো প্রশ্ন বা অযুহাত পেশ করার সুযোগ নেই যেমনটা আপনারা পূর্বে করে এসেছেন। এ কথা বুক ফুলিয়ে বলতে পারি আপনাদের এই মানহায যে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মানহায ছিল না তা স্পষ্ট। এখানে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। পরিশেষে কিছু কথা বলেই শেষ করতে চাই। দয়া করে ইসলামকে কুফরের সাথে মিশ্রিত করার চেষ্টা করবেন না। আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর তরিকা অনুযায়ী দ্বীন কায়েমের চেষ্টা করুন। আশা করি আপনাদের সাথে কারো কোন দ্বিমত থাকবে না ইনশাআল্লাহ।


  • #2
    আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে জিহাদ ও ই‘দাদের পথে ফিরে আসার তাওফিক দান করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment

    Working...
    X