উম্মাহ নিউজ # # ০৫ রবিউস সানী , ১৪৪২ হিজরী # ২০ নভেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

[Al-Firdaws News]

সন্ত্রাসবাদের মিথ্যা অভিযোগে একবছর বন্দী থাকার পর জামিনে মুক্তি

সন্ত্রাসবাদের মিথ্যা অভিযোগে একবছর বন্দী থাকার পর মাওলানা কালিমুদ্দিন মাজাহিরিকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট।

ঝাড়খণ্ডের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড গতবছর ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জামশেদপুর থেকে মাওলানা কালিমুদ্দিন মাজাহিরিকে গ্রেফতার করে ঝাড়খণ্ড পুলিশ।

নাটকীয়ভাবে তৎকালীন ঝাড়খণ্ডের এটিএসের এডিজি এমএল মিনা মাওলানা কালিমুদ্দিনকে সামনে হাজির করিয়ে প্রেস কনফারেন্স করে আল কায়েদার সাথে সম্পৃক্তার কথা বলেন।
তার ভিত্তিতে বিভিন্ন সংবাদপত্র প্রথম পাতায় বড় বড় হেডিংয়ে আল কায়েদার মুজাহিদ গ্রেফতারের সংবাদ প্রকাশ করে!

কিন্তু তার বিরুদ্ধে মুজাহিদদের সাথে সম্পৃক্ততার কোনও প্রমাণ দিতে পারে নি ঝাড়খন্ড পুলিশ ও ঝাড়খণ্ডের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড।
পরে হাইকোর্টে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। মিথ্যা অভিযোগে বন্দী থাকার পর জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবর অবশ্য সেই সব সংবাদপত্রে স্থান পায়নি।

মোদী সরকারের শাসন আমলে সন্ত্রাসবাদের মিথ্যা অভিযোগে কত নিরীহ মুসলিমের জীবন ধ্বংস হচ্ছে তার সঠিক কোন হিসেব নেই!!

[Al-Firdaws News]

৩৯ বেসামরিক আফগানকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করেছে অস্ট্রেলীয় সেনারা

আফগানিস্তানে দায়িত্ব পালনকালে অবৈধভাবে দেশটির ৩৯ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে অস্ট্রেলিয়ান সেনারা। এমন ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া সরকারের নিজস্ব তদন্ত প্রতিবেদনে। বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

আফগানিস্তানে অস্ট্রেলীয় সেনাদের সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের মুখে এই তদন্ত শুরু করে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের অস্ট্রেলিয়ান স্পেশাল ফোর্সের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের প্রতিযোগিতা হত্যাকাণ্ড এবং ‘রক্তের লালসা’ পরিলক্ষিত হয়েছে।

আফগানিস্তানে সংঘটিত এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য ১৯ জনের ব্যাপারে তদন্ত করতে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ বাহিনীর প্রতি সুপারিশ করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।

অভিযুক্ত ১৯ জনের সবাই অস্ট্রেলিয়ান স্পেশাল ফোর্সের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে আফগানিস্তানে বিভিন্ন খুন ও নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ডসহ অন্তত ৩৬টি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিরা বন্দী, কৃষক কিংবা সাধারণ আফগান নাগরিক ছিলেন।

২০১৬ সালের মার্চে এই তদন্ত কাজ শুরু হয়। চার বছরেরও বেশি সময় পর বৃহস্পতিবার এর প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো।

সূত্র: আল জাজিরা, সিএনএন।