Announcement

Collapse
No announcement yet.

বর্তমানে নামধারী মুসলিম শাসকদের মধ্যে সকলেই কী কাফের??

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বর্তমানে নামধারী মুসলিম শাসকদের মধ্যে সকলেই কী কাফের??

    আল্লাহ বলেন,*وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللهُ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْكَافِرُوْنَ*‘যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী বিচার বা শাসন করেনা, তারা কাফের’*(মায়েদাহ ৫/৪৪)। এর পরে ৪৫ আয়াতে রয়েছে ‘তারা যালেম’*(فَأُوْلَئِكَ هُمُ الظَّالِمُوْنَ)*এবং ৪৭ আয়াতে রয়েছে, ‘তারা ফাসেক’*(فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُوْنَ)। একই অপরাধের তিন রকম পরিণতি : কাফের, যালেম ও ফাসেক।
    ১)হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন,*مَنْ جَحَدَ مَا أَنْزَلَ اللهُ فَقَدْ كَفَرَ وَمَنْ أَقَرَّ بِهِ وَلَمْ يَحْكُمْ فَهُوَ ظَالِمٌ فَاسِقٌ*‘যে ব্যক্তি আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে অস্বীকার করল সে কুফরী করল। আর যে ব্যক্তি তা স্বীকার করল, কিন্তু সে অনুযায়ী বিচার করল না সে যালিম ও ফাসিক।অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে,*لَيْسَ بِالْكُفْرِ الَّذِي يَذْهَبُونَ إِلَيْهِ إِنَّهُ لَيْسَ كُفْرًا يَنْقِلُ عَنِ الْمِلَّةِ، وَهُوَ كُفْرٌ دُوْنَ كُفْرٍ وَظُلْمٌ دُوْنَ ظُلْمٍ، وَفِسْقٌ دُوْنَ فِسْقٍ*‘তোমরা এ কুফরী দ্বারা যে অর্থ বুঝাতে চাচ্ছ, সেটা নয়। কেননা এটি ঐ কুফরী নয়, যা কোন মুসলমানকে ইসলামের গন্ডী থেকে বের করে দেয়। বরং এর দ্বারা বড় কুফরের নিম্নের কুফর, বড় যুলুমের নিম্নের যুলুম ও বড় ফিসকের নিম্নের ফিসক বুঝানো হয়েছে।(হাকেম হা/৩২১৯, ২/৩১৩, সনদ ছহীহ; তিরমিযী হা/২৬৩৫।)

    (২) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) ও হাসান বাছরী (রহঃ) বলেন,*هِيَ عَامَّةٌ فِي كُلِّ مَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَالْيَهُودِ وَالْكُفَّارِ أَيْ مُعْتَقِدًا ذَلِكَ وَمُسْتَحِلاًّ لَهُ- فَأَمَّا مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ وَهُوَ مُعْتَقِدٌ أَنَّهُ رَاكِبُ مُحَرَّمٍ فَهُوَ مِنْ فُسَّاقِ الْمُسْلِمِينَ، وَأَمْرُهُ إِلَى اللهِ تَعَالَى إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ، وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُ*এটা মুসলিম, ইহূদী, কাফের সকল প্রকার লোকের জন্য সাধারণ হুকুম যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী বিচার-ফায়ছালা করে না। অর্থাৎ যারা বিশ্বাসগতভাবে (আল্লাহর বিধানকে) প্রত্যাখ্যান করে এবং অন্য বিধান দ্বারা বিচার ও শাসন করাকে হালাল বা বৈধ মনে করে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি উক্ত কাজ করে, অথচ বিশ্বাস করে যে সে হারাম কাজ করছে, সে ব্যক্তি মুসলিম ফাসেকদের অন্তর্ভুক্ত হবে। তার বিষয়টি আল্লাহর উপর ন্যস্ত। তিনি চাইলে তাকে শাস্তি দিবেন, চাইলে তাকে ক্ষমা করবেন’*(কুরতুবী, মায়েদাহ ৪৪/আয়াতের তাফসীর)।

    তাহলে যে বর্তমানের আলেমরা,বর্তমানে যারা মুসলিম নামধার শাসক আছে,তাদের সবাইকে কাফের ফতুয়া দিয়েছেন;আলেমরা কী নিশ্চিত সেই সব শাসকরা আল্লাহর আইনকে অস্বীকার করেছে বা সে সব শাসকরা এটা বিশ্বাস করেছে যে-আল্লাহর আইন অপেক্ষা মানবরচিত আইন উত্তম!। সঠিক কোন কারণে এসব শাসকদের মুরতাদ এবং হত্যা যোগ্য ফতুয়া দেওয়া হয়েছে??

  • #2
    Originally posted by Abdullah Pathan View Post


    তাহলে যে বর্তমানের আলেমরা,বর্তমানে যারা মুসলিম নামধার শাসক আছে,তাদের সবাইকে কাফের ফতুয়া দিয়েছেন;আলেমরা কী নিশ্চিত সেই সব শাসকরা আল্লাহর আইনকে অস্বীকার করেছে বা সে সব শাসকরা এটা বিশ্বাস করেছে যে-আল্লাহর আইন অপেক্ষা মানবরচিত আইন উত্তম!। সঠিক কোন কারণে এসব শাসকদের মুরতাদ এবং হত্যা যোগ্য ফতুয়া দেওয়া হয়েছে??
    উত্তর:

    মুহতারাম ভাই, বর্তমান তাগুত শাসকদেরকে মূলত কাফের ফতোয়া দেয়া হয়েছে শরীয়াহ শাসনব্যবস্থা প্রত্যাখান করে তদস্থলে কুফরি শাসনব্যবস্থা কায়েম করার কারণে। খেলাফতের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় আইন ছিল কুরআন সুন্নাহ। তবে শাসক ও কাজিরা মাঝে মাঝে কুরআন সুন্নাহর বিপরীত ফায়াসালা দিয়ে দিতো। এটা কুফর নয়। পক্ষান্তরে শরীয়তের আইন সাংবিধানিকভাবে পরিবর্তন করে তদস্থলে কুফরি আইন প্রবর্তন করা কুফর। বর্তমান তাগুত শাসকরা এটাই করেছে। এর ভিত্তিতেই মূলত তারা কাফের। আল্লাহর আইনকে অস্বীকার করুক না করুক সমান।

    Comment


    • #3
      আপনি যে বললেন,"আল্লাহর আইনকে অস্বীকার করুক বা না করুক সমান।"-এ সম্পর্কে কী আপনার কাছে দলিল আছে? কেননা ইবনে আব্বাস রা. বলেছেন,*‘যে ব্যক্তি আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে অস্বীকার করল সে কুফরী করল। আর যে ব্যক্তি তা স্বীকার করল, কিন্তু সে অনুযায়ী বিচার করল না সে যালিম ও ফাসিক।"
      দয়া করে,দলিল দিবেন।জাজাকাল্লাহ

      Comment


      • #4
        কেউ দলিল-প্রমাণ সহ ভালোভাবে দিতেন,তাহলে ভালো হয়।জাজাকাল্লাহ

        Comment


        • #5
          Originally posted by Abdullah Pathan View Post
          আপনি যে বললেন,"আল্লাহর আইনকে অস্বীকার করুক বা না করুক সমান।"-এ সম্পর্কে কী আপনার কাছে দলিল আছে? কেননা ইবনে আব্বাস রা. বলেছেন,*‘যে ব্যক্তি আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে অস্বীকার করল সে কুফরী করল। আর যে ব্যক্তি তা স্বীকার করল, কিন্তু সে অনুযায়ী বিচার করল না সে যালিম ও ফাসিক।"
          দয়া করে,দলিল দিবেন।জাজাকাল্লাহ

          মুহতারাম ভাই, ইবনে আব্বাস রাদি. এর বক্তব্য মূলত ইসলামি কাজি বা শাসকের ক্ষেত্রে। যেখানে মূল আইন কুরআন সুন্নাহ। এমন ক্ষেত্রে কাজি সাহেব কখনও স্বজনপ্রীতি করে বা ঘুষ নিয়ে শরীয়ত বহির্ভূত ফায়সালা দিলে কাফের হবে না, যদি না সে তা অস্বীকার করে। পক্ষান্তরে শরীয়তের বিধান পাল্টে কুফরি বিধান প্রতিস্থাপন এটি ইবনে আব্বাস রাদি. এর উদ্দেশ্য না। এটি ঐ যামানায় ছিলই না। ইবনে আব্বাস রাদি. এর বক্তব্য ছিল মূলত খাওয়ারেজদের রদ করার জন্য, যারা জুলুমের কারণে শাসকদেরকে কাফের বলতো। তিনি তাদের রদ করে বলেছেন যে, এসব জুলুম বা শরীয়ত বিরোধী ফায়সালা কুফর নয়, ফিসক। আপনি ইবনে আব্বাস রাদি. এর বক্তব্যটি ভালভাবে বিভিন্ন কিতাব থেকে দেখুন। শরীয়ত পরিবর্তন আর শরীয়তের বিধান ঠিক রেখে প্রয়োগে শিথিলতা এক নয়।


          আর তাগুতদের তাকফিরের ক্ষেত্রে এ আয়াতটিই একমাত্র দলীল নয়। অসংখ্য দলীল রয়েছে। ইবনে আব্বাস রাদি. এর এ বক্তব্যটি নিয়ে অনেকে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে বিধায় কোনো কোনো শায়খ এ আয়াতটি দলীল হিসেবে উল্লেখই করেন না। অন্যান্য স্পষ্ট আয়াত উল্লেখ করেন। ফোরামে অনেক আগে এ সম্পর্কে মোটামুটি লম্বা আলোচনা হয়েছিল। আপনি খুঁজে দেখতে পারেন।

          Comment


          • #6
            শাইখ আবু ইমরান হাফিজাহুল্লাহ'র [[[ ঈমান- কুফর]]] বয়ানটি শুনলে আশাকরি মুহতারাম ভাইয়ের সংশয় দূর হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।
            ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

            Comment


            • #7
              Abdullah Pathan,,[ ভাইজান ]উত্তরটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। ইনশাআল্লাহ সংশয় কেটে যাবে। তারা যদি শরীয়াকে মেনেই তাহলে শরীয়ার উপর যারা চলতে চাই তাদেরকে বাধা দিতো না। শুধু কি বাধা দেয়? নাকি হত্যাও করে দেয়? আপনি শুধু প্রকাশ্যে বলুন আমি কুফরি আইন মানি না, দেখবেন আপনার ১২টা বাজিয়ে দিবে। তাছাড়া এরা আরো বহু কুফরির কারণে কাফের। FBI কে, র কে, সি আইকে এদেশে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়াটাও কুফরির উল্লেখযোগ্য কারণ। কারণ হচ্ছে প্রত্যেকটা বাহিনীই খালেস কাফেরের, ।
              আল্লাহ, আমাকে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন।

              Comment


              • #8
                Originally posted by Bara ibn Malik View Post
                শাইখ আবু ইমরান হাফিজাহুল্লাহ'র [[[ ঈমান- কুফর]]] বয়ানটি শুনলে আশাকরি মুহতারাম ভাইয়ের সংশয় দূর হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।
                মুহতারাম ভইয়েররা শাইখ আবু ইমরান হাফিজাহুল্লাহ অডিও বয়ান গুলো একসাথে পাওয়া যাবে।
                فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

                Comment


                • #9
                  জাজাকাল্লাহ।আমি Mumbarut Tawhid ভাইয়ের,প্রথমে দেওয়া কথা পড়ে-অনেক ভাবতে ভাবতে সঠিকটা বুঝে গিয়েছিলাম।আলহামদুলিল্লাহ।তবে আবারও দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

                  Comment


                  • #10
                    [[ nu'aim]] ভাইজান, ফাইলসে আপলোড দিতে পারব। বাকী ফোরামের রুলস লঙ্গন হয় কি না।
                    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by nu'aim View Post
                      মুহতারাম ভইয়েররা শাইখ আবু ইমরান হাফিজাহুল্লাহ অডিও বয়ান গুলো একসাথে পাওয়া যাবে।
                      গাওয়াতুল হিন্দ সাইটে শাইখের নাম লিখে সার্চ করলে অনেক অডিও বয়ান পাবেন ভাই...
                      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by abdullah pathan View Post
                        কেউ দলিল-প্রমাণ সহ ভালোভাবে [color="#ff8c00"]দিতেন,তাহলে ভালো হয়।জাজাকাল্লাহ


                        আল্লাহর বিধান অনুযায়ী ফায়সালা করতে শিথিলতা করা ফাসেকী আর এর বিরুদ্ধাচরণ করা কুফরী কারন বিরুদ্ধাচরণ যেমনি ভাবে শিথিলতার থেকে মারাত্মক তেমনিভাবে কুফরি ফুসুকী থেকে মারাত্মক এখানে তারা আল্লাহর বিধানকে বাদ দিয়ে আন্য বিধান প্রতিষ্ঠিত করে আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধাচরণ করেছে আর আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধচরন করা শুধু মাত্র কাফেরদের গুন দলীল হল

                        قُل مَن كانَ عَدُوًّا لِجِبريلَ فَإِنَّهُ نَزَّلَهُ عَلىٰ قَلبِكَ بِإِذنِ اللَّهِ مُصَدِّقًا لِما بَينَ يَدَيهِ وَهُدًى وَبُشرىٰ لِلمُؤمِنين
                        আপনি বলে দিন, যে কেউ জিবরাঈলের শত্রু হয়-যেহেতু তিনি আল্লাহর আদেশে এ কালাম আপনার অন্তরে নাযিল করেছেন, যা সত্যায়নকারী তাদের সম্মুখস্থ কালামের এবং মুমিনদের জন্য পথপ্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা।

                        مَن كانَ عَدُوًّا لِلَّهِ وَمَلٰئِكَتِهِ وَرُسُلِهِ وَجِبريلَ وَميكىٰلَ فَإِنَّ اللَّهَ عَدُوٌّ لِلكٰفِرينَ
                        যে ব্যক্তি আল্লাহ তাঁর ফেরেশতা ও রসূলগণ এবং জিবরাঈল ও মিকাঈলের শত্রু হয়, নিশ্চিতই আল্লাহ সেসব কাফেরের শত্রু। এবং কুরআন মাজিদে যেহেতু আছে ومن لم يحكم بما انزل الله فالئك هم الكافرون সুতরাং তার একটি বাস্তব মেসদাক ও রয়েছে আর তা হল সে ইতেকাদের সাথে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী ফায়সালা না করা বা অন্যায় মনে না করে এমন কাজ করা সুতরাং এটা যেমনিভাবে মৌখিক স্বীকারুক্তির মাধ্যমে নির্নয় করা হয় তেমনে ভাবে কাজের মাধ্যমে ও নির্নয় করা হয় যেমন এর বিরূদ্ধা চারন করা অন্যথায় কেহ যদি স্বিকার না করে তাহলে কেয়ামত পর্যন্ত এমন কাজ করলে মুরতাদ হিসেবে সাব্যস্ত করা যাবে না আর ইসলামের উসূল হল الحرج مدفوعসমস্যা প্রতিহত যোগ্য এবং বিচার ব্যবস্থা সাধারণত ইতেকাদের সাথে সম্পৃক্ত কারন যে বিচার করে সে প্রতিপক্ষকে এটি যথার্থ বলে চালিয়ে দেয় সুতরাং ইহাকে স্থায়ীভাবে করেনেওয়া কুফরি হওয়ার কথা আর যদি তারা বিরুদ্ধাচরণ না করে তাহলে তারা মুজাহিদের সাথে লড়াই করে কেন?
                        [/
                        color]

                        Comment


                        • #13
                          আবু ইমরান হাঃ এর লেকচার সমূহ,...এছাড়া আরো থাকলে কষ্ট করে জানাবেন...সংযুক্ত করে দিব ইনশা-আল্লাহ...
                          [সঠিকভাবে লিঙ্ক দিন।-মডারেটর]

                          Comment

                          Working...
                          X