Announcement

Collapse
No announcement yet.

আলিম ভাইদের কাছে একটি জিজ্ঞাসা।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আলিম ভাইদের কাছে একটি জিজ্ঞাসা।

    আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় ভাইদের কাছে একটি বিষয় জানতে চাচ্ছিলাম আর সে বিষয়টি হলো ইমারার এবং ব্যক্তিগত উভয় কাজের জন্যই একটা লেপটপ জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু টাকার সমস্যার কারণে কিনতে পারছি না। এখন জানতে চাচ্ছি, মাসিক কিস্তিতে লেপটপ কেনা জায়েয হবে কি না? যদি জায়েয না হয় তাহলে কারণ কি? একটু বিস্তারিত বললে উপকৃত হতাম।
    অগ্রীম জাযাকাল্লাহ, ওয়াসসালাম।
    শিয়াল দেখলে যাদের গলা শুকিয়ে যায়,
    সিংহের গর্জনে তাদের কলিজা ছিঁড়ে যাবে।

  • #2
    সম্মানিত মুফতি ভাইয়েরা দয়া করে সাড়া দিন ভাইদের প্রয়োজনে ।

    তোমরা একে অপরকে সৎ ও তাকওয়ার কাজে সহযোগিতা করো সূরা মায়িদাহ

    Comment


    • #3
      ভাইজান, আমি মনে আপনি অফ লাইন / একক মাশোয়ারা থেকে সাহায্য নিলে ভালো হয়।
      আল্লাহ, আমাকে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন।

      Comment


      • #4
        ভাইজান অপেক্ষা করুন ইনশাআল্লাহ ৷
        আশা করি কোন আলিম ভাই সাড়া দিবেন ৷
        আল্লাহ আমাদের ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত করুক, আমীন ৷
        আমি জঙ্গি, আমি নির্ভীক ৷
        আমি এক আল্লাহর সৈনিক ৷

        Comment


        • #5
          Originally posted by Musafir55 View Post
          ভাইজান, আমি মনে আপনি অফ লাইন / একক মাশোয়ারা থেকে সাহায্য নিলে ভালো হয়।
          সহমত ভাই আপনার সাথে।এটি তার জন্য উত্তম হবে ইনশা আল্লাহ।
          দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফাহ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

          Comment


          • #6
            প্রিয় ভাই- আপনি অফলাইনেও বিজ্ঞ আলেমের কাছ থেকে ফাতওয়াটি জেনে নিতে পারেন ইনশাআল্লাহ।
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment


            • #7
              ওয়ালাইকুম আসসালাম
              মুহতারাম ভাই কিস্তিতে লেপটপ এবং সকল পন্য ক্রয় করা সম্পূর্ণ জায়েজ এরে কোনো প্রকার সমস্যা নাই যদিউ কিস্তিতে কিছু টাকা বেশি দেওয়া লাগে।
              فمن یکفر بالطاغوت ویٶمن بالله فقد استمسک بالعروت الوثقی'
              کم من فاة قلیلة غلبت فاة کثیرة باذن الله

              Comment


              • #8
                এই ফতোয়ার উত্তর আপনি,অফলাইনে কওমি কোন মুফতি সাহেব থেকেও জেনে নিতে পারেন ৷
                গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

                Comment


                • #9
                  উত্তরঃ
                  শরিয়তের মধ্যে ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে শুধ হওয়ার জন্য শর্ত হল, ১। পন্য এবং মূল্য উবয়টা এক جنس তথা এক জাতিয় ২। উবয়টা ওজনি বা কাইলী হওয়া।
                  যেমন দৃষ্টান্তরূপ বলা যায় স্বর্ণ যেহেতু ওজুন করে বিক্রি করা হয়, অতএব স্বর্ণ যদি কম বেশি করে বিক্রি করা হয় তাহলে সুদ হবে, এমন কি টাকার বিনিময়ের টাকাও যদি কম বেশি করে বিক্রি করে তাহলে শুধ হবে কারন যদিও টাকা ওজুনি না তথাপি স্বর্ণ এর মান যেহেতু টাকাতে এসে পড়েছে তাই টাকাতে সুদ হবে, কিন্তু যদি টাকার বিনিময়ে চাউল বা অন্য কোন কিছু অনেক মূল্য দিয়েও ক্রয় কর তাহলে সুদ হবে না। অতএব এই মূল নিতির ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি যে, যেহেতু লেপটব এক জাতিয় জিনিষ টাকা অন্য জাতিয় জিনিষ অতএব কিস্তিতে ক্রয় করলে জায়েজ হবে, কিন্তু কিস্তিতে টাকা আনা জায়েজ হবে না কারন টাকা আনলে পুনরায় এর থেকে বেশি টাকা দিতে হয়, আর টাকার বিনিময়ে টাকা এটা এক জাতিয় জিনিস।

                  মুহতারম ভাই যদি আমার কথা বোঝে থাকেন তাহলে অবশ্যই জানাবেন, আর যদি ভুল থাকে তাহলে অবশ্যই সতর্ক করে দিবেন

                  Comment


                  • #10
                    খোরাসানের পথিক,, ভাইকে ধন্যবাদ।
                    اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by খোরাসানের পথিক View Post
                      উত্তরঃ
                      শরিয়তের মধ্যে ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে শুধ হওয়ার জন্য শর্ত হল, ১। পন্য এবং মূল্য উবয়টা এক جنس তথা এক জাতিয় ২। উবয়টা ওজনি বা কাইলী হওয়া।
                      প্রিয় ভাই, সম্ভবত আপনি বলতে চেয়েছিলেন, শরীয়তে কম-বেশ করে বাকিতে বিক্রি জায়েয হওয়ার জন্য শর্ত হলো,

                      ১. পণ্য ও মূল্য একই জিনসের না হওয়া; ২. উভয়টি ওজনি বা কাইলি না হওয়া।

                      অতএব,

                      ক. যদি উভয় শর্ত বিদ্যমান থাকে অর্থাৎ উভয়টি একই জিনসের হয় পাশাপাশি ওজনি বা কাইলি হয় তাহলে কম-বেশ করেও বিক্রি জায়েয হবে না, বাকিতেও বিক্রি করা যাবে না। যেমন, ধানের বিনিময়ে ধান। উভয়টাই ধান এবং উভয়টাই ওজন করে বিক্রি হয়। তাই এক মণ ধানের বিনিময়ে দেড় মণ নেয়া যাবে না। তদ্রূপ দশ হাজার টাকার বিনিময়ে এগার হাজার নেয়া যাবে না। সমান সমান হতে হবে পাশাপাশি কেনাবেচার সময়ই পণ্য ও মূল্য বুঝে নিতে হবে।

                      খ. আর যদি এক শর্ত পাওয়া যায় আরেকটি না পাওয়া যায়, তাহলে কম-বেশ করা জায়েয হবে, বাকি জায়েয হবে না। যেমন, ধানের বিনিময়ে চাল। দু’টা দুই জিনসের হলেও উভয়টাই ওজন করে বিক্রি করা হয়। তাই এক মণ চালের বিনিময়ে দুই মণ ধান বিক্রি সহীহ হবে। তবে কেনাবেচার সময়ই পণ্য ও মূল্য বুঝে নিতে হবে। বাকি থাকতে পারবে না।

                      গ. আর যদি উভয় শর্তের কোনোটিই না পাওয়া যায় তাহলে কম-বেশও করা যাবে, বাকিও বিক্রি করা যাবে। যেমন ল্যাপটপ কেনা। দু’টি দুই জিনিস এবং উভয়টি ওজন করেও বিক্রি করা হয় না, লিটার বা পাত্র দিয়ে পরিমাপ করেও বিক্রি করা হয় না। তাই বাকিতে কেনাবেচায় সমস্যা নেই।

                      প্রিয় ভাই, সম্ভবত এমনটাই বুঝাতে চেয়েছিলেন। তবে ইবারাতে মনে হচ্ছে একটু সমস্যা হয়ে গেছে। ওয়াল্লাহু আ’লাম।

                      Comment


                      • #12
                        সকল প্রিয় ভাইদেরকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে জানাই জাযাকুমুল্লাহু আহসানাল জাযা....... ❤
                        শিয়াল দেখলে যাদের গলা শুকিয়ে যায়,
                        সিংহের গর্জনে তাদের কলিজা ছিঁড়ে যাবে।

                        Comment


                        • #13
                          Mimbarut Tawhid ভাইকে অনেক শুকরিয়া।
                          মাশাআল্লাহ, খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে উত্তর দিয়েছেন।
                          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                          Comment


                          • #14
                            কিস্তিতে টাকা আনা জায়েজ হবেনা

                            এটা দ্বারা কি বুঝিয়েছেন ভাই?

                            Comment


                            • #15
                              Originally posted by Dreamer View Post
                              এটা দ্বারা কি বুঝিয়েছেন ভাই?
                              প্রিয় ভাই, এর দ্বারা ভাই বুঝাতে চেয়েছেন যে, যেহেতু বর্তমানে কিস্তিতে জিনিসপত্র কিনলে মূল্য কিছু অতিরিক্ত দিতে হয়, তো এখন বিষয় হল যে, এই অতিরিক্ত টাকাগ্রহণ সুদ হিসেবে গণ্য হবে কিনা? তো ভাই বলছেন যে, না, কিস্তিতে জিনিসপত্র কিনে মূল্য থেকে অতিরিক্ত দিলে তা সুদ বলে গণ্য হবে না। কারণ, এখানে সুদ হওয়ার জন্য যে দুটি শর্ত আছে, তা অনুপস্থিত। শর্তদ্বয় উপরে বিবৃত হয়েছে। হ্যা, কেউ যদি কিস্তিতে অন্যকারো থেকে টাকা আনে কিংবা মুদ্রাজাতীয় কোনোকিছু নেই, আর পরিশোধমুহূর্তে টাকা কিছু অতিরিক্ত দেয়, তবে এটি জায়েয হবে না। যেমন, কেউ কিস্তিতে দশ হাজার টাকা আনল, আর দেবার সময় এগার হাজার পরিশোধ করল। এটি নাজায়েয। যেহেতু এখানে সুদের উভয় শর্তই বিদ্যমান। টাকার বদলে টাকা এক জিনস বা একজাতীয়। পাশাপাশি এটি ওজনি বা পরিমাপযোগ্য জিনিস। কারণ, মুদ্রা স্বর্ণ-রৌপ্যের স্থলাভিষিক্ত। আর স্বর্ণ-রৌপ্য আরবদের কাছে পরিমাপযোগ্য।
                              ভুল-ত্রুটি জানানোর অনুরোধ রইল!!!

                              Comment

                              Working...
                              X