Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুরতাদ শাসকের জন্য দু‘আ করে, এমন ব্যক্তির পিছনে সালাত আদায়ের হুকুম কি? -শাইখ আবু মুহাম্ম

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুরতাদ শাসকের জন্য দু‘আ করে, এমন ব্যক্তির পিছনে সালাত আদায়ের হুকুম কি? -শাইখ আবু মুহাম্ম

    মুরতাদ শাসকের জন্য দু‘আ করে, এমন ব্যক্তির পিছনে সালাত আদায়ের হুকুম কি?
    -শাইখ আবু মুহাম্মাদ আল মাকদিসী হাফিজাহুল্লাহ

    আমার জানা অনুযায়ী- এই প্রশ্নটি অনেক ভাইয়ের মনেই বিরাজ করে। তাই ভাইদের ব্যাপক ফায়েদার কথা চিন্তা করে গাযওয়াতুল হিন্দ সাইট থেকে পোস্টটি সংগ্রহ করে এখানে পোস্ট করা হল।
    তবে পোস্টটিতে কিছু পরিমার্জনা করা হয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথের দিশা দান করুন ও সকল সংশয় থেকে হিফাযত করুন এবং শাহাদাতের পেয়ালায় চুমুক দেওয়ার তাওফীক দিন।


    *********************


    الصلاة خلف من يدعو للحاكم المرتد
    للشيخ؛ أبي محمد المقدسي
    * * *

    السلام عليكم ورحمة الله وبركاته.
    الشيخ الفاضل:
    ما حكم الصلاة - الجمعة وباقي الصلوات - وراء الأئمة الذين يدعون للحاكم المرتد؟ فإن الأقوال قد كثرت علي في هذا الباب، وأين أصلي إن كان هذا حال جميع أو معظم الأئمة والخطباء؟
    وجزاكم الله خيرا.
    * * *
    الجواب:

    بسم الله، والحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله.
    الأخ الفاضل:
    السلام عليكم.
    لا ينبغي أن تترك صلاة الجماعة إلا خلف من تحقق عندك وقوعه بمكفر مخرج من الملة، أما ما هو دون ذلك من المعاصي والبدع أو المداهنات؛ فلا يجوز أن يكون مدعاة أو سببا لترك صلاة الجماعة.
    ودعاء الخطيب للحاكم المرتد بالهداية أو بالتوفيق لتحكيم الكتاب والسنة أو لما يحبه الله و يرضاه أو لما فيه خير البلاد والعباد ونحو ذلك من الأدعية التي لا تندرج تحت نصرة الطاغوت أو نصرة قانونه الكفري أو مظاهرته على الموحدين؛ هذا كله وإن كان من البدع التي لم تكن في القرون المفضلة فقد عد العلماء الدعاء للسلطان المسلم المحكم لشرع الله على منبر الجمعة من البدع المحدثة؛ فكيف بغيرهم من الحكام الكفرة المرتدين؟!
    إلا أن ذلك لا يمنع من صلاة الجماعة خلف أولئك الأئمة الذين يدعون به، ما دام لا يندرج تحت نصرة الطاغوت أو نصرة شركه - كما قدمنا - فلا ينبغي أن تكون مثل هذه البدع غير المكفرة ذريعة لترك صلاة الجماعة والتهاون بها.
    اللهم إلا أن يثبت لديك بالدليل القاطع أن الإمام أو الخطيب من أولياء الطاغوت وأنصاره، فهذا لا تحل الصلاة خلفه لأنه ليس من المسلمين - لا أبرارهم ولا فجارهم - حتى تسوغ الصلاة خلفه، بمقولة أهل السنة في الصلاة خلف البر والفاجر.
    وعلى كل حال؛ فقد أجبنا عن مثل هذا السؤال في مواضع أخرى تجدها منشورة، كأجوبتنا على بعض الأسئلة في سجن السواقة، ولنا في ذلك رسالة مفصلة بعنوان "مساجد الضرار وحكم الصلاة خلف أولياء الطاغوت ونوابه" يسر الله تعالى طباعتها.
    والسلام.
    أخوكم؛ أبو محمد

    প্রশ্নঃ
    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ.

    শ্রদ্ধেয় শাইখ,

    মুরতাদ (ইসলামচ্যুত) শাসকের জন্য দু‘আ করে এমন ইমামের পিছনে, সালাত উল জুমুয়াহ (জুমার সালাত) এবং অন্যান্য সালাত আদায়ের ব্যাপারে হুকুম (বিধান) কি হবে? আমি এই ব্যাপারে অনেক মতবাদ শুনেছি ।
    এবং আমি কোথায় সালাত আদায় করব যদি বেশিরভাগ ইমাম এবং খতিবদের অবস্থাই এমন হয় ?

    জাজাকুমুল্লাহু খাইরান

    উত্তরঃ

    বিসমিল্লাহ, ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ

    প্রিয় ভাই,

    আসসালামু আলাইকুম.

    জামা‘আতের সাথে সালাত আদায় ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই; যদি না তার ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত হন যে, সে কুফরিতে লিপ্ত। যা একজন ব্যক্তিকে মিল্লাত (ইসলাম) থেকে বের করে দেয়। আর যার ব্যাপার এমন নয়, সে যদি গুনাহ অথবা বিদ‘আতে অথবা ভণ্ডামিতে লিপ্ত ব্যক্তিদের মত হয়, সেক্ষেত্রে এই অজুহাত দেখিয়ে জামা‘আতের সাথে সালাত আদায় পরিত্যাগ করার অনুমতি নেই।

    আর যদি খতীব, মুরতাদ শাসকের হেদায়াতের জন্য অথবা কুরআন এবং সুন্নাহ অথবা যা আল্লাহ্ ভালবাসেন, তা দ্বারা শাসনের তাওফিকের জন্য দু‘আ করে এবং সেই খতীব যদি তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে অথবা যা দেশ, জনগণ এবং এ রকম বিষয়ের জন্য ভালো তা নিয়ে এমন সব দু‘আ করে, যা তাগুত অথবা মানব রচিত কুফর আইনকে সহায়তার মধ্যে পড়ে না অথবা মুজাহিদীনের বিপক্ষে সহায়তার মধ্যে পড়ে না, এ রকম সবকিছুই বিদআত। যা আগের শ্রেষ্ঠ প্রজন্মের মধ্যে (সালাফদের সময়) উপস্থিত ছিল না। পাশাপাশি উলামায়ে কেরাম মিম্বারে দাঁড়িয়ে মুসলিম শাসক; যিনি আল্লাহর শরীয়াহ দ্বারা বিচার করেন, তার জন্য দু‘আ করাকে নব আবিষ্কৃত বিদ‘আতগুলোর একটি বলে গণ্য করেন। তাহলে তারা বাদে কাফির মুরতাদ শাসকদের ব্যাপারে দু‘আর হুকুম কি হতে পারে?

    যা হোক, এতে সে সমস্ত ইমামের পিছনে জামা‘আতে সালাত আদায় নিষিদ্ধ হয় না, যারা এ রকম দু‘আ করে। এটি তাগুত এবং তাগুতের শিরককে সহায়তার পর্যায়ে পড়ে না, যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।

    জামা‘আতে সালাত আদায় ছেড়ে দেওয়ার জন্য এমন বিদ‘আত কারণ হিসাবে ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই, যা কুফরের পর্যায়ে পৌঁছে না।

    আপনার কাছে স্পষ্ট দলীল না আসা পর্যন্ত (এই ব্যাপারে যে, ইমাম অথবা খতীব তাগুতের আওলিয়া(মিত্র) অথবা তাদের সাহায্যকারী) নিয়ম এটাই থাকবে। তবে আপনার কাছে স্পষ্ট দলীল চলে আসার পর এমন ব্যাক্তির পিছনে সালাত আদায় করা বৈধ নয়। কারণ, তখন সে আর মুসলিমদের মধ্যে গণ্য হয় না (হোক ভালো মুসলিম অথবা খারাপ)। যদি তারা আহলুস সুন্নাহ এর কথা বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেও যে, সালাত ভালো অথবা খারাপ যেকোনো মুসলমানের পিছনে পড়া যায়, তবুও এমন ব্যাক্তির পিছনে সালাত আদায় বৈধ নয়।

    আর যেমনি হোক, আমি অন্যান্য জায়গায়ও এই রকমেরই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। যেমন- জেলে থাকাকালীন কিছু প্রশ্নের উত্তর এবং “মসজিদ আল দিরার” এবং তাগুত এবং তাদের প্রতিনিধিদের(সহকারীদের) আওলিয়াদের পিছনে সালাতের আদায়ের প্রসঙ্গে বিধান” নামক একটি রিসালাহ লিখেছি। আর আল্লাহ্ এর প্রচার সহজ করে দিয়েছেন।

    ওয়াসসালাম
    আপনাদের ভাই; আবু মুহাম্মাদ


    **********************
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 04-28-2021, 05:23 PM.
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

  • #2
    আলহামদুলিল্লাহ্ অনেক উপকৃত হলাম
    প্রিয় ভাই! আল্লাহ্ আপনার মেহনত কবুল করুন আমিন।

    Comment


    • #3
      জি আজ আমাদের জাহালাতের সমাজের জন্য ফতোয়াটি বেশ মুফিদ।
      জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
      পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

      Comment


      • #4
        আচ্ছা ভাইয়েরা,,মুর্তাদ শাসকের জন্য দুয়া করলে, দুয়াকারী ব্যক্তি তো স্পষ্টই মুর্তাদকে মুসলিম মনে করছেন। এক্ষেত্রে তার ঈমানের কী অবস্থা হবে?????
        বিলাসিতা জিহাদের শুত্রু,শাইখ উসামা রাহ।

        Comment


        • #5
          Originally posted by Hamja Ibn Abdul muttalib View Post
          আচ্ছা ভাইয়েরা,,মুর্তাদ শাসকের জন্য দুয়া করলে, দুয়াকারী ব্যক্তি তো স্পষ্টই মুর্তাদকে মুসলিম মনে করছেন। এক্ষেত্রে তার ঈমানের কী অবস্থা হবে?????
          জ্বী ভাই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন। আশা করি কোন ভাই উত্তর দিবেন ইনশা আল্লাহ।
          দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফাহ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

          Comment


          • #6
            Originally posted by Hamja Ibn Abdul muttalib View Post
            আচ্ছা ভাইয়েরা,,মুর্তাদ শাসকের জন্য দুয়া করলে, দুয়াকারী ব্যক্তি তো স্পষ্টই মুর্তাদকে মুসলিম মনে করছেন। এক্ষেত্রে তার ঈমানের কী অবস্থা হবে?????
            নিচের প্রশ্নোত্তরটি দেখতে পারেন-

            প্রশ্ন:
            কাফের, মুশরিক, নাস্তিক, মুরতাদদের মৃত্যুর পর আমরা তাদের জন্য দুআ করতে পারব কি না? অথবা আলেম ও ইমাম সাহেবদের দুআ করতে বলতে পারব কি না? কোনো মুসলমান ঐ কাজগুলো করলে তার ব্যাপারে শরীয়তের বিধান কী?

            উত্তর:
            যে ব্যক্তি ঈমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে একমাত্র তার জন্যই দুআ করা যাবে। এছাড়া অন্য কোনো ধর্মের লোক বা অবিশ্বাসী-মুরতাদদের জন্য কোনোক্রমেই দুআ করা যাবে না, অন্য কাউকে দুআ করতে অনুরোধও করা যাবে না। এটা সুস্পষ্ট হারাম। আল্লাহ রাববুল আলামীন কুরআন মজীদের বিভিন্ন আয়াতে তার নবীদেরকে কাফের-মুশরিকদের জন্য দুআ-ইস্তিগফার করতে সুস্পষ্ট ভাষায় নিষেধ করেছেন। এমনকি যদি ঐ মৃত কাফের নবীর পিতা বা পুত্রও হয়। (দ্রষ্টব্য : সূরা তাওবা (বারাআহ) (৯): ৮০, ১১৩, ও ১১৪; সূরা হুদ (১১) : ৪৫, ৪৬, ৪৭

            মুসলিম উম্মাহর কোনো ফকীহ বা আলেমের এ বিষয়ে ভিন্ন মত নেই।-আলমাজমূ ৫/১২০

            সুতরাং কোনোক্রমেই কাফের, মুশরিক বা বে-দ্বীন মুরতাদের জন্য দুআ করা বা দুআর জন্য অনুরোধ করা যাবে না। এমন দুআ কবুলের কোনো সম্ভাবনা তো নেই-ই; বরং দুআকারী এবং তাকে অনুরোধকারী উল্টো হারাম কাজ করার গুনাহয় লিপ্ত হবে। কেউ যদি না জেনে বা না বুঝে এমনটি করে ফেলে তবে অবিলম্বে আল্লাহর দরবারে তওবা-ইস্তিগফার করে নিবে।
            মোটকথা, মুসলমানদের জন্য কোনো বিধর্মী বা অবিশ্বাসী নাস্তিক, মুরতাদের জন্য দুআ করা বা দুআ করতে বলা সম্পূর্ণ হারাম।
            সূত্র: আল-কাউসার
            “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

            Comment


            • #7
              ভাইয়েরা,যারা ত্বাগুত প্রধানদের মুর্তাদ মনে করে না। তাদের বিধান কি হবে????
              এদেশে ত্বাগুতের প্রধানমন্ত্রীকে মুসলিম মনে করে শতশত আলিম আছেন, তাদের পেছনে আমাদের নামাযের বিধান কি হবে?????
              আল্লাহ, আমাকে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন।

              Comment


              • #8
                ভাইজান! বর্তমানে বেশিরভাগ আলেমই জিহাদকে স্বীকার করলেও বুঝে না বুঝে অপব্যাখ্যা করে,,,
                শরীয়তে এদের অবস্থান কি,কাফের পর্যায়ে যাবে,,,,,,?
                আর এই বিষয়ে কাকে কাফের বলা যায়,,,,,?
                এই বিষয়এ একটা উত্তর দিলে উপকৃত হতাম।

                Comment


                • #9
                  মুহতারাম ভাইদের কাছে একটি আবেদন- এই ফতোয়ার মূল ইবারত বা লিঙ্ক অথবা সূত্র কারো জানা থাকলে বা সংগ্রহে থাকলে কমেন্টে শেয়ার করার বিনীত অনুরোধ করছি।
                  http://www.ilmway.com/site/maqdis/MS_1176.html

                  الصلاة خلف من يدعو للحاكم المرتد
                  للشيخ؛ أبي محمد المقدسي
                  * * *
                  السلام عليكم ورحمة الله وبركاته.
                  الشيخ الفاضل:
                  ما حكم الصلاة - الجمعة وباقي الصلوات - وراء الأئمة الذين يدعون للحاكم المرتد؟ فإن الأقوال قد كثرت علي في هذا الباب، وأين أصلي إن كان هذا حال جميع أو معظم الأئمة والخطباء؟
                  وجزاكم الله خيرا.
                  * * *
                  الجواب:

                  بسم الله، والحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله.
                  الأخ الفاضل:
                  السلام عليكم.
                  لا ينبغي أن تترك صلاة الجماعة إلا خلف من تحقق عندك وقوعه بمكفر مخرج من الملة، أما ما هو دون ذلك من المعاصي والبدع أو المداهنات؛ فلا يجوز أن يكون مدعاة أو سببا لترك صلاة الجماعة.
                  ودعاء الخطيب للحاكم المرتد بالهداية أو بالتوفيق لتحكيم الكتاب والسنة أو لما يحبه الله و يرضاه أو لما فيه خير البلاد والعباد ونحو ذلك من الأدعية التي لا تندرج تحت نصرة الطاغوت أو نصرة قانونه الكفري أو مظاهرته على الموحدين؛ هذا كله وإن كان من البدع التي لم تكن في القرون المفضلة فقد عد العلماء الدعاء للسلطان المسلم المحكم لشرع الله على منبر الجمعة من البدع المحدثة؛ فكيف بغيرهم من الحكام الكفرة المرتدين؟!
                  إلا أن ذلك لا يمنع من صلاة الجماعة خلف أولئك الأئمة الذين يدعون به، ما دام لا يندرج تحت نصرة الطاغوت أو نصرة شركه - كما قدمنا - فلا ينبغي أن تكون مثل هذه البدع غير المكفرة ذريعة لترك صلاة الجماعة والتهاون بها.
                  اللهم إلا أن يثبت لديك بالدليل القاطع أن الإمام أو الخطيب من أولياء الطاغوت وأنصاره، فهذا لا تحل الصلاة خلفه لأنه ليس من المسلمين - لا أبرارهم ولا فجارهم - حتى تسوغ الصلاة خلفه، بمقولة أهل السنة في الصلاة خلف البر والفاجر.
                  وعلى كل حال؛ فقد أجبنا عن مثل هذا السؤال في مواضع أخرى تجدها منشورة، كأجوبتنا على بعض الأسئلة في سجن السواقة، ولنا في ذلك رسالة مفصلة بعنوان "مساجد الضرار وحكم الصلاة خلف أولياء الطاغوت ونوابه" يسر الله تعالى طباعتها.
                  والسلام.
                  أخوكم؛ أبو محمد

                  Comment


                  • #10
                    মুরতাদকে যারা মুরতাদ মনে করে না তারাও কি কাফের?

                    # আচ্ছা ভাইয়েরা,,মুর্তাদ শাসকের জন্য দুয়া করলে, দুয়াকারী ব্যক্তি তো স্পষ্টই মুর্তাদকে মুসলিম মনে করছেন। এক্ষেত্রে তার ঈমানের কী অবস্থা হবে?????
                    # ভাইয়েরা,যারা ত্বাগুত প্রধানদের মুর্তাদ মনে করে না। তাদের বিধান কি হবে????
                    এদেশে ত্বাগুতের প্রধানমন্ত্রীকে মুসলিম মনে করে শতশত আলিম আছেন, তাদের পেছনে আমাদের নামাযের বিধান কি হবে?????
                    উত্তর:
                    শাইখুল ইসলাম মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব নজদী রহ. বলেছেন,

                    من لم يكفر المشركين أو شك في كفرهم أو صحح مذهبهم كفر إجماعا.
                    “যে ব্যক্তি কাফেরদেরকে কাফের মনে করে না, কিংবা তারা কাফের হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ করে কিংবা তাদের ধর্মকে সঠিক বলে, সে সকলের ঐক্যমতে কাফের।”

                    তবে এর দ্বারা উদ্দেশ্য ঐসব কাফের যাদের কাফের হওয়ার কথা কুরআন হাদিসে সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে। যেমন ইয়াহুদ, নাসারা, মাজূস … ইত্যাদী কাফের সম্প্রদায়। হিন্দু, বৌদ্ধসহ অন্যান্য সুস্পষ্ট কাফের সম্প্রদায়ও এর অন্তর্ভুক্ত। তদ্রূপ যে ব্যক্তি সুস্পষ্টভাবে ইসলাম ত্যাগ করে এসব ধর্মের কোন একটাতে প্রবেশ করেছে সেও এর অন্তর্ভুক্ত। এদেরকে যে কাফের মনে না করবে সে কাফের হয়ে যাবে। কারণ, কুরআনের অসংখ্য আয়াত এবং অসংখ্য হাদিস দ্বারা তাদের কাফের হওয়াটা সুস্পষ্ট। এদেরকে কাফের না মানার অর্থ অসংখ্য আয়াত ও হাদিসকে প্রত্যাখ্যান করা, যা সুস্পষ্ট কুফর।


                    পক্ষান্তরে যাদের কাফের হওয়াটা স্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই, বরং বিভিন্ন কারণে তাতে সন্দেহ সংশয়ের অবকাশ রয়েছে; যারা গভীরভাবে তাহকীক করেছেন তাদের নিকট তাদের কুফরটা ধরা পড়েছে আর যারা গভীরভাবে তাহকীক করতে পারেনি কিংবা যাদের ইলমের স্বল্পতা রয়েছে তাদের নিকট ধরা পড়েনি: এমনসব কাফের এখানে উদ্দেশ্য নয়। যাদের নিকট এদের কুফরটা স্পষ্ট নয়, তারা এদেরকে কাফের মনে না করলে তারা কাফের হবে না। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর কুফরটা এই শ্রেণীভুক্ত।


                    শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে নাসের আর-রশীদ বলেন,


                    الثالث: أن يكون تكفيره محتملاً للشبهة، كالحكام الحاكمين بغير ما أنزل الله ونحوهم، فهؤلاء وإن كان كفرهم قطعيًّا عند من حقق المسألة، فإنَّ ورود الشبهة محتمل فلا يكفَّر من لم يكفِّرهم، إلاَّ إن أُقيمت عليه الحجة، وكٌشفت عنه الشبهة وأزيلت، وعرف أنَّ حكم الله فيهم هو تكفيرهم. -اسئلة منبر التوحيد والجهاد، رقم السؤال: 5071


                    তৃতীয় প্রকার: যার তাকফীরের মাঝে সন্দেহ সংশয়ের অবকাশ আছে। যেমন, আল্লাহ তাআলার নাযিলকৃত বিধান ব্যতীত ভিন্ন বিধান দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনাকারী শাসক ও এ জাতীয় ব্যক্তিরা। মুহাক্কিকদের নিকট এদের কুফরটা অকাট্য হলেও তাতে সন্দেহ সংশয়ের অবকাশ রয়েছে। কাজেই এদেরকে যারা কাফের মনে করে না তাদেরকে কাফের বলা হবে না; যতক্ষণ না তাদের উপর হুজ্জত কায়েম করা হয়, তাদের সংশয় দূর করা হয় এবং তারা বুঝতে পারে যে, এদেরকে তাকফীর করাই এদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার ফায়সালা। -মিম্বারুত তাওহিদ, প্রশ্ন নং ৫০৭১



                    শায়খ আবু মুসআব উমাইর আল-আওলাক্বী রহ. বলেন,

                    قد يقول قائل: إذا كنتم تقولون يسع الخلاف في التنزيل فلماذا القاعدة تشنع على العلماء الذين لا يكفرون الحكام؟ نقول: هذا سؤال جيد ولابد من بيانه، فأقول: إن القاعدة لا تشنع على كل من لم يكفر الحكام، فعندهم الذين لا يكفرون الحكام من العلماء على قسمين:-
                    أ عالم بعيد عن سلطانهم، تجرد واجتهد ولم يصل إلى تكفيرهم، ولم يُستخدم كوسيلة لحرب المجاهدين، فهذا يقدر عند القاعدة وله اجتهاده.
                    ب عالم لم يكفر الحكام واستُخدم لحرب المجاهدين، ووصفهم بالفئة الضالة ومدح الطواغيت وخذل الأمة الإسلامية، فهذا الذي تحذر منه القاعدة؛ لأن ضرره على الأمة خطير. -لماذا اخترت القاعدة؟ ـ أبي مصعب محمد عمير الكلوي العولقي، ص: 46

                    কেউ আপত্তি উঠাতে পারে যে, আপনারা যখন বলে থাকেন, ফতোয়া প্রদানের ক্ষেত্রে মতবিরোধের অবকাশ রয়েছে, তখন যেসব আলেম শাসকদেরকে কাফের মনে করে না আলকায়েদা তাদের সমালোচনা করে কেন?

                    উত্তরে বলবো, এটি একটি সুন্দর প্রশ্ন। এটি স্পষ্ট করা জরুরী। আমি বলি, শাসকদেরকে কাফের বলে না এমন সকলেরই আলকায়েদা সমালোচনা করে না। যেসকল আলেম শাসকদেরকে কাফের মনে করে না আলকায়েদার দৃষ্টিতে তারা দুই ভাগে বিভক্ত:

                    ১. এমন আলেম যিনি শাসকদের থেকে দূরে। ঐকান্তিক চেষ্টা গবেষণা সত্বেও যার কাছে শাসকরা কাফের বলে মনে হলো না। তবে তাকে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কোন ওসীলা হিসেবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। আলকায়েদা তার কদর করে। আর তিনি তার নিজের ইজতিহাদ মতো চলবেন।

                    ২. এমন আলেম যে শাসকদেরকে কাফের মনে করে না, তবে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাদেরকে গোমরাহ ফেরকা বলে আখ্যায়িত করছে। তাগুতদের প্রশংসা করছে। প্রয়োজন মুহূর্তে মুসলিম উম্মাহকে সাহায্য করছে না। এই আলেমের ব্যাপারেই আলকায়েদা সতর্ক করে থাকে। কেননা, উম্মতের জন্য সে মারাত্নক ক্ষতিকর। -লিমা যা ইখতারতুল কায়েদা: ৪৬


                    অতএব, যেসব আলেমের তাহকীকের অভাবে কিংবা ইলমের স্বল্পতার কারণে শাসকদের কুফরটা তাদের নিকট স্পষ্ট নয়, তাদেরকে এ কারণে কাফের বলার যাবে না। তবে অন্য কোনো বিভ্রান্তি যার মাঝে আছে সে অবশ্যই সমালোচনার উপযুক্ত।

                    নামাযের বিধান: তারা যেহেতু কাফের নয় তাই তাদের পেছনে নামায পড়লে নামায হয় যাবে। বরং যদি সহীহ আকীদার ইমাম না পাওয়া যায় তাহলে এদের পেছনেই নামায আদায় করতে হবে। তবুও জামাআত ছাড়া যাবে না। যেমনটা শায়খ মাকদিসী হাফিজাহুল্লাহর ফতোয়ায় বলা হয়েছে।

                    Comment


                    • #11
                      মাশাআল্লাহ, অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। আশা করি ভাইদের ফায়েদা হবে।
                      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                      Comment


                      • #12
                        আলহামদুলিল্লাহ,, [মাশা-আল্লাহ] অনেক উপকৃত হয়েছিম।
                        আল্লাহ, আমাকে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন।

                        Comment


                        • #13
                          Originally posted by Mimbarut Tawhid View Post
                          মুহতারাম ভাই- আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জাযাকাল্লাহু আহসানাল জাযা।
                          আল্লাহ তা‘আলা আপনার ইলমে, ফাহমে ও আমলে ভরপুর বারাকাহ দান করুন। আমীন।
                          “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                          Comment


                          • #14
                            Originally posted by Mimbarut Tawhid View Post
                            মুরতাদকে যারা মুরতাদ মনে করে না তারাও কি কাফের?



                            উত্তর:
                            শাইখুল ইসলাম মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব নজদী রহ. বলেছেন,

                            من لم يكفر المشركين أو شك في كفرهم أو صحح مذهبهم كفر إجماعا.
                            “যে ব্যক্তি কাফেরদেরকে কাফের মনে করে না, কিংবা তারা কাফের হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ করে কিংবা তাদের ধর্মকে সঠিক বলে, সে সকলের ঐক্যমতে কাফের।”

                            তবে এর দ্বারা উদ্দেশ্য ঐসব কাফের যাদের কাফের হওয়ার কথা কুরআন হাদিসে সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে। যেমন ইয়াহুদ, নাসারা, মাজূস … ইত্যাদী কাফের সম্প্রদায়। হিন্দু, বৌদ্ধসহ অন্যান্য সুস্পষ্ট কাফের সম্প্রদায়ও এর অন্তর্ভুক্ত। তদ্রূপ যে ব্যক্তি সুস্পষ্টভাবে ইসলাম ত্যাগ করে এসব ধর্মের কোন একটাতে প্রবেশ করেছে সেও এর অন্তর্ভুক্ত। এদেরকে যে কাফের মনে না করবে সে কাফের হয়ে যাবে। কারণ, কুরআনের অসংখ্য আয়াত এবং অসংখ্য হাদিস দ্বারা তাদের কাফের হওয়াটা সুস্পষ্ট। এদেরকে কাফের না মানার অর্থ অসংখ্য আয়াত ও হাদিসকে প্রত্যাখ্যান করা, যা সুস্পষ্ট কুফর।


                            পক্ষান্তরে যাদের কাফের হওয়াটা স্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই, বরং বিভিন্ন কারণে তাতে সন্দেহ সংশয়ের অবকাশ রয়েছে; যারা গভীরভাবে তাহকীক করেছেন তাদের নিকট তাদের কুফরটা ধরা পড়েছে আর যারা গভীরভাবে তাহকীক করতে পারেনি কিংবা যাদের ইলমের স্বল্পতা রয়েছে তাদের নিকট ধরা পড়েনি: এমনসব কাফের এখানে উদ্দেশ্য নয়। যাদের নিকট এদের কুফরটা স্পষ্ট নয়, তারা এদেরকে কাফের মনে না করলে তারা কাফের হবে না। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর কুফরটা এই শ্রেণীভুক্ত।


                            শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে নাসের আর-রশীদ বলেন,


                            الثالث: أن يكون تكفيره محتملاً للشبهة، كالحكام الحاكمين بغير ما أنزل الله ونحوهم، فهؤلاء وإن كان كفرهم قطعيًّا عند من حقق المسألة، فإنَّ ورود الشبهة محتمل فلا يكفَّر من لم يكفِّرهم، إلاَّ إن أُقيمت عليه الحجة، وكٌشفت عنه الشبهة وأزيلت، وعرف أنَّ حكم الله فيهم هو تكفيرهم. -اسئلة منبر التوحيد والجهاد، رقم السؤال: 5071


                            তৃতীয় প্রকার: যার তাকফীরের মাঝে সন্দেহ সংশয়ের অবকাশ আছে। যেমন, আল্লাহ তাআলার নাযিলকৃত বিধান ব্যতীত ভিন্ন বিধান দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনাকারী শাসক ও এ জাতীয় ব্যক্তিরা। মুহাক্কিকদের নিকট এদের কুফরটা অকাট্য হলেও তাতে সন্দেহ সংশয়ের অবকাশ রয়েছে। কাজেই এদেরকে যারা কাফের মনে করে না তাদেরকে কাফের বলা হবে না; যতক্ষণ না তাদের উপর হুজ্জত কায়েম করা হয়, তাদের সংশয় দূর করা হয় এবং তারা বুঝতে পারে যে, এদেরকে তাকফীর করাই এদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার ফায়সালা। -মিম্বারুত তাওহিদ, প্রশ্ন নং ৫০৭১



                            শায়খ আবু মুসআব উমাইর আল-আওলাক্বী রহ. বলেন,

                            قد يقول قائل: إذا كنتم تقولون يسع الخلاف في التنزيل فلماذا القاعدة تشنع على العلماء الذين لا يكفرون الحكام؟ نقول: هذا سؤال جيد ولابد من بيانه، فأقول: إن القاعدة لا تشنع على كل من لم يكفر الحكام، فعندهم الذين لا يكفرون الحكام من العلماء على قسمين:-
                            أ عالم بعيد عن سلطانهم، تجرد واجتهد ولم يصل إلى تكفيرهم، ولم يُستخدم كوسيلة لحرب المجاهدين، فهذا يقدر عند القاعدة وله اجتهاده.
                            ب عالم لم يكفر الحكام واستُخدم لحرب المجاهدين، ووصفهم بالفئة الضالة ومدح الطواغيت وخذل الأمة الإسلامية، فهذا الذي تحذر منه القاعدة؛ لأن ضرره على الأمة خطير. -لماذا اخترت القاعدة؟ ـ أبي مصعب محمد عمير الكلوي العولقي، ص: 46

                            কেউ আপত্তি উঠাতে পারে যে, আপনারা যখন বলে থাকেন, ফতোয়া প্রদানের ক্ষেত্রে মতবিরোধের অবকাশ রয়েছে, তখন যেসব আলেম শাসকদেরকে কাফের মনে করে না আলকায়েদা তাদের সমালোচনা করে কেন?

                            উত্তরে বলবো, এটি একটি সুন্দর প্রশ্ন। এটি স্পষ্ট করা জরুরী। আমি বলি, শাসকদেরকে কাফের বলে না এমন সকলেরই আলকায়েদা সমালোচনা করে না। যেসকল আলেম শাসকদেরকে কাফের মনে করে না আলকায়েদার দৃষ্টিতে তারা দুই ভাগে বিভক্ত:

                            ১. এমন আলেম যিনি শাসকদের থেকে দূরে। ঐকান্তিক চেষ্টা গবেষণা সত্বেও যার কাছে শাসকরা কাফের বলে মনে হলো না। তবে তাকে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কোন ওসীলা হিসেবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। আলকায়েদা তার কদর করে। আর তিনি তার নিজের ইজতিহাদ মতো চলবেন।

                            ২. এমন আলেম যে শাসকদেরকে কাফের মনে করে না, তবে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাদেরকে গোমরাহ ফেরকা বলে আখ্যায়িত করছে। তাগুতদের প্রশংসা করছে। প্রয়োজন মুহূর্তে মুসলিম উম্মাহকে সাহায্য করছে না। এই আলেমের ব্যাপারেই আলকায়েদা সতর্ক করে থাকে। কেননা, উম্মতের জন্য সে মারাত্নক ক্ষতিকর। -লিমা যা ইখতারতুল কায়েদা: ৪৬


                            অতএব, যেসব আলেমের তাহকীকের অভাবে কিংবা ইলমের স্বল্পতার কারণে শাসকদের কুফরটা তাদের নিকট স্পষ্ট নয়, তাদেরকে এ কারণে কাফের বলার যাবে না। তবে অন্য কোনো বিভ্রান্তি যার মাঝে আছে সে অবশ্যই সমালোচনার উপযুক্ত।

                            নামাযের বিধান: তারা যেহেতু কাফের নয় তাই তাদের পেছনে নামায পড়লে নামায হয় যাবে। বরং যদি সহীহ আকীদার ইমাম না পাওয়া যায় তাহলে এদের পেছনেই নামায আদায় করতে হবে। তবুও জামাআত ছাড়া যাবে না। যেমনটা শায়খ মাকদিসী হাফিজাহুল্লাহর ফতোয়ায় বলা হয়েছে।
                            এতিদালের বাস্তব চিত্র

                            Comment


                            • #15
                              সুন্দর আলোচনা
                              ওয়া আনতুম ফা-জাযাকুমু-আল্লাহু খাইরন।।

                              Comment

                              Working...
                              X