Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ২০ জমাদিউল আউয়াল , ১৪৪২ হিজরী # ০৫ জানুয়ারি, ২০২১ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ২০ জমাদিউল আউয়াল , ১৪৪২ হিজরী # ০৫ জানুয়ারি, ২০২১ ঈসায়ী

    চাঁদা না দেয়ায় ফটিকছড়ি মাদরাসায় যুবলীগ সন্ত্রাসীর হামলা, গুলিবিদ্ধ ৬

    ফটিকছড়িতে যুবলীগ নেতা হাসানের নেতৃত্বে মাদরাসায় ছাত্রদের ওপর অতর্কিত হামলা ও ভাঙ্গচুর চালিয়েছে। স্থানীয় এই যুবলীগ নেতার হামলায় প্রায় দশ জন ছাত্র আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, তারা মাদরাসা থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় এ সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়।

    সোমবার ( ৪ জানুয়ারি) বিকেলে ফটিকছড়ির মাইজভান্ডারস্থ মান্নানীয়ার পশ্চিম নানুপর দারুস ছালাম ঈদগাহ মাদরাসা নির্মাণকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা হাসানের নেতৃত্বে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়।

    পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মাদরাসার ছাত্ররা জানান, স্থানীয় যুবলীগ নেতা হাসানের নেতৃত্বে মাদরাসায় হামলা চালানো হয়। ট্রাক নিয়ে এসে মাদরাসার মালামাল তুলে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগও করেছেন তারা।

    স্থানীয় লোকজন জানান, আমরা হঠাৎ গুলির আওয়াজ শুনি। তারপরই দেখি একজনের বুকে গুলি লেগে মাঠিতে পড়ে আছে।

    স্থানীয় রুহুল আমিন বলেন, হুজুুর থেকে চাঁদা চেয়েছেন হাসানের লোকজন। হুজুর টাকা দিতে অস্বীকার করায় ট্রাক এনে মাদরাসার মালামাল তুলে নিয়ে যেতে লাগলে মাদরাসার ছাত্ররা বাধা দিলে তাদের মারধর করে। এরপর গুলির আওয়াজ শুনি। কয়েকজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখি। প্রায় ছয় সাত জনের মত গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও জানান রুহুল আমিন।

    গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা জানাতে চাইলে এলাকার সাইফুর রহমান জানান, পাঠান পাড়ার হাসান, মাদরাসা থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় এ হামলা করা হয়। গুলিবিদ্ধ একজনের অবস্থা আশঙ্কজনক বলেও জানান তিনি।

    এদিকে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা, জামিয়া বাবুনগরের পরিচালক মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই৷ যারা পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্র মূলক ফটিকছড়ির শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে চায় তাদের দৃষ্টান্তমূলক মূলক শাস্তি চাই।

    মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, দখলের উদ্দেশ্যে দারুস ছালাম ঈদগাহ মাদ্রাসায় হামলার ঘটনা বরদাশত করা হবে না। দেশীয় ও বিদেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রদের রক্তাক্ত করে চরম দৃষ্টতা আর দুঃসাহস দেখানো হয়েছে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কাশ্মিরে মালাউনদের ‘সাজানো বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিক্ষোভ

    সশস্ত্র গ্রুপের সমর্থক ও হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে গত মঙ্গলবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে তিন যুবকের হত্যাকাণ্ডের পর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে কাশ্মির। পরিবারের দাবি, ওই যুবকেরা নিরীহ আর তাদের আরেকটি সাজানো বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে বুধবার পরিবারের সদস্যরা শ্রীনগরের পুলিশ সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

    গত মঙ্গলবার শ্রীনগরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় জুবায়ের আহমেদ লোন (২৫), আতহার মুস্তাক ওয়ানি (১৬) ও আইজাজ মকবুল গানাই (২২)। সোপিয়ান ও পুলওয়ামা জেলার বাসিন্দা তারা। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে তারা নিজেদের বাড়ি থেকে বের হয়। তারা বলছেন, ভুয়া বন্দুকযুদ্ধে তাদের হত্যা করা হয়েছে।

    জুবায়ের আহমেদের ভাই ইরফান আহমেদ লোন বলেন, ‘এটা পরিষ্কারভাবেই একটা ভুয়া বন্দুকযুদ্ধ।’ তিনি জানান, তার ভাই স্কুল ছেড়ে দেওয়ার পর সোপিয়ান জেলায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। ইরফানের দাবি, মঙ্গলবার দুপুরে তার ভাই বাড়িতে খাবার খেয়ে বের হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় এই তরুণ। এছাড়া নিহত অপর দুই তরুণ আতহার মুস্তাক ও আইজাজ আহমেদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, তারা ছাত্র আর বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়িতেই থাকতো। আতহার একাদশ শ্রেণির আর আইজাজ কলেজ শিক্ষার্থী হলেও তারা উভয়েই বন্ধু ছিল বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার।

    ইরফান বলেন, ‘সেনাবাহিনীর কাছে জানতে চাই কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আমার ভাই কীভাবে মিলিট্যান্ট হয়ে গেলো? অস্ত্র কীভাবে পেলো আর সশস্ত্র গ্রুপে কীভাবে যোগ দিলো? কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রশিক্ষণ কীভাবে পেলো?’ তিনি বলেন, ‘আমরা চাই দুনিয়া এটা নিয়ে কথা বলুক। কারণ, তা না হলে ভবিষ্যতেও তারা ভুয়া বন্দুকযুদ্ধে আরও বেশি মানুষ মারবে।’

    গত জুলাইতে তিন শ্রমিককে সাজানো বন্দুকযুদ্ধে হত্যার দায়ে সপ্তাহখানেক আগে এক সেনা কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করেছে ভারতীয় পুলিশ। ওই কর্মকর্তা এবং তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে ওই শ্রমিকদের হত্যার পর তাদের মরদেহের পাশে অস্ত্র রেখে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা সাজানোর অভিযোগও তোলা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, ভারতীয় দখলদারিত্ব ও অপশাসনের বিরুদ্ধে কাশ্মিরে ১৯৮৯ সাল থেকে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। ভারতের অভিযোগ, সশস্ত্র এই বিদ্রোহে পাকিস্তান অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করছে। তবে ইসলামাবাদ বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ময়নাতদন্তে আলামত খুঁজতে ছুরি কাঁচিই ভরসা

      ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মর্গ শুধু নামেই আধুনিক মর্গ। এখানে এখনো প্রাচীন আমলের ছুরি-কাঁচি দিয়ে ময়নাতদন্ত করা হয়। আলামত খুঁজতে লাশের বিভিন্ন অংশ কাটাকুটি করা হয়। অথচ উন্নত দেশ এমনকি পাশের দেশ ভারত ও নেপালে কাটাছেঁড়া ছাড়াই ময়নাতদন্ত পদ্ধতি চালু হয়েছে। এসব দেশে ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে এমআরআই, সিটি স্ক্যান ও এক্সরে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মর্গ ঢামেক ফরেনসিক মর্গে এসব যন্ত্রপাতির কোনোটিই নেই। এমনকি লাশ সংরক্ষণের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। অব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ আলামত নষ্ট হচ্ছে।

      ঢামেক মর্গ সূত্রে জানা গেছে, এখানে চারটি এসির সবকটিই দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। আর লাশ সংরক্ষণের পাঁচটি ফ্রিজের মধ্যে দুইটি দীর্ঘদিন ধরে বিকল। আরেকটি ফ্রিজে দীর্ঘদিন ধরে তিন বিদেশি নাগরিকের লাশ রয়েছে। এছাড়া আইনি জটিলতায় এক ব্যবসায়ীর লাশ আটকে আছে। ফলে দুটি ফ্রিজ নিয়ে লাশ সংরক্ষণে সেখানকার কর্মীদের হিমশিম খেতে হয়। লাশ সংরক্ষণে অব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ আলামত নষ্ট হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানান, ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করা অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।

      অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢামেক হাসপাতালের মর্গে আগে প্রতিদিন গড়ে আট থেকে ১০টি লাশের ময়নাতদন্ত হলেও এখন তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গ হওয়ার পর এখানে আসা লাশের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। এরপরও এ মর্গে প্রতিদিন ৫-৬টি করে লাশ আসে। এর মধ্যে আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনা, খুনসহ বিভিন্ন কারণে অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। এছাড়া বেশির ভাগ অজ্ঞাতপরিচয় লাশ মরচুয়ারিতে রাখা হয়। প্রতিদিন অন্তত দুটি অজ্ঞাতপরিচয় লাশ ঢামেক মর্গে আসে। শনাক্তের জন্য লাশগুলো সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু এসব লাশ সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে লাশগুলো মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। এছাড়া এসি বিকল থাকায় লাশেও পচন ধরেরোববার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মর্গের ফ্রিজে ছয়টি অজ্ঞাতপরিচয় লাশ রাখা হয়েছে।

      মর্গের সহকারী সিকান্দর আলী যুগান্তরকে বলেন এসব অজ্ঞাতপরিচয় লাশ শনাক্ত না হলে কিছু দিন রাখার পর নিয়ম মেনে আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়। তিনি বলেন, দুটি ফ্রিজে লাশ অদলবদল করে রাখি। একটি লাশ কয়েক ঘণ্টা ফ্রিজে রাখার পর তা বের করা হয়। এরপর বাইরে রাখা লাশ ফ্রিজে রাখা হয়। এভাবেই মর্গের কার্যক্রম চলছে। তিনি আরও জানান, ছুরি-কাঁচি দিয়েই এখানে ময়নাতদন্ত কার্যক্রম চালানো হয়।

      মর্গের কর্মীরা জানান, ফ্রিজ সংকটে মেঝে অথবা স্টেচারের উপরে লাশ রাখা হয়। যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করায় অনেক সময় লাশে পচন ধরে যায়। সংরক্ষণ না করায় পচা-গলা গন্ধের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে তারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন। ২০১৭ সালের ২৪ জুলাই হাইকোর্ট ঢামেক হাসপাতাল মর্গের ফ্রিজ মেরামতের আদেশ দেন। প্রায় তিন বছরেও সেই আদেশ মানা হয়নি। ফরেনসিক বিভাগ সূত্র জানায়, বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। ফ্রিজগুলো সারাতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

      সংশ্লিষ্টরা জানান, বছরে অন্তত শতাধিক লাশ আসে। এগুলো আলামত সংরক্ষণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। গুলিবিদ্ধ কোনো লাশ মর্গে এলে গুলির চিহ্ন ধরে অনুমানভিত্তিক কেটেকুটে আলামত সংগ্রহ করতে হয়। অনেক সময় লাশ টুকরো টুকরো করে আলামত হাতড়ে বেড়াতে হয়। অথচ উন্নত দেশের মর্গে অত্যাধুনিক পোর্টেবল এক্সরে মেশিন রয়েছে। ডিজিটাল পোর্টেবল এক্সরে মেশিনের মাধ্যমে মাত্র দুই মিনিটে লাশে থাকা বুলেটের অগ্রভাগ (প্রোজেক্টাইল) শনাক্ত করা যায়। ছড়রা গুলির প্যালেট, বোমা কিংবা এ জাতীয় বস্তুর স্পি*ন্টারসহ অন্যান্য আলামত বের করা যায়।
      একজন চিকিৎসক জানান, পোর্টেবল এক্সরে মেশিনের দাম আকাশচুম্বী নয়। ৫-৭ লাখ টাকা হলে মেশিনটি পাওয়া যায়। অথচ আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে সনাতন যন্ত্রপাতি দিয়ে পোস্টমর্টেমের কাজ করা হয়।

      ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ফ্রিজ ও এসি মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনেক আগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগে কয়েকবার ফ্রিজ সারানো হলেও কিছুদিন পরই আবার বিকল হয়ে যায়। তিনি বলেন, সঠিকভাবে লাশ সংরক্ষণ না করা গেলে মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ফরেনসিক বিভাগ একটা অবহেলিত বিভাগ। ডিজিটাল এক্সরে মেশিনটির কথা বেশ কয়েকবার মৌখিকভাবে উপস্থাপন করেছি। কিন্তু সেটা এখনো পাইনি।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        কাশ্মীরে গত বছরে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ৬৫ জন



        ভারতের অবৈধ দখলীকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে’ (আইআইওজেকে) ২০২০ সালে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৬৫ কাশ্মীরি বেসামরিক মানুষ। সমাপ্ত বছরে কাশ্মীরে সংঘর্ষে এবং বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন কমপক্ষে ৪৭০ জন। বুধবার ‘লিগ্যাল ফোরাম ফর অপ্রেসড ভয়েসেস অব কাশ্মীর’ প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, গত বছর ১লা জানুয়ারি থেকে ৩০ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত কাশ্মীরে মোট ৪৭০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৩২ জন স্বাধীনতা যোদ্ধা। ১৭৭ জন ভারতীয় সেনা সদস্য। ৬৫ জন বেসামরিক ব্যক্তি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকারে পরিণত হয়েছেন। আগস্টে শোপিয়ান জেলায় সাজানো হয়েছিল এক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা।

        সেখানে তিন জন শ্রমিককে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়। এরপর তাদের শরীরের ওপর অস্ত্র রেখে তাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে ভারতের মালাউন সেনারা। কিন্তু বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে। বোঝা যায়, ওই তিন শ্রমিককে খেয়ালখুশিমতো হত্যা করা হয়েছে। কাশ্মীরে কমপক্ষে ২৭৭৩ জন ব্যক্তিকে ভারতীয় সেনারা আটক ও গ্রেপ্তার করেছে। পুরো বছর তাদেরকে ভারতের বিভিন্ন জেলে রাখা হয়। ভারতীয় বাহিনী ৩১২টি ঘেরাও ও তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে। এর ফলে স্বাধীনতাপন্থি ও নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের সঙ্গে তাদের কমপক্ষে ১২৪টি সংঘর্ষ ঘটে। এসব সংঘর্ষের সময় ভারতীয় বাহিনী কমপক্ষে ৬৫৭টি বাড়ি ভাঙচুর ও ধ্বংস করে। এ খবর প্রকাাশিত হয়েছে অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে।

        সূত্র: মানবজমিন ডেস্ক
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আওয়ামী লীগ দিন দিন উগ্র হয়ে উঠছে ৷
          গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

          Comment


          • #6
            ফিলিস্তিনে ২৭ খুন ও ৭২৯টি ভবন গুড়িয়ে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল

            নির্মাণের অনুমতি না থাকার অজুহাতে গেল বছর, অর্থাৎ ২০২০ সালে ৭২৯টি ফিলিস্তিনি ভবন গুড়িয়ে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল সামরিক বাহিনী।

            অন্যদিকে, ৯ জন নাবালক শিশুসহ ২৭ জন ফিলিস্তিনিকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এছাড়াও, কমপক্ষে ২ হাজার ৭৮৫ জন ফিলিস্তিনিকে বন্দী করে জেলে প্রেরণ করেছে দখলদার রাষ্ট্রটি।

            খোদ ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থার বরাতে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা আল-জাজিরা।

            খবরে বলা হয়, ‘ইসরায়েল তাদের নীতিমালা ও আইনের অজুহাত দেখিয়ে এক হাজার ছয়জন ফিলিস্তিনিকে নিজ বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছে। ৭২৯টি ভবন ভেঙ্গে দিয়েছে, যার মধ্যে ২৭৩ টি বসতবাড়ি রয়েছে। এছাড়াও, ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজনীয় মানবিক সুবিধা,পানি ও বিদ্যুতের লাইনও বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।

            এছাড়াও ৮০টির মতো ফল গাছ ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। যার ফলস্বরূপ তিন হাজারের বেশি গাছ নষ্ট হয়েছে।

            সংস্থাটি পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের হত্যার ১৬টি মামলার তদন্ত করেছিল। তদন্তে দেখা যায়, নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ১১ জনকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে। তারা কেউই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য বা অন্যদের জীবননাশের হুমকি কারণ ছিল না বলেও জানিয়েছে।

            সংস্থাটি ২০২০ সালে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ২৪৮টি আক্রমণ তালিকাভুক্ত করেছে। ইহুদি বসতি নির্মাণকারীরা ফিলিস্তিনিদের বাড়িতে পাথর নিক্ষেপ করা থেকে শুরু করে কৃষক ও তাদের ফসলি জমিতে বাধা সৃষ্টি করেছে।

            দখলদার বাহিনী ফিলিস্তিনি গ্রাম ও শহরগুলোতে কমপক্ষে তিন হাজারবার অভিযান চালিয়ে দুই হাজার ৪৮০টির মতো বাড়ি লণ্ডভণ্ড করেছে।

            অপরদিকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদিরা নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি তিন হাজার ৫৪৪টি চেকপোস্ট স্থাপন করেছে। এইসব চেকপোস্টে নিয়মিত ফিলিস্তিনিদের হয়রানি করা হচ্ছে।
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              টিকা নেয়ার পর পর্তুগালে স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু

              করোনা থেকে সুরক্ষায় টিকা নেওয়ার পর পর্তুগালে এক স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু ঘটেছে।

              ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানায়, নতুন বছরের প্রথমদিন ঘরে আচমকা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ৪১ বছর বয়সী সোনিয়া অ্যাকেভেডো। টিকা নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

              দুই সন্তানের মা সোনিয়া পোর্তো শহরের পর্তুগিজ ইনস্টিটিউট অব অনকোলজিতে শিশুরোগ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এ জন্য শুরুতেই করোনার টিকা নিতে হয় তাকে।

              টিকা নেওয়ার পর কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথাও জানাননি তিনি। বরং টিকা নেয়ার মুহূর্তের সেলফি ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি।

              সোনিয়ার বাবা অ্যাবিলিও অ্যাকেভেডো স্থানীয় সংবাদ পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মেয়ে একেবারে ঠিকঠাক ছিল। তার কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা ছিল না।’

              তিনি আরও বলেন, ‘সে করোনার টিকা নিয়েছিল। তার কোনো ধরনের উপসর্গ ছিল না। আমি জানি না কী হয়েছে আসলে। আমি শুধু কারণ জানতে চাচ্ছি। আমার মেয়ে কীভাবে মারা গেলে সেটি আমি জানতে চাই।’

              পর্তুগিজ ইনস্টিটিউট অব অনকোলজিও তাদের স্বাস্থ্যকর্মী সোনিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানায়, ৩০ ডিসেম্বর করোনার টিকা নিয়েছিলেন তিনি। আর ১ জানুয়ারি আকস্মিক মৃত্যু ঘটে তার। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                Originally posted by Al-Firdaws News View Post
                টিকা নেয়ার পর পর্তুগালে স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু

                অনেক চিন্তিত ছিলাম এ বিষয়টি নিয়ে
                আলহামদুলিল্লাহ অবশেষে কাংখিত বিষয়টি একে একে পরিষ্কার হচ্ছে,
                আল্লাহ তায়ালা ভাইদের উত্তম জাযা দান করুন, আমীন।
                মুসলিম হয়ে জন্মেছি আমি ইসলাম আমার ধর্ম
                লড়বো আমি খোদার পথে এটাই আমার গর্ব।

                Comment


                • #9
                  আজকে বিশ্বের যেই দিকেই তাকায় মুসলিমদের রক্ত মূল্যহীন দেখা যায়।
                  [[[ আফগান, সোমালিয়া, মালি, কেনিয়া,নাইজেরিয়া, বুর্কিনাফাসু, নাইজার, ইরাক,সিরিয়া,লিবিয়া, ইয়ামান, উইঘুর, পূর্ব তুর্ক মিনিস্থান, আরাকান, কাশ্মীর, বাংলাদেশ। ]]] এখানে কিছু দেশ আছে যেখানে স্পষ্ট কাফেরের আক্রমণ চলছে, সাথে মুর্তাদরা, কাশ্মীর, আরাকান ও উইঘুর, এ-ই অঞ্চলে এক নির্মম ইতিহাস রচিত হচ্ছে। আর বাংলাদেশে স্পষ্ট কাফেররা, তাদের বন্ধু[[[ মুর্তাদদের]]] দিয়ে মুসলিমদের হত্যা করছে। এ-ই লী- বিএনপি। এদেশের মুসলিমদের তক্ত ঝাড়াচ্ছ ভিন্ন কৌশলে। একটি অকৌশলের আশ্রয় নিয়ে সেটা হলো [[[ নিজেদের মুসলিম ]]] দাবী করে। প্রকৃতপক্ষে এরা মুর্তাদ। এরা এ-ই বিশ বছরে কয়েকবার মুসলিমদের হত্যা করে। ২০০১ সাথে বি,বাড়ীয়ায় ৬জন। ২০১৩ সালে শাপলাতে প্রায় ২৫০০ জন। ২০১৯ সালে ভোলাতে ৫/৬ জন। এ ছাড়া জঙ্গি নাম দিয়ে, ক্রস ফায়ার করে কতজনকে করেছে তার হিসাব করা কঠিন।

                  Comment

                  Working...
                  X