Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ২৪ জমাদিউল আউয়াল , ১৪৪২ হিজরী # ০৯ জানুয়ারি, ২০২১ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ২৪ জমাদিউল আউয়াল , ১৪৪২ হিজরী # ০৯ জানুয়ারি, ২০২১ ঈসায়ী

    নাটোরে গৃহবধূকে আওয়ামী লীগ নেতার ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ

    নাটোরের নলডাঙ্গায় ভিজিএফ কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে এক গৃহবধূকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করেছে আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম দেওয়ান তার দুই সহযোগী।

    জানা গেছে, গত বছরের ৩ অক্টোবর বিকালে এক দিনমজুরের স্ত্রীকে ভিজিএফের কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নেয় আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম দেওয়ান। পরে ওই নারীকে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে।

    এ সময় তার দুই সহযোগী বকুল ও রেজাউল ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে গত শুক্রবার রাতে নলডাঙ্গা থানায় ওই গৃহবধু ইব্রাহিম দেওয়ান, বকুল হোসেন ও রেজাউল করিমকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করে।

    স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম দেওয়ানের নামে এলাকায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সালিশের নামে প্রতারণা, ছিনতাই, সুদ ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

    এ ব্যাপারে পিপরুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন যুগান্তরকে জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ভিজিএফ ও ভিজিডি কার্ড দেওয়ার নামে ইব্রাহিম দেওয়ান যে নোংরামি করেছেন, তা ক্ষমার অযোগ্য এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

    সূত্র: যুগান্তর
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    চাঁদপুরে ‘জঙ্গি’ তকমা দিয়ে ইমামকে মারধর করলো হিংস্র পুলিশ

    চাঁদপুর জেলার পাইকপাড়া গ্রামে, বায়তুল মামুর মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে ‘জঙ্গি’ তকমা দিয়ে অশ্লীল গালাগাল করে মারধর করেছে হিংস্র পুলিশ মুস্তাফিজুর রহমান দুলাল।

    এলাকার সবাই ইমাম সাহেবকে প্রচন্ড ভালবাসেন এবং শ্রদ্ধা করেন। কিন্তু পুলিশে চাকরি করা মুস্তাফিজুর রহমান দুলাল নামে এক অশিক্ষিত, বর্বর তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে হুজুরের উপর হামলা চালায়, প্রতিবাদে এলাকার কিছু গণ্যমান্য লোক তার এহেন কর্মকান্ডের কারণ জানতে চাওয়ায় তাদের উপর ও হামলা করা হয়। তাদের আক্রমণে কয়েকজন খুবই গুরুতর আহত হয়েছে আর কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    এক ভিডিও বার্তায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নির্যাতনের শিকার বায়তুল মামুর মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। নির্যাতনকারী উগ্র পুলিশটির নাম মুস্তাফিজুর রহমান দুলাল।

    স্বীকারুক্তিমূলক ভিডিওবার্তায় ইমাম সাহেব বলেন, ‘আমি জুমা পড়ানোর পর যার মেয়ের বিয়ে, সে আমাকে বিয়ে পড়াতে যেতে বললো। আমি গেলাম। বাড়িতে ঢুকতে যাব, এমন সময় আমার পথ আটকে দাঁড়ালো দুলাল। সে পুলিশে চাকরি করে। সে আমাকে বললো, ‘তুই নাকি চান্দা করোস? আমি বললাম, কিসের চান্দা। তখন বুঝতে পারলাম, সকালে আমি বেতন তুলতে গিয়েছিলাম। মসজিদের বেতন যিনি তুলেন, সকালে আমাকে বললেন, আজ শুক্রবার, মকতব নেই, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গণশিক্ষা কার্যক্রম নেই, তাই আমার সঙ্গে চলেন। আমি তার সঙ্গে গিয়েছিলাম।’

    ইমাম সাহেব আরও বলেন, দুলাল আমাকে বললো, তুই আমাকে চিনিস? আমি পুলিশে চাকরি করি। মাদারচো!, তুই জঙ্গী।’ আমি বললাম, কী বলছেন এসব? প্রমাণ থাকলে থানায় নিয়ে যান। এরপর সে আমাকে এলোপাথাড়ি ঘুষি থাপ্পর দিতে লাগলো। আমার কানে দুটি থাপ্পর দিয়েছে, কানে শুনতে পাচ্ছি না।

    ভিডিওতে বয়ান দেয়ার সময় ইমাম সাহেব কান্না করছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, প্রতিবাদকারী গ্রামবাসীর নাকে মুখে রক্ত। সাদা দাড়ি ও পাঞ্জাবিতেও রক্ত।

    ঘটনার সূত্রপাত আজ থেকে প্রায় ১ বছর আগে।মসজিদের কমিটিতে অনেকটা অঘোষিতভাবে একটা অশিক্ষিত, বর্বর লোক স্থান করে নিয়েছে। ধর্মীয় কোন জ্ঞান না থাকা সত্র্বে ও সে মসজিদের সভাপতি হয়ে গিয়েছে।তারপর থেকে মসজিদের ইমাম সাহেব এবং অন্যন্য কমিটির মেম্বারদের সাথে তার স্বেচ্ছাচারীতা স্পষ্ট হয়ে উঠে।

    এমতাবস্থায় কমিটির সকলে তার উপর অনাস্থা জ্ঞাপন করে।স্থানীয় মানুষদের প্রতিবাদের মুখে এলাকার চেয়ারম্যান এসে সকলের সম্মতিতে উনাকে সভাপতি পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়। তারপর থেকে মসজিদের কমিটি এবং ইমাম সাহেব তার শত্রু হয়ে যায়।

    তারপর আজ তার ভাতিজির বিয়েতে মসজিদের ইমামকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দাওয়াত দিয়ে ’জঙ্গী’ তকমা দিয়ে ইমাম সাহেবকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং চড় থাপ্পর দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা বাবার কারণে পুলিশে চাকরী পেয়ে সে যেন বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল।গর্ব করে বলতো কেউ নাকি তার বা! ও ছিড়তে পারবে না।যখন তখন কারো গায়ে হাত তুলতে সে দ্বিধা করতো না।

    তার বেপরোয়া আচরণের জন্য এলাকায় মানুষও তাকে খুব ভয় পেতো।নিয়মিত এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তার ভয়ে কেউ কোন দিন মুখ খুলে নাই। কিন্তু ইমাম সাহেবের গায়ে হাত দেওয়ার মানুষ আর চুপ করে থাকতে পারে নাই। প্রতিবাদ করায় তাদের উপরও সে তার সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে তাদের গুরুতর জখম করেছে।।

    এমতাবস্থায় এলাকাবাসী তার এহেন কর্মকান্ডের বিচার চেয়েছে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের লাগাম টেনে ধরার ও দাবি জানিয়েছেন।

    জনতার জিজ্ঞাসা পুলিশে চাকরী করে সাধারণ মানুষের গায়ে অন্যায়ভাবে হাত তুলার সাহস সে পেলো কোথায়?
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      যুক্তরাষ্ট্রে চীনা দূতাবাসের ভয়ংকর টুইট: উইঘুর মুসলিম গণহত্যা সমর্থনযোগ্য

      গত বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনা দূতাবাস একটি টুইটে ভয়ংকর তথ্য উল্লেখ করেছে। টুইটে দাবি করা হয়, ‘চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের বন্দী শিবিরে থাকা উইঘুর মুসলিম নারীদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা আর বাচ্চা তৈরির মেশিন নয়’।

      টুইটে উল্লেখ করা হয়, উইঘুরদের চরমপন্থা হ্রাস পেয়েছে, ‘নারীরা মানসিকভাবে মুক্তি পেয়েছে, লিঙ্গ বৈষম্য দূর হয়েছে, তাদের স্বাস্থ্যকে উন্নীত করা হয়েছে। ফলে তারা আর বাচ্চা জন্মদানের মেশিন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছেনা। তারা আরও আত্মবিশ্বাসী এবং স্বাধীন’। খবর মিডলইস্ট আই।

      কথিত ‘জিনজিয়াং উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্রের’ উদ্ধৃতি দিয়ে টুইটে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করা হয়, ‘জন্মহার কমানোর জন্য কোন প্রকার পদ্ধতি নেয়া হয়নি, বরং “উগ্রবাদ” নির্মূল ও উইঘুর নারীদের সন্তান জন্মদানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পূর্বের চেয়ে আরও বেশি স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে’।

      অথচ, বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম জিনজিয়াংয়ে জোর করে নারীদের বন্ধ্যাকরণ করার প্রমাণ পেয়েছে।

      গত বছর, একজন শিক্ষিকা কেলবিনূর সিদিক ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ কে বলেছিলেন যে, মুসলিম সংখ্যালঘু নারীদের জন্মহার দমনের জন্য একটি সরকারী প্রচারণার আওতায় তাকে স্টেরিলাইজ করা হয়েছিল।

      কেলবিনূর গার্ডিয়ানকে বলেন, ২০১৭ সালে আমি একটি বিদ্যালয়ের অফিসিয়াল কর্মী ছিলাম। এ জন্য তারা আমাকে ‘আইইউডি’ বা ‘স্টেরিলাইজেশন অপারেশন’ করার জন্য বাধ্য করে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে তারা জানায় যে, সরকারের কাছ থেকে একটি নির্দেশ এসেছে, ১৮ বছর থেকে ৫৯ বছর বয়সী প্রতিটি মহিলাকে স্টেরিলাইজেশন অপারেশন করতে হবে।

      প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, চীন সরকার ‘পুনঃশিক্ষা শিবির’ নাম করে গত কয়েক বছরে প্রায় এক মিলিয়ন উইঘুরকে আটক করেছে। তাতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে দাবি করা হয়।

      নামাজ আদায় করা, রোজা রাখা, মদপান থেকে বিরত থাকা, দাড়ি বাড়ানো বা ইসলামী পোশাক পরিধান সহ – ইসলামি সংস্কৃতির সাথে সম্মতি প্রদর্শনকারী উইঘুরদের চীনা সরকার আটক করেছে এবং নাস্তিক্যবাদী সংস্কৃতি মেনে চলতে বাধ্য করা হচ্ছে।

      গত বছর, বার্তা সংস্থা এপির তদন্তে দেখা গেছে যে, যাদের বেশি সন্তান রয়েছে তাদের ‘জঙ্গি’ হিসেব উল্লেখ করে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে বন্দী করা হয়েছে।

      তদন্তে আরও দেখা গেছে যে, জিনজিয়াং প্রদেশে জন্মেহার অভূতপূর্ব ও নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। এ প্রদেশটি চীনের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যার অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হতো। প্রমাণ পাওয়া যায় যে, পরিবার পরিকল্পনা আইন লঙ্ঘনের জন্য মোটাদাগে জরিমানা করারও।

      চীনা বিশেষজ্ঞ অ্যাড্রিয়ান জেনজের অপর একটি প্রতিবেদনে থেকে জানা যায়, জিনজিয়াংয়ে বন্দী নারীদের পিরিয়ড বন্ধে ইনজেকশন দেওয়া হতো। এর মাধ্যমে নারীদের সন্তান জন্মদানে অক্ষম করা হচ্ছে।

      সরকারী রেকর্ড, সাক্ষাৎকার এবং ভিডিও চিত্রের উপর ভিত্তি করে গত বছর বুজফিড পরিচালিত এক তদন্তের বিষয়টিও প্রকাশ পেয়েছে যে, কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে বিভিন্ন কারখানা তৈরি করা হয়েছে। যেখানে মুসলিম বন্দীদের জোর করে কাজ করানো হচ্ছে এবং নারীদের বন্ধা করণ (স্টেরিলাইজেশন), শরীর থেকে অঙ্গ-প্রতঙ্গ সংগ্রহ করে আসছে।

      কানাডিয়ান সিনেটর লিও হোসাকোস সহ অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। এ সম্পর্কে অনেকেই মুসলিম বিশ্বের নেতাদের প্রতিক্রিয়াও জানাতে চেয়েছেন।

      মধ্য প্রাচ্যের বসবাসকারী উইঘুররা এর আগে চিনে প্রত্যাবর্তনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন চীনে ফিরলে তাদের আটক ও নির্যাতন করা হতে পারে।

      সূত্র : মিডলইস্ট আই
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        শত কোটি টাকা দুর্নীতি করছে মেয়র তাপস

        ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা বেআইনিভাবে স্থানান্তরের অভিযোগ তুলেছে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন। সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের পুনর্বাসনের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেছে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

        শনিবার দুপুরে হাইকোর্ট এলাকায় কদম ফোয়ারার সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সাঈদ খোকন অভিযোগ করেছে, ‘তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তরিত করেছে এবং শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসেবে গ্রহণ করছে। অন্যদিকে, অর্থের অভাবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গরিব কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। ‘

        এ সময় দুর্নীতির ইস্যু টেনে মেয়র তাপসকে আক্রমণ করে সাঈদ খোকন বলেছে, ‘তাপস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলেছেন। আমি তাকে বলব, রাঘববোয়ালের মুখে চুনোপুঁটির গল্প মানায় না। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন করতে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত করুন। তারপর চুনোপুঁটির দিকে দৃষ্টি দিন। ’

        সাঈদ খোকন বলেন, ফুলবাড়িয়া মার্কেটে সিটি করপোরেশন কর্তৃক যে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, আমি আগেও বলেছি এটা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। সে জানায়, মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও বেকারত্ব দূর করতে এসব দোকানের বৈধতা দেওয়া হয়েছিল। তবে কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই তাদের অবৈধভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমাদের সময়
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          পুলিশের সঙ্গে আকিজ কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫

          কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আকিজ বিড়ি কারখানায় শ্রমিক-পুলিশে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় এক শ্রমিক গুলিবিদ্ধসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।

          শনিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার হোসেনাবাদে আকিজ বিড়ি কারখানার মূল ফটকের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

          প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে কারখানায় প্রবেশের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর বেশ কিছু শ্রমিক জোর করে কারখানায় ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় নিয়মানুযায়ী কারখানার নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠলে কারখানা ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম দৌলতপুর থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে শ্রমিকদের সেখান থেকে জোর করে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। তাদের মোকাবিলায় পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে।

          পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং এক শ্রমিক গুলিবিদ্ধসহ অন্ততপক্ষে পাঁচজন আহত হন। পরে কারখানার সব শ্রমিক কাজ বন্ধ করে হোসেনাবাদ বাজারে কুষ্টিয়া প্রাগপুর সড়ক অবরোধ করে রাখে। তাদের সঙ্গে উপজেলার ফিলিপনগর কারখানার শ্রমিকরাও যোগ দেন।

          গুলিবিদ্ধ শ্রমিকের নাম শিপুল ইসলাম। শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানার ম্যানেজার আমিনুল ইসলামের নির্দেশে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর গুলি চালিয়েছে। তারা অবিলম্বে ম্যানেজারের অপসারণ দাবি করেছেন।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            গৌরনদীতে বিবাহ পণ্ড করে দিলো তাগুত প্রশাসন, বাড়ছে অনাচার

            বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এক প্রাপ্তবয়স্কা মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছিল। সাজসজ্জা শেষে চলছিল বরযাত্রীসহ মেহমান আপ্যায়নের ধুমধাম রান্নাবান্না। বিবাহের খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয় গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস। ইউএনও হাজির হতেই মুহূর্তেই সব পণ্ড হয়ে যায়। শরয়ী সম্মতভাবে বিবাহ আয়োজন হলেও আটক করা হয় কনের বাবাকে। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি। গতকাল শুক্রবার দুপুরের ঘটনা এটি।

            স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিকভাবে ওই প্রাপ্তবয়স্কা মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল পাশের মাদারীপুর সদর উপজেলার এক ছেলের (২৫) সঙ্গে। দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে গতকাল ৫০ জন বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে আসার জন্য রওনা করেছিলেন বর। বিয়েবাড়িতে একাধিক তোরণসহ সাজসজ্জা সম্পন্নের পর বরযাত্রীসহ মেহমানের জন্য রান্নাবান্না চলছিল। দুপুর ১২টায় খবর পেয়ে সেখানে একদল পুলিশসহ গৌরনদী ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মালাউন বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে কনের বাবাকে আটক করে। এ সময় বিয়ের প্যান্ডেল অপসারণ ও রান্না বন্ধ করে দেওয়া হয়। কনের বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে থাকা বরযাত্রীরা খবর পেয়ে গ্রেপ্তারের ভয়ে বরসহ পালিয়ে যান।

            সমাজে বিবাহ বহির্ভূত বিভিন্ন অনাচার, ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড, চুরি-ডাকাতি বন্ধ করতে না পারলেও, বিয়ের মতো পবিত্র, বৈধ এবং জরুরি একটি সামাজিক কাজে বাধা দিচ্ছে শয়তানের অনুসারী তাগুত প্রশাসন। এই তাগুতগোষ্ঠী সমাজে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেওয়ার যে পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে, এর শিকার হয়ে ধ্বংস হচ্ছে বহু তরুণ-তরুণী, দেশ পরিণত হয়েছে ধর্ষণরাজ্যে।
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              আল্লাহ্ জালিমদের ধ্বংস করুন,
              মাজলুম উম্মাহকে হেফাযত করুন, আমিন।

              Comment

              Working...
              X