Announcement

Collapse
No announcement yet.

মানহাজিদের ব্যাপারে কিছু কথা ও মারকাজুদ দাওয়াহ সংশ্লিষ্ট ভাইদের প্রতি কিছু নিবেদন

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মানহাজিদের ব্যাপারে কিছু কথা ও মারকাজুদ দাওয়াহ সংশ্লিষ্ট ভাইদের প্রতি কিছু নিবেদন

    মানহাজিদের ব্যাপারে কিছু কথা ও মারকাজুদ দাওয়াহ সংশ্লিষ্ট ভাইদের প্রতি কিছু নিবেদন


    আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিহিল আমীন।
    আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ
    إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ
    আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলিমগণই তাকে ভয় করে (৩৫ঃ ২৮)।
    وَإِنَّ العُلَمَاءَ وَرَثَةُ الأَنْبِيَاءِ، وَإِنَّ الأَنْبِيَاءَ لَمْ يُوَرِّثُوا دِينَارًا وَلَا دِرْهَمًا، إِنَّمَا وَرَّثُوا العِلْمَ

    বেশ অনেক দিন যাবত-ই মারকাজ সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু ভাইয়েরা জিহাদ ও মুজাহিদিনের ব্যাপারে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন, যার ব্যাপারে অধম কিছু কথা বলার ইচ্ছা করছি। আমি তাদের রচনাবলী ও প্রকাশনাতে ও অন্য সোর্সে যা কিছু পেয়েছি, সে অনুযায়ী কিছু বলব ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন! ভুলত্রুটি ও পদস্খলন থেকে হিফাজত করুন। আমীন।

    প্রথমেই আসি- মানহাজি কারা? বা মানহাজি নামকরণের কারণ কি?
    এই প্রশ্নের উত্তরে আমি একজন সম্মানিত ভাইয়ের কিছু কথা আপনাদের সামনে পেশ করছি-
    [উল্লেখ্য এই কথাগুলো আল কায়েদার বাংলাদেশী ভাইদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও পোস্ট করা হয়েছে, ফলে ধরে নিতে পারি, এই পয়েন্টগুলোর সাথে তারা একমত]
    “১। মানহাজ শব্দটি দ্বারা বর্তমানে অধিকাংশক্ষেত্রে ‘পদ্ধতি’ অর্থ নেয়া হয়। বিশেষ করে ‘দ্বীন কায়েমের পদ্ধতি’ অর্থে মানহাজ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। যদিও এ শব্দের মূল অর্থ ও ঐতিহাসিক প্রয়োগ আরো ব্যাপক। ‘দ্বীন কায়েমের পদ্ধতি’ অর্থে মানহাজ শব্দ বিভিন্ন দল ও আন্দোলনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। যেমন কেউ দ্বীন কায়েমের পদ্ধতি মনে করেন গণতন্ত্র। সেটা তাদের মানহাজ। কেউ মনে করেন তারবিয়া-তাসফিয়া, কেউ মনে করেন সেনাবাহিনীর কাছ থেকে সাহায্য চাওয়া – এগুলো তাদের মানহাজ। মু(জাহি)দিন মনে করেন দ্বীন কায়েমের পদ্ধতি হল বিশুদ্ধ তাওহিদের দাওয়াহ ও জি(হা)দ। এই জি(হা)দ কীভাবে হবে। কোন ভূখন্ডে কী দায়িত্ব হবে, সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে। এই লিখা এই আলোচনার জন্য উপযুক্ত নয়। সংক্ষেপে, আল-কা(য়ে)দার অবস্থান হল দ্বীন কায়েমের সঠিক পদ্ধতি হল দাওয়াহ ও জি(হা)দ। এটি মু(জাহি)দিনের মানহাজ।
    ২। বাংলাদেশে কাজ করা মু(জাহি)দিন এবং বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দ কখনোই নিজেদের ক্ষেত্রে ‘মানহাজী’ শব্দ ব্যবহার করেননি। বরং সত্যিকারের মু(জাহি)দিনের দাওয়াতে অধিকাংশ সময় শরঈ পরিভাষা ব্যবহৃত হয়। এছাড়া নিজেদের পদ্ধতির আলোচনা করার সময় তাঁরা তাওহিদ ও জি(হা)দের মানহাজের কথা বলেন। কিংবা দাওয়াহ ও জি(হা)দের কথা বলেন। ‘মানহাজী’ শব্দটি তাঁদের ব্যবহার করা না। বরং এটি তাঁদের বিরোধিতকারীদের একাংশের আবিষ্কার করা শব্দ। কওমি অঙ্গনের কিছু ব্যক্তি এবং তাদের অনুসারীরা ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করে কয়েক বছর ধরে মোটামুটি সক্রিয়ভাবে মু(জাহি)দিনের দাওয়াহর বিরোধিতা করেছে। এই বিরোধিতার মূল কারণ হল কুরআন সুন্নাহ ও সালফে সালেহিনের অবস্থানের আলোকে বলা মু(জাহি)দিনের দাওয়াহর বিভিন্ন দিক তাদের অগ্রজ অনেক অনুসরণীয় ব্যক্তিদের গ্রহণ করা অবস্থানের বিরুদ্ধে গেছে। ‘মানহাজী’ শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়েছে এধরণের একটি গ্রুপ থেকে।
    কাফের সরকারগুলো মু(জাহি)দিনকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে, কাউন্টার টেরোরিজম বিশেষজ্ঞরা বলে জি(হা)দি/জি(হা)দিস্ট। মুসলিম নামধারী মুরতাদ সরকারগুলো বলে ‘জঙ্গি’, ‘ইরহাবি’ ইত্যাদি। তেমনি বাংলাদেশের কওমি অঙ্গনের একটি অংশ বিরোধিতাস্বরূপ মু(জাহি)দিনের দাওয়াহ এবং তাঁদের আদর্শের সমর্থকদের ‘মানহাজী’ বলে। এই নামটি তাদের দেয়া। আশ্চর্যের বিষয় হল এসব গ্রুপে যারা সক্রিয় ছিল/আছে তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখন ‘মানহাজী’ নামের উৎস আবিষ্কারের জন্য গবেষণা করতে চাচ্ছেন। কেউ কেউ বলছেন শায়খ উ(সা)মার রহ. বক্তব্যের একটি সংকলনের নাম থাকে নাকি ‘মানহাজী’ শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়েছে!
    তারা নিজেরাই বিরোধিতা করে একটি নাম দিলেন। এখন নিজেরাই সেই নামের কল্পিত উৎস সন্ধানে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। শায়খ উ(সা)মার সেই সংকলন আলহামদুলিল্লাহ বাংলা করা হয়েছে, আজকে থেকে ৭/৮ বছর বা তার বেশি আগে। যখন অনলাইনে দাওয়ান তুঙ্গে ছিল। তখন অনলাইনে ‘মানহাজী’ শব্দ বা নাম ব্যবহার হয়নি। এই নামের ব্যবহার শুরু হয়েছে ২০১৭/১৮ থেকে ফেসবুকে কওমি অঙ্গনের কিছু ভাইদের পরিচালিত গ্রুপ থেকে। এই নামের উৎস সন্ধানে আন্তরিক হলে সেই গ্রুপ, আর নিজেদের এক্টিভিটি এবং পোস্ট হিস্ট্রি চেক করুন। উৎস পেয়ে যাবেন।” ঈষৎ পরিবর্তিত
    এইটুকু ছিল একজন সম্মানিত ভাইয়ের আলোচনার দুটি পয়েন্ট। আশা করছি এতেই আপনাদের কাছে মানহাজ ও মানহাজি নামকরণের বিষয়টি পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। এখন এই নামটিই যদি আল কাউসারের মত পত্রিকায় মুজাহিদ ভাইদের সম্ভোধন করে, তাদের পরিচিতি হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা সত্যিই দুঃখজনক।

    মুজাহিদিন আলিমদের প্রতি মানুষকে আস্থাহীন করতে চাচ্ছে?
    অনেক ভাই ও আলিমদের একটি উক্তি হল “তারা আলিমদের প্রতি মানুষকে আস্থাহীন করতে চাচ্ছে”। এখানে তারা বলে মুজাহিদিন উদ্দেশ্য নিচ্ছে এবং এর দলীল হিসেবে তারা ফেসবুকের কিছু ব্যক্তির পোস্ট বা কথাকে পেশ করছে।
    এই ব্যাপারে আমার একটি পর্যবেক্ষণ তুলে ধরতে চাই- উলামাদের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি মৌলিক আলোচনা আল কায়েদা উপমহাদেশের আচরণবিধিতে এসেছে-
    [শুরুতে আচরণবিধি সম্পর্কে একটু ক্লিয়ার করি। আচরণবিধি হল একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য যেমন গাইডলাইন থাকে যে, তার সদস্যরা কিভাবে চলবে? কোন নীতি অনুসরণ করবে ইত্যাদি, আল কায়েদার আচরণবিধিও তেমন, অর্থাৎ উপমহাদেশে আল কায়েদার সদস্যরা কার সাথে কিভাবে চলবেন? কার সাথে যুদ্ধ করবেন? কোন ক্ষেত্রে কি আচরণ করবেন, সে সম্পর্কিত গাইডলাইন। উল্লেখ্য খোরাসান থেকে এই গাইডলাইনটি প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৭ সালে আরবি, উর্দু, ইংরেজি ও বাংলা চার ভাষায় একত্রে প্রকাশিত হয়েছে। আমি প্রত্যেক ভাইকে উক্ত গাইডলাইনটি পড়ার অনুরোধ করবো।]
    তো উলামায়ে দ্বীনের ব্যাপারে আল কায়েদার অবস্থান এবং আচরণনীতি আমি উক্ত আচরণবিধি থেকে তুলে দিচ্ছি-
    “ত্রয়োদশ অনুচ্ছেদ: উলামায়ে দ্বীনের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান এবং আচরণনীতি
    এই ভূখণ্ডে থাকা উলামায়ে কেরাম ও মাদ্রাসাগুলোকে জামাআ’ত কুফরি শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদের মূল শক্তি মনে করে এবং তাঁদের ব্যাপারে নিম্নে বর্ণিত পদক্ষেপগুলোকে নিজেদের জন্য আবশ্যক মনে করে:
    1. উলামায়ে কেরাম ইসলামী সমাজের নেতা। তাঁদের আনুগত্য ও নির্দেশনার মাধ্যমেই শরীয়ত এবং ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা হওয়া সম্ভব। তাঁদের সম্মান করা এবং সমাজে তাঁদের সম্মান দেওয়া আমরা আমাদের দায়িত্ব মনে করি যাতে তাঁরা আল্লাহর শরীয়ত প্রতিষ্ঠা এবং আল্লাহর কিতাবকে পার্লামেন্টের মুখাপেক্ষী না বানায়।
    2. আল-কায়েদা উপমহাদেশ আলেমদের বিশেষভাবে হক্বপন্থী আলেমদের এবং দ্বীনি মাদ্রাসাগুলোর প্রতিরক্ষা নিজেদের অগ্রগণ্য দায়িত্ব মনে করে। এরই ধারাবাহিকতায় জামাআ’ত তাঁদের উপর সরকারী অথবা বেসরকারী সব ধরণের আগ্রাসনকে বন্ধ করবে এবং নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী তাঁদের উপর হওয়া যে কোন ধরণের নির্যাতনের প্রতিশোধ নিবে ইনশাআল্লাহ।
    3. আমরা আমাদের সমস্ত জিহাদী সফর হ্ক্বপন্থী উলামায়ে কেরামদের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধায়নে পরিচালনা করব। এজন্য উলামায়ে কেরামদের সাথে মজবুত যোগাযোগ এবং ইলমি সমস্যায় মাসোয়ারা করতে থাকব ইনশাআল্লাহ।
    4. জামা’আত উলামা ও মাদ্রাসাগুলোর শক্তি হয়ে তাঁদেরকে ইংরেজী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে মজবুত হওয়ার জন্য শক্তি জোগাবে ইনশাআল্লাহ।
    5. যেসব উলামা সমাজে কোন ধরণের ইসলাহ ও তারবিয়াতের কাজ সম্পাদন করছেন, জামা’আত তাঁদের সম্ভব সবরকম সহযোগিতা করবে এবং কোন এলাকা বিজয় করছেন, এরকম কাজের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা করবে, ইনশাআল্লাহ।
    6. জামা’আত আলেমদের এবং তালিবুল ইলমদেরকে জিহাদের সারিতে শামিল করার ইচ্ছা করে যাতে তাঁরা এই জিহাদকে দ্বীনি এবং দুনিয়াবি সফলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
    7. উলামায়ে সু, ঐসব আলেমরা, যারা দুনিয়ার তুচ্ছ ধনসম্পদের জন্য নিজেদের ইলমকে পদদলিত করে নিজেদের পেট জাহান্নামের আগুন দিয়ে ভরে এবং লোকদেরকে মুহাম্মদ (স.) এর শরীয়ত থেকে দূরে রাখে। এদের বাস্তবতা আমরা লোকদের সামনে সুস্পষ্ট করব, এদের সরকারী ফাতওয়ার জবাব আমরা জ্ঞানের আলোকে দিব ইনশাআল্লাহ। যদিও আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদদের অন্তর কাফের ও মুরতাদদের থেকে এরাই বেশি জখম করে, কিন্তু তারপরও তাদের হত্যা অথবা বন্দী করা থেকে আমরা বিরত থাকব যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের কাছে এমন কোন সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকবে যে তাঁরা শরীয়ত প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে ।”
    তো ভাইয়েরা! আলিমদের ব্যাপারে আল কায়েদার এই হল অবস্থান। এখন বিচারের ভার আপনাদের হাতে! আপনাদের কি মনে হয় আল-কায়েদা উলামা বিদ্বেষী?

    এখানে অনেকে বলবেন যে তাদের নীতি তো ঠিক আছে, কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে অনেককে তো দেখা যায় আলিমদের প্রতি বিদ্বেষ রাখে। তারা আলিমদের গালাগাল ও তুচ্ছজ্ঞান করে। তাদের নিয়ে কটু মন্তব্য করে, সেটার জবাব কি?
    এই ক্ষেত্রে আমি কিছু জবাব কয়েকটি পয়েন্টে আপনাদের কাছে পেশ করছি, যার কিছু আমি উনাদের বিভিন্ন রচনাবলী থেকে নিয়েছি, আর কিছু আমার নিজের তরফ থেকে যুক্ত করেছি-
    ১- প্রথমত আল কায়েদা আলিমদের প্রতি কেমন ধারণা রাখে, তা পূর্বেই উল্লেখ করেছি। আশা করি যারা নিজেদেরকে আল কায়েদার অনুসারী বা সমর্থক দাবী করেন, জিহাদের গ্লোবাল মানহাজ অনুসরণ করেন, তারাও আলিমদের ব্যাপারে এমন ধারণাই রাখবেন।
    ২- বাংলাদেশে আল-কা(য়ে)দার ভাইদের দাওয়াতি মেহেনতের ফলে তাওহিদ ও জি(হা)দের দাওয়াহ এ ভূখন্ডে ছড়িয়ে পড়েছে। শাসনের ক্ষেত্রে শিরক, আল ওয়ালা ওয়াল বারা, জি(হা)দের ফরজিয়্যাত, দ্বীন কায়েমের সঠিক পদ্ধতি – এর মতো বিষয়গুলোর আলোচনা তাঁরাই অনলাইনে শুরু করেছেন এবং ব্যাপকভাবে ফোকাসে এনেছেন। পরে তা অফলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ রচনাবলী তাঁরা আরবী, ইংরেজি এবং উর্দু থেকে অনুবাদ করেছেন। গ্লোবাল জি(হা)দের ফিকির এবং মানহাজ (পদ্ধতি) তাঁরাই এ ভূখন্ডে পরিচিত করেছেন। পরে যারা বিভিন্ন ঘরানা থেকে এসে এসব বিষয়ে জেনেছেন এবং নিজেরা আলোচনা করেছেন তাঁদেরকে এই চিন্তার সাথে পরিচিত করিয়েছেন এই দাঈ ভাইয়েরাই। এবং পরে যে ভাইরা এসেছেন, তারাও জিহাদের দাওয়াত প্রচারে বিশাল ভূমিকা রেখেছেন আলহামদু লিল্লাহ। আল্লাহ সকল ভাইকে উত্তম প্রতিদান দিন। আমীন।
    ৩- এ বিষয়টি বুঝা আবশ্যক যে দ্বীনের বন্ধন কোন সংগঠনের বন্ধনের চেয়ে অনেক ব্যাপক ও শক্তিশালী। দ্বীনের মজলুম বিষয় নিয়ে আলোচনা করা প্রত্যেক আন্তরিক দাঈকে আল্লাহর রাহে আমরা ভালোবাসি। তাদের সাথে আমাদের বন্ধন দ্বীনের, তাওহিদের। যা ঠুনকো কোন বিষয় নয়। তবে এটি মনে রাখা জরুরী যে বর্তমানে ফেসবুকে যারা এ ধরণের বিষয়গুলো আলোচনা করেন এবং জনপ্রিয় তাদের অনেকেই আল কা(য়ে)দা উপমহাদেশের অবস্থানের প্রতিনিধিত্ব করেন না। কথাটি ভালোভাবে খেয়াল করুন।
    হ্যাঁ, তাঁদের কিছু বিষয় আল (কা)য়েদার বক্তব্যের সাথে মিলবে। কিন্তু সমর্থক ভাইদের যে বিষয়টি বুঝা জরুরী তা হল – এর পাশাপাশি এসব বক্তা, আলোচকরা নিজস্ব ধ্যানধারণা প্রচার করেন। তারা সার্বিকভাবে নিজস্ব ধ্যানধারনা কিংবা ‘মানহাজ’ প্রচার করেন। আমি এটা বলছি না যে, এটি হারাম, হালাল, মুবাহ, মুস্তাহাব - তাঁদের কথা শুনা যাবে না, মানা যাবে না, তাঁরা ভুল বলছেন, শুদ্ধ বলছেন - এরকম কিছুই আমি বলছি না। সবাইকে আল কা(য়ে)দার সদস্য হতে হবে, বা হুবহু তাঁদের অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। সেটিও আমি বলছি না। এখানে তাদের সমালোচনা করা হচ্ছে না, আক্রমন করা হচ্ছে না। এটি কেবল একটি বিষয়ে মানুষ যেন বিভ্রান্ত না হয় তা নিশ্চিতকরণে সতর্কতামূলক বক্তব্য। এটি কেবল আল (কা)য়েদার অবস্থানের ব্যাপারে যেন বিভ্রান্তি তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য বলা হচ্ছে।
    ৪- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অনেকে অফিসিয়াল প্রতিনিধিত্ব করে না বলার কারণ হল- এটা একটি প্রসিদ্ধ বিষয় যে ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবসহ অন্যান্য কুফফার নিয়ন্ত্রিত মাধ্যমগুলো মুজাহিদদের আইডিগুলো বিশেষভাবে চিহ্নিত করে ও ডিলিট করে দেয়। এমনকি শাইখদের নামও শুদ্ধ উচ্চারণে লিখা যায়না। সাথে সাথে পোস্ট বা আইডি ডিলিট করে দেয়।
    এবং এটাও জানা কথা যে বর্তমান সময়ে জিহাদের কথা বললেই তাগুত বাহিনী তুলে নিয়ে যায়, ফলে ব্যাপকভাবে মুজাহিদিন রিয়েল আইডি দিয়েও সামাজিক মাধ্যমে আসতে পারেন না। এগুলো হল বাস্তবতা, তবুও যারা এতো নিয়ন্ত্রণ ও হুমকির পরও জিহাদের দাওয়াত ছড়িয়ে দিচ্ছেন, লেখালেখি করছেন, সেই সকল ভাই ও আলিমদেরকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন। আমীন।
    এর বাইরে আমার জানামতে আল কায়েদার মুজাহিদিন কিছু ওয়েবসাইট ও ফোরাম পরিচালনা করেন, যারা আল কা(য়ে)দার অবস্থান সরাসরি জানতে চান তারা কষ্ট করে নিচের সাইটগুলোতে যাবেন – এখানে প্রকাশিত ও রিলিজকৃত বক্তব্যের ব্যাপারে কোন অভিযোগ থাকলে সেটা করার ও তাদের দৃষ্টিগোচর করা যেতে পারে-
    বাংলাতে রয়েছে-
    Dawahilallah(DOT)com
    gazwah(DOT)net
    alfirdaws(DOT)org

    আরবিতে রয়েছে-
    sahabmedia(DOT)co
    ilmway(DOT)com

    উর্দুতে রয়েছে-
    Matboaatejihad(DOT)net
    * লিংকগুলোতে (DOT) এর বদলে . দিন।

    ৫- এ কথা ঠিক যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অফলাইনে এমন অনেক লোক আছে, যারা উলামায়ে সু’দের পাশাপাশি অনেক হক্কানি আলিমদেরও গালাগাল করে, ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়... আল্লাহ তাদের ক্ষমা করুন। এ ক্ষেত্রে দেখামতে জামাআত কায়িদাতুল জিহাদ একাধিক রচনা প্রকাশ করেছে দাওয়াতের পদ্ধতি নিয়ে। যেখানে জামাআত তার সদস্য ও সমর্থকদের প্রতি বিস্তারিত দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। আপনারা পড়ে দেখুন, আশা করি আপনাদের সংশয় কেটে যাবে।
    ৬- আরেকটি বিষয় হল- এটাও সত্য যে জিহাদি তানযিমের সাথে যুক্ত থাকার কারণে, অথবা জিহাদের আলোচনা করার কারণে অনেক দীনী প্রতিষ্ঠান থেকে আলিম ও তালাবাদের বহিস্কার করা হয়েছে। এবং আমি তো অনেকের ব্যাপারে জানি, যাকে সকল ছাত্রের সামনে অপমান করে বহিস্কার করা হয়েছে। এই রকম ঘটনার সংখ্যা খুব কমও নয়। ফরিদ মাসউদের মত অনেক আলিম আছেন, যারা উঠতে-বসতে জিহাদ ও মুজাহিদিনের সমালোচনা করেন। জিহাদের তাহরিফ করেন।
    এহেন পরিস্থিতিতে জুলুমের শিকার কোন ভাইয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ কি ক্ষমা পেতে পারে না?
    ৭- আরেকটি বিষয় হল এ ভূখণ্ডে আল কায়েদার পাশাপাশি আইএস বা সমমনা অনেক লোকও কাজ করছে। আর এটা কে না জানে যে আইএস ও আল কায়েদার নীতি আদর্শের মাঝে আকাশ পাতাল ব্যবধান রয়েছে। তো এই ধরণের লোকদের কথাবার্তা দিয়ে হক্কানি মুজাহিদদের দোষারোপ করা কি অন্যায় নয়?

    আরেকটি অভিযোগের ব্যাপারে বলতে চাই-
    তাদের সকল আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু মারকাজ বা মারকাজের কয়েকজন হুজুর? তাদের বিচ্ছিন্ন মতবাদের মৌলিক ইলমি জবাবটা মারকাজ থেকেই আসবে। তাই আগেই মারকাজের ব্যাপারে মানুষকে আস্থাহীন করতে চাচ্ছে?
    এই ধরণের কথাকে আমি তাদের প্রতি অপবাদ ও মিথ্যাচার বলেই মনে করি। মারকাজের ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত আল কায়েদার মুজাহিদিন ভাইরা কি ধারণা পোষণ করেন, তা একজনের তাদের শাইখের একটি লেখা থেকে তুলে ধরছি-
    গত ৩০শে মার্চ ২০১৯ ইং মারকাযুদ দাওয়া আলইসলামিয়া ঢাকার ফুযালাদের মজলিস প্রকাশিত“আপনে তালাবায়ে কেরাম সে চান্দ জরুরী গুযারিশাত” এর প্রেক্ষাপটে সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী ভাইদের প্রতি কিছু নিবেদন নামক রিসালায় উল্লেখ করা মুফতি আবু মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ আল মাহদী হাফিজাহুল্লাহ’র দুটি পয়েন্ট আমি তুলে দিচ্ছি-
    “এক. প্রথমে এই প্রকাশনার জন্য আমরা তাঁদের শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তাঁদের মতো ইলমি ও মান্যবর ব্যক্তিরা উম্মতে মুসলিমার সময়ের একটি গুরুত্বপুর্ণ অধ্যায়-জিহাদের ইলমি বিষয়গুলো উম্মতের সামনে তুলে ধারার প্রতি দৃষ্টি দিয়েছেন এবং সে বিষয়ে নিজেদের মূল্যবান ও প্রাথমিক মতামত প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া যদিও তা তাঁদের ফুযালাদের উদ্দেশ্য প্রকাশিত, কিন্তু তাতে ইলমী ও আমলী জীবনের এমন অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা আছে, যা স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মতো এবং একজন আলেম ও তালিবে ইলমের সফলতার অনেক বড় মাইলফলক। আল্লাহ আমাদের সকলকে তা থেকে উপকৃত হওয়ার তাওফিক দান করুন এবং তাঁদের ইলমের ছায়া আমাদের উপর দীর্ঘায়িত করুন।
    ছয়. তাছাড়া একথা সুস্পষ্ট যে, এই লেখা যাঁদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাঁদের সম্মান ও মর্যাদা আমাদের কাছে বহু কারণেই এক অনন্য উচ্চতায় সমুন্নত। বিশেষ একটি কারণ হল, আমরা এখন কাজের জন্য যাদেরকে সঙ্গে পাচ্ছি, তাঁদেরকে পাওয়ার পেছনেও তাঁদের বড় অবদান রয়েছে। কারণ আমাদের এদেশে দ্বীনি বিষয়ে `জুমূদ’ ও অন্ধ অনুসরণের যে ব্যাপক মহামারি ছিল, তা থেকে বের করে শরীয়তের বিষয়গুলোকে ইলমের আলোকে বিচার বিশ্লেষণ করার সৎ সাহস ও মানসিকতা আমাদের বর্তমান প্রজন্মকে বলা যায় তাঁরাই শিখিয়েছেন। এক্ষেত্রে অন্যদের কোনো অবদান থাকলেও, তাঁরাই যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছেন, তা কিছুতেই অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এগুলোই আমাদের কাজের মূল ভিত্তি ও প্রধান অবলম্বন। কারণ যারা ‘জুমূদ’ ও অন্ধ অনুসরণ থেকে বের হতে পারে না, তারা কখনো গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে এসে এজাতীয় হারিয়ে যাওয়া ফরীযা আঞ্জামের কাজ করতে পারে না। সুতরাং তাঁদের এই অবদানকে আমাদের মূল্যায়ন করতেই হবে।”

    তো পাঠক! এই হল মারকাজের ব্যাপারে তাদের একজন শাইখের বক্তব্য। এই আলোচনার পর তাদের উপর আরোপিত অভিযোগ সম্পর্কে আপনাদের কি ধারণা?

    জিহাদিদের শাইখ কারা?

    কিছু ভাই অনলাইনে দাওয়াতের কাজে রত কিছু ভাইকে সর্বদা মুজাহিদ ভাইদের শাইখ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন, এবং বলতে থাকেন এই গুটিকয়েক লোক-ই এদের নেতা, আর কোন নেতা নেই, সাড়া দুনিয়ার আলিমরা এদের বিপরীত ইত্যাদি। আল্লাহ এই ভাইদের ক্ষমা করুন...
    আলহামদু লিল্লাহ আমি তাদের ব্যাপারে যতটুকু জানি, তারা গর্বের সাথে বলেন ও বারবার বলেন- সাড়া দুনিয়ার হক্কানি উলামায়ে কেরাম-ই তাদের শাইখ। উলামায়ে উম্মত তাদের রাহবার। তবে এটাও ঠিক যে অনেক হক্কানি আলিম থেকেও ভুল মত প্রকাশ পেয়েছে, যার ব্যাপারে বলেন যে, আমরা অনুসরণ করি না- তো এ ব্যাপারে একজন শাইখের একটি আলোচনা আপনাদের কাছে পেশ করছি-
    গত ৩০শে মার্চ ২০১৯ ইং মারকাযুদ দাওয়া আলইসলামিয়া ঢাকার ফুযালাদের মজলিস প্রকাশিত“আপনে তালাবায়ে কেরাম সে চান্দ জরুরী গুযারিশাত” এর প্রেক্ষাপটে সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী ভাইদের প্রতি কিছু নিবেদন নামক রিসালায় উল্লেখ করা মুফতি আবু মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ আল মাহদী হাফিজাহুল্লাহ’র একটি পয়েন্ট আমি তুলে দিচ্ছি-
    “কোনো মাসআলায় আমার সঙ্গে কারো দ্বিমত হলে তাকে গোমরাহ মনে করাই বড় গোমরাহী। এমনকি বাস্তবে যদি তার অবস্থান ভুলও হয় তবুও। অন্যথায় অনুসরণ করার জন্য একজন ইমামও পাওয়া যাবে না; বরং আকাশ থেকে ফেরেশতা নামিয়ে আনতে হবে। সুতরাং এসব ক্ষেত্রে যাকে তাকে যখন তখন গোমরাহ, দরবারি আলেম, উলামায়ে সূ, বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী ইত্যাদি বিষেশণে বিষেশায়িত করা নি:সন্দেহে গোমরাহী। কিন্তু অত্যন্ত দু:খজনকভাবেই লক্ষ করছি, সামাজিক মিডিয়ায় কিছু তরুন আলেম বা তালিবে ইলম এই কাজগুলো করে যাচ্ছেন। আমরা তাদেরকে বলব, এখনো সময় আছে, তওবা করে ফিরে আসুন, নিজের মূল্যবান জীবনকে নিজের হাতে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিবেন না। একটু লক্ষ করুন, হাফেজ ইবনে আসাকির রহ. বলেন-
    “উলামায়ে কেরামের গোশত বিষমিশ্রিত। আল্লাহ কর্তৃক তাঁদের মর্যাদা ক্ষুণ্নকারীদের লঞ্ছিত করার নিয়ম সকলেরই জ্ঞাত। যে আলেমদের তিরস্কারে যবান দরাযি করে, আল্লাহ তাকে মৃত্যুর পূর্বেই অন্তরের মৃত্যুতে আক্রান্ত করেন।”
    আমাদের কাজ হল, যদি বাস্তবেই কোরআন সুন্নাহর আলোকে কারো কথা ভুল প্রমাণিত হয়, প্রথমে তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেয়া এবং এ বিষয়ে তার অনুসরণ থেকে বিরত থাকা। সংশোধন না হলে, তার ক্ষতি যদি মুসলমানদেরকে স্পর্শ করে, তাহলে তার কারণে যাদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে, তাদের সামনে ইলমের আলোকে আদাবুল ইখতেলাফের প্রতি লক্ষ রেখে ভুলটি চিহ্নিত করে দেয়া, যাতে কেউ বিভ্রান্ত না হয়। অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তি চিহ্নিত করারও প্রয়োজন নেই। তবে হাঁ, যদি তার মৌলিক আকীদা বিশ্বাস ও সামগ্রিক চিন্তা চেতনাই বিভ্রান্ত হয়ে যায় এবং তাতে মুসলমানদের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তাহলে অবশ্যই তাকে চিহ্নিত করে দিতে হবে, যাতে মানুষ অজ্ঞতাবশত তার অনুসরণ না করে।”

    সম্মানিত পাঠক! অধমের এই কথাগুলো আপনাদের আল কায়েদা ও হক্কানি মুজাহিদ ভাইদের প্রতিরক্ষাস্বরূপ হিসেবে আমি লিখেছি, যেহেতু অধম তাদের বিভিন্ন রচনাবলী পড়ে তাদের সঠিক ইতিহাস জেনেছি, ফলে কেউ না জেনে উল্টাপাল্টা লিখলে আমার অনেক খারাপ লাগে । যেহেতু বর্তমানে অপপ্রচারে জিহাদের নামে প্রচলিত সকলকে জড়িয়ে আলোচনা করা হচ্ছে, এর ফলে জনগণ বিভ্রান্তিতে পতিত হচ্ছেন, তাই এই কথাগুলো বলা জরুরী মনে করছি। সমালোচক ভাইদের প্রতি আহ্বান থাকবে- আপনারা সকলকে এক পাল্লায় মেপে সমালোচনা করবেন না। যার যেটুকু হক, তাকে তা দিন! আল্লাহকে ভয় করুন! আখেরাতের হিসাব নিকাশের ভয় করুন! আপনাদের ভাইদের প্রতি ইনসাফ করুন!
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদেরকে দ্বীনের কাজে এক ও নেক হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 01-18-2021, 07:09 PM.

  • #2
    মুহতারাম ভাই!
    সত্যই আপনি মনের গহীন থেকে সংশয় নিরসন করেছেন ৷
    অনেক সুন্দর হয়েছে ৷ আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন ৷ আমিন

    আজ ব্যাপকভাবে এ বিষয়গুলো আলোচনা হচ্ছে-দ্বীনি পরিবেশে ৷
    অনেকে বিভ্রান্তির স্বীকার হচ্ছে ৷

    আমাদের সকলের উচিত অনলাইন ও অফলাইনে এ পোষ্টটি বেশি বেশি শেয়ার করা ৷ যাতে উম্মত সত্যটা জানতে পারে ৷
    গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

    Comment


    • #3
      বারাকাল্লাহু ফি ইলমিকা ওয়া আমালিকা ওয়া ফাহমিক...আল্লাহুম্মা আমীন
      “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

      Comment


      • #4
        Originally posted by ABDULLAH BIN ADAM BD View Post
        মুহতারাম ভাই!
        সত্যই আপনি মনের গহীন থেকে সংশয় নিরসন করেছেন ৷
        অনেক সুন্দর হয়েছে ৷ আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন ৷ আমিন

        আজ ব্যাপকভাবে এ বিষয়গুলো আলোচনা হচ্ছে-দ্বীনি পরিবেশে ৷
        অনেকে বিভ্রান্তির স্বীকার হচ্ছে ৷

        আমাদের সকলের উচিত অনলাইন ও অফলাইনে এ পোষ্টটি বেশি বেশি শেয়ার করা ৷ যাতে উম্মত সত্যটা জানতে পারে ৷
        জি ভাইজান সত্য বলছেন।
        মুসলিম হয়ে জন্মেছি আমি ইসলাম আমার ধর্ম
        লড়বো আমি খোদার পথে এটাই আমার গর্ব।

        Comment


        • #5
          মুহতারাম ভাই, অনেক সুন্দর লিখেছেন! জাযাকাল্লাহু আহসানাল জাযা। আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা আমাদেরকে ইনসাফের উপর চলার তাউফীক দান করুন, আমীন।
          Last edited by tahsin muhammad; 01-19-2021, 02:54 PM.

          Comment


          • #6
            Originally posted by tahsin muhammad View Post
            মুহতারাম ভাই, অনেক সুন্দর লিখেছেন! জাযাকাল্লাহু আহসানাল জাযা। আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা আমাদেরকে ইনসাফের উপর চলার তাউফীক দান করুন, আমীন।
            ছুম্মা আমীন।
            পোস্টকারী ভাইকে অনেক মোবারকবাদ জানাই।
            Last edited by tahsin muhammad; 01-19-2021, 02:54 PM.
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment


            • #7
              আল্লাহ তায়া-লা ভাইকে উত্তম বদলা দান করুন
              সর্বদা সুস্থ সবল ও নিরাপদ রাখুন আমিন।

              Comment


              • #8
                আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে হক বুঝার ও হক পথে চলার তাওফিক দান করুন। আমীন
                ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                Comment


                • #9
                  حزاك الله بارك الله في علمك وفهمك

                  Comment


                  • #10
                    আলহামদুলিল্লাহ,, আল্লাহ মুজাহিদ ভাইদের কাজগুলো কবুল করুন আমীন।
                    বাংলাদেশে জিহাদের বাস্তবতা নিয়ে গবেষণা করা এখন সময়ের দাবী। কারণ হচ্ছে ত্বাগুতী শাসন মেনে নেয়া লোকেরা মুজাহিদ ভাইদের এগোতে দিবে মনে হয় না, এ-র উদাহরণ হলো নাস্তিক হত্যা পরবর্তী মানববন্ধন। আমার কাছে এই মানববন্ধন খুব তাৎপর্যের ছিলো। আমি যেই প্রতিষ্ঠানে এখন আছি সেখানকার ছাত্রশিক্ষক সবাই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচী পালন করেছেন। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন আমীন। যাদেরকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার সাহায্যকারী ভাবা হচ্ছিলো তারাই নিজেদেরকে পাকছাফ ঘোষণা করছে। ত্বাগুত সরকার হেফাজতকে তাড়িয়ে দিলো,হত্যা করলো, কিন্তু কী করলো???? এই প্রশ্নগুলো নিজেদের করতে হবে, ভুলে গেলে চলবে না। কারণ আমরা এদেশের ভূমিতে জিহাদের কাজ করছি। এদেশের আলিম সমাজই যদি আমাদের সাপোর্ট না দেয় তাহলে আমাদের ভেবে চিনতে কাজ করতে হবে। হক হওয়ার পরও আমাদের ছুড়ে ফেলছেন। সুপ্রিয় ভাইয়েরা, খুব সাবধানে কাজ করুন। ইনশা- আল্লাহ দ্রুতই একটি পোস্ট করবো।
                    আল্লাহ, আমাকে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন।

                    Comment

                    Working...
                    X