Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ১৫ই জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪২ হিজরি | ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ১৫ই জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪২ হিজরি | ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ ঈসায়ী

    দিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণ, বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি

    ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ইজরায়েলের দূতাবাসের সামনে শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে আচমকা প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে উঠে দূতাবাস সংলগ্ন এলাকা। জানা যায়, দূতাবাস থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে জিন্দাল হাউসে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে।

    ফুটপাতের উপর বিস্ফোরণ হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই ফুটপাতের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। দিল্লির এপিজে আবদুল কালাম রোড-এ অবস্থিত ইজরায়েলি দূতাবাস। জানা গিয়েছে, রাস্তার পাশে ডিভাইডারের উপর রাখা একটি ফুলের টবে রাখা ছিল বিস্ফোরক।

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি, দিল্লিতে ইজরায়েলের কূটনীতিকের গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল।

    উল্লেখ্য, রাজধানীর বিজয়চক থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরেই বিস্ফোরণটি ঘটেছে। সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সেখানে ‘বিটিং দ্য রিট্রিট’ অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে উপস্থিত ছিল প্রধানমন্ত্রী মালাউন নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    নোয়াখালীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ৩

    নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণাকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। এ সময় সংঘর্ষকারীরা ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ করেছে।

    গত বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে পৌরসভার রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় পৌরসভার রামপুর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে আ.লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে বিএনপি প্রার্থীর বাড়ির সামনে অন্তত ৮ থেকে ১০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলের শব্দে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করে।

    পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোতাহের হোসেন মানিক অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যায় কয়েকটি মোটরসাইকেলযোগে অন্তত ১০ থেকে ১২ জন মুখোশধারী রামপুর গ্রামের তার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা তার (মানিক) ও তার জ্যাঠাতো ভাইয়ের ঘর লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে জানালার কাচ ভাঙচুর ও বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে বাড়ির সামনে থাকা একটি নির্বাচনী প্রচার মাইক ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলে দেয় হামলাকারীরা।

    কেলে আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নৌকার সমর্থনে রামপুর এলাকায় প্রচারণায় যায়। সন্ধ্যায় তারা বিএনপি প্রার্থীর বাড়ির সামনে পৌঁছালে বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে রেদোয়ান নামে এক ছাত্রলীগ নেতাসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে জখম করে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সিরিয়ায় আরো একটি ঘাঁটি গাড়ল ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনী

      সিরিয়ার হাসাকা প্রদেশের ইয়ারুবা এলাকায় ক্রুসোর মার্কিন সামরিক বাহিনী আরও একটি ঘাঁটি স্থাপন করছে।

      সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা এ খবর জানিয়েছে।

      বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) স্থানীয় কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে সানা জানায়, ঘাঁটি স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সামরিক সরঞ্জামাদি সেখানে নেওয়া হয়েছে। হাসাকা শহরের উত্তর পূর্বে অবস্থিত আল-মালিকিয়া এলাকা থেকে ১০টি ট্রাকে করে এসব সরঞ্জাম নেওয়া হয়েছে। ইরাক সীমান্তের কাছে ইয়ারুবা এলাকাটি অবস্থিত।

      আমেরিকা দাবি করছে ’সন্ত্রাসবাদের’ বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তাদের সামরিক বাহিনী সিরিয়াতে অবস্থান করছে তবে সিরিয়ার সরকার বারবার বলছে দেশের তেল সম্পদ লুটপাটের জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

      ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় কিন্তু নানামুখী বাধার কারণে সে তার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এবং ওই বছরের অক্টোবর মাসে সিরিয়াতে নতুন করে সেনা মোতায়েন করা হয়। তখন ট্রাম্প বলেছিল, সিরিয়ার তেল ক্ষেত্রগুলোতে আমেরিকার অর্থনৈতিক স্বার্থ নিয়ন্ত্রণের জন্য সেখানে সেনা মোতায়েন করে রাখা হচ্ছে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        বাংলাদেশে আগের চেয়ে দুর্নীতি ২ ধাপ বেড়েছে



        দুর্নীতির ধারণা সূচকে আগের বছরের তুলনায় আরো দুই ধাপ নিচে নেমে এসেছে বাংলাদেশ।

        বিবিসি বাংলা জানায়, বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) কর্তৃক পরিচালিত ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০২০’-এর বৈশ্বিক প্রকাশ উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

        ১৮০টি দেশের মধ্যে ২০২০ সালে অধঃক্রম অনুযায়ী (খারাপ থেকে ভালো) বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। যা আগের বছর (২০১৯) ছিল ১৪তম।

        অর্থাৎ বাংলাদেশে দুর্নীতি বেড়েছে। অন্যদিকে দুর্নীতির পরিস্থিতি উন্নয়ন সংক্রান্ত স্কোরে ১০০ নম্বরের মধ্যে এবারসহ টানা তিন বছর বাংলাদেশ পেয়েছে ২৬।

        এর মানে টিআইএ’র তিন সূচকেই বাংলাদেশে দুর্নীতি কমেনি। করোনাকালে স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন জরুরি সেবায় যে দুর্নীতি হয়েছে, এই সূচকে তার প্রতিফলন রয়েছে।

        বাংলাদেশের এই অবস্থান এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চতুর্থ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয়।

        জামার্নভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (করাপশন পারসেপশন ইনডেক্স বা সিপিআই)-২০২০ সালের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। বৃহস্পতিবার সারাবিশ্বে একযোগে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

        এদিন বাংলাদেশে টিআইর সহযোগী প্রতিষ্ঠান টিআইবি এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং নির্বাহী ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের প্রমুখ।

        দুর্নীতি প্রতিরোধে বেশকিছু সুপারিশ করেছে টিআই। এগুলো হলো-দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, দুদককে আরও স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া এবং অবাধ গণমাধ্যম ও সক্রিয় নাগরিক সমাজ বিকাশে উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা।

        সংবাদ সম্মেলনে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এক ধরনের বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করে দুর্নীতিবাজদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে দুর্নীতির বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকর্মীদের নাজেহাল হতে হয়।

        ফলে দুর্নীতিবাজরা এতে উৎসাহিত হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আরও কয়েকটি কারণে দুর্নীতি কমানো যাচ্ছে না। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-রাজনীতিবিদদের প্রতিশ্রুতির ঘাটতি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবহিদিতার অভাব ও রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য অবস্থান সংকুচিত করে দেওয়া।

        এছাড়া গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কথা বলার সুযোগ সীমিত করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আর্থিক খাতে একের পর এক কেলেঙ্কারি ও জালিয়াতির ঘটনা ঘটলেও তাদের বিচারের আওতায় আনার দৃষ্টান্ত নেই। বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনৈতিক আনুগত্যের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।

        ড. জামান আরও বলেন, বাংলাদেশের স্কোর অপরিবর্তিত। তবে তা বৈশ্বিক গড় ৪৩-এর চেয়ে অনেক কম। এটি অত্যন্ত বিব্রতকর ও হতাশাব্যঞ্জক। ক্ষেত্রবিশেষে দুর্নীতির ঘটনা অস্বীকার কিংবা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এছাড়া অবস্থান ও পরিচয় নির্বিশেষে আইনের কঠোর প্রয়োগ হয় না।

        করোনার সংকটময় মুহূর্তে দেশের স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপকভাবে দুর্নীতির তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তখন কিছু বিষয় শুধু মৌখিক ঘোষণা দেওয়া হযেছকিন্তু এর প্রয়োগে ঘাটতি আছে। বাস্তবে এটি ঘোষণাতেই আটকে আছে।

        বিশেষ করে এই ঘোষণা বাস্তবায়ন করা যাদের দায়িত্ব, তাদের সঙ্গে দুর্নীতির যোগসাজশ রয়েছে। ফলে তারা সহায়তা করেছে। এছাড়া দুর্নীতির সুবিধাভোগীরা অত্যন্ত প্রভাবশালী।

        ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশে দুর্নীতি বাড়ছে। অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান যে পর্যায়ে, তার তুলনায় দেশ থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার হচ্ছে।

        বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে। তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আরও রয়েছে-শীর্ষ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দৃষ্টান্ত দেখা যাচ্ছে না। আর্থিক খাত, জনবল নিয়োগ এবং বিভিন্ন চুক্তি বাস্তবায়নে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) স্বাধীনতায় ঘাটতি আছে। তাদের মাঝেও দুর্নীতি হচ্ছে।

        টিআইর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্নীতির পরিস্থিতি উন্নয়ন সংক্রান্ত স্কোরে ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ২৬। এক্ষেত্রে গত তিন বছর পর্যন্ত একই অবস্থানে। কিন্তু বিশ্বের সবগুলো দেশের গড় স্কোর ৪৩। এক্ষেত্রে বিশ্বের গড় স্কোরের চেয়ে ১৭ ধাপ পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ দুর্নীতির ব্যাপকতা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

        দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে আফগানিস্তানের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। এছাড়া এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ৩১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ। বাংলাদেশের মতো একই স্কোর পেয়েছে সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিক এবং উজবেকিস্তান।

        সংবাদ সম্মেলনে ড. জামান আরও বলেন, বিশ্বের বেশকিছু দেশে নাগরিক স্বাধীনতা সংকুচিত হওয়ায় দুর্নীতি বাড়ছে। বাংলাদেশেও এই প্রবণতা দেখা যায়। আর যেসব দেশে গণমাধ্যম ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কম সুরক্ষা পায়, ওইসব দেশে দুর্নীতি বেশি।

        টিআইবির এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, আইন প্রয়োগে ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন খাতে ক্রমবর্ধমান অনৈতিক প্রভাব বিস্তার, অনিয়ম ও দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলায় দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা যায়নি।

        প্রতিবেদন অনুসারে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে ডেনমার্ক ও নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় স্থানে যৌথভাবে রয়েছে সিঙ্গাপুর, সুইডেন, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড। সর্বনিম্নে অবস্থান করছে সোমালিয়া এবং দক্ষিণ সুদান। এরপরই রয়েছে সিরিয়া, ইয়ামেন, ভেনিজুয়েলা।

        দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ভুটান। উপরের দিকে দেশটির অবস্থান ৬৮। এরপর ভারত ৪০, শ্রীলংকা ৩৮, পাকিস্তান ৩১, মালদ্বীপ ৪৩, নেপাল ৩৩ এবং আফগানিন্তান ১৯তম অবস্থানে।

        ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, দুর্নীতির ক্ষেত্রে এক ধরনের অস্বীকৃতির মানসিকতা বিরাজ করছে। কোনো কর্মকর্তার দুর্নীতির কথা বললে, সেটি অস্বীকার করা হয়। বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করলে এক্ষেত্রে হয়রানি ও নাজেহাল হতে হয়।

        এটি গণমাধ্যমকর্মী ও নাগরিক সমাজ সবার জন্য একইভাবে প্রযোজ্য। তিনি বলেন, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য কাজের ক্ষেত্র ক্রমাগত সংকুচিত হচ্ছে। এটি দুর্নীতি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অত্যন্ত বড় প্রতিবন্ধকতা।

        মানুষের কণ্ঠস্বর প্রকাশ করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে এই অধিকার সংকুচিত হয়েছে। তাই সংসদের প্রথম অধিবেশনেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করতে হবে।

        ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও অপরাধের সঙ্গে রাজনৈতিক যোগসূত্রতা রয়েছে। গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের অবস্থান এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত।

        আর্থিক ও ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ, জালিয়াতি এবং সরকারি কাজে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ইত্যাদি কারণে অবস্থানের উন্নতি হয়নি।

        দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনতে দুদক ভূমিকা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুদক দুর্নীতিবাজদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা একটি সীমারেখার মধ্যে। রাঘববোয়ালদের আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে দুদকের সক্রিয় ভূমিকার ঘাটতি রয়েছে।

        তাই সর্বোচ্চ রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির পরও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা অকার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠান এমনভাবে রাজনীতিকীকরণ হচ্ছে, যাতে সেগুলোকে এখন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বলে মনে হচ্ছে, এগুলো ঢেলে সাজানো দরকার। সূচকে এসবের প্রভাব পড়েছে।

        প্রতিবেদনে ২০১৯-২০২০ পর্যন্ত তথ্য ব্যবহৃত হয়েছে। জরিপগুলোতে মূলত ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, সংশ্লিষ্ট খাতের গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের ধারণার প্রতিফলন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তথ্যসূত্র হিসেবে ৮টি জরিপ ব্যবহৃত হয়েছে।

        এগুলো হলো- বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি পলিসি অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল অ্যাসেসমেন্ট, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এক্সিকিউটিভ ওপিনিয়ন সার্ভে, গ্লোবাল ইনসাইট কান্ট্রি রিস্ক রেটিংস, বার্টেলসম্যান ফাউন্ডেশন ট্রান্সফরমেশন ইনডেক্স, ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট রুল অব ল’, পলিটিক্যাল রিস্ক সার্ভিসেস ইন্টারন্যাশনাল কান্ট্রি রিস্ক গাইড, ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কান্ট্রি রিস্ক রেটিংস এবং ভ্যারাইটিস অব ডেমোক্রেসি প্রজেক্ট ডাটাসেট রিপোর্ট। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সিপিআই নির্ণয়ে টিআইবির কোনো ভূমিকা নেই। এমনকি টিআইবির গবেষণা থেকে প্রাপ্ত কোনো তথ্যও এখানে বিবেচনায় নেওয়া হয় না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতোই টিআইবি ধারণা সূচক দেশীয় পর্যায়ে প্রকাশ করে।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ইন্দোনেশিয়ার ক্যাম্প থেকে কয়েকশ’ রোহিঙ্গা ‘উধাও’

          ইন্দোনেশিয়ার একটি শরণার্থী শিবির থেকে হঠাৎ করেই গায়েব কয়েকশ’ রোহিঙ্গা। তারা কোথায় আছেন, কবে গেছেন তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কেউই।

          বৃহস্পতিবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রায় ৪০০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে লোকসুমাওয়ে এলাকার একটি শরণার্থী শিবিরে রেখেছিল ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ।

          তবে চলতি সপ্তাহে দেখা গেছে, সেখানে এখন মাত্র ১১২ জন রোহিঙ্গা রয়েছেন। বাকিরা কবে কোথায় গেছেন তা জানে না শরণার্থীদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা জাতিসংঘ কিংবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষও।

          লোকসুমাওয়ের রোহিঙ্গা টাস্কফোর্সের প্রধান রিদওয়ান জলিল বলেন, ‘আমরা এখনো জানি না তারা কোথায় গেছে।

          ২০১৭ সালে মিয়ানমারে সেনাদের দমন-পীড়নে অন্তত সাড়ে সাত লাখ মুসলিম রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

          মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, রোহিঙ্গাদের দেখভালের দায়িত্ব গতমাসে ইউএনএইচসিআর নেয়ার পর আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছে ইন্দোনেশীয় সরকার।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6

            নিউজিল্যান্ডের মতো সিঙ্গাপুরের মসজিদে হামলার পরিকল্পনা ছিল খ্রিস্টান সন্ত্রাসীর


            নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার মতো এবার সিঙ্গাপুরের একটি মসজিদে হামলার পরিকল্পনা করেছিল ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর সন্ত্রাসী। তবে এরই মধ্যে তাকে আটক করেছে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ। ক্রাইস্টচার্চ হামলার বর্ষপূতিতে সিঙ্গাপুরের দু’টি মসজিদে হামলা করে মুসলিমদের হত্যার পরিকল্পনা করেছিল এই কিশোর। খবর সিএনএন, আল-জাজিরা ও বিবিসির।

            প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলাকারী খুনি ব্রেন্টন ট্যারেন্ট এই কিশোরের অনুপ্রেরণা। সেও ছুরি নিয়ে আক্রমণের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি প্রচারের পরিকল্পনা করেছিল।

            সিঙ্গাপুরের ইন্টারনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট অনুসারে আটক হওয়া সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হল এ কিশোর।

            ১৬ বছরের ওই সিঙ্গাপুরী বালকের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে জানা গেছে, সে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রটেস্টান্ট খ্রিস্টান।

            দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এ কিশোর প্রচণ্ড ইসলামবিরোধিতা ও সহিংসতার মোহ থেকে আক্রমণের পরিকল্পনা করে। বাসার কাছে আসইয়াফাহ মসজিদ ও ইউসুফ ইসহাক মসজিদের হামলার উদ্দেশ্য ছিল তার। বাবার ক্রেডিট কার্ড চুরি করে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনার ইচ্ছা ছিল। তার পরিকল্পনা যে কাজ করবে সে বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল এই কিশোর। প্রথমে তার পরিকল্পনা ছিল ট্যারেন্টের মতো রাইফেল ব্যবহারের, পরে ছুরি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ সিঙ্গাপুরের কড়া আইনের কারণে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি খুব কঠিন।

            উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত অধ্যায় ধরা হয় ক্রাইস্টচার্চ হামলাকে। ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ দুটি মসজিদে গুলি করে সন্ত্রাসী ট্যারেন্ট ৫১ মুসল্লিকে হত্যা করে।
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              কাশ্মীরে স্বাধীনতাকামীদের হামলা: ১ সেনা নিহত

              জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় ভারতীয় বাহিনীর উপরে স্বাধীনতাকামীদের গ্রেনেড হামলায় ১ ভারতীয় সেনা নিহত এবং অন্য ৩ সেনা আহত হয়েছে। বুধবার সকাল সোয়া দশটা নাগাদ ওই হামলার ঘটনা ঘটে।

              চলতি বছরে স্বাধীনতাকামী হামলায় এই প্রথম সেনা সদস্যের হতাহতের ঘটনা ঘটলো। গণমাধ্যমে প্রকাশ, স্বাধীনতাকামীরা দক্ষিণ কাশ্মীরের শ্রীনগর-জম্মু মহাসড়কে সামশিপোরা খানাবল এলাকায় সেনাবাহিনীর রোড ওপেনিং পার্টির (আরওপি) সেনাদের উপরে গ্রেনেড হামলা চালায়। এরফলে চার সেনা আহত হয়।

              আহত ওই সেনাদের শ্রীনগরে সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে এক মালাউনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ সংস্থার দাবি, সন্দেহজনক এক্সপ্লোসিভ ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণের ফলে জওয়ানরা আহত হয়েছে।

              সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া প্রাথমিকভাবে ওই ঘটনাকে গ্রেনেড আক্রমণ বলে মন্তব্য করেছে।

              খবর পার্সটুডে’র
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                আল্লাহ তায়ালা আপনাদের কাজে বারাকাহ দান করুন। আমীন!
                জিহাদের মাধ্যমেই বিজয় আসবেই ইনশাআল্লাহ

                Comment

                Working...
                X