Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ১৭ ই জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪২ হিজরি | ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ১৭ ই জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪২ হিজরি | ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ ঈসায়ী

    ভারতীয় মালাউনদের দমন-পীড়ন: মানসিক চাপে হৃদরোগে মৃত্যু বাড়ছে কাশ্মীরিদের

    ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট দখলদার ভারত সরকার কর্তৃক কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর থেকে সাধারণ কাশ্মীরিরা সীমাহীন মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

    দেড় বছর ধরে কাশ্মীরিদের প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে অ-কাশ্মীরি অফিসারদের তাদের স্থলাভিষিক্ত করেছে ভারতের দখলদার সরকার। যারা কাশ্মিরের স্থানীয় প্রশাসনিক বিষয়গুলিও ভারতের পক্ষপাতদুষ্ট রাজনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে। যে কারণে প্রতিনিয়ত কাশ্মীরের নাগরিকরা নতুন নতুন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

    যেমন, এই শীতে এখন পর্যন্ত কয়েকবার প্রবল তুষারপাত হয়েছে কাশ্মীরে, কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস্তা ও বিভিন্ন এলাকার গলি থেকে বরফ হয়তো অনেক দেরিতে সরানো হয়েছে অথবা একেবারেই সরানো হয়নি। এতে সাধারণ কাশ্মীরিদের চলাচলে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।

    শীত মৌসুমে ভারি তুষারপাত ও প্রশাসনের দায়িত্বহীনতায় অবস্থা এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, কেউ কেউ বলছেন ২০১৮-এর ৫ আগস্টের পর কাশ্মীরিদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া কারফিউ ও করোনা ভাইরাসের কারণে জারি করা লকডাউনের পর কাশ্মীরে এখন যেন তৃতীয় কোন লকডাউন চলছে।

    নিম্ন তাপমাত্রা, বৈরি আবহাওয়া ও তুষারপাতের কারণে রাস্তায় গাড়ি চালানো তো দূরের কথা হেঁটে চলাচল করাও কঠিন হয়ে গেছে। যে কারণে মুমূর্ষূ রোগীদের কাছেও জরুরী সেবা পৌঁছানো যাচ্ছে না। এতে করে কেউ ইন্তেকাল করলে তার দাফন-কাফনের কাজও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। মৃতের আত্মীয়-স্বজনদের জন্যও প্রিয়জনকে শেষ মুহূর্তে একবার দেখার সুযোগ হচ্ছে না। প্রিয়জনকে হারানোর ব্যথা বুকে চাপা দিয়ে রাখতে হচ্ছে কাশ্মীরিদের।

    নিয়াজ আহমাদ একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ছিলেন। মরহুমের বাবা উত্তরাধিকার সূত্রে তাদের জন্য অনেক সম্পত্তি রেখে গেছেন। তিনি তার মা ও তিন ভাইকে নিয়ে এক সাথে থাকতেন। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে তার সুখের সংসার ছিল। কোন ধরণের আর্থিক ও পারিবারিক সমস্যায়ও ভুগছিলেন না নিয়াজ আহমাদ। তারপরও ৪৫ বছর বয়সী নিয়াজ আহমাদের হৃদযন্ত্র হঠাৎ কাজ করা বন্ধ করে দিল।

    যেকোন অবস্থায় মানুষের মৃত্যু নির্ধারিত –সেদিক বিবেচনায় এই মৃত্যু স্বাভাবিক ধরে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কাশ্মীরে দিনদিন এমন মৃত্যু উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে।

    চলতি মাসের (জানুয়ারি) প্রথম ১৮ দিনেই ৩০-এর অধিক কাশ্মীরি যুবক হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন- অবস্থা কতটা শোচনীয় তা এই সমীক্ষার দিকে নজর দিলেই বুঝে আসে।

    ২০১৮-এর ৫ আগস্টে ভারতের দখলদার সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর থেকে কাশ্মীরিদের মাঝে নিরাপত্তহীনতা ও অসহায়ত্ববোধ দিনদিন বেড়ে চলেছে।

    পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং এর সাথে যুক্ত হওয়া নতুন বিধিনিষেধের কারণে সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় যে পরিমাণ সমস্যা বেড়েছে, তা শব্দে বর্ণনা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

    একারণেই কাশ্মীরের সাধারণ নাগরিক ও যুবক শ্রেণী দিনদিন বিভিন্ন ডিপ্রেশন ও মানসিক চাপে ভুগছেন।

    প্রায় এক বছরের বেশি সময় হয়ে গেল আমি কাশ্মিরের বাইরে অবস্থান করছি। কিন্তু সেখানে আমার জানাশোনা এক ডজনেরও বেশি মানুষ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন এই সময়ের মধ্যে। যাদের অধিকাংশই ছিল যুবক।

    এদের মধ্যে আলীগড় ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আমার এক নিকটাত্মীয়ের ভাতিজি ও একজন শিক্ষকও ছিলেন। এছাড়াও আমাদের প্রতিবেশি এক নববধূর স্বামীও রয়েছেন। যাদের বিয়ের মাত্র দু সপ্তাহ পার হয়েছে।

    কাশ্মীরে কর্মরত চিকিৎসকদের মতে, গত দুই বছরে কাশ্মীরি যুবকদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। কাশ্মিরে হার্ট এ্যাটাকে মৃতের সংখ্যা ৫০ শতাংশ হতে পারে বলেও কিছু কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

    ভারতের নানামাত্রিক বিধি-নিষেধ ও জুলুমের কারণে ডিপ্রেশন এবং দীর্ঘ দিন পর্যন্ত এক জায়গায় বন্দী থাকাকে কাশ্মিরীদের হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার বড় একটি কারণ বলে মত বিশ্লেষকদের।

    দীর্ঘ দিনের কারফিউ এবং দমন পীড়নের কারণে কাশ্মিরীদের নিজেদের ঘর-বাড়ি ও এলাকায় বন্দী জীবন পার করতে হচ্ছে প্রায় দুবছর ধরে।

    দিনদিন ভারতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আইন প্রয়োগ কেড়ে নিয়েছে কাশ্মিরীদের হাসি-খুশি স্বাভাবিক জীবন। একারণেই কাশ্মীরিদের মাঝে নানারকম ডিপ্রেশন দেখা দিচ্ছে, সাথে বেড়ে চলেছে হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যু।

    গেন্ডারব্যাল এলাকার আবদুল সামাদ খান্দে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার লাশ বাড়িতে পৌঁছালে তার ছোট বোন রাজা বানু সেই দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আল্লাহ তায়ালা কাশ্মীরিদের জীবন সহজ করুন।

    ডেইলি জং
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    সন্ত্রাসী ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দিল কসোভো
    সন্ত্রাসী ইসরায়েলের সাতে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দিল ইউরোপের মুসলিম দেশ কসোভো। আগামী সপ্তাহে এ নিয়ে দুই দেশের মধ্য একটি চুক্তি সম্পন্ন বলে প্রিস্টিনা সরকার জানিয়েছে।

    আরব নিউজের মাধ্যমে জানা যায়, সন্ত্রাসী ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টিকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন কসোভোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলিজা হারাদিনাজ স্তুবেলা।

    গত শুক্রবার সে জানায়, ১ ফেব্রুয়ারি একটি ভার্চুয়াল আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে ইসরায়েলের সাতে কসোভোর চুক্তি সম্পন্ন হবে।

    ক্ষমতা ছাড়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সমঝোতা করেন। গত বছর ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো সন্ত্রাসী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কে গড়ে।

    মেলিজা হারাদিনাজ বলেছে, ‘ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে পারা কসোভোর জন্য অন্যতম সেরা অর্জন। এটা আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এর জন্য আমাদের উভয়ের চিরস্থায়ী মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানাই।’

    গত সেপ্টেম্বরে হোয়াইট হাউসে কসোভো-সার্বিয়ার নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় যে, কসোভোর ইসরায়েলের সাতে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করবে।

    একই সাথে সার্বিয়াও রাজি হয়, ইসরায়েলে তাদের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করার। ২০১৭ সালে প্রবল বিরোধিতার মধ্যে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা দেয় ক্রুসেডার ট্রাম্প। পরের বছর জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করে উদ্বোধন করে ট্রাম্প।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সুন্নি সংগঠনের প্রধানকে ফাঁসি দিল ইরান

      সুন্নি মুসলিমদের সংগঠন জাইশ আল-আদলের প্রধান জাভিদ দেহগানকে ফাঁসি দিয়েছে শিয়া সন্ত্রাসী ইরান। তার বিরুদ্ধে রেভ্যুলুশনারি গার্ডের দুই সদস্যকে হত্যার কথিত অভিযোগ এনেছে তেহরান।

      ইরানের বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে তাঁকে ফাঁসি দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে।

      উল্লেখ্য যে, ইরানে সুন্নি মুসলিমদের নানা জুলুম-নির্যাতনের শিকার হতে হয়। অসংখ্য সুন্নি মুসলিমকে বিভিন্ন ইস্যুতে ফাসি দিয়েছে ইরান। শিয়ারা সুন্নি মুসলিমদের প্রতি এতটাই বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে যে দেশটিতে উসমান, উমর, আয়েশা নাম পর্যন্ত রাখতে পারেনা।

      https://ibb.co/gyHkST1
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        এবার ক্যালিফোর্নিয়ায় করাত দিয়ে কাটা হল গান্ধীমূর্তি



        আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার ডেভিস অঞ্চলে করাত জাতীয় কিছু দিয়ে কেটে ভাঙা হয়েছে গান্ধীর মূর্তি।

        ক্যালিফোর্নিয়ার ডেভিস অঞ্চলের সেন্ট্রাল পার্কে সাড়ে ছ’ ফুট লম্বা ৬৫০ পাউন্ড (২৯৪ কেজি) ব্রোঞ্জের মূর্তিটিকে গোড়ালি থেকে করাত জাতীয় কিছু দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। মুখাবয়বের অর্ধেক কিছু অংশ কেটে ফেলা হয়েছে এবং সেই অংশ উধাও। পার্কের এক কর্মীর চোখে ২৭ জানুয়ারি সকালে প্রথম এই ঘটনা ধরা পড়ে।

        ঠিক কখন এই ঘটনা ঘটেছে তা তদন্তকারীরা এখনও জানতে পারেননি।ভারত সরকারের পক্ষ থেকে চার বছর আগে বসানো হয় মূর্তিটিকে।

        তবে, মূর্তি বসানোর সময় প্রবল বিরোধিতা করেছিল কিছু গান্ধী-বিরোধী এবং ভারত-বিরোধী সংগঠন। এদের নেতৃত্বে ছিল অর্গানাইজেশন ফর মাইনরিটিজ ইন ইন্ডিয়া (ওএফএমআই)। বিরোধিতা সত্ত্বেও মূর্তি বসানোর পক্ষেই ভোট দেয় ডেভিস প্রশাসন। তারপর থেকে গান্ধীমূর্তি সরানোর দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিল ওএমএফআই।

        সূত্র: আজকাল
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ফ্রান্সে ইসলাম বিরোধী হামলা গত বছর বেড়েছে ৫৩ শতাংশ

          ফ্রান্সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাইটগুলোতে ইসলাম ও মুসলমানদের সম্পর্কে মিথ্যাচার এবং মুসলিম বিরোধী ঘৃণ্য ইমেল এবং বার্তা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

          গত বছরের তুলনায় ফ্রান্সে ইসলামবিরোধী আক্রমণ ৫৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনা দেখা গেছে।

          ফরাসী ইসলামিক কাউন্সিলের অধিভুক্ত ফরাসি ইসলামোফোবিয়া ওয়াচ হাউজের সভাপতি আবদুল্লাহ যিকরী এক লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, দেশে সবচে বেশি রোহান্স, আল্পস, পাচা এবং প্যারিসে মুসলমানবিরোধী আক্রমণ চালানো হয়েছে।

          গত বছর মুসলমানদের উপর ২৩৫ টি হামলার কথা উল্লেখ করে যিকরী বলেন, এক বছর আগে এই সংখ্যা ছিল ১৫৪ টি। এছাড়াও, ২০২০ সালে মসজিদে হামলার পরিমাণ ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

          তিনি বলেন, গত বছর সিএফসিএম কেন্দ্র বা এর দায়িত্বশীলদেরকে হুমকিপূর্ণ চিঠি পাঠানো হয়। সামাজিক যোগাযোগের সাইটে ইসলাম ও মুসলমানদের সম্পর্কে মিথ্যাচার এবং মুসলিম বিরোধী ঘৃণ্য ইমেইল বার্তা ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

          ইসলাম ও সন্ত্রাসবাদের মধ্যে কোনও যোগসূত্র নেই বলে জোর দিয়ে যিকরী উল্লেখ করেন যে, ফ্রান্সে মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মীয়দের ধর্মীয় স্বাধীনতা উপভোগ করা উচিত।

          টিআরটি
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            রায়গঞ্জের ইউএনও ও এসি ল্যান্ডের ক্ষমতার অপব্যবহার

            রায়গঞ্জ উপজেলার ইউএনও ও এসি ল্যান্ডের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করা হয়েছে।

            রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বগুড়ার শেরপুরের বাসিন্দা মো: তৌহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের পক্ষে ওই আবেদনটি দায়ের করেন।

            আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, গত ২ ডিসেম্বর ২০২০ আবেদনকারীর ডেইরি ফার্মে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার এসি ল্যান্ড সুবির কুমার দাসের সাথে আবেদনকারীর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছোট ভাই আহসান হাবিবের সামান্য ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। পরে আবেদনকারীর আরেক ছোট ভাই একটি সরকারি কলেজের শিক্ষক তারিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে মিটমাট হয়ে যায়।

            কিন্তু ঘটনার ১ ঘণ্টা পর এসি ল্যান্ড রায়গঞ্জ থানার ১০ পুলিশ সদস্যকে আবেদনকারীর শেরপুরের বাড়িতে পাঠান। পুলিশ সদস্যরা ওই ঘটনায় খোঁজ খবর নেন। তারা আহসান হাবিবকে থানায় গিয়ে এসি ল্যান্ডের কাছে আরো একবার সরি বলার জন্য বলেন। আহসান যাবেন বলে জানান। কিন্তু পুলিশ স্থান ত্যাগ করার সময় আবেদনকারীর ছোট ভাই আরিফুল ইসলামকে ধরে থানায় নিয়ে যান।
            পরে উপজেলায় মোবাইল কোর্ট বসিয়ে এসি ল্যান্ড আরিফুলকে ২ মাসের কারাদণ্ড দেন। একই দিন এসি ল্যান্ডের নির্দেশে আবেদনকারীর ভাই তারিকুল ইসলামকে বেদম প্রহার করা হয়। ওই দিনেই রায়গঞ্জ উপজেলার ইউএনও তার প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রংপুর কারমাইকেল কলেজ, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের চিঠি পাঠান।

            তিনি আরো একটি চিঠি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডিন ও সভাপতি বরাবর পাঠান। ওই চিঠিতে তিনি আবেদনকারীর ছোট ভাই আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

            মোবাইল কোর্টের আদেশের কপি পাঁচ দিনের মধ্যে সরবরাহ করার বিধান থাকলেও ২৩ দিন পর তার আদেশ দেন। ঘটনার দিন থেকেই আবেদনকারীর পরিবার প্রশাসনিক হুমকির শিকার হচ্ছেন।

            এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে আবেদনকারী জনপ্রশাসন সচিব, জেলা প্রশাসক বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু এখনো ইউএনও ও এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। নয়া দিগন্ত
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment

            Working...
            X