Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ২৭ শে জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪২ হিজরি | ১০ই ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ২৭ শে জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪২ হিজরি | ১০ই ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ঈসায়ী

    কাশ্মীরে শহীদ ছেলের লাশ চাওয়ায় পিতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের মামলা

    ভারত দখলকৃত কাশ্মীরে শহীদ ছেলের লাশ হস্তান্তরের জন্য পুলিশের নিকট দাবি জানালে ভারতীয় মালাউন পুলিশ ছেলেটির ৪০ বছর বয়সী বাবার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের মামলা করেছে।

    গত (মঙ্গলবার ৯ ফেব্রুয়ারি) ডেইলি জং ঊর্দূ আরব নিউজের বরাত দিয়ে জানায়, পুলিশের দাবি, ৩০ ডিসেম্বর বারমুল্লা জেলায় সেনাবাহিনীর সাথে কথিত সংঘর্ষে নিহত তিন যুবকের মধ্যে মোশতাক ওয়ানির ১৬বছরের ছেলে আতহার মোশতাকও ছিলো। কিন্ত যুবকদের পরিবার জানিয়েছে, তারা ছাত্র ছিল।

    যুবকের পিতা আরব নিউজকে বলেন, আমি কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বলেছি, আমার সন্তান সরকারবিরোধী এবং নাশকতামূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকলে প্রমাণ দেখান৷ কিন্ত তারা কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।

    সুত্র অনুসারে, পরিবারের সদস্যদের প্রতিবাদ এবং যুবকের নির্দোষ প্রমাণ হওয়ার পরেও স্থানীয় প্রশাসন তিন যুবককে নিজেদের জেলা পুলওয়ামার ১০০ কিলোমিটার দূরের এক গ্রামের কবরস্থানে দাফন করে।

    আতহার মোশতাক একাদশ শ্রেণির ছাত্র এবং পিতা-মাতার একমাত্র ছেলে ছিল। মুশতাক ওয়ানী বারবার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলেন, যাতে তাঁর ছেলের লাশ গ্রামের পূর্বপুরুষদের কবরস্থানে দাফনের জন্য হস্তান্তর করে। কিন্ত পুলিশ তা মানেনি৷

    স্থানীয় পুলিশ এখন “উস্কানি ও নাশকতামূলক কর্মকান্ড নির্মূলে ” বাধা দেওয়ার অভিযোগে মোশতাক ওয়ানিসহ তার আরও ছয় আত্মীয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

    মোশতাক ওয়ানী ও তার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে ‘‘অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধ আইনে’’ মামলা করা হয়েছে, যেই মামলা থেকে আদালতে জামিন পাওয়া যায় না।

    পুলওয়ামার সিনিয়র পুলিশ সুপার অশীষ কুমার মিশ্রা আরব নিউজকে বলেন, এই মামলাটি অবৈধভাবে লোক জমায়েত করা এবং অবৈধ কার্যকলাপের জন্য দায়ের করা হয়েছে।

    গত বছরের এপ্রিল থেকে, ভারত সরকার অজানা কবরস্থানে নিহত স্বাধীনতাকামীদের লাশ তাদের নিজ শহর থেকে দূরে কবর দেওয়ার নীতি অনুসরণ করে আসছে, ফলে নিহতদের পরিবারকে দাফন-কাফনের কাজে অংশ নেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মুসলিমদের দোষারোপ করতে বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরকারী ক্ষিতিশ চন্দ্র রায়কে আটক

    দিনাজপুর চিরির বন্দরে বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরকারী ক্ষিতিশ চন্দ্র রায়কে (৪৫) হাতেনাতে আটক করা হয়েছে।
    গত শনিবার তাকে দিনাজপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আটক ক্ষিতিশ চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের নান্দেড়াই গ্রামের পঞ্চায়েত পাড়ার মৃত ধীরেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে।
    থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বেশ কয়েক দিন ধরে উপজেলার দুটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি কালীমন্দিরসহ অন্যান্য মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রহস্য উদঘাটনের জন্য মন্দিরে মন্দিরে পাহারা বসানো হয়। গত শুক্রবার রাত ১১টার পরে ক্ষিতিশ উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের আন্ধারমূহা কালীমন্দির, বটতলী কালীমন্দির, সাঁইতাড়া ইউনিয়নের কালিতলা বাজারসংলগ্ন কালীমন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের চেষ্টা করে। এ সময় বাধা পেয়ে সে পালিয়ে যায়, পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

    বাংলাদেশে প্রায়ই শোনা যায় হিন্দুদের মন্দির মুসলিমরা ভাঙছে! কিন্তু এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় না। বেশিরভাগ মন্দির এবং হিন্দুদের বাড়িঘর নিজেরাই নিজেদেরটা ভেঙ্গে মুসলিমদের উপর দোষ চাপিয়ে সংখ্যালঘু রাজনীতির ফায়দা নেয়ার অপচেষ্টা করে। কারণ বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু বললেই ব্যাপক সুযোগ সুবিধা! ছোট্ট টিনের ঘর ভাংলে সরকারি অনুদানে বিল্ডিং ঘর পাওয়া যায়, অচেনা-অজানা মন্দিরের দুইটা প্রতিমা ভাংগা দেখাতে পারলে পুরো মন্দিরকেই সরকার বড় করে দেয়। এসবই লোভের বশবর্তী ও মুসলিমদের দোষারোপ করার জন্যে সুবিধাবাদী হিন্দুরা এসব করে থাকে। বাস্তবেও দেখা যায় মুসলিমরা নয় হিন্দুরা নিজেরাই নিজেদের মন্দির ভেঙ্গে সরকারের থেকে সুবিধা নেয় এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।
    ফলে কিছুদিন পরপর ভারতের মালাউন দাদা বাবুরা বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন হচ্ছে বলে চেঁচামেচি শুরু করে। যদিও তারাই ভারতে মুসলিমদের উপর নানা মাত্রিক অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। আর বাংলাদেশে হিন্দুরা সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      কুমিল্লায় মাহফিলে আক্রমণ, আয়োজকদের হত্যার হুমকি দিল স্বঘোষিত সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান
      কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে ওয়াজ মাহফিলের শ্রোতাদের উপর আওয়ামী গুন্ডাবাহিনীর হামলা এবং আয়োজক ও উপস্থিত শ্রোতাদের হত্যার হুকমি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত ৭ই ফেব্রুয়ারি এই বর্বর হামলা চালানো হয়।

      কুমিল্লার গোবিন্দপুরে পূর্বঘোষিত ওয়াজ মাহফিলে আমন্ত্রিত আলোচক মাওলানা হাসিবুর রহমানের আলোচনা চলাকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও লাকসাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দীন শামীম মঞ্চে উঠে প্রথমে ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে বক্তার আলোচনা থামিয়ে দেয়। এরপর মাইক হাতে নিয়ে মাহফিলের আয়োজক ও ধর্মপ্রাণ শ্রোতাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়। ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান শামীমের ভাষ্য ছিল নিম্নরূপ:

      “ আমি পরিষ্কার ভাষায় বলে দিলাম। আমার সামনে চোখ রাঙিয়ে যারা কথা বলছে আগামীদিন আমি তাঁদের মায়ের... (সংযত হয়ে) কসম করে বললাম, তাঁদের মায়ের পেটের বাচ্চা পর্যন্ত আমি মেরে ফেলব। আমি সন্ত্রাসী থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি। আমি গুণ্ডা... আমি বলে দিলাম, যে চোখ রাঙিয়ে কথা বলছে তাঁর লাশ খুঁজে পাবিনা তোরা। আয়... তোরা আয়। আয়... কার কি ক্ষমতা আছে আয়। ওর লাশ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারিবি না লাকসামের মাটি থেকে। দেখি তোরা আজ কীভাবে বাড়ি যাস আমি দেখব। আমার সমস্ত লোক রেডি আছে।"

      সন্ত্রাসী আওয়ামী নেতা শামিম আরো বলে, "এটা আওয়ামী লীগ শাসিত সরকারের আমল, খবরদার বলে দিলাম শান্তিপূর্ণভাবে এলাকায় বসবাস করছেন, আমরা শান্তি বিনষ্ট করি নাই, আমরা ঘর থেকে তুলে আনবো সে ব্যবস্থা আমাদের আছে।"

      আওয়ামী লীগ নেতা শামীমের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের পর আলোচক মোনাজাতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক মাহফিল শেষ করতে বাধ্য হন। মাহফিল শেষ হবার সাথে সাথে শামীমের গুন্ডাবাহিনী উপস্থিত শ্রোতাদের উপর উপর্যুপরি সশস্ত্র হামলা চালায়। মাওলানা হাসিবুর রহমানের ভাষ্য মতে মসজিদে আশ্রয় নেয়া সাধারণ মুসল্লিরাও এই বর্বর আক্রমণ থেকে রেহাই পাননি।

      ওয়াজ শুনতে আসা শ্রোতাদের বেশকিছু মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, আলোচক মাওলানা হাসিবুর রহমানের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এই হামলার ঘটনায় প্রচুর সাধারণ ধর্মপ্রাণ শ্রোতা আহত হয়েছেন। তাদেরকে কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হবার পরও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি দেশের কথিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ কারণে লীগ-সন্ত্রাসীদের ভয়ে জনমানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        নির্বিচারে মালাউনদের সীমান্ত হত্যা: কড়া সমালোচনা করল এইচআরডাব্লিউ

        আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের নতুন অভিযোগগুলোর তদন্ত ও বিচারের আহ্বান জানিয়েছে।

        মঙ্গলবার সংস্থাটি জানায়, দশ বছর আগে ভারত সরকার ‘ট্রিগার হ্যাপি’র ঘোষণা দেয়। সেখানে বলা হয়েছিল, বিএসএফ সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণনাশী গুলির পরিবর্তে রাবার বুলেট ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হবে।

        কিন্তু, বিএসএফ সীমান্তে বাসিন্দার ওপর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, দুর্ব্যবহার ও অসদাচরণ করে যাচ্ছে।

        হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, ‘সীমান্ত বাহিনীর সংযত আচরণ ও মারণাস্ত্র ব্যবহার সীমিত রাখার ভারত সরকারের আদেশের পরেও হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধ কমেনি।’

        তিনি আরও বলেন, ‘সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহি করতে সরকারের ব্যর্থতা একে আরও খারাপ পর্যায়ে নিয়ে গেছে এবং এতে দরিদ্র ও দুর্বল জনগোষ্ঠী নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।’

        প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্তে সংযত থাকা ও হত্যাকাণ্ডের অবসান ঘটাতে ভারত সরকার আদেশ জারির পর, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আলোচনার সময়ও এ বিষয়ে বাংলাদেশকে আশ্বাস দিয়েছে। তবে, বাংলাদেশি মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ অভিযোগ করেছে ২০১১ সাল থেকে সীমান্তরক্ষী বাহিনী অন্তত ৩৩৪ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে এবং ২০২০ সালে ৫১টি হত্যাসহ গুরুতর নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছে।

        একটি ভারতীয় সংস্থা বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (এমএসইউএম) বলেছে, ২০১১ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বিএসএফ কমপক্ষে ১০৫টি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। হত্যার প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

        সংস্থাটি আরও জানায়, বিএসএফ সেনারা নির্বিচারে সন্দেহভাজনদের আটক করে নির্যাতন করে এবং সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের হয়রানি ও হুমকি দেয়।

        সাম্প্রতিক সময়ে অভিযোগের মধ্যে কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এর মধ্যে ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলায় বিএসএফ সৈন্যরা ১৬ বছর বয়সী শমসের প্রামাণিককে মারধর করে ও পরে গুলি করে হত্যা করে। শমসের সে সময় সীমান্ত পেরিয়ে গরু নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। ২০২০ সালের ৯ আগস্ট বিএসএফের এক সৈনিক কুচবিহার জেলায় সাহিনুর হককে (২৩) গুলি করে হত্যা করে।

        কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, ২০২০ সালের ১৯ এপ্রিল বিএসএফের এক সৈনিক বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার ১৬ বছর বয়সী বাংলাদেশি ছেলে সিমন রায়কে হত্যা করে। বিএসএফ সেনা বাংলাদেশের ভূখণ্ডের ভেতরে ঢুকে ছেলেটিকে পেটে গুলি করে বলে অভিযোগ করে সিমনের বাবা।

        ২০২০ সালের ৪ জুলাই বিএসএফ সেনারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৫০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশিকে গুলি করে বলে অভিযোগ আছে। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানান, লোকটি গবাদি পশুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে অজান্তে সীমান্ত অতিক্রম করার পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে হত্যা করে।

        স্থানীয় বাসিন্দা ও নেতাকর্মীরা এসব আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় অভিযোগ করা ও ন্যায়বিচার পাওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে হুমকি ও ভয় দেখানো হয়েছে। এমএসইউএম কর্মীরা জানান, তারা পুলিশ ও বিএসএফের কাছ থেকে নিয়মিত হয়রানির শিকার হন। তাদেরকে বিনা বিচারে আটকে রাখা হয় এবং মিথ্যা অপরাধের অভিযোগ দেওয়া হয় তাদের বিরুদ্ধে।

        হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জানামতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বিএসএফ সেনাদের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নির্যাতনের জন্য দায়ী করেছে এমন কোনো ঘটনা জানা নেই।

        এর মধ্যে, ২০১১ সালের জানুয়ারিতে বিএসএফ এর এক বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২০১৩ ও ২০১৫ সালে বিশেষ বিএসএফ আদালতে দুই দফায় বিচার হয়। তবে, আদালত ওই ঘটনায় অভিযুক্ত বিএসএফ কনস্টেবলকে খালাস দেয়। মামলায় নতুন করে তদন্তের আবেদন এখন ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মুলতবি আছে।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          গোলানে ইসরায়েলি দখলদারিত্বে ট্রাম্পের নীতিতে বাইডেনও

          অধিকৃত গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কাছাকাছি গিয়েও থেমে গেছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকিন। তবে ওই ভূখণ্ডটি ইসরায়েলিদের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছে এই ক্রুসেডার।

          অর্থাৎ ওই ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্বে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বীকৃতি থেকে সরে আসছে না তার উত্তরসূরি জো বাইডেনও।

          ২০১৯ সালে ওই মালভূমিকে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে ক্রুসেডার ট্রাম্প।

          ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে সিরিয়ার কাছ থেকে ওই অঞ্চলটি দখল করে নেয় ইসরায়েল।

          পরে ১৯৮১ সালে নিজেদের ভূখণ্ডের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দেয় অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রটি। যদিও আন্তর্জাতিকভাবে এখন পর্যন্ত তেমন স্বীকৃতি মেলেনি।

          সিএনএনকে ব্লিংকিন বলেন, বাস্তবতার নিরিখে এই পরিস্থিতিতে গোলান মালভূমির নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর বৈধতার প্রশ্ন ভিন্ন কিছু। ধীরে ধীরে সিরিয়ার পরিস্থিতিতে যদি পরিবর্তন আসে, যা আমরা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু আমরা এসব কিছু ধারে-কাছে নেই।

          আর গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে আসবে না বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা জানিয়েছিল।

          জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস রাখার পক্ষেও বাইডেন প্রশাসনের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে অ্যান্থনি ব্লিংকিন।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ১ বছরে জার্মানিতে ৯০১ মুসলিম বিদ্বেষী হামলা

            ইউরোপের দেশ জার্মানিতে ইসলাম ফোবিয়া ও মুসলিম বিদ্বেষী হামলা দিন দিন বাড়ছে। ২০২০ সালে দেশটিতে এমন অন্তত নয় শ’ একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে সোমবার জার্মান এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

            নয়ার অজনাব্রুকার জাইটুংয়ে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে নয় শ’ একটি মুসলিম বিদ্বেষী হামলার ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় দুই ভাগ বেশি। ২০১৯ সালে জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আট শ’ ৮৪টি মুসলিম বিদ্বেষ সংশ্লিষ্ট অপরাধের কথা জানিয়েছিল।

            দেশটিতে স্থাপনার দেয়ালে নাৎসি চিহ্ন আঁকা, লিখিত হুমকি দেয়া, মুসলিম নারীদের স্কার্ফ টেনে খোলাসহ জার্মানিতে বাস করা মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আক্রমণাত্বক অপরাধ বেড়েছে।

            জার্মান লেফট পার্টির সদস্য উলা জেলপকে হামলার এই তথ্যকে ‘হিমশৈলের চূড়া’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

            জেলপকে বলেন, বেশিরভাগ ভুক্তভোগীই ভয় বা লজ্জা থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেন না।

            সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জার্মানিতে বর্ণবাদ ও মুসলিমবিরোধী ঘৃণার বিস্তার ঘটছে। নিও-নাৎসি গোষ্ঠীগুলো ও উগ্র জাতীয়তাবাদী বিরোধী রাজনৈতিক দল অল্টারনেটিভ অব জার্মানি (এএফডি) এই ঘৃণা ছড়িয়ে দিতে প্রচারণা-প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে।

            আট কোটির বেশি জনসংখ্যার দেশ জার্মানিতে পশ্চিম ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠীর বাস। দেশটিতে প্রায় ৪৭ লাখ মুসলমান বাস করছেন।

            সোমবারের জার্মান সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, অপরাধকারীরা বেশিরভাগই উগ্র জাতীয়তাবাদী। ২০২০ সালে জার্মানিতে মুসলিম বিদ্বেষী এই সকল অপরাধে দুইজন নিহত ও ৪৮ জন শারীরিকভাবে আহত হয়েছেন।

            গত বছর জার্মান লেফট পার্টির পরিচালিত এক তদন্তে দেখানো হয়, ২০১৯ সালে জার্মানিতে বছরের প্রতি দ্বিতীয়দিন কোনো না কোনো মসজিদ, মুসলিম সংস্থা বা ধর্মীয় প্রতিনিধিত্বকারী স্থাপনা ইসলামোফোবিক হামলার শিকার হয়েছে।

            সূত্র: ডেইলি সাবাহ
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              কাশ্মীরে শহীদ ছেলের লাশ চাওয়ায় পিতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের মামলা

              রাত যত গভীর হয়, প্রভাত তত নিকটে রয়।
              Last edited by Munshi Abdur Rahman; 02-11-2021, 10:57 AM.
              “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

              Comment

              Working...
              X