Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ৪ঠা রজব ১৪৪২ হিজরি | ১৭ ই ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ৪ঠা রজব ১৪৪২ হিজরি | ১৭ ই ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ঈসায়ী

    অনিয়ম দেখেও নীরব থাকে ইসি



    পৌরসভা নির্বাচনে ভোট কেমন হবে, তার ইঙ্গিত বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের বক্তব্যে আগেই পাওয়া যাচ্ছিল। গত রোববার চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত ৫৫টি পৌরসভা নির্বাচনের আগেই প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট দেওয়া, কেন্দ্রে আসার আগেই ভোটারদের আটকে দেওয়া এবং বিএনপির নেতা-কর্মীদের এলাকাছাড়ার হুমকি দিয়েছিল আওয়ামী লীগের তিনজন নেতা। এসব ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যত কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভোটের দিন অনেক পৌরসভাতেই ওই নেতাদের বক্তব্যের প্রতিফলন ঘটতে দেখা গেছে।

    যদিও চতুর্থ ধাপের ভোটে অনিয়ম, সংঘাত হবে না বলে আশার বাণী শুনিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বলা হয়েছিল, ভোটকেন্দ্রে গোপন বুথের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি বদলায়নি। সংঘাত, প্রাণহানি, ভোটকেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়া, পছন্দমতো ভোট দিতে না পারা এবং গোপন বুথে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের অবস্থান নেওয়াসহ নানা অনিয়ম দেখা গেছে।

    চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা, লক্ষ্মীপুরের রামগতি এবং ঠাকুরগাঁওয়ের পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন নেতার বক্তব্যের ভিডিও ভোটের আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল (ছড়িয়ে পড়া) হয়। যেখানে চুয়াডাঙ্গার আওয়ামী লীগ নেতা প্রতিপক্ষকে ভয়ভীতি ও দলীয় কর্মীদের অনিয়ম করে ভোট দেওয়ার ‘কৌশল’ বলে দেন। লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা বলেছেন, ইভিএমে নৌকার বাইরে ভোট দিলে ধরে ফেলা যায়। আর ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের এক নেত্রী বলেছিলেন, নৌকায় ভোট না দিলে ভোটকেন্দ্রে আসার দরকার নেই। তিনটি ঘটনাতেই ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে ইসি কার্যত নীরব ছিল।

    এসব বিষয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনের অধঃপতনের যেটুকু বাকি ছিল, এবারের পৌর নির্বাচনে তা হয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার বিষয়ে ইসি কী ব্যবস্থা নিয়েছে? ইসির নিয়ন্ত্রণ থাকলে এগুলো হয় কী করে? তিনি বলেন, গণমাধ্যমে খবর আসছে, বুথে একজন ‘সহযোগিতা করার’ জন্য বসে থাকেন। যেসব কেন্দ্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে পত্রপত্রিকায় এসেছে, সেখানকার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন? ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি এমনই থাকবে।

    গত রোববার অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে পথে পথে ভোটারদের বাধা দিতে দেখা গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভোটারদের প্রকাশ্যে ভোট দিতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেখানে একটি কেন্দ্রে মেয়র পদের ইভিএম যন্ত্র গোপন কক্ষের বাইরে রেখে ভোট নিতে দেখা গেছে। বিভিন্ন জায়গায় ভোট দেওয়ার গোপন বুথে ক্ষমতাসীন দলের কর্মী–সমর্থকেরা অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন। ঠাকুরগাঁও পৌরসভার আর কে স্টেট উচ্চবিদ্যালয়ের কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বুথে অবস্থানকারীরা বলেছেন, তাঁরা ‘ভোটারদের সহযোগিতা’ করছেন। এর আগের ধাপের নির্বাচনগুলোতেও অনেক পৌরসভায় একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কারা রামমন্দিরের জন্য চাঁদা দিচ্ছে না তাদের তালিকা তৈরি করে রাখছে আরএসএস



    ভারতে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের জন্য কারা চাঁদা দিচ্ছে আর কারা দিচ্ছে না, ‘নাৎসি কায়দায়’ আরএসএস তা চিহ্নিত করে রাখছে। এইচ ডি কুমারাস্বামী এ অভিযোগ করেছে।

    অন্যায়ভাবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অযোধ্যায় শহিদ বাবরি মসজিদের স্থানে রামমন্দির বানানো অনুমতি দেয়। তারপর থেকেই সারা দেশ জুড়েই অর্থ সংগ্রহ অভিযান চালাচ্ছে হিন্দু ট্রাস্ট।

    তবে সেই চাঁদা তোলার নামে নানা রাজ্যেই মুসলমানদের উপর হামলা হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলা থেকে রেহাই পায়নি আল্লাহ তায়ালার ঘর মসজিদও।

    বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরাও দেশের নানা প্রান্তে ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মন্দিরের জন্য চাঁদা তুলছে।


    এই পটভূমিতেই মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন কর্নাটকের সিনিয়র রাজনীতিবিদ এইচ ডি কুমারাস্বামী, একের পর এক টুইট করে তিনি দাবি করে কোন কোন বাড়ি থেকে মন্দিরের জন্য চাঁদা দেওয়া হচ্ছে আর কারা দিচ্ছে না আরএসএস সেগুলোকে চিনে রাখছে।

    সে আরো মন্তব্য করে “ঠিক যেভাবে নাৎসি জমানায় হিটলার করেছিল, তার শাসনে মৃত্যু হয়েছিল লক্ষ লক্ষ মানুষের,”

    কর্নাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কুমারাস্বামীর অভিযোগ অবশ্য আরও গুরুতর – তিনি দাবি করছেন, কারা রামমন্দিরের জন্য চাঁদা দিচ্ছেন না তাদের তালিকা তৈরি করে রাখছে আরএসএস।

    জার্মানিতে নাৎসি পার্টি আর ভারতে হিন্দুত্ববাদী আরএসএস যে একই সময়ে ও একই ধরনের আদর্শ নিয়ে গড়ে উঠেছিল, ঐতিহাসিকদের উদ্ধৃত করে সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে।

    এদিকে, স্বেচ্ছায় যারা রামমন্দির নির্মাণে অর্থ দিতে রাজি নন – তাদের শত্রু হিসেবে চিনে রাখা হচ্ছে,

    উল্লেখ্য, মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী বাবরি মসজিদকে শহিদ করে সে স্থানে মালাউনদের রাম মন্দির বানানো হচ্ছে। যেখানে আগে এক আল্লাহর ইবাদত করা হত, সেখানে এখন গায়রুল্লাহর পুজা করা হবে। কুফুর, শিরকের মত জঘন্য কাজ করা হবে। ফলে মসজিদ শহিদ করা থেকে মুসলিমদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এখন রাম মন্দিরের চাঁদা হচ্ছে মুসলিমদের কাটা গায়ে লবণের ছিটার মত। ফলে যারা চাঁদা দেওয়া থেকে বিরত থাকছেন তাঁদেরকে সন্ত্রাসী দল আরএসএস শত্রু হিসেবে চিহিৃত করে তালিকা তৈরি করে রাখছে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সৌদিতে ঘরে কোরআন অধ্যাপনা অব্যাহত রাখায় নারী ইসলামী স্কলার আটক

      সৌদির বিশিষ্ট নারী ইসলাম প্রচারক ও শিক্ষাবিদ আয়েশা আল *মুহাজিরিকে আটক করেছে দেশটির সরকার। পবিত্র মক্কা নগরীর নিজ ঘরে কোরআন অধ্যাপনা অব্যাহত রাখার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। সৌদির রাজনৈতিক বন্দীদের নিয়ে কাজ করা প্রিজনারস অব কনসাইন্স এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।

      মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি সরকার বিশিষ্ট নারী ইসলামী স্কলার আল মুহাজিরিসহ দুজন নারীকে আটক করেছে। আটক হওয়া একজনের বয়স ৮০ বছর। বন্দীর পরিবার তাঁর সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

      প্রিজনারস অব কনসাইন্স টুইট বার্তায় আরো জানায়, ‘আল মুহাজিরির সন্তান ও অন্য যারা বন্দী সম্পর্কে জানতে চাইবে তাদেরকে আটকের হুমকি দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘তাঁর সম্পর্কে যারা জানতে চাইবে তাদেরকে আমরা আটক করব।’

      এছাড়াও প্রতিবেদনে আল মুহাজিরিসহ নারী বন্দীদেরকে জেদ্দা শহরের দাহবান কারাগারে রাখা হয় বলে জানানো হয়। এ কারাগারে গত কয়েক বছরে আটক হওয়া ড. সালমান আল আওদাহসহ সৌদির বিশিষ্ট ইসলামী স্কলারদেরও রাখা হয়।

      সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        শপথ নিল দখলদার ইসরায়েলে নিযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম রাষ্ট্রদূত

        শপথ নিল সন্ত্রাসবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ মাহমুদ আল-খাজা।

        গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আবুধাবির কাসর আল ওয়াতান প্রাসাদে তাকে শপথ পড়ায় আমিরাতের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুম। আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়াম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

        গত বছর আগস্টে ক্রুসেডার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি সই করে গাদ্দার আরব আমিরাত। পরে চলতি বছর জানুয়ারিতে ইসরায়েলি রাজধানী তেল আবিবে দূতাবাস স্থাপনের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয় আমিরাতের মন্ত্রিসভা।

        শপথ অনুষ্ঠানে রশিদ আল-মাকতুম রাষ্ট্রদূত খাজার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাকে আমিরাত-ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীরতর করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। এমনভাবে কাজ হতে হবে যেন আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি, সহাবস্থান ও ধৈর্য্যের সংস্কৃতি আরও বিকশিত হয়’।

        আরব মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্ক খারাপ ছিল মুসলিমদের ভূমি দখলকারী সন্ত্রাসী ইসরায়েলের। গত বছর ক্রুসেডার আমেরিকার প্ররোচনায় সেই অবস্থান থেকে সরে দখলদারদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছে গাদ্দার আমিরাত, বাহরাইন, মিসর, মরক্কোর মতো মুসলিম দেশগুলো।

        উল্লেখ্য যে, গত মাসে আবুধাবিতে দূতাবাস খুলেছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। সেখানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ শুরু করেছে এইতান নায়েহ নামে এক ইহুদি কূটনীতিক।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X