Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ৪ই রজব ১৪৪২ হিজরি | ১৮ ই ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ৪ই রজব ১৪৪২ হিজরি | ১৮ ই ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ঈসায়ী

    সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি বাড়াবে সরকার


    মন্ত্রিপরিষদের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভায় দেশে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে নজরদারি করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সভা শেষে কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানিয়েছে। সে জানায়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) তারা এ বিষয়ে মনিটরিং করার কথা বলবে।

    সে জানায়, সরকার ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াকে বাংলাদেশে অফিস খোলা বা অন্তত একজন প্রতিনিধি নিয়োগের কথা বলবে। এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে কোনো অভিযোগ উঠলে সরকার যাতে তাদের জানাতে পারে এবং তারা যাতে ব্যবস্থা নিতে পারে সেজন্য এই ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়েছে।

    বুধবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পঞ্চম সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার সময় তিনি এসব তথ্য জানায়। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক হয়।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ফ্রান্সে চরমপন্থা রোধের নামে মুসলিমদের দমন ও কড়া নজরদারির আইন পাস


    ধর্মীয় চরমপন্থারোধের নামে ইসলাম ও *মুসলিম বিদ্বেষী বিল পাশ করেছে ফ্রান্সের পার্লামেন্ট। এ আইনের মাধ্যমে ফরাসি মুসলিদের মসজিদ, স্কুল ও স্পোর্টস ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করবে।

    গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ফ্রান্স পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে আইনটি পাশ হয়।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত ফ্রান্সের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ করতেই এ আইন করা হয়েছে। এ আইনের মাধ্যমে ফ্রান্সের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করা হবে। এছাড়া আগামী বছরের নির্বাচনে ফ্রান্সের রক্ষণশীল দলের ওপর ম্যাখোঁর বিজর লাভের একটি কৌশল হিসেবে মনে করছেন।

    ফ্রান্সের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাখোঁর দল লা রেপুব্লিক এন মারচে সংগরিষ্ঠ আসনের আধিকারী। এতে আইনটিরি পক্ষে ৩৪৭ জন ভোট প্রদান করেন এবং ১৫১ জন বিপক্ষে ভোট প্রদান করেন। নীরব থাকেন ৬৫ জন।

    ‘প্রজাতন্ত্রের নীতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ’ শিরোনামে বিশাল বিলটি ফরাসি জীবনের বেশিরভাগ দিক অন্তর্ভুক্ত আছে। এ আইনটির মাধ্যমে ফ্রান্সের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবং মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতাকে বিনষ্ট হবে বলে এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেক মুসলিম ও পার্লামেন্ট সদস্যরা।

    বিতর্কিত এই আইন রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলিকে বিশেষত ফ্রান্সে মসজিদ, মসজিদের অধীনে পরিচালিত সংগঠন এবং শিশুদের জন্য গৃহশিক্ষাসহ মুসলমানদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য একাধিক ক্ষমতা প্রদান করবে।

    ইতিমধ্যে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ফরাসি সরকারের দীর্ঘ নিপীড়নের বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে আন্তরর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলো। ১৩টি দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ৩৬টি বেসরকারি সংস্থা এ অভিযোগ করে। প্যারিসের আইন স্বীকৃত মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে সংস্থাগুলো।

    সূত্র : এপি নিউজ
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ‘কাশ্মীর নিয়ে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করছে ভারত’

      ‘কাশ্মীরে ভারতীয় মালাউনদের আগ্রাসন নিয়ে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করছে। তারা বিশ্ববাসির সামনে কাশ্মীরের আসল অবস্থা গোপন করছে।

      পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরী বলেছেন, দখলীকৃত কাশ্মীর উপত্যকা পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করছে ভারত। তিনি গত সোমবার বলেন, বিদেশি কূটনীতিকদের কাশ্মীর উপত্যকায় এক ট্যুরে নিয়ে তাদেরকে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়ার চেষ্টা করছে ভারত। দখলীকৃত কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে তারা ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে। বিশ্ব সম্প্রদায়কে ভুলপথে চালিত করার জন্য নয়া দিল্লিতে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকদের সফর আয়োজন করছে ভারত। এ নিয়ে মন্তব্য করছিলেন জাহিদ হাফিজ চৌধুরী। এতে আরো বলা হয়, কাশ্মীর উপত্যকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে তা দেখানোর জন্য ইউরোপিয়ান ও উপসাগরীয় দেশগুলোর কূটনীতিকদের ১৭ ও ১৮ই ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীর সফরে নিয়ে আনে ভারত। ২০১৯ সালের আগস্টে ওই অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে দিয়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত।

      প্রায় দেড় বছর ৪জি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। দখলদারিত্ব কায়েমের পর এটা হবে বিদেশি কূটনীতিকদের এমন তৃতীয় সফর। এর আগে এমন সফর হয়েছিল গতবছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে।

      সূত্র: অনলাইন ডন।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট বানিয়েছে সেনা প্রধানের ভাই হারিসও


        নিজেদের নামের পাশাপাশি মা-বাবার নামও বদল করেছেন বহুল আলোচিত তিন সহোদরের দুজন; হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফ। নিজেদের ছবি দিয়ে নতুন নাম আর ভিন্ন ঠিকানা ব্যবহার করে তাঁরা জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট করার সময় ব্যক্তিকে সশরীর হাজির থেকে ছবি তুলতে হয়।

        প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হারিছ আহমেদ জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও পাসপোর্ট নিয়েছেন মোহাম্মদ হাসান নামে। আর জোসেফ নিয়েছেন তানভীর আহমেদ তানজীল নামে। এ ধরনের কাজ জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন ও পাসপোর্ট অধ্যাদেশ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাঁদের আরেক ভাই আনিস আহমেদও একই রকম কাজ করেছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

        সম্প্রতি কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরায় প্রচারিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ তথ্যচিত্রে হারিছ ও আনিসকে পলাতক আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

        দেশের একাধিক থানা ও আদালতের নথিপত্র, সাজা মওকুফ চেয়ে (জোসেফের জন্য) মায়ের করা আবেদনসহ সাজা মওকুফের সরকারি প্রজ্ঞাপনে হারিছ ও জোসেফের বাবার নাম আব্দুল ওয়াদুদ ও মায়ের নাম রেনুজা বেগম লেখা আছে। কিন্তু হারিছ যে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট নিয়েছেন, তাতে বাবার নাম সুলেমান সরকার এবং মায়ের নাম রাহেলা বেগম উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু জোসেফের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টে বাবার নাম সোলায়মান সরকার এবং মায়ের নাম ফাতেমা বেগম লেখা আছে। দুই ভাই পৃথক পৃথক স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করেছেন।

        আদালতের নথি ও সরকারি প্রজ্ঞাপনে হারিছ, আনিস ও জোসেফের ঠিকানা লেখা আছে ডি/৯ নূরজাহান রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা ১২০৭। কিন্তু মোহাম্মদ হাসান নামে হারিছের করা জাতীয় পরিচয়পত্রে স্থায়ী ঠিকানা বলা হয়েছে মতলব উত্তর উপজেলা, চাঁদপুর। আর বর্তমান ঠিকানা লেখা আছে বাসা নং ২৮, ডি-১ ব্লক, নূরজাহান রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। ২০১৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এই নামে জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়।

        তানভীর আহমেদ তানজীল নামে জোসেফের করা জাতীয় পরিচয়পত্রে বর্তমান ঠিকানা দেখানো হয়েছে মিরপুর ডিওএইচএসের একটি বাসা। আর স্থায়ী ঠিকানা লেখা আছে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকার একটি বাসা।

        পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, হারিছ ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ হাসান নামে ঢাকার আগারগাঁও অফিস থেকে প্রথম পাসপোর্ট করায়। তাতে জরুরি যোগাযোগ: ফাতেমা বেগম, আর-২৮ নূরজাহান রোড, মোহাম্মদপুর উল্লেখ করা হয়। ২০১৭ সালে তিনি ভিয়েনা থেকে আবেদন করে আবার পাসপোর্ট নেন। ২০১৯ সালে তিনি পাসপোর্টে নিজের ছবি বদল করেন। ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর নামে ১০ বছর মেয়াদি একটি ই-পাসপোর্ট ইস্যু করে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।

        একই সূত্র জানায়, জোসেফ প্রথম পাসপোর্ট নেন ২০১৮ সালের ১৩ মে, তানভীর আহমেদ তানজীল নামে। তাতে স্থায়ী ঠিকানা ছিল ১২৩/এ তেজকুনীপাড়া, তেজগাঁও, ঢাকা। আর বর্তমান ঠিকানা ছিল ৪০ খানপুর, নারায়ণগঞ্জ। বৈবাহিক অবস্থা—অবিবাহিত। ওই বছরেরই ৪ জুন স্ত্রীর নাম যুক্ত করে তিনি পাসপোর্ট সংশোধন করান। ২০১৯ সালে পাসপোর্টে স্থায়ী ঠিকানা বদল করেন। ২০২০ সালের ৯ মার্চ তিনি ই-পাসপোর্ট নেন। এ সময় নিজের ছবি, স্থায়ী ঠিকানা ও জরুরি যোগাযোগের ঠিকানা পরিবর্তন করেন।

        জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো মিথ্যা বা বিকৃত তথ্য দেওয়া অথবা তথ্য গোপন করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধের শাস্তি অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড। এই আইনের ১৮ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করলে বা জ্ঞাতসারে ওই জাতীয় পরিচয়পত্র বহন করলে তিনি সাত বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

        আর পাসপোর্ট অধ্যাদেশের ১১ ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বা সঠিক তথ্য লুকিয়ে অন্য নামে পাসপোর্ট নিলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ছয় মাসের কারাদণ্ড বা দুই হাজার টাকা জরিমানা।

        জানতে চাইলে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন) সেলিনা বানু প্রথম আলোকে বলেন, এঁদের দুজনের পাসপোর্টের বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি। তিনি বলেন, যে কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে পাসপোর্ট নিলে বা এ বিষয়ে অভিযোগ এলে তা তদন্ত করে অধিদপ্তর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় এবং পাসপোর্ট বাতিল করে।

        জাতীয় পরিচয়পত্র করতে জন্মসনদ ও নাগরিকত্ব সনদ জমা দিতে হয়। তাতে ব্যক্তির নাম ও মা-বাবার নাম থাকে। তার ভিত্তিতেই জাতীয় পরিচয়পত্রে ব্যক্তিগত তথ্য যুক্ত হয়। তাই বেনামে জাতীয় পরিচয়পত্র করার ক্ষেত্রে এই দুটি সনদও অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে করতে হয়।

        জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন আইন অনুযায়ী, জন্ম বা মৃত্যুনিবন্ধনের ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য দিলে অনধিক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা অনধিক এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের বিধান আছে। আর জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর গতকাল বুধবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে হারিছ ও জোসেফের পরিচয়পত্র নেওয়াবিষয়ক কোনো সংবাদ তাঁর চোখে পড়েনি। এ বিষয়ে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

        এ বিষয়ে কথা বলার জন্য হারিছ ও জোসেফের পাসপোর্টের আবেদন ফরমে দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে গতকাল কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। দুটি নম্বরই বন্ধ থাকায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। প্রথম আলো

        প্রায় দেড় বছর ৪জি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। দখলদারিত্ব কায়েমের পর এটা হবে বিদেশি কূটনীতিকদের এমন তৃতীয় সফর। এর আগে এমন সফর হয়েছিল গতবছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে।

        সূত্র: অনলাইন ডন।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ধর্ষণে’র ভিডিও প্রকাশের হুমকি হকার্স লীগ নেতার

          ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে মামলা তুলে নিতে জোর করছে নুর উদ্দিন নামে হকার্স লীগ নেতা।

          চাকরি দেওয়ার নাম করে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে সম্প্রতি সাভারের ওয়াপদা রোড এলাকার ইতালি ফেরত প্রবাসী সাদিকুর রহমান সেলিমকে আটক করে পুলিশ। আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি ধর্ষণের শিকার ওই নারী ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানাভাবে আর্থিক প্রলোভন দেন। সাড়া না পেয়ে ভিন্ন কৌশল নেন তিনি। তার পক্ষে মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানাভাবে ধর্ষণের শিকার ওই নারী ও তার পরিবারকে চাপ দিয়ে আসছিলেন সেলিমের সহযোগী ব্যবসায়ী ও হকার্স লীগ নেতা নুর উদ্দিন।

          মামলা তুলে না নেওয়া হলে ধর্ষণের কথিত ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। নিরুপায় হয়ে পরিবারটি সাভার মডেল থানায় মামলা করে।

          সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আল আমিন জানান, চাকরি দেওয়ার নামে অসহায় এক তরুণীকে ধর্ষণের পর গ্রেপ্তার এড়াতে প্রভাবশালীদের আশ্রয় নিয়েছিলেন সাভার ওয়াপদারোড এলাকার ইতালি ফেরত সাদিকুর রহমান সেলিম। সুবিধা করতে না পেরে শেষমেশ তার সহযোগী নুর উদ্দিনকে দিয়ে ধর্ষণের চিত্র ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় ভীতি দেখাতে থাকেন ওই পরিবারটিকে। কল রেকর্ড এবং বিভিন্ন প্রমাণাদি হাতে আসার পর মামলা দায়ের করা হয়।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে দুই পুলিশসহ তিনজনের চাঁদা আদায়



            মাদারীপুরে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এক বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সুজন শেখ নামের ওই এজেন্ট আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুর রহমানের আদালতে মামলটি করেন।

            সুজন শেখ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাড়ইভাঙ্গা গ্রামের আবদুল হকের ছেলে।

            মামলার আসামিরা হল দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাহাবুব রহমান ও কনস্টেবল সোহাগ এবং শিবচরের সূর্যনগর এলাকার টুম্পা টেলিকম অ্যান্ড মোবাইল কর্নারের প্রোপাইটর টোকন ব্যাপারী।

            মামলার আরজিতে বলা হয়, ১৬ ফেব্রুয়ারি বেলা তিনটার দিকে পদ্মা সেতু ভ্রমণ শেষে মোটরসাইকেলে করে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন সুজন। মাদারীপুরের শিবচরের সূর্যনগর এলাকায় পৌঁছালে সুজনের মোটরসাইকেল থামিয়ে সাদাপোশাকে থাকা দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মাহাবুব ও কনস্টেবল সোহাগ কাগজপত্র দেখতে চান। সুজন কাগজপত্র দেখালে তা সঠিক নয় উল্লেখ করে ওই দুই পুলিশ সদস্য এটি চোরাই মোটরসাইকেল বলে দাবি করেন। পরে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তাঁরা। সুজন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখান তাঁরা।

            সুজনের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে পাশের টোকন ব্যাপারীর দোকানের মাধ্যমে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা তুলে নেন ওই দুজন। এ ঘটনা কাউকে না বলার শর্ত দিয়ে সুজনকে ছেড়ে দেন তাঁরা। ওই দিনই শিবচর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ কোনো পরামর্শ না দিয়ে সুজনকে চলে যেতে বলেন।

            এরপর সুজন শেখ আজ মাদারীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুর রহমানের আদালতে মামলা করেন।

            মামলার বাদী সুজন শেখ অভিযোগ করেন, কোনো কারণ ছাড়াই মুঠোফোন থেকে বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা তুলে নেন ওই দুই পুলিশ সদস্য। এর প্রমাণ তিনি আদালতে মামলার নথিতে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

            অভিযোগের বিষয়ে জানতে দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মাহাবুব রহমানকে একাধিকবার কল করলেও তিনি তা ধরেননি।
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment

            Working...
            X