Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ৫ই রজব ১৪৪২ হিজরি | ১৯ ই ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ৫ই রজব ১৪৪২ হিজরি | ১৯ ই ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ঈসায়ী

    শাতিমে রাসূল অভিজিৎ হত্যার রায়, বিচারের নামে তামাশা

    নাস্তিক ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যার অভিযোগে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ের প্রেক্ষাপটে এই কুফরি বিচারপ্রক্রিয়ার বিভিন্ন অসঙ্গতি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আজ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এক বিশ্লেষণমূলক বিবৃতি দিয়েছেন।

    বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি মহান আল্লাহ তায়ালা, প্রিয় রাসূল (সা.) এবং উম্মাহাতুল মুসলিমিনদের নিয়ে অব্যাহত কটূক্তিমূলক ও পর্নোগ্রাফিক লেখালেখির আখড়া মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক পরিচালক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার রায় হয়েছে। দৈনিক প্রথম আলোর এক রিপোর্টে আমরা জানতে পেরেছি যে, আদালত বলেছেন, মতপ্রকাশে সাহস দিতেই তারা এই রায় দিয়েছেন। অথচ সাধারণত যেকোনো রায়ের পর সুষ্ঠু বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হলো কিনা—সেটাই হলো আসল বিষয়। তাছাড়া মতপ্রকাশের সাহস দিতে গিয়ে বিচারপ্রক্রিয়া তাতে প্রভাবিত হয়েছে কিনা, কিংবা বিচারের নামে অবিচার করা হয়ে গেলো কিনা—সেটাও ভাবনার বিষয়। কারণ কোনো ধরনের আবেগ বা অতিউৎসাহ থেকে বিচারের রায় দেওয়া হলে রায়সমূহ তাতে প্রভাবিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। কারণ আমরা পূর্বে দেখেছি শাহবাগে উগ্র ইসলামবিদ্বেষী ফ্যাসিস্টদের একতরফা ‘ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই’ দাবি কতটা ন্যক্কারজনকভাবে বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছিল।

    বিবৃতিতে ইসলামাবাদী আরো বলেন, প্রথম আলোর গত বছরের এক রিপোর্টে আমরা জেনেছি, মামলার সর্বমোট সাক্ষী ৩৪ জন। অথচ রায়ের আগেপরে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর বক্তব্য মিডিয়ায় প্রকাশ হতে দেখা যায়নি। এমনকি কোন্ কোন্ সাক্ষীর বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে রায় দেওয়া হয়েছে তাও দেশবাসী জানতে পারেনি। এই মামলার প্রধান চাক্ষুষ সাক্ষী অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমদ বন্যা, যিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। রায়ের পরপর সোশাল মিডিয়ায় লেখা এক বিবৃতিতে তিনি বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে নানা অসঙ্গতি ও অভিযোগ তুলে ধরেছেন। অভিজিত হত্যার রায় যে বিচারের নামে তামাশা, সেটা তার বক্তব্যেই বুঝা যায়। তিনি লিখেছেন, “গত ছয় বছরে বাংলাদেশ থেকে এই মামলার তদন্তকারীদের কেউই আমার সাথে যোগাযোগ করেনি; অথচ আমি এই হামলার সরাসরি শিকার এবং সাক্ষী। জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জনসমক্ষে মিথ্যা বলেছেন যে, আমি নাকি এই বিচারের সাক্ষী হতে রাজি হইনি! কিন্তু সত্য হলো, বাংলাদেশের সরকার বা প্রসিকিউশন থেকে কখনোই আমার সাথে যোগাযোগ করা হয়নি।” সন্দেহ নেই, প্রধান চাক্ষুষ সাক্ষীকে বাদ দিয়েই অভিজিৎ হত্যার বিচার ও রায় হয়েছে। প্রধান সাক্ষীর জীবদ্দশায় তাকে ছাড়া আদালতে কিভাবে অভিজিত হত্যা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হলো—সেটা একটি জরুরি প্রশ্ন। তাছাড়া সাক্ষীদের বক্তব্যসমূহের কোনো বর্ণনা কিংবা অভিযুক্তরা আদৌ অভিজিত হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে কিনা—সেসব বিষয় এখন পর্যন্ত রহস্যজনকভাবে মিডিয়ায় তুলে ধরা হচ্ছে না। আর এতেই অনুমান করতে কষ্ট হয় না যে, কতটা দুর্বল ও ঠুনকো তথ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করে বিচার করা হয়েছে। তা না হলে রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের ইস্যু মুখ্য না হয়ে ‘মতপ্রকাশে সাহস দিতে’ এবং ‘নিহত ব্যক্তির আত্মীয়রা শান্তি পাবেন’—এই ধরনের আবেগসর্বস্ব আলাপ কেন আসবে? এছাড়া অভিজিতের স্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, তাদেরকে হামলাকারী গ্রুপটির নেতৃত্বে থাকা শরীফুল নামের একজন আসামী পুলিশ কাস্টোডিতে থাকা সত্ত্বেও পরে তাকে ক্রসফায়ারে কেন মেরে ফেলা হয়েছিল? রায় পরবর্তী অভিজিতের স্ত্রীর দেওয়া এই বিবৃতি বিচারপ্রক্রিয়াকে জোরালোভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সবমিলিয়ে অভিজিৎ হত্যার রায়কে আমরা বিচারের নামে তামাশা ছাড়া আর কীইবা বলতে পারি! তিনি আরো বলেন, সরকারের কাছে আমাদের জোর দাবি হলো, মজলুম আশেকে রাসূল (সা.) ভাইদের কারাদণ্ড রহিত করে তাদেরকে দ্রুত জামিনে মুক্তি দিন—যেহেতু দৃশ্যত উপযুক্ত সাক্ষী কর্তৃক তাদের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়েছে বলে মনে করা যাচ্ছে না।

    বিবৃতিতে আজিজুল হক ইসলামাবাদী আরো বলেন, আমরা আগেও বলেছি, সাধারণত আইন হাতে তুলে নেওয়া এবং কোনো ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আমরা সমর্থন করি না। কিন্তু শাতিমে রাসূল তথা রাসূল (সা.)-এর অবমাননার প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনকালে সরকার উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ থাকা সত্ত্বেও যথাসময়ে রাসূল (সা.)-এর অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়নি। অভিজিৎ পরিচালিত ইসলামবিরোধী মুক্তমনা ব্লগের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সব জেনেও সরকার তখন ব্যবস্থা নেয়নি। এর ফলে রাসূলপ্রেমিকদের হৃদয় রক্তাক্ত হওয়ায় তারা সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল। সরকার যথাসময়ে রাসূল (সা.)-এর অবমাননাকারীদের ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নিলে আর একের পর এক আইন হাতে তুলে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটতো না। সরকারের সেই ব্যর্থতা এড়িয়ে গিয়ে মতপ্রকাশের প্রসঙ্গ আসতে পারে না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মানে এই নয় যে, কেউ কারো মা-বাপ ধরে গালাগালি করার অধিকার রাখে, কিংবা শাতিমে রাসূল তথা রাসূল (সা.)-এর অবমাননা করে তাঁর আশেক মুমিন মুসলমানের অন্তরে আঘাত দিবে। এই বিষয়গুলো আমলে না এনে নির্বিচারে মতপ্রকাশে সাহস দেওয়া মানে আরো ইসলামবিদ্বেষী লেখালেখি করতে উৎসাহ প্রদান করার শামিল।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ইয়েমেনে গোপন ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করছে ইসরাইল-আমিরাত

    সম্মিলিতভাবে গুপ্তচর প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজ করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইহুদিবাদী ইসরাইল। গত আগস্ট মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চুক্তির পর দুদেশের গোপন সহযোগিতায এখন প্রকাশ্যে রূপ দিয়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পর সর্বপ্রথম ইসরাইলের যে সরকারি কর্মকর্তা সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেছে সে হচ্ছে গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের প্রধান ইয়োসি কোহেন। তার ওই সফরে ইসরাইল ও আরব আমিরাতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা এবং অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতার ব্যাপারে আলোচনা হয়।

    ইয়োসি কোহেনের সফরের অল্প সময়ের মধ্যেই এ তথ্য পরিষ্কার হয়ে যায় যে আবুধাবি এবং তেল আবিব ইয়েমেনের কৌশলগত সকোত্রা দ্বীপে গোয়েন্দা প্রকল্প গড়ে তোলার কাজে লিপ্ত রয়েছে।

    জে ফোরাম নামের একটি ইহুদি প্রভাবিত সংস্থার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, পুরো মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ করে বাবুল মান্দেব প্রণালীসহ এডেন উপসাগরে নজরদারি চালানোর লক্ষ্য নিয়ে এই গোয়েন্দা প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। বাবুল মান্দেব ও এডেন উপসাগর হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রুট।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      পুকুরে ধসে পড়া সেই ভবনটি শুধু কয়েকটি পিলারের ওপর নির্মিত

      কেরানীগঞ্জে পুকুরে ধসে পড়া সেই তিনতলা ভবনটি কয়েকটি পিলারের ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ।

      শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মধ্য চড়াইল এলাকায় ওই ভবনটি পুকুরে পুরোপুরি ধসে পড়ে।

      ইউএনও অমিত দেবনাথ বলেন, সামান্য কয়েকটা পিলারের ওপর বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল। যার কারণে এটি ধসে পড়েছে। ভবনটি পড়ার সময় পাশের দুটি ভবনেও ফাটল দেখা দিয়েছে।

      স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানান, জলাশয়ের পাড়ে কয়েকটি পিলারের ওপর ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ওই জলাশয়ের পাড়ে এ রকম আরও কয়েকটি ভবন রয়েছে। সব ভবনই নিয়মবহির্ভূতভাবে নির্মিত হয়েছে। চরম নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়ে তৈরি এসব ভবনের মধ্যে জানে আলমের মালিকানাধীন তিনতলা বাড়িটি পুকুরের মধ্যে পুরোপুরি ধসে পড়েছে। ভবনটিতে জানে আলমের পরিবার থাকত।

      তিনি আরও জানান, যথাযথ নিয়ম না মেনে ভবনটি পুকুর পাড়ে তৈরি করা হয়েছিল। নরম মাটি ও পিলারের ওপর থাকায় বাড়িটি পুকুরের মধ্যে হেলে পড়ে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মহানবী সা. কে নিয়ে সমালোচনা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হতে পারে না- আল্লামা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী

        বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। তাঁর স্ত্রীগণ উম্মাহাতুল মুমিনীন তথা মু’মিনদের মায়ের ন্যায়। মহানবী ও উম্মাহাতুল মুমিনীনদের নামে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন, কুরুচিপূর্ণ লেখালেখি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হতে পারে না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও স্বাধীন কর্মকাণ্ডের নামে এ ধরনের ধৃষ্ঠতা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করাকে কোন সভ্য সমাজ সমর্থন করতে পারে না। ইসলাম ও মহানবীর নামে কটুক্তি করাকে যারা বাকস্বাধীনতার আওতাভুক্ত মনে করে তারা বেঈমান।

        গত বৃহস্পতিবার বিকালে কামরাঙ্গীরচরস্থ জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ায় খেলাফত আন্দোলনের এক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

        আতাউল্লাহ হাফেজ্জী আরও বলেন, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রতিটি মুমিন নিজ প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসে। এমতাবস্থায় মহানবীকে অপমান করে যারা মুমিনদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটায় তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য উলামায়ে কেরাম দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে এদের বিচার না করে ক্রমাগত আশকারা দেয়ার অবস্থা চলমান থাকলে উদ্ভুত জনরোষে অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটলে সেটার দায়ভারও সংশ্লিষ্টদেরই উপরই বর্তাবে।

        উলেখ্য, নাস্তিক ব্লগার মালাউন অভিজিৎ রায়। সে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে মহানবী ও উম্মাহাতুল মুমিন তথা মু’মিনদের মা ‘দের নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন, কুরুচিপূর্ণ লেখালেখি করত। তাই আল্লাহর কিছু প্রিয় বান্দারা তার প্রাপ্ত বুঝিয়ে দিয়েছে।

        কিন্তু কুফরী আদালত নাস্তিক ব্লগারকে হত্যার অভিযোগে ৫জন নবীপ্রেমিককে ফাঁসি ও আরেকজনকে যাবতজীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          মিশরে সন্ত্রাস দমনের নামে সিলেবাস থেকে কুরআন-সুন্নাহ বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে “সিসি”

          আরবের নামধারী কিছু ইসলামী সংস্থা, বুদ্ধিজীবি ও শাসকগোষ্ঠি চরমপন্থা দমনের নামে স্কুল কলেজের শিক্ষা সিলেবাস থেকে কুরআন হাদীস ও ইসলামী শিক্ষা উঠিয়ে দিবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তাদের ধারণা, কুরআন হাদীস ও ইসলামী শিক্ষা গ্রহণের ফলে মনুষ চরমপন্থী’ ও ‘জঙ্গিবাদী’ হয়ে ওঠে৷ তারা সন্ত্রাস ও চরমপন্থা দমনের জন্য মৌলিক ধর্মীয় শিক্ষাটা বহাল রেখে সিলেবাস এবং আরবী ভাষা ও ইতিহাস থেকে কুরআন হাদীস ও ইসলামী শিক্ষা তুলে দেওয়ার সিন্ধান্ত নিয়েছে৷

          আরব বিশ্বের নামধারী কিছু ইসলামী সংস্থা এবং পশ্চিমা বিশ্বের কাছে মাথা বিক্রি করা একদল শাসকগোষ্ঠি ও বুদ্ধিজীবি এমন কিছু নোংরা ও পৈশাচিক চিন্তা ধারার প্রসার ও বাস্তবায়নের উদ্যেগ নিয়েছে যা আরব প্রজন্মকে ইমান-আমল শূন্য করে ইহুদী খৃস্টানদের আদলে গড়ে তুলবে৷ সর্বপ্রথম এই কু-পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটাতে যাচ্ছে মিশরের ক্ষমতাদখলকারী সামরিক প্রেসিডেন্ট “সিসি”৷

          গত(১৭ ফেব্রুয়ারি)আ’লাম টিভি নেট জানায়, দেশটির জাতীয় প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা কমিটির সদস্যে “ফ্রেডি আল-বেয়াদী” এই চিন্তাধারাটিকে বেশ পছন্দ করে৷ লোকটি আরবি ভাষা, ইতিহাস এবং ভৌগোলিক বিষয়গুলিতে ধর্মীয় পাঠ্যকে “মহা বিপদ” হিসাবে বিবেচনা করে৷ তার বক্তব্য, অযোগ্য শিক্ষকরা সিলেবাসে থাকা কুরআন-হাদীসের ব্যাখা করে উগ্রবাদ, সন্ত্রাস ও চরমপন্থী ধ্যান-ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ করে দেয়।

          এদিকে বিযয়টি মিশরের জনগণের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। মিশরসহ বিভিন্ন দেশের মানুষের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র নিন্দার ঝড় বইছে৷

          দৈনিক সংবাদপত্র আ’লম টিভি ও ওয়াতন টিভি নেট জেনারেল সিসি বরাবর এক প্রতিবেদনে লিখেছে, মনে হচ্ছে সরকারের আদেশে মিশরের শিক্ষামন্ত্রণালয় কুরআন হাদীস উঠিয়ে দিয়ে পাঠ্যতালিকায় ইসলাম ইহুদী ও খৃস্টবাদের সংমিশ্রন ঘটিয়ে এক নাস্তিক্যবাদী শিক্ষাসিলেবাস প্রণয়ন করতে চায়৷ যা বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য চরম হুমকি৷

          মিশর মুসলিম দেশ৷ এ দেশের সংবিধানে রয়েছে ‘রাষ্ট্রীয় ধর্ম ইসলাম’, সুতরাং অন্যান্য দেশের মতো এ দেশের প্রতিটি মানুষের জন্যও ইসলামের উৎসগ্রন্থ কুরআন ও হাদীস থেকে ইসলামী শিক্ষা অর্জন করা, দ্বীনকে বুঝা এবং ধর্মীয় জ্ঞানের প্রতিটি শাখায় পাণ্ডিত্য অর্জন করার অধিকার রয়েছে৷

          সন্ত্রাস ও চরমপন্থার সাথে কুরআন হাদীসের নুন্যতম সম্পর্ক নেই- এটা তথাকথিত ইসলাম নামধারী সংস্থা ও শাসকগোষ্ঠি ভালো করেই জানে৷ আসলে তারা নিজেদের ব্যর্থতা, দুর্নীতি ও অপকর্মগুলোকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই এমন জঘন্য সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে৷

          একটু ক্ষতিয়ে দেখলে বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যায়, চরমপন্থা যদি সত্যিই ছড়িয়ে থাকে, তাহলে এর জন্য মিশরের বৈধ সরকার মুরসিকে উৎখাত করে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারই দায়ী৷ কেননা ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি, দুঃশাসন, জুলুম এবং জনগনের সম্পদ আত্মসাতের ফলে দেশটিতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অবক্ষয় ও ক্রমবর্ধমান দারিদ্রতার ফলেই এসব পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে৷

          তাদের দুর্নীতি ও অপকর্মের ফলে নবী-রাসূল ও সাহাবায়ে কেরামের ঐতিহ্যবাহী দেশটি ধ্বংস গহ্বরের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে৷ কিছু মানুষ চরম দারিদ্র ও খাদ্যসংকটের ফলে চুরি ও ছিন্তাইয়ের পথ পর্যন্ত বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে৷ এসবের জন্য দায়ী একমাত্র সরকার৷

          একসময় ইসলামী সংস্কৃতি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ গৌরবোজ্জল একটি কেন্দ্র হিসেবে মিশর বিবেচিত হতো। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও প্রাকৃতিক সম্পদের দিক দিয়ে মিশর অন্যান্য দেশের কাছে ঈর্ষণীয় ছিলো৷ আজ সেই মিশর শাসকগোষ্ঠীর কারণেই দেউলিয়া রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দয়া ও সাহায্যর ভিখারীতে পরিণত হয়েছে৷ এই দয়ার বিনিময়ে ইয়েমেন ও ফিলিস্তিনে নিজ ভাইদের রক্ত ঝারানো, ফিলিস্তিনিদের মাতৃভূমি ও প্রথম কিবলা ‘‘মসজিদে আকসাকে” জায়নবাদীদের হাতে তুলে দেওয়ার চুক্তিতে দুর্নীতিবাজ কতিপয় আরব শাসকগোষ্ঠির সাথে হাত মিলাচ্ছে মিশর।

          অতএব এমন আত্মঘাতিমূলক নিকৃষ্ট সিদ্ধান্ত নিয়ে কুরআন-হাদীস ও ইসলামী শিক্ষা উঠিয়ে দিলে সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা নির্মূল তো হবেইনা, বরং ফিতনা-ফাসাদ, বিশৃঙ্খলা ও চর্মপন্থার জন্ম দিবে৷ কারণ, প্রজন্ম ইসলামী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হলে বুঝবে না- দেশপ্রেম কী? ধর্ম কী? মানবতা কী? এবং দেশ রক্ষার্থে সংগ্রাম করে প্রাণোৎসর্গ করার জন্যও তৈরী হবেনা তারা৷ কাজেই ইসলামী শিক্ষা রহিত করা মানে ফিতনার দ্বার খুলে দেওয়া৷

          সূত্র: ওয়াতন নেট এবং আ’লম টিভি নেট
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ‘রক্তাক্ত কাশ্মিরে স্বাগতম’ ব্যানার ঝুলছে উপত্যকাজুড়ে



            দখলকৃত জম্মু কাশ্মিরে ভারতীয় বাহিনী যে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত রেখেছে তা স্বরজমিনে দেখতে ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের কাশ্মির সফর কর্মসূচির প্রতিবাদে গত বুধবার কাশ্মিরে সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়েছে।

            সরকারি কড়াকড়ি থাকলেও দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়, রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকে এবং বিভিন্নস্থানে কাল পতাকা উত্তোলন করা হয়। ইউরোপীয় প্রতিনধিদলের উদ্দেশে ‘রক্তাক্ত কাশ্মিরে স্বাগতম’ লেখা ব্যানার ঝোলান হয় উপত্যকাজুড়ে।

            সম্প্রতি কাশ্মির মিডিয়া সার্ভিসের এক গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়েছে, কাশ্মিরি জনগণ গত ৭০ বছর ধরে তাদের মাতৃভূমিকে ভারতের দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করতে অব্যাহত লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। এতে বলা হয়, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হবার পর, ভারত কাশ্মিরকে দখলে নিয়ে এ যাবত চার লাখের বেশি কাশ্মিরিকে হত্যা করেছে।

            এ প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, কাশ্মিরের মুক্তিকামী জনতাকে দমিয়ে রাখতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ১৯৮৯ সাল থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত গত ৩১ বছরে এক লাখ নিরপরাধ কাশ্মিরি নাগরিককে হত্যা করেছে। এদের মধ্যে ৭,১৫৫ জনকে নিরাপত্তাবাহিনীর হেফাজতে থাকা অবস্থায় অথবা ভুয়া এনকাউন্টারের নামে হত্যা করা হয়েছে।

            এ সময়ের মাঝে আরো আট হাজারের বেশি নাগরিককে গুম করা হয়েছে; প্রায় ২৩ হাজার নারীকে বিধবা করা হয়েছে; ১,০৮,০০০ শিশুকে পিতৃহীন করা হয়েছে; ১১,২২৬ জন নারী দলবদ্ধ ধর্ষণ বা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ঘেরাও তল্লাশি এবং দমন অভিযানের নামে এ সময় নিরাপত্তাবাহিনী ১১০,৩৮৩ ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে। গত ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মিরের বিশেষ অধিকার খর্ব করার পর কারফকিউ ও লকডাউনের টানা অবরুদ্ধ অবস্থার মধ্যে ৩০৫ জন কাশ্মিরিকে হত্যা করা হয়েছে। ২০১৬ সালের পর থেকে এ যাবত রিজার্ভ পুলিশের নিক্ষিপ্ত পিলেটে ১০, ৮৪০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চোখে পিলেট বিদ্ধ হয়ে ১৪০ জন অন্ধ হয়ে গেছেন আর ২,৫০০ জন গুরুতর জখম নিয়ে বেঁচে আছেন।

            ভারতীয় বাহিনীর ভয়াবহ এসব নির্যাতন কাশ্মিরীদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মোটেই দমিয়ে রাখতে পারেনি বরং তারা তাদের সংগ্রামকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে উল্লেখ করেছে কাশ্মির মিডিয়া সার্ভিসের এ প্রতিবেন।

            এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের জনগণ, বিশেষ করে যুবকগণ উষ্ণ রক্ত বিসর্জন দিচ্ছেন তাদের মাতৃভুমিকে ভারতের দখল থেকে মুক্ত করার পবিত্র যুদ্ধে। মোদী সরকার বন্দুকের জোরে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে এসব মুক্তিকামী কাশ্মিরিদের সংগ্রামকে শেষতক রুখে দিতে পারবেনা।

            জম্মু কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনী যে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত রেখেছে তা বিশ্বের শান্তিকামি মানুষদের প্রতি চরম হুমকি স্বরুপ। এ অবস্থায় ভারতের হাত থেকে কাশ্মীরের মুক্তি নিশ্চিত করা এবং কাশ্মির সমস্যা যাতে আর দির্ঘায়িত না হয় সে ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছে কাশ্মিরের জনগন।

            এছাড়া, বাদগাম জেলা উন্নয়ন কমিটির যে সকল সদস্য সফররত ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টারি প্রতিনিধিদলের সাথে দেখা করার কথা ছিল, তাদেরকে ঘরে আটকে রাখা হয়েছে, বাইরে বের হতে দেয়া হয়নি।

            জেলা উন্নয়ন কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নাজির আহমেদ যাহরা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ন্যাশনাল কনফারেন্সভুক্ত ছয় সদস্যকে শহরের একটি হোটেলে আটক রাখা হয়। পিপলস এলাইন্সভুক্ত সদস্যদের তাদের বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে গত তিনদিন ধরে। নাজির আহমেদ যাহরা জানান, ইউরোপীয় কূটনীতিকদের সফরকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরের জেলা উন্নয়ন কমিটির সদস্যদের সাথে চোরের মতো আচরণ করা হচ্ছে।
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ব্লগার অভিজিত রায়কে যে মহান মুজাহিদ ভাইয়েরা জাহান্নামে পাঠিয়ে দিয়েছে, আল্লাহ তাঁদের সবর করার তাউফিক দিন ৷ জান্নাতের সবুজ পাখি হিসাবে কবুল করুন ৷ আমিন
              গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

              Comment

              Working...
              X