Announcement

Collapse
No announcement yet.

তাকওয়া ও এর পুরস্কার

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তাকওয়া ও এর পুরস্কার

    'জুন্দুব ইবনে জুনাদাহ ও মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করবে তুমি যখন যেভাবেই থাকো না কেন? আর মন্দ কাজ হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে নেক কাজ করবে। কারণ নেক কাজ মন্দকে মুছে ফেলে। আর মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে।’ (সুনানে তিরমিজি : ১৯৮৭)

    আল্লাহ তা’আলা মুমিনের জন্য আল্লাহভীতি ওয়াজিব করেছেন। কেননা কোরআনের অসংখ্য আয়াত ও হাদিসে এ ব্যাপারে আদেশসূচক শব্দ ‘ইত্তাকু’ (তোমরা ভয় করো) ব্যবহরা করা হয়েছে। যেমনটি আলোচ্য হাদিসে নির্দেশ করা হয়েছে।

    তাকওয়া তথা আল্লাহভীতি হলো, আল্লাহর আদেশগুলো বাস্তবায়ন এবং নিষেধগুলো পরিহার করার মাধ্যমে আল্লাহর শাস্তি থেকে আত্মরক্ষা করা। আলী (রা.)-কে তাকওয়া বা আল্লাহভীতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘তাকওয়া হলো মহামহিম আল্লাহর ভয়, পবিত্র কোরআন অনুযায়ী আমল, অল্পে তুষ্টি, মৃত্যুদিনের প্রস্তুতি।’ (আদাবুল ইসলাম : ১/১২)

    আবার কারো মতে আল্লাহর ভয় হলো, ‘তিনি যা নিষেধ করেছেন, তা থেকে দূরে থাকা এবং যা করার নির্দেশ দিয়েছেন, তা থেকে পিছিয়ে না থাকা। (সিলসিলাতু আমালিল কুলুব : ৩/৮০)




    তাকওয়ার ১০ পুরস্কার


    ০১. আল্লাহভীতি জীবনকে সহজ করে দেয় : আল্লাহভীরু মানুষের জন্য আল্লাহ জীবনকে সহজ ও সাবলীল করে দেন। ফলে জীবন তার কাছে বোঝা মনে হয় না। আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘এবং যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার সমস্যার সমাধান সহজ করে দেবেন।’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ৪)

    ০২. মর্যাদা বৃদ্ধি করে : তাকওয়া পার্থিব ও পরকালীন জীবনে মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধি করে। তা মানুষকে আল্লাহর কাছে প্রিয় ও সম্মানিত করে। আর আল্লাহর কাছে যখন কারো সম্মান বৃদ্ধি হয় তখন মানুষের কাছেও তার সম্মান বেড়ে যায়। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে বেশি সম্মানী যে আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় করে।’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১৩)

    ০৩. পরকালে উত্তম পরিণতি : পরকালে উত্তম পরিণতি তাকওয়ার অন্যতম পুরস্কার। আল্লাহ তা’আলা খোদাভীরুদের জন্য উত্তম পরিণতির ঘোষণা দিয়েছেন, ‘শুভ পরিণতি আল্লাহভীরুর জন্য।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৮৩)

    ০৪. আল্লাহভীরুদের জন্য জান্নাত : যারা পৃথিবীতে আল্লাহকে ভয় পাবে, তাঁর নির্দেশ মেনে চলবে, পরকালে আল্লাহ তা’আলা তাদের জান্নাত দ্বারা পুরস্কৃত করবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘জান্নাতকে আল্লাহভীরুদের নিকটবর্তী করা হবে।’ (সুরা : শুআরা, আয়াত : ৯০)

    ০৫. তাকওয়া পাপ মোচন করে : আল্লাহভীতি শুধু মানুষকে পাপের হাত থেকেই রক্ষা করে না, বরং অতীতের পাপও মোচন করে। আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করবে তার গুনাহ মুছে ফেলা হবে এবং তাকে পুরস্কৃত করা হবে।’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ৫)

    ০৬. আল্লাহভীরুদের পার্থিব জীবনেও রয়েছে সুসংবাদ : যারা আল্লাহকে ভয় করে তারা পৃথিবীতেও নানা পুরস্কারে পুরস্কৃত হবে। আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং মুত্তাকি (আল্লাহভীরু) হয়েছে, তাদের জন্য জাগতিক জীবনে রয়েছে সুসংবাদ।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৬৩-৬৪)

    ০৭. আল্লাহভীরুরাই সফল : আল্লাহভীরুদের জন্য সাফল্য ও হেদায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন আল্লাহ তা’আলা। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর অবাধ্যতা থেকে সাবধান থাকে তারাই সফলকাম।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৫২)

    ০৮. তাকওয়া কিয়ামতে পরিত্রাণের মাধ্যম : আল্লাহ তা’আলা আল্লাহভীরুদের কিয়ামতের দিন মুক্তি দান করবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘পরে আমি আল্লাহভীরুদের উদ্ধার করব এবং জালিমদের সেখানে নতজানু অবস্থায় রেখে দেব।’

    ০৯. তাকওয়া রিজিকের দুয়ার খুলে দেয় : পৃথিবীতে যারা আল্লাহ তাআ’লাকে ভয় করে চলবে, আল্লাহ তা’আলা তাদের জীবিকার দুয়ার খুলে দেবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করবে, তার জন্য আল্লাহ পথ করে দেবেন এবং তাকে তার ধারণাতীত উৎস থেকে রিজিক দান করবেন।’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ২-৩)

    ১০. আল্লাহ তা’আলা মুত্তাকিদের ভালোবাসেন : তাকওয়া বা আল্লাহভীরুদের জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার হলো আল্লাহ তাআ’লার ভালোবাসা। আল্লাহ তাআ’লা মুত্তাকিদের ভালোবাসেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ খোদাভীরুদের ভালোবাসেন।’ (সুরা : হুদ, আয়াত : ১১৩)



    ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলেন, ‘আমি তিনটি বিষয় পছন্দ করি। তা হলো, ক. অভাবের সময় দান করা, খ. নির্জনে আল্লাহ তাআ’লা কে ভয় করা, গ. যার কাছে আশা করা হয় অথবা যাকে ভয় করা হয় তার সামনে উচিত কথা বলা।’ (জামিউল উলুম ওয়াল হিকাম : ১৯/১৮)
    দাওয়াত এসেছে নয়া যমানার,ভাঙ্গা কেল্লায় ওড়ে নিশান।

  • #2
    আল্লাহু-আকবার! আল্লাহ তায়া-লা আমাদের সকলকে তাকওয়াবান হওয়ার তাওফিক দান করুন, আমিন ইয়া রাব্বাল আলামীন।

    Comment


    • #3
      মাশা আল্লাহ, উপকারী পোস্ট।
      আল্লাহ কবুল করুন। আমীন।
      “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

      Comment


      • #4
        আল্লাহ আমাদের তাকওয়া দান করুন ৷ আমিন
        গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

        Comment

        Working...
        X