Announcement

Collapse
No announcement yet.

ফিরে দেখা শেখ মুজিবের শাসনকাল (পর্ব: ৬)

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ফিরে দেখা শেখ মুজিবের শাসনকাল (পর্ব: ৬)



    আওয়ামী লীগ সমর্থকরা দুর্ভিক্ষের কারণ হিসেবে ১৯৭৪ সালের বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মুক্তিযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতিকে দায়ী করে থাকেন। কেউ বা আবার এক ধাপ এগিয়ে দুর্ভিক্ষের নেপথ্য কারণ মার্কিন ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে প্রকৃত কারণকে আড়াল করার প্রয়াস চালান। আমরা এ পর্যায়ে তৎকালীন গনমাধ্যম ও লেখকদের তথ্য পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ দুর্ভিক্ষের নেপথ্য কারণ খুঁজে দেখব।

    আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে একটা তথ্য মনে রাখতে হবে, জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশ সরকারের হিসাব অনুযায়ী ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিলো ১২০০ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ’৭২ সালের আগস্টেই আওয়ামী লীগ সরকার ৯০০ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক সাহায্য হিসেবে পেয়েছিলেন, বাকী ৩০০ মিলিয়ন ডলারও এসে গিয়েছিল বছর শেষ না হতেই। এর বাইরেও প্রতি বছরই বিপুল অর্থ ও পণ্যের সাহায্য পাওয়া গেছে এবং এদিক থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ সাহায্য এসেছিলো দুর্ভিক্ষের বছর তথা ১৯৭৪-১৯৭৫ সালে। হায়দার আকবর খান রনোর “এ মোহ পরিত্যাগ করুন- সিপিবির বন্ধুদের প্রতি” এর পৃঃ ১০-১২ এ উল্লেখিত তথ্যে আরো বলা হয়েছে যে কেবলমাত্র ৭৪-৭৫ সালে প্রাপ্ত সাহায্যের পরিমাণ ছিলো ৯১৯.২ মিলিয়ন ডলার।

    দৈনিক ইত্তেফাকের ৫ জুন,১৯৭৪ এর সম্পাদকীয়তে উল্লেখ রয়েছে ‘বাংলাদেশে পরিচালিত ত্রাণ কর্মসূচিকে জাতিসংঘের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ আখ্যা দিয়ে আনরব (UNROB) প্রধান ফ্রান্সিস লাকোস্ট বলেন, ১৯৭৩ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জাতিসংঘের মাধ্যমে বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার সাহায্য দিয়েছে। একই সময়ে খাদ্য সাহায্য পেয়েছে ৪৮ লক্ষ টন।’

    Flow of External Resources into Bangladesh,ERD, Ministry of Finance, Dhaka,1993 এর পৃ:৭১ এ দেয়া তথ্যানুযায়ী শেখ মুজিবের সময়কালে রাশিয়ার কাছ থেকে প্রকল্প সাহায্য বাবদ ১৫.৩১২ মিলিয়ন ডলার, পণ্য সাহায্য বাবদ ৪৩.৫৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর খাদ্য সাহায্য বাবদ ৪৯.৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য পায়।

    এছাড়া ৭৪-৭৫ এর ক্রান্তিকালে রাশিয়া,রুমানিয়াসহ অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশ যেমন বুলগেরিয়া, যুগোশ্লোভিয়া, হাঙ্গেরী, পোল্যান্ডসহ অন্যান্য অনেক দেশ সাধ্যমত প্রকল্প সাহায্য প্রদান করে।

    Flow of External Resources into Bangladesh,ERD, Ministry of Finance, Dhaka,1992 এর পৃ: ৬৫ থেকে অবগত হওয়া যায় ৭৪-৭৫ সালে চীন বাংলাদেশকে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খাদ্য সাহায্য দেয়। পৃ: ৫২ থেকে, সৌদি আরব বাংলাদেশকে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খাদ্য সাহায্য এবং পৃ: ৭৪ থেকে, পাকিস্তান বাংলাদেশকে ৫.৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খাদ্য সাহায্য এবং ১.৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করে।

    এতো বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক সাহায্য আসার পরও শেখ মুজিব আমলে এ দেশের মানুষকে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে। শুধু বৈদেশিক সাহায্যই নয়, তৎকালীন সময় কৃষকদের শ্রম ও আল্লাহর মেহেরবানীতে এদেশে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্যও উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হয় ১৯৭৪ সালে। সে বছর দেশের নিম্ন অঞ্চলে বন্যা হয়েছিলো এবং বন্যাকে কেন্দ্র করে বৈদেশিক সাহায্যও প্রাপ্ত হয় তৎকালীন সরকার। বন্যার পরও পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ১৯৭৪ সালে দেশে মোট চাল উৎপাদিত হয়েছিল এক কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার টন, যা ছিল আগের দুই বছর এবং পরবর্তী বছরের চেয়ে বেশি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন এসে যায় চালের এই উদ্বৃত্ত থাকা সত্ত্বেও কেন দুর্ভিক্ষ হলো?

    এর সহজ, সত্য ও প্রকৃত কারণ হচ্ছে আওয়ামী লীগ কর্মীদের সীমান্তে চোরাচালান, সীমাহীন দুর্নীতি ও মজুতদারী। শুধু দেশের সম্পদই ভারতে পাচার করা হতো তা নয়, এরসাথে বৈদেশিক সাহায্যও ভারতে পাচার করা হতো। তৎকালীন নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদপত্রেও বিষয়টি উঠে আসে। বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদকীয়তে লেখা হয়,

    “এই দুর্ভিক্ষের সূচনা ঠিক চুয়াত্তরে হয়নি, হয়েছে আরো আগে থেকে। বলা যেতে পারে’ ৭২ সালেই দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা গিয়েছিল। গ্রামবাংলায় যখন চালের দাম প্রতিদিন ধাপে ধাপে বাড়ছিলো, সেই সংগে বাড়ছিলো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দর এবং ক্রমশ: সেগুলো চলে গিয়ে ছিলো সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। হাজার হাজার কোটি টাকার ধান-পাট বিদেশে পাচার হয়েছে চোরাপথে। রাষ্ট্রয়ত্ত কল কারখানার দুর্নীতিপরায়ণ প্রশাসকরা যারা ছিলেন ক্ষমতাসীন সরকারি প্রতিনিধি, তারা শুরু করলেন অবাধ লুন্ঠন, বিক্রি করে দিলেন যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ, কাঁচামাল এবং অন্যান্য শিল্প সামগ্রী।

    জাতীয় অর্থনীতির কাঠামো সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়লো, বিদেশ থেকে আমদানী করা কয়েক হাজার কোটি ডলারেও সেই ঘাটতি পূরণ হলো না, এবং বিদেশি ত্রাণ সামগ্রীও পাচার হয়ে গেলো সীমান্তের ওপারে।”

    ১৯৭৪ সালের ২৪ নভেম্বর সোনার বাংলা পত্রিকায় শিরোনাম করা হয়,
    “বন্যা নয়, দুর্ভিক্ষ নয়, দুর্নীতিই মৃত্যুর কারণ সাতাশ হাজার নয় সাতাশ লাখ?”

    ১৯৭৪ সালের ২৯ অক্টোবর দৈনিক গণকন্ঠের শিরোনাম করা হয়,
    “খাদ্যশস্যের উৎপাদন ও আমদানির পরিমাণ চাহিদার চেয়ে দেড়গুণ বেশী- তবুও দুর্ভিক্ষ কেন?
    তিন বছরে ৫০ লক্ষ টন চাল পাচার করা হয়েছে”

    কেবল জাতীয় দৈনিকেই নয় বাংলাদেশের সীমান্তে চোরাচালান ও দুর্নীতির তথ্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও উঠে আসে। ১৯৭৪ সালের ৮ নভেম্বর লন্ডন থেকে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়,

    “প্রতি বছর ১০ লাখ থেকে ২০ লাখ টন চাল বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হয়। এর সবটুকু সরকারের হাতে এলে সরকারের বন্টন ব্যবস্থার ঘাটতি পূরণের জন্য যথেষ্ট হবে। খাদ্যের উৎপাদন ও আমদানি বাবদ প্রাপ্ত খাদ্যশস্যের কেবল উদ্বৃত্ত অংশ প্রায় ৫০ লাখ টন খাদ্যশস্য পাচার হয়েছে।”

    ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে জনতার মুখপাত্র প্রতিবেদনে উঠে আসে ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের পাচার হওয়া সম্পদের পরিসংখ্যান। সে প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিলো,’৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ পাচার’।
    এ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, “দুইশ’ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ যা করতে পারেনি, ২৫ বছরে পাকিস্তানি শাসকরা যা করার সাহস পায়নি, মাত্র তিন বছরে হিন্দুস্তানী মাড়োয়ারী বঙ্গবন্ধুরা(!) তা করেছে। বাংলাদেশের কী পরিমান সর্বনাশ তারা করেছে তার একটি ক্ষুদ্র খতিয়ান তুলে ধরা হলো:

    i) ধান,চাল ও গমের পাচার হয়েছে – ৭০/৮০ লাখ টন।
    মূল্য(গড়ে একশো টাকা মূল্য ধরলে):২১৬০ কোটি টাকা।
    ii) পাট ৫০ লাখ বেলের উপরে – ৪০০ কোটি টাকা।
    iii) ত্রাণ সামগ্রী পাচার হয়েছে- ১৫০০ কোটি টাকা।
    iv) যুদ্ধাস্ত্র, আমদানী করা যন্ত্রাংশ, ঔষধপত্র, মাছ, ছাগল, গরু, মহিষ, মুরগী, ডিম বনজ সম্পদ মিলে – ১০০০ কোটি টাকা।
    সর্বমোট: ৫০৬০ কোটি টাকা।”
    [এখানে তৎকালীন টাকার মূল্যে হিসাব করা হয়েছে।]

    বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও শেখ মুজিব সরকারের অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ দুর্ভিক্ষ চলাকালীন এক বক্তব্যে বলেন,

    “বাংলাদেশের কতিপয় নেতার বিদেশে ব্যাংক ব্যালেন্স রয়েছে, তারা অনবরত দেশ থেকে মুদ্রা পাচার করে দিচ্ছে। ফলে দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড প্রায় ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। দেশের মানুষ কাপড়ের অভাবে মরছে আর একশ্রেণীর শিল্পপতি নামধারী লন্ডনে কাপড়ের কল চালু করেছে।”

    তাজউদ্দীন আহমেদের বক্তব্যেও আওয়ামী লুটেরারদের অপকর্ম ব্যপকতা উপলব্ধি করা যায়। অবশ্য এর কিছুদিনের মধ্যেই তাজউদ্দীন আহমেদকে দুর্নীতিবিরোধী কিছু সত্য উচ্চরণ করার কারণে শেখ মুজিব নিজে মন্ত্রীত্ব থেকে অব্যহতি নিতে বাধ্য করেন।

    ৭৪ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের জন্য যে শেখ মুজিব সরকারই দায়ী তা দুর্ভিক্ষ চলাকালীন সময়ে তৎকালীন বুদ্ধিজীবীরাও স্বীকার করেছেন। দুর্ভিক্ষকালীন সময়ে মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ ও আইন সাহায্য কমিটির উদ্যোগে ৫৭ জন বুদ্ধিজীবী যৌথ বিবৃতিতে বলেন,
    “প্রধানমন্ত্রীর উক্তি অবাস্তব: বর্তমান শাসকগোষ্ঠী এ দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছে।”

    দুর্ভিক্ষের প্রকৃত কারণ যে শেখ মুজিব সরকারের দুর্নীতি তা ইতিহাস আড়াল করতে, দুর্ভিক্ষের কারণ হিসেবে মার্কিন খাদ্যসাহায্য জাহাজ মাঝ সমুদ্র থেকে ফেরত নেয়ার কথা অনেককে বলতে শোনা যায়। অবশ্য এই জাহাজ ফিরিয়ে নেয়ার পেছনেও আওয়ামী লীগ দায়ী ও অপরাধী। যুক্তরাষ্ট্রের পিএল ৪৮০-এর আওতায় খাদ্য সাহায্য সংগ্রহে বাংলাদেশের তদানীন্তন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৭৩ সালের আগস্ট মাসে তিন লাখ টন খাদ্য সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করে। এর ফলে ১৯৭৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ২ দশমিক ২ লাখ টন খাদ্য সহায়তা দিতে রাজি হয়। সে সময় কিউবার সাথে আমেরিকার দ্বন্দ্ব চরমে। আর পিএল ৪৮০- এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাহায্য পেতে বিধি মোতাবেক কিউবার সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক করার অনুমতি ছিলো না। কিন্তু বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু কিউবার কাছে পাট বিক্রি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র এই পিএল ৪৮০- খাদ্য সহায়তা বাতিল করে এবং বাংলাদেশগামী মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফিরিয়ে নেয়।

    এরপর শেখ মুজিব সরকার দায় মুক্তির জন্য জানায়- পিএল ৪৮০-এর এই বিধান সম্পর্কে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান পাট করপোরেশনের জানা ছিল না। পরবর্তীতে বাংলাদেশ কিউবার সঙ্গে পাট রপ্তানি চুক্তি বাতিল করে এবং যুক্তরাষ্ট্র খাদ্য সহায়তা প্রদানে সম্মত হয়। ওই খাদ্য সহায়তা আওয়ামী লীগের কুটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে ১৯৭৪ সালের মাঝামাঝিতে না এসে অক্টোবর নাগাদ আসে। আর যখনই খবর পাওয়া গিয়েছিলো মার্কিন খাদ্যজাহাজ আসছে না তখন সরকার সমর্থিত অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার আশায় খাদ্য মজুতে লেগে যায় ও দাম আরো বড়িয়ে দেয়, এরফলে দুর্ভিক্ষ আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। এর কিছুই নিয়ন্ত্রণে করতে পারেনি শেখ মুজিব।

    আর এভাবেই শেখ মুজিব সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও রাষ্ট্রপরিচালনার অযোগ্যতার ফলে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে দেশবাসী। যার ফলে ক্ষুধার যাতনায় ঝরে যায় লাখ লাখ মানুষের জীবন। সমৃদ্ধ জনপদ রূপ নেয় মৃত্যুপুরীতে।

    চলবে ইনশা আল্লাহ…

    লেখক: রাফিদ ইয়াজভান


    ----------------------------

    তথ্যসূত্র:

    [১] কেমন ছিল শেখ মুজিবের শাসনামলঃ ৭৪ এর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ,প্রভাব এবং আওয়ামীলীগের যুক্তির “ভাঙ্গা কলস”- https://tinyurl.com/2nq00wfn
    [২] ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ -খাদ্যঘাটতি কারণ না- https://tinyurl.com/is05p9zg

    [৩] বাংলাদেশ: বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর, পৃ:৫৩৭
    [৪] গার্ডিয়ান, লন্ডন ৮ নভেম্বর ১৯৭৪
    [৫] জনতার মুখপাত্র, পহেলা নভেম্বর, ১৯৭৫
    [৬] জনপদ, ১১ মার্চ, ১৯৭৪
    [৭] গণকণ্ঠ অক্টোবর ২৪, ১৯৭৪
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    পড়ুন আগের পর্বগুলো-

    পর্ব:১ https://82.221.139.217/showthread.php?21718
    পর্ব:২ https://82.221.139.217/showthread.php?21880
    পর্ব:৩ https://82.221.139.217/showthread.php?21909
    পর্ব:৪ https://82.221.139.217/showthread.php?22097
    পর্ব:৫ https://82.221.139.217/showthread.php?22121
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ১৯৭৪ সালের ২৪ নভেম্বর সোনার বাংলা পত্রিকায় শিরোনাম করা হয়,
      “বন্যা নয়, দুর্ভিক্ষ নয়, দুর্নীতিই মৃত্যুর কারণ সাতাশ হাজার নয় সাতাশ লাখ?”
      বর্তমানেও আওয়ামী মুরতাদ সরকারে দুর্নীতির ভয়াবহতা সম্পর্কে আশা করি আপনার কিঞ্চিৎ হলেও অবগত আছেন।

      বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও শেখ মুজিব সরকারের অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ দুর্ভিক্ষ চলাকালীন এক বক্তব্যে বলেন,

      “বাংলাদেশের কতিপয় নেতার বিদেশে ব্যাংক ব্যালেন্স রয়েছে, তারা অনবরত দেশ থেকে মুদ্রা পাচার করে দিচ্ছে। ফলে দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড প্রায় ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। দেশের মানুষ কাপড়ের অভাবে মরছে আর একশ্রেণীর শিল্পপতি নামধারী লন্ডনে কাপড়ের কল চালু করেছে।”
      বর্তমানের ভয়াবহ অবস্থা তিনি অবলোকন করলে না জানি কি বলতেন?!
      জাতির এই দুর্দশার দায় তাগুত সরকার কিছুতেই এড়াতে পারবে না...!
      “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

      Comment


      • #4
        ত্বাগুত হাসিনার শাসন তো ওর জালিম বাবাকেও হার মানিয়েছে। দেশের বারোটা বাজিয়ে এখন নিজে নিজে বাশী বাজাচ্ছে [[ উন্নয়ন উন্নয়ন ]] বাংলার ইতিহাসে এ-ই ত্বাগুতের মতো কেউই এতো জুলুম আর দূর্নীতি করেনি!!!
        اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

        Comment


        • #5
          ভারতের পা চাটা গোলামি আর কতকাল করবে! কি পেয়েছে? ভবিষ্যতেই বা কি পাবে? অবশেষে...শূন্য ছাড়া বৈ কিছু না!!! লাঞ্চনা(লাঞ্ছনা) ছাড়া আর কিছুই না। আহ্! এ জাতি আর কবে সোচ্ছার হবে!!! আর কতকাল হেলায় দুলায় থাকবে!! দ্বীনের বিষয়ে গাফলতি করবে!!

          মুহতারাম ভাইগণ, কাজ চালিয়ে যান। আশা করা যায় আপনাদের এ মেহনাত উম্মাহকে আবার জাগ্রত করবে! অচিরেই জালিমদের পতন হবে ইনশাআল্লাহ্।
          আল্লাহ্ ভাইদের কাজে বারাকাহ্ দিন ও নিরাপত্তায় রাখুন। আমীন ইয়া রব্বাল 'আলামীন।
          হজরত আবু বকর রাঃ বলতেন-
          لو يعلم الناس ما أنا فيه أهالوا عليَّ التراب
          “যদি তারা আমার হাকিকত সম্পর্কে অবগত হয়, তাহলে আমার উপর মাটি নিক্ষেপ করবে”

          Comment


          • #6
            আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই জালেমদেরকে উপযুক্ত পাওনা দিবেন

            Comment


            • #7
              Originally posted by forsan313 View Post
              ত্বাগুত হাসিনার শাসন তো ওর জালিম বাবাকেও হার মানিয়েছে। দেশের বারোটা বাজিয়ে এখন নিজে নিজে বাশী বাজাচ্ছে [[ উন্নয়ন উন্নয়ন ]] বাংলার ইতিহাসে এ-ই ত্বাগুতের মতো কেউই এতো জুলুম আর দূর্নীতি করেনি!!!
              মাশা আল্লাহ! খুব বাস্তব সম্মত কথা!! আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বোঝার তাওফিক দান করুন। আমীন!
              আসুন! নববী মানহাযে শান্তির জন্য কাজ করি!!

              Comment


              • #8
                Originally posted by ত্বলহা View Post
                ভারতের পা চাটা গোলামি আর কতকাল করবে! কি পেয়েছে? ভবিষ্যতেই বা কি পাবে? অবশেষে...শূন্য ছাড়া বৈ কিছু না!!! লাঞ্চনা(লাঞ্ছনা) ছাড়া আর কিছুই না। আহ্! এ জাতি আর কবে সোচ্ছার হবে!!! আর কতকাল হেলায় দুলায় থাকবে!! দ্বীনের বিষয়ে গাফলতি করবে!!

                মুহতারাম ভাইগণ, কাজ চালিয়ে যান। আশা করা যায় আপনাদের এ মেহনাত উম্মাহকে আবার জাগ্রত করবে! অচিরেই জালিমদের পতন হবে ইনশাআল্লাহ্।
                আল্লাহ্ ভাইদের কাজে বারাকাহ্ দিন ও নিরাপত্তায় রাখুন। আমীন ইয়া রব্বাল 'আলামীন।
                ভাইজান যথার্থই বলেছেন আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন আমীন।
                মুসলিম হয়ে জন্মেছি আমি ইসলাম আমার ধর্ম
                লড়বো আমি খোদার পথে এটাই আমার গর্ব।

                Comment


                • #9
                  তাগুত মুজিবের পথ ধরেই ভারতের সেবাদাসী তাগুত হাসিনা তার সরকার পরিচালনা করছে!
                  ভারত বাংলাদেশের প্রথম ও প্রধান শক্র, অথচ আওয়ামী মুর্তাদ সরকার তাদেরকে পরম বন্ধুরূপে গ্রহন করেছে!!
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment


                  • #10
                    আল্লাহ্ তায়া-লা এই বংশীয় জালিমদের ধ্বংস করুন..লাঞ্ছিত করুন দুনিয়া ও আখিরাতে আমিন ইয়া রব্ব।

                    Comment

                    Working...
                    X