Announcement

Collapse
No announcement yet.

০৫ মুরতাদ হত্যায় দাওয়াতের বিধান

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ০৫ মুরতাদ হত্যায় দাওয়াতের বিধান

    মুরতাদ হত্যায় দাওয়াতের বিধান

    শাতিম যদি আসলি কাফের হয়, তাহলে দাওয়াতের কোনো মাসআলা নেই। তার রক্ত তো আগে থেকেই হালাল।
    শাতিম যদি মুসলিম হয় তাহলে কি বিধান?

    আমরা প্রথমে মুরতাদের দাওয়াতের বিধান সংক্ষেপে আলোচনা করবো। তাতে ইনশাআল্লাহ শাতিমের মাসআলাও পরিষ্কার হবে।


    মুরতাদকে দাওয়াত দেয়া ওয়াজিব নয়
    দাওয়াতকে অন্য শব্দে ইসতিতাবাহ্ বলা হয়। যার অর্থ, তাওবা তলব করা। সে যে কুফরে লিপ্ত হয়ে দ্বীন থেকে বেরিয়ে গেছে, তা তরক করে আবার ইসলামে ফিরে আসার আহ্বান জানানো। কোনো সংশয়ে পড়ে থাকলে তা দূর করে দেয়া।
    এ ইসতিতাবাহ্ বা দাওয়াত কি ফরয? না’কি এ ধরনের কোনো দাওয়াত দেয়া ও তাওবা তলব করা ছাড়াই হত্যা করা যাবে?

    এ ব্যাপারে আইম্মায়ে কেরামের মাঝে কিছুটা দ্বিমত আছে। আমাদের হানাফি মাযহাব মতে মুস্তাহাব; ফরয নয়।

    ইমাম কাসানি রহ. (৫৮৭ হি.) হানাফি মাযহাব তুলে ধরেছেন এভাবে,
    يستحب أن يستتاب ويعرض عليه الإسلام لاحتمال أن يسلم، لكن لا يجب؛ لأن الدعوة قد بلغته فإن أسلم فمرحبا وأهلا بالإسلام، وإن أبى نظر الإمام في ذلك فإن طمع في توبته، أو سأل هو التأجيل، أجله ثلاثة أيام وإن لم يطمع في توبته ولم يسأل هو التأجيل، قتله من ساعته. بدائع الصنائع في ترتيب الشرائع (7/ 134)
    মুরতাদের কাছে তাওবা তলব করা ও ইসলাম পেশ করা মুস্তাহাব। সম্ভাবনা আছে সে মুসলমান হয়ে যাবে। তবে ওয়াজিব নয়। কারণ, দাওয়াত তো ইতিমধ্যে তার কাছে পৌঁছেছেই। (সে তো মুসলমানই ছিল। ইসলাম সম্পর্কে জানাশুনা আছে। নতুন করে জানানোর প্রয়োজন নেই।) (তাওবা তলব করার পর) মুসলমান হয়ে গেলে তো ভাল; অন্যথায় ইমামুল মুসলিমিন দেখবেন,
    - যদি মনে করেন যে, তাওবা করে মুসলমান হয়ে যাওয়ার আশা আছে, কিংবা যদি সে চিন্তা ফিকির করে দেখার জন্য কিছু সময় চায়, তাহলে (মুস্তাহাবরূপে) তিন দিন সময় দেবেন।
    - যদি তাওবা করবে বলে আশা না থাকে এবং সে সময়ও না চায়, তাহলে তৎক্ষণাৎ হত্যা করে দেবেন। -বাদায়িউস সানায়ি: ৭/১৩৪

    অতএব, মুরতাদকে দাওয়াত দেয়া ওয়াজিব নয়; মুস্তাহাব।

    এমনিভাবে তিন দিন সময় দেয়াও ওয়াজিব নয়। সময় দিলে যদি ফায়েদা হবে মনে হয় দিবেন, অন্যথায় তখনই হত্যা করে দেবেন।

    অতএব, মুরতাদকে দাওয়াত দেয়া ছাড়াই হত্যা করে দেয়া মুস্তাহাব পরিপন্থী, মাকরুহে তানযিহি, কিন্তু নাজায়েয নয়।

    মারগিনানি রহ. (৫৯৩ হি.) বলেন,
    فإن قتله قاتل قبل عرض الإسلام عليه كره ولا شيء على القاتل. ومعنى الكراهية ههنا ترك المستحب وانتفاء الضمان لأن الكفر مبيح للقتل والعرض بعد بلوغ الدعوة غير واجب. الهداية في شرح بداية المبتدي (2/ 406)
    ইসলাম পেশ করার আগেই মুরতাদকে হত্যা করে ফেললে কাজটা মাকরুহ হবে, কিন্তু হত্যাকারীর উপর কোনো জরিমানা আসবে না। মাকরুহ দ্বারা (মাকরুহে তাহরিমি উদ্দেশ্য না) উদ্দেশ্য, তা মুস্তাহাব পরিপন্থী (অর্থাৎ মাকরুহে তানযিহি); তবে জরিমানা নেই। কারণ, কুফর এমন অপরাধ যা রক্ত হালাল করে দেয়। আর দাওয়াত পৌঁছে যাওয়ার পর নতুন করে দাওয়াত দেয়া ওয়াজিব নয়। -হিদায়া: ২/৪০৬

    ইবনুল হুমাম রহ. (৮৬১ হি.) বলেন,
    (ومعنى الكراهة هنا ترك المستحب) فهي كراهة تنزيه. فتح القدير للكمال ابن الهمام (6/ 71)
    মুস্তাহাব পরিপন্থী। অর্থাৎ মাকরুহে তানযিহি। -ফাতহুল কাদির: ৬/৭১


    মুরতাদকে দাওয়াত দেয়া ওয়াজিব নয় কেন?
    মুরতাদের শরয়ী তাকয়িফটা বুঝতে হবে।
    মুরতাদ তো কাফের। আবার কাফেরও এমন কাফের, যার সাথে চুক্তি নেই। তাহলে সে হারবি কাফের।
    আবার সে এতদিন মুসলমান ছিল। কাজেই ইসলাম সম্পর্কে তার জানাশুনা আছে।

    এ হিসেবে শরীয়তের দৃষ্টিতে মুরতাদের অবস্থা হলো, সে এক হারবি কাফের, যার কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে গেছে। আর যে হারবির কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে গেছে, তাকে দাওয়াত দেয়া ওয়াজিব নয়, মুস্তাহাব। তবে শর্ত সাপেক্ষে মুস্তাহাব।


    হারবিকে দাওয়াত দেয়া কখন মুস্তাহাব?
    যে হারবির কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছেছে, তাকে নতুন করে দাওয়াত দেয়া মুস্তাহাব। তবে দুই শর্তে-
    ১. দাওয়াত কবুল করবে বলে আশা থাকতে হবে।
    ২. দাওয়াত দিতে গেলে ক্ষতির আশঙ্কা না থাকতে হবে।

    এ দুইটার কোনোটার ব্যতয় ঘটলে দাওয়াত মুস্তাহাব নয়।

    ইমাম বুরহানুদ্দীন মাহমুদ বুখারি রহ. (৬১৬ হি.) বলেন,
    ثم إنما تستحب الدعوة مرة أخرى للتأكيد بشرطين
    أحدهما: أن لا يكون في تقديم الدعوة ضرر على المسلمين، وأما إذا كان في تقديم الدعوة ضرر على المسلمين، بأن علموا أنهم لو قدموا الدعوة يستعدون للقتال، أو يحتالون بحيلة، أو يتحصنون، لا يستحب تقديم الدعوة؛ وهذا لأن تقديم الدعوة مستحب، ودفع الضرر عن المسلمين واجب، ولا يجوز الاشتغال بالمستحب إذا تضمن ترك الواجب.
    الشرط الثاني: أن يطمع فيهم ما يدعون إليه، أما إذا كان لا يطمع فيهم ما يدعون إليه، لايشتغلون بالدعوة؛ لأنه يكون اشتغالا بما لا يفيد ـ -المحيط البرهاني، ج:7، ص:95؛ ط. إدارة القرآن
    গুরুত্বারোপের জন্য (একবার দাওয়াত পৌঁছার পর) দ্বিতীয়বার দাওয়াত দেওয়া মোস্তাহাব দু’টি শর্তে:
    এক. দাওয়াত প্রদানের মধ্যে মুসলমানদের কোনোরূপ ক্ষতি না থাকতে হবে। দাওয়াত প্রদানে যদি মুসলমানদের ক্ষতি থাকে; যেমন: মুসলমানদের জানা আছে তারা যদি দাওয়াত দিতে যায় তাহলে কাফেররা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে কিংবা কোনো কূটকৌশল অবলম্বন করবে অথবা দুর্গে আশ্রয় নিয়ে নেবে- এমন হলে পুনর্বার দাওয়াত দেওয়া মোস্তাহাব নয়। কারণ দাওয়াত দেওয়া মোস্তাহাব, আর মুসলমানদের উপর আগত যে কোনো ক্ষতি প্রতিরোধ করা ফরয। মোস্তাহাব কাজ যদি ফরয পরিত্যাগের কারণ হয় তাহলে সে মোস্তাহাব আমল করা জায়েয নয়।

    দুই.
    যে বিষয়ের দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে, তারা তাতে সাড়া দেবে বলে আশা থাকতে হবে। সাড়া দেওয়ার আশা না থাকলে দাওয়াত দিতে যাবে না। কারণ, এটি তখন অনর্থক কাজে ব্যস্ত হওয়ার নামান্তর। -আলমুহিতুল বুরহানি ৭/৯৫


    মুমতানি’কে দাওয়াত দেয়া ওয়াজিব নয়
    মুরতাদ দুই প্রকার:
    ক. মাকদুর আলাইহি: দারুল ইসলামের যে বাসিন্দা দারুল ইসলামে মুরতাদ হয়েছে এবং ইমামুল মুসলিমিন তাকে ধরে তাওবা তলব করতে পারবেন, সন্দেহ দূর করতে পারবেন এবং মুসলমান না হলে স্বাভাবিকভাবে হত্যা করে দিতে পারবেন।
    খ. মুমতানি’: অর্থাৎ আত্মরক্ষামূলক শক্তির অধিকারী, যে কারণে তাদের স্বাভাবিকভাবে পাকড়াও করে তাওবা তলব করা এবং হদ কায়েম করা সম্ভব নয়।

    দ্বিতীয় প্রকার মুরতাদকে দাওয়াত দেয়া ওয়াজিব নয়।

    ইবনে তাইমিয়া রহ. (৭২৮ হি.) বলেন,
    الممتنع لا يستتاب وإنما يستتاب المقدور عليه. الصارم المسلول على شاتم الرسول (ص: 326)
    মুমতানি’ এর কাছে তাওবা তলব করা হবে না। তাওবা তলব করা হবে মাকদুর আলাইহি থেকে। -আসসারিমুল মাসলুল: ৩২৬

    অতএব, মুরতাদরা যদি সংঘবদ্ধ দলে পরিণত হয় এবং স্বাভাবিকভাবে ধরে হদ কায়েম করার সুযোগ না থাকে, তাহলে তাদের হত্যা করতে দাওয়াত দিতে হবে না। যেখানে সুযোগ পাওয়া যায় হত্যা করে দেয়া হবে। কারণ, সে অন্য দশটা হারবির মতোই একটা হারবি।


    আমাদের দেশের মুরতাদরা মাকদুর আলাইহি, না মুমতানি’?
    আমাদের দেশের মুরতাদরা মাকদুর আলাইহি নয়; মুমতানি’। কারণ, কেউ মুরতাদ হলে এ দেশের আইনে তাকে হত্যার বিধান নেই। বরং বাক স্বাধীনতার নাম করে উল্টো এদের হত্যাকারী নবীপ্রেমিকদের ফাঁসি দেয়া হয়। এদেশের রাষ্ট্রীয় আইন এবং গোটা স্বশস্ত্র বাহিনি মুরতাদদের পাহারায় নিয়োজিত। তাদের ধরে হদ কায়েম করার সামর্থ্য মুসলিমদের নেই। তাই তারা মুমতানি’।


    তাহলে এদেশের মুরতাদদের দাওয়াত দেয়ার আবশ্যকীয়তা নেই
    প্রথমত আমরা দেখেছি, মুরতাদকে দাওয়াত দেয়া মূলে ফরযই নয়, মুস্তাহাব।

    দ্বিতীয়ত মুরতাদরা রাষ্ট্রীয় আইন ও বাহিনির দ্বারা মুমতানি’। রাষ্ট্র তাদের পাহারায় নিয়োজিত। তাই তারা অন্য দশটা হারবির মতোই। এদের হত্যা করতে দাওয়াত দিতে হবে না। যেখানে পাওয়া যায়, সুযোগ বুঝে হত্যা করে দেয়া হবে।

    তৃতীয়ত দাওয়াত দেয়া তো মুস্তাহাব তাদের, যারা দাওয়াত কবুল করবে আশা আছে। পক্ষান্তরে যারা দীর্ঘদিন যাবৎ মুরতাদ, ইসলাম বিদ্বেষের উপরই যে বড় হয়েছে, ইসলামের দুশমনিই যাদের মিশন, যারা রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক কুফফারগোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতার ছত্রছায়ায় তাদের মিশন চালিয়ে যায় -এমন ধরনের মুরতাদের দাওয়াত দিয়ে লাভ কি? তাদের ব্যাপারে তো স্পষ্টই যে, তারা ইসলাম গ্রহণ করবে না।

    সর্বোপরি তাদের ধরে ধরে দাওয়াত দেয়ার সামর্থ্য তো আমাদের নেই, যেমন নেই ফ্রান্সের শাতিমদের দাওয়াত দেয়ার সামর্থ্য। তারা রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তির বলয়ে বেষ্টিত, যা ভেদ করে দাওয়াত নিয়ে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না।

    এরপরও এদেশের জনগণ মিটিং-মিছিল করে, রাজপথে যতটুকু সম্ভব আন্দোলন করে মুরতাদদের হুঁশিয়ারি সতর্কবাণী শুনাচ্ছেন। কিন্তু মুরতাদরা যে তিমিরে ছিল সে তিমিরেই আছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে-বিদেশে আরামে দিন যাপন করছে আর ইসলাম বিদ্বেষ চালিয়ে যাচ্ছে। কাজেই ফ্রান্সের হারবি শাতিমদের হত্যা করতে যেমন দাওয়াত লাগবে না, দেশীয় শাতিমরাও এমনই।

    বরং বাস্তব হলো, যতটুকু জনগণ করেছে, এতটুকুও দরকার ছিল না। মুরতাদ হওয়ার পর পরই যদি কেউ হত্যা করে দেয়, তাহলেও ঠিক আছে। গুনাহের কাজ হতো না। আমরা দেখেছি, দারুল ইসলামের মাকদুর আলাইহি মুরতাদ, যে কোনো সংশয়ে পড়ে মুরতাদ হয়েছে, যাকে দাওয়াত দিলে ফিরে আসতে পারে, তাকেও দাওয়াত দেয়া জরুরী না; মুস্তাহাব। তাহলে দারুল হারবের মুমতানি’ ও ইসলাম বিদ্বেষী মুরতাদ, যে এমন নয় যে, কোনো সংশয়ে পড়ে গিয়েছে আর তা দূর করে দিলেই ইসলাম কবুল করে ফেলবে- তাহলে এমন মুরতাদকে কেন দাওয়াত দেয়া ফরয হবে?


    হাঁ, দাওয়াত এদেরকে দেয়া যেতে পারে
    দেশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে খৃস্টান মিশনারী ও এনজিওগুলোর খপ্পরে পড়ে সরলমনা দুর্বল ঈমানের যেসব মুসলিম মুরতাদ হয়ে গেছে, তাদের দাওয়াত দেয়া যেতে পারে। তারা আসলে সংশয়ে পড়েই মুরতাদ হয়েছে। খৃস্টান মিশনারীরা তাদের কাছে সত্যকে মিথ্যা ও মিথ্যাকে সত্যরূপে দেখিয়েছে। পাশাপাশি দারিদ্রের কষাঘাতে পিষ্ট বিধায় অর্থলোভও কাজ করেছে।

    এদেরকে দাওয়াত দিলে, হকটা বুঝিয়ে দিলে তারা আবার দ্বীনে ইসলামে ফিরে আসবে। কিছু দায়ী ভাইয়ের মেহনতে তারা অনেকে ফিরে আসছেও। যদি তাগুত সরকার দায়ী ভাইদের এদের মাঝে কাজ করার সুযোগ দিতো, তাহলে এদের সকলেই আবার মুসলমান হয়ে যেতো। কিন্তু! তাগুতরাই তো মিশনারী আর এনজিওগুলোকে ইরতাদের সুযোগ করে দিয়েছে এবং নিরাপত্তা দিচ্ছে। পক্ষান্তরে দায়ী ভাইরা যারা কাজ করেন, অনেক রিস্ক নিয়ে কাজ করেন। এতদসত্বেও হাজারা হাজার মুরতাদ হওয়া মুসলমান আবার ফিরে আসছে। এ ধরনের মুরতাদের বেলায় দাওয়াত দেয়ার দরকার আছে।

    কিন্তু ওয়াশিক বাবু আর শাহরিয়ার কবিরদের আপনি দাওয়াত দেবেন? তাহলে চৌদ্দ শিকের জন্য প্রস্তুত থাকুন।


    সারকথা
    দাওয়াত তাদের দিতে হয় যারা সংশয়ে পড়ে মুরতাদ হয়েছে, দাওয়াত দিলে ফিরে আসবে আশা আছে। অধিকন্তু যাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছানো সম্ভব। দাওয়াত কবুল না করলে হদ কায়েম করার সুযোগ আছে।

    পক্ষান্তরে যারা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত, যারা ইসলাম বিদ্বেষ থেকে মুরতাদ, যাদের মাঝে দাওয়াত কোনো কাজ করবে না, বরং দাওয়াত দিতে গেলে আপনার জীবন হুমকির মুখে পড়বে -এদের দাওয়াতের মাসআলা নেই। যেখানে পাবেন হত্যা করে দেবেন। এটাই এদের সঠিক প্রাপ্য।

    অধিকন্তু দেশের লাখো কোটি তাওহিদি মুসলিমের বছরের পর বছর মিছিল, আন্দোলন, সভা, মাহফিল ইত্যাদির মাধ্যমে যে পরিমাণ দাওয়াত হয়েছে, তা মুস্তাহাব দাওয়াতের হাজার দরজা অতিক্রম করেছে। কিন্তু ফলাফল শুন্য। এখন ওষুধ একমাত্র ধারালো তরবারি। দ্বিতীয় কোনো ওষুধ নেই।


    শাতিম কিন্তু আরও জঘন্য
    আমরা এতক্ষণ যা আলোচনা করলাম, তা সাধারণ মুরতাদের ব্যাপারে। শাতিমের বিধান আরও কঠোর। মুরতাদ তো তাওবা করলে মাফ পেয়ে যায়, কিন্তু শাতিমের ব্যাপারে তো অনেক ইমামের সিদ্ধান্ত- মুসলমান হলেও হত্যা মাফ নেই। যখন মুরতাদের বেলায়ই আমাদের উপরোক্ত আলোচনা, তখন শাতিমের কি হতে পারে নিজেই অনুধাবন করুন।

    শাতিমের ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরামের সুন্নাহ ছিল- সরাসরি হত্যা। মুরতাদ আর শাতিমের বিধানে অনেক ব্যবধান। শুধু বুঝানোর জন্য মুরতাদের আলোচনাটা আনা হল। যাতে শাতিমের বিধানটা আন্দাজ করা যায়। ওয়াল্লাহু তাআলা আ’লাম।
    الحمد لله الذي بنعمته تتم الصالحات. وصلى الله تعالى على خير خلقه محمد وعلى آله وصحبه أجمعين.


  • #2
    আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ!

    অধিকন্তু দেশের লাখো কোটি তাওহিদি মুসলিমের বছরের পর বছর মিছিল, আন্দোলন, সভা, মাহফিল ইত্যাদির মাধ্যমে যে পরিমাণ দাওয়াত হয়েছে, তা মুস্তাহাব দাওয়াতের হাজার দরজা অতিক্রম করেছে। কিন্তু ফলাফল শুন্য।
    এখন ওষুধ একমাত্র ধারালো তরবারি। দ্বিতীয় কোনো ওষুধ নেই।
    আলহামদু লিল্লাহ, ছুম্মা আলহামদু লিল্লাহ, তথ্যনির্ভর এই অসাধারণ পোস্টটি পড়ে খু-ব-ই ভাল লাগল।
    আল্লাহ আপনার ইলমে, আমলে ও ফাহমে ভরপুর বারাকাহ দিন ও উম্মাহকে ব্যাপকভাবে উপকৃত করুন।
    মুহতারাম ভাইয়েরা- আপনারা অনলাইন ও অফলাইন সর্বত্র এই মূল্যবান লেখাটি সাধ্যানুযায়ী ছড়িয়ে দিন।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      جزاك الله أحسن الجزاء
      اللهم بارك في علمه وفهمه وحكمته.وزدناعلمانافعا
      Last edited by হাবিবুল্লাহ000; 03-04-2021, 10:02 PM.

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহু মুহতারাম ভাই! আলহামদু লিল্লাহ, আপনার দালীলিক আলোচনা দ্বারা অনেক উপকৃত হলাম।

        Comment


        • #5
          অধিকন্তু দেশের লাখো কোটি তাওহিদি মুসলিমের বছরের পর বছর মিছিল, আন্দোলন, সভা, মাহফিল ইত্যাদির মাধ্যমে যে পরিমাণ দাওয়াত হয়েছে, তা মুস্তাহাব দাওয়াতের হাজার দরজা অতিক্রম করেছে। কিন্তু ফলাফল শুন্য।
          এখন ওষুধ একমাত্র ধারালো তরবারি। দ্বিতীয় ওষুধ নেই।

          জি মুহতারাম,আপনি ঠিক বলেছেন। এদের জন্য একমাত্র ওষুধ তরবারি।
          গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

          Comment


          • #6
            মাশাল্লাহ, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ভাইয়ের ইলম শক্তি আরো বাড়িয়ে দিন, শহীদ হিসেবে কবুল করুন,নেক হায়াত দান করুন, বেশি বেশি ফোরামে পোস্ট করার তৌফিক দান করুক!
            “দ্বীনের জন্য রক্ত দিতে দৌড়ে বেড়ায় যারা,সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর উত্তরসূরী তারা”–TBangla

            Comment


            • #7
              মাশাআল্লাহ, চমৎকার দালিলিক আলোচনা , আল্লাহ আপনাকে দ্বীনের জন্য কবুল করুক আমিন

              Comment


              • #8
                জাযাকাল্লাহ শায়েখ! আল্লাহ আপনার ইলমে বারাকাহ দিন এবং আপনার ইলম দ্বারা জাতীকে বেশী বেশী উপকৃত হওয়ার তাওফিক দান করুন, আমীন।

                Comment


                • #9
                  সুপ্রিয় শাইখ [[ ইলম ও জিহাদ]] ইরতিদাদ বিষয়ক কলাম শেষ হলে পিডিএফ করে দেয়ার অনুরোধ রইলো।
                  আগামী তারবিয়ার/ দাওয়া ইলাল্লাহ মেগাজিনে(ম্যাগাজিনে) মুরতাদের উপর লিখা দিলে ভালো হবে।
                  আল্লাহ, আমাকে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন।

                  Comment


                  • #10
                    জাযাকুমুল্লাহ।
                    শত্রু অভিমুখী যুদ্ধা।

                    Comment


                    • #11
                      আল্লাহ্ তায়া-লা সম্মানিত শায়েখকে সর্বদা উম্মাহর সামনে সত্য বলার তাওফিক দান করুন..আপনার নিরাপত্তার চাদরে আগলে রাখুন.. সুস্থ রাখুন ও পরিপূর্ণ প্রজ্ঞা দান করুন... আমদের সকলকে জান্নাতে একত্রিত করুন আমিন ইয়া রব্ব।

                      Comment


                      • #12
                        আল্লাহ সম্মানিত ভাইকে জাযায়ে খাইর দান করুন ও আমাদেরকে সংশয় থেকে হেফাযত করুন। আমীন
                        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                        Comment

                        Working...
                        X